ঝিনাইদহে স্বপ্ন সারথী উদ্যোগে শিশুদের মাঝে পোষাক বিতরণ

ঝিনাইদহে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্বপ্ন সারথীর উদ্যোগে দুস্থ-অসহায় বাঁচ্চাদের মাঝে পোষাক বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকালে ঝিনাইদহ উপশহরপাড়া প্যারাডাইস স্কুল মাঠে অসহায় শিশুরদের মাঝে এই পোষাক বিতরণ করা হয়।

ড: তপন কুমার গাংগুলির সভাপেিত্ব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সফল মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম, সাংবাদিক কাজী আলী আহম্মেদ লিকু, স্বপ্নসারথীর সাধারণ সম্পাদক কাজী মোহাম্মদ আলী পিকু, কৌতুক অভিনেতা হুমায়ন কবিরী টুকুসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাংবাদিক শাহানুর আলম। আলোচনা শেষে প্রধান অতিথির মাধ্যমে ৬০জন দুস্থ-অসহায় শিশুদের হাতে পোষাক তুলে দেওয়া হয়।




প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে : ইনু

‘আওয়ামী লীগ ও জাসদের মধ্যে কোনো রাজনৈতিক বিরোধ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল-জাসদ সভাপতি ও হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, খন্দকার মুশতাকের দালালেরা দলকে দুর্বল করার চেষ্টা করে। মুশতাকের মত ঘাপটি মেরে থাকা দালালদের পায়ে পা লাগিয়ে ঝগড়া বাধানোকে আমরা আমলে নিচ্ছি না।’

আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি, জামায়াত এবং কতিপয় বিদেশি চক্র নির্বাচন ও গণতন্ত্র নিয়ে হৈচৈ করছে। এর ভেতরে বিএনপি-জামায়াত চক্র এমন সব কর্মসূচি দিচ্ছে তাতে দেশের অর্থনীতি, মানুষের জানমাল এবং শান্তি নষ্ট হচ্ছে। হৈচৈর আড়ালে চক্রটি সরকার অদল-বদলের একই সুরে তানপুরা বাজাচ্ছে। এর মাধ্যমে ৭৫, ৮২ ও ১/১১ ঘটানোর একটা গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। একটা তাবেদার সরকার বানানোর চেষ্টা চলছে।’ কোনো অজুহাতেই বা চক্রান্তে সাংবিধানিক ধারা বানচাল করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে উল্লেখ করেজাসদ সভাপতি বলেন, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ দিয়েছেন আমাদের দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গ্রামে কিংবা শহরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই, এমন বাড়ি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে সরকার।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা যে কষ্ট করে গ্রামের যে রাস্তা ও বিদ্যুৎ দিয়েছে এই (কচুবাড়ীয়া) গ্রামের রাস্তা কি কখনো শেখ হাসিনা দেখেছে। এটা দেখেছে এই আসনের এমপি হাসানুল হক ইনু। শেখ হাসিনার চোখ হলো ইনুর চোখ আর ইনুর চোখ মানেই এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেম্বারের চোখ।

তিনি আরও বলেন, সরকারের প্রচেষ্টা ছিল বলেই উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছেছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকলে দেশের উন্নয়ন টেকসই হবে। এ সময় তিনি আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

মিরপুর উপজেলা জাসদের সাধারন সম্পাদক আহম্মদ আলী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম, উপজেলা সহাকরী কমিশনার ভুমি) হারুন অর রশীদ, জেলা জাতীয় যুবজোটের সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমানসহ জাসদ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




জীবননগরে সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

ইউনিয়ন পর্যায়ে বর্তমান সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধাভোগী মানুষদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১১ টার সময় মনোহরপুর,কেডিকে ও বাকা ইউনিয়ন পরিষদ ও জীবননগর পৌরসভার আয়োজনে জীবননগর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর, কেডিকে ও বাকা ইউনিয়ানের সহ জীবননগর পৌরসভার বিভিন্ন স্তরের সাধারণ মানুষ সরকারী বিভিন্ন সুযোগ সুবিধাভোগিদের সাথে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। মাতৃত্বকালিন, প্রতিবন্ধি, বয়স্ক, বিধবা ভাতাসহ সকল ভাতার আওতায় থাকা অসহায় মানুষদের সাথে এ মতবিনিময় করেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর।

ভাতাভোগি প্রায় ১৩হাজার জন নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।

জীবননগর উপজেলা নিবাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর, জীবননগর উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান,দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু, জীবননগর পৌর সভার মেয়র রফিকুল ইসলাম,দশনা পৌর সভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা,জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃসালাম ঈশা, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন,বাকা ইউপি চেয়ারম্যান আঃকাদের প্রধান,কেডিকে ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল বাশার শিপলু,জেসিআইয়ের পরিচালক মুনতাসির আজগার আকাশ প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানটি সাবিক পরিচালনা করেন জীবননগর পৌর সভার সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।




মেহেরপুরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ-তোষকের কারিগররা

ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে শীত। পুরোপুরি না হলেও পাওয়া যাচ্ছে শীতের আমেজ। আর শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মেহেরপুরের লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা।

শীত মৌসুমের কারিগররা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন লেপ-তোষক বানানোর কাজে। ক্রেতাদের আনাগোনায় জমজমাট হয়ে উঠেছে লেপ-তোষককের দোকান গুলো। গতবছরের তুলনায় এবছর দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। তুলার মূল্য বৃদ্ধির ভিত্তিতে লেপ-তোষকের দাম বৃদ্ধি পেলেও পারিশ্রমিক বৃদ্ধি হয়নি কারিগরদের।

কারিগররা জানান, গতবছরের তুলনায় লেপ-তোষকের দাম দ্বিগুন বৃদ্ধি পেলেও তাদের মুজুরি একই হয়েছে। দিনে ২ থেকে ৩ টা লেপ বা তোষক বানিয়ে তারা ৫শ থেকে ৬শ টাকা আয় করেন।

বছরের প্রায় আট মাস অনেকটা অলস সময় কাটাতে হয় তাদের। অনেকেই ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত হয়। শীতের আগমনী বার্তায় প্রতিদিনই লেপ-তোষক তৈরির অর্ডার বেড়েই চলছে বলে জানান তারা।

মেহেরপুর শহরের বেশ কয়েকটি লেপ-তোষক তৈরির দোকান ঘুরে জানা যায়, বর্তমান বাজারে লেপ তৈরিতে খরচ নেওয়া হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১৫ শত টাকা এবং তোষক ১২ শত থেকে ২৫ শত টাকা পর্যন্ত।

মেহেরপুর শহরে লেপ-তোষকের দোকান শীতল বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মন্টু হোসেন বলেন, ক্রেতারা শীতের কথা মনে রেখে আগাম লেপ-তোষক বানাতে দিচ্ছেন। অর্ডার পেয়ে আমার কারিগররাও লেপ-তোষক বানাতে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। একটি লেপ তৈরিতে একজন কারিগরের সময় লাগে দুই ঘণ্টা। এভাবে একজন কারিগর দিনে গড়ে তিন থেকে পাঁচটি লেপ তৈরি করতে পারে। একই ভাবে দিনে চার-পাঁচটি তোষক তৈরিতেও একই সময় ব্যয় হয়।

তিনি বলেন, তুলার দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লেপ-তোষক, গদি তৈরিতে খরচ গত বছরের চেয়ে একটু বেড়েছে। শীতের তীব্রতা যতো বাড়বে বেচা-কেনা আরও জমবে বলে আশা করছেন তিনি।




গাংনীর কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজে গভর্নিং বডির সভা অনুষ্ঠিত

কুতুবপুর পুর স্কুল এন্ড কলেজে গভর্নিং বডির সাথে শিক্ষকদের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০ সময় কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের সভাকক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সামনে ১০ম শ্রেনী ও দ্বাদশ শ্রেনীর বর্ড পরীক্ষা কে কেন্দ্র করে মত বিনিময় সভায় শিক্ষার্থী দের লেখা পড়ার মান উন্নয়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের দাতা সদস্য, ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের সবেক চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম। গভর্নিং বডির সদস্য জিনারুল ইসলাম, চুন্নু মিয়া, খায়রুল ইসলাম, কল্পনা খাতুন। উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ হাফিজুল ইসলাম, সিনিয়র শিক্ষক আমজাদ হোসেন,মাঝারুল ইসলাম, ফিরোজা খাতুন,জয়নাল আবেদিন,আবু তাহের সিদ্দিকী, সহকারী শিক্ষক রেজাউর রহমান,লাভলু হোসেন,জুহিন আলী, নাজমুল হোসেন ইকলাছ সুমনা খাতুন পল্লবী সাহা সহ আরো শিক্ষক বৃন্দ।

এ সময় শিক্ষার মান উন্নয়ন নিয়ে শিক্ষকদের উদ্দেশ্য হাজী মোঃ আমিনুল ইসলাম জানান আগামী তে ছাত্র ছাত্রী দের রেজাল্ট ভালো করতে শিক্ষকদের সর্বচ্চ ভূমিকা পালন করতে হবে, শিক্ষক ও অবিভাবকের সাথে মাসিক সমন্বয় সভার আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি শ্রেনীর শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ১০০% নিশ্চিত করার চেষ্টা করতে হবে।জি পি এ ৫.০০ এর জন্য ভালো শিক্ষার্থীদের বাছাই করে অতিরিক্ত ক্লাস চালু করতে হবে,তাদের পিতা মাতার সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রাখতে হবে।কারন ভালো গাইডলাইন না পেলে ভালো শিক্ষার্থীরাও ঝরে পড়তে হবে।শিক্ষকদের সফলতা তখনই হয় যখন প্রতিষ্ঠানের রেজাল্ট ভালো হয় কাজী আপনারা অনেক দায়িত্ববান শিক্ষক আমি জানি তবে শিক্ষার্থীদের কে আরো মোটিভেশন করে তাদের কে গড়ে তুলতে হবে।

এ বিষয়ে কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ হাফিজুল ইসলাম বলেন আমরা এবারচেষ্টা করবো ১০০% পাশের হার নিশ্চিত করা।এবং জি পি এ ৫ এর হার আরো বৃদ্ধি করা।তবে এখানে আমার সকল সহযোদ্ধা শিক্ষকদের অগ্রনি ভূমিকা পালন করতে হবে।

এ বিষয়ে রেজাউর রহমান স্যার জানান ইতিমধ্যে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সভাপতি কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান ও গভর্নিং বডির সভাপতি মিজানুর রহমান নির্দেশনা দেন টেস্ট পরীক্ষা তে কেউ একের অধিক সাবজেক্টে ফেল করলে তার বোর্ড পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেওয়া হবে না।যদি দিতে হয় তাহলে সেই শিক্ষার্থীর অবিভাবক কে সাথে নিয়ে লিখিত দিতে হবে তবেই তাকে বোর্ড পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করতে দেওয়া হবে। তাই আমরা সকল শিক্ষক ও কমিটেড আগামী তে শিক্ষার্থীদের রেজাল্ট ভালো করতে আমাদের ভূমিকা সবার উর্ধে থাকবে।

এ সময় সকল শিক্ষকদের সাথে পরামর্শ করে আগামী আরো কি কি উদ্যোগ গ্রহন করলে শিক্ষার্থী দের আরো লেখা পড়ার মান ভালো হবে তা পরিকল্পনা করেন এবং তা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ প্রদান করেন।




গাংনীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধার দাফন

মেহেরপুরের গাংনীতে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধার আইজদ্দীন(৮৭) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বুধবার (৮ নভেম্বর) সকাল ১১টার সময় গাংনীর ফতাইপুর কেন্দ্রীয় ঈদগাহ প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অফ অনার শেষে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা বীর মুক্তিযোদ্ধা আইজদ্দীনের মরদেহকে জাতীয় পতাকা দ্বারা আচ্ছাদিত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এর পরপরই সাবেক সংসদ সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

গাংনী থানার পুলিশ পরিদর্শক মনোজিৎ কুমার নন্দী’র নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল বীর মুক্তিযোদ্ধা আইজদ্দীনের মরদেহকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার প্রদান করেন।




মেহেরপুরে তিন বিচারকের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলা জজ আদালত ও চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে সম্প্রতি বদলি হওয়া তিন বিচারককে বিদায় সংবর্ধনা দিয়েছে মেহেরপুর বিচার বিভাগ।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে তিনটার সময় মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা জজ আদালতের সরকারি জজ আরিফা আফরিন আঁখি, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস এম শরিয়ত উল্লাহ এবং সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ তরিকুল ইসলাম কে বদলি জনিত কারণে বিদায় সংবর্ধনা দেয়া হয়।

বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারক মোঃ শহিদুল্লাহ্, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিকসহ বিচারকগণ এবং আদালতের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারককে সংবর্ধনা

মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হিসেবে কর্মস্থলে যোগদানের এক বছর পূর্তিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহীদুল্লাহ কে সংবর্ধনা দিয়েছে মেহেরপুর বিচার বিভাগ ও মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতি।

মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) দুপুর তিনটায় মেহেরপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এই শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ সময় মেহেরপুর বিচার বিভাগের সকল বিচারকগণ সহ বিচার বিভাগের সকল কর্মকর্তা কর্মচারী এবং মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




জনগণ কি আগুন সন্ত্রাস চায়?

বৈশ্বিক মন্দাবস্থা, যুদ্ধাংদেহী আবেশের মোড়কে চলমান আন্তর্জাতিক অস্থিরতা, সদ্য প্রয়াত করোনা মহামারীর প্রবল আঘাতসহ নানান প্রতিকূলতাকে তোয়াক্কা না করে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত এক যুগে বাংলাদেশের উন্নয়নের মহাসোপান যেখানে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে একটি উন্নত স্মার্ট বন্দরে সফল নোঙরের উদ্দেশ্যে, সেখানে এই অদম্য যাত্রাকে বাঁধা দিতে আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে স্বাধীনতাবিরোধী, জঙ্গিগোষ্ঠীর মদদদাতা, এবং সন্ত্রাসীগোষ্ঠী হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিএনপি- জামায়াত রাজনৈতিকি গোষ্ঠী। যেখানে চলমান আওয়ামী লীগ সরকার ‘ডিজিটাল’, ‘স্মার্ট’, ‘ভীশন’, ‘টেকসই উন্নয়ন’, ‘রূপকল্প – ২০৪১’, ‘ডেল্টা প্ল্যান – ২১০০’, ‘মহা প্রকল্প’, ‘উন্নয়নের মহাসড়ক’ ইত্যাদি ইতিবাচক শব্দগুচ্ছকে সোনার বাংলার অভিধানে যুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে, সেখানে আরেকটি দল ইতিবাচক কোন কিছু উদ্ভব করায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় তো দিয়েছেই বরংচো বাংলার মানুষকে পরিচিত করেছে ‘আগুনসন্ত্রাস’ নামক একটি চরম নেতিবাচক শব্দের!

গত এক যুগে তিন দফায় নির্বাচিত আওয়ামীলীগ সরকারের সুদক্ষ পরিকল্পনায় দক্ষিন এশিয়ার অন্যতম অর্থনৈতিক হাব হয়ে ওঠা এই ৫৬ হাজার বর্গমাইলের বদ্বীপটির জনগন আজ সেই সব স্বপ্নগুলোর বাস্তব চাক্ষুষ সাক্ষী হতে পেরেছে যা হয়তো একসময় ছিল কল্পনার অতীত। আজ বাংলাদেশ এর রয়েছে দেশের দীর্ঘতম ও বিশ্বের গভীরতম পিলার বিশিষ্ট পদ্মা সেতু, দক্ষিন এশিয়া তথা দেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক সুড়ঙ্গপথ কর্ণফুলী টানেল, দেশের প্রথম পরমানু ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, মেট্রোরেল, উড়াল সড়ক, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ আরও অনেক মহাপ্রকল্প। যেখানে ২০০৯ এ মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ এর আওতাভুক্ত ছিল সেখানে আজ শতভাগ মানুষ পাচ্ছে বিদ্যুৎ সুবিধা, নতুন রেলপথ নির্মিত হয়েছে ৪৫১ কিলোমিটার, পুনর্বাসিত হয়েছে আরও ১ হাজার ১৮১ কিলোমিটার রেলপথ, নির্মিত হয়েছে ৪০০ এরও বেশী রেলসেতু। এছাড়াও দেশে এক যোগে উদ্ভোদন করা হয় ১০০ এরও বেশী সড়ক সেতুর। এতসব উন্নয়নের যাত্রায় আজ মানুষ সন্ত্রাসী বিরোধী দলের ডাকা কোন হরতাল, অবরোধ, নাশকতা কিংবা অগ্নিসন্ত্রাস চায় না।

দেশের এই দুর্বার এগিয়ে চলার পথে বাঁধা দেয়ার জন্য সেই শুরু হতেই জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি-জামায়াত জোট চালিয়ে যাচ্ছে হরতাল অবরোধের নামে তাদের আগুন সন্ত্রাস। জোটটি জানে বাংলার মানুষ তাদের অরাজকতা আর সহ্য করতে চায় না, তাই তারা বেছে নিয়েছে নৈরাজ্যের পথ। অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে ভয়ানক আগুনকে।

মূলত ২০১৩ হতে সূচিত হয় বিএনপি জামায়াত জোটের এই আগুন নিয়ে খেলা যার বিভীষিকার কথা ভুলে যায় নি বাংলার জনগন। সে সময় যারা কখনও চায় নি বাংলাদেশ নামক একটি ভূখন্ড হোক, সেই ঘাতক, পিশাচ, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে দলটি প্রায় ৪১৯ টি পৃথক ঘটনায় ১৫ জন পুলিশ সদস্য সহ হত্যা করে ৪৯২ জন নিরপরাধ মানুষকে। এ সকল অগ্নিসংযোগ, সংঘর্ষ ও নাশকতামূলক কর্মকান্ডে আহত হয় প্রায় আড়াই হাজারের মত মানুষ। এরপর ২০১৪ সালের নির্বাচন কালীন সময়ে তারা দেখায় তাদের ভয়ংকরতম রূপটিকে।

এসময় তারা আগুন ধরিয়ে দেয় সারাদেশের প্রায় ৫৮২ টি ভোটকেন্দ্রে, শত শত যানবাহনে, রাস্তার পার্শবর্তী বৃক্ষরাজিতে, এমনকি বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসানালয়ে। নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় যেনে তারা পেট্রোল বোমায় পুড়িয়ে মারে বহু নিরপরাধ সাধারন জনগনকে। অগ্নিদ্গধ অসহায় মানুষদের কান্নার আহাজারিতে প্রকম্পিত হতে থাকে সারাদেশের বিভিন্ন হাসপাতালগুলো। নির্বাচনে প্রিসাইডিং অফিসার সহ এই সন্ত্রাসী জোট গোষ্ঠী হত্যা করে ২৬ জন মানুষকে। একবছর পর ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারী যখন আওয়ামী লীগ সে মেয়াদ কালের তাদের প্রথম বর্ষ উদযাপন করছিল, সেদিনও আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠে আগুন সন্ত্রাসেরা। সেসময় ২ হাজার ৯০৩টি বাস-ট্রাক, ১৮টি ট্রেন, ৮ টি যাত্রীবাহী লঞ্চ, ৭ টি ভূমি অফিসসহ ৭০ টি সরকারি অফিসে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে মারে সন্ত্রাসী সংগঠনটি। এসব ঘটনায় নিহত হয় ২৩১ জন মানুষ এবং গুরুতর আহত হয় ১ হাজার ২ শত মানুষ। এরপর থেকেই পুরোপুরিভাবে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বিএনপি-জামায়াত জোট গোষ্ঠী। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি পায় সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে। সর্বশেষ চলতি বছরের ১৫ জুন কানাডার টরেন্টোর আদালতে এক মামলায় বিএনপিকে ৫ম বারের মত সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

এতকিছুর পড়েও আগুন নিয়ে খেলা পুরোপুরি শেষ হয় নি দলটির। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর ঢাকায় উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর ডাকা সমাবেশে ঢাকা শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশে অগ্নি সংযোগ ঘটায়। কিন্তু বাংলাদেশের সচেতন জনগন তাদের এসব নৈরাজ্য ও অরাজকতাকে তুমুলভাবে প্রত্যাখান করে। বাংলাদেশের মানুষ এখন এগিয়ে যাওয়ার পথে, তারা শুধু স্বপ্ন দেখে উন্নত এক ভবিষ্যৎ এর। এই পথে এই দেশের জনগন কখনো মেনে নেয় নি এবং মেনে নেবেও না আগুন সন্ত্রাসকে।

লেখক: অধ্যাপক, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন সাইন্স বিভাগ এবং প্রক্টর, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
বিশ্ববিদ্যালয়।




পর্যটনের নতুন দিগন্তে পদ্মা সেতু

পদ্মা সেতুতে রেল চলাচল শুরু হওয়ায় দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের যোগাযোগের নবদিগন্ত উন্মোচিত হলো এবং বর্ণিল সাজে সজ্জিত হয়েছে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে এলাকা। পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল করছে। পর্যটন সম্ভাবনার বৃহৎ উৎসস্থল হলো পদ্মা সেতু।

স্বপ্নের পদ্মা সেতু বাংলার মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত স্বপ্ন পূরণের অনন্য উদাহরণ। পদ্মা সেতুর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরীয়তপুর জেলার জাজিরাসহ দক্ষিণাঞ্চল ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য জেলার সাথে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এক যোগসূত্র স্থাপন হবে।

এই যোগসূত্র স্থাপনের ফলে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশের অনন্য অবদান রাখবে। পদ্মা সেতু দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। ইতিমধ্যে পদ্মা সেতুর দুই পাড় পর্যটনকেন্দ্রে পরিণত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিন হাজার হাজার পর্যটক পদ্মার দুই পাড়ে নান্দনিক সৌন্দর্য দেখার জন্য ঘুরতে যায়। মাওয়া ও শরীয়তপুর প্রান্তে রেস্টুরেন্ট, রিসোর্ট, হোটেল-মোটেলসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট নানাবিধ প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।

বাংলাদেশে তিনটি ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট রয়েছে তন্মধ্যে ষাট গম্বুজ মসজিদ ও ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন এই দুইটি হেরিটেজ দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত তবে অতীতে ওই অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতার কারণে অনেক পর্যটকদের পছন্দের পর্যটন কেন্দ্র হওয়া স্বত্বেও ভ্রমণে আগ্রহ ছিল কম। পদ্মা সেতুর ফলে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটকদের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন আকর্ষণগুলোতে ভ্রমণে আগ্রহ বাড়বে।

পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সাথে সংযোগ স্থাপন করবে। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশিত স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব। ঢাকার সাথে মংলা বন্দর, বরিশাল, কুয়াকাটা, পায়রা বন্দর, খুলনা, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুরসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অন্যান্য জেলার অর্থনৈতিক খাতে এক নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।

এই পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ৩ কোটি মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। দেশের অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর ভূমিকা নিয়ে এর আগে বিশ্বব্যাংক বলেছিল, সেতু বাস্তবায়িত হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে যাবে। আর প্রতি বছর দারিদ্র্য নিরসন হবে শূন্য দশমিক ৮৪ ভাগ।

দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন আকর্ষণগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা বাজার, ঐতিহাসিক দুর্গা সাগর, কবি কৃষ্ণচন্দ্র ইন্সটিটিউট, খান জাহান আলী সেতু, খুলনা বিভাগীয় জাদুঘর, জাতিসংঘ পার্ক, দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্স, বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের মাজার, রূপসা নদী, শহীদ হাদিস পার্ক, খানজাহান আলী কর্তৃক খননকৃত বড়দীঘি, খুলনা শিপইয়ার্ড, গল্লামারী স্মৃতিসৌধ ও বধ্যভূমি, জাহানাবাদ বনবিলাস চিড়িয়াখানা ও শিশুপার্ক, পিঠাভোগ, প্রেম কানন বকুলতলা, মংলা পোর্ট, রাড়ুলী, রেলস্টেশনের কাছে মিস্টার চার্লির কুঠিবাড়ি, সোনাডাঙ্গা সোলার পার্ক ও অন্যান্য পর্যটন আকর্ষণগুলোর চাহিদা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।

পর্যটকেরা কুয়াকাটা সমুদ্রের নান্দনিক সৌন্দর্য উপভোগের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং খুব কম সময়ে সুন্দরবনের অন্যতম আকর্ষণীয় স্পট-কচিখালী, কটকা সৈকত, জামতলা সী-বিচ, সুন্দরবন সংলগ্ন সাগরে জেগে ওঠা দ্বীপ পক্ষীর চর, ডিমের চর ঘুরে দেখার অপার সুযোগ সম্প্রসারিত হবে। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত, সুন্দরবন, পায়রা বন্দরকে ঘিরে পর্যটন সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলবে পদ্মা সেতু এবং মাত্র ৬ ঘণ্টায় উপরের উল্লেখিত পর্যটন আকর্ষণগুলোতে পর্যটকেরা যেতে পারবে।

অন্যদিকে কুয়াকাটার গা ঘেঁষে অবস্থিত ফাতরার চর, লাল কাকড়ার চর, শুঁটকি পল্লী, লালদিয়ার চর, চর বিজয়, ফকিরহাট, সোনার চর, ক্র্যাব আইল্যান্ড বা কম কী? একটি স্পট থেকে আরেকটি স্পট নান্দনিক এছাড়াও রয়েছে ভিন্ন রকম জীব-বৈচিত্র্যর সমারোহ। দারুণ সময় কাটাতে চাইলে এসব পর্যটন স্পটের জুড়ি পাওয়া কঠিন। রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা স্বল্প সময়ে পণ্য পরিবহন করে মংলা বন্দরের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি গতিশীল হবে এবং রপ্তানি আয় বৃদ্ধি হবে। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত (যেখানে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত অবলোকন করা যায়), ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন সংলগ্ন ছোট ছোট দ্বীপগুলোকে মালদ্বীপের ন্যায় পর্যটন আকর্ষণ তৈরি করা সম্ভব এবং সুন্দরবন ঘিরে ওয়াইল্ড লাইফ ট্যুরিজম উন্নয়নের অনন্য সুযোগ রয়েছে।

প্রতিবছর পর্যটকবাহী ৪৫টি ক্রুজ ভারতে কুচবিহার-চেন্নাই-গোয়া হয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারে চলে যায়। তবে এই ক্রুজগুলো যদি পায়রা বন্দরে আকৃষ্ট করা যায় তবে আন্তর্জাতিক পর্যটক উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। পদ্মা সেতু গতিশীল করবে মংলা ও পায়রা বন্দরকে যা সুনীল অর্থনীতিতে অনন্য অবদান রাখবে। বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলীয় অঞ্চল যেমন কুয়াকাটা, মংলা বন্দর ও পায়রা বন্দর কেন্দ্র করে সমুদ্র পর্যটনের সম্ভাবনার নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। নদীভিত্তিক ও সমুদ্রভিত্তিক পর্যটনে সময়োপযোগী সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য মাত্রা বাস্তবায়নের পাশাপাশি তৈরি করবে কর্মসংস্থান সুযোগ, শক্তিশালী হবে জাতীয় অর্থনীতি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যটক আকর্ষণের জন্য পদ্মা সেতুর ও দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন আকর্ষণগুলো ছোট ছোট প্রমো তৈরি করে ডিজিটাল ব্র্যান্ডিং করা প্রয়োজন।

লেখক: চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।