আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র সেজো ভাই শহিদুল আলম মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
গতকাল সোমবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদফতরে সুনামের সাথে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ কন্যা ও ১ পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
শহিদুল আলমের মৃত্যুতে কুষ্টিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর দুঃখ ও সমবেদনা জানিয়েছেন। কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ. কা. ম. সারোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু সাইদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আ. স. ম আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক,শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, বিএমএ কুষ্টিয়ার সাধারষ সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন লাবলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার গৌরব চাকী, জেলা বাস মালিক চালক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান, জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুুর রহমান অনিক, সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ প্রমুখ।
শহিদুল আলমের মৃতু্তে মেহেরপুর থেকে বিভিন্ন জন শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক , জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, অনলাইন ইনচার্জ খান মাহমুদ আল রাফি।
শোক বার্তায় বিশিষ্টজনেরা প্রয়াত শহিদুল আলমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের বাবা আফছার আলী ও রত্নগর্ভা মা রহিমা বেগম পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ের জনক-জননী। পাঁচ ভাই হলেন : রবিউল আলম, রশিদুল আলম, শহিদুল আলম, রফিকুল আলম এবং সবার ছোট মাহবুবউল আলম হানিফ।
মাহবুবউল আলম হানিফের মেজো ভাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য রশিদুল আলম। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।
মাহবুবউল আলম হানিফ ২০১০ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৮তম কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৯, ২০ ও ২১তম কাউন্সিলেও তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃ দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলের মাধ্যমে পুনরায় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।