আলমডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কা, প্রাণ গেল চালকের

বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বিকেল পাঁচটার দিকে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের ডম্বলপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মোটরসাইকেলচালকের নাম শহিদুল ইসলাম (৪৫)। তিনি উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের হাড়কান্দি গ্রামের মৃত দাউদ আলী বিশ্বাসের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কীটনাশক কোম্পানির সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার পদে দায়িত্বরত ছিলেন। তারা চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সবার ছোট।

আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য সুজন আলী বলেন, নিহত শহিদুল ইসলাম রাজবাড়ি জেলার পাংশা থানাধীন অটো ক্রপ কেয়ার লিমিটেড কোম্পানিতে তিনি সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার পদে দায়িত্বে ছিলেন। রবিবার কুষ্টিয়ায় মিটিং শেষে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ডম্বলপুর নামক এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে সে গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে। তার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহণের প্রস্তুতি চলছে।




১০০ জনকে নিয়োগ দেবে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মিনিস্টার হাই-টেক পার্ক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে শোরুম ম্যানেজার অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

শোরুম ম্যানেজার।

পদসংখ্যা

সর্বমোট ১০০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে ডিপ্লোমা (ইইই)/ স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

বেতন

৩৫,০০০-৪০,০০০ টাকা

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৮ ফেব্রুয়ারি,২০২৪।

সূত্র : বিডিজবস




অ্যান্ড্রয়েড ১৫ সংস্করণ

অ্যান্ড্রয়েড ১৫-এর ডেভেলপার প্রিভিউ উন্মুক্ত করা হয়েছে। নতুন অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে নতুন সংযোজন-বিয়োজন ও উন্নতির বিষয়টিও স্পষ্ট হয়েছে এই প্রিভিউতে। জনপ্রিয় অনেক মোবাইল অপারেটর সিস্টেমেও এই প্রিভিউ পরীক্ষা-নিরীক্ষার আওতায় চলে গেছে। অর্থাৎ নতুন অ্যান্ড্রয়েডের দেখা মিলবে শীঘ্রই। কিন্তু কি আছে নতুন সংস্করণে? জানার আগ্রহ থাকে অনেকেরই। সে কৌতূহল পূরণ করা যাক।

পারফর্ম্যান্স অপ্টিমাইজেশন
নতুন সংস্করণ আরও স্মুথ হবে বলে জানা গেছে। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ডায়নামিক পারফর্ম্যান্স ফ্রেমওয়ার্কের ওপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা। ফলে সিপিইউ/জিপিইউ ওয়ার্কলোড আরও উন্নত হবে। শুধু তাই নয়, থার্মাল এফিসিয়েন্সিতেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে অনেক। ডেভেলপাররা এখন মোবাইল ডিভাইসের পারফর্ম্যান্সের দিকে মনোযোগ দিতে পারবেন। কোর ফ্রিকোয়েন্সির দিকে তাদের এত ভাবতে হচ্ছে না আর।

ক্যামেরা টুল আরও উন্নত
কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ক্যামেরাই সব। অ্যান্ড্রয়েড ১৫ ক্যামেরা পার্ফর্ম্যান্সের দিকেই মনোযোগী হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। ইন-অ্যাপ ক্যামেরা কন্ট্রোলের সঙ্গে পাওয়ারের সমন্বয় করা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিশেষত ভার্চুয়াল মিডি ২.অ ডিভাইস সাপোর্ট ক্যামেরার বড় উন্নতি।

প্রাইভেসি স্যান্ডবক্সের আপডেট
অ্যান্ড্রয়েড ১৫ সংস্করণে প্রাইভ্যাসি স্যান্ডবক্সে কিছুটা উন্নতি এসেছে। মূলত বিজ্ঞাপনের উদ্দেশ্যে ডাটা সংগ্রহ নিয়ন্ত্রণের দিকেও খানিকটা জোর দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য-সচেতনদের নতুন বার্তা
নতুন সংস্করণে হেলথ কানেক্টে আরও বড় উন্নতি এসেছে। স্বাস্থ্য ও ফিটনেস ডাটা অ্যাপগুলোর ক্ষেত্রে আপডেট এসেছে। এভাবে স্বাস্থ্য-সচেতনরা আরও নিখুঁত ডাটা পাবেন।

ক্রিপ্টোগ্রাফিক নিরাপত্তা
নতুন অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণে ফাইল ইন্টিগ্রিটি ম্যানেজারে নতুন এপিআই যুক্ত হয়েছে। ফলে অ্যাপ ফাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছে।

ডেভেলপার্স প্রিভিউতে সবই নিখুঁত পাওয়া যাবে না। তবে এটা একটা ইম্প্রেশন। নতুন আপডেট থেকে অ্যান্ড্রয়েডের নতুন অভিজ্ঞতার খবর অনেকেরই মনোযোগ আকর্ষণ করতে পেরেছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস




ঝিনাইদহের কন্যাদহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কন্যাদহ মনির উদ্দিন বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক পদে অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও বিদ্যালয়ের সভাপতি বছির উদ্দিন মাস্টার।

জানা গেছে, গত বছরের ১৫ই জুন বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় ৫টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এরমধ্যে ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষক, ১ জন অফিস সহায়ক, ১ জন আয়া, ১ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১ জন নৈশপ্রহরী রয়েছে।

এ আবেদনে ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিপরীতে ৩০ প্রার্থী আবেদন করে পরীক্ষায় অংশ নেন ২১ প্রার্থী । মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগসহ সব নিয়োগ-পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু এ নীতিমালা না মেনে ৩০শে নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হয় পার্শবর্তী মকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। পরদিন ১ লা ডিসেম্বর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের শ্যালক আমিরুল ইসলামকে সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যালয়টি। একই সময় বিদ্যালটির সভাপতি বছির উদ্দিন মাস্টার তহমিনা খাতুনকে আয়া পদে নিয়োগ দেন। জানা গেছে, তহমিনা খাতুন বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাস্টারের আত্মীয়।

প্রাপ্ত নথি থেকে জানা যায়, চল্লিশোর্ধ্ব তাছলিমা খাতুনকেও ৩৫ বছর বয়স দেখিয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নিয়োগ দিয়েছেন বছির উদ্দিন। তার কাছ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য পদে সবমিলিয়ে নিয়েছেন ৪৫ লাখ টাকা। এমন অনিয়মের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় ও চাকুরী প্রত্যাশীরা।

এ ঘটনায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাছলিমা খাতুন বয়স সংশোধনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

এছাড়াও বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে টাকা রেখেছে সভাপতি বছির উদ্দিনের ছেলে সঞ্জু অগ্রণী ব্যাংক কন্যাদহ শাখায়। ১৫ই জুন থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক লাখ টাকা রেখেছেন। যা বিগত কয়েক বছরের লেনদেনের চেয়ে অস্বাভাবিক।

স্থানীয় বাসিন্দা ও কয়েকজন প্রার্থী জানান, বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাস্টারের ছেলে সঞ্জুই সব প্রার্থীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন। এমনকি নিয়োগ বাণিজ্যের মোটা অঙ্কের টাকাও তার হিসাবে রাখা হয়েছে। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা করেছেন বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাস্টার ও প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম।

অভিযোগের ব্যাপারে বিদ্যালয়টির সভাপতি বছির উদ্দিন মাস্টারের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম জানান, ম্যানেজিং কমিটির কাজে আমার হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ হয়েছে। আর আমি এসব ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না।

এবিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহম্মদ আব্দুল মালেক বলেন, প্রথমিক তদন্তকরে অনিয়মের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে। কিন্তু এ বিষয়ে আদালতে মামলা থাকায় আমার কিছুই বলার নেই।




প্রথমবার এক মঞ্চে গুরু-ভক্ত!

নগরবাউল জেমস এবং তার গানকে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুবই কম রয়েছে। শুধু দেশে নয়, বিদেশের মাটিতেও তিনি সাধারণ শ্রোতা থেকে শুরু করে তারকাদের অনুরাগী বানিয়েছেন কণ্ঠের জাদুতে। সেই তালিকায় রয়েছে ওপার বাংলার জনপ্রিয় রকব্যান্ড ফসিলসের ভোকালিস্ট রুপম ইসলাম।

জেমসকে যিনি নিজের সংগীত জীবনের শুরু থেকে গুরু মেনে আসছেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে জেমসের সঙ্গে এক মঞ্চে গান গাওয়ার স্বপ্ন দেখেছেন প্রতিনিয়ত। অবশেষে কলকাতার মঞ্চে আগামী ৩ মার্চ তার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। এদিন প্রথমবারের মতো জেমসের নগরবাউলের সঙ্গে এক মঞ্চে পারফর্ম করবেন রুপমের ফসিলস।

ফোরাম ফর দুর্গোত্সবের আয়োজনে কনসার্টে প্রধান আকর্ষণ রাখা হয়েছে নগরবাউল জেমসকে। কলকাতার নেতাজী ইনডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এই কনসার্টটি। ‘দুই বাংলার মেলবন্ধন’-স্লোগানে কনসার্টের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে ‘লিজেন্ডস কাম টুগেদার’।

জেমসের সঙ্গে নিজেদের প্রথম কনসার্ট নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত রুপম ইসলাম। তিনি বলেন, ‘কনসার্টটি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকেই আমরা বেশ উচ্ছ্বসিত। প্রথমবার আমরা দুই বাংলার রকস্টার নগরবাউল জেমসের সঙ্গে এক মঞ্চে গান করবো। এটি আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। ছোটবেলা থেকে যার গান শুনে আমরা বড় হয়েছি, ব্যান্ড করার সাহস পেয়েছি। এবার তার সঙ্গে এক মঞ্চে। এটি আমাদের জন্য গর্বের ও আমার জন্য অত্যন্ত আনন্দের। এক কথায় আমার স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। আশা করছি কলকাতাবাসীর জন্য দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মিশরের পিরামিড ও রহস্য

আমার ২০১০ সালে মিশরের পিরামিড দেখার সুযোগ হয়েছিল। আমি সে সময় জাপানি একটি কোম্পানি কে লাইনের একটি জাহাজে যোগদানের জন্য মিশরে গিয়েছিলাম। আমার জয়নিং স্থান ছিল পোর্ট সাঈদ যা কায়রো ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে প্রায় ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

আমার সে সময় জাহাজে যোগদানের পূর্বে রাজধানী কায়রোতে গিজার পিরামিড দেখার সুযোগ হয়েছিল। কায়রো এয়ারপোর্ট থেকে পিরামিড দেখার জন্য গিজাতে যাই। গিজাতে দেখলাম প্রচুর বিদেশি দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। তারপরও অল্প সময়ের মধ্যে যতটুকু সম্ভব ঘুরে দেখার চেষ্টা করলাম। পিরামিড দেখা হয়ে গেলে আবার পোর্ট সাঈদের উদ্দেশ্যে রওনা হই এবং সেখানে যেয়ে জাহাজে যোগদান করি। আমি সেই সময় জাহাজে সেকেন্ড অফিসার হিসাবে কর্মরত ছিলাম।

পৃথিবীর সবচেয়ে রহস্যময় স্থানগুলোর একটি হলো গিজার পিরামিড। এর নির্মাণ কৌশল নিয়ে আজও নানা রকম প্রশ্ন রয়েছে ইতিহাসবিদ, প্রত্নতত্ত্ববিদ, এবং বিজ্ঞানীদের মনে। বিভিন্ন রকম গবেষণাতেও এসব রহস্যের সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি। খ্রিস্টপূর্ব প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে গিজায় পিরামিড তৈরি হয়েছিল। সে সময় মিশরের মানুষের বিশ্বাস ছিল মৃত্যুর পরের জীবনই হল অনন্ত জীবন। তাই মৃত্যুর পর দেহ অক্ষত অবস্থায় সংরক্ষণ করার জন্য এবং পরলোকে অনন্ত শান্তির জীবন পেতে মিশরের সম্রাটদের জন্য চুনাপাথর খন্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল পিরামিড।

মিশরের সবচেয়ে বড়, পুরনো এবং আকর্ষণীয় পিরামিড হচ্ছে গিজার পিরামিড। গিজার মহাপিরামিড বা খুফুর পিরামিডকে ইংরেজিতে গ্রেট পিরামিড অফ গিজা বলা হয়। গিজার গোরস্থানে তিনটি পিরামিড রয়েছে। এর মধ্যে খুফুর পিরামিড টি সবচাইতে পুরাতন এবং বড়। এটির অবস্থান মিশরের এল গিজা নামক স্থানে। এটি তৈরি হয়েছিল খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫০০০ বছর পূর্বে। এর উচ্চতা ৪৬০ ফুট। জানা যায় এটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল প্রায় ২০ বছর এবং শ্রমিক কাজ করেছিল আনুমানিক এক লক্ষ। পিরামিড টি তৈরি করা হয়েছিল বিশাল বিশাল পাথর খন্ড দিয়ে।
পিরামিড তৈরিতে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল পাঁচ হাজার বছর পূর্বে যা কল্পনা করা আশ্চর্য ব্যাপার। অনেক বিজ্ঞানী এটাকে মানুষের তৈরি বলে মনে করেন না। তারা বলেন পিরামিড ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনের তৈরি। অনেকে আবার মনে করেন বর্তমান যুগের থেকেও তৎকালীন মিশরীয়রা প্রযুক্তিতে এগিয়েছিল।

জানা যায় মিশরীয়রা পাথরের তৈরি হাতুড়ি এবং তামার সাহায্যে পিরামিড তৈরি করেছিল। বড় বড় পাথর দিয়ে মিশরীয়রা তৈরি করেছিল পিরামিড। এই পাথরখণ্ডের বেশকিছুর ওজন ৬০ থেকে ৭০ টনের মত। ধারণা করা হয় নীল নদের পানিতে ভাসিয়ে আনা হতো এই বিশাল আকৃতির পাথরগুলো।

যে পাথর দিয়ে পিরামিড তৈরি করা হয়েছে সেটি কোন সাধারণ পাথর নয়। পিরামিড নির্মাণে ব্যবহৃত পাথরগুলো যেকোনো চুনা পাথরের চেয়ে শতগুণ শক্তিশালী। পৃথিবীতে এই ধরনের অনেক পাথর আবিষ্কৃত হয়েছে কিন্তু পিরামিডে ব্যবহৃত পাথর পৃথিবীর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই পিরামিডে ব্যবহৃত পাথর নিয়েও রয়েছে রহস্য।

রাতে পিরামিডের দিকে তাকালে দেখা যায় গিজার তিনটি পিরামিডের অবস্থান আকাশের তিনটি তারার সাথে মিলে যায়। তারা তিনটিকে একত্রে বেল্ট অফ ওরিয়ন বলা হয়। ভূমি থেকে দেখা হলে তিনটি পিরামিড এর উপরে একটি নিখুঁত সরলরেখায় তারা তিনটিকে দেখা যায়। তারার সাথে অবস্থানের মিল রেখে এমন নিখুঁত আকার কিভাবে তৈরি করা হয়েছে সেটি এখনো অজানাই রয়ে গেছে।
গিজার পিরামিড একেবারে পৃথিবীর মাঝখানে অবস্থান করছে। পিরামিডের নিখুঁত নির্মাণ দেখে অনেক বিজ্ঞানীদের মতে লেজার টেকনোলজি ছাড়া এটি নির্মাণ করা অসম্ভব।

পিরামিড মরুভূমিতে অবস্থিত। বাইরে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড থেকে ৫০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড এর মধ্যে থাকে। কিন্তু পিরামিডের ভেতরে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এর মতো থাকে। হাজার বছর ধরে এই তাপমাত্রা ধরে রেখেছে পিরামিডগুলি। দেখা গেছে পিরামিডের ভিতরে এক ধরনের প্রাকৃতিক বায়ুর ব্যবস্থা রয়েছে।

মিশরে নির্মিত পিরামিডের আরেকটি রহস্য হচ্ছে এর ভিতর নির্মিত টানেল বা সুড়ঙ্গ পথ। এসব পিরামিডের মধ্যে রয়েছে অসংখ্য সুড়ঙ্গ পথ। কেন এই সুড়ঙ্গ পথগুলো তৈরি করা হয়েছিল তার সঠিক উত্তর এখনো কেউ দিতে পারেনি।
গিজার পিরামিডের সামনে রয়েছে বিখ্যাত স্ফীংস মূর্তি।এটির মাথা মানুষের মত আর বাকি অংশ সিংহের মতো। এটি মিশরের সবচেয়ে প্রাচীন ভাস্কর্য বলে জানা যায়। এটি ২০ মিটার উঁচু এবং ৭৩. ৫ মিটার দীর্ঘ। এটি বৃহদাকার পাথর কেটে তৈরি করা হয়েছে।আরবিতে একে বলে আবুল হুল যার ইংরাজি অর্থ ফাদার অফ টেরর।

বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো সভ্যতার একটি গড়ে উঠেছিল মিশরে। প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার অধিবাসীরা সর্বপ্রথম পিরামিড তৈরি করেছিল। মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্যতম রহস্যময় নিদর্শন হল এই মিশরের পিরামিড। প্রাচীনকালে পৃথিবীর সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে পিরামিডই সবচেয়ে পুরনো এবং অনেকাংশে অক্ষত।

স্পেস স্টেশনে বসে দ্য গ্রেট পিরামিড অফ গিজার ছবি তুলে পাঠিয়েছিলেন জাপানের নভোচর সোইচি নোগুচি ২০২১ সালে। পিরামিডের পাশাপাশি গিজা মরুভূমি এবং লাগোয়া শহরের ছবিও স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে ওই ছবিতে। অনেকেই বলেছেন এ যেন থ্রিডি ইমেজ। পিরামিডের তিনকোনা মাথাগুলো বেশ স্পষ্টভাবেই বোঝা গিয়েছে ওই ছবিতে।

মিশরের গিজার পিরামিড দেখতে ভিড় জমান দেশ-বিদেশের পর্যটকেরা। গিজার এই পিরামিড প্রাচীন মিশরের আইকনিক ধ্বংসাবশেষ। গ্রানাইট এবং চুনাপাথরের প্রায় ২.৩ মিলিয়ন ব্লক যার গড় ওজন দুই টন। হাজার হাজার বছর ধরে এগুলো এভাবেই রয়ে গেছে। পিরামিড নিয়ে হয়েছে অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষা এবং গবেষণা তবুও রহস্য ভেদ হয়নি।

২০১০ সালের পরও অনেকবার জাহাজ নিয়ে মিশরে গিয়েছি এবং সুয়েজ ক্যানেল ট্রানজিট করেছি। তবে মিশরের পিরামিড দ্বিতীয়বার আর দেখার সুযোগ হয়নি।

লেখক: মাস্টার মেরিনার ও এক্স ক্যাডেট,বাংলাদেশ মেরিন একাডেমী চট্টগ্রাম।




মাথায় বলের আঘাতে হাসপাতালে মোস্তাফিজ

নেটে অনুশীলনের সময় মাথায় বলের আঘাত পেয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। রক্তাক্ত অবস্থায় চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে এই পেসারকে।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। মোস্তাফিজ নেটে বল করার সময় ঘটে এমন অনাকাক্ষিত ঘটনা। বিদেশি সতীর্থ ম্যাথু ফোর্ড যখন ব্যাট করছিলেন, তখন বোলিং সাইডে ছিলেন মোস্তাফিজ। হঠাৎই বল উড়ে এই পেসারের মাথায় আঘাত করে।

সঙ্গে সঙ্গেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মোস্তাফিজ। বলের আঘাতে মাথা ফেটে যায় তার। রক্তাক্ত অবস্থায় স্ট্রেচারে অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় তাকে। চোট কতটা গুরুতর বা ঝুঁকিপূর্ণ তা বোঝা যাবে পরীক্ষানিরীক্ষার পর।

কুমিল্লার মিডিয়া ম্যানেজার খান নয়ন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘দেখছেন তো মাথায় লেগেছে। এরপর বসে ছিল মাঠে, যদিও রক্ত বের হয়েছে বেশ খানিকটা। তবে সে স্বাভাবিকভাবে কথা বলেছে। তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। তার সঙ্গে দলের দায়িত্বে থাকা সকলেই গেছে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




সরকার স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে- জনপ্রশাসন মন্ত্রী

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রত্যান্ত এলাকায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাতে ওয়ার্ড পর্যায়ে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক করেছে, ইউনিয়ন পর্যায়েও একজন করে ডাঃ মানুষের সেবা দিচ্ছে।

গতকাল  শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও রাবেজান মঞ্জিলের উদ্যোগে মেহেরপুরে চক্ষু,ডায়াবেটিস, নাক-কান-গলা, চর্ম ও যৌন রোগীদের জন্য স্বাস্থ্য ক্যাম্প উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন।

মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর শালিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই চক্ষু,ডায়াবেটিস, নাক,-কান-গলা,চর্ম ও যৌন স্বাস্থ্য ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়।

সিএমএইচের সাবেক অধ্যাপক লে: ক:(অব) প্রফেসর ডা. আব্দুল ওয়াহাবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্য ক্যাম্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দীন আহমেদ, আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজের নির্বাহী পরিচালক ডা. মহিউদ্দিন, চেয়ারম্যান ডা.আব্দস সবুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি আরও বলেন, বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারি সুবিধা নিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর আ মজিদ, আদ্-দ্বীন সকিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী ব্যবস্থাপক রবিউল হক, মাহাজ উদ্দীন, ছবিদা খাতুন প্রমূখ।

পরে জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ফিতা কেটে চক্ষু, ডায়াবেটিস, নাক,-কান-গলা, চর্ম ও যৌন স্বাস্থ্য ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জজকোর্টের পালিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান লতিফুন্নেসা লতা, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, মহাজনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, শ্যামপুর শালিকা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।

ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলাসহ পার্শ্ববতী প্রায় ৮ হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ দেওয়া হয়।




আলমডাঙ্গা কুমারী সরকারি রাস্তার গাছ ভেঙ্গে দেবার অভিযোগ

আলমডাঙ্গার কুমারী গাংপাড়ায় রাস্তার এজিংয়ে মাটি ভরাটের নামে গাছ ভেঙে দেবার অভিযোগ উঠেছে।  আজ শনিবার আশাদুল হক নামের একজন ব্যাক্তি অভিযোগ তুলেছেন।

জানাগেছে, উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের গাংপাড়া এলাকায় এলজিইডির অধিনে পাঁকা রাস্তার দু’পাশে মাটি ভরাটে কাজ চলছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ মাটি ভরাটের কাজ শুরু হয়। কাজের দায়িত্বপালন করেন কুমারি গ্রামের এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে, সরকারি রাস্তার পাশে অবশিষ্ট মালিকানা জমি থেকে স্কোভেটর দিয়ে মাটি কেটে নেয়। সড়কের পাশে বড় বড় গর্ত হলেও গাংপাড়া এলাকার আশাদুলের বাড়ির সামনে প্রায় ১১ টি ভেটুল গাছ ভেঙে দেয় স্কোভেটর চালক।

আশাদুল অভিযোগ করে বলেন, আমার বাড়ির সামনে মরা গাং। গাংয়ের পাশে সরকারি জমি দখল করে আলম হোসেন নামের এক ব্যক্তি পুকুর খনন করেছে। তার পুকুর খননের আগেই ওই জমিতে গাছ লাগিয়ে ছিলাম। স্কোভেটর চালককে টাকা দিয়ে জোরপূর্বক ভাবে ১১ টি ভেটুল গাছ ভেঙে দিয়েছে।

এবিষয়ে আলম হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে সম্ভব হয়নি।

আলমডাঙ্গা কুমারী ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, সরকার জমির গাছ ভেঙে থাকাটা অপরাধ। আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে গাছ গুলো হেফাজতে নেওয়া হবে।




দামুড়হুদায় বসন্তের আগমনে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল

দামুড়হুদা উপজেলায় বসন্তের সাথে সাথে আম গাছগুলোতে দেখা মিলছে প্রচুর আমের মুকুল ৷ মুকুলের মৌ- মৌ গন্ধে মুখরিত দামুড়হুদা উপজেলার গ্রাম – গঞ্জ। মুকুল থেকে চলছে মৌমাছির মধু সংগ্রহের উৎসব ৷

উপজেলার সদর সহ সকল গ্রামের আম গাছগুলতে মুকুলে ভরপুর। উপজেলার আম গাছে উঁকি দিচ্ছে আমের মুকুল। বাতাসে মুকুলের মৌ মৌ সুবাস বইছে। গাছে গাছে এখন আমের মুকুল শোভা পাচ্ছে। মুকুল গুলো যেনো নষ্ট না হয় সেজন্য ইতোমধ্যে বাগান মালিকরা বাগান পরিচর্যার ব্যস্ত সময় পার করছেন।শোনা যাচ্ছে কোকিলের মিষ্টি সুরের কুহু কুহু ডাক আর মৌমাছির গুণ গুণ গানের গুঞ্জন। মুকুলের মিষ্টি ঘ্রাণ যেন জাদুর মতো কাছে টানছে তাদের। গাছের প্রতিটি শাখা-প্রশাখায় চলছে ভ্রমরের সুর ব্যঞ্জনা। বসন্তের স্নিগ্ধতার মাঝেও শোভা ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি মুকুল।উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বাগান সহ কিছু কিছু বাড়ির উঠানে আম গাছে শোভা পাচ্ছে মুকুল। বাতাসে মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ।

গাছের আমপাতার সবুজ বিছানায় মুকুলের সোনালি রেণু যেন ফুলশয্যা সাজিয়েছে ফাগুনকে। সেই সঙ্গে বিদায় নিচ্ছে শীতকাল। তবে আবহাওয়ার ওপর আমের ফলন নির্ভর করে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের ফলন ভালো হবে বলে মনে করছেন আম চাষিরা। বাগান মালিকরা জানান, আগাম মুকুল দেখার পর তারা অনেক খুশি। এই মুকুল টিকে থাকলে এবার আমের বাম্পার ফলন পাওয়া যাবে। তবে ঘন কুয়াশা থাকলে মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

দামুড়হুদার জয়রামপুর মল্লিক পাড়ার আম ব্যবসায়ী কাওছার আলী বলেন , গতবছর ১২ বিঘা জমিতে আম বাগান ছিলো যা ঝড়ের কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়, তাতে করে আমি গত বছর মোটা অংকে লচে ছিলাম। এ বছর লাভের আশায় গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে ৬ দাগে ১৭ বিঘাা জমির আম বাগান নিয়েছি। বর্তমানে আম গাছে যাতে কোনো পোকার আক্রমণ বা মুকুল নষ্ট না হয় সেজন্য ঔষধ দিয়ে পরিচর্যা করছি। মুকুলের পরিমাণ মোটামুটি ভালো আছে ৷ আবহাওয়া শেষ পর্যন্ত ভালো থাকলে এ বছরে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে লাভবান হতে পারবো।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন আক্তার জানান, আমরা সবসময় আম চাষীদের সকল ধরণের পরামর্শ দিয়ে সহযোগীতা করছি ৷ প্রয়োজনে আমরা সবসময় তাদের পাশে আছি। এবছরে উপজেলাতে ৭৯৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে।