চুয়াডাঙ্গায় শিশু হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও দুজনের কারাদন্ড

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের শিশু আবু হুরাইরাকে (১১) হত্যার দায়ে একই গ্রামের আসামি মোহাম্মদ মোমিনকে মৃত্যুদন্ড ও অপর দু আসামি পারভেজ আহমেদ ও আশরাফুজ্জামান রিজনকে ১৪ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মোঃ মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন। দন্ডিতদের মধ্যে পারভেজ আহমেদ পলাতক আছেন।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন জানান, ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়ে নিঁখোজ হয় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আবু হুরাইরা। খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি আব্দুল বারেক বাদি হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক রঞ্জু হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিছুদিন পর গোপন অনুসন্ধানে তথ্য পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ একই গ্রামের মোহাম্মদ মোমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে তালতলা কবরস্থানের একটি পুরাতন কবরের ভেতর থেকে শিশু আবু হুরাইরায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ মামলায় তদন্তশেষে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট তালতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ মোমিন (২৩), একই গ্রামের জামাত আলীর ছেলে আশরাফুজ্জামান রিজন (৩০) ও মোতালেব হোসেনের ছেলে পারভেজ আহমেদকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান।

মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমানে আসামি মোহাম্মদ মোমিন, আশরাফুজ্জামান রিজন ও পারভেজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোমিনকে মৃত্যুদন্ড ও আসামি আশরাফুজ্জামান ও পারভেজ আহমেদকে ১৪ বছর করে যাবজ্জীবন করাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আসামি পারভেজ আহমেদ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।




গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের অবদান

বাংলাদেশ আমাদের কাছে মাতৃস্বরূপ। বরাবরই এদেশের স্তন্যদায়ী গ্রামীণ প্রকৃতির আলো-বাতাস-জল এসবের লালিত্যে বাঙালির দৈহিক ও মানসিক পুষ্টি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলা আমাদের জীবনে নিউক্লিয়াসের সমতুল্য। বাংলাদেশের গ্রামীণ প্রকৃতি ও পরিবেশ একদিকে যেমন অপরূপ সৌন্দর্যের উৎস, তেমনি বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি ও প্রয়োজনীয়তা পূরণের অন্যতম সরবরাহকারী ক্ষেত্র। আজ শহরায়নের ফলে মানুষ অনেকবেশি শহরমুখী। জীবন ও জীবিকার তাগিদে সকলে শহরপানে ছুটে চলেছে। তাই শহরের ওপর চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল।

কিন্তু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ টেকসই গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোয়ার বইছে। বাংলাদেশে মূলত গ্রামীণ অর্থনীতির সম্প্রসারণের ফলেই দেশে আজ উন্নতির সুবাতাস বইছে। বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন; গ্রামে জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় আধুনিক উপকরণের সহজলভ্যতা; শিক্ষা, চিকিৎসা ও বৈদ্যুতিক খাতে অভাবনীয় উন্নতি সাধন; পাশাপাশি উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি গ্রামে সরবরাহের মাধ্যমে বিশ্বের সাথে গ্রাম বাংলার জনজীবনের সংযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস পরিশ্রমের ফলে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে আজ উন্নতির নৌকা নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে অবিরাম ছুটে চলেছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো মেগাপ্রকল্প শেখ হাসিনা সরকারের হাত ধরে জাতির পিতার সোনার বাংলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে, শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বের সুনাম বর্তমানে জাতীয় পর্যায়কে জয় করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ বা তৃণমূলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় পর্যাপ্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামের কাঁচা-মেঠোপথ পাকাকরণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।

বর্তমানে বাংলাদেশে শহর কিংবা গ্রাম উভয় পরিবেশে জীবনযাত্রার মান প্রায় সমান। শেখ হাসিনার সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলার গ্রামও আজ শহরের মতো আধুনিকতার স্পর্শতায় পরিপূর্ণ। শেখ হাসিনা সরকার বরাবরই গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান করেছে। দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রায় ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ সংযোজনটি গ্রাম অঞ্চলের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিকে ব্যাপক শক্তিশালী ভিত দান করেছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের উন্নত জীবনযাপন ও দেশের শক্তিশালী জাতীয় অর্থনীতি বিনির্মাণের একমাত্র দাবিদার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার নিঃসন্দেহে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথকে রুদ্ধ করে দিতে চেয়েছিলো প্রেতাত্মারা। কিন্তু শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে আজ সেই কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ প্রদান করেছে। বৈশ্বিক ও জাতীয় সকল চক্রান্তকে ব্যর্থ করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব। ফলে বর্তমানে দেশে উন্নয়নের সুফল সকলে পাচ্ছে এবং আয়ের বৈষম্য কমে মানুষের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে।

সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে শেখ হাসিনার সরকার গ্রাম অঞ্চলে উন্নত রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্মত শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সরবরাহ, গ্রামে গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রাম অঞ্চলে আধুনিক জীবনযাপনের সকল উপকরণ নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র ও যান্ত্রিকায়ন সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রামে পর্যাপ্ত কর্মস্থাপনের ব্যবস্থা করে শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় অর্থনীতির চাকাকে বেগবান করে তুলেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সঠিক নেতৃত্বে আজকে প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা কিংবা জেলা একসূত্রে যুক্ত।

গ্রাম ও শহর উভয়ের ব্যাপক উন্নয়ন ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে সমবায় পন্থায় সৃষ্ট বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জাতীয় অর্থনীতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সফলতার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নকে সমুন্নত রাখতে এবং এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে আসন্ন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বের বিকল্প নাই। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার মুজিবীয় আদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশের আপামর জনগণ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বকে পুনরায় বিজয়ী করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমুন্নত রাখবে নিঃসন্দেহে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।




আমার বাড়ি আমার খামার: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দিন বদলের হাতিয়ার

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, সুষম পুষ্টি, বেকার সমস্যার সমাধান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কৃষি জমির উর্বরতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নত মেধা সম্পন্ন জাতি গঠনে কৃষি খামারের ভূমিকা অপরিসীম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ৭, ৯, ১০, ১৪, ১৫ এবং ১৬ অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করতে বলা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর সূচিত পথ ধরে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দরিদ্র মানুষের জন্য ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের একটি ধারণা তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীকে প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন তখন দেশের সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেমকে ব্যবহার করে প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে কৃষি, মৎস্য চাষ, পশুপালন ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে কার্যকর খামারবাড়ি হিসেবে গড়ে তোলা। এই ধারণার কার্যকারিতা পরীক্ষা করার লক্ষ্যে প্রথমে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প পরিচালনা করে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ধারণাটি পরিবার পর্যায়ের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি তথা আয় সঞ্চারণে বেশ কার্যকর।
এই প্রেক্ষাপটে একনেক কর্তৃক জুলাই ২০০০ সাল থেকে জুন ২০০৫ মেয়াদের জন্য ১৪১০৮.০২ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় এবং এর বাস্তবায়ন শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলে তৎকালীন সরকার প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়।

২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠন করলে আমার বাড়ি আমার খামার নামে প্রকল্পটি আবার কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠনের ফলে প্রকল্পের মেয়াদ সর্বশেষ ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পল্লী এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র মানুষদের সংগঠিত করে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি ও স্থায়ী ঘূর্ণায়মান তহবিল গঠন করা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গঠিত তহবিল পারিবারিক বলয়ে আয়বর্ধক কৃষিজ খামার স্থাপনে বিনিয়োগ করা এবং জীবিকা উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন নিশ্চিত করা।

প্রকল্পের আওতায় একেকটি গ্রাম থেকে ৬০টি দরিদ্র পরিবার নির্বাচন করে ৪০ জন নারী এবং ২০ জন পুরুষ নিয়ে একটি সমিতি গঠন করা হয়। এই সমিতির সদস্যরা মাসে ২০০ টাকা হারে সঞ্চয় করেন। সদস্যদের সঞ্চয় জমা একনাগাড়ে ২৪ মাস পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়। ৬০ জন সদস্য ২৪ মাসে ২০০ টাকা হারে সঞ্চয় করলে দুই বছরে ২.৮৮ লক্ষ টাকা সঞ্চয় জমা হয়।

সদস্যদের সঞ্চয়ের বিপরীতে প্রকল্প থেকে সমপরিমাণ অর্থ (সদস্য প্রতি মাসে ২০০ টাকা হারে ২৪ মাস) উৎসাহ সঞ্চয় বা বোনাস হিসেবে অনুদান প্রদান করা হয়। এটি দরিদ্র সদস্যদের তাদের কষ্টার্জিত দৈনন্দিন আয় থেকে সঞ্চয় করতে অনুপ্রাণিত করে।

এছাড়া গ্রাম উন্নয়ন সমিতির নিজস্ব স্থায়ী তহবিল গঠনের জন্য প্রকল্প থেকে প্রতি সমিতিতে বছরে ১.৫০ লক্ষ টাকা করে দুই বছরে ৩ লাখ টাকা ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসেবে অনুদান প্রদান করা হয়। সদস্যদের নিজেদের সঞ্চয় ও প্রকল্প থেকে সঞ্চয়ের বিপরীতে প্রদত্ত উৎসাহ সঞ্চয় বা কল্যাণ অনুদানের সাথে ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসেবে অনুদান যোগ হয়ে প্রতি সমিতির জন্য দুই বছরে ৯ লাখ টাকার একটি স্থায়ী তহবিল গড়ে ওঠে।

এই অর্থের মালিক সমিতি। সমিতির সদস্যরা এই অর্থ স্থায়ীভাবে আয়বর্ধক খামার করতে ব্যবহার করে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় সমিতির সদস্যদের দক্ষ খামারি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

জুলাই ২০০৯ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুদ্র সঞ্চয় দর্শন অনুসরণে বাস্তবায়িত ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের অধীনে মোট গ্রাম সমিতি গঠিত হয়েছে ১,২০,৩২৫টি। দরিদ্র সদস্যদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের পরিমাণ ২০৮৬ কোটি টাকা। গ্রাম সমিতির জন্য মোট তহবিল গঠিত হয়েছে ৭৬০৯ কোটি টাকা। সদস্যদের বাড়িতে পারিবারিক খামার স্থাপিত হয়েছে ৩৩ লক্ষ ৩৭ হাজার।

এটি এখন স্বীকৃত যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুদ্র সঞ্চয় দর্শন ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে একদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য যেমন বিপুল পরিমাণ তহবিল স্থায়ীভাবে সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে তেমনি অপরদিকে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।

২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দরিদ্রতার হার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং অতি দরিদ্রতার হার হ্রাস পেয়ে এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। বিপুল সংখ্যক দরিদ্র মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়েছে। যারা পূর্বে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবা বহির্ভূত ছিল, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এইসব পরিবারদের ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করেছে, যা বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।

ক্ষুদ্র ঋণের পরিবর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ হয়ে উঠেছে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দিন বদলের হাতিয়ার।

লেখক: সার্জারি এন্ড থেরিওজেনোলজি বিভাগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।




মেহেরপুরে দিঘিরপাড়া ঈদগাহ মাঠ উদ্বোধন করলেন পৌর মেয়র

মেহেরপুর পৌরসভার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে ১৮ কাঠা জমির ওপর দিঘিরপাড়ায় ঈদগাহ মাঠ উদ্বোধন করলেন মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ।

সোমবার বিকেলে দীঘিরপাড়ায় মেহেরপুর পৌরসভার পাঁচ ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে ঈদগাহ মাঠের উদ্বোধন করা হয়।

দিঘিরপাড়া ঈদগাহ মাঠ উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মেহেরপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ, মেহেরপুর পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান। ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন, দিঘিরপাড়া নতুন ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি মো: সুজন এবং সেক্রেটারি আজিজুল হক, যুবলীগ নেতা ইয়ানুস, যুবলীগ নেতা সাজু, দিঘিরপাড়ার কৃতি সন্তান আব্দুল হান্নান হাদু, মুক্তার হাজী সহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন নির্বাচনের সময় আপনাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল জায়গার ব্যবস্থা হলে আমি আপনাদের  ঈদগাহ মাঠ করে দিব আজকে সেই কথার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আপনাদের সকলকে ঈদগাহ মাঠ নতুন আঙ্গিনায় তৈরি হবে নতুন সাজে সাজবে বিশেষ করে দিঘির পাড়া ৫ নাম্বার এবং ৭ নাম্বার ওয়ার্ড মানুষগুলোর দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়া এটা আজকে পূরণ হতে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি আরো বলেন সামনে রমজানের ঈদে রাস্তা দিয়ে হেঁটে এই নতুন ঈদগাঁতে নামাজ আদায় পারে সেই ব্যবস্থা করে দেবো ইনশাআল্লাহ।

এর আগে মেহেরপুর পৌরসভার ৫ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিন।




টানা ছয় হারে পরে দ্বিতীয় জয় বাংলাদেশের

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু। এরপর টানা ছয় হারে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় বাংলাদেশ। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলতে বিশ্বকাপে শেষ দুই ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ দাঁড়ায় বাংলাদেশের জন্য। এমন অবস্থায় নিজেদের অষ্টম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছে টাইগাররা। তবে শেষ দিকে উইকেট হারিয়ে সহজ ম্যাচ কঠিন করে জেতে বাংলাদেশ। লঙ্কানদের ৩ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

সোমবার (৬ নভেম্বর) দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচে প্রথমবারের মতো ক্রিকেট বিশ্ব আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেখেছে টাইম আউট। কোনো বল খেলার আগেই টাইম আউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান আঞ্জেলো ম্যাথুস। ঘটনাবহুল এই ম্যাচে চারিথ আসালাঙ্কার সেঞ্চুরিতে ৪৯ ওভার ৩ বলে ২৭৯ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ১০৫ বলে ১০৮ রান করেন আসালাঙ্কা।

২৮০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দলীয় ৪১ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিদ হাসান তামিম ৫ বলে ৯ ও লিটন দাস ২২ বলে ২৩ রান করে আউট হন।

তবে সাকিব আল হাসানকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর এই চাপ সামাল দেন নাজমুল হাসান শান্ত। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দু’জনেই তুলে ফিফটি। ১৬৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। লঙ্কান বোলারদের কোনো সুযোগ না সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন সাকিব ও শান্ত।

তবে দলীয় ২১০ ও ২১১ রানে আউট হন সাকিব ও শান্ত। সাকিব ৬৫ বলে ৮২ ও শান্ত ১০১ বলে ৯০ রান করেন। এরপর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটে জয়ের পথেই ছিল বাংলাদেশ।

দলীয় ২৪৯ ও ২৫৫ রানে এই দুই ব্যাটারকে আউট করে ম্যাচ জমিয়ে তোলে শ্রীলঙ্কা। মুশফিক ১৩ বলে ১০ ও মাহমুদউল্লাহ ২৩ বলে ২২ রান করেন। এরপর তাওহিদ হৃদয় ও মেহেদি হাসান মিরাজ লড়াই করেন।

তবে দলীয় ২৬৯ রানে ৫ বলে ৩ রান করে আউট হন মিরাজ। তবে এরপর ক্রিজে আসা তানজিম হাসান সাকিবকে সঙ্গে নিয়ে ৫৩ বল হাতে রেখে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন হৃদয়। লঙ্কানদের পক্ষে দিলশান মাদুশঙ্কা নেন ৩টি উইকেট।

সূত্র:  ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের অভিযানে গাঁজাসহ আটক ১

চুয়াডাঙ্গায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে এ সময় গাঁজা সহ ১ জনকে আটক করা হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুর দুইটার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়ার নেতৃত্বে ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান ও উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও আকবর হোসেন সহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয় থেকে সদর থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার হকপাড়ার মৃত খোকনের ছেলে আসামি মো:অপু (২৮) কে সদর থানাধীন হকপাড়াস্থ আসামির নিজ দখলীয় বসতঘর হইতে ০১ কেজি গাঁজা সহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ০৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ১০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।




বাসে আগুন দিয়ে অবরোধ পালনে বাধ্য করছে বিএনপি!

বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় যেকোনও ধরনের নাশকতা ও সহিংসতা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হার্ডলাইনে থাকবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। কিন্তু এরপরও থেমে নেই নাশকতা।

রবিবার রাতে রাজধানীর নীলক্ষেত মোড়ে একটি প্রাইভেট কারে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে ওই ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাওরান বাজার এলাকায় আরেকটি পিকআপ ভ্যানে আগুন দেওয়া হয়। গাড়িতে থাকা সোফা সেটে আগুন ধরলেও, স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিভিয়ে ফেলে। রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পল্লবীতে শিকড় পরিবহনের একটি বাসে অগ্নিসংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। এসময় প্রত্যক্ষদর্শী হাসান বলেন, রাতে আগুন ধরিয়ে সকালে যারা বের হবে তাদের ভয় দেখানো হয়। এটা যানমালের ক্ষতি, সে হিসাব করে না। আমরা আর অবরোধ চাই না।

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা ফের ৪৮ ঘণ্টা (৫ ও ৬ নভেম্বর) অবরোধ কর্মসূচির আগেই শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ও রাতে রাজধানীর পৃথক স্থানে পরপর চারটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এদিকে রবিবার (৫ নভেম্বর) সকাল ৬ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দুটি বাসসহ একটি মিনি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাস রয়েছে। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বাংলামোটরে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রশ্ন উঠেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাড়তি সতর্কতার পরও এত গাড়িতে অগ্নিসংযোগ কীভাবে হচ্ছে?

সোমবার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে রাস্তাঘাট ছিলো তারপরেও অনেকটা স্বাভাবিক। ড্রাইভার ছাড়া নিজে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছেন সেজান। তিনি বলেন, দশদিনের জন্য দেশে এসেছি। এসে এরমধ্যে পড়েছি। দিনের পর দিন বাড়িতে বন্দি করে রাখা এটা কেমন রাজনীতি?

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রথমে ৭২ ঘণ্টা তারপর ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা করে দায় সারছে বিএনপি। তাছাড়া মাঠেও নেই তারা। শুধু জ্বালাও পোড়াও করে ভয় দেখিয়ে অবরোধ পালনে বাধ্য করছে। একের পর এক বাস পুড়িয়ে বাস্তার স্বাভাবিক চলাচল বিঘ্ন করতে চেষ্টা করছে। এটা কোনো ভাবেই রাজনৈতক দলের কর্মসূচি হতে পারে না।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রতিরোধের জায়গায় জনসচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে না পারলে চোরাগোপ্তা হামলা ঠেকানো যাবে না। একইসঙ্গে পুলিশের টহল আরও জোরদারের কথা বলছেন তারা। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) জানিয়েছে, গোয়েন্দা নজরদারি কার্যক্রম চলমান থাকবে। কেউ যদি কোনও ধরনের নাশকতা কিংবা সহিংসতার পরিকল্পনা করে, সঙ্গে সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। যেকোনও উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাবের স্পেশাল টিম ও স্ট্রাইকিং ফোর্স রিজার্ভ রাখা হয়েছে।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে শপআপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শপআপ। প্রতিষ্ঠানটিতে অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অ্যাসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার- ট্রেজারি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে স্নাতক/স্নাতকোত্তর (ফাইন্যান্স/অ্যাকাউন্টিং) পাস হতে হবে। বয়স: সর্বনিম্ন ২৫ বছর। নারী-পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। অভিজ্ঞতা: চার থেকে ছয় বছর।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৩ নভেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




টাইম আউট হয়ে রাগে হেলমেট ছুঁড়ে মারলেন ম্যাথুস

বিশ্বকাপে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ঘটেছে এক নাটকীয় ঘটনা। টাইম আউট হয়েছেন লঙ্কান ব্যাটার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে টাইম আউট হলেন তিনি। এমন আউট মেনে নিতে পারেননি এই লঙ্কান ব্যাটার। আউটের পর রেগে হেলমেট ছুঁড়ে মেরেছেন ম্যাথুস, পেতে পারেন শাস্তি।

আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার সময় সেই হেলমেট রাগে ক্ষোভে ছুড়ে মারেন ম্যাথুস। পরবর্তীতে কোচের সঙ্গে অনেকক্ষণ ধরেই আলোচনা করতে দেখা যায় তাকে। এমনকী সাকিবের সঙ্গেও তর্কে জড়াতে দেখা যায়। খেলা চলাকালে হেলমেট ছুড়ে ফেলার কারণে আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে শাস্তি পেতে পারেন ম্যাথুস।

যে হেলমেট নিয়ে খেলতে নেমেছিলেন সেটিতে নিরাপদ বোধ করছিলেন না ম্যাথুস। পরে নতুন আরেকটি হেলমেট নিয়ে আসা হয়। সেটিতেও ছিল সমস্যা। তাই আবারো হেলমেট পরিবর্তন করতে চান ম্যাথুস।

কিন্তু ততক্ষণে ২ মিনিট পার হয়ে যায়। টাইম আউটের আবেদন করেন সাকিব। আর তাতে নিয়ম অনুযায়ী আউট দেন আম্পায়ার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই প্রথমবার ঘটল এমন ঘটনা। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে এর আগে ৬ বার টাইম আউট হয়েছেন ব্যাটাররা।

এমসিসির আইনের ৪০.১.১ নম্বর ধারা অনুযায়ী, একজন ব্যাটার আউট হয়ে যাওয়ার পর ২ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী ব্যাটারকে খেলার জন্য প্রস্তুত হতে হবে। কিন্তু ম্যাথুস সেটি হতে পারেননি। আর তাই বাংলাদেশের আবেদনের প্রেক্ষিতে টাইম আউট হন ম্যাথুস।

সূত্র: ইত্তেফাক




ব্র্যান্ড পোশাক স্টোর থেকে সরিয়ে নেওয়া নতুন কিছু নয়

বিভিন্ন দেশের নামীদামী ব্র্যান্ডের পোশাক বিভিন্ন সময় স্টোর থেকে তুলে নেয়। ক্রেতাদের অভিযোগ এবং সমালোচনার মুখে বা কোন ‘ভুল বুঝাবুঝির’ পরিস্থিতি তৈরি হলেও অনেক দেশেই অনেক নামীদামী ব্র্যান্ডের পণ্য সরিয়ে নেওয়ার নজির আছে। মূলত পোশাকের ডিজাইন, লেখা এমনকি রং নিয়েও সমালোচনার মুখে পোশাক বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা আছে। দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সম্প্রতি বাংলাদেশের তৈরি নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের পোশাক তুলে নেওয়ার খবরে তাই উৎকণ্ঠিত হওয়ার কিছুই নেই বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

তৈরি পোশাক প্রস্তুকারকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ব্র্যান্ডের ক্রেতাদের অনেক চাহিদাপত্র থাকে। কাপড় নির্বাচন, পোশাকের আনুসাঙ্গিক উপকরণ সবই ক্রেতার সিদ্ধান্তে অনুমোদিত হয়ে থাকে। সেগুলো অনেক ক্ষেত্রেই দেশের বাইরে থেকে আমদানি করতে হয়। গুণগত মান নিরীক্ষা করে, স্যাম্পলের কোয়ালিটি চেকের পর প্রডাকশনে যায় কারখানাগুলো। আর পোশাক রফতানির আগে পুনরায় কোয়ালিটি চেকের পর তা জাহাজে পাঠানো হয়। ডিজাইন থেকে শুরু করে সব কিছুই নির্ধারণ করেন ক্রেতা, সুতরাং এখানে কারখানার দায় থাকার কথা না।

আগের বেশকিছু সিদ্ধান্ত অনুসন্ধানে দেখা যায়, ক্রেতাদের অভিযোগের মুখে বিভিন্ন সময় ব্র্যান্ডের পোশাক বাজার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ না ভিয়েতনাম, চীন, কম্বোডিয়ার মতো দেশও আছে।

গত এপ্রিলে ওয়ালমার্টে বিক্রির জন্য জর্জ ব্র্যান্ডের টি-শার্ট এর গায়ে একটি ‘গালি’ লুকানো দেখে প্রতিষ্ঠানটি বাজার থেকে তা সরিয়ে নেয় বলে এক প্রতিবেদনে জানা যায়। ১১ এপ্রিল ডেইলি মেইলের বরাত দিয়ে ফক্স বিজনেসের একটি প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। জর্জ ব্র্যান্ডটি ওয়ালমার্টের মালিকানাধীন।

পরিবেশপন্থী টিশার্টটি মানুষকে ‘পুনর্ব্যবহার’, ‘পুনরায় ব্যবহার’ এবং ‘পুনর্বিবেচনা’ করার আহ্বান জানাতে গিয়ে টি শার্টের গায়ে ‘আর-ই’ ব্যবহার করা হয় এবং ‘সাইকেল’ (রিসাইকেল), ‘ইউজ’ (রিইউজ), ‘নিউ’ এবং ‘থিঙ্ক’ শব্দগুলো একটু বেশি ডানে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর এতেই ঘটে বিপত্তি। তাদের আর-ই অক্ষরগুলো ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। হিতে বিপরীত হতে দেখা যায়।

এরপর গত মে মাসের শুরুতে প্রাইড মাস উপলক্ষ্যে চালু করা ‘টার্গেট’ ব্র্যান্ডের পণ্যগুলো নিয়ে নির্দিষ্ট গ্রাহকদের প্রতিক্রিয়ার মুখে তাদের স্টোর থেকে কিছু পণ্য সরিয়ে নিতে হয়। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে একথা বলা হয়। উল্লেখ্য, প্রাইড মাস মুলত সমকামী সম্প্রদায়ের জন্য উৎসবের মাস হিসেবে উদযাপন করা হয়।

টার্গেট কর্পোরেশন (টিজিটিএন) তার ‘প্রাইড’ কালেকশনের অংশ হিসাবে পোশাক, বই, সংগীত এবং বাড়ির আসবাবপত্রসহ ২০০টিরও বেশি পণ্য সরবরাহ করছে। আইটেমগুলির মধ্যে রয়েছে “জেন্ডার ফ্লুইড” মগ, ক্যালেন্ডার এবং ‘বাই বাই, বাইনারি’, ‘প্রাইড ওয়ান, টু, থ্রি’ এবং “আমি মেয়ে নই” শিরোনামে ২-৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য বই।

এক বিবৃতিতে টার্গেট বলেছে, ‘এই বছরের পণ্যগুলো বাজারজাত করার পর থেকে আমরা আমাদের কর্মীদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা ও সুস্থতার বিষয়গুলো হুমকির মুখে পড়েছে।

এরপর গত আগস্টে কেনিয়ায় তৈরি শিশুদের প্রায় ৯৭ হাজার পিস জিন্সের প্যান্ট যুক্তরাষ্ট্রের স্টোর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় শিশুদের নিরাপত্তার স্বার্থে। সেদেশের গণমাধ্যম বলছে, প্যান্টের কাপড় থেকে শিশুদের শরীরের খোঁচা অনুভব হচ্ছে- এমন অভিযোগে সেসব তুলে নেওয়া হয়। একই অভিযোগে পণ্যগুলো কানাডার বাজার থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।

ফাঙ্গাসের উপস্থিতির কারণে কানাডার টাইগার ব্র্যান্ডের কিছু পণ্য যেমন স্লিপওয়্যার, প্যান্ট এবং স্কি প্যান্ট প্রত্যাহার করা হয় গত জানুয়ারি মাসে। বানকি বার, বেলা অ্যান্ড বার্ডি, মাউন্টেন রিজ, সারভাইভাল গিয়ার এবং ক্যারিশমার মতো স্লিপওয়্যারগুলো প্রত্যাহার করা হয়। এছাড়াও পুরুষদের শেরপা পোশাক, পাজার স্কি প্যান্ট এবং পুরুষদের স্কি প্যান্ট ছিলো প্রত্যাহার করা পোশাকের তালিকায়।

হেলথ কানাডা ভোক্তাদের অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্থ পণ্যব্যবহার বন্ধ করতে এবং পুরো অর্থ ফেরতের জন্য জায়ান্ট টাইগারের কাছে ফেরত দিতে বলে।

গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে এক বার্তায় জায়ান্ট টাইগার বলেছে, ‘যেহেতু আমাদের গ্রাহকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার, তাই আমরা এ বিষয়ে আমাদের বিক্রেতা এবং হেলথ কানাডার সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছি।

বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা সামগ্রী প্রত্যাহার করা হলে সেটির তথ্য প্রকাশ করে ওইসিডি প্ল্যাটফর্ম। সেখানে গত অক্টোবর মাসে চীনের তৈরি শিশু পোশাক প্রত্যাহার করা হয় যুক্তরাষ্ট্র থেকে। পোশাকটির সমস্যা হসিএবে উল্লেখ করা হয়েছে- লেবেল থেকে ত্বকে খোঁচা লাগতো।

বাংলাদেশের ঘটনাকে আলাদা করে উল্লেখ করার মতো কোন বিষয় নেই। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ জানান, বাংলাদেশ সব সময় বায়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী পোশাক বানায়। কিন্তু অভিযোগ বা মানদণ্ডগুলো সবই উক্ত পোশাকের ডিজাইন যারা করেছে, বা বিবরণ যারা ঠিক করেছে তাদের বিষয়। বাংলাদেশে বায়ারের সকল নির্দেশনা মেনে, বেধে দেওয়া মানদণ্ড মেনে পোশাক তৈরি করা হয়েছে। তৈরি করা পোশাক তৃতীয় পক্ষের ইন্সপেকশন আর ল্যাব টেস্ট পাশ করার পরেই রপ্তানি করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পণ্যের চাহিদামাফিক মান রক্ষা করেই রপ্তানি করা হয়েছে।