ঝিনাইদহে ১১ টি চোরাই মোটরসাইকেল সহ আটক ৩

ঝিনাইদহে ১১ টি চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। দক্ষিণবঙ্গের আন্ত:জেলা চোরচক্রের তিন জনকে গ্রেপ্তারের পর তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই ১১ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। আজ শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করে পুলিশ।

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান জানান, ঝিনাইদহ শহর থেকে মোটর সাইকেল চুরির ঘটনায় গত মাসের ২২ তারিখে সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর গোপন তথ্যে পরদিন সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর থানা এলাকা থেকে মোটর সাইকেল চুরির দক্ষিণবঙ্গের আন্ত:জেলা চোর চক্রের মুলহোতা মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তিতে জড়িত আরো দু-জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা এই অঞ্চলের ১৮ টি জেলায় মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার রাতে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ, শ্যামনগর, আশাশুনি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে চোরাই ১১ টি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মোটর সাইকেলগুলো পর্যায়ক্রমে তাদের মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানানো হয়।

সেসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) এসএম রাজু আহম্মেদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মীর আবিদুর রহমান, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহীন উদ্দিন, এসআই ফরিদ হোসেনসহ পুলিশের উদ্ধতন কর্মকর্তারা।

গ্রেপ্তারকৃতরা হল, সাতক্ষীরা জেলার বংশিপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী, ভ্যাটখালী গ্রামের মনিরুজ্জামান, খুলনা জেলার চালনা গ্রামের হেলাল। মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ, খুলনা, মাগুরা, সাতক্ষীরা, কুষ্টিয়া সহ বিভিন্ন থানায় ১৫ টি মামলা রয়েছে।




মেহেরপুরে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

“সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও র‍্যালীর আয়োজন করা হয়।

শনিবার (৪ নভেম্বর) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে জেলা প্রশাসন ও জেলা সমবায় কার্যালয়ের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়‌‌।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোঃ রোকনুজ্জামান তুষারের সঞ্চালনায় এসময় জেলা সমবায় কর্মকর্তা প্রভাষ চন্দ্র বালা,বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হালিম,জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভার আগে একটা র‍্যালী বের করা হয়। র‍্যালী জেলা প্রশাসন কার্যালয় চত্বর থেকে শুরু করে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে এসে শেষ হয়।
পরে সেখানে শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলন করা হয়।




মেহেরপুরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত

‘পুলিশ-জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি’ প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ পালিত হয়েছে।

আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় মেহেরপুর পুলিশ লাইনের ড্রিলশেডে এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩ আলোচনাসভা, শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি পুলিশিং সদস্যদের পুরস্কার প্রদানসহ নানা আয়োজন করা হয়।

কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মেহেরপুর জেলায় ২৭ টি বিটে কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা কাজ করছে।

প্রধান অতিথি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, “কমিউনিটি পুলিশিং একটি সংগঠনভিত্তিক দর্শন ও ব্যবস্থাপনা, যা জনগণকে সম্পৃক্ত করে জনগণ ও পুলিশের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সমাজে অপরাধ ভীতি হ্রাস সহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। এটি একটি গণমুখী, প্রতিরোধমূলক এবং সমস্যা সমাধানমূলক পুলিশি ব্যবস্থা।’

পুলিশ সুপার মেহেরপুর রাফিউল আলম বলেন, ‘কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রমের মাধ্যমে পুলিশ-জনগণের মিথস্ক্রিয়ার ফলে পুলিশের কাজে জনগণের আস্থা, অংশগ্রহণ, সহযোগিতা ও অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও অপরাধ বিরোধী সচেতনতা তৈরি, বাল্যবিবাহ রোধ, ইভটিজিং প্রতিরোধ, জঙ্গিবাদ দমন, সন্ত্রাস দমন, মাদকের কুফল, নারী ও শিশু নির্যাতন, যৌতুক নিরোধ ও সামাজিক মূল্যবোধ বৃদ্ধিতেও কমিউনিটি পুলিশিং বিশেষ ভূমিকা রাখছে। ‘

পুলিশ সুপার মেহেরপুর মোঃ রাফিউল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ সংসদীয় আসনের এমপি ফরহাদ হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর ২ সংসদীয় আসনের এমপি সাহিদুজ্জামান (খোকন), জেলা প্রশাসক মেহেরপুর শামীম হাসান ও জেলা পুলিশিং কমিউনিটির সভাপতি ডা. এম এ বাশার প্রমুখ।




শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছেড়ে কেন সহিংস বিএনপি?

বিএনপির সহিংস রাজনীতিতে ফিরে আসা নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে যে সন্ত্রাস, নৈরাজ্য এবং আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছিল সেই পথেই আবার ফিরতে গিয়ে জামায়াতের সঙ্গে আবারও একাত্ম হয়েছে দলটি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২৮ অক্টোবরের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে জামায়াতকে সাথে নিয়ে প্রথম থেকেই বিএনপি মারমুখী ছিল। বিএনপিকে যখন নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে না বলে ঘোষণা করা হয়েছিল ঠিক সেই সময় বিএনপির অনড় অবস্থান দেখে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে বিএনপি এবার সহিংস রূপে আবার ফিরে আসবে।

নয়াপল্টনে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর অবরোধ কর্মসূচির নামে আবারো জ্বালাও পোড়াও ও আগুন সন্ত্রাসের ঘটনায় আবার প্রমাণ হয়েছে বিএনপি মুখে যতোই না করুক না কেন, জামায়াতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ছিলো এবং আছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে গত কয়েকদিন ধরেই জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির নতুন করে সম্পর্ক হয়েছে। এই সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে জামায়াত বিএনপির সাথে সমান্তরালভাবে আবার আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা শুরু করেছে। জামায়াত শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ ডেকেছিল। কিন্তু জামায়াত যেহেতু নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়, সেই জন্য শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। জামাত শেষ পর্যন্ত আরামবাগ এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে। যেহেতু জামায়াত বিএনপির প্রধান মিত্র এবং তারা শাপলা চত্বরে সমাবেশ করতে পারছে না, সে কারণেই একটা ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য বিএনপি চেষ্টা করেছে।

তবে ২৮ অক্টোবরের হামলা ও নাশকতার মামলায় শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আটকের কারণে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন নেতার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। কিন্তু বিএনপির সহিংসতার পিছনের কারণ জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দ্বিতীয় সারির এক নেতা বলেন, সহিংস হয়ে ওঠা ছাড়া এসময় বিএনপির আর কোন পথ নেই। শেষ আঘাত হিসেবে কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিলো। জনগণের এটুকু ভোগান্তি হবে সেটাও আমাদের হিসেব নিকেশের ভেতরই ছিলো। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে অন্য কিছু করার নেই।

২৮ অক্টোবর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি সমাবেশের দিন ব্যাপক সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যসহ দুই জন নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর আটক করা হয়েছে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আরো অনেককে। বিএনপির ডাকে ২৯ অক্টোবর সারাদেশে হরতাল পালিত হয়েছে। এই হরতালের সময় বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতাসহ মোট তিন জন নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধ শেষে আবারও ৫ ও ৬নভেম্বর দেশব্যাপী অবরোধের ডাক দিয়েছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, জামায়াতের খপ্পরে পড়েই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পথ ছেড়ে আবারও আগুনের পথে।

আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহিংসতা বিষয়ে বলেন, ‘বিএনপি শুধু সন্ত্রাস চালিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের মাধ্যমে তথ্য-সন্ত্রাস অব্যাহত রেখেছে। যার মধ্য দিয়ে তাদের চিরাচরিত মিথ্যাচার-অপপপ্রচার ও গুজবের প্রকৃত চিত্র ফুটে উঠেছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক চেতনাকে ভুলণ্ঠিত করার মধ্য দিয়ে সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিল। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই উগ্র-সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস বিএনপির রাজনীতির মূল অস্ত্র। এখন তারা তথাকথিত নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনের আড়ালে পুনরায় সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে।’

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ হত্যা, আর অগ্নিসন্ত্রাস করে বিএনপি-জামায়াত জোট কার্যত দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যেতে চায়। বিএনপি-জামায়াতের তথাকথিত আন্দোলনের ভয়ে কিংবা তাদের বিদেশি প্রভুদের ইচ্ছায় বাংলাদেশ চলবে না। বিএনপির আসল উদ্দেশ্য নিরপেক্ষ নির্বাচন না, তাদের আসল উদ্দেশ্য আগুনসন্ত্রাস-সহিংসতা-নাশকতা-অন্তর্ঘাতের পথে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচন বানচাল করা এবং অস্বাভাবিক-অসাংবিধানিক সরকার আনা। বিএনপি জামায়াত সম্মিলিতভাবে যে ধ্বংসাত্মক ক্রিয়াকলাপ করতে চেষ্টা করছে সেটা জনগন মেনে নিবে না।

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমশের মুবিন চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, ‘২৮ অক্টোবর রাজনৈতিক দলের মহাসমাবেশ চলাকালে যে সহিংস ঘটনা ঘটেছে তা কোন ভাবেই কাম্য নয়। সহিংস ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ তার দায়িত্ব পালনকালে দুর্বৃত্তের হামলায় মৃত্যুবরণ করেন, বাংলাদেশ প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনে যে হামলা করা হয়েছে তার তীব্র নিন্দা জানাই। সরকারি হাসপাতালে অগ্নিসংযোগ দেওয়ার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। রাজনীতি দেশ এবং দেশের জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। জীবন কেড়ে নেওয়ার জন্য নয়। আমরা দেশের সুষ্ঠ রাজনীতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করছি।’

সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক মনে করেন জামায়াত কোনদিনই বিএনপিকে ছেড়ে যায়নি। আর বিএনপি কৌশল হিসেবে জামায়াত বিচ্ছিন্নতা প্রমাণ করতে চেয়েছে। সামনে যাই দেখাক না কেনো তারা একই মায়ের পেটের সহদর। এটা বলছি তার কারণ তাদের জন্ম হয়েছে সন্ত্রাস করতে।




বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে নিয়ে যা বললেন ইশরাক

গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের পর দলটির কার্যালয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টা আরেফির মিথ্যাচার ছড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকায় দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন। লাইভে এসে তিনি এই কথা বলেন।

বিএনপির কার্যালয়ে বসে মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফির কর্মকাণ্ড সম্পর্কে ইশরাক হোসেন লাইভে বলেন, ‘আরেফি তার বক্তব্য রাখার এক পর্যায়ে ‘আপত্তিকর’ কথা বলা শুরু করে, যার মধ্যে কূটনৈতিক শিষ্টাচার ছিলো না। কিন্তু ওই মুহূর্তে সংবাদ সম্মেলন থেকে ক্যামেরার সামনে থেকে উঠে যাওয়ার ইচ্ছা হলেও তা পারেননি বলে জানিয়েছেন ইশরাক হোসেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন যে, ২৮ অক্টোবর তিনি কয়েকটি ‘গুলিবিদ্ধ’ হয়েছিলেন এবং ট্রমাটাইজ ছিলেন। পুরো বিষয়টি বুঝে ওঠার আগে আরেফির সংবাদ সম্মেলনটি ঘটে গেছে, বলে তিনি যোগ করেন। সেই সময় কারও সাথে কথা বলার মতো পরিস্থিতি ছিলো না। এই অবস্থায় যা হয়েছে তা করা উচিত হয়নি জানিয়ে সবার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি।

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন আরও জানিয়েছেন, ঘটনাটির পর বেরিয়ে যাওয়ার সময় রুহুল কবির রিজভীকে পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করেন। তিনি কোন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে থাকতে বাধ্য হয়েছিলেন, তা তিনি রিজভীকে বুঝিয়ে বলতে সক্ষম হন। ঘটনাটি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে অবহিত করতে তিনি রিজভীকে অনুরোধ করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে মুখ ঢেকে তিনি গন্তব্যে পৌঁছে বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহিরউদ্দিন স্বপন এবং দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানের মাধ্যমে দলের মহাসচিবকে পুরো ঘটনাটি জানান। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গেও তখন তিনি যোগাযোগ করে পুরো ঘটনাটি খুলে বলেন। বিএনপির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকেও বিষয়টি অবহিত করে দুঃখপ্রকাশ করেন।

এদিকে গ্রেপ্তার হওয়া মার্কিন নাগরিক মিয়া আরেফি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, বিএনপির অফিসে বসে সে যা যা বলেছে, তা তাকে যুক্তরাষ্ট্র থেকেই শিখিয়ে-পড়িয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বেতনভুক্ত সাংবাদিক মুশফিকুর ফজল আনসারীর বন্ধু সে। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা জামায়াতে ইসলামির লোকজনের কাছে আরেফিকে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের উপদেষ্টা হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেয় মুশফিকুর ফজল আনসারী। আরেফি বাংলাদেশে তৎপরতা চালানোর সময় তার যাবতীয় ব্যয়ভার জামায়াতে ইসলামিকে বহনে রাজি করায় মুশফিকুর। পুরো কাজটির জন্য তারেক রহমানের অনুমতি জোগাড় করে মুশফিক। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন ও ইশরাক হোসেনকে বার্তা দেন তারেক। ফলে বিএনপি অফিসে সহজে ঢুকতে পারে আরেফি আর সারওয়ার্দী। এভাবেই এই ঘটনায় যোগ দেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন।

মিয়া আরেফি বাংলাদেশে কার সঙ্গে থেকে কাজ করবে তাও বলে দেয় জামায়াতে ইসলামি। লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সারওয়ার্দীকে সামনে রেখে অন্তর্বতী সরকারের কাঠামোর দাঁড় করাতে চাইছে জামায়াত। সেই সারওয়ার্দী আরেফির দায়িত্ব নেন।

২৮ অক্টোবর আরেফিকে নিয়ে বিএনপি অফিসে যান সারওয়ার্দী। বিএনপি হাই কমাণ্ডের নির্দেশ ও মুশফিকুর ফজল আনসারীর আনসারীর অনুরোধে সংবাদ সম্মেলন করে আরেফি। সেখানে আরেফি আর সারওয়ার্দীর মাঝখানে বসে থাকতে দেখা গেছে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে। ভুয়া উপদেষ্টা আরেফির মিথ্যাচার ছড়িয়ে পড়লে মার্কিন দূতাবাস তার ব্যাপারে সত্য তথ্য জানিয়ে দেয়। এরপর তাকে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার করা হয়।




চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের আয়োজনে জেল হত্যা দিবস পালিত

যথাযথ মর্যাদায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গতকাল ৩রা নভেম্বর জেল হত্যা দিবস পালন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগ।জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে সকালে নানা কর্মসূচি পালিত হয়।

প্রথমে গতকাল শুক্রবার সকালে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বিশ্বস্ত সহচর, কারা অভ্যন্তরে ঘাতকের নির্মম বুলেটে শহীদ জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমি মোড় সংলগ্ন মোহাম্মদী শপিং কমপ্লেক্সে জেলা যুবলীগের কার্যালয়ে শোক-কালো পতাকা উত্তোলন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এরপর নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু ও জেলা যুবলীগের নেতৃবৃন্দ জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর শহীদ জাতীয় চার নেতার প্রতি শ্রদ্ধায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বিকেলে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে জেলা যুবলীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। জেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহবায় সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসুর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবুবক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক, খাসকররা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান তাছফির আহমেদ মল্লিক লাল।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা পীরু মিয়া, শেখ শাহী, বিপুল জোয়ার্দ্দার, টিটু, জুয়েল জোয়ার্দ্দার, ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রামীম হোসেন সৈকত, দিপু বিশ্বাস, তানভীর রেজা টুটুল,পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিউল শেখ সুইট, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য শেখ রাসেল, জেলা ছাত্রলীগের সার্বিক সদস্য খালিদ মন্ডল, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রানা, সাধারণ সম্পাদক খানজাহান আলী, ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল আলিম, সহ-সভাপতি জুয়েল, ৭ নং যুবলীগের সভাপতি আসাদুর রহমান আসাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ বিপ্লব, সাংগঠনিক সম্পাদক আলতাব, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম, মোমিনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোমিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ছোট, বঙ্গ, শিমুল, মুনাজাতে, মিন্টু, মোমিন, বাবু, লিপ্টন, রাজন, মাফুজ, পারভেজ, সেফাত, হাসিব, আবির, তন্ময়, জনি, সিকদার, সাব্বির, জিতু, জিনারুল, বিপ্লব, শাহিন, লাল্টু, নাইম , জাহাঙ্গীর, রুবেল, তানজিল, সঞ্জু, বাচ্চু, জাহিদ, সাকের, আরাফাত, রসূল, রতন, রজত, রনি, ইমরান, সোহেল, তুষার, সোহান, আলামিন, ইয়াসিন, রবিন, নয়ন, নাজমুল, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান ফেরদৌস, নোমান, সাহেদ, সাকিব, বিপুল, আলী, তানজির, মিশা, কাফি, ছাত্রলীগ নেতা ইমাদ ওয়াসিম, শাকিল, সাব্বির, জিম, আরিন, জুয়েল, সবুজ, কবির, শরিফুল, হৃদয়, শরিফ, রুবেল, শাকিল সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন নতুন এস্টেডিয়াম জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মোঃ ওমর ফারুক।




মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল উদ্বোধন আজ

অপেক্ষার পালা শেষ। শনিবার থেকে মেট্রোরেলের হুইসেল বাজবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় বসে থাকার তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে চাইলেই মিলবে মুক্তি। এর মাধ্যমে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিলে তৈরি হচ্ছে নতুন গতির পথ। উত্তরা থেকে আগারগাঁও ৯টি স্টেশনের পর এবার যুক্ত হবে নতুন ৭টি স্টেশন, যা জানান দিচ্ছে নগরের উত্তরের সঙ্গে দক্ষিণের নতুন সংযোগের।

মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশ শনিবার (৪ নভেম্বর) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে শুরু হবে এই পথে বাণিজ্যিক যাত্রা। আর এর মধ্য দিয়ে রাজধানীর উত্তর থেকে দক্ষিণে চলাচলকারীদের যাপিত জীবনে নতুন করে যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত চার কর্মঘণ্টা! উত্তরা থেকে মতিঝিল শুনলেই নিয়মিত যারা এই পথে চলেন তাদের ভাবনায় চলে আসে দুই থেকে তিন ঘণ্টার পথ। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পাশাপাশি মোটা অংকের ভাড়া দিতে হয় উবার বা সিএনজিচালিত অটোরিকশাতে। অথচ মাত্র বিশ থেকে বাইশ কিলোমিটার পথ। ছয় কিলোমিটার গতিতে চলা এই নগরবাসী তাই বরাবরই রাজপথে বড্ড অসহায়।

এসব এখন পিছে ফেলে রাজধানীবাসী ফিরে পাবে প্রাণ। প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ৩টি স্টেশনের যাত্রায় উত্তরা থেকে ৩১ মিনিট সময় লাগলেও সব কটি স্টেশন চালু হলে লাগবে ৩৮ মিনিট। অর্থাৎ হিসাব বলছে, উত্তরা থেকে একবার মতিঝিল যেতে কর্মঘণ্টা বাঁচবে দুই ঘণ্টা। এবার যাওয়া-আসার এই হিসাব মেলালে প্রতিদিন এই পথে সাধারণের ঝুলিতে যুক্ত করবে চার কর্মঘণ্টা।

প্রথম পর্বে ওপরের গতির পাশপাশি নিচের সড়কের সুফল এখন দৃশ্যমান। তাই এই পথেও যাত্রী যখন উপরে উঠবে চাপ কমবে নিচে, কিছুটা হলেও ফিরবে স্বস্তি। ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা কমে আসবে বলে ধারণা করছেন নগর পরিকল্পনাবিদেরা। প্রথম ধাপে উত্তরা-আগারগাঁও দুই পাশের মতো শাটল সার্ভিস দিয়ে ফর্মগেট, শাহবাগ ও মতিঝিলের মতো স্টেশনগুলো থেকে যদি মেট্রো যাত্রীদের বের করে দেয়া যায়, তাহলে মিলবে পুরোপুরি সুফল।

যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ কাজী সাইফুন নেওয়াজ বলেন, যাত্রীরা প্রত্যেকেই যাতায়াতে দিনে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা সময় বাঁচাতে পারবেন বলে ধারণা করছি। এ ছাড়াও এর ফলে নিচের রাস্তায় চাপ কমবে। এতে যানজট থেকে অনেকটা স্বস্তি পাবেন নগরবাসী। পুরো কার্যক্রম শুরু হলে মানুষের চলাচলে অনেক স্বস্তি মিলবে।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানী ঢাকায় দেশের প্রথম এলিভেটেড মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন। এরপর উত্তরা-আগারগাঁও মেট্রোরেলের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। এরই মধ্যে এই অংশের সব স্টেশন চালু হয়েছে। এখন মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলাচল করছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর রেল স্টেশন পর্যন্ত ২১.২৬ কিলোমিটারের পুরো রুটটি ৪০ মিনিটেরও কম সময়ে ভ্রমণ করে মেট্রোরেল প্রতি ঘণ্টায় ৬০ হাজার যাত্রী বহন করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ৩৮ মিনিটে উত্তরা থেকে মতিঝিল।
শনিবার উদ্বোধন হওয়ার পরে রবিবার সকাল সাড়ে সাতটা থেকে উত্তরা ও মতিঝিলে একই সময় ছাড়বে নিয়মিত মেট্রোরেল। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম প্রথম মতিঝিল থেকে উত্তরা (২০.১ কিলোমিটার পথ) যেতে ৩৮ মিনিট সময় লাগবে।

মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে উত্তরা অংশের উদ্বোধন উপলক্ষ্যে গত ১ নভেম্ব) রাজধানীর পরিবাগে ডিএমটিসিএল কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএল ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ উদ্বোধনের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেলের স্বাভাবিক চলাচল। ওইদিন মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যাবেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ৭ জুলাই মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রার উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। মেট্রোরেল প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা। শুরুতে এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল প্রায় ২১ হাজার কোটি টাকা। মূলত মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ৬ কিলোমিটার বাড়তি অংশ নির্মাণ, প্রতিটি স্টেশনের জন্য নতুন করে জমি অধিগ্রহণসহ বিভিন্ন নতুন অনুষঙ্গ যুক্ত হওয়ায় খরচ বেড়েছে। ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা।

মেট্রোরেল প্রকল্প নেয়া হয় ২০১২ সালে। জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকার সঙ্গে ঋণচুক্তি হয় পরের বছর। মূল কাজ শুরু হয় ২০১৭ সালে।




জনপ্রিয়তা থাকলে আগুনসন্ত্রাসের প্রয়োজন কেন?

জনমুখী রাজনীতি করলে যেকোনো সরকারের অধীনে নির্বাচনে সফল হওয়া সম্ভব বলে মনে করেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ড. মো. হাবিবুর রহমান। বিদেশি শক্তি নিজের স্বার্থে বাংলাদেশে দুর্যোগ কায়েম করছে বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চক্ষু বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক শহীদ বুদ্ধিজীবী কন্যা ডা. নুজহাত চৌধুরী। জনসংযোগ না থাকলে অপরাজনীতি সন্ত্রাসের পথে, গণতন্ত্রবিরোধী পথে যায় বলে মনে করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

গতকাল শুক্রবার সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও অপরাজনীতি শীর্ষক আলোচনা সভায় তারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের কাজী আকরাম খাঁ হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে এডুকেশন রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ ইআরডিএফবি।

সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদকে বিনাপুঁজির ভালো ব্যবসা বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ ধর্মান্ধতা আর অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে এসব দেশে বিস্তৃত হচ্ছে।’ জনমুখী রাজনীতি করলে যেকোনো সরকারের অধীনে নির্বাচনে সফল হওয়া সম্ভব, তার উদাহরণ হিসেবে ১৯৭০এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জয়লাভের কথা মনে করিয়ে দেন ড. মো. হাবিবুর রহমান। হৃদয়ে দেশাত্মবোধ থাকলে সকলকে অপরাজনীতি না করার আহ্বান জানান তিনি।

কেন বিএনপির ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ প্রশ্ন তুলে ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘পেছনে ফিরে গেলে স্বার্থসিদ্ধি করা যায়। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে একবার ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে দেশের অগ্রগতি রুখে দিতে কারাগারের মতো সুরক্ষিত স্থানে চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো, বলেন তিনি।’

হত্যাকাণ্ডকে অপরাজনীতির নিকৃষ্টতম পথ হিসেবে উল্লেখ করেন ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, ‘১৯৭০এর নির্বাচনে জয় পেয়েও বঙ্গবন্ধুকে যে ক্ষমতা নিতে দেওয়া হয়নি, তার মধ্য দিয়েই এই অঞ্চলে অপরাজনীতির গোড়াপত্তন হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা, শিশু রাসেলকে হত্যা অপরাজনীতির নিকৃষ্টতম উদাহরণ বলে মত দেন তিনি। সেই অপরাজনীতি এখনো চলমান, তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর ১৮-১৯ বার হত্যাচেষ্টা হয়েছে এবং পুলিশ হত্যা হয়েছে বলে সভায় বলেন তিনি। রাজনীতিতে জনপ্রিয়তা ও জনগণের মাঝে ভিত্তি থাকলে মানুষকে পিটিয়ে মারা বা আগুনসন্ত্রাসের কী প্রয়োজন, প্রশ্ন তুলে নুজহাত চৌধুরী বলেন, যে দলের জন্ম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়নি, যে দল কোনো বিদেশি স্বার্থে এবং দেশের ভেতরের স্বার্থান্বেষী মহলের স্বার্থে তথাকথিত রাজনীতি করে, সেই কার্যকলাপই অপরাজনীতি।

বাংলাদেশে বিদেশি স্বার্থ না থাকলে স্বাধীন দেশের নির্বাচন ও বিচার প্রক্রিয়ায় বিদেশি শক্তি নাক গলাচ্ছে কেন, প্রশ্ন তুলে নুজহাত চৌধুরী জানতে চান, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে বিদেশি শক্তির নাক গলানোর, বিরোধিতা করার অর্থ কী? কান টানলে যেভাবে মাথা আসে, সেভাবে বিএনপিকে টানলে জামায়াতে ইসলামী আসবে, জামায়াতকে টানলে হেনরি কিসিঞ্জার আসবে, জানান তিনি। গণতান্ত্রিক পথ থেকে সরে আসা যাবে না বলে জানিয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী বলেন, অপরাজনীতি সবসময় রক্তপাত, সন্ত্রাসেই পর্যবসিত হয় এবং জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। বাঙালি নিজের মঙ্গল বুঝলে ভোট ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতি তাদের সমর্থন থাকবে বলা আশা প্রকাশ করেন তিনি।

একাত্তর পরবর্তী সময়ে মজুতদাররা যেভাবে দেশকে অস্থির করেছিলো, আজকের মজুতদারেরাও একইভাবে থাবা বিস্তার করছে বলে আশঙ্কা জানান জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর। তিনি বলেন, ‘তারা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি দিয়ে অপরাজনীতির বিস্তারে ভূমিকা রাখছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কখনোই সন্ত্রাসের পথে হাঁটেননি। বরং জনসংযোগ না থাকলে অপরাজনীতি সন্ত্রাসের পথে, গণতন্ত্রবিরোধী পথে যায়।’

পশ্চিমাদের অর্থে দেশের দরিদ্র ও নারীদেরকে কৌশলে জঙ্গিবাদে যুক্ত করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস-এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খন্দকার মোকাদ্দেম হোসাইন। পার্বত্য চট্টগ্রামে জঙ্গিদের ঘাঁটি করা নিয়েও উদ্বিগ্ন তিনি। এসব জঙ্গিরা ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা, পাকিস্তান, আফগানিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে জানিয়ে তিনি বলেন,‘ আমাদের শত্রু-মিত্র চিহ্নিত করার সময় হয়েছে।’

আজ যারা মানবাধিকারের কথা তুলছে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সময় মানবাধিকার কোথায় ছিলো, প্রশ্ন তোলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা, ধর্মকে ব্যবহার করে রাজনীতি, শিক্ষার্থীর হাতে অস্ত্র তুলে দেয়া, পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করাই অপরাজনীতি।’ বিএনপির ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ স্লোগানের ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, ‘মানুষ মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখা, দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া, ২৪ ঘণ্টায় ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুৎহীন থাকা, জঙ্গি হামলার বাংলাদেশে ফিরে যেতে চাই কি না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেখানো পথে ডিজিটাল স্মার্ট বাংলাদেশ অর্জনের সিদ্ধান্ত ভোটের মাধ্যমে নেয়ার পক্ষে মত দেন ড. মিজানুর রহমান।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে যুক্ত হতে বাংলাদেশে শিক্ষা, গবেষণা আর উন্নয়ন একসাথেই চলমান থাকবে। বিদেশিরা কেন আমাদের দেশে সন্ত্রাসকে উস্কে দিচ্ছে।’ ফিলিস্তিনে বোমাবর্ষণ নিয়ে বিদেশিদের কেন কোনো বক্তব্য নেই, অথচ বাংলাদেশে অপরাজনীতি কেন বিস্তৃত হতে দেয়া হচ্ছে, জানতে চান ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান বলেন,‘ দেশের সার্বভৌমত্বে মাঝেমধ্যে বিদেশি শক্তির আঘাত আসে। মার্কিন বিশেষ ভিসানীতিকে আমাদের দ্বাদশ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা। ইন্ডেমনিটি অধ্যাদেশ দিয়ে দেশে অপরাজনীতির যে গোড়াপত্তন হয়েছিলো, তাকে সবচেয়ে নিকৃষ্ট রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। বিভিন্ন সময়ে দেশের মাথাপিছু আয়ের দৃষ্টান্ত সামনে এনে তিনি দেখান, অসাংবিধানিক সরকারের অধীনে দেশের উন্নতি হয় না। আসন্ন নির্বাচনের সময় বিষয়টি সবার মনে রাখা জরুরি বলে জানান তিনি।




জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি চক্রান্ত করছে। কিন্তু আমাদের শক্তি জনগণ। বারবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসে, শত বাধা অতিক্রম করে জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার নিশ্চিত করেছি। উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যেন বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে। এদেশের মানুষের নির্বাচন কেউ বানচাল করতে পারবে না।’

গতকাল শুক্রবার জাতীয় চারনেতার হত্যা দিবস স্মরণে আয়োজিত আলোচনাসভায় বক্তৃতাকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেণ, ‘ওরা নানাভাবে অপচেষ্টা করবে। আওয়ামী নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ভোটের অধিকার যেনো নিশ্চিত থাকে, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট যেন দিতে পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তারা যদি নির্বাচনে আসেও সেটা নমিনেশন বাণিজ্যের জন্য আসবে। মানুষের জানমাল যেনো ক্ষতি না করতে পারে সেই সুরক্ষা দিতে হবে। এটাই আওয়ামীলীগের দায়িত্ব।’

তিনি জাতীয় চারনেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘যে রক্ত দিয়ে লাখো শহীদ স্বাধীনতা এনে দিয়েছে, নির্যাতিত মা বোন, জাতির পিতার হত্যাকাণ্ড, চার নেতার হত্যা, হাজার হাজার নেতাকর্মী যারা সংগ্রাম করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন তাদের কথা স্মরণে রেখে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক সংগ্রাম, অনেক রক্ত, অনেক ত্যাগের বিনিময়ে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৫মার্চ গণহত্যা শুরু পরেরই স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এর আগে ৭ মার্চ তিনি ভাষণে বলেন- যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। সেই নির্দেশনা মেনে এদেশের মানুষ যুদ্ধে যায়। জাতীয় ৪ নেতাসহ সব নেতাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে যুদ্ধ পরিচালনা করতে হবে। সেটা করেই আমরা জয় লাভ করি। দুর্ভাগ্য যে ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। এরপরেই কারাগারে ৩ নভেম্বর চারনেতাকে হত্যা করা হয়।’

এই হত্যাকান্ডের পিছনে ছিলো খুনি মোস্তাক জানিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, খুনিচক্রের মুল শক্তি ছিলো জিয়াউর রহমান। সেনাবাহিনীতে উপসেনাপ্রধান হিসেবে যাকে রাখা হয়েছিল সেই ছিলো এই ষড়যন্ত্রে সক্রিয়। মোস্তাক টিকতে পারেনি, জিয়া ক্ষমতায় চলে আসে। এরা চক্রান্ত করে জাতির পিতাকে হত্যা করেছে।’
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আজকের বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস, তাদের যে বিভৎস চেহারা, পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করা এসব এই প্রথম হলো তা না। ২০১৩ তে, ২০১৫তে ঘটিয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে অত্যাচার করে, আটক রেখে আগুন দিয়েছে। ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। অগ্নি সন্ত্রাসে যে যেখানে থাকুক, যেই আগুন দিবে সাথে সাথে তারে প্রতিরোধ করতে হবে। এখন আবার অবরোধ দিয়েছে। এর আগেও দিয়েছিল। অফিসে বসে থেকে শেষমেষ তারাই অবরুদ্ধ হয়েছিলো। মানুষ অবরোধ মানে নাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপার্সন এতিমের টাকা মেরে নেওয়ার মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। তার বোন ভাই দেখা করেছে, সাজা স্থগিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। কুলাঙ্গার পয়দা করে রেখে গেছে জিয়াউর রহমান। বাংলাদেশকে অস্ত্র চোরাচালানের স্বর্গরাজ্য গড়ে তুলেছিলো। মানি লন্ডারিং মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামরায় সে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত সন্দেহ নেই। খালেদা জিয়া বলেছিলো, আওয়ামীলীগ একশবছরেও ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এটা বলতে পেরেছিলো তা বুঝা যায়। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বানিয়ে দিয়েছি আর সে ওখানে থেকে জ্বালাও পোড়াও নির্দেশ দেয়। এরা কিসের রাজনীতি করে? এরা মানুষ পুড়িয়ে রাজনীতি করে? কার স্বার্থে রাজনীতি করে? আমরা জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকারে এসেছি। ওয়াদা দিলে ওয়াদা রাখব।’




চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাহিত্য আসর অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর পদধ্বনি -১৫১১ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার সময় শহীদ আলাউল হলে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক পদধ্বনি অনুষ্ঠিত হয় ।  ১৫১১ তম এই আসরে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলাল।

স্বরচিত লেখা পাঠ করেন গোলাম কবীর মুকুল, এম এ মামুন, নটরাজ হারুন অর রশিদ, আবু নাসিফ খলিল, হুমায়ুন কবীর, বনলতা,শহিদুল ইসলাম,জি এম জোয়ার্দ্দার , ডা.তোফাজ্জল হোসেন,রোকসানা জেবা,হোসেন মোহাম্মদ ফারুক, গুরু কাজল,আনছার আলী, সুমন ইকবাল, কবি নজমুল হেলাল প্রমুখ।স্বরচিত লেখার উপর বিশদভাবে আলোচনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজির আহমেদ, গোলাম কবীর মুকুল, আবু নাসিফ খলিল এবং হুমায়ূন কবীর। চিরায়ত সাহিত্য থেকে আলোচনা করেন আর্টিষ্ট জি এম জোয়ার্দ্দার । অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক সুমন ইকবাল।