নিয়োগ দেবে ব্যাংক এশিয়া

ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ব্যাংকটি ক্লুস্টার/জোনাল হেড পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ক্লুস্টার/জোনাল হেড(ভিপি-এসইভিপি)।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

কর্মস্থল

যেকোনো স্থান।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীর লিংকের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের সময়সীমা

১৪ নভেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় তাঁতী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী বলেছেন,দেশে বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্য করতে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসীরা আবার মাথানাড়া দিয়ে উঠছে। তারা বিভিন্নস্থানে অরাজকতার সৃষ্টি করে দেশের উন্নয়নে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার(২ নভেম্বর) সকালে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ের সামনে তাঁতীলীগের আয়োজনে বিএনপির অগ্নিসন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে মোটরসাইকেল র্যালী ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত আগামী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। তাদের সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এইসব আগুন সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার জন্য প্রস্তুত ও সোচ্চার আছে।

এরআগে জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বিপুল হোসেনের নেতৃত্বে শহরতলীর বটতৈল থেকে মোটরসাইকেল র্যালী বের করা হয়। এটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বড় বাজার হয়ে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এসে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়াও এ সময় দেশের উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।

এ সময় তাঁতী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




আইসিসির ওয়ানডে বোলার র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে আফ্রিদি

কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে গত পরশু বাংলাদেশের বিপক্ষে রেকর্ড করেছে পাকিস্তানের তারকা পেসার শাহীন শাহ আফ্রিদি। এদিন প্রথম ওভারে বল করতে এসে টাইগার ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে পেসারদের মধ্যে ‘দ্রুততম শত উইকেট’ শিকারি গড়ে গিয়েছেন তিনি। এরপর শিকার করেছেন আরও দুটি উইকেট। আর এ ম্যাচের পরই আইসিসির একদিনের এই ফরম্যাটের বোলারদের র‍্যাংকিংয়ের তালিকায় প্রথমবারের মতো শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে আফ্রিদি।

বল হাতে পাকিস্তানের হয়ে আফ্রিদির ক্যারিয়ার পাঁচ বছরের। এর মধ্যে এবারই প্রথমবার র‍্যাংকিংয়ের শীর্ষে উঠেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা আইসিসি বুধবার ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রকাশ করেছে। আর এই তালিকার শীর্ষে উঠতে তিনি পিছে ফেলেছেন সেরা তিনে থাকা জশ হেইজেলউড (৬৬৩), মোহাম্মদ সিরাজ (৬৫৬), কেশব মহারাজদের (৬৫১)। সপ্তম স্থানে ছিল আফ্রিদি (৬৭৩) সেখান থেকে এক লাফে এখন তালিকার চূড়ায়।

চলমান বিশ্বকাপের শুরুতেও ফর্ম নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়নি শাহিন আফ্রিদির। কিন্তু আসরে নিজেদের সাত ম্যাচ খেলার মধ্য দিয়ে বর্তমানে তিনি সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির দৌড়ে রয়েছেন। চলমান আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ইনিংসে ১৬ উইকেট নিয়েছেন আফ্রিদি। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার অ্যাডাম জাম্পারও শিকার একই সংখ্যক উইকেট। তবে তিনি এক ম্যাচ কম খেলেছেন আফ্রিদি থেকে।

এর আগে ২০১৮ সালে ওয়ানডেতে অভিষেক হয় গতিতারকা শাহিন আফ্রিদির। এরপর থেকেই মাঠে নিয়মিতিই চলছে তার গতি প্রদর্শন। ২০১৯ সালে দলের হয়ে নিজের ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন তিনি। টুর্নামেন্টটিতে আফ্রিদির অভিষেক হয় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে। ঐ ম্যাচে অজি মারকুটে ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে ফিরিয়ে আসরের প্রথম উইকেট শিকার করেন।

এরপর ফেরান উইকেটে থিতু হয়ে থাকা সেঞ্চুরি হাঁকানো ডেভিড ওয়ার্নারকেও। সেই শুরু। এরপর বিশ্বকাপ মাতান তিনি। আসরের পাঁচ ম্যাচে হাত ঘুরিয়ে বনে যান দলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি (১৬)। তার মধ্যে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯.১ ওভার বল করে মাত্র ৩৫ রান দিয়ে শিকার করেন ৬ উইকেট। সেই বাংলাদেশের বিপক্ষেই মঙ্গলবার শতউইকেটের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।




ইনস্টাগ্রামে খুব দ্রুত আপলোড করা যাবে যেকোনো সাইজের ভিডিও

হোয়াটসঅ্যাপের দিকেই মেটার মনোযোগ অনেক বেশি এমনটি নয়। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামেও তারা চমৎকার কিছু ফিচার যুক্ত করতে শুরু করেছে। মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটিতে দিন দিন যোগ হচ্ছে নতুন সব ফিচার। এবার ইনস্টাগ্রামের নতুন নোটে সেলফি ভিডিও পোস্ট করার ফিচার নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা শুরু করেছে।

খুব দ্রুত ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা যেকোনো ছোট মাপের বা লুপিং ভিডিওসহ নোটে তাদের ডিফল্ট প্রোফাইলে ফোটো আপডেট করতে পারবেন। যদিও অনেকে জানেন না ইনস্টাগ্রামের একটি সাইজ লিমিট রয়েছে। আপনি কেমন আয়তনের ভিডিও দিচ্ছেন এই প্লাটফর্মে তা বলে দেওয়া আছে। তারপরও অনেকে আপলোড করতে চান অনেক ধরনের ভিডিও। সেগুলো আপলোড করতে গেলে সমস্যার মুখোমুখি হতেই হয়। তবে ইনস্টাগ্রাম জানিয়েছে ব্যবহারকারীরা এখন থেকে ভিডিও-র সঙ্গে টেক্সটের মাধ্যমে যে কোনো মতামত বা চিন্তাভাবনা শেয়ার করতে সক্ষম হবেন।

ব্যবহারকারীরা একটি নোট তৈরি করতে শুরু করলে প্রোফাইল ছবিতে একটি নতুন ক্যামেরা আইকন হাজির হবে। এই আইকন ব্যবহার করে পোস্ট করার জন্য যে কোনো একটি ভিডিও রেকর্ড করতে পারবেন। পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম এমন একটি ফিড নিয়ে পরীক্ষা করছে যা শুধু ভেরিফায়েড পেইড ব্যবহারকারীদেরই পোস্টের অনুমতি দেবে। ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মিসৌরি বলেছেন যে তাদের কোম্পানি ‘ব্যবহারকারীদের জন্য একটি নতুন নিয়ন্ত্রিত এবং ব্যবসায়ীদের নতুন ভাবে আবিষ্কারে সহায়তা করবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর মহিলা কলেজে আইএফআইসি ব্যাংকের আর্থিক সাক্ষরতা বিষয়ক সেমিনার

মেহেরপুরে আর্থিক ও সাক্ষরতা নিরাপদ ভবিষ্যৎ কর্মসূচির মাধ্যমে নারীদের মাঝে ব্যাংকিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি ও সকল শ্রেনীর মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষে কলেজ ছাত্রীদের নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে আইএফআইসি ব্যাংক মেহেরপুরে শাখার এ সেমিনারের আয়োজন করে।

আইএফআইসি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ সাদেক উল্লাহ‘র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম।

সেমিনারে বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান আশরাফুল আলম, লোন অফিসার লিজা খাতুন, ট্রানজেকশন অফিসার ফিরোজ আহমেদ, সোহেলী আক্তার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক জেলা সমাজ কল্যান সম্পাদক সাজেদুর রহমান প্রমুখ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, প্রাত্যহিক জীবনে বহুমাত্রিক কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে নারীরা সরাসরি ভূমিকা রাখছে দেশের স্বনির্ভর অর্থনীতির বিনির্মাণে। শাখা-উপশাখায় দেশের বৃহত্তম ব্যাংক আইএফআইসি প্রান্তিক পর্যায়ে পৌছে দিয়েছে নারী বান্ধব বিভিন্ন ব্যাংকিং সুবিধা। বিভিন্ন পেশাজীবী নারীরাও যাতে এই অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখতে ও ব্যাংকিং সেবায় অন্তর্ভুক্তির হতে পারেন সে আহবান জানানো হয়।

সেমিনারে শতাধিক কলেজ ছাত্রী অংশ নেন।




শহর ছেড়ে সীমান্তে মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র মিছিল

গ্রেপ্তার এড়ানোর কৌশল হিসেবে বিএনপি’র ডাকা অবরোধের তৃতীয় দিনে মেহেরপুর জেলা বিএনপি শহর ছেড়ে সীমান্তে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছ।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা ইছাখালী পাকুড়তলা মোড় থেকে শতাধিক কর্মী সমর্থকের অংশগ্রহণে ঝটিকা মিছিলটি শুরু হয়ে প্রধান সড়ক সহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

এসময় মিছিলটি নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন। মিছিল থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগ সহ অবরোধের প্রথম দুই দিনে মেহেরপুর জেলা বিএনপির আটক নেতাদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দেয়া হয়।

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে মাসুদ অরুণ মেহেরপুর প্রতিদিন কে বলেন, ‘মেহেরপুর জেলা বিএনপি কার্যালয় ও আমার বাসভবন পুলিশ,ডিবি,ডিএসবি সহ বিভিন্ন গয়েন্দা সংস্থা কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে। ঘর থেকে বের হওয়া দূরের কথা, ঘরে অবস্থান করা নেতাকর্মীদের পুলিশ তুলে নিয়ে যেয়ে নুতন মামলাসহ অনেক পুরাতন মামলাতেও আটক দেখাচ্ছে। পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মী আটকের যে পরিসংখ্যান দিচ্ছে সেটাতে অনেক চালাকীর আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবরোধ কর্মসূচীর প্রথম দুই দিনে মেহেরপুর জেলা বিএনপির ৫২ নেতাকে আটক করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই গ্রেফতার এড়াতে শহরের বাইরে কর্মসূচীর সমর্থনে আজকের এই ঝটিকা মিছিল।’

তবে, মেহেরপুর প্রতিদিনকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে নাশকতা ঠেকাতে ৩১ জনকে আটকের তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।




মেহেরপুরে বিএনপির দুই শীর্ষ নেতাসহ গ্রেফতার ১১

মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ আহমেদ ও গাংনী পৌর ব্হিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলাসহ বিএনপির ১১ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার ভোর রাত থেকে মাঝ রাত পর্যন্ত সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম , গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম এসকল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায়, গ্রেফতার কৃত মধ্যে সদর থানা পুলিশ ৫ জনকে, গাংনী থানা পুলিশ ৪ জনকে এবং মুজিবগর থানা পুলিশ বাকি ৩ জনকে গ্রেফতার করে। বাকি গ্রেফতারকৃতরা হলেন সদর উপজেরার শ্যামপুর ইউনিয়ন যুবদলের কোষাধাক্ষ্য তাওহীদ হোসেন, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের ক্রীড়া সম্পাদক বাণী হোসেন, আমদহ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আয়নাল হক, জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ মামুন, গাংনী উপজেলার গাংনী পৌর বিএনপির সেক্রেটারি মকবুল হোসেন মেঘলা, গাংনী উপজেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক জিয়াউর রহমান, রায়পুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, বিএনপি কর্মী জহুরুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নায়েব আলী, মোনাখালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য তাহাজুল ইসলাম।

পুলিশ জানায়, বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের বিশেষ ক্ষমতা আইনে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবরোধ চলাকালে যাতে কোন নাশকতার ঘটনা না ঘটাতে পারে সে বিষয়ে পুলিশ তৎপর রয়েছে।




টিয়ারশেলের আঘাতে নয়, স্ট্রোকে মৃত্যু সাংবাদিক রফিকের

পুলিশের টিয়ারশেলের আঘাতে নয়, স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সদস্য সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার। এতথ্য জানিয়েছে তার কন্যা উর্মি ভূঁইয়া বলেন, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণে (স্ট্রোক) মারা গেছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক রফিক।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জবাবে উর্মি বলেন, ‘রিকশা করে যাওয়ার পথে আমার বাবা হঠাৎ স্ট্রোক করে রিকশা থেকে পড়ে যান। এরপর তার ব্রেইন ডেড হয়ে যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। স্ট্রোক করার কারণে ব্যালান্স রাখতে না পেরে রিকশা থেকে পড়ে যান তিনি। আর তখন মাথার পিছনে ব্যথা পাওয়া ইন্টার্নাল ব্লিডিং হয়েছে।

বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে টিয়ারশেলে মৃত্যু নিয়ে যেসব তথ্য প্রচারিত হচ্ছে সেগুলো নিয়ে আপত্তি তুলে ঊর্মি বলেন, ‘এধরনের খবর একেবারেই মিথ্যা। যদি টিয়ারশেলের আঘাতে আমার বাবা মারা যেতেন, তাহলে আমরাই জিডি করতাম বা অভিযোগ করতাম। কিন্তু স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে বলে আমরা এগুলো করিনি। আমরা কিছু না বললেও কিছু মানুষ এই ঘটনায় নানান রং মিশিয়ে বিভিন্নভাবে প্রচার করছে।’

উর্মি বলেন, ‘মানুষ আসলে বিভিন্ন রকম রং দিচ্ছে। আমার বাবা একজন একজন সহজ সরল ব্যক্তি, উনাকে নিয়ে যদি এটা করা খুবই দুঃখজনক। আমার বাবা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছেন। কিন্তু এর জন্য তিনি কোনো সুযোগ নেননি। এখন তিনি বলতেন- কেউ মায়ের জন্য কিছু করলে সুবিধা নেয় নাকি? দেশের জন্য যুদ্ধ করছেন, সুযোগ-সুবিধার জন্য নয়।’

এখন তাকে নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী দল টানাটানি করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এই মানুষটাকে নিয়ে যারা এধরনের মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে তাদেরকে থামতে বলেন সাংবাদিক রফিক ভূঁইয়ার মেয়ে।

শনিবার প্রেসক্লাবে যাওয়ার পথে সেগুনবাগিচায় রিকশা থেকে পড়ে মাথায় আঘাত পান রফিক ভূঁইয়া। পরে তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে সেখান থেকে আগারগাঁওয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মারা যান।

রফিক ভূঁইয়া ১৯৫১ সালের ১০ জানুয়ারি ফেনীর দাগনভূঞায় জন্মগ্রহণ করেন। নিহত রফিক ভূঁইয়া জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য ও সাপ্তাহিক নতুন কাগজ–এর সম্পাদক ছিলেন। তিনি চার ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন।




রাজনীতিক কোন সংলাপই সফলতার মুখ দেখেনি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতোই ঘনিয়ে আসছে রাজনীতির মাঠে ততোই ‘সংলাপ’ সামনে চলে আসছে। দেশের রাজনীতির ইতিহাসে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে সংকট নিরসনের মাধ্যম হিসেবে সংলাপকে গুরুত্ব দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন সংলাপই কার্যকর কোনো ফলাফল বয়ে আনতে পারেনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে আবারও আলোচনায় আসছে সংলাপের বিষয়টি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ বেশ কয়েকটি শর্ত আরোপ করে সংলাপে বসতে রাজি বিএনপি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শর্তযুক্ত কোন সংলাপে অংশগ্রহণ করবেনা দলটি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও শর্তহীনভাবে রাজনৈতিক দলগুলো সংলাপে বসে সংকট নিরসন করবে বলে প্রত্যশা করেছেন। কিন্তু বাস্তবায়তা কী? কোনো সংলাপ কী সফলতার মুখ দেখেছিল?

জিয়াউর রহমানের সংলাপ
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর যখন টালমাটাল রাজনীতির পরিবেশ,তখন নানা ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতার মসনদে বসেন জিয়াউর রহমান। নিজের ক্ষমতার আসনকে পাকাপোক্ত করতে এবং রাজনৈতিক পরিবেশ নিজের অনুকূলে আনতে চতুর জিয়া তার বিশেষ সহকারী বিচারপতি আব্দুস সাত্তারকে দিয়ে ১৯৭৬ সালের ২২ জানুয়ারি তৎকালীন রাজনৈতিক নেতাদের ডেকে একটি সংলাপের আয়োজন করান। আওয়ামী লীগসহ প্রগতিশীল সকল রাজনৈতিক দল সে সংলাপকে প্রত্যাখান করেছিল ।

এরশাদের যত সংলাপ
১৯৮৪ সালের ৯ এপ্রিল বঙ্গভবনে সাত দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। সাত দলের পক্ষ থেকে ৩০ দফা দাবি উত্থাপন করা হয় এরশাদের কাছে। এরশাদ দাবি না মানলে সাত দলের নেতারা সংলাপ কক্ষ ছেড়ে বের হয়ে আসেন। ১৯৮৪ সালের ১০ এপ্রিল বঙ্গভবনে জামায়াতের সঙ্গে সংলাপ করেন এরশাদ। ১১ এপ্রিল এরশাদ সংলাপ করেন ১৫ দলের নেতাদের সঙ্গে। সংলাপ ফলপ্রসূ না হলে ১৪ই এপ্রিল দ্বিতীয় দফা বৈঠক করেন ১৫ দলের নেতাদের সঙ্গে। আবার ১২ এপ্রিল এরশাদ বঙ্গভবনে বসে বৈঠক করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে। একই বছর ২৮ এপ্রিল আবারও বঙ্গভবনে এরশাদের সঙ্গে সংলাপ হয় ১০ দলের। কিন্তু কোনো সংলাপ ফলপ্রসু হয়নি।

১৯৮৭ সালে সব বিরোধী রাজনৈতিক শক্তির অব্যাহত আন্দোলনে কোনঠাসা এরশাদ সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি। রাজনৈতিক নেতারা প্রত্যাখ্যান করে সে আহ্বান। ওই বছরের ২৮ অক্টোবর এরশাদবিরোধী আন্দোলনের দুই নেত্রী শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিলো। একই বছরের ২৮ নভেম্বর স্বৈরশাসক এরশাদ আবারও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছিলেন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি। কিন্তু কোনো দলের কাছ থেকেই তেমন সাড়া মেলেনি।

নব্বই পরবর্তী সংলাপ
নব্বই পরবর্তী রাজনৈতিক ইতিহাসে চোখ রাখলে দেখা যায়, নির্বাচন এগিয়ে এলেই সামনে আসে সংলাপ প্রসঙ্গ। এসব সংলাপ কখনও হয় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে, কখনও নেতাদের মধ্যে। কখনো আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদেরও দেখা গেছে সংলাপের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে।

১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। তাদের ক্ষমতার শেষদিকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলনে নামে প্রায় সব বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি। ১৯৯৪ সালের ৩১ আগস্ট সরকারি ও বিরোধী দলের দুই উপনেতার বৈঠক হয়। একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর সে সময়ের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয় বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের।

উদ্যোগ নেয়া হয় দুই প্রধান নেত্রীর বৈঠকের। কমনওয়েলথ মহাসচিব এনিয়াওকুর এমেকা ওই বছরের ১৩ই সেপ্টেম্বর ঢাকায় এসে দেখা করেন দুই নেত্রীর সঙ্গে। এমেকা পরে প্রতিনিধি হিসেবে পাঠান স্যার স্টিফেন নিনিয়ানকে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক সংলাপ তত্ত্বাবধানে তার বিশেষত্ব ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে তিনি সফল হননি।

১৯৯৫ সালে আবার সংলাপের প্রস্তাব আসে সে সময়ের বিরোধীদল আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন তখনকার সংসদ উপনেতা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। তবে সংলাপ ব্যর্থ হলেও ১৯৯৬ সালে একতরফা নির্বাচন করেও টিকতে পারেনি বিএনপি। আওয়ামী লীগসহ অন্য বিরোধীদলগুলোর আন্দোলনের মুখে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় বিএনপি।

৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মধ্যস্থতায় সংলাপের আয়োজন হয়েছিল। ২০০১ সালেও নির্বাচনের আগে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে দ্বন্দ্ব হয় আওয়ামী লীগ বিএনপির মধ্যে। সে সময় মধ্যস্থতার জন্য এসেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার। তিনিও সংলাপ করেছিলেন দুই পক্ষের সঙ্গে। তার সে প্রচেষ্টাও ফলপ্রসূ হয়নি।

২০০৬ সালের অক্টোবরে সে সময়ের সরকারি দল বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া এবং বিরোধীদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল দফায় দফায় বৈঠক করেন। তিন সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিক সংলাপে বিএনপি মহাসচিবের কাছে ২৯ দফা প্রস্তাব দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। ছয় দফা বৈঠক করেও তারা কোনো সমাধানে আসতে পারেননি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০১৩ সালের শেষ দিকে ঢাকায় আসেন জাতিসংঘ মহাসচিরের বিশেষদূত অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো। ছয়দিন ঢাকায় অবস্থান করে ১০ ও ১১ ডিসেম্বর বৈঠক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে। তৃতীয় বৈঠক হয় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি নিল ওয়াকারের উপস্থিতিতে। কোনো বৈঠকই সফল হয়নি। এর আগে ওই বছরের ২৬ অক্টোবর টানটান রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে সংলাপের আমন্ত্রণ জানিয়ে ফোন করেন সে সময়ের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপ
২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও আনুষ্ঠানিক সংলাপ হয় দুই রাজনৈতিক জোটের মধ্যে। ২০১৮ সালের পয়লা নভেম্বর গণভবনে অনুষ্ঠিত সে সংলাপে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফন্ট্রের প্রধান নেতা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বেশ কয়েকজন নেতা। আর আওয়ামী জোটের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৪ দলের নেতারা।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংলাপ ইস্যু
যদিও সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান। তিনি বলেন, সংলাপ হচ্ছে প্রধান হাতিয়ার। আমরা বলেছি, আমরা সবসময় সংলাপকে স্বাগত জানাই। সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত বলে আমরাও মনে করি। সংবিধান আমাদের যেভাবে কাঠামো করে দিয়েছে, সেটা অনুসারে সংলাপ করতে হবে। সংবিধান আমাদের যেভাবে কাঠামো করে দিয়েছে, সেটা অনুসারে সংলাপ করতে হবে। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

যদিও বিএনপি শুরু থেকেই ‘রাজপথেই ফয়সালা হবে’ আর আওয়ামী লীগ ‘বিএনপিকে কোন ছাড় নয়’ নীতি নিয়েই অগ্রসর হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আলোচনা বা সংলাপ তখনই হবে, যখন নির্দলীয় সরকার মেনে নেওয়া হবে। দাবি মানার পর নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকারের মডেল বা রূপরেখা কী হবে, সেটি নিয়ে সংলাপ হতে পারে। এ ছাড়া সংলাপ করে কোনো লাভ নেই। তবে ২৮শে অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশের দিনে ব্যাপক সহিংসতায় এক পুলিশ সদস্যসহ দুই জনের মৃত্যুর পর বিএনপি মহাসচিবসহ অনেককেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আর উদ্ভূত এই পরিস্থিতির পর নির্বাচন নিয়ে সংলাপ বা সমঝোতার পরিবেশ তৈরির আর কোন সুযোগ আছে বলে মনে করেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরীন। তিনি বলেন, ‘২৮শে অক্টোবরে যে সহিংসতা হলো সেই বাস্তবতায় আওয়ামী লীগ যা বলছে তাতে আসলে সমঝোতার চিন্তা করারই আর কোন সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। পরিস্থিতি যাই হোক বিএনপির জন্য আওয়ামী লীগের সংলাপের দরজা খোলা নেই-এটিই এখন বাস্তবতা।’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমেদ বলছেন, দল দুটির এমন অনড় অবস্থানের কারণে সমঝোতার সম্ভাবনা আগে থেকেই ছিলো না। তিনি বলেন, ‘তারা কেউই তাদের জায়গা থেকে কখনো একটুও সরেননি। এ অবস্থায় সংলাপ হওয়ার কথাও না। আওয়ামী লীগ নির্বাচন কমিশনের সাথে সংলাপ করার জন্য বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছিলো কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচন কমিশনকেই মানছে না ‘ এমন পরিস্থিতিতে বিএনপি সফল হোক আর না হোক কিংবা তাদের কর্মসূচি মানুষ গ্রহণ করুক আর না করুক- বিদ্যমান বাস্তবতায় সমঝোতার কোন পরিস্থিতিই অবশিষ্ট নেই বলেই মনে করেন তিনি।




সায়মা ওয়াজেদ ডাব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। ভারতের নয়াদিল্লি থেকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ, ভুটান, গণতান্ত্রিক গণপ্রজাতন্ত্রী কোরিয়া ডিপিআরকে, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং তিমুর-লেস্তে বুধবার নয়াদিল্লিতে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক অধিবেশনের তৃতীয় দিনে ভোটে অংশ নেয়। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্য কমিটি। সায়মা আট ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। অপর প্রার্থী, নেপাল মনোনীত ডা. শম্ভু প্রসাদ আচার্য্য পেয়েছেন দুটি ভোট।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বুধবার দুপুরে তাঁর দপ্তরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আজ আমরা একটা সুখবর পেয়েছি। খুবই সুখবর। আমরা অনেক দিন ধরেই এ নির্বাচনের জন্য প্রচার চালাচ্ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।’

সায়মা ওয়াজেদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা এবং একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ-বিশেষ করে অটিজমের ভূমিকার জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। তিনি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ডাব্লিউএইচও -এর মহাপরিচালকের উপদেষ্টা। তার নাম এখন ডাব্লিউএইচও নির্বাহী বোর্ডের ১৫৪ তম অধিবেশনে নিয়োগের জন্য জমা দেওয়া হবে। আগামী ২২-২৭ জানুয়ারি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে ওই অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে।

এরপর তিনি ১ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এর সাথে, সায়মা ওয়াজেদ প্রথম বাংলাদেশি হবেন যিনি ডাব্লিউএইচও -এর আঞ্চলিক বিভাগের অংশ হিসাবে 1948 সালে তৈরি করা পদে অধিষ্ঠিত হবেন।

বাংলাদেশ সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক পদে সায়মা ওয়াজেদকে মনোনীত করেছিল। ডব্লিউএইচও দক্ষিণ পূর্ব অঞ্চলবিষয়ক অফিস ওই সংস্থার ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে একটি। এটি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত।

সায়মা ওয়াজেদ ১৯৯৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞানে স্নাতক এবং ২০০২ সালে ক্লিনিক্যাল মনস্তত্ত্বে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৪ সালে স্কুল সাইকোলজির ওপর বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি অর্জন করেন। ব্যারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সময় তিনি বাংলাদেশের নারীদের উন্নয়নের ওপর গবেষণা করেন। এ বিষয়ে তার গবেষণাকর্ম ফ্লোরিডার অ্যাকাডেমি অব সায়েন্সের কাছ থেকে শ্রেষ্ঠ সায়েন্টিফিক উপস্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেন।