দর্শনা সীমান্তে ৭ কেজি রুপাসহ ২ চোরাকারবারী আটক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা বাড়াদী সীমান্তে প্রায় ৭ কেজি দানাদার রুপাসহ ২ চোরাচালানীকে আটক করেছে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি।

আজ বুধবার (১লা নভেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়নের ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি নেতৃত্বে অভিযান চালায় হৈবৎপুর মাঠে ৬ বিজিবির বারাদী বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মনির হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় টহল দল নিয়ে সীমান্তের মেইন পিলার ৮০ হতে আনুমানিক ০১ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হৈবতপুর মাঠের পাশে অভিযান চালায়।

এ সময় সন্দেহজনক ভাবে তিনজন ব্যক্তিকে সীমান্তের দিক থেকে পায়ে হেটে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে হৈবতপুর মাঠের মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি টহল দল তাদেরকে ধাওয়া করে। বিজিবি ধাওয়া করে বিজিবি সশস্ত্র টহল দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে তাদেরকে ধাওয়া করে দুইজন ব্যক্তিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

আটককৃত চোরাচালানী হৈয়বতপুর গ্রামের আবু ববক্কর (২২), পিতা-আবুল কাশেম, ইমার হামজা (২৩), পিতা- হিসাব আলী।পরে তাদের দেহ তল্লাশী করে ২ জনের কোমরে সাদা কপড়ে পেছানো ৬কেজি ৯শ৯০ গ্রাম দানাদার রুপা উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত দানাদার রৃপার বাজার মৃল্যে ১২ লক্ষ টাকা।এ ঘটনায় বাড়াদী ক্যাম্পের হাবিলদার মনির হোসেন বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করেছে। এবং আটককৃত রুপাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




দর্শনা পুরাতন বাজারে তরফদার ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন

দর্শনা পুরাতন বাজার তরফদার মার্কেটে তরফদার ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১১ টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার দোয়েল চত্তর সংলগ্ন তরফদার মার্কেটে তরফদার ক্লিনিকের শুভ উদ্ধোধন করেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু,দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু।

ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী পুরাতন বাজার দোকান মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সোহেল তরফদারের সার্বিক ব্যাবস্থাপনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী,সহ সভাপতি শফিকুল আলম, দর্শনা পুরাতন বাজার কমিটির সভাপতি আশরাফুল আলম বাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক,হাজী আব্দুল মমিন,আবু সুফিয়ান,সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল। উদ্ধোধনী শেষে দোয়া অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন হাফেজ মাওলানা রাসেল আহম্মেদ।




আলমডাঙ্গার রাস্তাতে গাইড ওয়াল না থাকায় ভেঙ্গে যাওয়ার আশংকা

আলমডাঙ্গার কালিদাসপুরে রাস্তার পাশে গাইড ওয়াল না থাকায় সদ্য নির্মিত রাস্তা ভেঙে নেমে যাচ্ছে পুকুরে । নির্মিত রাস্তা সংরক্ষণের জন্য গাইড ওয়াল নির্মাণ জরুরী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের দাবী রাস্তা নির্মাণের আগেই পুকুরের ধারে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হোক।

মাঝে মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে। এদিকে আজ বুধবার সদ্য নির্মিত এ রাস্তা পরিদর্শন করেন উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডির) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তরুণ জোয়ার্দ্দার।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুর দক্ষিণপাড়ায় প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যায়ে আরডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩’শ মিটার রাস্তার কাজ চলমান। ইতোমধ্যে রাস্তার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কালিদাসপুর ইউনিয়ন শহর কেন্দ্রীক হলেও দীর্ঘদিন ধরে এ রাস্তার উন্নয়নের কাজ হয়নি। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দীর্ঘদিন পর এই রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। গত ১ মাস পূর্বে মুসল ধারার বৃষ্টিতে সদ্য নির্মিত রাস্তাটি ভেঙে পাশেই অবস্থিত পুকুরে চলে গেছে। এ রুপ ঘটনায় এলাকাবাসী রাস্তাটি দীর্ঘ মেয়াদি টেকসই ভাবে নির্মাণ সহ গাইড ওয়াল নির্মাণের দাবি করেন। এমন ঘটনায় বুধবার সকালে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রকৌশলী তরুণ জোয়ার্দ্দার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আহসান উল্লাহ। তিনি জানান, সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন এমপির প্রচেষ্টায় রাস্তার কাজ হচ্ছে। তবে গাইড ওয়াল বরাদ্দ না থাকায় নির্মাণ করা হয়নি। টেকসই সড়ক নির্মানের জন্য গাইডওয়াল একান্ত প্রয়োজন, এজন্য উপজেলা প্রকৌশলী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।




জীবননগরে জাতীয় যুব দিবস পালিত

জীবননগরে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টার সময় উপজেলা প্রশাসন ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদের হলরুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহাজ্জদ মির্জা প্রমূখ। আলোচনা সভা শেষে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে চেক বিতারণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

এদিকে একই দিনে বিকাল ৪টার সময় উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নের বাঁকা গ্রামের সমৃদ্ধ কেন্দ্রে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ইউনিয়ন যুবদের আয়োজনে পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর ইয়ুথ এ্যাসেম্বলির সভাপতি ও মাই টিভি প্রতিনিধি মিথুন মাহমুদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক এ,আর, ডাবলু, বাঁকা ইউনিয়ন সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়ক ইশরাত জাহান, ওয়েভ কর্মকর্তা পাপিয়া খাতুন, বাঁকা ইউনিয়ন যুব কমিটির সভাপতি ইনামুল হক।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিথুন মাহমুদ বলেন, “যুবদের সেবা, উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী মানসিকতা দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের যুব সমাজের অংশীদারিত্ব ছিল অন্যতম। দেশের যুব সমাজের বৃহদাংশ আজ উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। যারা দেশের মৎস্য, কৃষি, বস্ত্র, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করে তুলছে”।




মেহেরপুরে নানা আয়োজনে জাতীয় যুব দিবস পালন

জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে মেহেরপুর জেলা যুব উন্নয়ন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বুধবার সকালে মেহেরপুর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে যুব র‍্যালি, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, যুব ঋণের চেক, সনদপত্র, ক্রেস্ট ও পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক কাজী আব্দুল কাদির মিয়া, মেহেরপুর জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলের রাব্বি, কারিগরি শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আরিফ হোসেন তালুকদার।

জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  ফিরোজ আহমেদ।
যুব দিবস উপলক্ষে যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষনার্থী সুমাইয়া আক্তার, সফল আত্মকর্মী মিজানুর রহমান, যুব সংগঠক রেহেনা মান্নান, সদস্য যুব কাউন্সিল নিশাত আফরিন রাহী এ সময় বক্তব্য রাখেন।

মেহেরপুর যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কম্পিউটার প্রশিক্ষক মাসুদ আল আহসান নবেল জাতীয় যুব দিবসের প্রোগ্রাম সঞ্চালনা করেন।

এছাড়াও মেহেরপুর জেলা যুব উন্নয়নের বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।




তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করলেন হাসিনা-মোদি

ভারতের অর্থায়নে বাস্তবায়িত তিনটি উন্নয়ন প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার ভার্চুয়ালি এই প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করা হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে যুক্ত হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রকল্প তিনটি হলো—আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেলসংযোগ, খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘উন্নয়ন প্রকল্পগুলো উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। এছাড়া আঞ্চলিক যোগাযোগ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর উদ্বোধন পারস্পরিক বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বহিঃপ্রকাশ। এজন্য আমি নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে আমরা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করেছি। বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ খাতে আমাদের অর্জন দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত লাভ করেছে। চট্টগ্রাম বন্দর, মোংলা বন্দর এবং চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ভারতের জনগণের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।’

বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ মনে করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালে ছিল ২৫.১ শতাংশ। ২০২২ সালে ৫.৬ শতাংশে নামিয়ে এনেছে আওয়ামী লীগ সরকার। মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে ৫৪৩ মার্কিন ডলার থেকে ২৭৬৫ মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে।’

যৌথ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এটা আনন্দের বিষয় যে আমরা আবারও ভারত-বাংলাদেশ সহযোগিতার সাফল্য উদযাপন করতে সংযুক্ত হয়েছি। আমাদের সম্পর্ক ক্রমাগত নতুন উচ্চতায় পৌঁছে যাচ্ছে। গত ৯ বছরে আমরা একসঙ্গে যে কাজ করেছি, তা আগের কয়েক দশকেও করা হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘সীমান্তে শান্তি, নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এটি কয়েক দশক ধরে ঝুঁলে ছিল। আমরা সমুদ্রসীমার বিরোধও সমাধান করেছি। গত ৯ বছরে ৩টি নতুন বাস পরিষেবা চালুর মাধ্যমে ঢাকা, শিলং, আগরতলা, গুয়াহাটি এবং কলকাতার মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গত ৯ বছরে ৩টি নতুন ট্রেন পরিষেবাও শুরু হয়েছে। ২০২০ সাল থেকে পার্সেল এবং কন্টেইনার ট্রেনগুলোও ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে চলছে, গঙ্গা বিলাস নামে বিশ্বের সবচেয়ে বড় প্রমোদতরী চালু করে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটনও চাঙ্গা করা হয়েছে। গত ৯ বছরে আমাদের (বাংলাদেশ ও ভারতের) অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য তিনগুণ বেড়েছে।’

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়নে অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত।’ তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে বর্তমান সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।’ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে ভারত সব সময় বাংলাদেশের পাশে আছে এবং থাকবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

আখাউড়া-আগরতলা আন্তসীমান্ত রেলসংযোগ প্রকল্পটি ভারত সরকারের ৩৯২ কোটি ৫২ লাখ টাকার অনুদান সহায়তার আওতায় বাস্তবায়িত হয়েছে। রেলসংযোগের দৈর্ঘ্য ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ রেললাইন এবং ত্রিপুরায় ৫ দশমিক ৪৬ কিলোমিটার।

খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারত সরকারের ছাড়ের লাইন অব ক্রেডিটের আওতায় ৩৮৮ দশমিক ৯২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় মোংলা বন্দর ও খুলনার বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ করা হবে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ভারতীয় ঋণসহায়তার আওতায় বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের রামপালে অবস্থিত একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট (২x৬৬০) সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট (এমএসটিপিপি) প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়। এই পাওয়ার প্ল্যান্টের প্রথম ইউনিটটি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং ইউনিট-২ চলতি বছরের ১ নভেম্বর উদ্বোধন করবেন।




গাংনীতে সাইকেল র‍্যালি দিয়ে যুব দিবস পালন

গাংনীর জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেনীর ছাত্রীদের নিয়ে পরিবেশ বান্ধব যানবাহন ব্যবহার করি নির্মল বায়ূ নিশ্চিত করি এবং প্রতিটি রাস্তায় সাইকেল লেন বাস্তবায়ন করি এই প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে সাইকেল র‍্যালির মাধ্যমে যুব দিবস পালন করা হয়েছে।

আজ বুধবার সকাল ১১ টার সময় গাংনীর জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ সারা বাংলাদেশে বিশুদ্ধ বায়ু ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে তরুণদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে এদেশের বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন / এনজিওকে সাথে নিয়ে দ্য আর্থ সোসাইটি বাংলাদেশের গঠিত জাতীয় প্লাটফর্ম ইয়ুথ ফর কেয়ার। জাতীয় যুব দিবসে পরিবেশবাহন যানবাহনের প্রচলন বৃদ্ধি, মহাসড়কগুলোতে সাইকেল লেন নির্মাণ এবং নির্মল বায়ু নিশ্চিত করার দাবিকে সামনে রেখে ইয়ুথ ফর কেয়ার প্লাটফর্মের কমিউনিটি পার্টনারদের উদ্যেগে জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সহ দেশের ৩০ টি জেলায় সাইকেল র‍্যালি আয়োজিত হয়েছে৷

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাসান আল নূর।দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দিন। ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশের যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী ফিরোজ আহম্মেদ পলাশ। কাথুলী ইয়ূথ ইউনিট এর কো অর্ডিনেটর রায়হান আলী সহ স্কুলের বিভিন্ন শ্রেনীর ছাত্রীদের নিয়ে সাইকেল র‍্যালি করা হয়।




কোটচাঁদপুরে দায়সারা ভাবে যুব দিবস পালিত

কোটচাঁদপুরে দায়সারা ভাবে পালিত হয়েছে যুব দিবস। দিবসটি পালনে র‍্যালি ও আলোচনা সভা হওয়ার কথা থাকলেও র‍্যালিতেই শেষ হয় দিবসের কর্মসুচী। ওই র‍্যালিতেই বিতরন করা হয় লোনের চেক। বুধবার (০১ নভেম্বর ) সকাল এ অনুষ্ঠান করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,  স্মার্ট যুব,সমৃদ্ধদেশ,বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ এ প্রতিপাদ্যে পালিত হয়েছে যুব দিবস। দিবসটি পালনে,র‍্যালি ও আলোচনা সভার কর্মসুচী আয়োজন করেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস। তবে পালন করা হয় শুধুমাত্র র‍্যালি। আর ওই র‍্যালিতেই বিতরন করা হয় লোনের চেক।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছাঃ শরিফুননেসা মিকি, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায় ও উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা শামসুল আলম।

তিনি বলেন,যুব দিবসে ৫ জনকে সাড়ে ৪ লাখ টাকার চেক বিতরন করা হয়। এরপর জানতে চাওয়া হয় র‍্যালিতে চেক বিতরনের বিষয়টি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,উপজেলা চেয়ারম্যানের বিশেষ মিটিং ছিল। আর ভারপ্রাপ্ত ইউএনও পরীক্ষার ডিউটি ছিল, এ কারনে ওনাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী র‍্যালিতে চেকগুলো দেয়া হয়েছে।




অবরোধে দ্বিতীয় দিনে রাজধানীতে যানবাহন চলাচল বেড়েছে

তিন দিনের অবরোধ ডেকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ করে রেখেছে বিএনপি। রাজধানীর কোথাও অবরোধের সমর্থনে মাঠে নামেনি দলটির নেতাকর্মীরা। দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর সড়কে বেড়েছে যানবাহন চলাচল। বিভিন্ন মোড়ে তৈরি হয়েছে যানজটও। ট্রেন চলাচলও স্বাভাবিক। নগরবাসীর নিরাপত্তার সড়কে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান।

অতীতে বিএনপির কার্যালয় অবরুদ্ধ কিংবা পুলিশের দখলে থাকলেও দলটির কার্যালয়ে অবস্থান করতে দেখা যেতো দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে। কিন্ত চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে বিএনপির এই নেতাকেও কার্যালয়ের আশেপাশে দেখা যাচ্ছে না।

বুধবার সকাল থেকে রাজধানীর বাংলামোটর, শাহবাগ, সচিবালয়, পল্টন, মতিঝিল, কমলাপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, স্বাভাবিক দিনের তুলনায় সাধারণ মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা অনেক কম। তবে এসব এলাকার কোথাও অবরোধের সমর্থনে বিএনপি জামায়াতের কাউকে রাস্তায় দেখা যায়নি। কোথাও চোখে পড়েনি মিছিল, শোনা যায়নি কোনো স্লোগান। একই সময়ে সরকারি দলের কোনো নেতাকর্মীকেও মাঠে দেখা যায়নি।

এসব এলাকায় গণপরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা প্রথম দিনের চেয়ে বেড়েছে। রিকশা, ভ্যান, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেলের উপস্থিতিও বেশি। এই কারণে অবরোধের টানা দ্বিতীয় দিনে বিভিন্ন মোড়ে যানজট তৈরি হয়েছে।

এদিকে সময় মতো রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে ট্রেন। প্রতিটি ট্রেনেই যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সাইফুল ইসলাম নামের এক যাত্রী জানান, জরুরি কাজে তাকে রাজশাহীতে যেতে হচ্ছে। একারণে স্টেশনে এসেছেন। কাউন্টারে ভিড়ের কারণে টিকিট কাটতে তাকে ঘণ্টা খানিক লাইনে দাড়িয়ে থাকতে হয়েছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে রবিবার হরতাল ঘোষণা করে। এরপর মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথে সর্বাত্মক অবরোধের ঘোষণা দেয়। একই কর্মসূচি পালন করছে জামায়াতে ইসলামীও। তাদের সঙ্গে আছে সমমনা দলগুলোও।




গাজায় মহাদুর্যোগে ফিলিস্তিনিদের পাশে বাংলাদেশ

মিসরের সুয়েজ খাল পেরিয়ে ১৯৭৩-এর আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সিনাই রণাঙ্গনে এসে পৌঁছলাম। ২০১০-এর জুনের সকালে। সিনাই মরুভূমির মধ্য দিয়ে তৈরি সড়ক পথে প্রায় ৫০ কিলোমিটার যাওয়ার পর স্থানীয় ট্যাক্সিচালক আহমদ জানালেন, ‘আরও প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গেলেই সিনাইয়ের রাফা ক্রসিং।’ সেটিই মিসর-গাজার (ফিলিস্তিন) সীমান্ত। গাজা সীমান্ত ইঙ্গিত করে দীর্ঘদেহী আহমদ আরও বললেন, ‘ছোটবেলায় পরিবারের সঙ্গে শরণার্থী হিসেবে মিসরে এসেছিলাম। গাজা আমার জন্মভূমি’। আমাদের থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে থাকা প্যালেস্টাইন বা ফিলিস্তিনের সুপ্রাচীন জনপদ গাজা এখন বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত জনপদ। যা ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর আক্রমণে পরিণত হয়েছে ভয়াল মৃত্যুপুরীতে। ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে আহমদের মতো হতভাগ্য প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনির জনপদ গাজায় এখন কেয়ামতের মতো দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। মিডিয়ায় দৃশ্যমান, এমন ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যা সাম্প্রতিককালে বিরল। ইতোমধ্যে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজায় প্রায় ৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার এই মহাদুর্যোগে, মজলুম ও বিপন্ন ফিলিস্তিনিদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার হামাস যোদ্ধারা ইসরায়েলের অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনীর কার্যকর নজরদারি প্রযুক্তি এবং চৌকশ ও দুর্র্ধর্ষ গোয়েন্দা বাহিনীকে ফাঁকি দিয়ে গাজা সীমান্ত অতিক্রম করে ইসরায়েলের ভিতরে আক্রমণ করে। তাদের হামলায় ২৯৯ জন সামরিক বাহিনীর সদস্যসহ নিহত হয় প্রায় ১৪০০ ইসরায়েলি নাগরিক। হামাসের এই আক্রমণের প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর আক্রমণে মাত্র ৩৬৫ বর্গকিলোমিটার আয়তনের গাজা স্ট্রিপ নামের ক্ষুদ্র উপকূলীয় ছিটমহলটি এখন ধ্বংসস্তূপ। এই বর্বর আক্রমণে সেখানে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় নাকবা বা মহাদুর্যোগ। বৃষ্টির মতো বোমা পড়ছে হাসপাতাল, ঘরবাড়ি, স্কুল-মসজিদে। বিশেষত গাজার আল-আহালি আল-আরাবি হাসপাতালের হত্যাযজ্ঞ স্তম্ভিত করেছে বিশ্বকে। গাজার মানুষকে ‘কালেকটিভ পানিশমেন্ট’ দেওয়ার জন্য খাদ্য, বিদ্যুৎ, পানি, জ্বালানি বন্ধ করে দিয়ে গাজাকে নয়া কারবালা বানিয়েছে ইসরায়েল। প্রায় ১১ লাখ ফিলিস্তিনিকে উত্তর গাজা থেকে দক্ষিণ গাজায় যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় পলায়মান মানুষের ওপর বিমান থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হয়েছে। ইসরায়েলের এই জঘন্য গণহত্যা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন সংকটের জন্ম দিয়েছে। গাজা উপত্যকা নিয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর পরিকল্পনাকে নাৎসিদের ইহুদি নিধনের সঙ্গে তুলনা করেছেন ইসরায়েলি সংসদ সদস্য ওফার ক্যাসিফ। প্যালেস্টাইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে রবীন্দ্রনাথের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ কথা (১৯৩০)। আশ্চর্য বিষয় হলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯৩০ সালে অর্থাৎ ৯৩ বছর আগে প্যালেস্টাইন অঞ্চলে অস্থিরতা ও অশান্তির আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। জুইশ স্ট্যান্ডার্ড নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি পত্রিকা থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের এক সাক্ষাৎকার যখন বের হয়, তখন (১৯৩০) প্যালেস্টাইনে আরব ও ইহুদিদের মধ্যে অস্থিরতা চলছে। তখনো ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠিত হয়নি।

সেই সময়ে ইউরোপ-যুক্তরাষ্ট্র থেকে দলে দলে আসা ইহুদি জনগোষ্ঠী ফিলিস্তিনের আরব সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে বসবাস স্থাপন করছিল। ইহুদিরা দরিদ্র আরব সম্প্রদায় থেকে কৌশলে জমি কিনছিল। অন্যদিকে সেই সময় শক্তিশালী কিছু দেশের সমর্থনে গোপনে ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা চলছিল। সেই পরিস্থিতিতে রবীন্দ্রনাথ বলেন, ‘জায়নবাদী নেতৃত্বে ফিলিস্তিনে ইহুদিদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে আরবদের থেকে আলাদা করার জন্য জোর দিলে পবিত্র ভূমিতে বিস্ফোরণ ঘটবে।’ প্যালেস্টাইন বিষয়ে রবীন্দ্রনাথের অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ ও ভবিষ্যৎমুখী দৃষ্টি সত্যি বিস্ময়কর। বিষয়টি হয়তো এখনো প্রাসঙ্গিক।
ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই ফিলিস্তিন ও বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ এবং আন্তরিক। ‘দুই রাষ্ট্র সমাধানের’ ভিত্তিতে বাংলাদেশ সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র সমর্থন করে এবং ইসরায়েলের ‘অবৈধভাবে ফিলিস্তিন দখলের’ সমাপ্তি দাবি করে থাকে।

প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার দূরের ফিলিস্তিনের প্রতি অব্যাহত সমর্থন জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ। ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানানোর অংশ হিসেবে বাংলাদেশ গত ৫২ বছরে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৭১-এর পরে প্রথমদিকে অধিকাংশ আরব রাষ্ট্র সদ্যস্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিল, কিন্তু এই সম্পর্ক উষ্ণ হতে থাকে যখন ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে আরবদের সমর্থন করে মেডিকেল টিম ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সহায়তা করে।

১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের লাহোরে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনের সময় ফিলিস্তিনি নেতা ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পিএলওর মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়। ইসরায়েলের দখলদারির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জনকে সমর্থন করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি। ১৯৬৭ সালে নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে সমর্থন করে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের চতুর্থ ন্যাম সম্মেলনে ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে তাঁর প্রথম ভাষণে এবং ১৯৭৪ সালে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান। বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস ওয়াই রামাদান বলেছেন, ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের যে আন্তরিকতা, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা, তা বিশ্বে বিরল। ফিলিস্তিনের সঙ্গে বাংলাদেশের ভ্রাতৃত্বের সম্পর্ক কেবল ধর্মের ভিত্তিতে নয়। এর সঙ্গে রয়েছে স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামরত একটি জাতির জন্য বাংলাদেশের সংগ্রামী জনগণের আবেগ, মমত্ববোধ ও মানবতা। ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের অসাধারণ আন্তরিক সমর্থন রয়েছে। ইয়াসির আরাফাত বেশ কয়েকবার বাংলাদেশ সফরে আসেন। প্রতিবারই তিনি বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম, রাজনীতিবিদ ও সাধারণ জনগণের থেকে উষ্ণ অভ্যর্থনা পান। ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সফর করেন।

১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণার পর থেকে জাতিসংঘের যে ১৩৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। ১৯৮০ সালে বাংলাদেশ একটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোচন করে যেখানে একজন ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী যোদ্ধাকে দেখা যায়, যার পেছনে রয়েছে কাঁটাতারে ঘেরা আল-আকসা মসজিদ। সিরিয়ার রণাঙ্গনে বাংলাদেশ মেডিকেল টিম (১৯৭৩)। ইসরায়েল অধিকৃত ভূমি উদ্ধারের জন্য ১৯৭৩ সালে মিসর ও সিরিয়া যৌথভাবে ৬ অক্টোবর ১৯৭৩ তারিখে ইসরায়েল আক্রমণ করে, যা ইতিহাসে ‘আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ অক্টোবর ১৯৭৩’ নামে খ্যাত।

মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার অধিকাংশ আরব দেশ তখনো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়নি। এ সময় এক বিস্ময়কর কূটনৈতিক অভিযানে অবতীর্ণ হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে আরবদের প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়ে ঘোষণা করলেন, ‘আরবরা আমাদের স্বীকৃতি দিক না দিক, তারা আমাদের ভাই। তাদের ন্যায্য সংগ্রামে আমরা তাদের পাশে আছি।’ এই পটভূমিতেই সিরিয়ার রণাঙ্গনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি মেডিকেল টিম ও মিসরের বাহিনীর জন্য চা পাঠানো হয়েছিল। কর্নেল খুরশিদ উদ্দিন আহমেদের (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, প্রয়াত) নেতৃত্বে ২৮ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম ১৯৭৩-এর ১৯ অক্টোবর সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। সৈন্যবাহী বিমানটির যাত্রাবিরতি হলো বাহরাইনে। এরপর বিমানটি তুরস্ক-গ্রিস মাল্টার আকাশ হয়ে অবশেষে সন্ধ্যায় ল্যান্ড করল লিবিয়ার বেনগাজি বিমানবন্দরে। বেনগাজিতে মিসরের প্রতিনিধির কাছে মিসরীয় বাহিনীর জন্য বাংলাদেশের চায়ের প্যাকেটগুলো হস্তান্তর করা হলো। ২১ অক্টোবর, লিবিয়া সরকারের বন্দোবস্তে বাংলাদেশের সেনাদল মিডল ইস্ট এয়ারলাইনসের একটি বিমানে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে পৌঁছে। বৈরুত থেকে সড়কপথে ২২ অক্টোবর ভোররাতে দামেস্ক নগরীতে পৌঁছায় মেডিকেল টিম। বাংলাদেশের মেডিকেল টিমটি দামেস্ক নগরীর পশ্চিমদিকে দারুস সালাম নামক স্থানে মোতায়েন করা হয়। সেখানে মেয়েদের একটি স্কুলে ইতিপূর্বে সিরিয়ার চিকিৎসকরা একটি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই চিকিৎসা কেন্দ্রটিকে বাংলার মেডিকেল দল একটি ক্ষুদ্র তবে কার্যকর ফিল্ড হাসপাতালে পরিণত করে। ওই হাসপাতালে মূলত সিরিয়ার আধাসরকারি বাহিনী ও প্যালেস্টাইনি যোদ্ধাদের চিকিৎসা দেওয়া হতো।

বাংলাদেশের সেনা দল ২২ নভেম্বর পর্যন্ত (৩০ দিন) দামেস্কে দায়িত্ব পালন করে। মেডিকেল টিমটি এক মাসে ওয়ার সার্জারিসহ শতাধিক ব্যক্তির চিকিৎসা প্রদান করে। মেডিকেল টিমের সদস্যরা তাদের পেশাগত দক্ষতা, দেশপ্রেম, আন্তরিকতা ও মমত্ব সহকারে অসুস্থ ও আহত আরবদের সেবা প্রদান করেছিল। ৩০ দিনের এই মেডিকেল মিশনটি ছিল ঘটনাবহুল ও নাটকীয়তায় ভরা। এর তাৎপর্যও ছিল ব্যাপক ও সুদূরপ্রসারী। ১৯৭৩-এর আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় বঙ্গবন্ধু সরকার আরব ভাইদের মুক্তিসংগ্রামে সহায়তার জন্য একদল মুক্তিযোদ্ধা পাঠানোর ঘোষণা দেন। সে ঘোষণায় অনুপ্রাণিত হয় দেশের অনেক মুক্তিযোদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল এম এ তাহের, বীরউত্তম, সেখানে যুদ্ধে যোগ দিতে চেয়ে বঙ্গবন্ধুকে ১৩ অক্টোবর ১৯৭৩ তারিখে একটি চিঠি লিখেছিলেন। উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল তাহের তখন বিআইডব্লিউটিসির ‘সি-ট্রাক ইউনিটের’ ম্যানেজার হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।

লেবাননে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেডিকেল টিম (১৯৮১)। ইসরায়েল বাহিনী ১৯৮১ সালে লেবাননে অবস্থিত ফিলিস্তিন শরণার্থীদের ওপর ব্যাপক আক্রমণ পরিচালনা করেছিল। আক্রমণে হতাহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা প্রদানের জন্য ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানায়। এ আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সরকার লেবাননে ফিলিস্তিনি নাগরিকদের চিকিৎসাসেবা প্রদানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি মেডিকেল টিম লেবাননে পাঠায়। তৎকালীন লে. কর্নেল এইচ কে এম গোলাম মুরতোজার (পরে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) নেতৃত্বে ৬ সদস্যের এই মেডিকেল টিম ১৯৮১ সালের ২৩ আগস্ট লেবাননে যায়। দায়িত্ব পালন শেষে দলটি ১৯৮১ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করে। মেডিকেল টিমটি দক্ষিণ লেবাননের সিডনে অবস্থিত সাইদা হাসপাতালে আহত ফিলিস্তিনিদের চিকিৎসা প্রদান করে। সিডন ছাড়াও এই মেডিকেল টিম ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি পরিচালিত কয়েকটি হাসপাতালে যায়। লেবাননে ফিলিস্তিনির পক্ষে বাংলাদেশিদের যুদ্ধ (১৯৮০-১৯৮২)। ইয়াসির আরাফাত যখন ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি স্বাধীন আবাসভূমি গড়ার সংগ্রামে লিপ্ত তখন সেই সংগ্রামে অংশ নিয়েছিলেন অনেক বাংলাদেশি তরুণ। ১৯৮০-৮২ সালে লেবাননে অবস্থান নিয়ে স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল কয়েক শ মতান্তরে কয়েক হাজার বাংলদেশি তরুণ। ১৯৭০-১৯৮০ দশকে লেবাননে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সদর দফতরসহ (বৈরুতে) শক্তিশালী অবস্থান ছিল। ১৯৮২-এর জুনে ইসরায়েল লেবাননে আগ্রাসন পরিচালনা করলে ফিলিস্তিনি গেরিলাদের সঙ্গে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। এ ধরনের পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধারা লেবাননে প্যালেস্টানিদের পক্ষে যুদ্ধ করেছিলেন। চরম গোলযোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে অস্ত্র হাতে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করা থেকে শুরু করে অস্ত্র-রসদ বহন ও পাহারার কাজও করেছেন বাংলাদেশের এসব তরুণ স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা। জানা যায়, লেবাননের প্রায় শতাধিক বাংলাদেশি যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের লাইব্রেরি অব কংগ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৮ হাজার বাংলাদেশি অংশ নিয়েছেন। উল্লেখ্য, লেবাননের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারীদের বড় অংশ ছিল বিভিন্ন প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের সদস্য। বিশেষত তারুণ্যনির্ভর একটি বামপন্থি দলের। ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধে লেবাননে সম্মুখ সারির গেরিলা ছিলেন নরসিংদীর আতাউর রহমান ফারুক। তিনি নিজের যুদ্ধ-অভিজ্ঞতার রোমাঞ্চকর ঘটনা নিয়ে ‘ফিলিস্তিন-ইসরায়েল যুদ্ধের গেরিলা আমি’-নামে একটি বই লিখেছেন।

লেবাননের যুদ্ধে বাংলাদেশি যোদ্ধাদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। পিএলও লেবানন শাখার সূত্রমতে, বাংলাদেশি যোদ্ধাদের সংখ্যা ১ থেকে দেড় হাজার হতে পারে (দৈনিক আল-আখবার)। সাম্প্রতিক ঘটনা ও বাংলাদেশের প্রতিক্রিয়া। ঐতিহাসিকভাবেই বাংলাদেশ তার সৃষ্টির সময় থেকেই ফিলিস্তিনের নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের পাশে আছে এবং তাদের সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছে। ইসরায়েলের চলমান নৃশংস মানবতাবিরোধী এই হামলায় নারী, শিশু ও সাধারণ ফিলিস্তিনিরা মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলসহ প্রায় সব রাজনৈতিক দল গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর ধ্বংসযজ্ঞ ও গণহত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।

সাম্প্রতিক গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের নির্লজ্জ হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে চিঠি পাঠিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি বাংলাদেশ ও এর জনগণের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।

বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পাশে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ১৮ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে ওআইসিভুক্ত ১৪ দেশের রাষ্ট্রদূত সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন তিনি। ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ রামাদানের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সব সময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছে। ২০ অক্টোবর শুক্রবার বাংলাদেশের সব মসজিদে ফিলিস্তিনিদের জন্য দোয়া পড়ানো হয়। ২১ অক্টোবর গাজার নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক প্রকাশ করা হয়েছে। ২২ অক্টোবর ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতীয় সংসদে শোক জানানো হয়। গাজা উপত্যকার যুদ্ধবিধ্বস্ত মানুষের জন্য মানবিক সহায়তা চালানের প্রথম কিস্তি ২৩ অক্টোবর বিকালে ঢাকায় ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যুদ্ধ বন্ধ করা। বিপন্ন ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষা করা। যুদ্ধবিরতির কথা বারবার বলছে বাংলাদেশ। ইসরায়েলের এই বর্বর আক্রমণ বন্ধ করতে এগিয়ে আসুক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়।

লেখক: অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, গবেষক।