মেহেরপুরে পাইকারি আলু ব্যবসায়ীসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

মেহেরপুরের গাংনীতে বিক্রয় রশিদ প্রদান না করায় পাইকারি আলু ব্যবসায়ীসহ দুটি প্রতিষ্ঠানে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী শহরে এ অভিযান পরিচালনা করেন মেহেরপুর জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

মেহেরপুর ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাইকারী আলু ব্যবসায়ী মেসার্স সততা ভান্ডারের মালিক শাহাদুল ইসলাম খুচরা বিক্রেতাদের বিক্রয় রশিদ দেন না। এ অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীর ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি আরো জানান, সরকার নির্ধারিত রেটের বেশি ৪০ টাকা কেজি দরে তিনি আলু পাইকারি বিক্রি করছিলেন।

পরে একই বাজারে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ শিশু খাদ্য বিক্রি করার অপরাধে গাংনী স্টুডেন্ট কর্ণারের মালিক শফিকুল ইসলামকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এসময় জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মশিউর রহমানসহ পুলিশের একটি টিম অভিযানে অংশ নেন।




মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র সেজো ভাই শহিদুল আলমের মৃত্যু

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি’র সেজো ভাই শহিদুল আলম মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।

গতকাল সোমবার (৭ নভেম্বর) দিবাগত রাত পৌনে ১০টায় রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান। তিনি যুব উন্নয়ন অধিদফতরে সুনামের সাথে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ১ কন্যা ও ১ পুত্রসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

শহিদুল আলমের মৃত্যুতে কুষ্টিয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ গভীর দুঃখ ও সমবেদনা জানিয়েছেন। কুষ্টিয়া-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আ. কা. ম. সারোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা, পুলিশ সুপার এ এইচ এম আব্দুর রকিব, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী, কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলী, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা, সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ আবু সাইদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আ. স. ম আখতারুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক,শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা, বিএমএ কুষ্টিয়ার সাধারষ সম্পাদক ডা. আমিনুল হক রতন, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন লাবলু, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, ব্যারিস্টার গৌরব চাকী, জেলা বাস মালিক চালক সমিতির সভাপতি আক্তারুজ্জামান, জেলা যুবলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম স্বপন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত, সাধারণ সম্পাদক মানব চাকী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুুর রহমান অনিক, সাধারণ সম্পাদক শেখ হাফিজ চ্যালেঞ্জ প্রমুখ।

শহিদুল আলমের মৃতু্তে মেহেরপুর থেকে বিভিন্ন জন শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক , জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, অনলাইন ইনচার্জ খান মাহমুদ আল রাফি।

শোক বার্তায় বিশিষ্টজনেরা প্রয়াত শহিদুল আলমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফের বাবা আফছার আলী ও রত্নগর্ভা মা রহিমা বেগম পাঁচ ছেলে ও চার মেয়ের জনক-জননী। পাঁচ ভাই হলেন : রবিউল আলম, রশিদুল আলম, শহিদুল আলম, রফিকুল আলম এবং সবার ছোট মাহবুবউল আলম হানিফ।

মাহবুবউল আলম হানিফের মেজো ভাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় বোর্ডের সদস্য রশিদুল আলম। তিনি একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা।

মাহবুবউল আলম হানিফ ২০১০ সাল হতে ২০১৩ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ১৮তম কাউন্সিলের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ লাভ করেন। পরবর্তীতে ২০১২, ২০১৬ ও ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৯, ২০ ও ২১তম কাউন্সিলেও তাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃ দায়িত্ব প্রদান করা হয়। ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের ২২তম কাউন্সিলের মাধ্যমে পুনরায় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।




মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক আটক

মেহেরপুর জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান কে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।মিজানুর রহমান গাংনীর হিন্দা গ্রামের স্কুল পাড়ার মৃত খায়ের শেখের ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) সকালে একটি বিশেষ অভিযানে গাংনীর হিন্দা গ্রামের স্কুলপাড়া থেকে তাকে আটক করে গাংনী থানা পুলিশ।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, নাশকতা পরিকল্পনার অভিযোগে দায়েরকৃত বিশেষ ক্ষমতা আইনের একটি মামলায় তাকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুর জজ কোর্টে নতুন কনফারেন্স রুমের উদ্বোধন

মেহেরপুর বিচার বিভাগের নতুন কনফারেন্স রুম (সম্মেলন কক্ষ) উদ্বোধন করেছেন মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল্লাহ।

সোমবার ৬ নভেম্বর সকাল ১০ টায় মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় ১০০ আসন বিশিষ্ট আধুনিক সুযোগ সুবিধা সমৃদ্ধ নতুন কনফারেন্স রুমটির উদ্বোধন করা হয়।

ছবিঃ মেহেরপুর প্রতিদিন

এসময় জেলা জজ আদালত ও চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সকল বিচারক,মেহেরপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান ও সাধারন সম্পাদক খ.ম.ইমতিয়াজ হারুন বিন জুয়েল এবং মেহেরপুর জেলা বিচার বিভাগের সকল কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য আগের সম্মেলন কক্ষটি ছিলো ছিল স্বল্প পরিসরে জেলা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে কোন বড় ধরনের সম্মেলন করতে গেলে স্থান সংকুলান হতো না আবার দাপ্তরিক কাজের ক্ষেত্রেও সমস্যা ঘটত। পরিস্থিতি বিবেচনায় জেলা জজ আদালতের বিচারক মোঃ শহীদুল্লাহ পরামর্শে গণপূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে কনফারেন্স রুমটি প্রস্তুত করে দেয়া হয়।




জীবননগরের মনোহরপুর জাতীয় যুব দিবস পালিত

জীবননগরে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার সময় উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের ধোপাখালী গ্রামের সমৃদ্ধ কেন্দ্রে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে র‌্যালী, আলোচনা সভা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের ইউনিয়ন যুবদের আয়োজনে পল্লি কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহযোগিতায় জীবননগর ইয়ুথ এ্যাসেম্বলির সভাপতি ও মাই টিভি প্রতিনিধি মিথুন মাহমুদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আদিলুল করিম ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য তৌফিকুজ্জামান টিটু, সাংবাদিক এ,আর, ডাবলু, বাঁকা ইউনিয়ন সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়ক আব্দুল আওয়াল, ওয়েভ ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা লিটনসহ শত শত যুবক-যুবতী এসময় উপস্থিত ছিলেন।

ক্তারা তাদের বক্তব্যে বলেন, “যুবদের সেবা, উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী মানসিকতা দেশ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশের যুব সমাজের অংশীদারিত্ব ছিল অন্যতম। দেশের যুব সমাজের বৃহদাংশ আজ উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত। যারা দেশের মৎস্য, কৃষি, বস্ত্র, হস্তশিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে দেশকে সমৃদ্ধ করে তুলছে”।




জীবননগরে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের চেক বিতরণ

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ঈদগাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের চেক বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে জীবননগর উপজেলা হল রুমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের আয়োজনে এ চেক বিতরণ করা হয়।

গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান, ঈদগাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের বরাদ্দকৃত চেক বিতরণ করা হয়। ৭২টি প্রকল্পের ৪৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগর।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোতুজা, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ইশা, জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানটি সাবিক পরিচালনা করেন উপজেলা প্রকল্প কমকতা মোঃ মিজানুর রহমান।




চুয়াডাঙ্গায় শিশু হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদন্ড ও দুজনের কারাদন্ড

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের শিশু আবু হুরাইরাকে (১১) হত্যার দায়ে একই গ্রামের আসামি মোহাম্মদ মোমিনকে মৃত্যুদন্ড ও অপর দু আসামি পারভেজ আহমেদ ও আশরাফুজ্জামান রিজনকে ১৪ বছর করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের বিচারক মোঃ মাসুদ আলী এ রায় প্রদান করেন। দন্ডিতদের মধ্যে পারভেজ আহমেদ পলাতক আছেন।

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ (২) আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন জানান, ২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে প্রাইভেট পড়তে বের হয়ে নিঁখোজ হয় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার তালতলা গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র আবু হুরাইরা। খুঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ২৫ জানুয়ারি আব্দুল বারেক বাদি হয়ে প্রাইভেট শিক্ষক রঞ্জু হোসেনসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিছুদিন পর গোপন অনুসন্ধানে তথ্য পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ একই গ্রামের মোহাম্মদ মোমিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে তালতলা কবরস্থানের একটি পুরাতন কবরের ভেতর থেকে শিশু আবু হুরাইরায় অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ মামলায় তদন্তশেষে ২০২২ সালের ১৪ আগস্ট তালতলা গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ মোমিন (২৩), একই গ্রামের জামাত আলীর ছেলে আশরাফুজ্জামান রিজন (৩০) ও মোতালেব হোসেনের ছেলে পারভেজ আহমেদকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পরিদর্শক মিজানুর রহমান।

মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যপ্রমানে আসামি মোহাম্মদ মোমিন, আশরাফুজ্জামান রিজন ও পারভেজ আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোমিনকে মৃত্যুদন্ড ও আসামি আশরাফুজ্জামান ও পারভেজ আহমেদকে ১৪ বছর করে যাবজ্জীবন করাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আসামি পারভেজ আহমেদ পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে।




গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে শেখ হাসিনা সরকারের অবদান

বাংলাদেশ আমাদের কাছে মাতৃস্বরূপ। বরাবরই এদেশের স্তন্যদায়ী গ্রামীণ প্রকৃতির আলো-বাতাস-জল এসবের লালিত্যে বাঙালির দৈহিক ও মানসিক পুষ্টি সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে গ্রাম বাংলা আমাদের জীবনে নিউক্লিয়াসের সমতুল্য। বাংলাদেশের গ্রামীণ প্রকৃতি ও পরিবেশ একদিকে যেমন অপরূপ সৌন্দর্যের উৎস, তেমনি বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতি ও প্রয়োজনীয়তা পূরণের অন্যতম সরবরাহকারী ক্ষেত্র। আজ শহরায়নের ফলে মানুষ অনেকবেশি শহরমুখী। জীবন ও জীবিকার তাগিদে সকলে শহরপানে ছুটে চলেছে। তাই শহরের ওপর চাপ বৃদ্ধির পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতি কিছুটা পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছিল।

কিন্তু শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আজ টেকসই গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জোয়ার বইছে। বাংলাদেশে মূলত গ্রামীণ অর্থনীতির সম্প্রসারণের ফলেই দেশে আজ উন্নতির সুবাতাস বইছে। বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে গ্রাম অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন; গ্রামে জীবনযাপনের প্রয়োজনীয় আধুনিক উপকরণের সহজলভ্যতা; শিক্ষা, চিকিৎসা ও বৈদ্যুতিক খাতে অভাবনীয় উন্নতি সাধন; পাশাপাশি উন্নত তথ্যপ্রযুক্তি গ্রামে সরবরাহের মাধ্যমে বিশ্বের সাথে গ্রাম বাংলার জনজীবনের সংযুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস পরিশ্রমের ফলে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশে আজ উন্নতির নৌকা নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে অবিরাম ছুটে চলেছে। পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু টানেলের মতো মেগাপ্রকল্প শেখ হাসিনা সরকারের হাত ধরে জাতির পিতার সোনার বাংলায় বাস্তবায়িত হয়েছে। ফলে, শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বের সুনাম বর্তমানে জাতীয় পর্যায়কে জয় করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূয়সী প্রশংসা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে শহর অঞ্চলের পাশাপাশি গ্রামীণ বা তৃণমূলে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের গ্রাম এলাকায় পর্যাপ্ত স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের পাশাপাশি গ্রামের কাঁচা-মেঠোপথ পাকাকরণ ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার।

বর্তমানে বাংলাদেশে শহর কিংবা গ্রাম উভয় পরিবেশে জীবনযাত্রার মান প্রায় সমান। শেখ হাসিনার সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলার গ্রামও আজ শহরের মতো আধুনিকতার স্পর্শতায় পরিপূর্ণ। শেখ হাসিনা সরকার বরাবরই গ্রামীণ অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যাপ্ত বরাদ্দ প্রদান করেছে। দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রায় ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ সংযোজনটি গ্রাম অঞ্চলের উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিকে ব্যাপক শক্তিশালী ভিত দান করেছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশের জনগণের উন্নত জীবনযাপন ও দেশের শক্তিশালী জাতীয় অর্থনীতি বিনির্মাণের একমাত্র দাবিদার শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার নিঃসন্দেহে।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যা করে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথকে রুদ্ধ করে দিতে চেয়েছিলো প্রেতাত্মারা। কিন্তু শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও আওয়ামী লীগ সরকার জনগণকে আজ সেই কাঙ্ক্ষিত অর্থনৈতিক মুক্তির স্বাদ প্রদান করেছে। বৈশ্বিক ও জাতীয় সকল চক্রান্তকে ব্যর্থ করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত করেছে। শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম মূলমন্ত্র হচ্ছে অন্তর্ভুক্তিমূলক মনোভাব। ফলে বর্তমানে দেশে উন্নয়নের সুফল সকলে পাচ্ছে এবং আয়ের বৈষম্য কমে মানুষের পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে।

সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে শেখ হাসিনার সরকার গ্রাম অঞ্চলে উন্নত রাস্তাঘাট, সুপেয় পানি, আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা ও সুচিকিৎসা, মানসম্মত শিক্ষা, উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সরবরাহ, গ্রামে গৃহহীনদের জন্য সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প, কম্পিউটার ও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের মতো কর্মসূচি বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রাম অঞ্চলে আধুনিক জীবনযাপনের সকল উপকরণ নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও কৃষিযন্ত্র সেবাকেন্দ্র ও যান্ত্রিকায়ন সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে গ্রামে পর্যাপ্ত কর্মস্থাপনের ব্যবস্থা করে শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় অর্থনীতির চাকাকে বেগবান করে তুলেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সঠিক নেতৃত্বে আজকে প্রতিটি গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা কিংবা জেলা একসূত্রে যুক্ত।

গ্রাম ও শহর উভয়ের ব্যাপক উন্নয়ন ও অংশগ্রহণের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে সমবায় পন্থায় সৃষ্ট বাংলাদেশের সমৃদ্ধ জাতীয় অর্থনীতি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সফলতার উৎকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নকে সমুন্নত রাখতে এবং এসডিজি লক্ষ্য অর্জনে আসন্ন আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বের বিকল্প নাই। সুতরাং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার মুজিবীয় আদর্শে বিশ্বাসী বাংলাদেশের আপামর জনগণ আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বকে পুনরায় বিজয়ী করে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সমুন্নত রাখবে নিঃসন্দেহে।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়।




আমার বাড়ি আমার খামার: দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দিন বদলের হাতিয়ার

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, সুষম পুষ্টি, বেকার সমস্যার সমাধান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কৃষি জমির উর্বরতা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং উন্নত মেধা সম্পন্ন জাতি গঠনে কৃষি খামারের ভূমিকা অপরিসীম। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ধারা ৭, ৯, ১০, ১৪, ১৫ এবং ১৬ অনুযায়ী প্রতিটি পরিবারকে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করতে বলা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধুর সূচিত পথ ধরে তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ক্ষমতায় এসে দরিদ্র মানুষের জন্য ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পের একটি ধারণা তৎকালীন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মো. রহমত আলীকে প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন তখন দেশের সমৃদ্ধ ইকোসিস্টেমকে ব্যবহার করে প্রতিটি গ্রামের বাড়িতে কৃষি, মৎস্য চাষ, পশুপালন ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে কার্যকর খামারবাড়ি হিসেবে গড়ে তোলা। এই ধারণার কার্যকারিতা পরীক্ষা করার লক্ষ্যে প্রথমে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায় একটি পরীক্ষামূলক প্রকল্প পরিচালনা করে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রীর ধারণাটি পরিবার পর্যায়ের কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি তথা আয় সঞ্চারণে বেশ কার্যকর।
এই প্রেক্ষাপটে একনেক কর্তৃক জুলাই ২০০০ সাল থেকে জুন ২০০৫ মেয়াদের জন্য ১৪১০৮.০২ লক্ষ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্পটি অনুমোদিত হয় এবং এর বাস্তবায়ন শুরু হয়। কিন্তু ২০০১ সালের নির্বাচনে সরকার পরিবর্তন হলে তৎকালীন সরকার প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়।

২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পুনরায় সরকার গঠন করলে আমার বাড়ি আমার খামার নামে প্রকল্পটি আবার কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৯ সাল থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধারাবাহিকভাবে সরকার গঠনের ফলে প্রকল্পের মেয়াদ সর্বশেষ ২০২১ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল পল্লী এলাকায় বসবাসকারী দরিদ্র মানুষদের সংগঠিত করে ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের মাধ্যমে তাদের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বৃদ্ধি ও স্থায়ী ঘূর্ণায়মান তহবিল গঠন করা, দক্ষতা বৃদ্ধি এবং গঠিত তহবিল পারিবারিক বলয়ে আয়বর্ধক কৃষিজ খামার স্থাপনে বিনিয়োগ করা এবং জীবিকা উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন নিশ্চিত করা।

প্রকল্পের আওতায় একেকটি গ্রাম থেকে ৬০টি দরিদ্র পরিবার নির্বাচন করে ৪০ জন নারী এবং ২০ জন পুরুষ নিয়ে একটি সমিতি গঠন করা হয়। এই সমিতির সদস্যরা মাসে ২০০ টাকা হারে সঞ্চয় করেন। সদস্যদের সঞ্চয় জমা একনাগাড়ে ২৪ মাস পর্যন্ত গ্রহণ করা হয়। ৬০ জন সদস্য ২৪ মাসে ২০০ টাকা হারে সঞ্চয় করলে দুই বছরে ২.৮৮ লক্ষ টাকা সঞ্চয় জমা হয়।

সদস্যদের সঞ্চয়ের বিপরীতে প্রকল্প থেকে সমপরিমাণ অর্থ (সদস্য প্রতি মাসে ২০০ টাকা হারে ২৪ মাস) উৎসাহ সঞ্চয় বা বোনাস হিসেবে অনুদান প্রদান করা হয়। এটি দরিদ্র সদস্যদের তাদের কষ্টার্জিত দৈনন্দিন আয় থেকে সঞ্চয় করতে অনুপ্রাণিত করে।

এছাড়া গ্রাম উন্নয়ন সমিতির নিজস্ব স্থায়ী তহবিল গঠনের জন্য প্রকল্প থেকে প্রতি সমিতিতে বছরে ১.৫০ লক্ষ টাকা করে দুই বছরে ৩ লাখ টাকা ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসেবে অনুদান প্রদান করা হয়। সদস্যদের নিজেদের সঞ্চয় ও প্রকল্প থেকে সঞ্চয়ের বিপরীতে প্রদত্ত উৎসাহ সঞ্চয় বা কল্যাণ অনুদানের সাথে ঘূর্ণায়মান তহবিল হিসেবে অনুদান যোগ হয়ে প্রতি সমিতির জন্য দুই বছরে ৯ লাখ টাকার একটি স্থায়ী তহবিল গড়ে ওঠে।

এই অর্থের মালিক সমিতি। সমিতির সদস্যরা এই অর্থ স্থায়ীভাবে আয়বর্ধক খামার করতে ব্যবহার করে। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় সমিতির সদস্যদের দক্ষ খামারি হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।

জুলাই ২০০৯ থেকে জুন ২০২১ মেয়াদে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্ষুদ্র সঞ্চয় দর্শন অনুসরণে বাস্তবায়িত ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের অধীনে মোট গ্রাম সমিতি গঠিত হয়েছে ১,২০,৩২৫টি। দরিদ্র সদস্যদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের পরিমাণ ২০৮৬ কোটি টাকা। গ্রাম সমিতির জন্য মোট তহবিল গঠিত হয়েছে ৭৬০৯ কোটি টাকা। সদস্যদের বাড়িতে পারিবারিক খামার স্থাপিত হয়েছে ৩৩ লক্ষ ৩৭ হাজার।

এটি এখন স্বীকৃত যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুদ্র সঞ্চয় দর্শন ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ প্রকল্পের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করে একদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য যেমন বিপুল পরিমাণ তহবিল স্থায়ীভাবে সৃষ্টি করা সম্ভব হয়েছে তেমনি অপরদিকে দেশের দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে।

২০১০ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দরিদ্রতার হার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে এবং অতি দরিদ্রতার হার হ্রাস পেয়ে এক তৃতীয়াংশে নেমে এসেছে। বিপুল সংখ্যক দরিদ্র মানুষের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত হয়েছে। যারা পূর্বে প্রাতিষ্ঠানিক আর্থিক সেবা বহির্ভূত ছিল, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক এইসব পরিবারদের ক্ষুদ্র মাঝারি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করেছে, যা বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতিতে ব্যাপক অবদান রাখছে।

ক্ষুদ্র ঋণের পরিবর্তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিকল্প ক্ষুদ্র সঞ্চয়ের ‘আমার বাড়ি আমার খামার’ হয়ে উঠেছে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দিন বদলের হাতিয়ার।

লেখক: সার্জারি এন্ড থেরিওজেনোলজি বিভাগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।




মেহেরপুরে দিঘিরপাড়া ঈদগাহ মাঠ উদ্বোধন করলেন পৌর মেয়র

মেহেরপুর পৌরসভার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে ১৮ কাঠা জমির ওপর দিঘিরপাড়ায় ঈদগাহ মাঠ উদ্বোধন করলেন মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ।

সোমবার বিকেলে দীঘিরপাড়ায় মেহেরপুর পৌরসভার পাঁচ ও সাত নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে ঈদগাহ মাঠের উদ্বোধন করা হয়।

দিঘিরপাড়া ঈদগাহ মাঠ উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ।
অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, মেহেরপুর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোস্তাক আহমেদ, মেহেরপুর পৌরসভা ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান। ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন, দিঘিরপাড়া নতুন ঈদগাহ মাঠ কমিটির সভাপতি মো: সুজন এবং সেক্রেটারি আজিজুল হক, যুবলীগ নেতা ইয়ানুস, যুবলীগ নেতা সাজু, দিঘিরপাড়ার কৃতি সন্তান আব্দুল হান্নান হাদু, মুক্তার হাজী সহ বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন নির্বাচনের সময় আপনাদের কাছে প্রতিশ্রুতি দেওয়া ছিল জায়গার ব্যবস্থা হলে আমি আপনাদের  ঈদগাহ মাঠ করে দিব আজকে সেই কথার বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। আপনাদের সকলকে ঈদগাহ মাঠ নতুন আঙ্গিনায় তৈরি হবে নতুন সাজে সাজবে বিশেষ করে দিঘির পাড়া ৫ নাম্বার এবং ৭ নাম্বার ওয়ার্ড মানুষগুলোর দীর্ঘদিনের চাওয়া পাওয়া এটা আজকে পূরণ হতে যাচ্ছে।

এ সময় তিনি আরো বলেন সামনে রমজানের ঈদে রাস্তা দিয়ে হেঁটে এই নতুন ঈদগাঁতে নামাজ আদায় পারে সেই ব্যবস্থা করে দেবো ইনশাআল্লাহ।

এর আগে মেহেরপুর পৌরসভার ৫ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সমন্বয়ে মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনকে ফুল দিয়ে বরণ করে নিন।