`অবরোধে তাগো কী মিলবে জানি না, আমগো পেটে লাথি’

বিএনপি জামায়াতসহ অন্যান্য দলগুলোর ডাকা তিনদিনের অবরোধ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া অবরোধের কারণে রাজধানীর রাস্তাঘাট ফাঁকা থাকলেও অফিসগামী যাত্রীরা ছিলো বিপাকে। আর সবচেয়ে বেশি দুর্দশার মুখে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। দিনের রোজগার না হলে যাদের চলে না তারা বলছেন, এই অবরোধ তাদের কথা ভেবে ডাকা হয়নি, এতে খুব বেশি সমর্থন পাবে না বিএনপি।

রিকশাচালক রুবেল মিয়া বলেন, ‘আজকে ঘরে বাজার নিয়া যাইতে পারুম না। মাইসেনের মনে আতঙ্ক, বাহিরে বাহির হইতে চায় না। ২৫০ গ্রাম কইরা প্রত্যেকটা জিনিস কিনলেও ৪০০-৫০০ টাকার লাইগা যায়। ৫০ – একশো টাকা যাই আয় হইবো সেইটা নিজেরই বাহিরে খাওনে লাইগা যাইবো। বাসায় মানুষ গুলান মুখে কি দিমু সেই চিন্তায় টিকটাছি না। আমরা তো কোন পক্ষের না, আমরা চাই সব কিছু স্বাভাবিক চলুক। পেটে ভাত জুটুক।’ পাশে বসে থাকা আরেক রিকশাচালক বলে উঠেন, ‘অবরোধে তাগো কিসু মিলবে কিনা জানি না, আমগো পেটে লাথি।’

কাকরাইল এলাকায় কথা হয় শুভদিন ইসলাম নামে এক মার্কেটিং কর্মীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘সকাল থেকে একটা ভয় ছিলো কি হয় না হয়। বের হবো কি না। কিন্তু আমার তো সেলসে কাজ কমিশনে বেতন। তাই একটু বেলা করেও হলেও বের হইছি। দেখলাম পরিস্থিতি ঠিক আছে, পুলিশ মোড়ে মোড়ে দাঁড়ানো। কিন্তু দোকানপাট তো এখনও বন্ধ।

বিজয় নগর মোড়ে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকা হৃদয় বলেন, ‘যেমনটা ভাবছিলাম, তেমন কিছুই দেখছি না। তবে রাস্তায় গাড়ি কম। এমনিতেই তো ঢাকায় গাড়ি পাওয়া কষ্টের। আর গাড়ি না থাকায় কষ্টটা আরও বেড়েছে। আধাঘণ্টা ধরে দাঁড়িয়ে আছি। কিছুক্ষণ হেটে আসলা। একটা সমাধানে আসা উচিত মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, এরকম করে তো আমাদের ভোগান্তি, একটা ভয় নিয়ে চলাচল করা লাগে। বাসা বাহিরে বের হলে বাসার লোকেরা চিন্তায় থাকে। এইসব কিছুর সমাধান হওয়া উচিত। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য আমরা কেন বিপদে পড়বো।

তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরু হলেও সকাল সকাল মাঠে নামেনি বিএনপি। সকাল থেকে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল, ফকিরাপুল কিংবা বিজয়নগরেও বিএনপি নেতাকর্মীদের কাউকে অবস্থান নিতে দেখা যায়নি। এদিকে, বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীর গুলিস্তানে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা।

অবস্থান নেওয়া নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি নাশকতার নামে নির্বাচন বানচাল করতে চায়। জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চায়। তারা দেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। আমরা তাদের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে, জনগণের জানমাল রক্ষায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। সতর্ক পাহারায় আছি।




সাংবাদিক লাঞ্ছিত করলে সেই দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে অ্যাটকো

যে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের হাতে সাংবাদিকরা লাঞ্ছিত হবেন, সেই রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে বাধ্য হবে বলে জানিয়েছে টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স, অ্যাটকো। মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) অ্যাটকোর পরিচালক মণ্ডলীর এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয় সংগঠনটি।

গত ২৮ অক্টোবর শনিবার ঢাকায় রাজনৈতিক কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মীরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য দায়িত্ব পালনকারী সাংবাদিকদের উপর হামলা চালায়। তারা গণমাধ্যমের যানবাহনও ভাংচুর করে। অ্যাটকো-র পক্ষ থেকে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ, ও প্রতিবাদ জানানো হয়। যারা এইসব ঘটনার জন্য দায়ী তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়। এই সন্ত্রাসী ঘটনায় সকল নিহত, আহত ও ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে অ্যাটকো।

অ্যাটকো-র সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, ভবিষ্যতে যে দলের নেতা-কর্মীদের হাতে সাংবাদিকরা লাঞ্ছিত ও বাধাগ্রস্ত হবেন এবং গণমাধ্যমের যানবাহন হামলার শিকার হবে সেই দলের বিরুদ্ধে অ্যাটকো অবস্থান নিতে বাধ্য হবে। ওই সভায় গত ২৮শে অক্টোবরের রাজনৈতিক কর্মসূচি চলার সময় প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবনের ওপর হামলা, কর্তব্যরত একজন পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা, এবং সাধারণ যানবাহনে অগ্নিসংযোগের সন্ত্রাসী ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানো হয়।

জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাস ও সহিংসতা বন্ধ করে একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য সরকার ও বিরোধী দলসহ সকল রাজনৈতিক দলকে দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়ন অব্যাহত রাখার স্বার্থে গণতান্ত্রিক নীতিমালা মেনে কাজ করার জন্য অ্যাটকো-র সভা থেকে আহ্বান জানানো হয়।




নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া বিএনপি এখন কী করবে?

রাজনৈতিক সংকট দূর করতে বিএনপি মাঝে মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের কথা বললেও বরাবরই তার আগে একটি শর্ত জুড়ে দিয়ে আসছে। তাদের দাবি- নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি আওয়ামী লীগকে আগে মেনে নিতে হবে, তবেই সংলাপ হবে। না হলে রাজপথের আন্দোলনের মাধ্যমেই তারা ফয়সালা করার হুঁশিয়ার বারবার দিয়েছে। তবে এদফা আর আগ বাড়িয়ে সংলাপের চিন্তা করছে না আওয়ামী লীগ। বিএনপি যদি কোনো শর্ত ছাড়া সংলাপ করতে চায়, আওয়ামী লীগ তখন ‘ভেবে দেখবে’ বলে জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দলটি।

দুই রাজনৈতিক দলের এমন অবস্থানের মধ্যে ২৮ অক্টোবর ঢাকার মহাসমাবেশ করে বিএনপি। শান্তিপূর্ণ সমাবেশের কথা বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হলেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়। সংঘাত সহিংসতায় একজন পুলিশ সদস্যসহ দুজন মারা যায়। সহিংসতার ঘটনায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আত্মগোপনে আছেন দলটির অনেক শীর্ষ নেতা। এরপরও সরকারের পদত্যাগের দাবিতে তিনদিনের অবরোধ দিয়েছে বিএনপি। অনেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেছেন- যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সাথে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাদের একাধিক বৈঠকের পর নিজের শক্তিশালী ভেবেছিল বিএনপি। এজন্য রাজপথে সহিংস কর্মসূচির দিকে এগিয়েছে দলটি, পদদলীত করেছে সরকারের সাথে শর্তহীন সংলাপের পথটিও।

তবে নির্বাচন কমিশনের সাথে মঙ্গলবার বৈঠক শেষে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলো শর্তহীনভাবে সংলাপে বসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করা- রাজনৈতিক দল, সরকার, ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব। যেকোনো পক্ষের রাজনৈতিক সহিংসতা গণতান্ত্রিক নির্বাচনে কোনো স্থান নেই। আমি আশার করি সব পক্ষ শর্তহীনভাবে সংলাপে বসে সামনে দিকে এগুবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথ খুঁজে নেবে।’

স্বভাবতই এখন প্রশ্ন উঠেছে- এতো দিন যে দলটি শর্তহীন সংলাপ বসতে চায়নি, সেই দলটি পিটার হাসের কথায় সংলাপে বসবে? আর কেনই বা পিটার হাস নির্বাচন কমিশনে গিয়ে বৈঠক করলেন, আর শর্তহীন সংলাপের কথা বললেন। ২৮ অক্টোবর সহিংসতার পর কার্যত নিশ্চুপ ছিল মার্কিন দূতাবাস। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কথিত উপদেষ্টার পরিচয় দিয়ে বিএনপির মিথ্যাচার নিয়েও টু শব্দ পর্যন্ত করেননি পিটার হাস। সেই তিনি মঙ্গলবার ছুটে গেলেন নির্বাচন কমিশনে। আশা করলেন- সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলো শর্তহীন সংলাপে বসবেন। এরআগে বাংলাদেশে একটি বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও সহিংসতামুক্ত জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে অর্থবহ সংলাপে বসার পরামর্শ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। কিন্তু বিএনপি শর্তহীন সংলাপকে বারবার ‘না’ বলেছে। সেই বিএনপি কী এখন পিটার হাসের কথায় এখন সরকারের সাথে সংলাপে বসবে?

রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপ না হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে বারবার দায়ী করে আসছে বিএনপি। দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘তিন মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ নমনীয় হলেই সমঝোতার পরিবেশ তৈরির পথ উন্মুক্ত হতে পারে। আওয়ামী লীগ বড় রাজনৈতিক দল। তারা তিন মেয়াদে ক্ষমতায়। তাই তাদের নমনীয় হওয়াটাই প্রত্যাশা করে সবাই।’ অর্থাৎ সংলাপ বা সমঝোতার জন্য বিএনপির দিকে থেকেও বড় শর্ত আছে এবং তা হলো আলোচনায় বসার আগেই আওয়ামী লীগকে বিএনপির প্রধান দাবিটি মানা হবে- এমন নিশ্চয়তা দিতে হবে।

বিএনপি যদি কোনো শর্ত ছাড়া সংলাপ করতে চায়, আওয়ামী লীগ তখন ‘ভেবে দেখবে’ বলে জানিয়েছিলেন ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত ১২ অক্টোবর সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে তিনি বলেন, “সংলাপের চিন্তা আমরা করব তখন যখন তারা (বিএনপি) এই চারটি শর্ত যদি তারা প্রত্যাহার করে নেয়। শর্তযুক্ত কোনো সংলাপের ব্যাপারে আমাদের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। শর্ত তারা প্রত্যাহার করলে তখন দেখা যাবে।” অর্থাৎ সংলাপ হতে পারে, তবে সেটি হতে হবে শর্তহীন। দাবি নেমে নেয়ার পর আলোচনা এটা কখনো হতে পারেনা।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক সংকট দূর করার জন্য সংলাপ হয় ১৯৯৪ সালে। ২০০৬ সালে আওয়ামী লীগ-বিএনপি মহাসচিব পর্যায়ের সংলাপহয়। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের সাথে সংলাপ হয়। সর্বশেষ ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ হয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাথে। সবগুলোই সংলাপ হয়েছে শর্তহীন ভাবে।

বিএনপির বর্তমান অবস্থা বাংলা প্রবাদের মতো ”সাধলে জামাই খান না, না-সাধলে জামাই পান না”। এতো দিন শর্ত মানলে তবেই সংলাপে বসতে চেয়েছিল বিএনপি। আর তখন আওয়ামী লীগ বলেছিলন- “শর্ত দিয়ে সংলাপ হয়না।” তবে মঙ্গলবার পিটার হাস- সংকট নিরসনে রাজনৈতিক দলগুলো শর্তহীনভাবে সংলাপে বসবে বলে আশা প্রকাশ করেন। কিন্তু আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সেই আশায় ”গুড়ে বালি” দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বেলজিয়াম সফর নিয়ে মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রশ্নোত্তর পর্বে ইটিভির হেড অব নিউজ রাশেদ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর কাছে জানতে চান- মঙ্গলবার পিটার হাস নির্বাচন কমিশনে গিয়ে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে শর্তহীন সংলাপের কথা বলেছেন সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কী বলতে চান। এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিদের সঙ্গে কিসের সংলাপ? বরং সে (পিটার হাস) বসে ডিনার খাক, সে সংলাপ করুক। আমাদের স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। এটা বাংলাদেশের মানুষও চাইবে না। বাংলাদেশের মানুষ বিএনপি জামাতকে ঘৃনা করে। যেটুকু সুযোগ পেয়েছিলো, আমরা করে দিয়েছিলাম সুযোগ সেটাও হারিয়েছে। যখন উপ-নির্বাচনে হিরো আলমকে কেউ মেরেছিলো তার বিচার দাবি করেছিলো। এখন যখন পুলিশকে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হলো তখন কেনো বিচারের দাবি করে না। যারা সাংবাদিকদের সুরক্ষার কথা বলে। আজকে যখন এতো সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হলো তারা চুপ কেনো?’

প্রধানমন্ত্রীর কথায় পরিস্কার বিএনপির সাথে কোনো সংলাপে বসবে না বর্তমান সরকার। সেটি শর্তহীন হোক বা শর্তযুক্ত হোক। সেই সাথে যুক্তরাষ্টের রাষ্ট্রদূতকে এক হাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, “ট্রাম্প সাহেবের সঙ্গে বাইডেন সংলাপ করছে? ট্রাম্প বাইডেনের সংলাপের দিন আমরাও সংলাপ করবো।” ২৮ অক্টোবর সহিংসতার পর বিএনপির এখন “আমও গেল ছালাও গেল”। নির্বাচনে অংশগ্রহণ ছাড়া বিএনপির সামনে আর কী কোন পথ খোলা আছে? সেই প্রশ্নের উত্তর জানতে অপেক্ষা করতে হবে নভেম্বর পর্যন্ত।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




গাংনীতে বিশ্ব ডিম দিবসের আয়োজন

গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর প্রাণিসম্পদ খাতের আওতায় ভাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিশ্ব ডিম দিবস আয়োজন করা হয়। উক্ত ডিম দিবসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিবাবক সহ মোট ২১০ জন অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে বক্তারা নিয়মিত ডিম খাওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করেন।

বক্তারা বলেন, আমরা সবাই ডিম পছন্দ করি। প্রতিদিন একটি ডিম অনেকেই খান। তবে একটি নয়, দৈনিক দুটি ডিম খেলে মিলতে পারে নানা উপকার।

বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিন ডিম খেলে বেশ কিছু উপকার হয়। এতে উপকারী কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।ডিমে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, বায়োটিন, থিয়ামিন এবং আরও অনেক উপকারী উপাদান থাকে যা আমাদের ত্বক, চুল এবং নখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।প্রতিদিন দুটি করে ডিম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে।ডিমে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস। এই উপাদান দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। স্মৃতিশক্তি উন্নত করে ও মস্তিষ্ক সচল রাখতে সাহায্য করে।ডিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারী উপাদান যা পেশি গঠনে যা অত্যন্ত সহায়ক। যারা ওজন বাড়াতে চাইছেন, তারা নিয়মিত খাবারের তালিকায় ডিম রাখতে পার।আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ডিম প্রদান করা হয়। ডিম দিবস উপলক্ষে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরন করা হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে রালির আয়োজন করা হয়।উক্ত ডিম দিবসে রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ডা: মো: ইমদাদুল হক( মেডিক্যাল অফিসার, গাংনী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে)।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন সংস্থার পরিচালক ও উপ পরিচালক সহ সংস্থা সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তা ও উপসহকারী বৃন্দ।আরও উপস্থিত ছিলেন ভাটপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকমন্ডলী সহ ম্যানেজিং কমিটির সদস্যগণ।




গাংনীতে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ

মেহেরপুরের গাংনীতে ‘বিকল্প পন্থায় বিরোধ নিষ্পত্তি ও ছাগল পালন প্রকল্প’ এর আওতায় বিনামূল্যে ছাগল(ছাগী) বিতরণ করেছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি।

মঙ্গলবার বিকেলে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা। বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশন (বিএনএফ) এর অর্থায়নে ছাগল বিতরণ প্রকল্পের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ,সহকারি কমিশনার(ভূমি) নাদির হোসেন শামীম ও ভেটেরিনারি সার্জন ডাক্তার আরিফুল ইসলাম। সংস্থার পরিচালক কামরুজ্জামানের সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে সংস্থার নানা কার্যক্রম তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মুহাঃ মোশাররফ হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মোঃ রমজান আলী। এসময় পারিবারিক বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়া অলিনগর গ্রামের কনিকা খাতুন ও চৌগাছা গ্রামর মমতা খাতুন মাত্র ১০০ টাকায় পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি’র কাছে বিচার চেয়ে সংসার ফিরে পাওয়ার গল্প শোনান।

আলোচনা শেষে ১৫জন উপকারভোগীদের মাঝে ছাগল (ছাগী)বিতরণ করা হয়। সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ছাগল পালন ও বিনামূল্যে ছাগল বিতরণ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে বলে সকলের কাছে আহবান রাখেন বক্তারা।




কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি,সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার ৪

বিএনপির মহাসমাবেশে হামলা এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা তিনদিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথমদিন কুষ্টিয়ায় চলছে।

আজ মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে এ অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এরফলে দূর পাল্লার যাত্রীবাহি পরিবহন বন্ধ রয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তী বেড়েছে চরমে। তারা ইজিবাইক ও সিএনজিতে চলাচল করছে।

দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় কিছুটা বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। অধিক ভাড়া দিয়ে সিএনজি বা অন্যান্য পরিবহনে উপজেলা শহরগুলোতে যাতায়াত করতে দেখা গেছে অফিসগামী লোকজন সহ সাধারণ যাত্রীদের।

এদিকে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, আলহাজ্ব রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি মেজবাউর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে শহরের আলফামোড় এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিনকে একটি মাইক্রোবাসে করে নিয়ে যান জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

একই সময় জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহমেদ ও জেলা যুবদলের সহসভাপতি মেজবাউর রহমানকে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে আটক করে নিয়ে যায় সদর মডেল থানার পুলিশ। এছাড়াও দৌলতপুর থেকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৌলতপুর উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য, আলহাজ্ব রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লাকে আটক করে।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন ও মেজবাউর রহমানকে নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বিএনপির অবরোধ কর্মসূচিতে নাশকতার প্রস্তুতিকালে হাত বোমা,লোহার রড লাঠিসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুই নেতার বিরুদ্ধে নাশকতার একাধিক মামলাও রয়েছে। তবে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে জানতে চাইলে পারে জানানো হবে বলে জানান ওসি।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিনের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক আবদুল আলিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাদাপোশাকধারী দু-তিনজন পুলিশ সদস্য এসে খোঁজখবর নেন। এরপর ওপরে উঠে সাহেবের কক্ষে যান। স্যারকে জানালে স্যার বেরিয়ে আসেন। ওই সময় ডিবি সদস্যরা রুম এবং পুরো বাড়ি তল্লাশি চালান।’

দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ডিবি পুলিশের সদস্যরা সোহরাব উদ্দিনকে বাড়ি থেকে বের করে একটি মাইক্রোবাসে করে কুষ্টিয়া শহরে পুলিশ লাইনসের দিকে নিয়ে যান। এ সময় হাস্যোজ্জ্বল মুখে হাত নাড়েন সোহরাব।

এরআগে রোববার দুপুরে কুষ্টিয়ায় বিএনপির ২১৬ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় ১৬ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গত রোববার দুপুরে মামলাটি করেন কুষ্টিয়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) দিপংকর কুমার দেবনাথ।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের সিঙ্গার মোড়ে বিএনপির মহাসমাবেশের সমর্থনে নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করেন। এ সময় বেশ কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা, যানবাহন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের জন্য সমবেত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের ১৭০ থেকে ২২০ জন উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী দৌড়ে পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশ পাঁচজনকে হাতেনাতে আটক করে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৪টি অবিস্ফোরিত ককটেল, ১৪টি বাঁশের লাঠি, ৯টি লোহার রড ও ৪০টি ইটের টুকরা উদ্ধার করে।

পুলিশের করা এই মামলার আসামিরা হলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল মইদ (৫৩), শামিমুল হাসান (৫২), সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম (৫২), জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুজ্জাকির রহমান (২৯), সদস্যসচিব খন্দকার তসলিম উদ্দিন (৩৩), জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন (৫১), জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল হাকিম (৪০), সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ (৪০), শহর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহিন (৪৫), জেলা কৃষক দলের বহিষ্কৃত আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম (৪২) ও ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আমজাদ হোসেন (৪২)।




গাংনীতে পিএসকেএসের উদ্যোগে ২৫ জন উপকারভোগীর মাঝে উপকরণ বিতরণ

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)-এর সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর কৃষি খাতের আওতায় নিরাপদ সবজি উৎপাদনের লক্ষ্যে গাংনী শাখার ভাটপাড়া গ্রামের ২৫ জন উপকারভোগীর মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয় ।

বিতরণকৃত উপকরণ সমূহের মধ্যে ছিল- স্পিডো লিউর, কিউ লিউর, বিএসএফবি লিউর, যা বিভিন্ন ফসলের পোকামাকড় দমনের জন্য ব্যবহ্রত হয় যেমন, লাউ, কুমড়া, শসা, ফুলকপি, বেগুন ঝিঙ্গা,বরবটি ইত্যাদি। পাশাপাশি উপকারভোগীদেরকে উক্ত উপকরন প্রদানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সকল কর্মকর্তাগন ।




যেসব খাবারে খিদে বাড়ায়

কিছু খাবার আছে যা আপনার ক্ষুধাপ্রবণতা দেয় অনেক অনেক বাড়িয়ে৷ খাই খাই প্রবণতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই কিছু খাবার অনেক প্রভাব রাখে। যদিও আমাদের অনেকেরই জানা নেই এই খাবারগুলো আসলে কতটা প্রভাব ফেলে। প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট ও চিনিযুক্ত খাবার খেলে এই অনুভূতি বেশি কাজ করে। কোন কোন খাবারে এমন প্রবণতা কাজ করে চলুন জেনে নেই:

পেস্ট্রি
পেস্ট্রি সবারই পছন্দের ট্রিট৷ আর এই খাবারটি আপনার খাই খাই স্বভাব অনেক বাড়িয়ে দেয়। পেস্ট্রিতে ফাইবার ও প্রোটিন তেমন থাকে না। তাই রক্তে শর্করার মাত্রা যায় বেড়ে। দ্রুত পেটে হজম হয়ে আবার খিদে বাড়ায়।

প্রসেসড দই
কম ননীওয়ালা দইয়ে আলাদা মিষ্টি দেওয়া হয়। ফলে শরীরে ওজন বাড়ার পাশাপাশি বারবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ায়। এক্ষেত্রে টক দই খাওয়াই ভালো। টক দইয়ে প্রোটিন আছে আর আছে প্রাকৃতিক চিনি।

আলুর চিপস
এটা অবশ্য অনেকেরই জানা। আলুর চিপস লালাগ্রন্থির লালা নিঃসরণ বাড়ায়। তখন অনেক কিছুই খেতে ইচ্ছে হয়। অনেক সময় আলুর চিপস খিদে নষ্ট করে। তবে খাওয়ার প্রবণতা জাগায় রাখে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুরে ফলন্ত ৫ হাজার ড্রাগন গাছ কেটে দিয়েছে,দূর্বত্তরা

কোটচাঁদপুরে বর্গা চাষির ফলন্ত ৫ হাজার ড্রাগন গাছ কেটে দিয়েছেন,দূর্বত্তরা। এতে করে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষি আলমগীর হোসেন।গতকাল সোমবার (৩০-১০-২৩) রাতে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বড়বামনদহ মাঠে।

জানা যায়,কোটচাঁদপুর বড়বামনদহ গ্রামের বর্গা চাষি আলমগীর হোসেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। নিজের কোন জমি নাই তাঁঁর। দীর্ঘদিন ধরে পরের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে থাকেন। ওই মাঠে চাষি আলমগীর হোসেনের ড্রাগন সহ ১০ বিগা জমি বর্গা নেয়া। বাকি জমিতে আম বাগান করেছেন তিনি।

গতকাল সোমবার রাতে দূর্বৃত্তরা তাঁর ২৫ কাঠা জমির ৫ হাজার ড্রাগন গাছ কেটে সাবাড় করেছেন। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন,বলে জানিয়েছেন চাষি আলমগীর হোসেন। আমার জানা মতে কোন শত্রু নাই। তবে অনেক মানুষের কাছে সারের টাকা পাবো। সেটা নিয়ে হয়তো কেউ অখুশি থাকতে পারে।

তিনি বলেন, ড্রাগন গাছ লাগানো থেকে আজ পর্যন্ত ৮ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। বর্তমানে প্রতিটি গাছে ফল ঝুলছে। ওই ফল বিক্রি করলে প্রায় সাড়ে ৩ লাখ টাকা হত। সব মিলিয়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন, ওই চাষি।

চাষি টিপু সুলতান (টিপু) বলেন,আলমগীর ভাইয়ের নিজস্ব কোন জমি নাই। ভাগে বর্গে জমি নিয়ে চাষ করেন। ওই জমিটিও লিজ নিয়ে ড্রাগন চাষ করছিল। ২৫ কাঠা জমিতে চাষ করতে কম পক্ষে ৩/৪ লাখ টাকা খরচ হয়।এখন তো জমির প্রতিটি গাছে ফল ধরেছে, সব মিলিয়ে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে মনে হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন, ড্রাগন গাছ কাটার বিষয়টি জানতে পেরেছি। অফিসের লোকজন গিয়েছিল। তারা স্বজমিনে দেখে এসেছেন। এ ছাড়া আমরা গবেষনা কেন্দ্রে কথা বলেছি,কাটা গাছগুলো কিভাবে রক্ষা করা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত চাষীকে থানায় পাঠানো হয়েছে মামলা করার জন্য। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ভাবেও ওসি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি,ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা মাসিক আইন শৃংখলা সভাও তোলা হবে,জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) শারমিন আক্তার বলেন,ঘটনাটি আমরা শুনেছি। অভিযোগ এখনও হাতে পায়নি। তবে লিখিত অভিযোগ করবেন বলে জানা গেছে।




জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা-তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ঘোষণা করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায় ২৭ ক্যাটাগরিতে ৩২টি পুরস্কার দেওয়া হবে।

এতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার যুগ্মভাবে পেয়েছে ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ও ‘পরাণ’। প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন সুচিন্ত্য চৌধুরী (চঞ্চল চৌধুরী)। হাওয়া সিনেমায় অভিনয়ের জন্য তিনি এই পুরস্কার পেয়েছেন।

আর প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন জয়া আহসান ও রিকিতা নন্দিনী শিমু। যথাক্রমে বিউটি সার্কাস ও শিমু ছবির জন্য তারা এ পুরস্কার পেয়েছেন। শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন সৈয়দা রুবাইয়াত হোসেন। শিমু চলচ্চিত্রের জন্য তিনি এ পুরস্কারটি পেয়েছেন। এছাড়া পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন খান, শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হয়েছেন আফসানা করিম (আফসানা মিমি)। পরান ও পাপ-পুণ্যের জন্য তারা এ সম্মানে ভূষিত হয়েছেন।

আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয়েছে অভিনেতা খসরু (বীর মুক্তিযোদ্ধা কামরুল আলম খান খসরু) ও অভিনেত্রী রোজিনাকে (রওশন আর রোজিনা)। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে এস. এম. কামরুল আহসানের ‘ঘরে ফেরা’। আর শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হয়েছে ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়ার ‘বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়’।

প্রজ্ঞাপনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হয়েছেন সুভাশিষ ভৌমিক, দেশান্তর সিনেমার জন্য। আর শ্রেষ্ঠ কৌতুক চরিত্রে পুরস্কার পেয়েছেন সাইফুল ইমাম (দিপু ইমাম), অপারেশন সুন্দরবন চলচ্চিত্রের জন্য।

যুগ্মভাবে শ্রেষ্ঠ শিশু শিল্পী হয়েছে যথাক্রমে রোহিঙ্গা ও বীরত্ব সিনেমার জন্য বৃষ্টি আক্তার ও মুনতাহা এমিলিয়া। শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক মাহমুদুল ইসলাশ খান (রিপন খান), পায়ের ছাপ চলচ্চিত্রের জন্য। শ্রেষ্ঠ গায়ক শুভাশীষ মজুমদার বাপ্পা (বাপ্পা মজুমদার)। অপারেশন সুন্দরবনে ‘এ মন ভিজে যায়…’ গানের জন্য তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শ্রেষ্ঠ গায়িকা হয়েছেন আতিয়া আক্তার আনিসা। শ্রেষ্ঠ গীতিকর রবিউল ইসলাম জীবন ও শ্রেষ্ঠ সুরকার শওকত আলী ইমন।

সূত্র: ইত্তেফাক