ঝিনাইদহ যুবলীগ নেতা বিপ্লবের মোটরসাইকেল শো-ডাউন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা ঝিনাইদহ সদর উপজেলা বাসীর মাঝে তুলে ধরতে মোটরসাইকেল শো-ডাউন করেছেন যুবলীগ নেতা নুরে-এ আলম বিপ্লব।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের পানি উন্নয়ন বোর্ড এলাকা থেকে কয়েক’শ আওয়ামী লীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে তিনি শো-ডাউন শুরু করেন। সেখান থেকে শহরের বিভিন্ন স্থান ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করেন তিনি। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে পথসভা অংশ নেয়।

সেসময় বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান তুলে ধরেন তিনি। সেই সাথে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন নুরে-এ আলম বিপ্লব।




রাজধানীর নাটক সরণির মঞ্চে নবরসের ‘ঊনপুরুষ’

নতুন নাটক নিয়ে মঞ্চে আসছে নাট্যদল নবরস। অপু মেহেদীর রচনা ও সৈয়দা শামছি আরা সায়েকার নির্দেশনায় ‘ঊনপুরুষ’ দিয়ে নাট্যযাত্রা শুরু করেছে দলটি। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর নাটক সরণির (বেইলি রোড) মহিলা সমিতির নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে প্রদর্শিত হয় নাটকটি।

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন ওয়াজিদ, কাশিফ আলফি আহমেদ, নূর-এ-খোদা মাশুক সিদ্দীক, সৈয়দা শামছি আরা সায়েকা, জিসান আদিত্য জয়, নুসরাত জাহান বন্যা, সাদিকা মালিহা শখ, সবুজ খান, সুকন্যা সাকিরা, গোলাম মোর্শেদ, সানি, বন্যা, শখ প্রমুখ। ঊনপুরুষ নাটকের আলো ও মঞ্চ পরিকল্পনায় সাইফুল ইসলাম, পোশাক উপদেষ্টা ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সংগীত পরিকল্পনায় এবি সিদ্দিক এবং প্রযোজনা অধিকর্তা হিসেবে রয়েছেন সাইফ মাহমুদ।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় নবরস নৃত্য ও নাট্যদল। প্রতিষ্ঠার পর বেশ সময় নিয়েই দলটি মঞ্চে আনছে তাদের প্রথম প্রযোজনা ঊনপুরুষ। এটি একজন আত্মনির্ণয় বিপন্ন মানুষের গল্প। তথাকথিত সমাজের নিয়মের জাঁতাকলে পিষ্ট হয়ে এক সংকটময় পথে চলতে থাকে যার অনিশ্চিত জীবনযাত্রা।

নাট্যকার অপু মেহেদী বলেন, ‘শুধুমাত্র জন্মসূত্রে প্রাপ্ত লিঙ্গ পরিচয় দিয়েই মানুষের আত্মনির্ণয় ঘটে না। এক্ষেত্রে জেন্ডার বা সামাজিক লিঙ্গ একটা বড় ভূমিকা রাখে। আমাদের সমাজ মানুষের সামাজিক পরিচয়ের কিছু ছকবাঁধা পরিচয় নির্ধারণ করে রেখেছে। সমাজের এসব নির্ধারিত পরিচয়ের বাইরেও মানুষের পরিচয় রয়েছে। আমাদের সমাজের এই আত্মনির্ণয় বিপন্ন মানুষদের গল্প বলার প্রয়াসই ঊনপুরুষ।
সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীর ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এসএসসি ৮৪ ব্যাচের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত 

মেহেরপুর জেলার ব্যাচ চুরাশিয়ানদের উদ্যোগে এসএসসি ১৯৮৪ ব্যাচের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ শুক্রবার দিনব্যাপী ভাটপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে এ মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাচের গাংনীর আহবায়ক কাজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ রেডিওর জনপ্রিয় শিল্পী আব্দুর রশিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন ঘোষনা করা হয়।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রেজিষ্ট্রেশন, নাস্তা ও বিভিন্ন গিফট আইটেম সরবরাহ করা হয়। ব্যাচের যে সকল বন্ধুরা মুত্যুবরন করেন তাদের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা হয়। ব্যাচের সৈয়দ জাকির হোসেনের গ্রন্থনা ও পরিচালনায় এই অঞ্চলের নীল কুঠি অবলম্বনেলেখা বিশেষ নাটক ” সমঝোতা ” মন্ঞায়ন করা হয় ।

নাটকটিতে ব্রিটিশ শাসনের সময় নীলচাষ ও তাদের অত্যাচারের কাহিনী ফুটিয়ে তোলা হয়। বিভিন্ন চরিত্রে ব্যাচের বন্ধুরা অভিনয় করেন।  অনুষ্ঠানে যাচের বন্ধুদের পরিচয়ের মধ্যে দিয়ে বন্ধু মিলনমেলার সার্থকতায় রুপ নেয়। সকল পদপদবী, সামাজিক অবস্থান বাদ দিয়ে শুধু ব্যাচ ৮৪ এই পরিচয়ে সবাই একত্রিত হয়েছিল। ৪০ বছর আগে এসএসসি পাশ করা বন্ধুরা উপস্থিত হতে পেরে তাদের সুখকর অনুভুতি ব্যাক্ত করছিল। সকলের বয়স ৫৫ বছরের অধিক হলেও অনুষ্ঠানে তাদের উচ্ছাস ছিল বাধাহীন। দীর্ঘদিন একজন আরেকজনের সাথে মিলিত হতে পেরে সবাই খুব খুশী ও আনন্দিত। অনুষ্ঠানের শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আকর্ষণীয় র্রেফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাচ চুরাশিয়ান এর পক্ষ থেকে।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন লিটন মুন্সী, কাজিপুর ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মকলেচুর রহমান, জহুরুল হক গামা , সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলি ভুট্টো,জাহাঙ্গীর হোসেন বিশ্বাস, সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান , মোর্তুজা আলম বুলবুল, ইডেন মহিলা কলেজের প্রফেসর রেহেনা পারভীন,প্রধান শিক্ষক নাসিমা ইয়াসমিন, প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নান , প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান কাজল সহ মেহেরপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার এসএসসি ১৯৮৪ সালের বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন ।




ওয়ার্নারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার জয়

ডেভিড ওয়ার্নারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে জয় দিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ১১ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। ৭০ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হন ওয়ার্নার।

হোবার্টে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে ৪৮ বলে ৯৩ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও জশ ইংলিশ। এরমধ্যে মাত্র ২২ বলে ক্যারিয়ারের শততম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ২৫তম ফিফটি পূর্ণ করেন ওয়ার্নার। ২৫ বলে ৩৯ রান করা ইংলিশকে বিদায় করে অষ্টম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেসার জেসন হোল্ডার।

মিডল অর্ডার ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলে ১৫৯ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। অধিনায়ক মিচেল মার্শ ১৬, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ১০, মার্কাস স্টনিয়াস ৯ রান করেন। ওয়ার্নার ৩৬ বলে ৭০ রান করে আউট হন।

ষষ্ঠ উইকেটে ২৩ বলে ৫০ রান তুলে অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে ২১৩ রানের বড় সংগ্রহ এনে দেন টিম ডেভিড ও উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। এই প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে ২শ রানের কোটা র্স্পশ করলো অস্ট্রেলিয়া। ১৭ বলে অপরাজিত ৩৭ রান করেন ডেভিড। আর ১৪ বলে ওয়েড করেন ২১ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল ৩টি ও আলজারি জোসেফ ২টি উইকেট নেন।

২১৪ রানের টার্গেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ব্রান্ডন কিং ও জনসন চালর্স। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৫ বলে ৪২ রান করা চার্লসকে আউট করে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম উইকেট উপহার দেন স্পিনার অ্যাডাম জাম্পা। টি-টোয়েন্টিতে নবম হাফ সেঞ্চুরি তুলে ৫৩ রানে আউট হন কিং। পেসার মার্কাস স্টনিয়াসের শিকার হওয়ার আগে ৩৭ বলে ৭টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন কিং।

১১তম ওভারে দলীয় ১০০ রানে দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডল অর্ডার ব্যাটাররা সুবিধা করতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রানে অষ্টম ব্যাটারকে হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ পর্যায়ে ২ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১৫ বলে ৫১ রানের দরকার পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের।

এ অবস্থায় শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেছেন হোল্ডার। কিন্তু ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ১৫ বলে হোল্ডারের অপরাজিত ৩৪ রানেও হার এড়াতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২০ ওভার ৮ উইকেটে ২০২ রানের করে ক্যারিবীয়রা। অস্ট্রেলিয়ার জাম্পা ৩টি ও স্টনিয়াস ২টি উইকেট নেন। ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডিলেডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে যৌথ অভিযানে যুবককে জেল জরিমানা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরে র‌্যাবের ও ভ্রাম্যমান আদালতের যৌথ অভিযানে নেশা জাতীয় ইনজেকশন ও গাঁজাসহ আটক আসাদুজ্জামান রাব্বি (২৪) কে এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ৩ টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম এই দণ্ডাদেশ দেন।

এসময় র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) এর সিপিস-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পর কমান্ডার এএসপি মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

দণ্ডিত আসাদুজ্জামান রাব্বি গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামের মোঃ রবিউল ইসলামের ছেলে।

ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৯(১)(গ) ও ৩৬(১)(১৬) ধারায় এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ এক হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এর আগে র‌্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) এর সিপিসি-৩, মেহেরপুর এর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মোঃ মনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীমের নেতৃত্বে গাংনী পৌরসভার ০৪ নং ওয়ার্ডের ক্ষনিকালয় বোর্ডিং এর সামনে পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে রাব্বিকে নেশা জাতীয় ৪ টি ফেন্টি, ৪ টির পেন্টাজো ইনজেকশন, দুই পুরিয়া গাঁজা এবং মাদকগ্রহণ কাজে ব্যবহৃত ১ টি সিরিঞ্জ উদ্ধার করা হয়।

এসময় সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা করে এই কারাদন্ড প্রদান ও জরিমানা আদায় করা হয়। যার মোবাইল কোর্ট মামলা নং-১০/২৪, তারিখ-০৮/০২/২৪।

পরে বিকালের দিকে দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত রাব্বিকে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া জব্দকৃত মাদক পুড়িয়ে ধংশ করা হয়।




আলমডাঙ্গার হারদিতে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীর লুঙ্গী ডান্স গানে নাচ

আলমডাঙ্গা হারদী মীর শামসুদ্দীন আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীর নাচের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে বিভিন্ন ফেসবুক পেইজে ভিডিওটি প্রকাশ করলে মুহুর্তে ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ায় এলাকাজুড়ে চলছে সমালোচনা। ক্ষোভ জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার হারদী মীর শামসুদ্দীন আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আগামি ১২ ফেব্রুয়ারি ওই স্কুলে নবীন বরণ ও দশমশ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের বিদায় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিয়েছে কতৃপক্ষ। এছাড়া বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও প্রস্তুতি নিয়েছে।

তবে গতকাল বুধবার দুপুরে ওই স্কুলের শ্রেণীর কক্ষে ট্রেড ইন্সট্রাক্টর শিক্ষক আইয়ুব আলি ও ৫ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে ভারতের হিন্দি (লুঙ্গী ডান্স) গানে উদম নাচানাচি করে। এই ভিডিওটি নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটি প্রকাশের পর পক্ষে-বিপক্ষে সমালোচনা হলেও বিনোদনের অংশ হিসেবে নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল।

হারদী মীর শামসুদ্দীন আহম্মেদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার রশিদ সাগর বলেন, আগামি ১২ ফেব্রুয়ারি নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রিয়ারসেল চলছে।

তিনি আরো বলেন, স্কুলের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীর নাচের ভিডিওর বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। স্কুলে গিয়ে খোজখবর নিয়ে তারপর জানানো সম্ভব হবে।

হাটবোয়ালিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইয়াকুব আলী মাস্টার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। তিনি বলেন, একজন শিক্ষক উঠতি বয়সী শিক্ষার্থীদের নিয়ে উদম নাচের ভিডিওটি শিক্ষকদের জন্য লজ্জা জনক।




গাংনীতে শিশু যৌন নিপিড়ককে গণধোলাই শেষে পুলিশে

আট বছর বয়সী এক শিশুকে যৌন নিপিড়নের অভিযোগে আইনাল হোসেন (৫৫) নামের এক ব্যক্তিকে গণধোলাই শেষ পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।

আজ বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রয়ারি) বিকালে গাংনী উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামের এই ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার দিকে গাংনী থানা পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়েছেন।

অভিযুক্ত আইনাল হোসেন মানিকদিয়া গ্রামের ওমর আলী শাহের জামাতা। তার নিজ বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামে।

স্থানীয়রা জানান, মানিকদিয়া গ্রামের সাত বছর বয়সী এক শিশু তার বান্ধবীর সাথে বাড়ির পাশের মাঠে ফসলের ক্ষেতের বাইতুর শাক তুলতে যায়। ওই মাঠেই কাজ করছিলেন আইনাল হোসেন।

শিশু দুটিকে একা পেয়ে একটি শিশুকে মুখ চেপে যৌন নিপিড়ন চালায়। এসময় অপর শিশুটির চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে যান। এসময় আইনাইল হোসেন পালানোর চেষ্টা করতে গেলে জনগণ তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়।

পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে গাংনী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয় আইনালকে আটক করে থানায় নেন।

এবিষয়ে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, শিশু যৌন নিপিড়নের অভিযোগের আইনালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হচ্ছে। তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে।

স্থানীয়রা জানান, আইনাল হোসেনের বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া গ্রামে। প্রায় ২০ বছর আগে তার আগের পক্ষের কয়েকজন স্ত্রী ও সন্তান রেখে গাংনী উপজেলার মানিকদিয়া গ্রামে এসে ওমর আলী শাহের মেয়ের সাথে বিয়ে করেন। সেই থেকে এই গ্রামেই তার শশুরের বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করছেন।




আলমডাঙ্গার গড়চাপড়ায় মাটি কেটে বিক্রয় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

আলমডাঙ্গার গড়চাপড়া গ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত মাটি বিক্রির দায়ে একব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।

আজ বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভূমির নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গা উপজেলার গড়চাপড়া গ্রামে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

এসময় অবৈধ মাটি উত্তোলন ও বিক্রির দায়ে গড়চাপড়া গ্রামের মৃত আফজাল বিশ্বাসের ছেলে রফিকুল ইসলামকে বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এদিকে স্থানীয়রা জানান, এভাবে ট্রাকে করে মাটি পরিবহনের ফলে গ্রামীণ রাস্তাগুলো কর্দমাক্ত ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় তাদের চরম দুরবস্থায় পড়তে হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসন আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তারা মনে করেন।




সংরক্ষিত নারী আসনে আ’লীগের মনোনয়ন ফরম কিনলেন মেহেরুন্নেসা বিউটি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন কুষ্টিয়া-৩ থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক মেহেরুন্নেসা বিউটি।

তিনি জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আমজাদ আলী খানের সহধর্মিনী।

গতকাল বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছেন। তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের পর সবার কাছে দোয়া চান।

সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা আগেই প্রকাশ করেছিলেন মেহেরুন্নেসা বিউটি। তিনি বলেন, আমি দলীয় মনোনয়নপত্র কিনেছি আমার বিশ্বাস দল আমাকে এবার মনোনয়ন দিবে।’

তিনি আরও বলেন, আমি মহিলা শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও কুষ্টিয়া জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি। ‘দলীয় মনোনয়ন পেলে নারীদের নিয়ে কাজ করতে চাই। সে কারণেই সংরক্ষিত নারী আসনের দলীয় মনোনয়ন চাই। আমার বিশ্বাস,এই দায়িত্ব পালন করার মতো যোগ্যতা আমার আছে।’ ছাত্রী জীবন থেকে বর্তমান রাজনৈতিক জীবন বৃত্তান্ত।

১৯৮৬ সালে কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজ শাখায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভানেত্রী, ১৯৮৮ সালে মিলপাড়া পৌর ৪নং ওয়ার্ড মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা দায়িত্ব পালন করেন, ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য পদ লাভ করেন (সেসময় সম্মেলনে বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন), ১৯৯৮ সালে কুষ্টিয়া লালন একাডেমী আজীবন সদস্য পদ লাভ করেন, ২০০১ সালে কুষ্টিয়া নব যুবক ক্রীড়া চক্রের সহ-সভানেত্রী (জেলা ক্রীড়া সংস্থা অন্তর্ভূক্ত ক্লাব), ২০০৩ সালে কুষ্টিয়া আলী ইমাম ক্রীড়া চক্রের সহ-সভানেত্রী (জেলা ক্রীড়া সংস্থা অন্তর্ভূক্ত ক্লাব), ২০০৯ সালে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা লাভ করেন, ২০১০ সালে কুষ্টিয়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন, ২০১৪ সালে কুষ্টিয়া পৌরসভা কর্মচারী এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন (সিবিএ) নির্বাচিত নির্বাহী সদস্য, ২০১৫ সালে কুষ্টিয়া জেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর একনিষ্ঠ ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ মাস্টার্স এ্যাথলেটিকস্ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ মাস্টার্স এ্যাথলেটিকস্ দলে ১৯তম এশিয়া মাস্টার্স এ্যাথলেটিকস্ সিঙ্গাপুর সহকারী টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন।

ভারতে মাহিশুরে টিম ম্যানেজার হিসাবে দায়িত্ব পালন, ২০১৭ সালে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের কাউন্সির অধিবেশনের মাধ্যমে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, ২০১৮ সালে কুষ্টিয়া আলী ইমাম ক্রীড়া চক্র সভাপতি দায়িত্ব পালন করছেন (জেলা ক্রীড়া সংস্থা অন্তর্ভুক্ত), ২০২০ সাল থেকে সহ-সভাপতি মহিলা শ্রমিক লীগ, কেন্দ্রীয় কমিটির পদ লাভ করেন, এরপর ইউনিয়ন নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল লিয়াজো কাউন্সিল (টঘওইখঈ) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন।

এদিকে, আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়ন আবেদনপত্র সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ফরম সংগ্রহ ও জমা দেওয়া যাবে।




কোটচাঁদপুরে গ্রাহকের প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা হাতিয়ে নিলো,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান

৪ বছরে কোটচাঁদপুর থেকে গ্রাহকের ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। যার মধ্যে রয়েছে আল – আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আউটলেট,ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট ও আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা হলেও মূল হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। গ্রাহকররা ফেরত পাননি ব্যাংকে লগ্নি করা টাকা। বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি ভুক্তভোগীদের।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,গেল ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে কোটচাঁদপুরে আল – আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের আউটলেটের শাখা খোলা হয়। এই আউটলেট শাখার দ্বায়িত্বে ছিলেন,আহসানগীর (সাবলু)। অল্প দিনেই ব্যাংকের সু-নাম ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।

সেই সুযোগে ব্যাংকের গ্রাহকদের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন (সাবলু)। অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখান গ্রাহকদের। ওই সময় ১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে পৃথক স্ট্যাম্প করে হাতিয়ে নেন ১১ কোটি টাকা। এ ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গা ঢাকা দেন আহসানগীর ( সাবলু)।

ওই ঘটনায় গ্রাহকদের মধ্যে চুয়াডাঙ্গার ভূট্রো নামের এক যুবক ও কোটচাঁদপুরের আল- আমিন আদালত মামলা করেছেন। গ্রাহক ভূট্রোর মামলায় আদালতে সাজাও হয়েছে আহসানগীরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভুক্তভোগী আল-আমিন।

তিনি বলেন, আহসানগীরের কথামত সরল বিশ্বাসে আমি ব্যাংকে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা দিয়ে ছিলাম। চুয়াডাঙ্গার ভুট্টো নামের আরেক গ্রাহক দিয়ে ছিল ৩০ লাখ। এ ভাবে তিনি ১৩ জন গ্রাহকের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন ১১ কোটি টাকা। যার মধ্যে ভূট্রো ও আমি আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছি। এরমধ্যে ভূট্রোর মামলায় সাজাও হয়েছে সাবলুর।

সে মহেশপুর উপজেলার কাকিলা দাড়ি গ্রামের আমিনুর রহমান ছেলে। এরপর ২০১৯ সালে ব্যাংক এশিয়া’র আউটলেট খোলা হয় কোটচাঁদপুরে। ওই সময় ব্যাংকের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। এরপর ২০২১ সালের ব্যাংকের দায়িত্ব নেন তাঁর বড় ভাই জেলা পরিষদের সদস্য রাজিবুল কবির (রাজিব)। ওই সময় তাঁর অনুরোধে কোটচাঁদপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কুয়েত প্রবাসী রোকনুজ্জামান মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলা হয়। যার হিসাব নাম্বার ১০৮২৭৪৪০০০০০৮,১০৮২৭৪৪০০০০০৯। পরে ওই হিসাব নাম্বারে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা রাখা হয়। ওই গ্রাহককে বলা হয়েছিল জমাকৃত টাকার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবেন ব্যাংক।

সে অনুযায়ী হিসাব নাম্বার গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা।অথচ ২০২৩ সালের জুলাই মাসে দেশে ফিরে ব্যাংক থেকে টাকা তুলতে গিয়ে জানতে পারি প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার ব্যাংকের ৩ টি হিসাব নাম্বারের টাকা গায়েব হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে ভূক্তভোগী রোকনুজ্জামান (রোকন) এজেণ্ট ব্যাংকিং ডিভিশন,ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড ঢাকা,ব্যাংক এশিয়া ঝিনাইদহ শাখা ও বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোকন বলেন,গেল ২০ বছর ধরে কুয়েতে ছিলাম। ২০১৯ সালে দেশে এসে কোটচাঁদপুর ব্যাংক এশিয়া এজেণ্ট ব্যাংকে একটি সঞ্চায়ী হিসাব খুলে লেনদেন করেছিল। যার হিসাব নং-১০৮৩৪৪৪০০৬১০৬। এ সময় এজেণ্ট ব্যাংকিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন কোটচাঁদপুর শহরের মৃত কাওসার মন্ডলের ছেলে মনিরুল ইসলাম। ২০২০ সালের ২ মার্চে ব্যাংক এশিয়ার এজেণ্ট আউটলেটে আরো দুইটি মাসিক মুনাফা সঞ্চায়ী হিসাব খোলা হয়।
হিসাব নং- ১০৮২৭৪৪০০০০০৮,১০৮২৭৪৪০০০০০৯। পরে ওই হিসাব নাম্বারে ৪০ লাখ ও ১০ লাখ টাকা রাখা হয়।

আমাকে বলা হয়েছিল জমাকৃত টাকার প্রতি মাসে ৩৫ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেবেন ব্যাংক। সে অনুযায়ী হিসাব নাম্বার গুলিতে ৩ বছরে লভ্যাংশ ও মূলধনসহ প্রায় ৬৩ লাখ টাকা জমা হওয়ার কথা। রাজিবুল ইসলাম কোটচাঁদপুরের জগদীশপুর গ্রামের মৃত কাওসার আলীর ছেলে।

এর আগে ২০২০ সালে কোটচাঁদপুরে আজিজ কো-অপারেটিভ কর্মাস এন্ড ফাইন্যান্স ব্যাংক লিমিটেড ৩৭ জন গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৭৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে কর্তৃপক্ষ উধাও হয়ে যান। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর গ্রাহকরা টাকা ফেরতের দাবীতে ওই সময় মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচীও পালন করেন।

এ ভাবে গেল ৪ বছরে কোটচাঁদপুর থেকে গ্রাহকের ১২ কোটি ৪২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,৩ টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান। ওই ঘটনায় আদালতে মামলা ও হোতারা রয়েছে ধরা ছোয়ার বাইরে। গ্রাহকরা ফেরত পাননি ব্যাংকে লগ্নি করা টাকা।

এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নিকট তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।