দর্শনা কেরুজ চিনিকল ও কৃষি খামার আখ রোপনের উদ্ধোধন
দর্শনা কেরুজ চিনিকল পরিদর্শন ও কৃষি খামারে পীট পদ্ধতি আখ রোপন,আখচাষীদের সাথে মতবিনিময় ও রোপন মৌসুমের শুভ উদ্ধোধন করেন।
গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের নবাগত চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) কেরুর কৃষি খামার পরিদর্শন করেছেন। চিনিকল সুত্রে জানাযায় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের নবাগত চেয়ারম্যান শেখ সোয়েবুল আলম এন ডিসি সপ্তাহ তিনেক আগে এ দায়িত্বে নিয়োজিত হন। অন্য মিলে যাওয়ার আগেই তিনি গতকাল শনিবার সকালে কেরু চিনিকল কারখানা ও ডিষ্টিলারী ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নেন। কেরু মিল পরিদর্শন শেষে দুপুরে কেরুর কৃষি খামার পরিদর্শন করেন। প্রথমেই তিনি ঈশ্বরচন্দ্রপর গ্রামের আখ চাষী আব্দুল হান্নানের জমিতে আখ রোপন করেন।
পরে জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ের মিলস গেট উথলীর ৫নং ইউনিটের সিডিএ সাকী মাহমুদের তত্ত্বাবধানে আফজালুল হক ধীরু,শামীম হোসেন,শওকত,কাওসার, রাশিদুল, আমির,ছমির ও আখ চাষী হাবিবুরের জমিতে ১৮ একর আখ রোপন মৌসুমের উদ্ধোধন করেন। আখ রোপন শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।
আখ রোপন শেষে কেরুর ডিহিকৃষ্ণপুর কৃষি খামারে সুগার প্লান্টে আখ রোপন,পিট পদ্ধতিতে আখ রোপন দেখেন ও মিলজোন এলাকার দুজন চাষীর জমিতে আখ রোপনের উদ্বোধন করেন। তার আগে উথলি একজন আখচাষীর জমিতে আখ রোপন করেন ও স্হানীয় চাষীদের সাথে এক মত বিনিময় সভা করেন।
কেরুর এম ডি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতির বক্তব্যে কর্পোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন সরকার অখের দাম এ মৌসুমে প্রতিমন ২২০ টাকা বাড়িয়েছে, আগামী মৌসুমে পাবেন প্রতিমনে ২৪০ টাকা। তার পরেও সরকার আপনাদের পাশে আছে,,যখন যা প্রয়োজন তা অবশ্যই করা হবে,,চাষী সংক্রান্ত সব সুযোগ করে দেয়া হবে,,তিনি বলেন আখচাষ বাড়ান,সাথে ফলনটাও বাড়ান, প্রয়োজনে সাথী ফসল করে অধিক মুনাফা অর্জন করুন। চাষীদের সাথে মত বিনিময শেষে কেরুর ডিহি কৃষি খামারে আসেন। খামারের আখ রোপন দেখেন ও অফিসে কিছু সময় কাটান।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কর্পোরেশনের সচীব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার,দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর সুযোগ্যা ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মম মোশারফ হোসেন, জি এম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া, মহাব্যাবস্থাপক ডিস্টিলারি রাজিবুল হাসান, কেরুজ প্রশাসন বিভাগের এডিএম ইউসুফ আলী, ডি জি এম (খামার) সুমন কুমার, ডিজিএম মাহাবুব হাসান,ডিহিকৃষ্ণপুর খামার ইনচার্জ ইমদাদুল হক, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ,সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ন সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান, বিকাল চারটায় তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে দর্শনা কেরু চিনিকল ত্যাগ করেন।
চুয়াডাঙ্গায় ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন
সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৩ পালন করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা সমবায় ব্যাংক চত্বরে এই দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা। সভাটি আয়োজন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগ।
সমবায় দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি করা হয়। এরপর শুরু হয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। এসময় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সমবায় অফিসার কাজি বাবুল হোসেন। এরপর সমবায় দিবস উপলক্ষে উপস্থিতিদের সাথে এক আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সমবায়ের কার্যক্রম ও সমবায় অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
এসময় সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালি করলে সমবায় আরও শক্তিশালি হবে। বর্তমান মানুষের আস্থা এখন সমবায়। যেখানে গচ্ছিত করে টাকা রেখে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। আজকের সমবায় আগামী দিনের ভবিষ্যৎত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সমবায়ের বিকল্প নেই। সমবায় গণমানুষের অর্থনেতিক দিক উন্নয়ন করছে। সমবায় এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে পাশে থাকতে হবে। সবাই একজট হয়ে সমবায় কে এগিয়ে নিয়ে যায়। সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সমবায় মানুষের গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের একটি অংশ সমবায় ব্যাংক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে সমবায়ের জন্য।
সভার শেষ পর্বে সফল সমবায় সমিতির কয়েকজনের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ও আশ্রয়ণ প্রক্লপের বাসিন্দার মধ্যে কয়েকজনের মাঝে সমবায়ের উদ্দ্যোগে চেক বিতরণ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভুইয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিরিন নাইম পুনম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, প্রমুখ।
আলমডাঙ্গায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম অফিসের উদ্বোধন
ইলেক্টিক্যাল ব্যাটারি এবং মোটর চালিত অটো রিকসা ও অটো বাইক চালকদের ড্রাইভিং ট্রেনিং ও তাদের যানের রেজিস্ট্রেশনের লক্ষে আলমডাঙ্গায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ যানের বৈধতা দেবার লক্ষে সংসদে গ্রেজেট পাস হওয়ার পর বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা অটো বাইক সার্ভিস লিমিটেডের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার আয়োজনে
গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গার আল ইকরা ক্যাডেট একাডেমি প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন ও অফিসের উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার ম্যানেজার এম শাহাবুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওসি অপারেশন ফরিদ উদ্দিন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক এন্ড অটোরিক্সা, মোটর চালিত অটোবাইক ইলেকট্রিক সার্ভিস লিঃ এর মার্কেটিং ডিরেক্টর আখতার আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন, আলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম বন্টু, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সিনিয়র সাংবাদিক প্রশান্ত বিশ্বাস,আলমডাঙ্গা ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুবুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা ইজিবাইক মালিক সমিতির উপদেষ্টা মোহাম্মদ লালটু রহমান।আল ইকরা একাডেমির শিক্ষক শাহিন শাহিদের উপস্থাপনায়, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ ওমর শরীফ রাসেল , নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ মির্জা তুষার, আব্দুল আউয়াল, মোঃ মিন্টু, আব্দুল লতিফ, মোহাম্মদ বিপ্লব, মোহাম্মদ মিডল প্রমূখ।
সভায় প্রধান আলোচক আখতার আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার এসব যানের বৈধ্যতা দেওয়ার জন্য সংসদে গ্রেজেট প্রকাশ করেছে। আপনাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ চালক তৈরী এবং অবৈধ যানকে বৈধতা দেবার জন্য বিআরটিএর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ও রোড পারমিটের ব্যবস্থা করা হবে। এতে আপনারা যেমন উপকৃত হবেন। সরকারও রাজস্ব পাবে।
তাই যারা এসব যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা সবাই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে গর্বিত চালক হিসেবে কাজ করতে এগিয়ে আসবেন।
দর্শনা থানার আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত
পুলিশ-জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি, এই স্লোগানকে সামনে রেখে দর্শনা থানা ও কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল সকাল দশটার দিকে দিবসটি উপলক্ষে দর্শনা থানা পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সুদূহ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বর্নাট্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি দর্শনা থানা থেকে বের হয়ে রেলবাজার প্রদক্ষিণ শেষে আবার থানায় ফিরে সমাপ্ত হয়।
অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা,ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নীরব হোসেন, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শফিউল আলম সহ থানায় কর্মরত অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স এবং কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ।
বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়হীনতায় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা
আন্দোলন নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আর শঙ্কায় বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এক দিকে নেতৃত্বের সংকট, আরেক দিকে সঠিক পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের অভাবে আন্দোলনে নামার মনোবল হারিয়ে ফেলছেন তারা। নির্বাচনমুখি দল হলেও বিএনপির নির্বাচনের পথ পরিহার করে সহিংসতার পথ বেছে নেওয়ায় দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে এসেছে। দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।
সরকারের পতন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর এক দফা দাবিতে টানা প্রায় এক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। একই দিনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার বিরোধী জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী ও অন্য দলগুলোও সমাবেশের ডাক দেয়।
কিন্তু সমাবেশ শুরু হওয়ার হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা যখন সমাবেশ মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তখন সমাবেশের কাকরাইল প্রান্তে দলীয় নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেই সংঘর্ষ মুহূর্তেই কাকরাইল ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে নয়াপল্টন, শাহাজাহানপুর, আরামবাগ, রাজারবাগসহ আশপাশের এলাকায়। সংঘর্ষের একজন পুলিশ সদস্য ও যুবদলের একজন কর্মী নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন অনেকে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাও ছিলো ভয়াবহ। এছাড়াও পুলিশ হাসপাতালে হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা হতবাক করে দেয় অনেককে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ওইদিন কাকরাইল মসজিদের বিপরীতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।
সমাবেশ করতে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশই হতবাক হয়েছেন। তাদের ভাবনাতেই ছিলো না এমন ঘটনা ঘটবে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা বিএনপিকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে। নেতৃত্বের দুর্বলতার এবং অদূরদর্শীতার কারণেই সেদিন ঘটনা ঘটেছে।
ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা এক বছর ধরে যেভাবে দলটিকে এগিয়ে এনেছিলাম, সরকারের বিরুদ্ধে জনমানুষের একটা আস্থা তৈরি করেছিলাম ২৮ অক্টোবরের ঘটনা আমাদেরকে শেষ করে দিয়েছে।
নেত্রকোনা জেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ একটা সমাবেশ যেভাবে অতিউৎসাহী নেতাকর্মীদের কারণে সহিংসতায় রূপ নিয়েছে তাতে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাশা দেখা দিয়েছে।
দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যার ফলে এখন দলের কোনো কর্মসূচিতেই মাঠ কর্মীদের পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। এর প্রমাণও ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। দল হরতাল ও অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দিলেও দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই নেতাকর্মীদের হরতালের পিকেটিং বা অবরোধ সফল করে তুলতে মাঠে দেখা যায়নি।
বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, দলকে চাঙ্গা করতে এখন কৌশলের কোনো বিকল্প নেই। হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন তারা। বিএনপি কর্মীরা বলছেন, দলীয় নেতারা কর্মসূচী ঘোষণা দিয়েই শেষ। এটি কিভাবে, কারা সফল করে তুলবে সে নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো পরিকল্পনা নেই। তারা আরও বলছেন, যেহেতু আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ানো যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে আরও দূরদর্শী চিন্তা করতে হবে। আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে নিয়ে দলীয় কর্মীদের গুলির মুখে ঠেলে না দেয়ার কথা বলছেন তারা।
এদিকে বিএনপি একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মহলের ‘আহ্বান ও সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ওই দিন থেকে আজ অবধি সরকারের কঠোর অবস্থান চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বিএনপিকে। মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার প্রতিবাদে ‘হরতাল-অবরোধ’এর মত কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার পরও সরকারের ‘আচরণ’ নরম না-হয়ে বরং আরও কঠোর হয়েছে। এটা দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের শুধু চিন্তায় ফেলেছে না, মনোবলও ভেঙ্গে দিয়েছে।
ওই সূত্র আরো জানায়, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে একেবারে মাঠে কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেয়- তৃণমূলের এমন সংগঠকদের একের পর এক গ্রেপ্তার চলছে। ফলে দলে দেখা দিয়েছে নেতৃত্বের সংকট। এমতাবস্থায় অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়া যাবে কি-না দলের মধ্যে এমন আলোচনা এসেছে।
অবশ্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এ ব্যাপারে বলছেন ভিন্ন কথা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচীর শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাদের অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মক সফল হয়েছে। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সন্তুষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি ৫ ও ৬ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) আরও দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ‘একদফা’র আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আর পিছু ফেরার সময় নেই। জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা-হামলা, গ্রেফতার করে আন্দোলন স্তব্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির প্রতিটি কর্মীই নেতার ভূমিকা পালন করে এ আন্দোলনে সফলতা আনবে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের একদফা দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অটল রয়েছি। যে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে তা অব্যাহত থাকবে। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে নস্যাৎ করা যাবে না।’
আলমডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
আলমডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৫২ তম সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। “সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মাট হবে বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের আয়োজনে এ দিবসটি পালিত হয়।
এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের পর উপজেলা চত্বর থেকে জাতীয় সমবায় দিবসের একটি র্যালি বের হয়ে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।
প্রধান অতিথি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিল সমবায়ের মাধ্যমে প্রতিটি কাজ সুসম্পন্ন্ করতে। দশের লাঠি একের বোঝা। তাই কোন কাজ একা না করে সম্মিলিত ভাবে করলে সেটার একটা যথাযথ ফলাফল পাওয়া যায়। কোন কাজকে ছোট করে দেখা যাবে না। সমবায়ের মাধ্যমে শক্তিবৃদ্ধি পায়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমাল আহমেদ ডন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, ইন্সটেক্টর জামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সাহারুল ইসলাম। আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডক্টর মাহবুবুবুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজকর্মি গোলাম সরোয়ার শামীম, সিরাজুল ইসলাম, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মনজুরুল ইসলাম বেলু, হাফেজ মাসুদ কামাল, অর্পিতা পাল, পানি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি এনামুল হক, শিক্ষক বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।
‘বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এটা সংবিধানে লেখা নেই’
যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণের ওপর যাদের আস্থা নেই তারা তো নির্বাচনে আসবে না, বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান। তিনি বলেন,বিএনপিকে নিয়ে নির্বাচন করতে হবে এমন কোনো কথা সংবিধানে লেখা নেই।
শনিবার নভেম্বর সকাল ১০টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
সংবিধান সম্মতভাবেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু আছে, ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে।’ তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে নির্বাচনে ভোটারদের উৎসাহিত করার জন্য ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাবে।’ জনগণ তখন আরও বেশি উৎসাহিত হবে এবং আগামী নির্বাচনের জন্য আসবে বলে তিনি মনে করেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় ও গুলশানের কার্যালয় বন্ধ থাকায় ইসির চিঠি গ্রহণ করার মতো বিএনপির অফিসে দায়িত্বশীল কাউকে পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক খান বলেন, বিষয়টি বিএনপির জন্য লজ্জার। দলটির সাম্প্রতিক কর্মসূচি রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এগুলো সহিংসতার কর্মসূচি বলে মন্তব্য করেন তিনি। এগুলোকে ‘টেরোরিস্ট অ্যাকশন’ বলা যেতে পারে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমরা দেখেছি, নির্বাচনের সময় অনেক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে না। সুতরাং যেসব রাজনৈতিক দলের সক্ষমতা নেই, যাদের জনসমর্থন নেই, জনগণের প্রতি যাদের আস্থা নেই; তারা তো নির্বাচনে আসবেই না।”
নির্বাচনের সময় কোনো রাজনৈতিক দল যদি অরাজকতা সৃষ্টি করে, তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রতি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং নেবে জানিয়ে ফারুক খান বলেন, ‘ইসি নিজেই এটা জানে কখন কী ব্যবস্থা নিতে হবে।’ এসব ব্যাপারে আইনশৃঙ্ক্ষলা বাহিনীর সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বৈঠক করেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ফারুক খান জানান, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে যে, নির্বাচনে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোট প্রয়োগ করবে।
৪ নভেম্বর সকালে বৈঠকে ইসির পক্ষ থেকে ডাকা হয়েছিল- আওয়ামী লীগ, ইসলামী ঐক্যজোট, এলডিপি, তৃণমূল বিএনপি, এনডিএম, বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিজেপি, সিপিবি, বাংলাদেশ মুসলীম লীগ, এনপিপি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণফোরাম, গণতন্ত্রী পার্টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, খেলাফত মজলিস, বিএমএল, বিএনএফ, গণফ্রন্ট ও ইনসানিয়তা বিপ্লব বাংলাদেশকে। এর মধ্যে বৈঠকে যায়নি এলডিপি, বিজেপি, কল্যাণ পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, সিপিবি, গণতন্ত্রী পার্টি, বিএমএল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ও খেলাফত মজলিস।
মেহেরপুরে র্যাবের অভিযানে নাশকতা মামলার আসামি আটক
মেহেরপুরে একটি নাশকতা মামলার আসামি হাশেম আলীকে (৪৫) আটক করেছে র্যাব।
র্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্পের এক অভিযানে শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে মেহেরপুরের ইছাখালী থেকে তাকে আটক করা হয়। হাশেম আলী ইছাখালী গ্রামের এলেজ আলীর ছেলে এবং স্থানীয় বিএনপি কর্মী।
র্যাব-১২ গাংনী ক্যাম্পের প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, (২ নভেম্বর) ভোরে মেহেরপুর সদর উপজেলার ইছাখালী গ্রামের তিন রাস্তার মোড়ে বিএনপির উচ্ছৃঙ্খল নেতাকর্মীদের সরকার উৎখাতের বিষয়ে নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করছিলো এমন অভিযোগ এনে মেহেরপুর সদর থানার এসআই রেজোয়ানুল হক বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)/২৫ ডি ধারায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন সহ ২০ জনের নাম উল্লেখপূর্বক আরো ৮০ জন অজ্ঞাত আসামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। ওই মামলার ১১ নং আসামি হাশেম আলী।
র্যাব প্রেস রিলিজে আরও জানায় , র্যাব ১২ গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার এএসপি মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
চুয়াডাঙ্গায় সরোজগঞ্জ ফাঁড়ির অভিযানে ফেনসিডিলসহ আটক ২
চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সদর উপজেলার সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ও তিতুদহ ক্যাম্পের যৌথ অভিযানে ১৬৮পিস বোতল ফেনসিডিলের পিকআপ গাড়িসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ । মিনি পিকআপটি ও ১৬৮পিস বোতল ফেনসিডিলসহ সর্বমোট সাড়ে ১৪ লক্ষ টাকার মূল্য মালামাল আটক করে পুলিশ।
জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর থানার খায়েরহুদা গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে আজাদুর রহমান (৪৫) ও একই গ্রামের জুমাত আলীর ছেলে ফিরোজ হোসেন (২৩) আজ শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় ১৬৮ পিস বোতল ফেনসিডিলের পিকআপ গাড়ি যার নাম্বার ( ঢাকা মেট্রো ন – ২১-৩৬৭৯ ,) সহ দুজনকে সরোজগঞ্জ বাজারে কালুপোল সড়কের এ্যানি ম্যানি ওষুধের ফার্মেসির সামনে হতে কাঠের গুড়া বস্তা লোড সহ মিনি পিকআপ গাড়িটি জীবননগর থেকে ছেড়ে এসে খাড়াগোদা বাজার হয়ে সরোজগঞ্জে দিকে আসার সময়ে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের পুলিশ পিকাআপটি গতিরোধ করে ফেনসিডিলের গাড়িসহ দুজনকে আটক করেন।
এদিকে তিতুদহ ক্যাম্পের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ শনিবার মিনি পিকআপটি পিছু পিছু ধাওয়া করেন বলে জানিয়েছেন তিতুদহ ক্যাম্পের এস আই উত্তম কুমার। তিতুদহ ক্যাম্পের পুলিশের সদস্যরা এবং সরোজগঞ্জ ক্যাম্পে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানালে দ্রুততার সাথে সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের পুলিশ মিনি পিকআপটি সরোজগঞ্জ চার রাস্তা মোড়ে পিকআপটিকে থামিয়ে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলসহ পিকআপটি আটক করে ক্যাম্পে রাখেন।
সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের ইনচার্জ এস আই হারুন অর- রশিদ ও এস আই অরিদুল ইসলাম মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রতিবেদকে বলেন আমি ও তিতুদহ ক্যাম্পের এস আই উত্তম কুমার সহ ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের মাধ্যমে খাড়াগোদা বাজার হয়ে সরোজগঞ্জ বাজারের দিকে একটি পিকআপে ফেনসিডিলের বড় চালানের কথা শুনে বিভিন্ন যানবাহন তল্লাসি করতে থাকি তবে মিনি পিকআপটিকে আমাদের সন্দেহ হয়ে পিকআপটি পিছু পিছু ধাওয়া করতে থাকি এবং সরোজগঞ্জ ক্যাম্পের সহযোগিতায় আমরা যৌথ অভিযানে ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।
আসামীদেরকে আজ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সোর্পাদ করে মামলা দায়ের করেন বলে জানিয়েছেন সরোজগঞ্জ ক্যাম্প পুলিশ।