মেহেরপুরে যুবলীগের হরতাল বিরোধী মোটরসাইকেল শোডাউন

বিএনপির ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতাল প্রতিরোধে মোটরসাইকেল শো-ডাউন করেছে মেহেরপুর জেলা যুবলীগ।

আজ রবিবার দুপুর বারোটার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মোটরসাইকেল শো ডাউন বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়।

মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের নেতৃত্বে অন্যদের মধ্যে মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, যুবলীগ নেতা সোহেল রানা, ইয়ানুস আলী, সাইদুর রহমান উজ্জলসহ যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।




মেহেরপুরে ঢিলেঢালা হরতাল পালিত, বাস-লেগুনা বন্ধ

বিএনপির ডাকা সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঢিলেঢালাভাবে পালিত হচ্ছে মেহেরপুরে। অন্যদিনের মতোই দোকানপাট খোলা হয়েছে এবং ব্যক্তিগত যানবাহন, রিক্সা, ইজিবাইকের মত যানবাহনগুলো স্বাভাবিকভাবে চলছে । হরতালে যে কোন ধরণের নাশকতা ঠেকাতে বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মেহেপুরের শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের মত দোকানপাঠ খোলা রয়েছে। তবে কিছুটা সতর্ক অবস্থায় ব্যবসায়ীরা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেখা গেছে। তবে মোটরসাইকেল শোরুম, জুয়েলারি দোকানগুলো বন্ধ থাকতে দেখা গেছে।

মেহেরপুর বাসস্ট্যাণ্ড থেকে আন্ত:জেলা ও দুরপাল্লার কোন বাস বা লেগুলো ছেড়ে যায়নি। ফলে ইজিবাইক, রিক্সা ,ভ্যান এবং ব্যক্তিগত গাড়ি পথচারীদের ভরসা হয়ে দাড়িয়েছে।

এবিষয়ে ইজিবাইক চালকরা বলেন, আজকে হরতাল থাকার সত্ত্বেও পেটের দায়ে আমাদের বাইরে বের হতে হচ্ছে। হরতালের ভয় করে তো লাভ নেই পেট তো আর বসে থাকবে না।

তারা আরো জানান, হরতালের কোনো ভয় নেই। আমরা নির্ভয়ে আমাদের কাজ করে যাবো। আমরা দেখতে পারছি মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের একটি দল উপস্থিত আছে।

শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ এনে রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।




বিএনপির মহাসচিব ফখরুলকে আটক করেছে ডিবি

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদি দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে গুলশানের বাসা থেকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে তাঁকে রাজধানীর মিন্টো রোডে অবস্থিত ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার পর তাঁকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিবির এক কর্মকর্তা বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে।

এর আগে বিএনপির মহাসচিবের আটকের বিষয়ে দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, সকাল ৯টার আগে থেকে মহাসচিবের গুলশানের বাসার সামনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নেন।

সূত্র-  কালের কণ্ঠ অনলাইন

 



মেহেরপুরে পাখির বাসা নিয়ে মধুর বিপাকে বাড়ি মালিক

পাখির প্রতি ভালোবাসা ও পাখিদের নীড় সংকটের কথা বিবেচনা করে পাখির নীড় রক্ষার্থে নির্মানাধীন ঘরের ছাউনির কাজ বন্ধ রেখেছেন এক পাখি প্রেমী মানুষ সোহাগ আলী।

জেলার গাংনী উপজেলার বামন্দী গ্রামের সোহাগ আলী বলেন, আমার বাড়ীর উঠানে থাকা একটি পেয়ারা গাছে মাস চারেক আগে এক জোড়া মুনিয়া পাখি বাসা বাধতে শুরু করে। অথচ পেয়ারা গাছের চার পাশে দুই ফিটের মত উচ্চতায় ইটের প্রাচীর নির্মাণের কাজ শেষ হয়ে গেছে। পাখি দুটি গাছে আশ্রয় নেয়ার আগের দিনই গাছটি কেটে ফেলার কথা ছিলো। গাছটিতে পাখির আনাগোনা দেখে গাছটি কাটার সিধান্ত সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়। এর কিছুদিন পরে ছোট্র সেই বাসাটিতে ছয়টি ডিম পেড়ে তা পাহারা দিতে শুরে করে পাখি গুলো। ডিম পাড়া দেখে পেয়ারা গাছের অংশের নির্মাণ কাজ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখা হয়। ডিম পাড়ার সপ্তাহ খানেক পরে শুরু হয় ঝড়ো বাতাসের সাথে বৃষ্টি। বাতাসের গতি বেশি থাকাই পাখির বাসাটি ডিম সহ মাটিতে পড়ে যায়। সেই বাসাটি আমি গাছটিতে উঠিয়ে একটি প্লাস্টিকের ছোট ঝড়িতে রাখতেই এর কিছুক্ষণের মধ‍্যে পাখি দুটি সেই ঝুড়িতে থাকা বাসাটিতেই আশ্রয় নেই এবং এর সপ্তাহ দেড়েক পরে বাসাটিতে চারটি ছানা জন্ম নেই। তারা ধিরে ধিরে বড় হতে থাকে,আবার একটা সময় উড়তে গিয়ে বাসা থেকে মাটিতে পড়ে যেত আমি পুনরায় বাসাটিতে উঠিয়ে দিতাম। এভাবেই চলতে চলতে পাখি গুলো বাসাটি ছেড়ে অন‍্যথায় চলে যায়।

সপ্তাহ খানেক হয়েছে আমার সেই নির্মাণাধিন ঘরের লিংটেন ঢালাইয়ের কাজ শেষ হয়েছে তবে গাছটি এখনো সে ভাবেই রয়ে গেছে। সেই গাছটি আজ কেটে ফেলে তার উপর দিয়ে টিনের ছাউনি দেয়ার কথা ছিলো। তবে সকালের দিকে গাছটির কাছে গিয়ে দেখি, পূনরায় আবার দুটি মুনিয়া পাখি এসে নতুন করে বাসা বাধতে শুরু করেছে।

আজ রবিবার আমার নির্মাণাধীন ঘরের ছাউনির জন‍্য মিস্ত্রি এসেছে অথচ তাদের দিয়ে আমার ছাউনির কাজ না করে ফেরত পাঠালাম। শুধু পাখিদের কথা ভেবে। কেননা আমি পাখির বাসা ভেঙে নিজের বাসা তৈরি করবো এটা সম্ভব না।

মেহেরপুর বার্ড ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল হক মানিক বলেন,একটা সময় ছিলো আমাদের বাসা বাড়ির আঙিনায় ও ছোট গাছ পালায় পাখিরা বাসা বাধতো। আধুনিক সময়ে গাছ পালা কেটে ফেলাসহ পুরানো খড়ের ঘর থেকে ইট পাথরের তৈরি দালান গড়ে ওঠাই অনেক পাখি তাদের বসবাসের জায়গা পরিবর্তন করতে বাধ‍্য হয়েছে। আর বতর্মানে এখনো অনেক পাখি আছে জারা এসে বসবাসরত মানুষের বাড়ির ওঠানে থাকা ছোট গাছ পালাই বাসা বাধছে।

তিনি বলেন, এটির আরেকটি কারন হচ্ছে সড়কের পাশে থাকা গাছপালাসহ বনায়ন কমে যাওয়ায় তারা এসে ঝুঁকি নিয়ে এসব ছোট ছোট গাছে আশ্রয় নিচ্ছে। আমাদের উচিৎ তাদের বিরক্ত না করে তাদের বাসস্থানের নিরাপদ নিশ্চিত করা। তাহলে তাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। আর প্রানীকুলের প্রানীরা মুলত আমাদের পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখে। এক সময় এ অঞ্চলে বাবলা গাছ ব‍্যাপক আকারে পাওয়া যেতো মুলত বাবলা গাছে থাকা পোকামাকড় ছিল এসব বিলুপ্ত প্রায় মুনিয়া পাখির প্রিয় খাবার। এবং বাসা বানানোর জন‍্য পছন্দের। অথচ এ অঞ্চলে বাবলা গাছ এখন বিলুপ্ত প্রায়। তাছাড়া মেহেরপুর জেলার সড়ক উন্নয়নের কাজের জন‍্য নির্বিঘ্নে কাটা হয়েছে লক্ষাধিক গাছ।




গাংনীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল

গাংনীতে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং সারা দেশে বিএনপির ডাকা হরতালে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিসিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ।

গতকাল শনিবার সন্ধায় একটি বিক্ষোভ মিছিল গাংনী বাজার বাস স্ট্য্যান্ড থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। কিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে গাংনী বাস স্ট্যান্ড মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য ও জ্বালাও পোড়াও বন্ধের দাবী করেন। সেই সাথে বিরোধীদের নৈরাজ্য বন্ধে সকল নেতা কর্মীদের রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের নেতাকর্মীরা একটি মোটর সাইকেল শোডাউন করেন। শো-ডাউনটি গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোহড়া দেয়।




চুয়াডাঙ্গার যদুপুর গ্রামের বিলের মাঠে রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা

চুয়াডাঙ্গা সদরের যদুপুর গ্রামের বিলের মাঠে রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী খাসজমি নিজের দাবি করে

সাহা আলী নামের এক ব্যক্তি বন্ধ করে দিয়েছে রাস্তার কাজ। এ নিয়ে থানা পুলিশে অভিযোগের পাশাপাশি আদালতে ফোজদারী ও পিটিশন মামলাও করেছে। এতে করে রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায়যদুপুর গ্রামের বিলের ধারের চাষাবাদ সহ চাষাবাদকৃত মাঠের মালামাল ঘরে বা বাজারে নিতে ব্যহৃত হচ্ছে চাষীদদের। সেই সাথে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কৃষকেরা। তাই সুষ্ঠ সমাধান চাই এলাকার ভুক্তভোগী চাষী সহ সচেতন মহল। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশকের সুু-দৃষ্টি কাামনা করেছে ভুক্তভোগী চাষী সহ সচেতন মহল।

গ্রামবাসীর অভিযোগে জানাযায়, চুযাডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের ৬৫ নং যদুপুর মৌজার ১নং ক্ষতিয়ানে ১২৭২ নং দাগে বিলের ধারের মাঠে পথিত খাস জমির উপর দিয়ে গ্রামবাসীর উদ্দ্যোগে মাঠের চাষাবাদ ও মাালামাল বহনের সুবিধার্থে একিিট রাস্তা নির্মাণের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই মোতাবেক রাস্তা নির্মান কাজের প্রক্রিয়াও শুরু হয়।

এ কাজ গ্রামের পরঘাটা পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের ছেলে শাহা আলম ওরফে সাহা আলীর (৫৫) জমির নিকট পৌছালে তিনি সরকারী জমি নিজের দাবি করে কাজে বাঁধা প্রদান করায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

যার ফলে গ্রামের মাঠের ভুক্তভোগী চাষী আলী আকবার, টিটু মিয়া, বোরহান উদ্দীন, আমিরুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, নূর আলম সিদ্দিকী সরকারী খাস রাস্তার জমির অবৈধ্য ভাবে দখল উচ্ছেদে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর পারঘাটা পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের ছেলে শাহা আলম ওরফে সাহা আলী ও শাহ আলমের ছেলে শাকিব হাসানের বিরুদ্ধে।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চুয়াডাাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশে বেগমপপুরর তৈহশীল অফিসের একটি প্রতিনিধিদল জমি মাপযোপের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

সরকারী খাস জমি মাফযোপের কার্যক্রম শুরুু হয়। মাপযোপের সময় উপস্থিত ছিলেন বেগমমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, বাদি-বিবাদির লোকজন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ মাপযোপের সময সার্ভেয়াার সকলের উপসস্থিতিতে জমমির সীমানানির্ধারন করা সহ সীমানা পিলার পুতে দেওয়া হয়।

এ জমির মাপযোপে সীমানা নির্ধারন শেষে সীমানায় সীমমানা পিরলার পুুতে সীমানা নির্ধারন করে দেওয়া হয়। এ সীমানা নির্ধারন শেষে সার্ভেয়ার সহ উপস্থিত সকলে চলে যাওয়ার পর সীমানা মানতে নারাজ শাহা আলম সহ তার লোকজনেরা।

এরপর দর্শনা থাননা পুলিশে নিজর জমি দখল করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে ফোজদারী ও পিটিশন মামলাও করে।
রাস্তাটি যদপুর গ্রামের পুরাাতনপাড়ার মসজিেেদর সাামনে রাস্তার হয়ে গ্রামের আব্দুসস সাত্তারের ছেেেল সাজ্জাদ হোসেন গাড্ডু পুকুরপাড় হয়ে পুরাতনপাড়া-পারঘটা রাস্তায় উঠে মিলিত হবে।

এমতাবস্থায় শাহা আলমের স্ত্রী রাণু বেগম চুুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে একটি ফোজদারী পিটিশন দাখিল করলে রাস্তা নির্মানের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে বিলের ধারের মাঠের জমির আবাদকৃত ধান-পাট, সবজি, পুকুরের মছ সহ চাষাবাদ সহ চাষাবাদকৃত আন্যান্য মালামাল ঘরে বা বাজারে নিতে ব্যহৃত হচ্ছে চাষীদদের। সেই সাথে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চাষিদের। তাই সুষ্ঠ সমাধান চাই এলাকার ভুক্তভোগী চাষী সহ সচেতন মহল। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশকের সুু-দৃষ্টি কাামনা করেছে ভুক্তভোগী চাষী সহ সচেতন মহল।

এ বিষয়ে শাহা আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ফোনটি তার ছেলে রিসিভ করে। সে জানায় মাামলার বাদী আমার মা। আমি বাইরে আছি বাড়ি পৌছে মায়ের সাথে কথা বলিয়ে দিচ্ছি। তবে শেষ পর্যন্ত ফোনে আর যোগাযোগ করিয়ে দেয়নি।




বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: উজরা জেয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না, বরং তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমানের সাথে বৈঠকে একথা জানান।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদারসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তারা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টা রহমান এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংঘাত, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন।

উজরা জেয়া ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন এবং তাদের জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

নির্বাচন ইস্যুতে উভয়ই মনে করেন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। উপদেষ্টা রহমান আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপ- সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ আফরিন আক্তার এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ফুটবল মাঠে নব নির্মিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হচ্ছে। যা আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রথম। এর আগে কোন সরকার খেলাধুলার প্রতি এত আন্তরিক ছিলেন না বলেই এমন উদ্যোগ নেইনি। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার দেশব্যাপী উন্নয়নের মধ্যে এটিও একটি অন্যতম উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন, দেশে উন্নয়ন টিকিয়ে রাখতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার কোন বিকল্প নেই। রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে এবং গোয়ালের গরু রাখতে হলে আবারও শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।

তিনি বলেন,দেশের উন্নয়ন চাইনা যারা তারাই আজ মাঠে নেমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ওইসব নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বিএনপি জামাতের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে সকল প্রতিহিংসা,ষড়যন্ত্র মোকাবেলা কওে আবারও নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নেব।

সাহারবাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ মূর্শেদ অতুলের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাজিপুর ইউয়িন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম হুসাইন,কাথাুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা। গাংনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলামের সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-এমপি পত্নী লাইলা আরজুমান শিলা,আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মাস্টার ও মনিজ্জামাান আতু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সাহারবাটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আতাউর রহমান টোকন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল, গ্রামের প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় তামজিদুর রহমান মুক্তি,গাংনী উপজেলার ভিভিন্ন এলাকার আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরে ৭ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গা উপজেলায় শোবার ঘরে জুয়া খেলার সময় হাতেনাতে ৭ জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে।

আজ শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলার সামগ্রী, নগদ ৫ হাজার ৬০ টাকা জব্দ করা হয়।

আটক সাতজন জুয়ারি হলেন- উপজেলার পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়ার মৃত হায়দার আলীর ছেলে লাল্টু (৩৮), গোবিন্দপুর নতুন বাসস্টান্ড পাড়ার হাসেম আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩২), মৃত নিজাম উদ্দীনের ছেলে মুকুল আলী (৪০), মৃত আবু বক্করের ছেলে শফি (৪০), মৃত হারান আলীর ছেলে আলম হোসেন (৫০), মৃত শমসের আলীর ছেলে মিশকার (৪২) ও নওদা বন্ডবিল গ্রামের মৃত শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে কলিম উদ্দিন (৪৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়ায় নিজ শোবার ঘরে জুয়ার আসর বসান হায়দার আলীর ছেলে লাল্টু। গতকতাল শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। জুয়া খেলার সময় সাতজনকে হাতেনাতে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও কয়েকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারজাহান আল মোনায়েম জানান, দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়ারিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক সাতজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় বিএনপি-জামাতের চক্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ

বিএনপি-জামাত চক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর ২ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপকুমার আগরওয়ালা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। শুধু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ চুয়াডাঙ্গায়। আজ কর্ণফুলী নদীতে ট্যানেলের উদ্বোধন হয়েছে। পদ্মা সেতু সহ বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ও চলমান রয়েছে। শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বিএনপি মনে করছেন এদেশ তাদের বাপে। আজ সমাবেশ করছেন। আর কত সমাবেশ করবেন। কত মানুষকে দুঃখ দুর্দশা দিবেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পৃষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন,আমি প্রতিক দিতে পারি কিন্তু জিতে এনে দিতে পারবো না। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এই দলের অধীনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ছাত্র সমাজকে মাদক মুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা গড়ে তুলতে হবে। আমার ইচ্ছা, প্রতিটি ইউনিয়ন খেলার সুন্দর একটি মাঠ থাকবে, একটি করে মিনি স্টেডিয়াম থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কলেজে কিংবা স্কুলে যোগ্য ব্যক্তি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। আমার চেয়ারের প্রতি কোন লোভ নাই। আমি আপনাদের দিতে এসেছি, নিতে আসি নাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিপু মাস্টার, বেলগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, হারদি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, ডাউকি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক রবিউল ইসলাম, নাহিদ হাসান, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান, তন্ময়, সাজিদ, রকি আহমেদ মমিন, নাসিম, সাগর, বাপ্পি, আলিফ। এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশে জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলো।