আলমডাঙ্গায় বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি মিলন সম্পাদক আব্দুল্লাহ

উৎসব মুখর পরিবেশে আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আরেফিন মিয়া মিলন পূণরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন নির্বাচিত হন।

আজ শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর ফলাফল ঘোষণা করেন বণিক সমিতির নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ব্যাংকার সিরাজুল ইসলাম। তার দেওয়া তথ্যমতে এ নির্বাচনে আরেফিন মিঞা মিলন সভাপতি (ছাতা) প্রতিক নিয়ে ৪৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাজী মো: মকবুল হোসেন দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৪ ভোট ও অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম লিটন পেয়েছেন ৯১ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন (বাই সাইকেল) প্রতিকে ৫২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেন (আনারস) প্রতিক পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট ।

সহ-সভাপতি পদে হাফিজুর রহমান (দেয়ালঘড়ি) প্রতিকে ৫৮২ ও রফিকুল আলম (চশমা) প্রতিকে ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুজ্জামান হিরা (মাছ) প্রতিকে ২৮৮ ও হামিদুল ইসলাম (বটগাছ) প্রতিকে ২৮৫ ভোট পেয়েছেন।

সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম (বাঘ) প্রতিকে ৪৭৮ ও জাহাঙ্গীর আলম (গোলাপ ফুল) প্রতিকে ৪৫৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদর উদ্দিন (হাঁস) প্রতিকে পেয়েছেন ৩৮৪ ও বাবলুর রহমান (ডাব) প্রতিকে ৩৬৯ ভোট পেয়েছেন।

কোষাধ্যক্ষ পদে আলাউদ্দিন মিয়া (মোরগ) প্রতিকে ৪৮৭ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোহানুর রহমান বাবলু (হাতি) প্রতিকে ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আমিরুল ইসলাম লিটন (চেয়ার) প্রতিকে ৫২৫ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল লতিফ (মই) প্রতিকে ৪২৪ ভোট পেয়েছেন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান (আম) প্রতিকে ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ রানা (ফুটবল) প্রতিকে ৩৮৪ ভোট পেয়েছেন।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে রেজাউল করিম কাবিল (মিনার)প্রতিকে ৫৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুল হক (তারা) প্রতিকে ৩৪৫ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে শফিউল হাসান মিলন (কলম) প্রতিকে ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইফতেখার আহমেদ (টিয়া) প্রতিকে পেয়েছেন ৩৯৬ ভোট। এছাড়াও সদস্য পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থীরা তাদের কর্মি সমর্থকরা আনন্দ উৎসব করেন।




পৃথিবীকে বদলে দেওয়া নারী নেত্রীদের শীর্ষে শেখ হাসিনা

নিজ নিজ দেশকে বদলে দেয়া নারী নেত্রীদের তালিকায় ওঠে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনের সংবাদমাধ্যম গোব ইকো নারী নেত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশকে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবা দেয়া শেখ হাসিনা শীর্ষে রয়েছেন।

গোব ইকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন সংকটের মধ্যে দেশে তিনি একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাঙালি জাতির প্রতি তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান হলো, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দেশের জনগণকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া। গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য পৃথিবীর অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ক নারী নেত্রী হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। তিনি ২০১৭ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় ৩০তম স্থানে রয়েছেন। বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তাঁর নিরঙ্কুশ বিজয় তাঁকে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী করে তুলেছে।

সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত হালিমা ইয়াকবকে গোব ইকোর প্রতিবেদনে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি তাঁকে সদালাপী উল্লেখ করে বলেছে, তিনি বয়স্কদের মানবাধিকারের জন্য কাজ করা একজন অ্যাকটিভিস্ট। সবসময় দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দেন তিনি।

তানজানিয়ার প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি সামিয়া হাসানকে রাখা হয়েছে তালিকার তৃতীয় নম্বরে। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়া আফ্রিকান বংশোদ্ভূত পঞ্চম নারী। ৬১ বছর বয়সী এই নারী নেত্রী তানজানিয়ায় ‘মামা সামিয়া’ নামে পরিচিত, জানিয়েছে গোব ইকো।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় তার কঠোর পন্থা পৃথিবীজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিশেষত এশিয়া-আফ্রিকার রাজনীতিতে পুরুষদের আধিপত্য বেশি চোখে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সমাজে বিদ্যমান পশ্চাৎপদতা আর কুসংস্কারকে মোকাবেলা করে নারীরা যখন একটি দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন, তখন হয়ে ওঠে আসল চ্যালেঞ্জ জয়ের গল্প। পৃথিবীর সামনে এমন অল্প কয়েকজন প্রেরণাদায়ী নারী নেত্রী আছেন যাদের প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব পৃথিবীর উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।




দেশের অর্থনীতির গেমচেঞ্জার হবে বঙ্গবন্ধু টানেল

চট্টগ্রামে বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিলেন আন্ডারওয়াটার এক্সপ্রেসওয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার সকাল ৬টা থেকে থেকে যানবাহনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

এদিন তিনি আনোয়ারা নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। বঙ্গবন্ধু টানেলে যা যা রয়েছে এই প্রকল্পের অধীনে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৪ লেনের সড়ক টানেল নির্মান করা হয়েছে।মূল টানেলে রয়েছে দুটি টিউব। যার দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এছাড়া টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সংযোগ সড়ক রয়েছে। সাথে রয়েছে ৭শ ২৭ মিটার দীর্ঘ একটি ওভার ব্রীজ। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কেন প্রয়োজনীয় ছিল কর্ণফুলী নদীতে তিনটি ব্রিজ নির্মিত হলেও অতি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য যথেষ্ট না। তিনটি

সেতু নির্মাণের ফলে ইতিমধ্যে পলি জমে কর্ণফুলী নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা যাচ্ছে। যা চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য হুমকি। এ কারণেই সেতুর পরিবর্তে টানেল নির্মাণের উদ্যেগ বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা শহরের সঙ্গে ডাউন টাউনকে যুক্ত করে উন্নয়নকাজ ত্বরান্বিত করবে। স্বপ্নের এই টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টুটাউন।

সাংহাইয়ের মতো ভৌগোলিক অবস্থা বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এবং কর্ণফুলী নদীর ওপারের আনোয়ারা উপজেলার। এই টানেল মূলত দক্ষিণ চট্টগ্রামকে সারা দেশের সাথে সংযোগ করবে। কক্সবাজারের সাথে ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমাবে এই টানেল। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী গাড়িগুলোকে আর বন্দরনগরীতে ঢুকতে হবে না। চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরে যানবাহনের চাপ কমে যাবে। টানেলকে ঘিরে চট্টগ্রাম-

কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই টানেল দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পকারখানা স্থাপনে উৎসাহিত করবে। ইতোমধ্যে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড আছে, চীনা অর্থনৈতিক জোনও শুরু হওয়ার পথে। সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করে দিচ্ছে। যার ফলে স্থানীয়দের ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান হবে। বঙ্গবন্ধু টানেলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব এটি শুধু দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে না, এটির মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্পকারখানাসহ অর্থনৈতিক বিপ্লব সাধিত হবে। টানেল চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-

কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্তের প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং পশ্চিম প্রান্তের চট্টগ্রাম শহর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের সঙ্গে উন্নত ও সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে৷ ফলে ভ্রমণ সময় ও খরচ হ্রাস পাবে৷ পূর্ব প্রান্তের শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত মালামাল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর ও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন করা সহজ হবে।

মহেশখালী-মাতারবাড়ি এলাকায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি স্টেশনসহ জ্বালানিভিত্তিক বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে শিল্প-কারখানা নির্মাণের কাজ চলছে, এ টানেল সেগুলোর সঙ্গে পুরো বাংলাদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজও এগিয়ে যাবে। আনোয়ারা এলাকার নির্মাণাধীন চায়না অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং গড়ে ওঠা কোরিয়ান ইপিজেডসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানার সঙ্গে সুবিধাজনক যোগাযোগে এই টানেল ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, বান্দরবানসহ পাহাড়, সমুদ্র ও নদীর এ ত্রিমাত্রিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজতর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এ টানেল মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে বেকারত্ব দূরীকরণ ও দারিদ্র্যদূরীকরণসহ দেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ট্রানজিট সুবিধা থাকায় বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব আয় করবে এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সর্ম্পক বৃদ্ধি পাবে।
জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে ফিন্যান্সিয়াল ও ইকোনোমিক আইআরআর-এর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এছাড়া বেনিফিট কস্ট রেশিওর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ১ দশমিক ০৫ এবং ১ দশমিক ৫। ফলে জিডিপিতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, অর্থাৎ জিডিপি ১৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বঙ্গবন্ধু টানেল: মাতারবাড়ি সেভেন সিস্টার্স বিজনেস হাব

ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় এই সাতটি রাজ্য সংযুক্ত। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সড়ক এবং আকাশপথ একমাত্র ভরসা। কিন্তু ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে সড়ক এবং আকাশপথে মালামাল পরিবহন ব্যয়বহুল। এই জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে ট্রানজিট চুক্তি করেছে মাতারবাড়ি ও
চট্টগ্রাম ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার জন্য। ভারতের যে পরিমান পেট্রোলিয়াম এবং গ্যাসের মজুদ আছে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ এই সাত রাজ্যে পাওয়া যায়। ভারতের অন্যান্য রাজ্যে গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম বঙ্গবন্ধু টানেল ব্যবহার করে মাতারবাড়ি ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে পরিবহন করা যাবে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল আর বাংলাদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি তথা সংযোগ প্রসারের একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা নিয়েছে টোকিও– যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো একটি ‘সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল’ গড়ে তোলা। জাপানের অর্থায়নে বাংলাদেশের মাতারবাড়িতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখান থেকে ত্রিপুরার সাবরুম পর্যন্ত একটি মাল্টিমোডাল করিডর গড়ে তোলারও প্রস্তাব করেছে টোকিও। মাতারবাড়ি থেকে সাবরুম মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরে। ফলে ওই পথে যদি ফোরলেন হাইওয়ে ও রেল সংযোগ গড়ে তোলা যায় তা গোটা অঞ্চলের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’হিসেবে কাজ করবে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
জাপানের সহযোগিতায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যালু চেইন গড়ে তোলা হবে। এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানির ওপর ভারত যে অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি বসিয়েছে তা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা। কারণ, বাংলাদেশের পাট গুণ-মানে ভালো এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরিতেও সহায়ক। ফলে এতে আখেরে ভারতেরও লাভ হবে। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বড় একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে কানেক্টিভিটি। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়ার পর থেকেই দুই দেশের কানেক্টিভিটি প্রকল্পগুলোয় গতি এসেছে। ভারতে আসামের নয়া ধুবড়ি থেকে মেঘালয়ের ফুলবাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ হচ্ছে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এটি নির্মাণ হলে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ভারত হয়ে সড়ক চলাচল সহজ হয়ে আসবে।

প্রক্ষেপণ রয়েছে, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষে সংশ্লিষ্ট সড়কটির ওপর দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে চলাচলকারীর সংখ্যা গড়ে প্রায় ৩০ লাখে পৌঁছাবে। একই সঙ্গে বার্ষিক পণ্য পরিবহনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ১৮ লাখটনেরও বেশিতে। এছাড়া ধুবড়ি থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের পথ ৮ ঘণ্টা থেকে মাত্র ২৩ মিনিটে নামিয়ে আনবে সেতুটি। ধুবড়ি-ফুলবাড়ি সেতু নির্মাণ শেষ হলে এর দুই পাশে বাজার ও সেবা খাতের ব্যাপক প্রসার হবে বলে আশাবাদী খাতসংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে গ্রামীণ কৃষিপণ্যের বাজার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতেরও ব্যাপক উন্নয়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে হলে বাংলাদেশকে শুধু উত্তর-পূর্ব নয়, গোটা ভারতের কথাই মাথায় রাখতে হবে। কানেক্টিভিটি তৈরি হলে ব্যবসার সুযোগ বাড়বে। এই কানেক্টিভিটি তৈরিতে বঙ্গবন্ধু টানেল ঈর্ষনীয় ভূমিকা পালন করবে। অর্থনৈতিক উন্নতিতে এর পরের ধাপগুলো নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিয়েছে বাংলাদেশ। যেমন: ক) ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা (ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার) নির্মূল করা। খ) মাতারবাড়ি বন্দর ২০২৭ সালে চালু হলে ভারতের ল্যান্ড-লকড (স্থলবেষ্টিত) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য তা বঙ্গোপসাগরের দরজা উন্মুক্ত করে দেবে। ফলে সেই বন্দরের সঙ্গে উপযুক্ত সংযোগ গড়ে তোলার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সুড়ঙ্গ নির্মাণে ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এর ঢাকা সফরে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋণ হিসাবে দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকার করেছে। নদী সুড়ঙ্গটির নির্মাণ কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। ২০২২ সালের মধ্যে সুড়ঙ্গটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ অব্যাহত ছিল৷ টানেলের প্রতি টিউবের প্রস্থ ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ১৬ ফুট। এছাড়া, দুটি টিউবের মধ্যবর্তী ব্যবধান ১১ মিটার। সুড়ঙ্গটির মূল দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার। তবে এর সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক যুক্ত হবে।




দর্শনায় আওয়ামী লীগের হরতাল বিরোধী মিছিল 

বিএনপির ডাকা অবৈধ হরতালের বিরুদ্ধে দর্শনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। মিছিলে যুবলীগ,ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
শনিবার রাত ৯ টার দিকে দর্শনা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পেশা জীবি মানুষ অংশ নেয় হরতাল বিরোধী মিছিলে।
দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন শেষে দর্শনা পুরাতন বাজার দোয়েল চত্তরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্টিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, আ’লীগ নেতা, আব্দুল হান্নান, সোলায়মান কবির, আব্দুল হাকিম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক মান্নান খান, যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম ভুট্টু,সাইফুল ইসলাম,  হুকুম, আশফাকুর রহমান মুন, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি,দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু প্রমুখ।



বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের মিছিল

বিএনপির নৈরাজ্যের প্রতিবাদে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি এডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে তাৎক্ষণিক মিছিলের আয়োজন করা হয়।

শনিবার বিকালে মেহেরপুর হোটেল বাজার মোড় থেকে প্রতিবাদ মিছিলটি বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌরসভার সামনে এসে শেষ হয়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ারুল ইসলাম এসময় বলেন,’ জামায়াত এবং বিএনপি উন্নয়ন সহ্য করতে পারে না বিধায় আজকে সমাবেশের নামে ঢাকাতে অগ্নিসংযোগ, পুলিশের উপর আঘাত, পুলিশ বক্সে আগুন, বিচারপতির বাড়িতে ভাঙচুর, সাধারণ পরিবহন ও গণ পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে। এরই প্রতিবাদ করতে আজকের এই প্রতিবাদ মিছিল।’

প্রতিবাদ মিছিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা যুবলীগের সেক্রেটারি সাজ্জাদুল আলম, মেহেরপুর পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রেজা, আমঝুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য আক্তার হোসেন, শ্যামপুর ৫নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আশরাফুল আলম, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শোভন সরকার, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মাবুদ সহ মেহেরপুরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।’




মেহেরপুরে পপুলার লাইফে ইন্সুরেন্সের চেক হস্তান্তর ও বনভোজন

মেহেরপুরে পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ৯ গ্রাহকের মেয়াদ উত্তীর্ণ বীমা দাবীর ৯ লক্ষ ৮৭ হাজার ৭৫০ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) মেহেরপুরের মুজিবনগর আম্রকাননে মেহেরপুর ও কার্পাসডাঙ্গা সার্ভিস সেল অফিসের আয়োজনে ৫ শতাধিক নতুন বীমা গ্রহিতার উপস্থিতি ও অংশগ্রহণে চেক হস্তান্তর এবং বনভোজন অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

আল-আমিন বীমা প্রকল্প মেহেরপুরের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ রাফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বীমা দাবির চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখনে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল, বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক এবং আল আমিন বীমা প্রকল্পের কার্পাসডাঙ্গা সার্ভিস সেলের এজিএম মোঃ আখতারুজ্জামান।

মুজিবনগর ও কার্পাসডাঙ্গা সার্ভিস সেলের এজিএম দ্বয় মহির শেখ ও আনসার আলী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন পপুলার লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের আল-আমিন বিমা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম রুবেল।

দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানের মাঝে মাঝে লটারির মাধ্যমে বীমা গ্রহীতাদের পুরস্কৃত করা হয়। পুরস্কার এর মধ্যে ছিল এলইডি টেলিভিশন, বৈদ্যুতিক ফ্যান, স্যুপ সেট, ডিনার সেট ও স্বর্ণের চেইন। লটারি মাধ্যমে প্রথম পুরস্কার স্বর্ণা সেন পান মুজিবনগর উপজেলার গৌরিনগর গ্রামের মোছাঃ সাহেবা খাতুন।




মেহেরপুরে অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণের সমাপনী

মেহেরপুরে আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জেলাভিত্তিক ২১ দিন মেয়াদি অস্ত্রসহ ভিডিপি মৌলিক প্রশিক্ষণর (পুরুষ— ৪র্থ ধাপ)  সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার মেহেরপুর জেলা আনছার ওগ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কার্যালয়ের প্রশিক্ষণ শেডের শ্রেণিকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে জেলা কমান্ড্যান্ট  প্রদীপ চন্দ্র দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রশিক্ষণার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন।

গত ০৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া জেলার তিনটি উপজেলা হতে মোট ৬৮ জন যোগ্য ও নির্বাচিত প্রশিক্ষণার্থী উক্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেন এবং সফলভাবে সম্পন্ন করেন।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, “বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ শৃঙ্খলা বাহিনী হিসেবে তার জন্মলগ্ন থেকে জননিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। দেশের প্রতিটি দুর্যোগ মুহূর্তে অগ্রণী ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া এ বাহিনীর সদস্য হতে পারা অত্যন্ত গৌরবের। উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণের মধ্য দিয়ে এ গৌরবের অংশীদার হওয়ার যোগ্যতা অর্জন হলো।

তিনি বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ও অদূর ভবিষ্যতে দেশের প্রয়োজনে বাহিনীর আহবানে সাড়া দিয়ে নিজেদের যোগ্যতা প্রদর্শনের মধ্যেই এ প্রশিক্ষণ গ্রহণের সার্থকতা নিহিত।”  বিভিন্ন সামাজিক ও জনহিতকর কর্মকান্ড এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় অনন্য ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বাহিনীর সুনাম বয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট কোর্স অ্যাডজুট্যান্ট গাংনী উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইদুর রহমান, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবনগর উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম, কোয়ার্টার মাস্টার সিএ মোঃ আল মামুন, মুজিবনগর উপজেলা টিআই মোঃ মানিক মিয়া ও বিভাগীয় প্রশিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে হীড বাংলাদেশ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে হীড বাংলাদেশ। প্রতিষ্ঠানটিতে ক্রেডিট অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ক্রেডিট অফিসার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে কমপক্ষে স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পুরুষ এবং নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ক্ষুদ্রঋণ ক্ষেত্রে কমপক্ষে দুই বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ক্ষুদ্রঋণ ও মাইক্রোএন্টারপ্রাইজ কার্যক্রমে অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। মোটরসাইকেল/বাইসাইকেল চালানোর মানসিকতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

বেতন

২০,০০০ (মাসিক )

আবেদনের প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩১ অক্টোবর , ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




ক্ষমতাচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে বিএনপিকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণের কাছে ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। আমাদের ওই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে এক জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। নৌকা যখনই সরকারে এসেছে, দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে সুইচ টিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। টানেলের প্রবেশমুখের ডান পাশে এই নামফলক স্থাপন করা হয়। একই ধরনের নামফলক স্থাপন করা হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার টানেলের টোল প্লাজা এলাকায়।

আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা দেশকে গড়ে তুলছি। আমি আপনাদের কাছে একটা উপহার নিয়ে এসেছি। নদীর তল দিয়ে গাড়ি চলে। ঘুটঘুট করে বাড়ি চলে যাবেন। এ প্রকল্পে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা জড়িত ছিলেন, দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, সবাইকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আরও ১১টি প্রকল্প আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে উদ্বোধন করে দিলাম। আজকের এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে গত নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলে। নৌকা যখনই সরকারে এসেছে, দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করেছে।

তিনি বলেন, আমি তো সবই হারিয়েছি ৭৫-এর ১৫ আগস্ট। ছয় বছর দেশে আসতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। একরকম জোর করেই দেশে ফেরা। আসার পর থেকে বাংলাদেশে মানুষের জন্য কাজ করছি। চাই, কীভাবে দেশের মানুষকে ভালো রাখা যায়। এ চট্টগ্রামের কত নেতা ছিলেন, যারা জীবন দিয়ে সংগ্রাম করেছেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের খননকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণকাজ শুরুর প্রায় সাড়ে চার বছর পর টানেলের উদ্বোধন করা হলো।




জনগণ সব সময় স্থিতিশীল রাজনীতির পক্ষে

একটা অ্যাম্বুল্যান্স গুরুতর অসুস্থ একজন মানুষকে নিয়ে ছুটে চলছে। জীবন-মরণের ব্যারোমিটার উঠছে আর নামছে। তবু বেঁচে থাকার লড়াইটা নিজের মতো করেই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঠিক নিজের জন্য এই বেঁচে থাকা নয়, সংসারের জন্য বেঁচে থাকার চেষ্টা, দায়িত্বের মতো কঠিন ভার বহন করার জন্য মরণপণ যুদ্ধ।

মানুষ কখনো কখনো নিজের জন্য বাঁচে না, সংসারের প্রিয় মুখগুলোর জন্য বাঁচে। সেই বাঁচার আকুতি কতটুকু আমাদের কানে পৌঁছে। সব যে এখন স্বার্থের প্রাচীরে বন্দি। সত্য বলতে গেলেই মিথ্যারা দাঁড়িয়ে যায়।

মানবিক চিন্তা হারিয়ে যায় কারো কারো স্বার্থপর চিন্তায়। সেই মানুষের কথাই ভাবছি, যে মানুষ একটা সংসারের বোঝা টানছে। টানাপড়েনের সংসার, তার পরও ছেলেমেয়ে, বউ-মা-বাবা, ভাই।

ভাবনাটা কাল্পনিক কিংবা বাস্তব দুই-ই হতে পারে। তবে ভাবনাটা তখনই থেমে যায়, যখন ক্ষমতার লোভ মানুষের জীবনের চেয়ে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে। দেশ ও মানুষের স্বার্থের চেয়ে যেখানে ক্ষমতার লড়াইটা বেশি প্রাধান্য পায়। অ্যাম্বুল্যান্সটা থেমে গেছে, রাস্তাজুড়ে মিটিং-মিছিল, রাজনীতির বড় বড় নেতার বড় বড় বুলি আওড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে। অথচ উত্তাল নগরীর নিষ্প্রাণ নেতারা মানুষের বড় বড় অধিকারের সত্য-মিথ্যা কথা বললেও অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে একজন মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার লড়াইটা দেখতে পাচ্ছেন না।

রাজপথ বন্ধ করে রাজনীতি করলে রাজনীতিবিদদের হয়তো লাভ আছে, কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে যে মানুষটা আছে, তার হারানোর আছে অনেক কিছুই। যদি মানুষটা মারা যায়, পুরো সংসারই তার তলিয়ে যাবে অনিশ্চয়তার অতলে। কিন্তু কে শুনবে কার কথা, কে বুঝবে সাধারণ মানুষের কথা? সাধারণ মানুষ সারা জীবন রাজনীতির গিনিপিগে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। কিন্তু মানুষকে ব্যবহার করার মাধ্যমে পুরনো দাস প্রথা ফিরিয়ে আনার এক ধরনের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। রাজপথে মিটিং, মিছিল, অবরোধ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে রাজনীতিবিদরা নিজেদের রাজা ভাবেন, সাধারণ মানুষকে প্রজা ভাবেন। রাজনীতিবিদদের সমস্যা এখানেই, তাঁরা মানুষের মন বুঝতে পারছেন না। আধুনিক যুগে এমন রাজনীতি যে অচল তার শিক্ষাও তাঁরা নিচ্ছেন না। এর ফলে রাজনীতি ক্রমাগত অসুস্থ হচ্ছে, প্রকৃত স্বকীয়তা হারাচ্ছে।

ভাবছি দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের কথা। রাজপথে মিটিং-মিছিলের নাম করে রাজপথ দখলে রাজনীতিবিদদের নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়িত হলেও দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের জীবনের লড়াইটা থেমে যায়। তাদের অসহায় মুখগুলোর দিকে কারো কি তাকানোর সময় আছে? উত্তর একটাই, সময় নেই। রাজনীতি যে এখন মানুষের জন্য নয়, রাজনীতি এখন মানুষকে রাজপথে অবরোধ করে রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার একটা কৌশল মাত্র। রাস্তাঘাট বন্ধ করে রাজনীতি করার মাধ্যমে নিজেদের সফল দেখানোর চেষ্টা কোনো রাজনীতি নয়, বরং মানুষকে জিম্মি করে মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা অচল করে দেওয়ার নেতিবাচক প্রয়াস। রাস্তাঘাট বন্ধ করে হয়তো নিজেদের মিথ্যা অহংকারের লোক-দেখানো প্রতিফলন ঘটানো যায়, কিন্তু মানুষের অন্তরে প্রবেশ করা যায় না। মানুষের অন্তরে প্রবেশ করতে গেলে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়, মানুষের অনুভূতি বুঝতে হয়, ত্যাগের রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের ভেতরে নিজেদের জায়গা করে নিতে হয়। কিন্তু সব যেন মরীচিকা, মিথ্যার বেসাতি।

সাধারণ মানুষ এখন স্থিতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু যে স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থার কথা ভেবেছিলেন এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করেছিলেন, দুঃখের বিষয় হলো, সেই স্থিতিশীল রাজনীতির কথা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদের বলতে হচ্ছে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তখনই তা বাস্তবায়িত হবে, যখন রাষ্ট্র একটি স্থিতিশীল কাঠামোর ওপর শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারবে।

রাজপথে অস্থিরতা সৃষ্টি করে শিক্ষা, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ রাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কার্যক্রমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করার কৌশলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাসী নয়। আমরা মাঝেমধ্যে যেকোনো বিষয়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে উদাহরণ হিসেবে টেনে আনি। তাদের রাজনীতিবিদদের জনসম্পৃক্ত কাজগুলো দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করি। তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম কখনোই আমাদের দেশের মতো সাধারণ মানুষকে অবরোধ করে হয় না সেটাও আমরা উল্লেখ করি। কিন্তু তার কতটুকু প্রতিফলন আমাদের রাজনীতিবিদরা দেখাতে পারেন, সেটা হয়তো প্রশ্নবিদ্ধ। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিরোধী দলগুলো ছায়া সরকার গঠন করে। সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে তারা প্রশংসিত করে, সরকার কোনো কাজে ভুল করলে সেটি কিভাবে করা গেলে ভালো হতো তার পথ বাতলে দেয়। অথচ আমাদের দেশে ঠিক এর উল্টোটি ঘটে। সরকার যতই ভালো কাজ করুক না কেন, সেগুলোকে কতটা ছোট করে দেখানো যায় তেমন এক ধরনের ভারসাম্যহীন প্রতিযোগিতা চলে। এর সঙ্গে গুজব, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মতো নেতিবাচক বিষয়গুলোও থাকে।

সরকারের ভালো কাজে সমর্থন এবং যে কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে না তার গঠনমূলক সমালোচনা করার মতো মানসিকতা রাজনীতিবিদদের মধ্যে থাকতে হবে। রাজনীতি হতে হবে কল্যাণমুখী ও জনবান্ধব। জ্বালাও-পোড়াও-সন্ত্রাস এ বিষয়গুলো সাধারণ মানুষ কখনো ভালো চোখে দেখে না—এ বিষয়গুলো রাজনীতিবিদদের বুঝতে হবে। রাজপথ বন্ধ করে নয়, বরং রাজপথ উন্মুক্ত রেখেই রাজনীতিবিদদের গঠনমূলক রাজনীতি করতে হবে। এ বিষয়ে রাজনীতিবিদদের সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকতে হবে, নিজেদের ভুলের কারণে রাজনীতি যাতে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে বিচ্যুত হতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, কভিডের মতো মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরাইলের অস্থিরতা সারা পৃথিবীতে যে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা নিয়ে এসেছে তার প্রভাব আমাদের দেশেও এসে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকার সেটি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। রাষ্ট্রের বহুমুখী উন্নয়নের কার্যক্রমও অব্যাহত রেখেছে। রাজনীতিবিদদের এ বিষয়গুলো ভেবে দেখতে হবে। দেশের স্বার্থে জনগণের দুর্ভোগ হয় এমন কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখে গঠনমূলক ও বাস্তবমুখী রাজনীতির ধারণা দ্বারা নিজেদের প্রভাবিত করতে হবে। অন্যদিকে দুর্নীতি, অর্থপাচার রোধ ও সামাজিক সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো সরকারকে বিবেচনায় আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে আর কোনো কিছুই বড় নয়।

কেউ কেউ রাজনীতির নামে অপরাজনীতির চর্চা করে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ নয়, বরং গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করা | নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব, কিন্তু সেটি তাদের কর্মকান্ডে ফুটে উঠছেনা, তারা সংবিধান অনুসরণ করে নির্বাচনে যেতে ভয় পান, সংলাপে বসার আগেই শর্ত জুড়ে দেন, একটার পর একটা আল্টিমেটাম দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারার বিপরীতে অবস্থান নেন |

এসব দেখে মনে হচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, বরং উন্নয়নের যে ধারা বজায় রয়েছে তাকে রুদ্ধ করে দেওয়া | দেশের জনগণ এখন এগুলো খুব ভালো করেই বুঝে, এতে করে সভা-সমাবেশ করেও সেখানে তারা সাধারণ মানুষদের সম্পৃক্ত করতে পারছেনা | বরং তাদের এ ধরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যবিহীন আন্দোলনে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে | না আছে তাদের যোগ্য নেতৃত্ব, না আছে দেশের প্রতি তাদের মায়া, ক্ষমতায় যেন তাদের কাছে মুখ্য বিষয় | এদের সাথে যারা রাজনীতিতে একসময় যুক্ত ছিলেন, তারাও ভুল বুঝতে পেরে বেরিয়ে আসছেন, কর্মীরাও বুঝতে পারছেন, এতদিন যাদের পিছনে তারা ছিলেন, তারা দেশের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে |

স্থিতিশীলতার মাধ্যমে উন্নয়নের দর্শন মানুষকে এখন আরও বাস্তবমুখী ও জীবননির্ভর করে তুলেছে, এতে করে এদের লোভ, ঈর্ষা, ধ্বংস ও ক্ষমতার রাজনীতি ক্রমশ: জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে | মানুষ তাদের অতীত দেখেছে, অতীতে তারা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটালেও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাননি | বরং সাধারণ মানুষ তাদের অত্যাচার, শোষণ ও নিপীড়ণের সম্মুখীন হয়েছে | দেশের প্রতি তাদের মায়া-মমতার প্রতিফলন তারা ঘটাননি, বরং দেশকে কিভাবে পরনির্ভরশীল রেখে স্বাধীনতার চেতনাকে নির্মূল করা যায়, সেটি তারা করেছে | তাদের কাছে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই, বরং তারা জনগণের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে | এসবের জন্য তারাই দায়ী, তাদের রাজনীতির আদর্শ নেই, দর্শন নেই, বরং রাজনীতির মুখোশ পরে মানুষকে খেয়ে ফেলায় যেন তাদের মূল লক্ষ্য | জনগণ এসব চায়না, তারা এদের থেকে সব সময় দূরেই থাকতে চায়, আদর্শ ও দর্শনের রাজনীতিকে শক্তি করে দেশের ক্রমাগত উন্নয়নের ধারায় নিজেদের অংশীদার হিসাবে দেখতে চায় | কারণ দেশ স্থিতিশীল থাকলে, মানুষ এগিয়ে যাবে, অর্থনীতি এগিয়ে যাবে, উৎপাদনের চাকা ঘুরবে |

লেখক: শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট ও লেখক। অধ্যাপক ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।