গাংনীতে উপজেলা আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ মিছিল

গাংনীতে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে এবং সারা দেশে বিএনপির ডাকা হরতালে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিসিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগ।

গতকাল শনিবার সন্ধায় একটি বিক্ষোভ মিছিল গাংনী বাজার বাস স্ট্য্যান্ড থেকে বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে শেষ হয়। কিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

বিক্ষোভ মিছিল শেষে গাংনী বাস স্ট্যান্ড মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য ও জ্বালাও পোড়াও বন্ধের দাবী করেন। সেই সাথে বিরোধীদের নৈরাজ্য বন্ধে সকল নেতা কর্মীদের রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের বিভিন্ন নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার সকালে গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের নেতাকর্মীরা একটি মোটর সাইকেল শোডাউন করেন। শো-ডাউনটি গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোহড়া দেয়।




চুয়াডাঙ্গার যদুপুর গ্রামের বিলের মাঠে রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা

চুয়াডাঙ্গা সদরের যদুপুর গ্রামের বিলের মাঠে রাস্তা নির্মাণ কাজে বাঁধা প্রদানের অভিযোগ উঠেছে। সরকারী খাসজমি নিজের দাবি করে

সাহা আলী নামের এক ব্যক্তি বন্ধ করে দিয়েছে রাস্তার কাজ। এ নিয়ে থানা পুলিশে অভিযোগের পাশাপাশি আদালতে ফোজদারী ও পিটিশন মামলাও করেছে। এতে করে রাস্তা নির্মাণ কাজ বন্ধ হওয়ায়যদুপুর গ্রামের বিলের ধারের চাষাবাদ সহ চাষাবাদকৃত মাঠের মালামাল ঘরে বা বাজারে নিতে ব্যহৃত হচ্ছে চাষীদদের। সেই সাথে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে কৃষকেরা। তাই সুষ্ঠ সমাধান চাই এলাকার ভুক্তভোগী চাষী সহ সচেতন মহল। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশকের সুু-দৃষ্টি কাামনা করেছে ভুক্তভোগী চাষী সহ সচেতন মহল।

গ্রামবাসীর অভিযোগে জানাযায়, চুযাডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের ৬৫ নং যদুপুর মৌজার ১নং ক্ষতিয়ানে ১২৭২ নং দাগে বিলের ধারের মাঠে পথিত খাস জমির উপর দিয়ে গ্রামবাসীর উদ্দ্যোগে মাঠের চাষাবাদ ও মাালামাল বহনের সুবিধার্থে একিিট রাস্তা নির্মাণের উদ্দ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই মোতাবেক রাস্তা নির্মান কাজের প্রক্রিয়াও শুরু হয়।

এ কাজ গ্রামের পরঘাটা পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের ছেলে শাহা আলম ওরফে সাহা আলীর (৫৫) জমির নিকট পৌছালে তিনি সরকারী জমি নিজের দাবি করে কাজে বাঁধা প্রদান করায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

যার ফলে গ্রামের মাঠের ভুক্তভোগী চাষী আলী আকবার, টিটু মিয়া, বোরহান উদ্দীন, আমিরুল ইসলাম, আব্দুল জব্বার, নূর আলম সিদ্দিকী সরকারী খাস রাস্তার জমির অবৈধ্য ভাবে দখল উচ্ছেদে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করে বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর পারঘাটা পাড়ার মৃত মোহাম্মদ আলী দেওয়ানের ছেলে শাহা আলম ওরফে সাহা আলী ও শাহ আলমের ছেলে শাকিব হাসানের বিরুদ্ধে।

এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চুয়াডাাঙ্গা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর নির্দেশে বেগমপপুরর তৈহশীল অফিসের একটি প্রতিনিধিদল জমি মাপযোপের জন্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

সরকারী খাস জমি মাফযোপের কার্যক্রম শুরুু হয়। মাপযোপের সময় উপস্থিত ছিলেন বেগমমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, বাদি-বিবাদির লোকজন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এ মাপযোপের সময সার্ভেয়াার সকলের উপসস্থিতিতে জমমির সীমানানির্ধারন করা সহ সীমানা পিলার পুতে দেওয়া হয়।

এ জমির মাপযোপে সীমানা নির্ধারন শেষে সীমানায় সীমমানা পিরলার পুুতে সীমানা নির্ধারন করে দেওয়া হয়। এ সীমানা নির্ধারন শেষে সার্ভেয়ার সহ উপস্থিত সকলে চলে যাওয়ার পর সীমানা মানতে নারাজ শাহা আলম সহ তার লোকজনেরা।

এরপর দর্শনা থাননা পুলিশে নিজর জমি দখল করে চুয়াডাঙ্গা আদালতে ফোজদারী ও পিটিশন মামলাও করে।
রাস্তাটি যদপুর গ্রামের পুরাাতনপাড়ার মসজিেেদর সাামনে রাস্তার হয়ে গ্রামের আব্দুসস সাত্তারের ছেেেল সাজ্জাদ হোসেন গাড্ডু পুকুরপাড় হয়ে পুরাতনপাড়া-পারঘটা রাস্তায় উঠে মিলিত হবে।

এমতাবস্থায় শাহা আলমের স্ত্রী রাণু বেগম চুুয়াডাঙ্গা আমলী আদালতে একটি ফোজদারী পিটিশন দাখিল করলে রাস্তা নির্মানের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। যার ফলে বিলের ধারের মাঠের জমির আবাদকৃত ধান-পাট, সবজি, পুকুরের মছ সহ চাষাবাদ সহ চাষাবাদকৃত আন্যান্য মালামাল ঘরে বা বাজারে নিতে ব্যহৃত হচ্ছে চাষীদদের। সেই সাথে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে চাষিদের। তাই সুষ্ঠ সমাধান চাই এলাকার ভুক্তভোগী চাষী সহ সচেতন মহল। বিষয়টি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রসাশকের সুু-দৃষ্টি কাামনা করেছে ভুক্তভোগী চাষী সহ সচেতন মহল।

এ বিষয়ে শাহা আলমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ফোনটি তার ছেলে রিসিভ করে। সে জানায় মাামলার বাদী আমার মা। আমি বাইরে আছি বাড়ি পৌছে মায়ের সাথে কথা বলিয়ে দিচ্ছি। তবে শেষ পর্যন্ত ফোনে আর যোগাযোগ করিয়ে দেয়নি।




বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র: উজরা জেয়া

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না, বরং তারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা দেখতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া।

স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমানের সাথে বৈঠকে একথা জানান।

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব আরও জোরদারসহ বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে তারা বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। উপদেষ্টা রহমান এবং আন্ডার সেক্রেটারি জেয়া মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক সংঘাত, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়েও আলোচনা করেন।

উজরা জেয়া ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন এবং তাদের জন্য মার্কিন সমর্থন অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন।

নির্বাচন ইস্যুতে উভয়ই মনে করেন যে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সরকার পরিবর্তনের একমাত্র উপায় হচ্ছে নির্বাচন। উপদেষ্টা রহমান আসন্ন নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয় তার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক মার্কিন উপ- সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিজ আফরিন আক্তার এবং বাংলাদেশ দূতাবাস ও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে গাংনী উপজেলার সাহারবাটি ফুটবল মাঠে নব নির্মিত শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মিত হচ্ছে। যা আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে প্রথম। এর আগে কোন সরকার খেলাধুলার প্রতি এত আন্তরিক ছিলেন না বলেই এমন উদ্যোগ নেইনি। বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার দেশব্যাপী উন্নয়নের মধ্যে এটিও একটি অন্যতম উন্নয়ন। তিনি আরও বলেন, দেশে উন্নয়ন টিকিয়ে রাখতে হলে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার কোন বিকল্প নেই। রাতে একটু শান্তিতে ঘুমাতে চাইলে এবং গোয়ালের গরু রাখতে হলে আবারও শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।

তিনি বলেন,দেশের উন্নয়ন চাইনা যারা তারাই আজ মাঠে নেমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। ওইসব নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী বিএনপি জামাতের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা। আমরা আওয়ামীলীগের কর্মী হিসেবে সকল প্রতিহিংসা,ষড়যন্ত্র মোকাবেলা কওে আবারও নৌকার বিজয় ছিনিয়ে নেব।

সাহারবাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ মূর্শেদ অতুলের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কাজিপুর ইউয়িন পরিষদ চেয়ারম্যান আলম হুসাইন,কাথাুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা। গাংনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলামের সঞ্চালিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-এমপি পত্নী লাইলা আরজুমান শিলা,আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান মাস্টার ও মনিজ্জামাান আতু প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সাহারবাটি ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আতাউর রহমান টোকন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম টুটুল, গ্রামের প্রাক্তন ফুটবল খেলোয়াড় তামজিদুর রহমান মুক্তি,গাংনী উপজেলার ভিভিন্ন এলাকার আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরে ৭ জুয়াড়ি গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গা উপজেলায় শোবার ঘরে জুয়া খেলার সময় হাতেনাতে ৭ জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে।

আজ শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে খেলার সামগ্রী, নগদ ৫ হাজার ৬০ টাকা জব্দ করা হয়।

আটক সাতজন জুয়ারি হলেন- উপজেলার পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়ার মৃত হায়দার আলীর ছেলে লাল্টু (৩৮), গোবিন্দপুর নতুন বাসস্টান্ড পাড়ার হাসেম আলীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (৩২), মৃত নিজাম উদ্দীনের ছেলে মুকুল আলী (৪০), মৃত আবু বক্করের ছেলে শফি (৪০), মৃত হারান আলীর ছেলে আলম হোসেন (৫০), মৃত শমসের আলীর ছেলে মিশকার (৪২) ও নওদা বন্ডবিল গ্রামের মৃত শাহাদাৎ হোসেনের ছেলে কলিম উদ্দিন (৪৫)।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়ায় নিজ শোবার ঘরে জুয়ার আসর বসান হায়দার আলীর ছেলে লাল্টু। গতকতাল শনিবার দিবাগত রাতে গোপন সংবাদে খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। জুয়া খেলার সময় সাতজনকে হাতেনাতে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও কয়েকজন সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মারজাহান আল মোনায়েম জানান, দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়ারিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আটক সাতজনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় বিএনপি-জামাতের চক্রের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ

বিএনপি-জামাত চক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুর ২ টার দিকে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপকুমার আগরওয়ালা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, সরকার দেশে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। শুধু উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি এ চুয়াডাঙ্গায়। আজ কর্ণফুলী নদীতে ট্যানেলের উদ্বোধন হয়েছে। পদ্মা সেতু সহ বিভিন্ন মেগাপ্রকল্পের কাজ শেষ পর্যায়ে ও চলমান রয়েছে। শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষায়। বিএনপি মনে করছেন এদেশ তাদের বাপে। আজ সমাবেশ করছেন। আর কত সমাবেশ করবেন। কত মানুষকে দুঃখ দুর্দশা দিবেন।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পৃষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন,আমি প্রতিক দিতে পারি কিন্তু জিতে এনে দিতে পারবো না। ভোট অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এই দলের অধীনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ছাত্রসমাজের উদ্দেশ্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ছাত্র সমাজকে মাদক মুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা গড়ে তুলতে হবে। আমার ইচ্ছা, প্রতিটি ইউনিয়ন খেলার সুন্দর একটি মাঠ থাকবে, একটি করে মিনি স্টেডিয়াম থাকবে। এছাড়া প্রতিটি কলেজে কিংবা স্কুলে যোগ্য ব্যক্তি সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন। আমার চেয়ারের প্রতি কোন লোভ নাই। আমি আপনাদের দিতে এসেছি, নিতে আসি নাই।

এসময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল ইসলাম, জেলা যুবলীগের সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিপু মাস্টার, বেলগাছি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, হারদি ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম, ডাউকি ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক রবিউল ইসলাম, নাহিদ হাসান, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হাসান, তন্ময়, সাজিদ, রকি আহমেদ মমিন, নাসিম, সাগর, বাপ্পি, আলিফ। এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশে জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলো।




আলমডাঙ্গায় বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন: সভাপতি মিলন সম্পাদক আব্দুল্লাহ

উৎসব মুখর পরিবেশে আলমডাঙ্গা বণিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে আরেফিন মিয়া মিলন পূণরায় নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন নির্বাচিত হন।

আজ শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত একটানা ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যার পর ফলাফল ঘোষণা করেন বণিক সমিতির নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাবেক ব্যাংকার সিরাজুল ইসলাম। তার দেওয়া তথ্যমতে এ নির্বাচনে আরেফিন মিঞা মিলন সভাপতি (ছাতা) প্রতিক নিয়ে ৪৭৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি হাজী মো: মকবুল হোসেন দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ৪০৪ ভোট ও অপর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম লিটন পেয়েছেন ৯১ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন (বাই সাইকেল) প্রতিকে ৫২২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল হোসেন (আনারস) প্রতিক পেয়েছেন ৪৪৭ ভোট ।

সহ-সভাপতি পদে হাফিজুর রহমান (দেয়ালঘড়ি) প্রতিকে ৫৮২ ও রফিকুল আলম (চশমা) প্রতিকে ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুজ্জামান হিরা (মাছ) প্রতিকে ২৮৮ ও হামিদুল ইসলাম (বটগাছ) প্রতিকে ২৮৫ ভোট পেয়েছেন।

সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে শরিফুল ইসলাম (বাঘ) প্রতিকে ৪৭৮ ও জাহাঙ্গীর আলম (গোলাপ ফুল) প্রতিকে ৪৫৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন। তাদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বদর উদ্দিন (হাঁস) প্রতিকে পেয়েছেন ৩৮৪ ও বাবলুর রহমান (ডাব) প্রতিকে ৩৬৯ ভোট পেয়েছেন।

কোষাধ্যক্ষ পদে আলাউদ্দিন মিয়া (মোরগ) প্রতিকে ৪৮৭ পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সোহানুর রহমান বাবলু (হাতি) প্রতিকে ৪৪৬ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আমিরুল ইসলাম লিটন (চেয়ার) প্রতিকে ৫২৫ পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল লতিফ (মই) প্রতিকে ৪২৪ ভোট পেয়েছেন। ক্রীড়া সম্পাদক পদে হাবিবুর রহমান (আম) প্রতিকে ৫৫২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাসুদ রানা (ফুটবল) প্রতিকে ৩৮৪ ভোট পেয়েছেন।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক পদে রেজাউল করিম কাবিল (মিনার)প্রতিকে ৫৬৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুল হক (তারা) প্রতিকে ৩৪৫ ভোট পেয়েছেন। দপ্তর সম্পাদক পদে শফিউল হাসান মিলন (কলম) প্রতিকে ৫০৮ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইফতেখার আহমেদ (টিয়া) প্রতিকে পেয়েছেন ৩৯৬ ভোট। এছাড়াও সদস্য পদে ১০ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর বিজয়ী প্রার্থীরা তাদের কর্মি সমর্থকরা আনন্দ উৎসব করেন।




পৃথিবীকে বদলে দেওয়া নারী নেত্রীদের শীর্ষে শেখ হাসিনা

নিজ নিজ দেশকে বদলে দেয়া নারী নেত্রীদের তালিকায় ওঠে এসেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লন্ডনের সংবাদমাধ্যম গোব ইকো নারী নেত্রীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে বাংলাদেশকে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেবা দেয়া শেখ হাসিনা শীর্ষে রয়েছেন।

গোব ইকোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন সংকটের মধ্যে দেশে তিনি একটি শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাঙালি জাতির প্রতি তাঁর সবচেয়ে বড় অবদান হলো, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দেশের জনগণকে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া। গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য পৃথিবীর অন্যতম অনুপ্রেরণাদায়ক নারী নেত্রী হিসেবে বিবেচিত হন তিনি। তিনি ২০১৭ সালের ফোর্বস ম্যাগাজিনে পৃথিবীর সবচেয়ে প্রভাবশালী নারীদের তালিকায় ৩০তম স্থানে রয়েছেন। বাংলাদেশের সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে তাঁর নিরঙ্কুশ বিজয় তাঁকে দেশের সবচেয়ে দীর্ঘকালীন প্রধানমন্ত্রী করে তুলেছে।

সিঙ্গাপুরের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট মালয়েশিয়ান বংশোদ্ভূত হালিমা ইয়াকবকে গোব ইকোর প্রতিবেদনে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে।

সংবাদমাধ্যমটি তাঁকে সদালাপী উল্লেখ করে বলেছে, তিনি বয়স্কদের মানবাধিকারের জন্য কাজ করা একজন অ্যাকটিভিস্ট। সবসময় দেশের মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগ দেন তিনি।

তানজানিয়ার প্রথম নারী রাষ্ট্রপতি সামিয়া হাসানকে রাখা হয়েছে তালিকার তৃতীয় নম্বরে। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেওয়া আফ্রিকান বংশোদ্ভূত পঞ্চম নারী। ৬১ বছর বয়সী এই নারী নেত্রী তানজানিয়ায় ‘মামা সামিয়া’ নামে পরিচিত, জানিয়েছে গোব ইকো।

সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় তার কঠোর পন্থা পৃথিবীজুড়ে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্বজুড়ে বিশেষত এশিয়া-আফ্রিকার রাজনীতিতে পুরুষদের আধিপত্য বেশি চোখে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সমাজে বিদ্যমান পশ্চাৎপদতা আর কুসংস্কারকে মোকাবেলা করে নারীরা যখন একটি দেশের সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হন, তখন হয়ে ওঠে আসল চ্যালেঞ্জ জয়ের গল্প। পৃথিবীর সামনে এমন অল্প কয়েকজন প্রেরণাদায়ী নারী নেত্রী আছেন যাদের প্রজ্ঞাময় নেতৃত্ব পৃথিবীর উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।




দেশের অর্থনীতির গেমচেঞ্জার হবে বঙ্গবন্ধু টানেল

চট্টগ্রামে বহুল প্রত্যাশিত মাল্টিলেন আন্ডারওয়াটার এক্সপ্রেসওয়ে বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ শনিবার সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে পতেঙ্গায় কর্ণফুলী নদীর পশ্চিম তীরে একটি ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রোববার সকাল ৬টা থেকে থেকে যানবাহনের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

এদিন তিনি আনোয়ারা নদীর দক্ষিণ তীরে আরেকটি ফলক উন্মোচন করবেন। বঙ্গবন্ধু টানেলে যা যা রয়েছে এই প্রকল্পের অধীনে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে ৪ লেনের সড়ক টানেল নির্মান করা হয়েছে।মূল টানেলে রয়েছে দুটি টিউব। যার দৈর্ঘ্য ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার। এছাড়া টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম পাশে ৫ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি সংযোগ সড়ক রয়েছে। সাথে রয়েছে ৭শ ২৭ মিটার দীর্ঘ একটি ওভার ব্রীজ। বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণ কেন প্রয়োজনীয় ছিল কর্ণফুলী নদীতে তিনটি ব্রিজ নির্মিত হলেও অতি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য যথেষ্ট না। তিনটি

সেতু নির্মাণের ফলে ইতিমধ্যে পলি জমে কর্ণফুলী নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা যাচ্ছে। যা চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য হুমকি। এ কারণেই সেতুর পরিবর্তে টানেল নির্মাণের উদ্যেগ বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা শহরের সঙ্গে ডাউন টাউনকে যুক্ত করে উন্নয়নকাজ ত্বরান্বিত করবে। স্বপ্নের এই টানেল চালু হলে কর্ণফুলী নদীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে সাংহাইয়ের মতো ওয়ান সিটি টুটাউন।

সাংহাইয়ের মতো ভৌগোলিক অবস্থা বন্দরনগরী চট্টগ্রাম এবং কর্ণফুলী নদীর ওপারের আনোয়ারা উপজেলার। এই টানেল মূলত দক্ষিণ চট্টগ্রামকে সারা দেশের সাথে সংযোগ করবে। কক্সবাজারের সাথে ৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমাবে এই টানেল। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কক্সবাজার ও দক্ষিণ চট্টগ্রামগামী গাড়িগুলোকে আর বন্দরনগরীতে ঢুকতে হবে না। চট্টগ্রাম সিটি আউটার রিং রোড হয়ে টানেলের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। ফলে চট্টগ্রাম নগরে যানবাহনের চাপ কমে যাবে। টানেলকে ঘিরে চট্টগ্রাম-

কক্সবাজারের পর্যটনশিল্পের আরও বিকাশ ঘটবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের এই টানেল দক্ষিণ চট্টগ্রামে শিল্পকারখানা স্থাপনে উৎসাহিত করবে। ইতোমধ্যে আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড আছে, চীনা অর্থনৈতিক জোনও শুরু হওয়ার পথে। সরকার বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য আনোয়ারায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন তৈরি করে দিচ্ছে। যার ফলে স্থানীয়দের ব্যাপক হারে কর্মসংস্থান হবে। বঙ্গবন্ধু টানেলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক গুরুত্ব এটি শুধু দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের যোগাযোগ নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে না, এটির মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের শিল্পকারখানাসহ অর্থনৈতিক বিপ্লব সাধিত হবে। টানেল চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম-

কক্সবাজারের মধ্যে আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে এবং এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। কর্ণফুলী নদীর পূর্ব প্রান্তের প্রস্তাবিত শিল্প এলাকার উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে এবং পশ্চিম প্রান্তের চট্টগ্রাম শহর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের সঙ্গে উন্নত ও সহজ যোগাযোগ স্থাপিত হবে৷ ফলে ভ্রমণ সময় ও খরচ হ্রাস পাবে৷ পূর্ব প্রান্তের শিল্প-কারখানার কাঁচামাল ও প্রস্তুতকৃত মালামাল চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর, বিমানবন্দর ও দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন করা সহজ হবে।

মহেশখালী-মাতারবাড়ি এলাকায় দেশের প্রথম গভীর সমুদ্রবন্দর, কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি স্টেশনসহ জ্বালানিভিত্তিক বিপুলসংখ্যক দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে শিল্প-কারখানা নির্মাণের কাজ চলছে, এ টানেল সেগুলোর সঙ্গে পুরো বাংলাদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করবে। গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণ কাজও এগিয়ে যাবে। আনোয়ারা এলাকার নির্মাণাধীন চায়না অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং গড়ে ওঠা কোরিয়ান ইপিজেডসহ অন্যান্য শিল্প-কারখানার সঙ্গে সুবিধাজনক যোগাযোগে এই টানেল ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

পর্যটন এলাকাগুলোর মধ্যে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, বান্দরবানসহ পাহাড়, সমুদ্র ও নদীর এ ত্রিমাত্রিক নয়নাভিরাম সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের সহজতর যোগাযোগ ব্যবস্থায় এ টানেল মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে বেকারত্ব দূরীকরণ ও দারিদ্র্যদূরীকরণসহ দেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ট্রানজিট সুবিধা থাকায় বাংলাদেশ সরকার রাজস্ব আয় করবে এবং ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সাথে বাণিজ্যিক সর্ম্পক বৃদ্ধি পাবে।
জিডিপিতে ইতিবাচক প্রভাব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের ফলে ফিন্যান্সিয়াল ও ইকোনোমিক আইআরআর-এর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১৯ শতাংশ এবং ১২ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এছাড়া বেনিফিট কস্ট রেশিওর পরিমাণ দাঁড়াবে যথাক্রমে ১ দশমিক ০৫ এবং ১ দশমিক ৫। ফলে জিডিপিতে ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, অর্থাৎ জিডিপি ১৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। শূন্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। বঙ্গবন্ধু টানেল: মাতারবাড়ি সেভেন সিস্টার্স বিজনেস হাব

ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে শিলিগুড়ি করিডোর দিয়ে পূর্বাঞ্চলীয় এই সাতটি রাজ্য সংযুক্ত। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে সড়ক এবং আকাশপথ একমাত্র ভরসা। কিন্তু ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে সড়ক এবং আকাশপথে মালামাল পরিবহন ব্যয়বহুল। এই জন্য ভারত সরকার বাংলাদেশের সাথে ট্রানজিট চুক্তি করেছে মাতারবাড়ি ও
চট্টগ্রাম ব্যবহার করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করার জন্য। ভারতের যে পরিমান পেট্রোলিয়াম এবং গ্যাসের মজুদ আছে তার পাঁচ ভাগের এক ভাগ এই সাত রাজ্যে পাওয়া যায়। ভারতের অন্যান্য রাজ্যে গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম বঙ্গবন্ধু টানেল ব্যবহার করে মাতারবাড়ি ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে পরিবহন করা যাবে।

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল আর বাংলাদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি তথা সংযোগ প্রসারের একটি উচ্চাকাঙ্ক্ষী পরিকল্পনা নিয়েছে টোকিও– যার চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো একটি ‘সমৃদ্ধ বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল’ গড়ে তোলা। জাপানের অর্থায়নে বাংলাদেশের মাতারবাড়িতে যে গভীর সমুদ্রবন্দর গড়ে তোলা হচ্ছে, সেখান থেকে ত্রিপুরার সাবরুম পর্যন্ত একটি মাল্টিমোডাল করিডর গড়ে তোলারও প্রস্তাব করেছে টোকিও। মাতারবাড়ি থেকে সাবরুম মাত্র ১৮০ কিলোমিটার দূরে। ফলে ওই পথে যদি ফোরলেন হাইওয়ে ও রেল সংযোগ গড়ে তোলা যায় তা গোটা অঞ্চলের জন্য ‘গেম চেঞ্জার’হিসেবে কাজ করবে বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
জাপানের সহযোগিতায় ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও বাংলাদেশের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভ্যালু চেইন গড়ে তোলা হবে। এই মুহূর্তে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে তা দূর করতে হবে।

উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানির ওপর ভারত যে অ্যান্টি-ডাম্পিং ডিউটি বসিয়েছে তা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা। কারণ, বাংলাদেশের পাট গুণ-মানে ভালো এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য তৈরিতেও সহায়ক। ফলে এতে আখেরে ভারতেরও লাভ হবে। বাংলাদেশ-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বড় একটি ক্ষেত্র হয়ে উঠেছে কানেক্টিভিটি। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোকে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়ার পর থেকেই দুই দেশের কানেক্টিভিটি প্রকল্পগুলোয় গতি এসেছে। ভারতে আসামের নয়া ধুবড়ি থেকে মেঘালয়ের ফুলবাড়ি পর্যন্ত নির্মাণ হচ্ছে ১৯ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু। এ সেতু নির্মাণ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানি উন্নয়ন সংস্থা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি (জাইকা)। এটি নির্মাণ হলে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ভারত হয়ে সড়ক চলাচল সহজ হয়ে আসবে।

প্রক্ষেপণ রয়েছে, সেতুটির নির্মাণকাজ শেষে সংশ্লিষ্ট সড়কটির ওপর দিয়ে ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে চলাচলকারীর সংখ্যা গড়ে প্রায় ৩০ লাখে পৌঁছাবে। একই সঙ্গে বার্ষিক পণ্য পরিবহনের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ কোটি ১৮ লাখটনেরও বেশিতে। এছাড়া ধুবড়ি থেকে ফুলবাড়ি পর্যন্ত যাতায়াতের পথ ৮ ঘণ্টা থেকে মাত্র ২৩ মিনিটে নামিয়ে আনবে সেতুটি। ধুবড়ি-ফুলবাড়ি সেতু নির্মাণ শেষ হলে এর দুই পাশে বাজার ও সেবা খাতের ব্যাপক প্রসার হবে বলে আশাবাদী খাতসংশ্লিষ্টরা। একই সঙ্গে গ্রামীণ কৃষিপণ্যের বাজার, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান খাতেরও ব্যাপক উন্নয়নের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে হলে বাংলাদেশকে শুধু উত্তর-পূর্ব নয়, গোটা ভারতের কথাই মাথায় রাখতে হবে। কানেক্টিভিটি তৈরি হলে ব্যবসার সুযোগ বাড়বে। এই কানেক্টিভিটি তৈরিতে বঙ্গবন্ধু টানেল ঈর্ষনীয় ভূমিকা পালন করবে। অর্থনৈতিক উন্নতিতে এর পরের ধাপগুলো নিশ্চিত করতে বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিয়েছে বাংলাদেশ। যেমন: ক) ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব ধরনের শুল্ক ও অশুল্ক বাধা (ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার) নির্মূল করা। খ) মাতারবাড়ি বন্দর ২০২৭ সালে চালু হলে ভারতের ল্যান্ড-লকড (স্থলবেষ্টিত) উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য তা বঙ্গোপসাগরের দরজা উন্মুক্ত করে দেবে। ফলে সেই বন্দরের সঙ্গে উপযুক্ত সংযোগ গড়ে তোলার দিকেও দৃষ্টি দিতে হবে।

২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সুড়ঙ্গ নির্মাণে ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা। ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিন পিং এর ঢাকা সফরে কর্ণফুলী টানেল নির্মাণে ঋণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী চীনের এক্সিম ব্যাংক ২০ বছর মেয়াদি ঋণ হিসাবে দুই শতাংশ সুদে ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা দিয়েছে। বাকি অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকার করেছে। নদী সুড়ঙ্গটির নির্মাণ কাজ করছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড। ২০২২ সালের মধ্যে সুড়ঙ্গটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আগস্ট ২০২৩ পর্যন্ত নির্মাণ কাজ অব্যাহত ছিল৷ টানেলের প্রতি টিউবের প্রস্থ ৩৫ ফুট এবং উচ্চতা ১৬ ফুট। এছাড়া, দুটি টিউবের মধ্যবর্তী ব্যবধান ১১ মিটার। সুড়ঙ্গটির মূল দৈর্ঘ্য ৩.৪৩ কিলোমিটার। তবে এর সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক যুক্ত হবে।




দর্শনায় আওয়ামী লীগের হরতাল বিরোধী মিছিল 

বিএনপির ডাকা অবৈধ হরতালের বিরুদ্ধে দর্শনায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে আওয়ামী লীগ। মিছিলে যুবলীগ,ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও অংশ নেন।
শনিবার রাত ৯ টার দিকে দর্শনা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন পেশা জীবি মানুষ অংশ নেয় হরতাল বিরোধী মিছিলে।
দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন শেষে দর্শনা পুরাতন বাজার দোয়েল চত্তরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা অনুষ্টিত হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু,দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন, আ’লীগ নেতা, আব্দুল হান্নান, সোলায়মান কবির, আব্দুল হাকিম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সম্পাদক মান্নান খান, যুবলীগ নেতা আব্দুস সালাম ভুট্টু,সাইফুল ইসলাম,  হুকুম, আশফাকুর রহমান মুন, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি,দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ, সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু প্রমুখ।