ঝিনাইদহের মহেশপুরে ৩৫ কোটি টাকা মুল্যের মাদকদ্রব্য ধ্বংস

ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া ৩৫ কোটি টাকার মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে মহেশপুরের খালিশপুর ৫৮ বিজিবি। আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে খালিশপুর ৫৮ বিজিবির সদর দপ্তরে এ মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

সেসময় অনুষ্ঠানে বিজিবি’র কুষ্টিয়া সেক্টর সদর দপ্তরের কমান্ডার কর্ণেল মারুফুল আবেদীন, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা জেলার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আলোচনা শেষে কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।

বিজিবি জানায়, ২০২৩ সালের ১৪ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত থেকে উদ্ধার হওয়া ১২ হাজার ৪’ ৬৩ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল, ১৩ বোতল সিরাপ, ৪৯ হাজার ৮০ বোতল মদ, ৭৬ কেজি গাজা, এবং ৮’শ ৭১ পিচ ভারতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট ধ্বংস করা হয়।




গুগল ফটোজ অ্যালবামে যৌথভাবে ছবি রাখার পদ্ধতি জেনে রাখুন

বর্তমান সময় প্রযুক্তিনির্ভর। আর এই সময়ে অনেকেই গুগল ড্রাইভ, গুগল ফটোজ অ্যালবামে বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণ করে থাকেন। আপনারা জেনে থাকবেন যে, গুগল ফটোজের নির্দিষ্ট অ্যালবাম বন্ধুবান্ধব ও পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে শেয়ার করার সুযোগ রয়েছে।

একই সঙ্গে অ্যালবামে থাকা ছবি ও ভিডিও দেখার পাশাপাশি তা নামিয়ে ব্যবহার করা যায়। এখানেই শেষ নয়, যৌথভাবে গুগল ফটোজ অ্যালবামে ছবি ও ভিডিও রাখার সুযোগ রয়েছে। ফলে একাধিক ব্যক্তির কাছে নির্দিষ্ট কোনো আয়োজনের ছবি থাকলে সবাই তা গুগল ফটোজ অ্যালবামে জমা রাখতে পারেন এবং তা দেখতে ও নামিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

জেনে নেওয়া যাক গুগল ফটোজ অ্যালবামে যৌথভাবে ছবি রাখার পদ্ধতি :

গুগল ফটোজ অ্যালবামে যৌথভাবে ছবি রাখার জন্য প্রথমে স্মার্টফোন থেকে গুগল ফটোজ অ্যালবামে প্রবেশ করতে হবে। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা প্লাস আইকনে ট্যাপ করার পর প্রদর্শিত পপআপে অ্যালবামের নাম ও বর্ণনা লিখে সিলেক্ট ফটোজ বাটনে ট্যাপ করে অ্যালবাম তৈরি করতে হবে। এবার ওপরের ডান দিকে থাকা তিনটি ডট মেনুতে ট্যাপ করে অপশনস নির্বাচন করতে হবে। এরপর পরের পৃষ্ঠার নিচে থাকা ইনভাইট পিপল অপশনে ট্যাপ করে যে ব্যক্তির সঙ্গে অ্যালবাম শেয়ার করতে হবে, তার ইমেইল ঠিকানা যোগ করতে হবে। ইনভাইটে ক্লিক করার আগে কোলাবরেট অপশনের পাশে থাকা টগলটি চালু করলেই নির্দিষ্ট ব্যক্তি অ্যালবামে ছবি রাখতে পারবেন। এভাবে একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে অ্যালবাম শেয়ার করে ছবি রাখার সুযোগ দেওয়া যাবে।

সূত্র: কালবেলা




গাংনীর করমদীতে পানিতে ডুবে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু

পুকুরে গোসল করতে গিয়ে পানির নিচে তলিয়ে ফাতেমা খাতুন (১২) নামের এক মানসিক প্রতিবন্ধীর মৃত্যু হয়েছে।

আজ শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটার সময় গাংনী উপজেলার করমদী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত ফাতেমা খাতুন করমদী গ্রামের সৌদি প্রবাসী ইমারুল ইসলামের মেয়ে।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদ হোসেন জানান, ফাতেমা খাতুন তার চাচা এনামুল হকের সাথে প্রতিবেশী পাঞ্জাব মণ্ডলের পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসল শেষে চাচা এনামুল হক পুকুর থেকে উঠলেও ফাতেমা খাতুনকে পাননি। পরে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন।

খবর পেয়ে ফাতেমা খাতুনের মা ববিতা খাতুনসহ প্রতিবেশীরা পুকুরে তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে ফাতেমা খাতুনকে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করেন। পরে সন্ধানী হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।




ডিভোর্সে পথে ঊর্মিলা

এই মুহূর্তে বলিউডের আলোচিত ইস্যু ঊর্মিলা মাতন্ডকরের বিবাহবিচ্ছেদ। মহসিন আখতার মীরের সঙ্গে আট বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানছেন তিনি। যদিও বিচ্ছেদ নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি দুজনের কেউই। মাস খানেক আগে আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন ঊর্মিলা। এখন আলাদা থাকছেন তারা।

ঊর্মিলা-মহসিনের ডিভোর্সের কারণ হিসেবে ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, দুজনের বয়সের ব্যবধান পারিবারিক সমস্যার তৈরি করে। ঊর্মিলা স্বামীর চেয়ে ১০ বছরের বড়। ৪০ বছর বয়সে বিয়ে করেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে এই বয়স নিয়েই হয়তো চাপ ছিল। এছাড়া ঊর্মিলা-মহসিনের সংসার ভাঙার পেছনে অন্য আরেকটি কারণ আলোচনায় উঠে এসেছে। তা হলো— টাকা নিয়ে এ দম্পতির মাঝে ঝগড়া হয়েছে। মহসিন ও তার পরিবার ঊর্মিলাকে তার সম্পত্তি বিক্রি করতে বাধ্য করেছে। মূলত, মহসিনের ব্যবসার জন্য অর্থের প্রয়োজন ছিল, সেখান থেকে এটা করা হয়। এ কারণ বিবাহবিচ্ছেদ সমঝোতার মাধ্যমে হচ্ছে না। চার মাস আগে আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেন ঊর্মিলা।

কাশ্মীরের ব্যবসায়ী ও মডেল মহসিন ও ঊর্মিলার প্রথম দেখা হয় ২০১৪ সালে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে। সেখান থেকেই শুরু এই ভালোবাার গল্প। ২০১৬ সালে ঊর্মিলা ও মহসিন অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরে গিয়েছিলেন, তারপরে বিয়ে করেন। তবে গত আট বছরে মীর-ঊর্মিলাকে খুব একটা প্রকাশ্যে আসতে দেখা যায়নি।

মীর ২১ বছর বয়সে কাশ্মীর থেকে মুম্বাই আসেন বলিউডে অভিনয়ের স্বপ্নে। তিনি ইটস অ্যা ম্যানস ওয়ার্ল্ড চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জগতে পা রাখেন। পরবর্তীতে লাক বাই চান্স, মুম্বাই মাস্ট কালান্ডার এবং বিএ পাস চলচ্চিত্রেও কাজ করেন। তবে অভিনয়ে সফলতা না পেয়ে ব্যবসায় নামেন মীর। তবে ডিভোর্স নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি ঊর্মিলা।

বলিউডে বহু হিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন ঊর্মিলা। তার অভিনীত ‘রঙ্গিলা’, ‘দৌড়’, ‘জুদাই’, ‘কুঁওয়ারা’, ‘খুবসুরত’, ‘দিল্লাগি’ সিনেমাগুলো অন্যতম।

অন্যদিকে বলিউড অভিনেত্রী ঊর্মিলা ২০১৯ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগদান করেন। সে বছর লোকসভা ভোটে উত্তর মুম্বাই কেন্দ্রে প্রার্থীও হন। তবে ভোটের মাঠে পরাজিত হন তিনি। বর্তমানে তিনি সক্রিয় রাজনীতিতে আর নেই। ৫০ বছর বয়সী ঊর্মিলার সংসার কেন ভাঙছে এ নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে।

সূত্র: কালবেলা




গাংনীতে মুল নকসা বাস্তবায়ন ও গোল চত্তরের দাবিতে সড়ক অবরোধ

মেহেরপুর গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ডে দৃষ্টি নন্দন গোল চত্বর নির্মাণ,রাস্তার মাঝ থেকে যাত্রী ছাউনি ও দোকান অপসারণ এবং  একনেকে অনুমোদিত প্রকৃত নকশায় সড়ক প্রসস্তকরন কাজের দাবীতে বিক্ষোভ  ও সড়ক অবরোধ  করেছে গাংনী বাজার ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ।
আজ শনিবার  ( ২৮ সেপ্টেম্বর)  বেলা ১১ টায় গাংনী বাসস্ট্যান্ডে  বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করা হয়।
গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলার নেতৃত্বে   বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দেন বিভিন্ন শেনী পেশার মানুষ । দুপুর ১ টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ ও অবরোধ কর্মসূচি।
বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মানিক,মাহাবুবুর রহমান স্বপন, বাজার কমিটির সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন,
সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জামান, উপজেলা যুব দলের আহবায়ক সাইদুল ইসলাম, যুবদল নেতা সালাউদ্দিন এসময় উপস্থিত ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান,মেহেরপুর – কুষ্টিয়ার প্রায় ৪৫ কিলোমিটার  সড়ক  প্রসস্তকরন কাজ শুরু করেন মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগ। মেহেরপুর অঞ্চল এবং কুস্টিয়া অঞ্চলে কাজ শুরু করেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। সে লক্ষে ২০২৩ সালের শেষের দিকে সড়ক বিভাগ সড়কের দুই দিকের বড়বড় শতবৎসরের গাছ কেটে সড়কের দুপাশ পরিষ্কার করা হয়। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ, বিভিন্ন যাত্রী ছাউনি উচ্ছেদ কার্যক্রম চালায় সড়ক বিভাগ। সে সময়   সড়কে অবস্থিত জেলার প্রায় ১৩ টি যাত্রী ছাউনি অপসারণ করা হয়। অপসারনের হাত থেকে রক্ষা পাইনি মসজিদ ও ইদগাহ ময়দানের প্রাচীরও। এখানে রাস্তা প্রসস্তকরনে জনগনের চাওয়াকে গুরুত্ব না দিয়ে একক ভাবে ব্যাক্তি স্বার্থকে গুরুত্ব দেয়া হয়। সড়ক বিভাগের প্রকৌশলী,মনগড়া ও দায়সারা কাজ শেষ করতে চাওয়ায় জনগন দাবী নিয়ে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়।  বাসস্ট্যান্ডের এই যাত্রী ছাউনি অপসারন না করে সড়কের কাজ শেষ করা হলে  বাসস্ট্যান্ডে  বিভিন্ন দুর্ঘটনা ঘটবে বলেও দাবী করেন বিক্ষোভকারীরা।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগ  ও মেহেরপুর জেলায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর বরাবর  স্বারক লিপি দেয়া হয়। ব্যবসায়ীদের সাথে সাধারণ মানুষও বিক্ষোভে যোগ দেন। বিক্ষোভকারীরা সড়ক বিভাগ,জেলা প্রশাসন উপজেলা প্রশাসন সকলের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন।
গাংনী বাজারের ব্যাবসায়ী আলাল উদ্দিন রেন্টু বলেন, বর্তমান বিচার বিভাগ,জেলা প্রশাসন,জেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন আছেন সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার বাস্তবায়নের জন্য। অথচ সড়ক বিভাগ রাস্তা প্রসস্তকরনের আগে  বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা ভেংগে দিয়েছে। অথচ গাংনীর হাজারও মানুষের চাওয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সড়ক বিভাগ গাংনী বাসস্ট্যান্ডে যাত্রী ছাউনি নামক একটি ফলের দেকানে এসে স্থবির হয়ে পড়ছে।  সড়ক বিভাগের এমন উদাসীনতা ও প্রশাসনের এমন ঢিলেঢালা মনোভাব দেখে হাজার মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে নেতিবাচক নানা প্রশ্ন।
গাংনী বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি মাহাবুবুর রহমান স্বপন বলেন, জেলা পরিষদ ,উপজেলা পরিষদ,জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন, সড়ক বিভাগ সবই জনস্বার্থে কাজ করেন। গাংনী উপজেলার প্রাণকেন্দ্র গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ড। এখানে ত্রিভুজাকৃতির একটি সড়ক নির্মানের নকশা রয়েছে। সর্বসাধারণের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে জেলা পরিষদের চুক্তি খুব সহজেই বাতিল করা যায়। এখানে টার্নিং পয়েন্ট টি পরিস্কার করা না হলে নিয়মিত দুর্ঘটনা ঘটবে এবং যে উদদেশ্যে সড়ক প্রসস্তকরন করা হচ্ছে সেই সুফল থেকে মানুষ বঞ্চিত থাকবেন।
গাংনী বাজার কমিটির  সভাপতি সালাউদ্দিন শাওন বলেন,যাত্রী ছাউনি অপসারনের দবীতে বাজারের সকল ব্যাবসায়ীরা রাস্তায় নেমে অবরোধ কর্মসুচী ও বিক্ষো করেন। এতে বাজারে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। আমি বিষয়টি জেনে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেন না ঘটে সেজন্য  সাথে আ: মালেক স্টোরের নিরাপত্তার কথা ভেবে সাময়িক সময়ের জন্য দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়।
গাংনী পৌর বিএনপি’র  সাধারণ সম্পাদক মোকবুল হোসেন মেঘলা বলেন, সড়ক বিভাগ ও জেলা পরিষদ মানুষের সাথে লুকোচুরি খেলছে। মেহেরপুর থেকে শুরু করে খলিশাকুন্ডি পর্যন্ত  সব অবৈদ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এতে প্রায় ১৩ টি যাত্রী ছাউনি ভাঙ্গা হয়েছে। এমনকি রাস্তার পাশে থাকা মসজিদ ও ইদগাহ ভাংগা হয়েছে। অথচ গাংনীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান বাসস্ট্যান্ডের যাত্রী ছাউনি ও একটি দোকান কেনো ভাংগা হয়নি। তা জানতে চাই গাংনীর মানুষ।
ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন,মেহেরপুরে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কাছে স্বারক লীপী দেয়া হয়েছে। বেশ কয়কদিন অতিবাহিত হলেও সাধারন মানুষ তার কোন সুফল পাইনি। যার ফলে মানুষকে আন্দোলনে  বাধ্য হতে হয়েছে। একক ক্ষমতাকে প্রাধান্য না দিয়ে জনগনের স্বার্থের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। এর ব্যত্যয় হলে  যে কোন অস্থিশীল পরিস্থিতির জন্য উপজেলা প্রশাসন দায়ী থাকবেন।
গাংনী উপজেলা নি্র্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা বলেন, আজ সকাল ১১ টার সময় গাংনী বাজারের ব্যাবসায়ী ও সাধারণ মানুষ যাত্রী ছাউনি অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ করেন। এসময় রাস্তায় গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখে। আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত সকলের কথা শুনেছি এবং তাদের সাথে কথা বলেছি। এটি একক বিষয় নয়। সড়ক বিভাগ,জেলা পরিষদ জড়িত। ব্যাবসায়ী প্রতিনিধিদের নিয়ে আলেচনা সাপেক্ষে সমস্যার সমাধান দেয়া হবে।  জনস্বার্থকে গুরুত্ব দেয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিবেশ শান্ত করা হয়েছে।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ বলেন,আমি বিষয়টি বিভিন্ন মাধ্যমে শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যাত্রী  ছাউনি অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ করছেন এ বিষয়টি আমাকে ইউএনও জানিয়েছে।   সকলকে নিয়ে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।



ভিয়েতনামের কাছে বাংলাদেশের হার

ভিয়েতনামে অনুষ্ঠানরত এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবল বাছাইয়ের তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে। গতকাল নিজেদের গ্রুপের তৃতীয় খেলায় স্বাগতিক ভিয়েতনামের বিপক্ষে ৪-১ গোলে হেরেছে বাংলাদেশ।

ম্যাচের প্রথমার্ধেই ৪ গোল হয়েছে। ৩ ও ৩০ মিনিটে ২-০ তে পিছিয়ে যাওয়ার পর ৪১ মিনিটে নোভার গোলে ব্যবধান কমালেও ১ মিনিটের মধ্যে তৃতীয় গোল হজম করে বাংলাদেশের যুবারা। ৮১ মিনিটে চতুর্থ গোল হজম করে বাংলাদেশ। কোচ মারুফুল হকের গোলরক্ষক ইসমাইল হোসেন মানিক বাজে গোল হজম করেছেন। তার খেলা দেখে প্রশ্ন জেগেছে।

এই টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ ভালো দল নিয়ে যেতে পারেনি। কারণ বসুন্ধরা কিংস কিছু ফুটবলার ছাড়েনি। গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় ছাড়া দল নিয়ে গিয়ে বিপদেই পড়েছেন কোচ মারুফুল হক। প্রথম খেলায় সিরিয়ার বিপক্ষে ৪-০ হেরেছে, গুয়ামের বিপক্ষে ২-২ ড্র হয়েছিল। আগামীকাল শেষ ম্যাচ ভুটানের বিপক্ষে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন

মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালন করা হয়েছে। “কর্তৃপক্ষের সকল দ্বার, খুলে দেবে তথ্য অধিকার” প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে সুপার ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার, ইন্সপেক্টর আব্দুল আলিম, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সভাপতি মো: নাজমুল হক (লিটন), প্রধান শিক্ষক ইসরাইল হোসেন, মেহেরপুর এন জি ও সমিতির সভাপতি মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মানসিকতা পরিবর্তনের পাশাপাশি জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করতে হবে। আর জবাবদিহিতা বাড়লে অপরাধ প্রবনতা বা দূর্নীতি কমতে শুরু করবে। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে মানুষকে চিন্তা-চেতনা ও কথা বলার অধিকার দিতে হবে। তাই বাংলাদেশের সংবিধানের তথ্য অধিকার আইনের তথা বলা হয়েছে।

এছাড়াও এসময় স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মুঃ তানভীর হাসান রুমান, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নজরুল কবীর,জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আকাশ কুমার কুন্ড, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় উলামা পরিষদের উদ্যোগে প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

ভারতের পুরোহিত রামগিরি মহারাজ ও মন্ত্রী নিতেশ রানে মহানবী হজরত মোহাম্মদ (সা.) কে অবমাননা করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্টিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে সারা দেশের ন্যায় দর্শনা পৌর উলামা পরিষদের উদ্যোগে শহীদ শাহারিয়া শুভ মঞ্চ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে দর্শনার প্রধান সড়ক গুলো প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা বাসস্টান্ড ঘুরে আবার মুক্ত মঞ্চে এসে শেষ হয়।

উক্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দর্শনা পৌর উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী জুনাইদ আল আযাদ, মুফতী ওমর ফারুক, মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান, এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মাও. আ. খালেক, মাও হুসাইন আহমাদ, মুফতী ইউনুস আলী, হাফেজ জুবায়ের, মাও হুজাইফা, কারী জুবায়ের, মাও নিযামুদ্দীন মাও সিরাজুল ইসলাম, মাও নূরুল ইসলাম মাও আ. রাজ্জাক প্রমুখ। দুআ পরিচালনা করেনঃ মুফতী আবুল বাশার।




গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের সংবাদ সম্মেলন

গাংনীর মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, হয়রানী ও মানহানিমুলক কথা বলার প্রতিবাদ এবং জন্ম সাল নিয়ে যে বিভ্রান্তিমুলক অপপ্রচার চলছে তারই প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ মো: খোরশেদ আলী।

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টায় গাংনী মহিলা কলেেেজর সভা কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন অধ্যক্ষ মো: খোরশেদ আলী। তিনি বলেন,আমি গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধক্ষ্য। ১৯৯৫ সাল থেকে এযাবত সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছি। সমপ্রতি দেশে একটি বৈপ্লবিক ঘটনা ঘটেছে।এই সুযোগে হঠাৎ করে অত্র কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজেদুল ইসলাম বুলু কলেজে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃস্টি করার জন্য আমার নামে বিভিন্ন মিথ্যাচার বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দায়ের করেছে। সাজেদুল ইসলাম বুলু যে বিষয়ে পড়ান দীর্ঘ ২২ বছর সেই বিষয়ে কোন ছাত্রী ভর্তি না করায় তাকে ক্লাশে উপস্থিত থাকতে হয়না। তিনি কলেজে এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাড়িতে গিয়ে প্রাইভেট পড়ান এবং মাস শেষে কলেজের বেতন ভোগ করেন। এর প্রতিবাদ করায়, সে একাধিকবার আমাকে অপদস্থ করেছে। সে শিক্ষার্থীদের সামনে দুইজন শিক্ষক কে মেরে আহত করে।

এছাড়া অর্থনীতি বিভাগের সহকারি অধ্যাপক বেদারুল আলম এমন পরিস্থিতিতে কলেজে এসে নিজেকে কলেজের অধ্যক্ষ ঘোষনা দিয়েছেন এবং শিক্ষকদের হাজিরা খাতা বগলে করে নিয়ে বেড়াচ্ছে। বলে বেড়াচ্ছেন কলেজ আমার কথায় চলবে এবং অধ্যক্ষের ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হবে।

সংবাদ সম্মেলনে কলেজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী আরও বলেন,তাদের অভিযোগ আমার জন্ম তারিখ সংক্রান্ত। আমি মহা: খোরশেদ আলী ও আমার ছোটভাই মুরাদ হোসেন ক্লাশ ওয়ান থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত এক সাথে লেখাপড়া করি। এলাকার সকলে মনে করতো আমরা দুজন জমজভাই। আমার যিনি বড়ভাই মো : মুজাহিদ হাসান সে আমার চেয়ে দুই বছরের বড়।তার এসএসসি ১৯৭৮ সালে।আমার আর মুরাদের এসএসসি ১৯৮০ সালে। মুজাহিদের জন্ম তারিখ সার্টিফিকেট অনুযায়ী করা হয়েছে ১/১/১৯৬৪ সাল। আর আমার জন্ম তারিক এসএসসি সার্টিফিকেট এ করা হয়েছে ৩১/১২/১৯৬৩ সাল। অর্থাৎ বড় ভাইয়ের চেয়ে আমাকে এক বছরের বড় বানিয়ে দেয়া হয়েছে। বাবা মায়ের দায়িত্বহীনতার কারনে বয়সের বিড়ম্বনা ছাড়া আর কিছুই না। পরে কলেজ প্রতিষ্ঠার অনেক আগে আমরা বয়স সংশোধন করা হয়েছে। পরে শিক্ষা বোর্ড থেকে বিধি মোতাবেক বড় ভাইয়ের এক বছরের ছোট করে আমার জন্ম তারিখ করা হয় ৩১/১২/১৯৬৫ সাল। সাজেদুল ইসলাম বুলু ও বেদারুল ইসলাম গত ২৪ সেপ্টেম্বর গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে। আমি এসবের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দে জানাই।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন ২০২০ সাল থেকে ২০২৪ সালে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনো টাকার লেনদেন হয়নি। এবং বিগত দিনেও কলেজে নিয়োগ বাণিজ্য করা হয়নি। আমি অর্থ ও পাচুর্য্য বিলাশী নই। আমি আজও একটি ভাল বাড়ি বানাতে পারিনি। আজও ভাড়া বাড়িতে বসবাস করি।

সংবাদ সম্মলনে কলেজের সহকারি অধ্যক্ষ হারুন অর রশীদ রবি,মো: রমজান আলী,ও গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে রাসুল সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে সিরাতুন্নবী (সাঃ) উদযাপন উপলক্ষে নাতে রাসুল সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উদযাপন উপলক্ষে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে শহীদ শামসুলজোহা পার্কে ইসলামিক গান, কবিতা, গজল পরিবেশন করা হয়।

কানন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ মেহেরপুর ও উপদেষ্টা এবং সাহিত্য সাংস্কৃতিক বিভাগের পরিচালক মোঃ আব্দুল জাব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কবিতা, সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেসর, কবি ও গবেষক ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ।

প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক, সমাজসেবক ও কানন সাহিত্য সাংস্কৃতিক সংসদ মেহেরপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা তাজউদ্দীন খান।

এসময় শিক্ষা ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখায়, কাজী নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল, মাধ্যমিক বিদ্যালয় মোহাঃ মোসলেম আলীকে ক্ষীকৃতি স্মারক দেওয়া হয়। একইভাবে একে এম সাইফুল্লাহকে দ্বীন ইসলাম প্রচারে বিশেষ অবদান রাখায় মরনোত্তর পদক এবং সোহেল রানা ডলারকে সমাজসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় স্মারক প্রদান করা হয়।

এসময় দর্শকদের মন জয় করে গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী সুরসম্রাট মশিউর রহমান,জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত সাড়া জাগানো শিশু শিল্পীজাহিন ইকবাল, মুজাহিদুল ইসলাম,গীতিকার, সুরকার ও শিল্পী মাহফুজ মামুন ইসলামিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।