ঝিনাইদহে মেলার স্টল দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে কৃষ্ণচূড়া অ্যাভিনিউয়ের চারা গাছ

ঝিনাইদহ শহরের মডার্ণ মোড় থেকে পুরাতন ধোপাঘাটা ব্রিজ অভিমূখে কৃষ্ণচূড়া গাছ লাগিয়ে সড়কটির “কৃষ্ণচূড়া অ্যাভিনিউ” নামকরণ করেন ঝিনাইদহের সদ্য সাবেক জেলা প্রকাশক মনিরা বেগম।

সড়কটির দুই ধারে লাগানো হয় অনেক গুলি দৃষ্টি নন্দন কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা। বিভিন্ন সামাজিক ও পরিবেশবাদি সংগঠনও কৃষ্ণচূড়া গাছের চারা রোপণ করে রাস্তার দুই ধারে। কিন্তু সেই সড়কের দুই ধারে মেলার দোকান বসিয়ে গাছ গুলির জীবন বিপন্ন করে তোলা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি গাছ স্টল তৈরির সময়েই ভেঙে ফেলা হয়েছে। আবার অনেকগুলি গাছ দোকানের মধ্যে রেখেই দোকানের ছাউনি তৈরি করা হয়েছে। এই গাছগুলোও মেলা শেষ হওয়া পর্যন্ত মারা যেতে পারে বলে স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন।

জানাগেছে, দূর্গা পূজার পরেই রাস্তার ধারেই মেলা বসাচ্ছেন মডার্ণ মোড় এলাকার ফার্নিচার ব্যবসায়ী রোকন। তিনি প্রতিবছরই মেলা বসান। এর আগের বছর সরকারের বিপুল অংকের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে মেলা চলমান অবস্থায় বন্ধ করে দেয় জেলা প্রশাসক। এবারও কেমন করে তিনি আবার মেলার মাঠ পরিচালনার অনুমতি পেয়েছেন।

পরিবেশ কর্মী মাসুদ আহমেদ সনজু বলেন, বৈশি^ক উষ্ণতা থেকে বাঁচতে সরকার বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করছে। আমাদের সবার দায়িত্ব গাছ লাগানো। সেখানে যার ব্যবসায় হলো গাছ মেরে কাঠ তৈরি করা তিনিই আবার জেলা প্রশাসনের বাস্তবায়িত কৃষ্ণচূড়া অ্যাভিনিউয়ের কৃষ্ণচূড়া গাছ গুলিই দোকান তৈরি করে মেরে ফেলছেন। আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। গাছগুলিকে বাঁচিয়ে রেখে প্রয়োজনে অন্য স্থানে মেলা বসানো হোক। এব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসকেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।




২৬১ জনকে নিয়োগ দেবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর। ১৭ ক্যাটাগরির অস্থায়ীভাবে শূন্য পদে ২৬১ জনকে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন শুরু হয়েছে ২২ অক্টোবর থেকে।

পদসংখ্যা

সর্বমোট ২৬১ জন।

পদের নাম ও সংখ্যা: উচ্চমান সহাকারী

পদসংখ্যা: ৯টি (গ্রেড-১৪)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে স্নাতক পাস হতে হবে।

পদের নাম ও সংখ্যা: ইউডিএ-কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ১টি (গ্রেড-১৪)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে স্নাতক পাস হতে হবে।

পদের নাম ও সংখ্যা: ইউডিএ-কাম-ডেটা প্রসেসর

পদসংখ্যা: ২টি (গ্রেড-১৪)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে স্নাতক পাস হতে হবে।

পদের নাম ও সংখ্যা: হিসাব রক্ষক

পদসংখ্যা: ১৪টি (গ্রেড-১৪)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে বাণিজ্যে স্নাতক পাস হতে হবে।

পদের নাম ও সংখ্যা: সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম-কম্পিউটার অপারেটর

পদসংখ্যা: ২টি (গ্রেড-১৪)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে স্নাতক পাস হতে হবে।

পদের নাম ও সংখ্যা: লাইব্রেরিয়ান

পদসংখ্যা: ৫টি (গ্রেড-১৪)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক পাস অথবা লাইব্রেরি সায়েন্সে ডিপ্লোমা।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান-কাম-পাম্প-অপারেটর

পদসংখ্যা: ২টি (গ্রেড-১৪)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীর ইলেকট্রিক্যাল ট্রেডসহ উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (ভকেশনাল)

পদের নাম ও সংখ্যা: ড্রাইভার (হেভী) (গ্রেড-১৫) এবং ড্রাইভার (লাইট) (গ্রেড-১৬) ১৬টি

শিক্ষাগত যোগ্যতা: অষ্টম শ্রেণি পাস এবং ড্রাইভার হেভীর ক্ষেত্রে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ ভারী যানবাহন চালনায় পারদর্শী এবং ড্রাইভার লাইটের ক্ষেত্রে বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ হালকা যানবাহন চালনায় পারদর্শী।

পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক

পদসংখ্যা: ২৫টি (গ্রেড-১৬)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীর এইচএসসি পাস হতে হবে।

পদের নাম: এলডিএ কাম ডেটা প্রসেসর

পদসংখ্যা: ৪টি (গ্রেড-১৬)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীর এইচএসসি পাস হতে হবে।

পদের নাম: হিসাব সহকারী

পদসংখ্যা: ৯টি (গ্রেড-১৬)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি পাস হতে হবে।

পদের নাম: ক্যাশিয়ার

পদসংখ্যা: ২টি (গ্রেড-১৬)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে ব্যবসায় শিক্ষায় এইচএসসি পাস হতে হবে।

পদের নাম: সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার

পদসংখ্যা: ৬টি (গ্রেড-১৬)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে স্নাতক বা গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে সনদ কোর্সে উত্তীর্ণ হতে হবে।

পদের নাম: ক্যাশ সরকার

পদসংখ্যা: ১২টি (গ্রেড-১৮)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে।

পদের নাম: ইলেকট্রিশিয়ান

পদসংখ্যা: ১টি (গ্রেড-১৮)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে।

পদের নাম: স্কিল্ডম্যান

পদসংখ্যা: ৯টি (গ্রেড-১৯)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: গ্লাস ও সিরামিক ট্রেডে এসএসসি পাস (ভকেশনাল)।

পদের নাম: অফিস সহায়ক

পদসংখ্যা: ১৪২টি (গ্রেড-২০)

শিক্ষাগত যোগ্যতা: প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে।

বেতন স্কেল ও গ্রেড: ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪), ৯৭০০-২৩৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৫), ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬), ৮৮০০-২১৩১০ টাকা (গ্রেড-১৮), ৮৫০০-২০৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯), ৮২৫০-২০০১০ টাকা (গ্রেড-২০)।

আবেদন ফি

১ থেকে ১৩ নম্বর পদের জন্য টেলিটকের সার্ভিস চার্জসহ ২২৩ টাকা, ১৪ থেকে ১৭ নম্বর পদের জন্য সার্ভিস চার্জসহ ১১২ টাকা জমা দিতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন ও নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে এখানে।

আবেদনের শেষ তারিখ

১১ নভেম্বর,২০২৩।

সূত্র :    https://techedu.gov.bd/




ক্রিকেট আমাদেরকে কী দিল, প্রশ্ন গ্রেগ চ্যাপেলের

কলকাতায় এক বাস ড্রাইভার। তার মুখে ভারতের ক্রিকেটের কোন খবরটা নেই, শুনলে পিলে চমকে যাবে। ক্রিকেটে বেইমানি হয়। কীভাবে সেটা বুঝিয়ে ছিলেন সেই বাস ড্রাইভার। বাস চালাতে চালাতে বলছিলেন আমাদের মহারাজ সৌরভ গাঙ্গুলি চাকরি দিয়েছিলেন চ্যাপেলকে। তাকে কোচ বানালেন সৌরভ। আর সেই চ্যাপেলই দল থেকে বাদ দিয়েছিলেন সৌরভকে।’ সম্প্রতি ভারতের সেই সাবেক কোচ গ্রেগ চ্যাপেল নাকি কষ্টে আছেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক কোচ ট্রেভর চ্যাপেলের ভাই চরম আর্থিক কষ্টে রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি সাবেক ক্রিকেটার গ্রেগ চ্যাপেল। তার অর্থ কষ্ট লাঘব করতে এগিয়ে এসেছেন বন্ধুরা। অর্থ তুলতে এগিয়ে এসেছেন। গ্রেগ চ্যাপেলের জন্য অর্থ তোলার একটি পেজও খোলা হয়েছে। পুরোনো কথাটা আবার উঠে এসেছে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে বিতর্কিত এক অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছিলেন চ্যাপেল। গ্রেগের জন্যই দল থেকে সৌরভকে ছিটকে যেতে হয়েছিল। সৌরভ ও অজি কিংবদন্তির সম্পর্ক নিয়ে সেই সময়ে কম চর্চা হয়নি।

যাই হোক গ্রেগ চ্যাপেল অবশ্য নিজের আর্থিক সমস্যা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, তিনি ভালোই আছেন তবে বিলাসবহুল জীবনযাপন বলতে যা বোঝানো হয়, সেই ধরনের জীবন কাটাচ্ছেন না তিনি। চ্যাপেলকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘বেশির ভাগ মানুষই মনে করেন, আমরা ক্রিকেট খেলেছি। টাকা কামিয়েছি। স্বাভাবিকভাবেই বিলাসবহুল জীবনযাপন করছি। তবে আমি দুঃস্থ হয়ে গিয়েছি বলে কান্নাকাটি করছি না। একটা কথাই বলতে চাই, আজকালকার ক্রিকেটাররা যে সুযোগ সুবিধা পেয়ে থাকে, আমরা সেরকম সুযোগ সুবিধা পাইনি।’

চ্যাপেলের জন্য অর্থ তুলতে ‘গোফান্ডমি’ বলে একটি পেজ তৈরি করা হয়েছে। গত সপ্তাহে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে লাঞ্চের আয়োজন করা হয়েছিল। তার আয়োজক ছিলেন এডি ম্যাকগুয়ের। গুরু গ্রেগের দুই ভাই ইয়ান, ট্রেভর চ্যাপেল-সহ সাবেক অজি তারকারা উপস্থিত ছিলেন। চ্যাপেল বলেছেন,‘আমার বন্ধুরা উপলব্ধি কিছুই আমি পাইনি। আমার সময়ের অনেকেই এমন রয়েছেন যারা অত্যন্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়েই যাচ্ছেন। আমার মনে হয় আগের জমানার ক্রিকেটাররা এখনকার ক্রিকেটারদের মতো সুযোগ সুবিধা পায় না। ক্রিকেট আমাদের কী দিল?




প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনকে আর চান না আ.লীগ নেতারা

মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়েছেগতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ মোড়ে। জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ত্রী-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু নেতা কর্মী জামাত-শিবিরের চেয়েও ভয়ংকর বলে সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

বক্তারা বলেন, প্রতিমন্ত্রীর আশেপাশে অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাটদের দেখা যায়। মেহেরপুরের ক্যাসিনো সম্রাটদের সন্তানদেরকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে এসেছেন। ফরহাদ হোসেন দলের গঠনতন্ত্র না মেনে সিনিয়র নেতাদের কোন রকম মূল্যায়ন না করে নিজের খেয়ালখুশি মতো সকল কমিটি গঠনে হস্তক্ষেপ করেন। মেহেরপুর জেলার আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারীদের তিনি দল থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন। সম্মেলনে বক্তারা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘মেহেরপুরে নৌকার মাঝি পরিবর্তন করুন না হলে নৌকাডুবি হবে। এই মঞ্চ এই যারা উপস্থিত আছেন তাদের মধ্য থেকে যে কাউকে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে আমরা সম্মিলিতভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করব।
মুজিবনগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাঁদুর সভাপতিত্ব সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পেরেশান। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।

সম্মেলনে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমার সময় আমি এই অঞ্চলের রাস্তাগুলো প্রশস্ত করেছিলা, মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের পিছনে জমি অধিগ্রহণ করেছিলাম যেখানে আজ নার্সিং ইনস্টিটিউট তৈরি হচ্ছে। সে জায়গায় আজ হাসপাতালে নতুন বিল্ডিং তৈরি হচ্ছে। আমার সময়ই মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল ২৫০ সয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে পরিণত হয। মুজিবনগর ডিগ্রী কলেজ আমার সময়েই কারীকরণ করা হয়। ভৈরব খনন প্রকল্পের উদ্যোগ আমার সময়েই নেওয়া। তাহলে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন মেহেরপুরের জন্য করেছেন কি?

জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল বলেন, ফরহাদ হোসেনের আমলে উন্নয়ন হয়েছে কার, উন্নয়ন হয়েছে তার পরিবারের লোকজনের। তার ভাই কাজ না করে সরকারি প্রকল্পের ঠিকাদারের টাকা উঠিয়ে ফেলে, সংখ্যালঘু পরিবারের টাকা মেরে দেয়। আর ফরহাদ হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের কোন খোঁজ খবর না রেখে ঈদের সময় বিএনপি সভাপতি মাসুদ অরুণ কে পায়জামা-পাঞ্জাবি উপহার দেয়। মেহেরপুরের মুজিবনগরে উন্নতি হয়েছে সেটা শুধু শেখ হাসিনারই অবদান।’

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, ‘ ফরহাদ হোসেন আওয়ামী লীগকে আওয়ামী লীগের মতো চলতে দেন না। যিনি জবাবদিহিতা রাজনীতি করেন না তার বিরুদ্ধে আজ মেহেরপুরের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ঐক্যবদ্ধ এ কথা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জানে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক যখন দলের কেন্দ্রীয় সভায় কথা বলতে গেছেন তখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ওবায়দুল কাদের তাকে ধমক দিয়ে বলেন আপনি বসেন, আপনি কিসের সেক্রেটারি, আপনি তো ফরহাদ হোসেনের পিএ। সে সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সেক্রেটারি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজন আলী বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নৌকার বিপক্ষে কাজ করে। তার কারণেই মুজিবনগরে চারটি ইউনিয়ন পরিষদে নৌকার প্রার্থী হেরেছে। আবার মেহেরপুর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে হারাতে সর্বাত্মক চেষ্টা করেছিলেন ফরাজ হোসেন। আমরা সকল নেতৃবৃন্দ সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মন্ত্রীর অপচেষ্টাকে রুখে দিয়ে নৌকার প্রার্থীকে বিজয় করেছিলাম। ‘

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলতে চাই আপনি আমাদের অবস্থা দেখুন, আমাদের কথা বুঝুন, আমরা আজ কিভাবে অত্যাচারিত। যে নেতারা মেহেরপুর ও মুজিবনগর কে আগলে রেখেছিল সেই নেতারাই আজকে নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে অত্যাচারিত। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই নৌকার মাঝি পরিবর্তন করুন যাকে নিয়ে আমরা এই মেহেরপুর ও মুজিবনগরে নৌকাকে জেতাতে পারবো।’

মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খ. ম. হারুন বিন ইমতিয়াজ জুয়েল বলেন, আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী মুজিবনগর এর চারটি ইউনিয়নে জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিয়ে চারজন প্রার্থীকে মনোনীত করেছিলেন। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন ২০২১ সালে নৌকার পক্ষে ভোট করেন নাই, ইউনিয়নবাসী সকলে এটা জানে। নৌকায় ভোট না করে উনিত নেত্রীকে মানলেন না। তাহলে উনি মুজিব আদর্শের লোক না। আমরা এখানে মুজিব সেনা দেখতে চাই। আমরা দেখেছি উনি ১১ই নভেম্বর মহাজনপুর ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন, বাগোয়ান ইউনিয়নে নৌকার বিপক্ষে ভোট করেছেন, আমদহ ইউনিয়নেও নৌকার মনোনীত প্রার্থীকে হারানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। উনি নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করেন নাই, পরাজিত করেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। ‘

জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান বলেন, ‘আজকে যারা মঞ্চে বসে আছে তারাই আওয়ামী লীগের রাজপথের সৈনিক। আর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরাদ হোসেন সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতির মৃত্যুর দিনে জানা যায় না এসে পরিবারে কনসার্ট দেখতে গিয়েছিলেন। আবার বি এম স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষকের জানা যায় না এসে তিনি মেহেরপুর শামসুদ্দোহা পার্কে কনসার্টের উদ্বোধন করেছিলেন। অনুরোধ করেও তাকে এরকম জঘন্য কাছ থেকে নিভৃত করা যায়নি। তিনি নাকি আবার শিক্ষক, তিনি কেমন শিক্ষক। ‘

সম্মেলনে আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর ১ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, মেহেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের অ্যাড ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তহমিনা খাতুন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রেহেনা মান্নান ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহমান নান্নু, মোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাত আলী, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন মল্লিক এবং মেহেরপুর জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু।

সম্মেলন শেষে সভাপতি পদে ৩ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৪ জন প্রার্থী হওয়ায় দুই দিন সময় নেওয়া হয়।

 




দর্শনা সীমান্তে ২ কোটি ১২ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনার বার উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি সদস্যরা ২ কেজি ৩৮৪ গ্রাম ওজনের ছোট বড় ৫টি সোনার বার আটক করেছে। তবে এ ঘটনায় বিজিবি কোন চারাচালানীকে আটক করতে পারেনী।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা উপজেলার ঝাঝাডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান বিরোধী অভিযান চালিয়ে এই সোনার বারগুলি আটক করে।
চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান (পিএসসি) এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানান, সুলতানপুর বিওপির’র টহল কমান্ডার নায়েক মোঃ রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বৃহস্পতিবার সকালে সীমান্তের মেইন পিলার ৭৯ হতে আনুমানিক ২ কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঝাঝাডাঙ্গা ঈদগাহ সংলগ্ন কবরস্থানের পশ্চিম পার্শ্বে আম বাগানের মধ্যে অবস্থান করে। অবস্থান কালে বেলা ১২ টার দিকে সন্দেহজনক ভাবে উক্ত এলাকা দিয়ে একজন ব্যক্তিকে সীমান্তের শূণ্য লাইনের দিকে যেতে দেখলে বিজিবি টহল দল তাকে ধাওয়া করে। বিজিবি’র উপস্থিতি টের পেয়ে উক্ত ব্যক্তি হাতে থাকা সাদা রংয়ের একটি শপিং ব্যাগ ফেলে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। বিজিবি সশস্ত্র টহল দল ফেলে যাওয়া ব্যাগটি জব্দ করে। জব্দকৃত শপিং ব্যাগটি তল্লাশী করে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ০৩টি প্যাকেট হতে ০২ কেজি ৩৮৪ গ্রাম (২০৪.৩৯ ভরি) ওজনের ছোট বড় ০৫টি স্বর্ণের বার আটক করতে সক্ষম হয়। এই বারগুলির বাজার মৃল্যে ২ কোটি ১২ লক্ষ টাকা

এ ব্যাপারে নায়েক মোঃ রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করেছে এবং আটককৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রী-বার্ষিক সম্মেলন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাতে দ্বিতীয় কংগ্রেস শেষে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করার জন্য দুই দিন সময় নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২৬ শে অক্টোবর বিকালে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ মোড়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এই ত্রী-বার্ষিক সম্মেলনের প্রথম কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের বক্তারা বলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু নেতা কর্মী জামাত-শিবিরের চেয়েও ভয়ংকর। তার আশেপাশে অনলাইন ক্যাসিনো সম্রাটদের দেখা যায়। মেহেরপুরের ক্যাসিনো সম্রাটদের সন্তানদেরকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আওয়ামীলীগ ও এর বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতৃত্ব নিয়ে এসেছেন। ফরহাদ হোসেন দলের গঠনতন্ত্র না মেনে সিনিয়র নেতাদের কোনরকম মূল্যায়ন না করে নিজের খেয়ালখুশি মতো সকল কমিটি গঠনে হস্তক্ষেপ করেন। মেহেরপুর জেলার আওয়ামী লীগের দুর্দিনের কান্ডারীদের তিনি দল থেকে দূরে সরিয়ে দিচ্ছেন।

সম্মেলনে বক্তারা আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ‘মেহেরপুরে নৌকার মাঝি পরিবর্তন করুন না হলে নৌকাডুবি হবে। এই মঞ্চ এই যারা উপস্থিত আছেন তাদের মধ্য থেকে যে কাউকে আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে আমরা সম্মিলিতভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করব।

মুজিবনগর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাঁদুর সভাপতিত্ব সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস এবং প্রধান বক্তা ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পেরেশান। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন
মেহেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মহাজনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহমান নান্নু, মোনাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জামাত আলী, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলাম, বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন মল্লিক এবং মেহেরপুর জেলা শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু।

এছাড়াও আমন্ত্রিত বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর ১ সংসদীয় আসনের সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল, মেহেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যানের অ্যাড ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তহমিনা খাতুন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন, বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সভাপতি রেহেনা মান্নান ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন প্রমুখ।




গাংনীর মাইলমারীতে হেরোইন সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

গাংনীর মাইলমারী তে হেরোইন সহ দুই মাদক ব্যাবসায়িকে আটক করেছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলাম।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে এ এস আই কালাম ও এ এস আই শামসুর রহমান সহ সঙ্গিও ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক কৃতরা হলেন, মাইলমারী গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে সেকেন্দার আলী (৪৫) ও সাহারবাটি গ্রামের মৃত নেক মোহাম্মদের ছেলে তরিকুল আলী (৪০) কে ০৫ গ্রাম হেরোইন সহ আটক করা হয়।

তারা চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, প্রকাশ্যে হেরোইন বিক্রি করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাইলমারী মন্ডলপাড়া ওয়াক্ত মসজিদের সামনে হিয়ারিং রাস্তার উপরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর চেষ্টাকালে তাদেরকে আটক করে পুলিশ, পরে দেহ তল্লাশি করে ৫ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

ধলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) তৈৗহিদুল ইসলাম জানান, মাদক বিক্রির সময় হাতে নাতে দুজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানাতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৭ জন আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে সাজাপ্রাপ্ত আসামিসহ ৭ জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার (২৫ অক্টোবর) রাতভর থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধারজনিত মামলায় ৪ জন,অন্যান্য মামলা ১ জন ও গ্রেফতারি পরোয়ান মূলে ২ জনকে আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন গাংনী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের ওয়াজেদ কারীকরের ছেলে সাইদুল ইসলাম (৪০),৭নং ওয়ার্ড ভিটাপাড়ার মৃত মহাসিন আলীর ছেলে মীর মহিদুল ওরফে মুকুল (৪৮), মাইলমারী মন্ডলপাড়ার মৃত দবির উদ্দীনের ছেলে মোঃ সেকেন্দার আলী(৪৫),সাহারবাটি গ্রামের মৃত নেক মোহাম্মদের ছেলে মোঃ তরিকুল আলী(৪০), কাজিপুর হাজীপাড়ার মোঃ রুপচাঁনের ছেলে আমিরুল ইসলাম(৩৮), করমদী মধ্যপাড়ার মৃতঃ আঃ কুদ্দুসের ছেলে মাগরীব আলী,আকুবপুরের মৃত জামাত আলীর ছেলে মোঃ নান্নু (২০)।

গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, সাজাপ্রাপ্ত মাদক মামলার আসামিসহ বিভিন্ন মামলায় ৭ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে নবাগত নির্বাহী অফিসারের সাথে সাংবাদিকদের পরিচিতি সভা

গাংনীতে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা, এবং সহকারী কমিশনার ( ভুমি) নাদির হোসেন শামীম।

নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়োজিত পরিচিতি সভায় জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা সাংবাদিকদের বিভিন্ন পেশাগত প্রশ্নের উত্তর দেন। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা বিভিন্ন বিষয়ে নবাগত নির্বাহী অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। নবাগত নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা গাংনীর উন্নয়নে ও স্মার্ট গাংনী গড়তে সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি গাংনীর উন্নয়নে সবাইকে নিয়ে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।




সাড়া না পেলেও রাজনৈতিক দলগুলোকে নিরন্তর আহবান জানিয়ে যাব- সিইসি

সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিকবার সংলাপ করলেও বিএনপি তাতে সাড়া দেয়নি।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার শুরুতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আন্তরিকভাবে আমরা চাই, রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূল হয়ে উঠুক। আমাদের আরাধ্য কর্মটা সহজ হোক। সেজন্য আমরা নিরন্তর আহবান করে যাচ্ছি।”

সিইসি বলেন, সেখানে (সংলাপ) যেসব দল আসতে চাননি, তাদের প্রতি আমাদের বিনীত আবেদন ছিল, সংলাপে আসুন। সেজন্য আমরা আধা সরকারি পত্র দিয়েও অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদেরকে আলোচনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। বলেছিলাম, অন্তত একটু চা খেতে আসেন। আমরা কিন্তু সাড়া পাইনি। আমরা দেখাতে চেয়েছিলাম, আমরা স্বাধীনভাবে কাজ করছি।

তিনি বলেন, তাদের যে রাজনৈতিক স্ট্রাটেজি, সেটা তাদের নিজস্ব ব্যাপার। আমরা স্পষ্ট করে জানিয়েছি, প্রতিটা রাজনৈতিক দল ও জোটের তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে, সেটা তাদের নিজস্ব ইস্যু। নির্বাচন কমিশন সেখানে অনাধিকার চর্চা করবে না।
হাবিবুল আউয়াল বলছেন, সাড়া না পেলেও তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘নিরন্তর’ আহ্বান জানিয়ে যাবেন।

“আপনারা আসেন, সমস্যার সমাধান হোক অথবা মাঠে আপনারা বিরাজমান সংকটগুলো নিরসন করুন”-যোগ করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।