উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে কুমিল্লাকে হারালো রংপুর

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। কুমিল্লাকে ৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে রংপুর।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান সংগ্রহ করেছে রংপুর রাইডার্স। দলের পক্ষে বাবর আজম ৩৬ বলে ৩৭ ও আজমতুল্লাহ ওমরজাই ২০ বলে করেন ৩৬ রান।

১৬৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরতেই উইকেট হারায় কুমিল্লা। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার লিটন দাস। এরপর ক্রিজে আসা মাইদুল অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেন মোহাম্মদ রিজওয়ান।

৫৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। দলীয় ৬০ রানে ২১ বলে ১৭ রান করে আউট হন রিজওয়ান। এরপর ক্রিজে আসা তাওহিদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন অঙ্কন।

সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন অঙ্কন। তবে দলীয় ১১৩ রানে ৫৫ বলে ৬৩ রান করে আউট হন কুমিল্লার এই ব্যাটার।

শেষ দিকে রংপুরের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রান সংগ্রহ করতে সক্ষম হয় কুমিল্লা। ৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রংপুর রাইডার্স।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের দারুণ উদ্ভাবনের প্রদর্শণ

মেহেরপুরে ৪৫ তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের উদ্বোধন করা হয়েছে। “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, উদ্বোধনেই সমৃদ্ধি” এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে মেলায় ক্ষুদে বিজ্ঞানীরা নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট, ওয়াটার লেবেল কন্ট্রোলার,ফ্রি ইলেক্ট্রিসিটি মডেল, কাদামাটি দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন উদ্ভাবনী প্রদর্শণ করে।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলা প্রাঙ্গণে, সদর উপজেলা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের তত্ত্বাবোধানে এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত মেলা প্রধান অতিথি হিসেবে ফিতা কেটে উদ্ধোধন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাজহারুল ইসলাম।

এছাড়াও এসময় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মনিরুল ইসলাম, সমাজসেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম, সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন্নেছা লতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে অতিথিরা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন এবং ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বিভিন্ন উদ্ভাবনের প্রশসংসা করেন।




রাগ নিয়ন্ত্রণে যা করণীয়

সব সময় মন-মেজাজ ভালো রাখা সম্ভব হয় না। অনেকক্ষেত্রে আমরা মেজাজ ঠিক রাখতে পারি না। অনেকেই রেগে গেলে ভাঙচুর করেন, উচ্চস্বরে চিৎকার করেন, এমনকি গায়ে হাতও তুলে ফেলেন। অতিরিক্ত রাগের প্রভাব পড়তে পারে ব্যক্তিজীবন, সামাজিক ও পেশাগত জীবনেও। কিন্তু ঝগড়ার সময়েই মেজাজ রাখতে হয় শান্ত। ধীরে সুস্থে খুঁজতে হয় সমস্যার সমাধান।

রাগকে বশে আনা বেশ কঠিন ব্যাপার। চলুন জেনে নেই যে ব্যাপারগুলো ঝগড়ার সময়েই রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে:

সবচেয়ে জরুরি কথা শোনা
ঝগড়ার সময় বেশিরভাগ সময় দেখা যায় দুইদিকের থেকে সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগের অভাব। মনোযোগ ও ধৈর্য ধরে অপরের কথা শুনলে সহজেই অনেক ঝগড়ার সমাধান করা সম্ভব। আবেগী হয়ে অনেকেই নিজেদের মনের কথা ঝগড়ার সুরে হলেও খুলে বলেন। তাই ঝগড়ার সময় অন্তত অপর পক্ষকে কথা বলার সুযোগ দিন। প্রয়োজনে নিজের অবস্থানও খুলে বলতে পারেন। ফলে দুই পক্ষই নিজেদের অবস্থান বুঝতে পারবেন।

বলার আগে ভেবে বলার চেষ্টা
মুহূর্তের উত্তাপে এমন কিছু বলা উচিত নয় যার জন্য পরবর্তীতে অনুশোচনা করতে হয়। ঝগড়ার সময় প্রতিটি শব্দের মূল্য বেড়ে যায় বহুগুণ। ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম শব্দের আঘাত মনে লেগে থাকে অনেক দিন। রাগের মুহূর্তে আমরা এমন সব কথা বলে ফেলি যা পরিস্থিতিকে আরও সংকটময় করে তোলে। কিছু বলার আগে নিজে চিন্তা করে নিন কয়েক মুহূর্ত। ভাবুন, আপনার এই কথা বা আচরণে আরেকজনের প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে। কী বলবেন, কী বলবেন না, ভেবে কথা বলুন। কারণ, আপনার একটি শব্দই বহু বছরের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট।

বিরতি নেওয়া
ঝগড়ার সময়ে প্রত্যেকের মনই বিক্ষিপ্ত হয়ে থাকে। অশান্ত মনে স্বাভাবিকভাবে একে অপরের কথা শোনা কিংবা বোঝা প্রায় অসম্ভব একটি ব্যাপার। তাই ঝগড়া থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে শান্ত করুন। বড় বড় শ্বাস নিন, নিজেকেই নিজে শান্ত করার চেষ্টা করুন। এতে করে শান্তভাবে বসে অপর পক্ষের কথাও বোঝা যায়।

ক্ষমা করতে শিখুন
রাগকে নিজের মধ্যে পুষে না রেখে, ক্ষমা করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। ক্ষমা একটি শক্তিশালী হাতিয়ার। আপনি যদি রাগ বা অন্যান্য নেতিবাচক অনুভূতিগুলোকে নিজের মধ্যে লালন করতে থাকেন তবে নিজের ভেতরের তিক্ততা আপনাকে আরও গ্রাস করবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




এ বছর পশ্চিমবঙ্গের ছবিতে দেখা যাবে তিশাকে

গত বছর শোনা গিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের ছবি দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক হবে ছোটপর্দার অভিনেত্রী তানজিন তিশা। তবে বিষয়টি নিয়ে এতদিন কথা বলেননি তিনি। এর মধ্যে কয়েকবার কলকাতায় গিয়েছিলেন, সেই খবরে আরও শোরগোল বেঁধেছিল।

এবার টালিউডের সিনেমায় দেখা যাবে তাকে। সংবাদমাধ্যমকে এ খবর তিশা নিজেই নিশ্চিত করেছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কয়েক বছর ধরেই আমি টালিগঞ্জের বিভিন্ন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও নির্মাতার কাছ থেকে প্রস্তাব পাচ্ছিলাম। তবে ব্যাটে-বলে মেলেনি। কখনো শিডিউল নিয়ে জটিলতা হয়েছে, আবার কখনো গল্প বা নির্মাতা পছন্দ হয়নি। তবে এবার সবকিছু চূড়ান্ত হয়েছে। আমিও ‘হ্যাঁ’ করেছি। নির্মাতা কে, আমার সঙ্গে কে অভিনয় করবেন, সেটা এখনই বলছি না। এটুকু বলতে পারি, এ বছরই পশ্চিমবঙ্গের ছবিতে আমাকে দেখতে পাবেন দর্শক।

কয়েক বছর ধরেই শোনা যাচ্ছিল কলকাতার সিনেমায় যুক্ত হচ্ছেন তিশা। বেশ কয়েকবার কলকাতায় যাওয়া আসায় এ গুঞ্জন ছড়িয়েছিল। তবে এতে তার অনুরাগীরা বেশ খুশি হয়েছিলেন। তিশার স্বীকারোক্তি যেন তা আরও বাড়িয়ে দিল।

এদিকে মুক্তির অপেক্ষায় আছে তিশা অভিনীত নাটক ‘বাবা তুমি কোথায়?’ এতে তিশার বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান। নাটকটি নিয়ে খুব আশাবাদী তিনি।

সূত্র: যুগান্তর




সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও আওয়ামীলীগ নেতা আসলাম শিহির আর নেই

মেহেরপুরের কৃতী সন্তান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপস্থাপক আসলাম শিহির আর নেই (ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

আজ মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১ টার দিকে ঢাকা ভাড়া বাসায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি সদর উপজেলা আমঝুপি গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত আজাহার বিশ্বাসের ছেলে।

দুরারোগ্য থাইরয়েড ব্যাধিতে ভুগছিলেন দেশের বিশিষ্ট আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যাভিনেতা, টিভি ও রেডিওর উপস্থাপক আসলাম শিহির।

থাইরয়েড গ্রন্থি ফুলে গিয়ে তীব্র ব্যথা হলে গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুর দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)-তে ভর্তি হন আসলাম শিহির। সেখানে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে চিকিৎসকরা তার অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেন। দুর্ভাগ্যবশত অপারেশন সফল হয়নি।

উল্লেখ্য, তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক উপকমিটির সদস্য। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় সদস্য ছিলেন। পরে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দুবার সাংস্কৃতিক সম্পাদক হন।

এর আগে আসলাম হোসেন শিহির মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

ব্যক্তি জীবনে তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছেলে-মেয়ে দুজনেই স্কুলে পড়ছে।




মেহেরপুরে সৌখিন প্রজাতির বিদেশী পাখি পালনে কর্মসংস্থান

সৌখিন প্রজাতির বিদেশী পাখি পালন শিক্ষিত বেকার যুবক ও স্কুল কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে মেহেরপুরে। সখ পুরুনের পাশাপাশি বিশেষ করে শিক্ষার্থী ও বেকার যুবকদের আয়ের অন্যতম উৎস এখন বিদেশী সৌখিন প্রজাতির পখি পালন। ইতোমধ্যে জেলার কয়েক হাজার যুবক বিদেশী প্রজাতির সৌখিন পাখি বিক্রি করে বাড়তি আয়ের সুযোগ পাচ্ছেন। অনেকেই আবার পাখি পালন সম্পর্কে পরামর্শ নিচ্ছেন উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে। প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর বলছেন সৌখিন প্রজাতির পাখি পালন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম। এব্যাপারে আগ্রহীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। আর বন বিভাগ অধিদপ্তর বলছেন, পাখি পালন করতে হলে সরকারি বিধি মোতাবেক করতে হবে।

মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার নওযাপাড়া গ্রামের যুবক পালু মিয়া সখ করে বছর পাঁচেক আগে কয়েক প্রজাতির সৌখিন পাখি কিনে বাড়িতে পালন শুরু করেন। কয়েকমাস পর ওই পাখি গুলো ডিম পেড়ে বাচচা ফুটায়্। এভাবে পর্যায়ক্রমে বংশবৃদ্ধি করতে থাকে। এখন তিনি বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন একটি সৌখিন পাখির পারিবারিক খামার। খামারে রয়েছে লাভবার্ড, ককোটেলবার্ড, বাজেরিকা, প্রিন্স বার্ড, ডায়মন্ড ঘুঘু, অস্ট্রেলিয়া ঘুঘুসহ মোট ১৫ প্রজাতির পাখি। এলাকায় বিভিন্ন মানুষের কাছে পাখি বিক্রি করে বছরে আয় করেন লক্ষাধিক টাকা।

পাখি পালনকারি পালু মিয়া বলেন, আমি প্রথমে সখ করে পাখি পালন শুরু করি। এলাকায় সৌখিন পাখির ব্যপাপক চাহিদা থাকায় আমি অনেক পাখি বিক্রি করি। এতে প্রতি বছর খরচ বাদি দিয়ে লক্ষাধিক টাকা আয় করি। যা আমার সংসাওে এটি একটি বাড়ি আয়। আমার কাছে অনেক শিক্ষার্থীরা পাখি কিনতে আসে। আমি তাদের পাখির পরিবেশ ও খাবার সরবরাহ বিষয়ে পরামর্শ দিই। হাঁস মুরগি পালনের পাশাপাশি সৌখিন প্রজাতির পাখি পালনও হতে পারে আয়ের একটি অন্যতম মাধ্যম।

সৌখিন খামারি মেহেরপুরের পাভেল মাহমুদ বলেন, ককাটেল জাতের পাখির অনেক দাম এবং চাহিদা অনেক বেশি। এক জোড়া ককাটেল পাখির দাম ৪০০০ থেকে ৫০০০ টাকায় বিক্রি হয়॥ এবং বাজরকা জাতের পাখি বিক্রি হয় ৫০০ টাকা জোড়া তবে মজার বিষয় হলো এ প্রজাতির পাখি বছরে চারবার ডিম দেয়। প্রতিবারে ৫ থেকে ৮টি করে বাচ্চা দেয়। যার বানজ্যিক খামার করতে পারলে মোটা টাকা আয় করা সম্ভব।

কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাহারবাটি গ্রামের সুমন আহমেদ বলেন, আমার এক বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে দেখেছিলাম বাড়ির ছাদে বিদেশী পাখি পালন করেছে। আমারও সখ হয়। বন্ধুর পরামর্শে আমিও পাখি পালন করি। এখন আমার বাড়িতে প্রায় ১০ প্রজাতির পাখি আছে। পাখির কিচিরমিচির ডাকে সকালে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। অনেকেই আমার পাখি দেখেতে আসে। কয়েক প্রজাতির পাখি বছরে তিন বার ডিম দেয়। আমি প্রতিমাসে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকার পাখি বিক্রি করি। এতে আমার পড়ালেখার খরচ পরিবারের কাছ থেকে নিতে হয়না। উপরন্ত আমি অনেক সময় পরিবারে আর্থিক ভাবে সহায়তা করতে পারছি।

সৌখিন পাখির বানিজ্যিক খামারি আকবর আলি জানান, স্বল্প জায়গা আর অল্প টাকায় সৌখিন পাখির খামার করা যায়। বাড়িতে যেভাবে হাঁস,মুরগিপালন করে,পাশাপাশি সৌখিন পাখি পালন করেও অনেকেই সংসারে বাড়তি আয় করছে। আমার খামার থেকে বিশেষ করে যবক ও স্কুল শিক্ষার্থীরা বেশি পাখি কিনে অনেকেই এখন সাবলম্বী।

গাংনীর জিয়ারুল ইসলাম বলেন, কয়েকজন প্রতিবেশি বাড়ির উঠান কিংবা ছাদের ওপর বিদেশি পাখি পালন দেথে আমি উদ্বুদ্ধ হই। তিন বছর যাবত আমি পাখি পালন করছি। এসকল পাখি আমার বাড়ির সৌন্দর্য বৃদ্ধি করছে অন্য দিকে আর্থিক ভাবেও সহায়তা পাচ্ছি।

মেহেরপুর বার্ড ক্লাবের সদস্য মাজেদুল হক বলেন, সৌখিন প্রজাতির পাখি পালন করে অনেক যুবক তাদের বেকারত্বের হতাশা দুর করছেন। অনেক শিক্ষার্থী পড়া লেখার খরচ যোগাচ্ছেন। তবে পাখি পালনের যে বিধি রয়েছে তা মেনে পাখি পালন করতে হবে। এজন্য তিনি এসকল উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ্এবং বন বিভাগ থেকে লাইসেন্স নিয়ে পাখি পালনের পরামর্শ দেন তিনি।

মেহেরপুর জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা বলেন, সৌখিন প্রজাতির পাখি পালন বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের অন্যতম মাধ্যম। এব্যাপারে আগ্রহীদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

জেলা বন বিভাগ কর্মকর্তা হামিম হায়দার বলেন, পাখি পালন করতে হলে সরকারি বিধি মোতাবেক করতে হবে। খামারীদের অবশ্যই লাইন্সে নিতে হবে। এবং খেয়াল রাখতে হবে বিদেশী সৌখিন পাখির সাথে কোন ক্রমেই দেশীয় পাখি পালন বা ক্রয় বিক্রয় করা যাবেনা। আমরা সৌখিন পাখি পালনকারিদের তালিকা করে লাইসেন্স করার জন্য ইতোমধ্যে তাগিদ দিচ্ছি।




পাওনা টাকা চাওয়ায় গরম দুধে ঝলসে দিলো চা দোকানীকে

চা পানের পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকানের গরম দুধ ঢেলে দিয়ে শরীর ঝলসে দিয়েছে বাবু হোসেন নামের এক চা দোকানীর।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকালে মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। বাবু হোসেন শহরের মল্লিকপাড়া এলাকার তাহের উদ্দিনের ছেলে।

ঝলসানো বাবু হোসেনকে উদ্ধার করে মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় বাবু হোসেন বাদি হয়ে মেহেরপুর সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, বাস স্ট্যান্ড পাড়া এলাকার নাড়ুর ছেলে সানোয়ারুল হোসেন বিভিন্ন সময় বাবু হোসেনের দোকানে বাকিতে চা পান করেন।

গতকাল রবিবার বাবু হোসেন অভিযুক্ত সানোয়ারুল হোসেনের কাছে তার পাওনা টাকা পরিশোধ করতে বলেন। আজ সোমবার সন্ধ্যার দিকে পুনরায় সানোয়ারুল হোসেনেক পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন সানোয়ারুল হোসেন। সানোয়ারুল হোসেন তার ভাই খোকনকে ডেকে নেন। শুরু হয় তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা। এক পর্যায়ে সানোয়ারুল হোসেন ও তার ভাই খোকন মিলে চা দোকানী বাবু হোসেনের দোকানের চুলাতে রাখা গরম দুধ তার গায়ে ঢেলে দেন। এতে চা দোকানী বাবু হোসেনের শরীর ঝলসে যায়।

স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেন। ঘটনার পরপরই সানোয়ারুল হোসেন ও তার ভাই খোকন পালিয়ে যায়।




ঝিনাইদহে শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারী) বিকেলে সদর উপজেলা অফিসে শিক্ষক কর্মচারী কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়নের সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে এসভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ক্লাবের জেলা ব্যবস্থাপক আনিসুর রহমান, সহসভাপতি আমির হোসেন, সেক্রেটারি কে এম সালেহ, কোষাধ্যক্ষ অতিন্দ্র নাথ, পরিচালক কামরুল ইসলাম ও রাইজুল ইসলাম প্রমূখ।

সভাটি পরিচালনা করেন উপজেলা ম্যানেজার হারুনুর রশীদ। সর্বিক সহযোগিতায় ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার আজম খান ও জুয়েল রানা। সভায় মাসিক ঋনদান ও সদস্য অন্তরভুক্তিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।




শৈলকুপায় ৩৬ বছরের পুরাতন সরকারি গাছ কেটে নিলো মফিজ চেয়ারম্যান

ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ১২ নং নিত্যান্দপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মফিজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে সরকারি রাস্তার ৬টি রেন্টি কড়াই গাছ নিজের মালিকানা দাবি করে কেটে বিক্রির করার অভিযোগ উঠেছে। কোন প্রকার টেন্ডার ছাড়াই ক্ষমতার দাপটে এসব গাছ কেটে বিক্রি করে দিয়েছে চেয়ারম্যন। গাছ গুলোর আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা।

আজ সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় বকশিপুর বাজার সংলগ্ন ১৬৭ নং ভান্ডারিপাড়া মৌজার ৩৫ শতক জমির পাশের রাস্তার গাছগুলো কেটে ফেলে রাখেছে। এছাড়া গাছের অবশিষ্ট খড়ি ইট ভাঁটা ও তামাকের জ্বালানি হিসাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়ছে। আর মাঝারি সাইজের লগ গুলো পশের করাত কলে ফেলে রাখা হয়েছে ফাঁড়াই করার জন্য। স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ার কারণে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সরাসরি কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না।

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু’একজন এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, গাছ গুলোর আনুমানিক বয়স প্রায় ৩৬ বছর। সরকারি রাস্তা হওয়ার সময় গাছগুলো লাগিয়ে ছিলো একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এখন কিভাবে গাছ গুলো চেয়ারম্যানের হয় তা তাদের জানা নেই। তাঁরা বলেন বাগুটিয়া এমপির মোড় হতে হাটফাজিলপুর বাজার পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে এরকম শতশত কড়াই গাছ আছে তাহলে সেগুলো কি কারো মালিকানা গাছ ?

সরকারি রাস্তার গাছ কাঁটার বিষয়ে শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, মফিজ চেয়ারম্যান বকশিপুর বাজারের কিছু গাছ কাটা দরকার বলে তাকে মৌখিক ভাবে জানিয়েছেন তবে কোন কাগজপত্র দেয়নি মোবাইলে দেয়ার কথা বলেছে। তিনি আরও বলেন আমি সরজমিনে বিষয়টি দেখে আপনাদের জানাবো।

গাছ কাঁটার অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিত্যন্দপুর ইউনিয়নের উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মতিয়ার রহমান কে পাঠান। গাছ কাঁটার বিষয়ে নায়েব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি সেখানে গিয়ে দেখি তাদের কাছে শুধু মাত্র একটা জেলা পরিষদের দরখাস্তের কাগজ আছে এতে প্রমাণিত হয় না গাছগুলো তাদের। আমি গাছ গুলো জব্দ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।

সরকারি গাছ কাঁটার বিষয়ে মফিজ চেয়ারম্যানের কাছে জানতে চাইলে সে জানান,আমার জমি রাস্তার মধ্যে ৫ শতক ঢুকে গেছে। আমি আরো সরকারের কাছে জমি পাবো, গাছ আমার জমির সীমানায় পড়েছে বলে কেটেছি ওই জমিতে মার্কেট করব।

জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার দেখে গেছে এখন আবার ইউএনও ঝামেলা করছে যা হবে তা পরে দেখবো। রাস্তার পাশের গাছ কাঁটার বিষয়ে জেলা পরিষদের সচিব সেলিম রেজার কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, জেলা পরিষদের সার্ভেয়ার একটা দরখাস্ত জমা দিয়েছে এবিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত দেয়া হয়নি। ইউএনও সাহেবকে নির্দেশ দিয়েছি গাছগুলো বর্তমান জব্দ তালিকায় আছে। গাছ গুলো কোন সমিতির মাধ্যমে লাগানো হতে পারে তদন্ত করে সঠিক আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।




আলমডাঙ্গায় জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রয়; দু’জনকে জরিমানা

আলমডাঙ্গায় ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির দায়ে ২ জনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার কেদারনগর মাঠে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভূমির নেতৃত্বে এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার বেলগাছি ইউনিয়নের কেদারনগর গ্রামে মাঠে অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিত্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা নাহিদ বিকেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় মাটি বিক্রি ও বহন করার দায়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিযন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৮৯ (২)ধারায় মাটি বয়ে নিয়ে যাওয়া গাড়ির চালক শিশির ও সাকিবকে ১৫ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা কালে সহযোগিতায় ছিলেন থানা পুলিশের একটি টিম।