ক্ষমতাচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে লাভ হবে না: শেখ হাসিনা

আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ হবে না বলে বিএনপিকে হুঁশিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, জনগণের কাছে ভোট নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। আমাদের ওই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

আজ শনিবার বঙ্গবন্ধু টানেল উদ্বোধনের পর আনোয়ারায় কোরিয়ান ইপিজেড (কেইপিজেড) মাঠে এক জনসভায় এ কথা বলেন তিনি। নৌকা যখনই সরকারে এসেছে, দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করেছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার বেলা ১১ টা ৪০ মিনিটে নগরের পতেঙ্গা প্রান্তে সুইচ টিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ফলক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। টানেলের প্রবেশমুখের ডান পাশে এই নামফলক স্থাপন করা হয়। একই ধরনের নামফলক স্থাপন করা হয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার টানেলের টোল প্লাজা এলাকায়।

আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমরা দেশকে গড়ে তুলছি। আমি আপনাদের কাছে একটা উপহার নিয়ে এসেছি। নদীর তল দিয়ে গাড়ি চলে। ঘুটঘুট করে বাড়ি চলে যাবেন। এ প্রকল্পে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যারা জড়িত ছিলেন, দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, সবাইকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আরও ১১টি প্রকল্প আপনাদের জন্য উপহার হিসেবে উদ্বোধন করে দিলাম। আজকের এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে গত নির্বাচনে আপনারা ভোট দিয়েছিলেন বলে। নৌকা যখনই সরকারে এসেছে, দেশ ও মানুষের উন্নয়ন করেছে।

তিনি বলেন, আমি তো সবই হারিয়েছি ৭৫-এর ১৫ আগস্ট। ছয় বছর দেশে আসতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। একরকম জোর করেই দেশে ফেরা। আসার পর থেকে বাংলাদেশে মানুষের জন্য কাজ করছি। চাই, কীভাবে দেশের মানুষকে ভালো রাখা যায়। এ চট্টগ্রামের কত নেতা ছিলেন, যারা জীবন দিয়ে সংগ্রাম করেছেন।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি টানেলের খননকাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্মাণকাজ শুরুর প্রায় সাড়ে চার বছর পর টানেলের উদ্বোধন করা হলো।




জনগণ সব সময় স্থিতিশীল রাজনীতির পক্ষে

একটা অ্যাম্বুল্যান্স গুরুতর অসুস্থ একজন মানুষকে নিয়ে ছুটে চলছে। জীবন-মরণের ব্যারোমিটার উঠছে আর নামছে। তবু বেঁচে থাকার লড়াইটা নিজের মতো করেই চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ঠিক নিজের জন্য এই বেঁচে থাকা নয়, সংসারের জন্য বেঁচে থাকার চেষ্টা, দায়িত্বের মতো কঠিন ভার বহন করার জন্য মরণপণ যুদ্ধ।

মানুষ কখনো কখনো নিজের জন্য বাঁচে না, সংসারের প্রিয় মুখগুলোর জন্য বাঁচে। সেই বাঁচার আকুতি কতটুকু আমাদের কানে পৌঁছে। সব যে এখন স্বার্থের প্রাচীরে বন্দি। সত্য বলতে গেলেই মিথ্যারা দাঁড়িয়ে যায়।

মানবিক চিন্তা হারিয়ে যায় কারো কারো স্বার্থপর চিন্তায়। সেই মানুষের কথাই ভাবছি, যে মানুষ একটা সংসারের বোঝা টানছে। টানাপড়েনের সংসার, তার পরও ছেলেমেয়ে, বউ-মা-বাবা, ভাই।

ভাবনাটা কাল্পনিক কিংবা বাস্তব দুই-ই হতে পারে। তবে ভাবনাটা তখনই থেমে যায়, যখন ক্ষমতার লোভ মানুষের জীবনের চেয়ে নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে। দেশ ও মানুষের স্বার্থের চেয়ে যেখানে ক্ষমতার লড়াইটা বেশি প্রাধান্য পায়। অ্যাম্বুল্যান্সটা থেমে গেছে, রাস্তাজুড়ে মিটিং-মিছিল, রাজনীতির বড় বড় নেতার বড় বড় বুলি আওড়ানোর প্রতিযোগিতা চলছে। অথচ উত্তাল নগরীর নিষ্প্রাণ নেতারা মানুষের বড় বড় অধিকারের সত্য-মিথ্যা কথা বললেও অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে একজন মানুষের মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকার লড়াইটা দেখতে পাচ্ছেন না।

রাজপথ বন্ধ করে রাজনীতি করলে রাজনীতিবিদদের হয়তো লাভ আছে, কিন্তু অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে যে মানুষটা আছে, তার হারানোর আছে অনেক কিছুই। যদি মানুষটা মারা যায়, পুরো সংসারই তার তলিয়ে যাবে অনিশ্চয়তার অতলে। কিন্তু কে শুনবে কার কথা, কে বুঝবে সাধারণ মানুষের কথা? সাধারণ মানুষ সারা জীবন রাজনীতির গিনিপিগে পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কেউ নেই। কিন্তু মানুষকে ব্যবহার করার মাধ্যমে পুরনো দাস প্রথা ফিরিয়ে আনার এক ধরনের চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। রাজপথে মিটিং, মিছিল, অবরোধ, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করে রাজনীতিবিদরা নিজেদের রাজা ভাবেন, সাধারণ মানুষকে প্রজা ভাবেন। রাজনীতিবিদদের সমস্যা এখানেই, তাঁরা মানুষের মন বুঝতে পারছেন না। আধুনিক যুগে এমন রাজনীতি যে অচল তার শিক্ষাও তাঁরা নিচ্ছেন না। এর ফলে রাজনীতি ক্রমাগত অসুস্থ হচ্ছে, প্রকৃত স্বকীয়তা হারাচ্ছে।

ভাবছি দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের কথা। রাজপথে মিটিং-মিছিলের নাম করে রাজপথ দখলে রাজনীতিবিদদের নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়িত হলেও দিন এনে দিন খাওয়া মানুষের জীবনের লড়াইটা থেমে যায়। তাদের অসহায় মুখগুলোর দিকে কারো কি তাকানোর সময় আছে? উত্তর একটাই, সময় নেই। রাজনীতি যে এখন মানুষের জন্য নয়, রাজনীতি এখন মানুষকে রাজপথে অবরোধ করে রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার একটা কৌশল মাত্র। রাস্তাঘাট বন্ধ করে রাজনীতি করার মাধ্যমে নিজেদের সফল দেখানোর চেষ্টা কোনো রাজনীতি নয়, বরং মানুষকে জিম্মি করে মানুষের প্রতিদিনের জীবনযাত্রা অচল করে দেওয়ার নেতিবাচক প্রয়াস। রাস্তাঘাট বন্ধ করে হয়তো নিজেদের মিথ্যা অহংকারের লোক-দেখানো প্রতিফলন ঘটানো যায়, কিন্তু মানুষের অন্তরে প্রবেশ করা যায় না। মানুষের অন্তরে প্রবেশ করতে গেলে মানুষের জন্য কাজ করতে হয়, মানুষের অনুভূতি বুঝতে হয়, ত্যাগের রাজনীতির মাধ্যমে মানুষের ভেতরে নিজেদের জায়গা করে নিতে হয়। কিন্তু সব যেন মরীচিকা, মিথ্যার বেসাতি।

সাধারণ মানুষ এখন স্থিতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী। স্বাধীনতার মূল লক্ষ্য সামনে রেখে বঙ্গবন্ধু যে স্থিতিশীল রাজনৈতিক ব্যবস্থার কথা ভেবেছিলেন এবং তা বাস্তবায়নে কাজ করেছিলেন, দুঃখের বিষয় হলো, সেই স্থিতিশীল রাজনীতির কথা স্বাধীনতার ৫২ বছর পরেও আমাদের বলতে হচ্ছে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন আমরা দেখছি, তখনই তা বাস্তবায়িত হবে, যখন রাষ্ট্র একটি স্থিতিশীল কাঠামোর ওপর শক্ত হয়ে দাঁড়াতে পারবে।

রাজপথে অস্থিরতা সৃষ্টি করে শিক্ষা, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ রাষ্ট্রের স্বার্থসংশ্লিষ্ট কার্যক্রমগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করার কৌশলে সাধারণ মানুষ বিশ্বাসী নয়। আমরা মাঝেমধ্যে যেকোনো বিষয়ে উন্নত রাষ্ট্রগুলোর রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে উদাহরণ হিসেবে টেনে আনি। তাদের রাজনীতিবিদদের জনসম্পৃক্ত কাজগুলো দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করি। তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম কখনোই আমাদের দেশের মতো সাধারণ মানুষকে অবরোধ করে হয় না সেটাও আমরা উল্লেখ করি। কিন্তু তার কতটুকু প্রতিফলন আমাদের রাজনীতিবিদরা দেখাতে পারেন, সেটা হয়তো প্রশ্নবিদ্ধ। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে সরকারের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিরোধী দলগুলো ছায়া সরকার গঠন করে। সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রমকে তারা প্রশংসিত করে, সরকার কোনো কাজে ভুল করলে সেটি কিভাবে করা গেলে ভালো হতো তার পথ বাতলে দেয়। অথচ আমাদের দেশে ঠিক এর উল্টোটি ঘটে। সরকার যতই ভালো কাজ করুক না কেন, সেগুলোকে কতটা ছোট করে দেখানো যায় তেমন এক ধরনের ভারসাম্যহীন প্রতিযোগিতা চলে। এর সঙ্গে গুজব, মিথ্যাচার, অপপ্রচারের মতো নেতিবাচক বিষয়গুলোও থাকে।

সরকারের ভালো কাজে সমর্থন এবং যে কাজগুলো সঠিকভাবে হচ্ছে না তার গঠনমূলক সমালোচনা করার মতো মানসিকতা রাজনীতিবিদদের মধ্যে থাকতে হবে। রাজনীতি হতে হবে কল্যাণমুখী ও জনবান্ধব। জ্বালাও-পোড়াও-সন্ত্রাস এ বিষয়গুলো সাধারণ মানুষ কখনো ভালো চোখে দেখে না—এ বিষয়গুলো রাজনীতিবিদদের বুঝতে হবে। রাজপথ বন্ধ করে নয়, বরং রাজপথ উন্মুক্ত রেখেই রাজনীতিবিদদের গঠনমূলক রাজনীতি করতে হবে। এ বিষয়ে রাজনীতিবিদদের সর্বোচ্চ সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে। রাজনীতি রাজনীতিবিদদের হাতেই থাকতে হবে, নিজেদের ভুলের কারণে রাজনীতি যাতে গণতান্ত্রিক ধারা থেকে বিচ্যুত হতে না পারে সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, কভিডের মতো মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ফিলিস্তিন-ইসরাইলের অস্থিরতা সারা পৃথিবীতে যে অর্থনৈতিক দৈন্যদশা নিয়ে এসেছে তার প্রভাব আমাদের দেশেও এসে পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকার সেটি কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। রাষ্ট্রের বহুমুখী উন্নয়নের কার্যক্রমও অব্যাহত রেখেছে। রাজনীতিবিদদের এ বিষয়গুলো ভেবে দেখতে হবে। দেশের স্বার্থে জনগণের দুর্ভোগ হয় এমন কার্যক্রম থেকে নিজেদের বিরত রেখে গঠনমূলক ও বাস্তবমুখী রাজনীতির ধারণা দ্বারা নিজেদের প্রভাবিত করতে হবে। অন্যদিকে দুর্নীতি, অর্থপাচার রোধ ও সামাজিক সুরক্ষার মতো বিষয়গুলো সরকারকে বিবেচনায় আনতে হবে। মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্রের স্বার্থের চেয়ে আর কোনো কিছুই বড় নয়।

কেউ কেউ রাজনীতির নামে অপরাজনীতির চর্চা করে যাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য মানুষের কল্যাণ নয়, বরং গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করা | নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব, কিন্তু সেটি তাদের কর্মকান্ডে ফুটে উঠছেনা, তারা সংবিধান অনুসরণ করে নির্বাচনে যেতে ভয় পান, সংলাপে বসার আগেই শর্ত জুড়ে দেন, একটার পর একটা আল্টিমেটাম দিয়ে গণতান্ত্রিক ধারার বিপরীতে অবস্থান নেন |

এসব দেখে মনে হচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য নির্বাচন নয়, বরং উন্নয়নের যে ধারা বজায় রয়েছে তাকে রুদ্ধ করে দেওয়া | দেশের জনগণ এখন এগুলো খুব ভালো করেই বুঝে, এতে করে সভা-সমাবেশ করেও সেখানে তারা সাধারণ মানুষদের সম্পৃক্ত করতে পারছেনা | বরং তাদের এ ধরণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যবিহীন আন্দোলনে সাধারণ মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে | না আছে তাদের যোগ্য নেতৃত্ব, না আছে দেশের প্রতি তাদের মায়া, ক্ষমতায় যেন তাদের কাছে মুখ্য বিষয় | এদের সাথে যারা রাজনীতিতে একসময় যুক্ত ছিলেন, তারাও ভুল বুঝতে পেরে বেরিয়ে আসছেন, কর্মীরাও বুঝতে পারছেন, এতদিন যাদের পিছনে তারা ছিলেন, তারা দেশের চেয়ে নিজেদের স্বার্থকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে |

স্থিতিশীলতার মাধ্যমে উন্নয়নের দর্শন মানুষকে এখন আরও বাস্তবমুখী ও জীবননির্ভর করে তুলেছে, এতে করে এদের লোভ, ঈর্ষা, ধ্বংস ও ক্ষমতার রাজনীতি ক্রমশ: জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে | মানুষ তাদের অতীত দেখেছে, অতীতে তারা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটালেও জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটাননি | বরং সাধারণ মানুষ তাদের অত্যাচার, শোষণ ও নিপীড়ণের সম্মুখীন হয়েছে | দেশের প্রতি তাদের মায়া-মমতার প্রতিফলন তারা ঘটাননি, বরং দেশকে কিভাবে পরনির্ভরশীল রেখে স্বাধীনতার চেতনাকে নির্মূল করা যায়, সেটি তারা করেছে | তাদের কাছে জনগণের চাওয়া-পাওয়ার আর কিছু নেই, বরং তারা জনগণের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে | এসবের জন্য তারাই দায়ী, তাদের রাজনীতির আদর্শ নেই, দর্শন নেই, বরং রাজনীতির মুখোশ পরে মানুষকে খেয়ে ফেলায় যেন তাদের মূল লক্ষ্য | জনগণ এসব চায়না, তারা এদের থেকে সব সময় দূরেই থাকতে চায়, আদর্শ ও দর্শনের রাজনীতিকে শক্তি করে দেশের ক্রমাগত উন্নয়নের ধারায় নিজেদের অংশীদার হিসাবে দেখতে চায় | কারণ দেশ স্থিতিশীল থাকলে, মানুষ এগিয়ে যাবে, অর্থনীতি এগিয়ে যাবে, উৎপাদনের চাকা ঘুরবে |

লেখক: শিক্ষাবিদ, কলামিস্ট ও লেখক। অধ্যাপক ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।




মহাসমাবেশে সংঘর্ষ; পুলিশ সদস্য নিহত

বিএনপি, আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষে আহত এক পুলিশ সদস্য ঢামেকে মারা গেছেন। এখনো তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক পুলিশ বক্সের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া।

তিনি জানান, ফকিরাপুল এলাকা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে ঢামেকে আনা হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, সকাল ১১টার পর থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আনুমানিক ৩৫ থেকে ৪০ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

অনেককে চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, হাতে, পায়ে, মাথায়সহ শরীরে বিভিন্ন স্থানে ফুলা নীল, ছিলা জখম, কাটা জখম, গুলিসহ বিভিন্ন ধরনের আঘাতে আহত হয়েছেন। বিকেলের দিকে রোগীর চাপ বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় একসঙ্গে বেশি রোগী আসায় আমাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

সূত্র: কালের কন্ঠ




প্রকাশ পেলো শাকিব-সোনালের ‘দরদ’ লুক

ভারতের বেনারসে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমা ‘দরদ’-এর শুটিং করেছেন। অনন্য মামুন পরিচালিত এ সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে নায়িকা হিসেবে আছেন বলিউড অভিনেত্রী সোনাল চৌহান। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) প্রকাশ পেলো ‘দরদ’ সিনেমার শুটিং এর শাকিব-সোনালের প্রথম লুক।

সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, শাকিব খানের সঙ্গে শুটিংয়ে অংশ নেন সিনেমার বলিউড নায়িকা সোনাল চৌহান। তাদের নিয়ে দৃশ্যধারণের একটি ছবি সামাজিকমাধ্যমে ফেসবুকের স্টোরিতে শেয়ার করেন সিনেমার নির্মাতা অনন্য মামুন।

ছবিতে দেখা যাচ্ছে এলোমেলো চুল আর খোঁচা দাঁড়িতে বরাবরের মতো লুকেই ধরা দিয়েছেন শাকিব খান। পরে আছেন ধূসর নীল গেঞ্জির ওপর চেক শার্ট। তার অপলক চাহনি যার দিকে, তিনি সোনাল চৌহান; পরনে গোলাপি শাড়ি-ব্লাউজ।

এরপরেই স্টোরির ছবিটি সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পরে। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে শেয়ার করছেন শাকিব ভক্তরা। পাশাপাশি সিনেপ্রেমীরা নিজেদের ওয়ালে শেয়ার করেও শুভ কামনাও জানাচ্ছেন ‘দরদ’র জন্য।

এদিকে সিনেমার বেশ কিছু পোস্টার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন নির্মাতা। যেখানে ভাষার ভিন্নতা রয়েছে। সেই ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সিনেমাটির বাংলা নাম থাকছে ‘দরদ’ যা মায়া বা আদর বোঝনো হয়েছে। হিন্দিতে থাকছে ‘দারদ’ যা কষ্ট বা ব্যথা বোঝানো হয়েছে। তবে দুটিই আসলে মানুষের অনুভূতিকে কেন্দ্র করে।

নির্মাতা বলেন, এটি সাইকো-থ্রিলার সিনেমা। যেখানে অনেক গুলো ভিন্ন লুকে শাকিব খানকে দেখা যাবে। এটাতে থাকেব নতুন কিছু অ্যাকশন। সিনেমাটি ভারতের অনেকগুলো ভাষায় নির্মিত হচ্ছে। তাই একটু ভিন্নতা আছে।

শাকিব খানের প্যান ইন্ডিয়ান সিনেমাটি নিয়ে এর আগে অনেক জল্পনা ছিল। অবশেষে বুধবার (২৪ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের একটি হোটেলে ‘দরদ’র সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শাকিব খান। তার সঙ্গে দেখা যায় সোনাল চৌহানকে। যিনি ইমরান হাশমির বিপরীতে ‘জান্নাত’ সিনেমার মাধ্যমে অধিক পরিচিতি লাভ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ‘দরদ’ বাংলাসহ হিন্দি, তামিল, তেলেগু, মালায়লাম, কর্নাটক এই ছয় ভাষায় ৩০টির বেশি দেশে মুক্তি পাবে।

‘দরদ’ সিনেমাটি যৌথভাবে প্রযোজনা করছে ভারতের এসকে মুভিজ, ওয়ান ওয়ার্ল্ড মুভিজ, বাংলাদেশের অ্যাকশন কাট এন্টারটেইনমেন্ট ও কিবরিয়া ফিল্মস। এতে শাকিব ছাড়াও শহীদুজ্জামান সেলিম, পায়েল সরকার, রাজেশ শর্মা, মিশা সওদাগর, এলিনা শাম্মী, জেসিয়া ইসলাম, ভারতের রাহুল দেবের অভিনয়ের কথা রয়েছে।




রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল

সমাবেশে পুলিশি হামলার অভিযোগ এনে রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে বিএনপি।

আজ শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বেলা আড়াইটার দিকে বিএনপির নয়াপল্টনের সমাবেশের দুদিকে অবস্থান নেয় পুলিশ। নিক্ষেপ করা হয় বেশ কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল। এর পরপরই মির্জা ফখরুল স্টেজ থেকে বেলা ৩টা ১০ মিনিটে হরতালের ঘোষণা দেন।




মেহেরপুরে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইয়ের সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুরের গাংনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড এলাকার দম্পতি আবু জাহিদ ও জাকিউল ইলমা জাকীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তার ভাই মহিবুল ইসলাম ওহিদ।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লি‌খিত বক্তব‌্য পাঠ করেন মহিবুল ইসলাম ওহিদ। এসময় তিনি বলেন,আমি আমার মেজ ভাই মোঃ আবু জাহিদ ও তার স্ত্রী মোছাঃ জাকিউল ইলমা জাকি কর্তৃক চরম নির্যাতন এর শিকার একজন অসহায় ব্যক্তি।

আমাদের বড় ভাই সাঈদ ১৯৯৪ সালে পরিবার থেকে পৃথক হওয়ার সময় মা,তিন ভাই,তিন বোন সকলের সম্পত্তি পজিশন উল্লেখ করে ভাগবন্টন করে দেন। আমাদের এই ভাগবন্টনটি রেজিস্ট্রি ছিলোনা,সবার উপস্থিতি ও আলাপ আলোচনা করে কাগজে লেখা ছিলো।

আমার বড় ভাই এবার আমার দুইজনের ই দুইটা মেয়ে সন্তান এবং জাহিদের দুইটা ছেলে সন্তান। উদ্দেশ্যপূর্ণদিত কারণে আমাদের ভাগবন্টনটি রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে না।

জাহিদ ও জাকি মায়ের ঘরে ঢুকে বিভিন্ন মিথ্যা প্রলোভন কথা শোনাতো।যেমন ওহিদের দুটি মেয়ে,জমি জায়গার দরকার নেই,তারা পরের ঘরে চলে যাবে,আমার দুটি ছেলে তোমার বংশের বাতি জ্বালাবে,কবর দেবে ইত্যাদি নানান ভুলানো কথা শুনিয়ে মায়ের বসতঘরসহ জমিটি (প্রায় এক কোটি টাকা মূল্যের) কুটকৌশলে ১৯/০২/২০২১ রেজিস্ট্রি করে নিয়েছে‌‌।

এখন জাহিদ গাংনীর জমির রাস্তার সামনের সব পজিশন জোর পূর্বক নিতে চাই, সেই কারনে আমার ১৯৯৪ সাল থেকে বসবাস করা এবং আমার অফিস ঘর থেকে কম্পিউটার, চেয়ার টেবিল ভাংচুর করে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দেই এর পরে আমাদের গ্রামের একটি পুকুর জোর পূর্বক এক মাস্তানকে কমমূল্যে লীজ দিয়ে জবরদখল করে। এখন আমার বাগান ও অন্যান্য দামী সম্পদ গুলোর উপর নজর পড়েছে।

একদিন হঠাৎ আমার স্ত্রীকে আমার রান্নাঘরে গিয়ে জাকি ও জাহিদ রঙ নিয়ে এলোপাতাড়ি মেরেছে ভয় সৃষ্টি করে রাখার জন্য। তখন আমি গাংনী থানাতে মামলা করলে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলীর নিকট মায়ের বিশেষ অনুরোধে, রাত্রিতে মেয়র বাসা থেকে ডেকে নিয়ে জমি জায়গার হিসাব বুঝিয়ে দিবেন বলে মামলা উঠানোর অনুরোধ করেন।
ঐদিন রাত্রিতে গাংনী থানা হাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে,আর মেয়র মহোদয়ের কথা রাখেনি। এ বিষয়ে জাকি ও জাহিদের প্রতি মেয়র চরম ক্ষিপ্ত। জমি বন্টন রেজিষ্ট্রি না করার কারনে সে আমার একের পর এক দামি সম্পদ গুলো জবরদখল করার জন্য প্রকাশ্যে আমাকে ও আমার পরিবারকে খুন করার হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে থানায় জিডি (নং-১০৮৬,তারিখ ২২/০৫/২০২৩) করলে থানা কঠোর সতর্কবার্তা দেওয়ার পরেও সর্বশেষ গত ২১ শে আগষ্ট ২০২৩ তারিখ সকাল ৭.৩০ ঘটিকার সময় আমার ছোট মেয়েকে স্কুলে পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য বাসা থেকে মোটর সাইকেল বাহির করে গেটের সামনে মেইনরোডে পৌঁছালে,পিছন থেকে জাহিদ ও জাকি প্রকাশ্যে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার রড ও কাঠের হুক দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে।
গত ২৩/০৮/২০২৩ ইং তারিখে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করি, যার নং-২৯৫/২৩। থানা অফিসার মামলা তদন্ত করে স্বাক্ষীদের জবানবন্দীসহ বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে চূড়ান্ত চার্জশীট বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছেন। মামলাটির অভিযুক্ত ধারা ৩২৩/৩২৫/৩০৭/৩৫৪/৫০৬/৪২৭/১১৪ পেনালকোড।

মামলার চার্জশীট আদালতে জমা হওয়ার পরে আসামীরা ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মাকে দিয়ে চরম মিথ্যা একটি কাউন্টার মামলা দিয়েছে, যার নম্বর সিআর-৫৬৮/২৩ তারিখঃ ১৩/০৯/২০২৩। মাকে ভুল বুঝিয়ে সব মীমাংসা হয়ে যাবে এমন কথা বলে মামলা করিয়েছে। এদিকে সিজার-৫৬৮/২৩ মামলার তদন্ত আদালত গাংনী থানাকে দিয়েছে।
আসামীরা এতই ক্ষীপ্ত যে, আমাদের মিথ্যা মামলায় জেল হাজতে নেওয়ার জন্য সে রাজনৈতিক নেতা,থানা,মাস্তান সবকিছুকে তার হাতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আমি আসামেদের হামলা মিথ্যা মামলার ভয়ে অনেকদিন নিজ বাড়িতে অবস্থান করি না। আসমিরা যখন আমাকে বাড়িতে পায় না তখন সিদ্ধান্ত নেয় আমার স্ত্রীকে মিথ্যা মামলায় থানা হাজতে নিবে। আমার স্ত্রী আমি আমঝুপি উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করেন। বিভিন্ন তথ্য থেকে আমি জানতে পারার পর ১২/১০/২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ তারিখে আমি তাকে স্কুল থেকে বাসায় না যেতে বললে সে তার বাবার বাড়িতে থেকে যায়। পরদিন মেয়েদের ছোট মামাকে নিয়ে আসার জন্য পাঠালে, তাকে সহ মেয়েদের আটকিয়ে রাখে।

পরবর্তীতে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোনে বিষয়টি জানালে,তিনি ডিউটি অফিসার এর সাহায্যে আসামীদের ডেকে ধমকিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পরেও বাড়ীতে এসে আসামীরা,আমার বন্ধু ও চাচাতো ভাইকে দিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে মেয়েদের আসতে দেয়। এখন আমার বাড়ীতে ঢুকলেই আসামীরা মেরে ফেলার হুমকী দিচ্ছে।

এরপর সিআর-৫৬৮/২৩ মিথ্যা মামলার তদন্তে গাংনী থানার এস আই হাফিজুর রহমান আমাকে ফোনে হুমকির মধ্যে রেখেছে। এই মামলার পরবর্তী আদালতে রিপোর্ট জমার তারিখ ধার্য করেছে জানুয়ারী ২৪ এর শেষ সপ্তাহে। এস আই হাফিজ আমার নিজ গ্রামে (শানঘাট) আমার দোকান ভাড়াটিয়া,পুকুর লীজ গ্রহনকারী ও জমি লীজ দিয়েছি তাদের দিয়ে ২৬/১০/ ২৩ খ্রিঃ তারিখ সকালে সাদা কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছে এবং সে কাগজ এস আই হাফিজের নিকট জমা আছে।আমি সন্দেহ করছি এবং আশংকায় আছি, আসামী জাহিদ ও জাকি আমাদেরকে হয়তো নতুন কোন মিথ্যা মামলায় জড়াতে পারে।

এদিকে আসামী জাকিউল ইলমা জাকি সরকারী চাকুরী করে প্রকাশ্যে অন্যায়ভাবে আমাকে মেইন রাস্তায় মারধর,বিভিন্ন সময়ে অফিস আসবাবপত্র, কম্পিউটার, টেবিল, ঘরের দরজা, মটর সাইকেল ভাংচুর করেছে। থানা ও আদালতে ফৌজদারী দন্ডবিধি ধারা অনুযায়ী চার্জশীট জমা হলে ২৭/০৯/২৩ খ্রিঃ তারিখে আমি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,মেহেরপুর ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার,গাংনী মহোদয়কে অভিযুক্ত আসামীদের মমলার চার্জশীট, জিডি কপি,মেডিকেল রিপোর্ট, ছবি ও বিভিন্ন তথ্য সরবরাহ করে আবেদন করলেও অভিযুক্ত শিক্ষককে এখন পর্যন্ত সাসপেন্ড কিংবা কোন রকম আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেন নাই।

এবিষয়ে মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন,বিষয়টির লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। মেহেরপুর সদর প্রাথমিক অফিসারকে তদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। তদন্তের রিপোর্ট পাওয়া পরে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

মহিবুল ইসলাম ওহিদ সহযোগিতা চেয়ে আরো বলেন,পিতার রেখে যাওয়া জমির ওয়ারিশ হিসাবে ন্যায্য হিস্যা বন্টন রেজিষ্ট্রি চাই। বিগত তিন বছর ধরে আমার ও আমার স্ত্রীর নামে তিনটি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী,অন্যায়ভাবে আমার হাতভাঙ্গাসহ জখম করেছে,আমার স্ত্রীকে মেরেছে,আমার অফিস আসবাপত্র, কম্পিউটার, মটরসাইকেল ঘরের দরজা ভেঙ্গেছে,আমার পরিবার সহ বাড়ীছাড়া করিয়েছে এর আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবী করছি। আমার ও আমার পরিবারের এবং সম্পদের নিরাপত্তা চাচ্ছি। আগামীতে আর কোন মিথ্যা মামলা ও হয়রানী করবে না।




টস হেরে বোলিংয়ে বাংলাদেশ, একাদশে দুই পরিবর্তন

বিশ্বকাপে নিজেদের ষষ্ঠ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) কলকাতার ইডেন গার্ডেন স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে বোলিংয়ে পাঠিয়েছে ডাচরা।

জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি টাইগাররা। টানা চার হারে অনেকটা পিছিয়ে আছে সাকিবরা। জয়ের ধারায় ফিরতে মুখিয়ে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে দুই পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। কাঁধের চোট কাটিয়ে একাদশে ফিরেছেন পেসার তাসকিন আহমেদ। এছাড়া নাসুম আহমেদের পরিবর্তে একাদশে জায়গা পেয়েছেন শেখ মেহেদি।

অন্যদিকে, হার দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেছিল নেদারল্যান্ডস। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বড় অঘটন ঘটায় ডাচরা। এরপর শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারে নেদারল্যান্ডস।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদি, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান।

নেদারল্যান্ডস একাদশ: বিক্রমজিত সিং, ম্যাক্স ও দাউদ, কলিন আক্রম্যান, বাস ডি লিডি, উইসলি বারসি, স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক), সাইব্রান্ড এনগেলব্রেচন্ট, রোলেফ শারিজ আহমেদ, লোগান বিক, আরিয়ান ডুট, পল ভ্যান মিকিরিন।

সূত্র: ইত্তেফাক




হোয়াটস অ্যাপে আসছে পাসকি

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহাকারীদের নিরাপত্তার জন্য কিছুদিন পর পরই নতুন ফিচার যুক্ত করছে। এবার হোয়াটসঅ্যাপে যুক্ত হচ্ছে পাসকি। অর্থাৎ এখন থেকে নাম কিংবা সংখ্যায় হোয়াটসঅ্যাপে পাসওয়ার্ড দিতে হবে না।

পাসকিগুলো ব্যবহাকারীদের জন্য প্রক্রিয়াটিকে স্ট্রিমলাইন করে, আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টগুলো আনলক করতে এবং অ্যাক্সেস পেতে শুধু আপনার মুখ, আঙুলের ছাপ বা পিন প্রয়োজন। এভাবে ব্যবহারকারীর নাম ও পাসওয়ার্ড ফিশিং আক্রমণের সুরক্ষা পায়। এমনকি পাসকি ব্যবহারকারীর মেসেজিং অ্যাপ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করার জন্য তার শারীরিক উপস্থিতি প্রয়োজন হয়।

এরই মধ্যে সংস্থাটি তার বিটা চ্যানেলে এই ফিচারটি পরীক্ষা করে চলেছে। এই পাসকিগুলি লগইন প্রক্রিয়ার স্বাচ্ছন্দ্য ও নিরাপত্তা বাড়াবে। মেটা-মালিকানাধীন পরিষেবাটি হাইলাইট করেছে এই নতুন ফিচার ধীরে ধীরে চালু করা হবে। তবে শুরুতে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরাই এই সুবিধা পাবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ চুয়াডাঙ্গার আরিফুল গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ২৫ পিচ ইয়াবা ও নগদ টাকাসহ চুয়াডাঙ্গা সদরের মাঝেরপাড়ার আরিফুল ইসলামকে (৪০) গ্রেফতার করেছে। সে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মাঝের পাড়ার আজার হোসেনের ছেলে।

জানাগেছে, গতকাল শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনা থানাধীন আকুন্দবাড়িয়া তমালতলা পাড়ার সোহেল রানা এর চায়ের দোকানের সামনে।

এ সময় দর্শনা থানার এসআই(নিঃ) নীতিশ বিশ্বাস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদকবিরোধী
অভিযান চালিয়ে আরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেহ তল্লাশি করে ২৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ৭ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করে।গতকালই তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




গাংনীতে নওপাড়া ভাটপাড়া গ্রামে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল

গাংনী উপজেলার নওয়াপাড়া ও ভাটপাড়া গ্রামে ইসরাইল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয়রা। ইসরাইলি পণ্য বর্জন ও ইসরাইলের হাতে নির্মম ভাবে শিশুসহ সাধারণ মানুষ হত্যার তিব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সাথে সারা বিশ্বের মুসলিমদের এক হয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে ইসরাইলদের ধ্বংশ করার আহবান জানানো হয়।

গতকাল শুক্রবার জুম্মার সালাত আদায়ের পর নওপাড়া বাজার থেকে একটি রেলি বের হয়ে আশপাশের বেশ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে নওপাড়া বাজারে সমাবেশ অনুস্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখন ভিটাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মওলানা মোঃ ফিরোজ হোসেন,নওপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মোঃ জাহিদ আল হাবিবি।

নওপাড়া, ভাটপাড়া গ্রাম বাসীর আয়োজনে মিছিলে নেতৃত্ব দেন রবিউল ইসলাম রুবেল ও মিরাজুল ইসলাম মিলন।