চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় গণ সমাবেশে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গায় বিশাল গণ সমাবেশ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকাল চারটায় চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলা চত্বরে এই গণ সমাবেশ করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বিশেষ দোয়া এবং জামায়াত -বিএনপির নৈরাজ্য ও নির্বাচনের বানচালের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এই বিশাল গণ সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এসময় গণসমাবেশটি সভাপতিত্ব করেন ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাওসার হোসেন বাবলু।

সমাবেশের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলোওয়াত ও গীতা থেকে পাঠ করে সমাবেশটি শুরু হয়।

এরপর গণ সমাবেশের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আজকের জনসমাবেশের মধ্যে দিয়ে বিএনপি জামায়াত যে আগামী নির্বাচনের চক্রান্ত বানচাল করতে হবে। এটাই আমাদের অঙ্গিকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত আবার শক্তিশালও করবো। তাই সবাইকে নৌকায় আবার ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন তাই সকলকে প্রস্তত করতে হবে। বিএনপি জামায়াতকে প্রতিহত করতে হবে। সবাই সবার জায়গা থেকে কাজ করতে হবে রাজপথে। বিএনপি এ দেশের মানুষের জন্য উন্নয়ন করতে পারবে না। আমরা কেউ ঘরে বসে থাকবো না। কঠোর তৎপর ও শক্তি দিয়ে বিএনপির নৈরাজ্যকে দমন করবো। নৌকা প্রতিককে শ্রদ্ধা করতে হবে। নৌকা যার আমি তার। জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ভাবে উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। এই উন্নয়ন ধারা করে যাবেন তিনি। এই জন্য সবাইকে ঐক্যবোধ্য হয়ে ভোট দিতে হবে নৌকা মার্কায়। চুয়াডাঙ্গা জেলা স্মার্ট করতে হলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন ইউরোপীয় ও আমেরিকার যে প্রতিনিধি দল দেশ এসেছে, তারা সুষ্ঠু এবং অবাধ নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরাও সুষ্ঠু-অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। বিএনপি বলছে, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে এবং এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। তারা যাদেরকে নালিশ করে ডেকে নিয়ে এসেছে তারাও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের কথাই বলেছে। তাদের কেউ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলে নাই। এমনকি তত্ত্বাবধায়ক সরকারেরও কথা বলেনি

সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নেই। দেশের প্রত্যেক নাগরিককে সংবিধান মানতে হবে। আমাদেরও সাফ কথা, সংবিধানের বাইরে আমরা এক চুলও নড়ব না। এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। আওয়ামী লীগ মাঠে ঘাটে থাকা দল। রাজপথে নৈরাজ্য করলে এবার থেকে আর প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ করা হবে।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কালিদাস পুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনউদ্দীন পারভেজ, পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা কৃষকলীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু, প্রমুখ।

গণসমাবেশের শেষ পর্বে সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত আলমডাঙ্গা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা ইমরানের পরিবারের মাঝে এক লাখ টাকা তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দিলীপ কুমার আগরওয়ালা। এ সময় তিনি কর্মীদের মুল্যায়ন করার জন্য সকল নেতাদের আহবান জানান।




শিশু হত্যা করছে বিএনপি, রক্ষা করছেন শেখ হাসিনা

চট্টগ্রাসের মিরসরাইয়ের আজমপুর বাজারে তাণ্ডব করছিল বিএনপি কর্মীরা। এরই ছবি তুলছিল জাহেদ। আজকাল সবাই যেমন তোলে। রুমনের মামা ইউনুস নূরী জানান, তখন ছবি তোলার অপরাধে বিএনপি নেতাকর্মীরা ধাওয়া করে রুমনকে। সে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। একসময় তাঁরা তাকে মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে বিএনপির এক কর্মী। এতে সে পাশের পুকুরে পড়ে যায়। এরপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খন্দকার নোমান সায়েরী্ও জানান, মাথায় আঘাতজনিত কারণে রুমনের মৃত্যু হয়েছে।

এই মৃত্যু নিয়ে নানা কথা হচ্ছে। রুমন কোন দলের কর্মী। আদৌ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত কী না। আরও নিশ্চই হবে। কিন্তু তাতে এখন মৃত রুমনের কিছু যায় আসে না। যায় আসে তার পরিবারের। বাবাহীন এই কিশোর মা নিশ্চয়ই স্বপ্ন দেখছিলেন ছেলেটি বড় হবে, তাঁর দুঃখ ঘোচাবে। কিন্তু সেই স্বপ আজ অতীত। যেরকম ভাবে ২০১৩-১৪ সালে অতীত হয়েছিল আরও বহু পরিবারের স্বপ্ন ।

আমরা যদি একটু পেছনে তাকাই তাহলে দেখবো, সন্ত্রাস করে এরকম রুমনের মত শিশু কিশোরদের ভবিষ্যত নষ্ট করা গল্প বিএনপির ইতিহাসে নতুন কিছু নয়। পেট্রোল বোমা ও ককটেল ছোড়ার যে অপরাজনীতি তা বিগত কয়েকটি নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি। তাদের উদ্দেশ্য যেভাবে হোক ক্ষমতা দখল করতে হবে। সেনাছাউনি থেকে উঠে আসা একটি দল। তাদের কাছ থেকে দেশের মানুষ এর চেয়ে বেশি আর কি বা আশা করতে পারে। আমরা বিএনপির রাজনীতিতে শিশু হত্যার যে নারকীয় ইতিহাস সেখানে একবার চোখ বুলিয়ে নিতে পারি।

২০০২ সালের ৯ মে রামপুরায় বাবার কোলে থাকা ২০ মাসের শিশু নওশিন ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হবার পর শোকার্ত পরিবারের প্রতি চারদলীয় জোট সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, “আল্লাহর মাল আল্লাহ নিয়ে গেছে”। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি বিএনপির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এ ধরনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বোঝা যায়, শিশু-কিশোরদের প্রতি তাদের অমানবিক দৃষ্টিভঙ্গি। ২০০১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন করায় ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার চরমোতাহা গ্রামের মোর্শেদ আলীর চার মাসের বাচ্চাকে মায়ের কোল থেকে ফেলে দিয়ে থেঁতলে হত্যা করেছিল বিএনপির নেতা-কর্মীরা। চার মাসের বাচ্চাকে হত্যা করার পরেও তারা মোর্শদের স্ত্রীকে সারা রাত ধর্ষণ করে।

২০০২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার পোয়ালগুরা দড়িপাড়া গ্রামের এতিম কিশোরীকে ধর্ষণ করে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতা। রাজশাহীর বাগমারায় ২০০২ সালের ২১ মার্চ ৭ বছরের এক শিশুকে তুলে নিয়ে যায় সরকার সমর্থক পাঁচ সন্ত্রাসী। গণধর্ষণ করা হয় ৭ বছরের ওই শিশুকে। একই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি স্কুল ছাত্র শিহাবকে অপহরণ করা হয়। তার বাবার কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা দেয়ার আগেই শিহাবকে ১২ টুকরো করে হত্যা করা হয়।

২০০১-২০০৬ সালের বিএনপির শাসনামলে সংবাদপত্রের তথ্যানুযায়ী, শিশু-কিশোরদের ককটেল বোমা বানানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। ২০১৩ সালের তাদের অগ্নি-সন্ত্রাসের বড়ো হাতিয়ার ছিল এসব শিশু-কিশোররা । তাদের টাকার বিনিময়ে এসব কাজ করানো হতো। ২০১৩-১৫ সাল অব্দি চলমান আগুন সন্ত্রাসে গ্রেফতার অনেকেই ছিল কিশোর। তারা পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়ে স্বীকার করেছে যে, টাকার বিনিময়ে বিএনপির নির্দেশে এবং তাদের সরবরাহকরা পেট্রোল বোমা দিয়ে তারা এ সন্ত্রাস করেছে।

এই শিশু-কিশোরদ সুরক্ষা দিতে কাজ শুরু করে বর্মান সরকার। শিশুদের সুরক্ষার জন্য প্রথমেই জাতীয় শিশুনীতি-২০১১ প্রণয়ন করে। বাংলাদেশে শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই আইনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ নীতিতে শিশু বলতে ১৮ বছরের কম বয়সী এবং কিশোর বলতে ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ধরা হয়।

সরকার কাজ করছে শিশুর নিরাপদ জন্ম ও সার্বিক বিকাশ নিশ্চিতকরণ, শিশুর দারিদ্র বিমোচন, শিশু স্বাস্থ্য, শিশুর বিকাশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা, শিশু শিক্ষা, শিশুর বিনোদন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, শিশুর সুরক্ষা, প্রতিবন্ধী শিশুর জন্য বিশেষ কার্যক্রম, অটিস্টিক শিশুর জন্য বিশেষ কার্যক্রম, শিশুর জন্ম নিবন্ধন, অনগ্রসর ও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কার্যক্রম, দুর্যোগের সময় ও দুর্যোগের পরে শিশুর সুরক্ষা, শিশুর অংশগ্রহণ ও শিশু মতামত গ্রহণসহ শিশু অধিকার বাস্তবায়ন নিয়ে।

কন্যা শিশুদের অগ্রাধিকার দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার । ৩০ সেপ্টেম্বর জাতীয় কন্যাশিশু দিবস হিসেবে পালন করছে সরকার। এবছরও ‘বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যাশিশুর অধিকার’-এ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী উদযাপিত হয়েছে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০২৩। কন্যাশিশুদের শিক্ষার জন্য অবৈতনিক শিক্ষার প্রচলন করে শেখ হাসিনা সরকার। মেয়েদের দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক করা হয়েছে। শিক্ষা ও কর্মসংস্থানকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নারীর ক্ষমতায়নের দুটি মূল উপাদান-হিসেবে চিহ্নিত করে নারী শিক্ষার ওপর জোর দিয়েছেন। ২০১০ সাল থেকে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হয়েছে এবং নারী শিক্ষার ক্রমবর্ধমান হারের ফলে বাল্যবিবাহের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলেই এদেশে প্রথমবারের মত জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি প্রণয়ন করা হয়, যার প্রধান লক্ষ্য ছিল, যুগ যুগ ধরে নির্যাতিত ও অবহেলিত এদেশের বৃহত্তর নারী সমাজের ভাগ্যোন্নয়ন করা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে জেন্ডার সম্পৃক্ত বরাদ্দের পরিমাণ ২ লাখ ৬১ হাজার ৭ শত ৮৭ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ৩৪ দশমিক ৩৭ শতাংশ এবং জিডিপি’র ৫ দশমিক ২৩ শতাংশ। বাজেটে ২৭টি মন্ত্রণালয় ও ১৭টি বিভাগের জন্য পৃথক জেন্ডার বাজেট প্রণয়ন করা হয়। যা নারী ও কন্যাশিশুদের সার্বিক অধিকার রক্ষায় ব্যবহৃত হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রণীত উপবৃত্তি কার্যক্রমের আওতায় প্রায় ২৫ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন উপবৃত্তি এবং বৃত্তি কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। উপবৃত্তির অর্থ সরাসরি তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মা অথবা বৈধ অভিভাবকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৭৪,৮২,৩১,৭০০ টাকা সরকার উপবৃত্তি দিয়েছে। নারী শিক্ষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ আওয়ামী লীগের আমলেই গৃহীত হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষায় এখন শিক্ষক পদের ৬০ শতাংশ নারীদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে এবং সরকারি চাকরিতে নারীদের জন্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত রয়েছে।

কন্যা শিশুর অগ্রাধিকারমূলক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি-২০১১ প্রণয়ন করে আওয়ামী লীগ সরকার। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধিত) আইন-২০২০ এবং যুগোপযোগী বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকারের গৃহীত এসব পদক্ষেপের ফলে বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রীড়াঙ্গনেও আমাদের মেয়েরা ঈর্ষণীয় সাফল্য দেখিয়েছে।

ব্রিকস সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত এক মধ্যাহ্নভোজে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অঞ্চলের নারী ও বালিকাদের ‘পরিবর্তনের কারিগর’ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এসডিজির পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের প্রতি গ্লোবাল সাউথ নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। আওয়ামী লীগ সরকারের নারীবান্ধব শিক্ষানীতির কারণে দেশে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক স্তরে মেয়েদের তালিকাভুক্তি বেড়েছে ৯৯ শতাংশ। মেয়ে-ছেলে স্কুলে তালিকাভুক্তির অনুপাত ৫৩:৪৭-এ উন্নীত হয়েছে।

আয়ামী লীগ সরকারের শাসনামল মূল্যায়ন করে আজ একথা অন্তত বলা যায় যে তারা ক্ষমতায় থাকুক কিংবা না থাকুক তাদের কাছে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা সর্বাগ্রে। কারণ আজ পর্ন্ত এই সরকারের বিরুদ্ধে শিশু কিশোর বিরোধী কোন পদক্ষপের তথ্য তাদের বিরোধী পক্ষের কাছেও নেই।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




কানাডায় ছাত্রলীগের উদ্যোগে শেখ হাসিনার জন্মদিন উদযাপন

ছাত্রলীগ কানাডা শাখার উদ্যোগে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উদযাপন করা হয়েছে। কানাডার স্থানীয় সময় ২৮ সেপ্টেম্বর টরন্টোর ডেনফোর্থের রেড হর্ট তন্দুরি হোটেলে এ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনার সংগ্রামী রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু ও সুস্থ জীবনের জন্য দোয়া এবং কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করা হয়।

এতে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কানাডা শাখার সভাপতি ওবায়দুর রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সহ সভাপতি তাওহীদ খান আশিক, মো. সাকিব, ফয়সাল কবির নাহিদ, সাঈদ রেজাউল ইসলাম রাহুল, মো. রাইহান সরিফ, নেসার মাহমুদ হৃদয়, তৌহিদুর রহমান দুর্জয়, ফাহিম হোসেন, ইশতিয়াক আহমেদ, সোহাগ হোসেন, শেখ তামিম, জিহাদ ও ফাহাদ।

এসময় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কানাডার যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম তারেক, সদস্য সিদ্ধার্থ শাহা ও তাজুল ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।




যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারগুলো ‘দাসপ্রথার বর্তমান রূপ’: জাতিসংঘের প্রতিবেদন

খুব বেশি না, এক তথ্যে তোলপাড় হয়ে গেছে বিশ্ব। সন্তান প্রসবের সময়ও বন্দি কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয় যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারগুলোতে। আর পুরুষদের অমানবিকভাবে শ্রমে বাধ্য করা হয়। বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রক্ষার স্লোগান দিয়ে বেড়ানো দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারের এই চিত্র উঠে এসেছে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে। রয়টার্সে প্রকাশিত এই প্রতিবেদন প্রশ্ন জাগায়- যে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, সেই দেশ অন্য দেশে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় চোখ রাঙায়?

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের কারাবন্দিদের পরিস্থিতিকে ‘মানুষের মর্যাদার প্রতি সুস্পষ্ট অবমাননা’ হিসেবে বর্ণনা করে ‘পদ্ধতিগত বর্ণবাদী’ বিচার ব্যবস্থা সংস্কারের আহ্বান জানান মানবাধিকার বিশেষজ্ঞরা। এপ্রিল ও মে মাসে যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি শহরের ১৩৩ জন ব্যক্তির সাক্ষ্য এবং পাঁচটি ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে এই প্রতিবেদন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কারাগারগুলোতে বন্দি কৃষ্ণাঙ্গদের মানবেতর অবস্থায় দিনযাপন করতে হয়। সন্তান প্রসবের সময়ও বন্দি নারীদের শিকলে বেঁধে রাখা হয়। এ কারণে ভূমিষ্ঠ শিশুরা অনেক সময়ই মারা যায়। কেবল কৃষ্ণাঙ্গ নারীদের সঙ্গেই এমন ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারের অবস্থা নিয়ে গত কয়েক দশক ধরেই উদ্বেগ ছিল। যেসব কারাগারের রেকর্ড খারাপ, সেগুলো সংস্কার বা বন্ধ করে দেওয়ার দাবি দীর্ঘদিন ধরেই করে আসছিল মানবাধিকার সংগঠনগুলো।

জাতিসংঘ নিযুক্ত তিনজন বিশেষজ্ঞের তৈরি করা এই প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের কারা কর্তৃপক্ষের জন্য ৩০টি সুপারিশও করা হয়েছে। সে সঙ্গে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কারাবন্দিদের ক্ষতিপূরণের দেওয়ার জন্য একটি নতুন কমিশন গঠনের আহ্বানও রয়েছে।

চলুন দেখে আসি তারা লুইজিয়ানার এক কারাগারের বন্দিদের বিবরণ কীভাবে দিচ্ছেন। সেখানে বলা হয়েছে, হাজার হাজার কৃষ্ণাঙ্গ পুরুষ বন্দিকে ক্ষেতে কাজ করতে বাধ্য করা হয়। ঘোড়ার পিঠে বসে থাকা কোনো শ্বেতাঙ্গ তাদের নজরদারিতে রাখেন, যেমনটি দেখা যেত দেড়শ’ বছর আগে। লুইজিয়ানার ‘কুখ্যাত’ অ্যাঙ্গোলা কারাগারের এই পরিস্থিতিকে ‘দাসপ্রথার বর্তমান রূপ’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

সেখানে এখনও আছে নির্জন কারাবাস। নির্জন কারাবাসের ব্যাপক ব্যবহার নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিন বিশেষজ্ঞ। প্রতিবেদনে তারা জানান, আফ্রিকান বংশোদ্ভূত কয়েদিদের নির্বিচারে নির্জন কারাবাসে রাখা হচ্ছে। মানবাধিকার বিশেষজ্ঞদের কাছে এক কৃষ্ণাঙ্গ বন্দি বলেন, টানা ১১ বছর তাঁকে নির্জন কারাবাসে রাখা হয়। তিন বিশেষজ্ঞের একজন হুয়ান মেন্দেজ বলেছেন, ‘আমাদের গবেষণার ফলাফলগুলো অতি দ্রুত বর্তমান এই অবস্থার ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার দিকে নির্দেশ করে। আমরা বেশকিছু সুপারিশ দিয়েছি।’

রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক মিশন এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ফেডারেল ব্যুরো অব প্রিজন বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কারাগারগুলো বন্দিদের পাশাপাশি কর্মচারি এবং জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।




আলমডাঙ্গায় গ্রাম্য চিকিৎসক হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটন;গ্রেফতার-২

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গায় পূর্বশত্রুতার জের ধরে গ্রাম্য চিকিৎসক তৌহিদুল ইসলামকে হত্যা মামলার মূলরহস্য উদঘাটন সহ ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানাধীন ডম্বলপুর-মাধবপুরে সংযোগ ব্রিজের উত্তর-পূর্ব পিলারের সাথে সাদা গেঞ্জি দিয়ে মুখ বাঁধা, গলায় লাল রঙের গামছা পেঁচানো, গলায় রশি দিয়ে বাঁধা অবস্থায় কুমার নদীতে অর্ধডুবন্ত অবস্থায় লাশের সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় গ্রাম্য চিকিৎসক চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা থানার ডম্বলপুর গ্রামের মোঃ মকবুল হোসেনর ছেলে তৌহিদুল ইসলাম(৪২) কে মৃত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

এ সংক্রান্তে আলমডাঙ্গা থানায় ভিকটিমের স্ত্রী মোছাঃ বিউটি খাতুন বাদী হয়ে আসামী ১) মোঃ জীবন হোসেন(২২), পিতা-মোঃ সানোয়ার হোসেন, ২) মোঃ সানোয়ার হোসেন(৫০), পিতা-মৃত খেলাফত মন্ডল, সাং-মাধবপুর, থানা-আলমডাঙ্গা, জেলা-চুয়াডাঙ্গাসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭জন আসামীর বিরুদ্ধে রবিবার আলমডাঙ্গা থানার মামলার নং-০৩ ধারা-৩০২/২০১/১১৪/৩৪ পেনাল কোড দায়ের করেন।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম)-এর তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ আনিসুজ্জামান -এর নেতৃত্বে আসামী গ্রেফতার ও হত্যা মামলার মূলরহস্য উদঘাটনের জন্য ডিবি ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একাধিক টিম তাৎক্ষণিকভাবে মাঠে নামে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মামলা রুজুর ০৩ ঘন্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে রবিবার দুপুর দেড়টার বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শুক্রবারের প্রথম প্রহরে এজাহারনামীয় আসামীদ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয় হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করে।

আসামীদ্বয়কে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম তৌহিদুল ইসলামের কন্যা তামান্না খাতুনের সাথে ১নং আসামী জীবনের গত দুই মাস পূর্বে পরিবারের অসম্মতিতে পালিয়ে বিবাহ হয়। এ সংক্রান্তে ভিকটিম আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে। বিবাহের পর থেকে ভিকটিমের মেয়েকে আসামীরা বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে। ভিকটিমের মেয়ে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আসামীর বাড়িতে বিষ পান করে। বর্ণিত বিষয়ে ভিকটিম ও আসামীদের সাথে ঝগড়া-বিবাদ হয়। ১নং আসামী জীবন ও ২নং আসামী সানোয়ারকে ভিকটিম ও তার পরিবার অপমান-অপদস্থ করে। অপমানের প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আসামীদ্বয়। আসামীদ্বয়ের (পিতা ও পুত্র) পরিকল্পনা অনুযায়ী ভিকটিমকে কৌশলে মাধবপুর এলাকায় ডেকে নিয়ে যায়। ডম্বলপুর-মাধবপুর সংযোগ ব্রিজের নিকট পৌঁছালে ২নং আসামী সানোয়ার গতিরোধ করে এবং ১নং আসামী পিছন থেকে গলায় গামছা ও মুখের ভিতরে সাদা গেঞ্জি ঢুকায়ে শ্বাসরোধ করে। শ্বাসরোধ করে হত্যা নিশ্চিত করে ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য ভিকটিমের গলায় রশি দিয়ে ব্রিজের রেলিংয়ের সাথে ঝুলিয়ে দেয়। আসামীদ্বয়কে আদালতে সোপর্দ করা হয়। ১নং আসামী স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পথসভা ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আফরোজা পারভীনের নেতৃত্ব চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় রবিবার দিনব্যাপী পথসভা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পথসভা কর্মী সমাবেশ উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন। এ সময় আফরোজা পারভীন শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন এবং দেশের উন্নয়নের জন্য আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চান। গণসংযোগ কালে আওয়ামী লীগে সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি লিফটেল বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ, মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ




গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে -এমপি সাহিদুজ্জামান

আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় না থাকলে সন্ধায় বোমা ফাটবে,শান্তির ঘুম হারাম হয়ে যাবে। মুখ থুবড়ে পড়বে দেশের উন্নয়ন। ম্লান হয়ে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশের দেখা স্বপ্ন। বাজার থেকে কেউ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারবে না। নিরাপদে পথ চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে। নিরাপদে পথ চলতে হলে,শান্তিতে ঘরে থাকতে চাইলে, এবং দেশের উন্নয়ন দেখতে চাইলে আবারো আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন। গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত বিশাল শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এমপি সাহিদুজ্জামান এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই গ্রামীণ জনপদের উন্নয়ন হয়,শহর থেকে গ্রামগঞ্জেও উন্নয়ন হয়। আর বিএনপি ক্ষমতায় এলে উন্নয়নের পরিবর্তে ডাকাতি হয় ও বোমা ফাটে।মানুষের মধ্যে বাড়ে শুধু আতঙ্ক আর আতঙ্ক। শান্তিতে থাকতে হলে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার কোন বিকল্প নেই।।

রবিবার বিকেলে গাংনী উপজেলা শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার রেজাউল চত্বরে বিশাল শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা হাজী মোহাম্মদ মহসিন আলী, যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী এমপি পৎিল লাইলা আরজুমান বানু শিলা,,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবুল বাসার,সাহারবাটী ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান,বামন্দী ইউপি চেয়ারম্যান ওবাইদুর রহমান কমল, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপু। সমাবেশ পরিচালনা করেন গাংনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলাম।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ প্রায় সাত সহস্রাধিক নারী-পুরুষ।




দর্শনায় আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস পালন

আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে দর্শনায় প্রবীন কমিটির উদ্যোগে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল ১০ টার দিকে দর্শনা পুরাতন বাজার মোড় থেকে প্রবীণ কমিটির সদস্যরা দর্শনার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দর্শনা পৌর হল রুমে এসে শেষ হয়।

দর্শনা পৌর হলরুমে সাবেক উপাধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানর ও দর্শনা পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক আলী মনসুর বাবু।

এ সময় তিনি বলেন প্রবীণরা সমাজের বুঝা নয়। প্রবীনরা সমাজের বট বৃক্ষ তাদের দ্বারা পূর্বে সমাজের অনেক জ্ঞানের আলো ছড়িয়েছেন। প্রবীণরা সমাজের উন্নয়নের চাবিকাঠি হয়ে আছেন এলাকার সমস্যা সুবিধা অসুবিধা গুলো আমাদের কাছে তুলে ধরেন তাদের এই জ্ঞানগর্ভ আলোচনার মাধ্যমে যেকোনো সমস্যার সমাধান করা সহজ হয়। আমরা যারা সমাজের নেতৃত্ব দিই আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন এলাকায় প্রবীনরা অবহেলার পাত্র না হয়।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান, দর্শনা ইমাম পরিষদের সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম, সমাজসেবক আকমত আলী।আলোচনা শেষে প্রবীন কমিটির অন্যতম সদস্য হাজী জয়মৃল ইসলাম কচি সদ্য মৃত্যু বরণ করেন কচি মিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা নুরুল ইসলাম। পরিশেষে আন্তর্জাতিক প্রবীন দিবস উপলক্ষে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।




আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে ট্যাপেন্টাডল ও মদসহ আটক ৪

আলমডাঙ্গা থানাপুলিশের পৃথক অভিযানে চোলাই মদ ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আজ রবিবার দিবাগত রাতে থানাপুলিশ অভিযান চালিয়ে কামালপুর ও পারকেষ্টপুর গ্রাম থেকে এসব মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে।

আটকৃতরা হলেন- পৌর এলাকার বাবুপাড়ার মৃত ইফতেখারুল কাওনাইনের ছেলে সুষম কাওনাইন (৩৬)। এছাড়াও যশোর কোতয়ালী থানার খোলাডাঙ্গা ধর্মতলা এলাকার দুধ কুমার বিশ্বাসের ছেলে বিপুল কুমার দাস (২৮), চুয়াডাঙ্গার মুক্তিপাড়ার সুবল সর্দারের ছেলে শুভ্রদেব (২৫), আলমডাঙ্গা উপজেলার আলিহাট নগরের মহির উদ্দিনের ছেলে ফরিদ হোসেন (৩২)। পৃথক অভিযানে ৩শ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট ও ২৫ লিটার চোলাই বাংলা মদ উদ্ধার করে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার কামালপুর গ্রামে মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে। এমন গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। তথ্যের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এসময় কামালপুর গ্রাম থেকে সুষম কাওনাইনকে আটক করে। তার শরীর তল্লাশী করে ৩শত পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে।

এদিকে, শনিবার মধ্য রাত ১১ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের পারকেষ্টপুর হতে আলমডাঙ্গায় চোলাই মদ পরিবহনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী অভিযান চালায় পাঁচকমলাপুর ফাঁড়ি পুলিশ। এসময় পারকেষ্টপুর ব্রিজ নিকট পুলিশ চেকপোস্ট বসায়। দ্রুত গতির এ্যাপাসি আরটিআর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। তাদের নিকটে থাকা ২৫ লিটার চোলাই মদ ও একটি ব্যবহৃত মোটরসাইকেল জব্দ করে।




দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী অভিযানে আটক ৩

দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ মাদক বিরোধী পৃথক পৃর্থক স্থানে অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও ইয়াবা ট্যবলেটসহ তিনজনকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। আটকৃরা হলো আতিকুল ইসলাম (৩০) ফকির পাড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে,আশরাফ (৩৫) গোবিন্দহুদা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ও একই গ্রামের আক্কাস আলী(২৪) মৃত আঃ মজিদের ছেলে।

আজ রবিবার ফকির পাড়া ও গোবিন্দ হুদা বিল পাড়ায় থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

পুলিশ জানায়, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবীর এর তত্ত্বাবধানে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, এসআই মোঃ তৌহিদুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফকির পাড়া গ্রামের বদর উদ্দিনের ছেলে আতিকুর রহমানকে আটক করেন। পরে তার দেহ তল্লাশী করে ৫ শত গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়। একই দিনে গোবিন্দ হুদা গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে আশরাফ ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আক্কাস আলিকে আটক করেন। পরে তাদের দেহ তল্লাশী করে ৭০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

তাদের বিরোদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।