৪০ কোটি পেরিয়েছে ‘দুষ্টু কোকিল’, দেশীয় সিনেমার গানে রেকর্ড

গেল বছর সিনেমায় সবচেয়ে আলোচিত গান ছিল ‘দুষ্টু কোকিল’। যে গানে সুপারস্টার শাকিব খানের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল ওপার বাংলার মিমি চক্রবর্তীকে।

গ্লোবালি ব্লকবাস্টার ‘তুফান’ ছবির ‘দুষ্টু কোকিল’ প্রকাশের পর দেশ বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলা ভাষাভাষীরা মজেছিল এই গানে। রিলস, টিকটক থেকে শুরু করে বিয়েবাড়ি জন্মদিন, পিকনিক এমনকি খেলার মাঠে ক্রিকেটাররাও এ গানের তালে নেচে উল্লাস করে থাকেন হরহামেশাই!

এ কারণে মাত্র ৭ মাসে চরকি ও এসভিএফের দুই ইউটিউব চ্যানেল থেকে গানটির ভিউ ৪০০ মিলিয়ন (৪০ কোটি) ছাড়িয়েছে। যা দুই বাংলার বাংলা ভাষার গানের মধ্যে বিরল রেকর্ড!

হিসেব মতে, পৃথিবীময় ৪০ কোটি বাংলা ভাষাভাষী রয়েছে। তাদের একবার হলেও নজরে এসেছে আলোচিত ‘দুষ্টু কোকিল’! গানটির অভূতপূর্ব সাফল্যে ইউটিউবের হাজারও মন্তব্যে লেখা হয়েছে, বাংলা সিনেমার গানে এমন অনন্য নজির শুধু শাকিব খানের পক্ষেই সম্ভব!

শুধু ‘দুষ্টু কোকিল’ গান নয়, ‘তুফান’ ছবির ‘লাগে উরাধুরা’ গানটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। গান আর অ্যাকশানে ভরপুর ‘তুফান’ ছবিতে শাকিবের অভিনয় মুন্সিয়ানায় বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ছবির আলাদা চেহারা দেখেছে বিশ্ব। এ কারণে ‘তুফান’ গ্লোবালি ব্লকবাস্টার হয়েছিল।

পাশাপাশি জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের আগ পর্যন্ত টানা দুই মাস ধরে সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলোতে হাউজফুল দিয়েছিল ‘তুফান’। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ শো নিয়ে সিনেপ্লেক্সের ২০ বছরে প্রদর্শিত সব ছবির আয়ের রেকর্ডও ভাঙেন শাকিব। এ কারণে ঘোষিত হয়েছে ‘তুফান ২’ নির্মাণের।

আলফা আই প্রযোজিত রায়হান রাফী পরিচালিত ‘তুফান’ ছবির ‘দুষ্টু কোকিল’ গানটি লেখা ও সুর সংগীত করেন আকাশ সেন। গানে কণ্ঠ দেন কণা ও আকাশ। কোরিওগ্রাফার ছিলেন মুম্বাইয়ের আদিল শেখ।

এর ডিজিটাল পার্টনার ছিল চরকি, ইন্টারন্যাশাল পার্টনার এসভিএফ। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন গাজী রাকায়েত, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুজ্জামান সেলিম, সালাহউদ্দিন লাভলু, হাসনাত রিপন, গাউসুল আলম শাওন, মানব সাচদেব।

‘তুফান’-এর চিত্রনাট্য করেছেন আদনান আদিব খান, সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন তাহসিন রহমান, আর্ট ডিরেকশন দিয়েছন শিহাব নুরুন নবী, কস্টিউম করেছেন ফারজানা সান।

সূত্র: ইত্তেফাক




পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিকরা একই সমস্যা ভোগ করেন-সৈয়দ আহাম্মেদ

পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহাম্মেদ মারুফ বলেছেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ আপনাদের মত জনগণ দ্বারা পরিচালিত হয় এবং আপনারাই দেশ দুটির চলিকাশক্তি। সবচেয়ে মজার বিষয় আপনারা যে সমস্যায় ভোগেন ঠিক পাকিস্তানের নাগরিকরাও সেই সমস্যা ভোগ করেন।

তিনি আরো বলেন বাংলাদেশের দরিদ্র খামারিদের জন্য উন্নত জাতের শাহী ওয়াল গাভীর পাশাপাশি ভেড়া ও ছাগল দিতে প্রস্তুত রয়েছে। এতে বাংলাদেশের খামারিদের জীবনমান আরও সমৃদ্ধ হবে।

পাকিস্তানের হাই কমিশনার বুধবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার হরিহারা প্রাইমারি স্কুল মাঠে প্রান্তিক খামারীদের এক সমাবেশে বক্তৃতা দানকাল এ কথা বলেন। তবে পাকিস্তান মাংস ও দুধ উৎপাদনে বেশ এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশের হতদরিদ্র খামারিদের জন্য স্থান উন্নত জাতের গবাদি পশু দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দ্রুত একটি প্রস্তাবনা তিনি আশা করেন। তিনি বলেন, প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একটি প্রস্তাবনা ইসলামাবাদে পাঠানো হলে বাংলাদেশী জনগণের জন্য উন্নত জাতের গবাদিপশু দ্রুত পাঠানো সম্ভব হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে যারা নিহত হয়েছে তাদের পরিবারকে সহযোগীতা ও আহতদের পুর্নবাসনের জন্য আলাদা অধিদপ্তর করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রনালয়ের অধিনে এ অধিদপ্তরটিতে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তাদের সহযোগীতা করা হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, এলডিডিপির প্রকল্প পরিচালক ড. জসিম উদ্দিন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের সাবেক ডীন ড. আমিনুল হক, জেলা প্রাণিসস্পদ অফিসার ডা: এ,এস,এম আতিকুজ্জামান, তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির সভাপতি ফরিদুল ইসলাম ও শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদের মুখপাত্র হুমায়ন কবির বাবর ও শৈলকুপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে শৈলকুপা উপজেলার বিশিষ্ট নাগরিক, রাজনীতিবিদ ও বিভিন্ন পর্যায়ের ৭২০ জন খামারি উপস্থিত ছিলেন।




পাঁচ দিনের ক্যাম্প শেষে দুবাই যাবেন টাইগাররা

বিপিএলের মধ্যেই বেজে উঠেছে বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দামামা। অবশ্য বাংলাদেশের ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টটি শেষ হতে বাকি মাত্র কয়েক দিন। এর পরই শুরু হবে জাতীয় দলের ব্যস্ততা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য মিরপুরে টাইগারদের ক্যাম্প শুরু হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে।

সবকিছু ঠিক থাকলে ৭ ফেব্রুয়ারি হবে বিপিএলের ফাইনাল ম্যাচ; অর্থাৎ তার পরের দিনই শুরু জাতীয় দলের ক্যাম্প। সেটি চলবে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এরপর ১৩ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে দুবাইয়ের উদ্দেশে উড়াল দেবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। দুবাইয়ে পৌঁছে একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলারও কথা রয়েছে শান্তদের।

আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি বিকাল ৩টায় ভারতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এরপর সংযুক্ত আরব আমিরাত ছেড়ে টাইগার বাহিনী যাবে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে। সেখানে ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানকে মোকাবিলা করবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। সবশেষ ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। আইসিসির যে কোনো টুর্নামেন্টে সেটিই দলটির সর্বোচ্চ সাফল্য। এবার সেটি ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হয় কি না, তা সময়ই বলে দেবে।

বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স বিভাগের ইনচার্জ শাহরিয়ার নাফিস বলেছেন, ক্যাম্প চলাকালে পাঁচদিনের মধ্যে চাইলে বিরতি নেওয়া যাবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে “তারুণ্যের উৎসব” উপলক্ষে সেমিনার ও প্রদর্শনী

মেহেরপুরে “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫” উদযাপন উপলক্ষে উদ্ভাবনী টেকসই প্রযুক্তির প্রয়োগ ও সম্প্রসারণ শীর্ষক সেমিনার ও প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খায়রুল ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তরিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. সুরমান আলী, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মাশরাফি বিন মোবারক।

ইউআরবি ইন্সট্রাক্টর মো. আব্দুল মতিনের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মৌসোনা ইসলাম।

এছাড়াও মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ আরিফ হোসেন তালুকদার, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ফাতেমা কামরুন্নাহার আঁখি, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আনজুমান আরা,
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মো. তাজবীর আহমেদসহ শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক চাদু গ্রেফতার

মুজিবনগরে চাঁদাবাজি মামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দারিয়াপুর পশ্চিমপাড়ার মৃত কুদরত ই খুদা এর ছেলে কামরুল হাসান চান্দুকে গ্রেফতার করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

সোমবার দিবাগত রাত্রে গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে খোরশেদ আলমের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলায় তার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার সকালে তাকে মেহেরপুর কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মিজানুর রহমান জানান, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসের একটি চাঁদাবাজি মামলায় তাকে গ্রেফতার করে করে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে ১৩ গ্রাম হেরোইনসহ গ্রেফতার ১

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিশেষ অভিযানে ১৩ গ্রাম অবৈধ মাদকদ্রব্য হেরোইনসহ মোঃ জিয়াউর মন্ডল ওরফে জিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছেন।

গ্রেফতারকৃত জিয়াউর মন্ডল (৪৫) পিরোজপুর পশ্চিম পাড়ার বাসিন্দা এবং মোঃ আজির আলী মন্ডল ওরফে আজের আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অভিযানকালে মেহেরপুর সদর থানার পিরোজপুর পশ্চিম পাড়া (হটাৎ পাড়া) এলাকায় জিয়াউর মন্ডলের বসতবাড়ির দক্ষিণ পাশের একটি টিনশেড ঘর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জেলা পুলিশ সুপার জনাব মাকসুদা আকতার খানমের নির্দেশনায় এবং জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

মেহেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।




মহেশপুর সীমান্তে ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৬০ বোতল অবৈধ ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করেছে ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি)।

মঙ্গলবার দুপুরে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি)’র মিডিয়া সেলের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গত ৩ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক সাড়ে ৭টার দিকে মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) এর অধীনস্থ নিমতলা বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার-৭৪/২-এস হতে আনুমানিক ২ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আকন্দবাড়ীয়া গ্রামের আখ ক্ষেতের মধ্যে হতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে আসামীবিহীন ৬০ বোতল ভারতীয় ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত মালামালের খবর থানাকে অবহিত করা হয়।




ঝিনাইদহে পরিত্যাক্ত গ্রেনেড উদ্ধার

ঝিনাইদহ সদরে পরিত্যাক্ত উদ্ধার হওয়া গ্রেনেডটি ধ্বংস করেছে যৌথবাহিনী। গতকাল সোমবার বিকেলে সদরের কোরাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের মেহগনি বাগানের ভিতর থেকে গ্রেনেডটি উদ্ধার করা হয়।

পরে সন্ধ্যায় যশোর সেনানিবাসের বোম ডিসপোজাল ইউনিট এসে সেটি বিস্ফোরণ ঘটায়।

এর আগে সোমবার ভোর থেকে এলাকাটি কর্ডন করে রাখে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী মেজর আকিদুর রহমান রুসাদ বলেন, আমরা নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারি কোরাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের জনৈক বাদশা ও সিরাজুল ইসলামের একটি মেহগনি বাগানের ভিতর বিস্ফোরকদ্রব্য থাকতে পারে।

এর পর থেকে আমরা ওই এলাকাটি ঘিরে রাখি। পরে যশোর সেনানিবাসের বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়। বোম ডিপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে মেহগনি বাগানের একপাশের একটি স্থান থেকে পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি তাজা ‘আর্জেস গ্রেনেড হ্যান্ড ৩৬’ উদ্ধার করে এবং সেটিকে মাঠের মধ্যে নিয়ে শতর্ক অবস্থায় ধ্বংস করে।

তবে কে বা কারা সেখানে গ্রেনেড টি রেখেছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন।




ইন্টারনেটের জন্য আইন নয়; দরকার গাইডলাইন

বিগত সরকারের মতো মেটার কাছ থেকে কোনো ব্যক্তির পোস্ট ডিলিট করা কিংবা নাগরিক হয়রানির কোনো তথ্য চায় না সরকার। কেবল ক্রিপ্টো কারেন্সি কিংবা আর্থিক জালিয়াতের ক্ষেত্রে তথ্য চাওয়া হয়। এছাড়াও নাগরিক আপত্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে বেশ কিছু বিষয় সংশোধিত হয়েছে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে।

তবে যে ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তাই সময় ও চাহিদা অনুযায়ী এটি সংশোধন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইসিটি ও টেলিকম বিভাগের নীতি উপদেষ্টা ফয়েজ আহমেদ তাইয়েব।

তার এই বক্তব্যকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে বিটিআরসি মহাপরিচালক খলিলুর রহমান এবং আইনজীবী প্রেসিডেন্ট মনে করেন, কেবল আইন নয়, ইন্টারনেটকে সর্বজনীন করতে একটি টেকসই গাইডলাইন জরুরি। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস ডিপার্টমেন্টের কনফারেন্স হলে বহুপক্ষীয় ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ নিয়ে অনুষ্ঠিত সংলাপে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তারা।

দুইটি পর্যায়ে আলোচনাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমআইএস বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহা. রাকিবুল হক এবং বিআইজিএফ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল হক অনু। বিআইজিএফ চেয়ারপার্সন আমিনুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিলুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ডিএসসের মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান এবং ব্র্যাকের মাইক্রোফাইন্যান্স প্রোগ্রামের ম্যানেজার অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ‘আইন নয়; গাইডলাইন ও সচেতনতা বাড়িয়ে ইন্টারনেটে সুরক্ষা সম্ভব’ বলে মন্তব্য করেন বিটিআরসির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রিসোর্স ব্যবহার করে পুরো পৃথিবী আমাদের চেয়ে ভালো আছে। এই জায়গা থেকে উত্তরণ খুব জরুরি। এজন্য ইন্টারনেটকে কখনোই বন্ধ করা যাবে না। কারণ এটা এখন মৌলিক মানবাধিকার। তাই এর যৌক্তিক ব্যবহার বাড়াতে হবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইন্টারনেটের অধিকার ও পরিচালনা নিয়ে আমাদের দেশের তরুণ, আমলা ও রাজনীতিকদের আগ্রহ কম। আমাদের এদিকটায় নজর দিতে হবে। এছাড়াও দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকায় ইন্টারনেট পৌঁছে দিয়ে সেখানে জীবনমান উন্নয়নেও আমাদের ভূমিকার রাখতে হবে। বিটিআরসি এ জন্য কাজ করবে।’

বাংলাদেশ ইন্টারনেট গভর্নেন্স ফোরাম আয়োজিত প্যানেল আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফয়েজ আহমেদ তাইয়েব আরো বলেন, ‘সাইবার বুলিং ব্যাপকভাবে সমালোচিত হওয়ায় সেটি রোহিত করে আমরা যৌন নির্যাতনকে শাস্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছি। আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতিকে অপরাধের আওতায় আনা হয়েছে। তবে আগের চেয়ে অপরাধের শাস্তি অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। বিচারককে স্বাধীন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র অপরাধের সঙ্গে যারা আছে তাদের মধ্যে যারা হ্যাকিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদেরকে বিনা পরোয়ানায় গ্রেপ্তার প্রযোজ্য হবে না।’

আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান জানান, শিগগিরই সাইবার সুরক্ষায় ব্যবহৃত টোল ফ্রি নম্বর ১৩২১৯ নম্বরটি চালুর চেষ্টা চলছে। এর মাধ্যমে তরুণ-তরুণীরা ফোন করে প্রয়োজনীয় সেবা নিতে পারবেন। এছাড়াও সাইবার বুলিংয়ের শিকার হলে কাউকে ব্লক করে দেওয়ার আগে কন্টেন্টের স্ক্রিনশট রেখে আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দেন অদ্রিকা এষণা পূর্বাশা।

সভাপতির বক্তব্যে আমিনুল হাকিম বলেন, ‘আইন নয় সচেতনতা দিয়ে এই গ্লোবাল ভিলেজের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। তরুণদেরকেই ইন্টারনেটে করণীয় সম্পর্কে জানতে হবে। ইন্টারনেট কোনো প্রযুক্তি নয়। সাইবার স্পেস আমাদের ডিজিটাল অধিকার। ইন্টারনেটে মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে তরুণদেরকেই।’

এর আগে ইন্টারনেট গভর্নেন্স সাইবার আইন নিয়ে আলোচনা করেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ অনেকে। বক্তারা জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ছিল সম্পূর্ণ ব্যর্থ একটি আইন। আর সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে অপরাধের ক্ষেত্রে জামিনযোগ্যতার সুযোগ রাখা হয়েছে। মনে রাখতে হবে আইন যা-ই হোক তার ভালো-মন্দ ব্যবহার নির্ভর করে কর্তৃপক্ষের ওপর। কেননা একটা সময় সরকার দেখেছে, আইন দিয়ে বিচার করা গেলেও কন্টেন্ট ব্লক করা যায়নি। মেটা ও গুগলের ওপর বিটিআরসির কোনো ক্ষমতা নেই। তাই তারা ডেটা লোকালাইজেশনের উদ্যোগ নেয় না। এখনো ডেটা সুরক্ষার আইন সংশোধন হয়নি। তাই আইন কীভাবে কখন হচ্ছে সে বিষয়ে আমাদের জানা উচিত। একই সঙ্গে এ নিয়ে সচেতন থাকা উচিত। আগামীতে ইন্টারনেট স্পেস কীভাবে পরিচালিত হবে এই সচেতনতার ওপর তা নির্ভর করবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কোটচাঁদপুরে তিনশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার

ঝিনাইদহ জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে কোটচাঁদপুর সুইপার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তিনশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে এই অভিযান পরিচালিত হয়। তবে এই গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রতিমা রানী ও মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ উঠেছে।

সূত্র জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কোটচাঁদপুর সুইপার পাড়ায় অভিযান চালিয়ে তিনশ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে।

অভিযানের সময় অভিযুক্ত প্রতিমা রানী পালিয়ে যান, তবে ঘটনাস্থল থেকে এক মাদক সেবনকারীকে আটক করা হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযুক্ত প্রতিমা রানী দাবি করেন, সুইপার পাড়ায় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মাসোহারা নেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুর রশিদ। তিনি বলেন, “আমি একসময় ব্যবসা করতাম এবং তাদের সঙ্গে আমার চুক্তি ছিল। কিন্তু এখন আর ব্যবসা করি না, তাই তাদের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। এজন্যই তারা অভিযানের আগেই সংবাদ পেয়ে যায় এবং আমাকে ফাঁসাতে চায়।”

তিনি আরও বলেন, “কয়েক দিন আগে আমার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না, কিন্তু তারা আমার মেয়েকে ধরে নিয়ে গিয়ে গাঁজা দিয়ে চালান দেয়। আজও তারা আমার বাসায় কিছু পায়নি। উদ্ধার হওয়া গাঁজা আমার নয়, বরং সেটা আমার প্রতিবেশী উমার। তারা উমার ঘর থেকে গাঁজা উদ্ধার করেও আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।”

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমরা প্রতিমার ঘর থেকে গাঁজা উদ্ধার করেছি, কিন্তু তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি।”

অন্যের গাঁজা দিয়ে প্রতিমাকে ফাঁসানো হচ্ছে এমন অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, “এটা কখনও হয় নাকি! আমরা প্রতিমার ঘর থেকেই গাঁজা উদ্ধার করেছি। এখন তিনি উল্টোপাল্টা কথা বলছেন।”

মাদক ব্যবসায় মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আমার কোনো তথ্য নেই।”

তিনি আরও জানান, “অভিযানের সময় একজন মাদক সেবনকারীকে আটক করা হয়েছিল। তবে বয়স বেশি হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।”