নবজাতক ও ডেঙ্গু রোগীদের পাশে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে শিশু ও ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মাঝে খাবার ও পোশাক বিতরণ করেছে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ।

বৃহস্পতিবার ২৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্যোগে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড বর্ণিল ভাবে সাজানো হয়।

অতঃপর শিশু ওয়ার্ডে নবজাতক ও চিকিৎসাধীন শিশুদের মধ্যে পোশাক এবং খাবার বিতরণ করে নেতাকর্মীরা হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে যেয়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের খোঁজ খবর নেয় ও তাদের মধ্যে ফলমূল বিতরণ করে।

এসময় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম সোবহান, সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, সহ-সভাপতি সোয়েব রহমান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক সানোয়ার হোসেন সহ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য রাহিনুজ্জামান পলেন উপস্থিত ছিলেন।




৪৭টি মোবাইল ও ৯৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে মালিকের হাতে তুলে দিলো পুলিশ

মেহেরপুরে বিভিন্নভাবে হারিয়ে যাওয়া ৪৭ টি মোবাইল ফোন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণা করে নেওয়া ৯৭ হাজার টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের হাতে তুলে দিলো পুলিশ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার সময় মেহেরপুর পুলিশ সুপারের সভাকক্ষে এ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে মালিকদের কাছে উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোন ও টাকা হস্তান্তর করেন পুলিশ সুপার রাফিউল আলম।

পুলিশ সুপার রাফিউল আলম বলেন, ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেহেরপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ৪৭ টি মোবাইল ফোন ও মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে প্রতারিত হওয়া ৯ ব্যক্তির মোট ৯৭ হাজার টাকা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্বার করে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট। এসব প্রকৃত মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উদ্ধার কৃত মোবাইলগুলোর মধ্যে সদর থানার ১৬টি, গাংনী থানার ১১টি ও মুজিবনগর থানার ২০টি ফোন রয়েছে। এ ছাড়া মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানার আওতায় হওয়া মোবাইল ব্যাংকিং প্রতারণার ৯৭ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদেও মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কামরুল ইসলাম, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টেগেশন ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।




মমতাময়ী মা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রাজ্যের সব সমস্যা মাথায় নিয়েও যিনি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের সকল প্রকার সুখ দুঃখের খবর রাখেন; তিনি হচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি শুধু একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী নন, সে দেশের জনগণের জন্য একজন মমতাময়ী মা-ও বটে। শিশু থেকে শুরু করে বড়, প্রাপ্তবয়স্ক -বৃদ্ধ সকলকে নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সহায়তা করে যাচ্ছেন তিনি। কোটি কোটি মানুষকে শিখিয়েছেন আলোকিত জগতের মানে। দারিদ্র্য নিরসন থেকে শুরু করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, গর্ভবতী ভাতা, জেলে ভাতা-র মতো অসংখ্য অনুদানের মাধ্যমে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে তাদের দূর্বিষহ জীবন থেকে মুক্তি দিয়েছেন তিনি।

‘স্বজন হারানোর বেদনা আমি বুঝি। ঘরবাড়ি হারিয়ে যেসব রোহিঙ্গা এখানে এসেছেন, তারা সাময়িক আশ্রয় পাবেন। আপনারা যাতে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারেন,সে ব্যাপারে চেষ্টা চলছে।’- কথাগুলোর মাঝেই নিরীহ রোহিঙ্গাদের জন্য তাঁর মায়া ফুটে ওঠে। ১৯৭৭ সাল থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা ছিলো পৃথিবীর ইতিহাসে অন্যতম অত্যাচারিত ও নিপীড়িত জনগোষ্ঠী। সেনাবাহিনীর জীবনঘাতি আক্রমণ থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে উত্তাল সমুদ্র পারি দিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় এসব রোহিঙ্গা। তাদের অনেকেই সমুদ্রের অতলে হারিয়েছেন নিজেদের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, কেউ বা একেবারে নিঃস্ব হয়ে এসেছে এ দেশে৷ তাদের না ছিলো থাকার জায়গা, না ছিলো খাবার। শুধুমাত্র কাচা কলা খেয়ে বেচে থাকার মতো মুহুর্তেরও মুখোমুখি হতে হয় তাদেরকে। ১৯৫১ সালের জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেনশনে স্বাক্ষরিত দেশ হিসেবে না থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সবসময় তাদের পাশে ছিলো। “১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারলে ৭ লাখ মানুষকেও খাবার দিতে পারবো”- উক্তিটির মাঝেই রোহিঙ্গাদের জন্য শেখ হাসিনার মমতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো তিনি রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে পারেননি। প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি অর্জন করেন “মাদার অফ হিউম্যানিটি” উপাধি।

ব্রিটিশ শাসনামলের খপ্পরে পড়ে বাংলা সব হারায়। পরিচিত হয় “দারিদ্র্য” নামক শব্দটির সাথে। স্বাভাবিক জীবনযাপন তো দূরের কথা! ভিক্ষুকের চেয়েও মানবেতর জীবন ছিলো বাঙালিদের। ক্ষমতা গ্রহণের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেন। অর্থনীতির কাঠামোগত রূপান্তর থেকে শুরু করে নানামুখী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ, দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর পরিধি বৃদ্ধি, ছিন্নমূল- দুঃস্থ মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণে নানামুখী কর্মসূচী গ্রহণ তারই স্পষ্ট প্রমাণ। এমনকি কোভিড-১৯ এর খরাও খুব দ্রুতই কাটিয়ে উঠেন তিনি। ‘খানা আয় ও ব্যয় জরিপ ২০২২’ অনুযায়ী, বর্তমানে দারিদ্র্যের হার ১৮.৭ শতাংশ ; যেখানে ২০০০ সালের শুরুর দিকে তার পরিমাণ ছিলো ৪৮.৯ শতাংশ । জরিপটিই প্রমাণ করছে বঙ্গবন্ধু কন্যা দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে গরিব, অসহায়,দুঃস্থ মানুষের পাশে কতটুকু দাঁড়িয়েছেন। তিনি ২৫ বছরে মাতৃ মৃত্যুহার ৪৪৭ থেকে ১৬৩ তে আনেন। তিনি সবসময়ই গরিব, অসহায়,দুঃস্থ মানুষের কথা মাথায় রাখতেন। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ।

২০২২-২৩ অর্থবছরে বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১,১৩,৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন যা মোট বাজেটের ১৬.৭৫ শতাংশ এবং জিডিপির ২.৫৫ শতাংশ। এর মাঝে রয়েছে বয়স্ক ভাতা কর্মসূচি, বিধবা ভাতা কার্যক্রম, দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহয়তা তহবিল, মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা,অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, এতিমখানার ক্যাপিটেশন গ্র্যান্ট,বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচী,হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কার্যক্রম ইত্যাদি। ১৯৯৭-৯৮ অর্থবছর থেকে শুরু হওয়া বয়স্ক ভাতায় যেখানে প্রতি ওয়ার্ডের ৫ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলাকে প্রতিমাসে ১০০ টাকা করে দেওয়া হতো; সেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভাতাভোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭.০১ লক্ষ জন যাদের প্রত্যেকের মাসিক ভাতা ৫০০ টাকা করে। বয়স হয়ে যাওয়ার পর বোঝা হিসেবে গণ্য হওয়া এসব মানুষদের পাশে দাড়িয়ে তাদেরকে সাহস যোগান শেখ হাসিনা। একইভাবে তিনি বিধবা নারীদের কষ্টও লাঘব করেন। সমাজে তুচ্ছতাচ্ছিল্যের শিকার হওয়া এসব নারীদের জন্য ১৯৯৮-৯৯ অর্থবছরে চালু হওয়া ‘বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা’-র পরিমাণ ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় এনেছেন এবং ভাতাভোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে।

মাতৃত্বকালীন সময়টি প্রতিটি নারীর জীবনে এক অন্যরকম অধ্যায়। প্রায় সবসময়ই নিয়মিত একটা ডাক্তারি চেকাপের মধ্যে থাকতে হয় তাদের। পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় তারা অনেকেই ডাক্তারি চেকাপ করাতে পারে না; ফলস্বরূপ অকালমৃত্যু হয় অনেক মায়ের কিংবা অনেক নবপিতা-মাতা হারায় তাদের সন্তানদের। এরই লক্ষ্যে, ২০০৭-০৮ অর্থবছরে প্রথমবারের মত মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান শুরু হয়। কিন্তু এত অল্প পরিমাণ ভাতায় গর্ভবতী মায়েদের তেমন কোনো উপকার হয়নি। তাই মমতাময়ী শেখ হাসিনা ২০২১-২২ অর্থবছরে পুনরায় সে ভাতার পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৫০০ টাকা থেকে ৮০০ টাকায় আনেন। এভাবে তিনি অসংখ্য গর্ভবতী নারীর ভালোবাসা জয় করে নেন। এবারে বলতে বাংলাদেশের সবচেয়ে করুণ একটি দৃশ্যের কথা! দীর্ঘ নয় মাস যাদের অক্লান্ত, নিঃস্বার্থ পরিশ্রমে আমরা আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছি, তাদেরই সমাজে কোনো সম্মান ছিলো না। অনেকে বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের সন্তানেরা তাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে যায় কিংবা অনেকের আবার থাকার বাসস্থান না থাকায় রাস্তায় দিনযাপন, এসব ঘটনা যেনো প্রায়ই খবরের চ্যানেলগুলোতে আমাদের নজর কাড়ে। শেখ হাসিনা তাদের পাশেও মানবতার হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি ২০২১-২২ অর্থবছরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা ১২ হাজার টাকা থেকে ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করেন। পাশাপাশি আরও কয়েকটি খাতে তাদের জন্য ভাতা নেওয়ার ব্যবস্থা রাখেন। স্বচ্ছলতা ও আলোর মুখ দেখে মুক্তিযোদ্ধারা। ১৯৯৭ সালেই বাংলাদেশের ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে আশ্রয় প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। তখন গৃহায়ন ঋণ কার্যক্রম বাস্তবায়নকারী সংস্থা এ তহবিল হতে মাত্র ১.৫ শতাংশ সরল সুদে সর্বোচ্চ ৭ বছর মেয়াদী গৃহনির্মাণ ঋণ বিতরণ করে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তিনি ১০,০০০ টি গৃহপ্রদান করেন গৃহহীনদের মাঝে যেখানে তাঁর ঋণের পরিমাণ ১৩০ কোটি টাকা। মানবতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেন শেখ হাসিনা। শুধু গৃহপ্রদান করেই চুপ থাকেন নি তিনি, সকলের চাকরির ব্যবস্থাও করে দেন তিনি।

সমাজের উঁচু-নিচু সকল স্তরের মানুষের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর অবদানে বেদে, জেলে থেকে শুরু করে হিজড়ারা পর্যন্ত সমাজে মাথা তুলে বেচে থাকার সাহস পেয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৯.২৩ লক্ষ টাকা করা হয়। সমাজে মর্যাদা পায় বেদে জনগোষ্ঠী। নদীমাতৃক দেশে জেলেরা প্রধান কর্মজীবী মানুষ হলেও আমাদের দেশে তাদের অবস্থান সবার নিচুতে। অনেক কষ্টের জীবন তাদের। শেখ হাসিনা তাদের জন্যও নির্দিষ্ট একটি ভাতা বরাদ্দ করেন। হিজড়া শব্দটি শুনলেই আমরা কেমন নাক সিটকাই। কিন্তু তারাও তো মানুষ! শেখ হাসিনা তাদেরও নগন্য করে দেখেননি। ২০১২-১৩ অর্থবছরে তাদের জন্য প্রথম ৭ টি জেলায় উন্নয়ন কার্যক্রম শুরু করেন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তাদের সহায়তায় ৫.৫৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। আলোর মুখ দেখে ৫,৭৪৫ জন হিজড়াসহ সকল হিজড়া। স্বাভাবিক মানুষের মতো তাদের অধিকারের পক্ষে অনেক আইনী লড়াইও করেছেন তিনি।

চা-শ্রমিক, পোশাক শ্রমিকদের জন্যও তিনি কাজ করে গিয়েছেন। তিনি চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করেন। আনন্দ মিছিলের মাধ্যমে চা শ্রমিক সমাজ শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায়। তিনি ইমাম-মুয়াজ্জিনদের জন্যও একইভাবে কাজ করেন। জাতীয় স্কেলে বেতন-ভাতার ব্যবস্থা করেন তিনি। জানা যায়, প্রকল্পের প্রতিটি মসজিদের খতিব জাতীয় বেতন স্কেলের ৮ম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাবেন। সে হিসেবে একজন খতিবের মূল বেতন হবে ২৩ হাজার টাকা। গার্মেন্টস শ্রমিকদের অবাসনের লক্ষ্যে তিনি ১২ তলা বিশিষ্ট ভবন তৈরি করা থেকে শুরু করে কোটি টাকার ঋণ প্রকল্প হাতে নেন। তাঁর সবচেয়ে বড় মমতাময়ী অবদান প্রতিবন্ধীদের প্রতি। সমাজের সকল সুবিধাবঞ্চিত শিশু এরা। তাদের না থাকে সকলের সাথে খেলার অধিকার, না থাকে বাঁচার অধিকার। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি এ বিষয়টিকে এজেন্ডা হিসেবে নিয়েছেন। ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ২রা এপ্রিল অটিজম সচেতনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও তিনি এদিন অটিস্টিক শিশুদের সাথে কাটান। তিনি সবসময় তাদের সকল প্রকার সৃজনশীল কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। সকল প্রতিষ্ঠানে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের জন্য ট্রাস্ট গঠন করা,বিভাগীয় পর্যায়ে তাদের বিশেষ শিক্ষাব্যবস্থা, বিনামূল্যে ফিজিওথেরাপি, ৬৪ জেলায় ১০৩ টি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্র স্থাপনসহ তাদের সুবিধার্থে অনেক কাজ করে গিয়েছেন শেখ হাসিনা। এমনকি শুভেচ্ছা কার্ডের ডিজাইনও বেছে নেন অটিস্টিক শিশুদের থেকেই। এ কাজের জন্য পুরো দেশ তথা বিশ্বে তিনি ও তার কন্যা সায়মা হোসেব পুতুল সকলের প্রশংসা কুড়ান।

একজন প্রশাসক হলেও সবার আগে তিনি একজন মা। নিজের ঘরেও দুইটি সন্তান রয়েছে। তাই তো তিনি প্রশাসন ও লাভ ক্ষতির কথা ভাবার পাশাপাশি দেশের অসহায় জনগণের প্রতি সমান গুরুত্বারোপ করেছেন। ঈদের সময় বিকাশের মাধ্যমে ভাতা নেওয়ার সুবিধা চালু করা থেকে শুরু করে সমাজের সকল স্তরের মানুষের স্বার্থে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন মমতাময়ী এ নারী। তাঁর হাত ধরেই অন্ধকার মানবেতর জীবন থেকে পা বাড়িয়ে আলোর জগৎ দেখে পুরো দেশবাসী। তাই “মাদার অফ হিউম্যানিটি” খেতাব বৃথা যায়নি বললেই চলে। এমন মমতাময়ী মা সকলের ঘরে ঘরে থাকুক।

লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, ভূতত্ত্ব ও খনি বিভাগ, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।




শেখ হাসিনা: মৃত্যুঞ্জয়ী ধ্রুবতারার উপাখ্যান

একের পর এক আক্রমণ, গ্রেনেড হামলা। অসংখ্য বার হত্যাচেষ্টা। বিশ্বের কোন রাজনীতিবীদ এতোবার হত্যা আক্রমণের শিকার হন নি। রাজনৈতিক জীবনে ২১ বার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে এসেছেন শেখ হাসিনা। প্রতিটি হামলাতেই অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন, আহতের সংখ্যা অগণিত।

১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল, এই দশ বছরে শেখ হাসিনাকে মোট তিনবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে প্রথম সরকার গঠনের পর আরো তিনবার শেখ হাসিনার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ করা হয়। এমনকি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও হত্যাচেষ্টা চলে। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও শেখ হাসিনাই মূল টার্গেট বিরোধী শক্তির।
১৯৮৮ সালে এরশাদ সরকারের আমলে চট্টগ্রামের লালদীঘি দিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার উপর হত্যার উদ্দেশ্যে প্রথম আক্রমণ । ১৯৮৮ সালে ২৪ই জানুয়ারি পতেঙ্গা বিমানবন্দরে নেমে একটি সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে যোগ দিতে লালদীঘিতে যাচ্ছিলেন শেখ হাসিনা। পথে সসস্ত্র হামলা, নির্বিচারে গুলি, শেখ হাসিনাকে মানববর্ম তৈরি করে রক্ষা করতে গিয়ে নিহত হয় ৯জন, নিহতের মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ এ। আহত হন দুই শতাধিক মানুষ। এ হত্যাকান্ডটি পরবর্তীতে চট্টগ্রাম গণহত্যা নামে পরিচিতি পায়। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার ছিলো তৎকালীন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মির্জা রকিবুল হুদার নির্দেশে ওই ঘটনার কিছু লাশ চট্টগ্রামের অভয়মিত্র শশ্মানে পুড়িয়ে ফেলা হয়। অথচ বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯১ সালে পদোন্নতি দিয়ে পুরষ্কৃত করা হয় ঐ পুলিশ কর্মকর্তাকে। ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম গণহত্যা মামলার রায় আসে। রায়ে তৎকালীন ৫ পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

১৯৮৯ সালের ১১ই আগস্ট রাতে কর্ণেল ফারুক রশীদ জিন্দাবাদ স্লোগান দিয়ে ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবীরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নাম্বারের বাড়িতে অতর্কিত গুলি ,বোমা ও গ্রেনেড হামলা করে। গ্রেনেড বিস্ফোরিত না হওয়ায় বেঁচে যান শেখ হাসিনা। এই হামলা নিয়ে ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা হয় । সাড়ে ৭ বছর পর ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ১৬ জনকে আসামী করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। ২০০৯ সালের ৫জুলাই আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচারকাজ শুরু হয়। ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর এই মামলাইয় ফ্রিডম পার্টির ১১ জনকে ২০ বছর করে কারাদন্ড দেয় ঢাকার একটি আদালত।তবে উচ্চদালতে এই মামলাটির মীমাংসা এখনো হয় নি।

১৯৯১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর চতুর্থ জাতীয় সংসদের উপনির্বাচনের সময় ধানমন্ডির গ্রীণ রোডে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে বিএনপি নেতা ওয়াহীদের নেতৃত্বে ২৫ রাউন্ড গুলি বর্ষণ করা হয়। তার গাড়িতে গুলি লাগলেও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা উত্তারাঞ্চলে ট্রেনযোগে সাংগঠনিক সফরে যান। সন্ধ্যা ৬.২০ মিনিটের দিকে শেখ হাসিনাকে বহন করা ট্রেন রূপসা এক্সপ্রেস পাবনার ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনে প্রবেশ করছিলো । অনেকটা হঠাৎ করেই ট্রেনবহরকে লক্ষ্য করে স্থানীয় বিএনপি নেতারা হামলা চালায়। ট্রেনে ব্যাপক গুলিবর্ষণ ও বোমাহামলা করা হয় । সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো মঞ্চে শেখ হাসিনার ভাষণকালে পুলিশ বেষ্টনীর মাঝেও বিএনপি সন্ত্রাসীরা বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। মূলত ২৩ সেপ্টেম্বর সকাল থেকেই ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনার সমাবেশকে পন্ড করার জন্য একের পর এক বোমা হামলার মাধ্যমে আতংকের পরিবেশ সৃষ্টি করে। বিএনপি তৎকালীন পৌর মেয়রের সমর্থনপুষ্ঠ নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার জন্য তৈরি মঞ্চ্ও ভেঙ্গে দেয়। এতোসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের পরেও তৎকালীন বিএনপি সরকারের প্রেস নোটে বলা হয় হামলার কোন প্রামাণ পাওয়া যায় নি। পরবর্তীতে এই হামলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয় এবং ২০১৯ সালের ৩ জুলাই এই মামলার রায় আসে। রায়ে নয়জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে। একই মামলায় ২৫ জনকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এছাড়া ১৩ জনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড হয়েছে।

১৯৯৫ সালের ৭ই মার্চ রাসেল স্কয়ার সমাবেশে ভাষণ দেয়াকালে শেখ হাসিনার ওপর হামলা চালানো হয়। সশস্ত্র এ হামলা থেকে বাঁচাতে নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনাকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়। ১৯৯৬ সালের ৭ই মার্চে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের স্মরণে বক্তৃতাকালে হঠাৎ করে এক মাইক্রোবাস থেকে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা হামলা করা হয় । এতে কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং শেখ হাসিনা ও তাঁর পরিবারের সদস্যসহ একত্রিশ জনকে হত্যার একটি ই-মেইল ১৯৯৯ সালের ১২ জুলাই ফাঁস হয়। ইমেইলের প্রেরক ছিলেন ইন্টার এশিয়া টিভির মালিক সৈয়দ চৌধুরী।

হরকাতুল জিহাদের বড় আক্রমণটি ছিল শেখ হাসিনার নিজের নির্বাচনী এলাকা গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায়। হুজির অন্যতম শীর্ষ নেতা মুফতি হান্নানের জবানবন্দী অনুযায়ী ২০০০ সালের জুলাই মাসে হুজির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে শেখ হাসিনাকে হত্যার সিদ্ধান্ত হয়। ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলে ৭৬ কেজি ও হেলিপ্যাডের কাছে ৪৩ কেজির দু’টি শক্তিশালী বোমা পুঁতে রাখা হয়। তবে সমাবেশের আগে পুলিশ তা উদ্ধার করে ফেলে। ২০০১ সালে মুফতি হান্নানসহ আসামিদের বিরুদ্ধে সিআইডি চার্জশীট দিলেও বিএনপি আমলে এই মামলার অগ্রগতি আর হয়নি। পরবর্তীতে ২০১০ সালে মামলা ঢাকার ২ নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। ২০১৭ সালের ২০ আগস্ট এই মামলার রায় আসে। এই মামলায় ১০ জনকে ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। রায়ের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ, মুন্সী ইব্রাহীম, মাহমুদ আজহার, রাশেদ ড্রাইভার, শাহনেওয়াজ, মোঃ ইউসুফ, মোঃ লোকমান, শেখ এনামুল, মোঃ মিজানুর। এই মামলার অন্যতম আসামী মুফতি হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি হওয়ায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। সঙ্গে ৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে দেয়া হয়েছে কারাদণ্ড। তবে উচ্চ আদালতে এই মামলার মীমাংসা এখনও হয়নি। ফলে এখন পর্যন্ত দণ্ড কার্যকর করা সম্ভব হয় নি।

২০০১ সালের ৩০ মে খুলনায় রূপসা সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিলো হুজি-বি। অনুষ্ঠানের তিন দিন আগেই ২৭ মে সেতুর কাছাকাছি রূপসা নদীতে দু’টি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় ১৫ জঙ্গি ধরা পড়ে যাওয়ায় সেটিও আর সফল হয়নি। এই ১৫ জনের একজন মাসুম বিল্লাহ ওরফে মুফতি মঈন পরবর্তীতে ঢাকায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অংশ নিয়েছিল। ২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেট আলিয়া মাদ্রাসা ময়দানে শেখ হাসিনার নির্বাচনী জনসভাতে বোমা বিস্ফোরণ ঘটায় হরকাতুল জিহাদ। প্রচার অভিযানে থাকার কারণে সমাবেশস্থলে পৌঁছাতে দেরি হয় শেখ হাসিনার। তার আগেই বোমা বিস্ফোরিত হওয়ায় ভেস্তে যায় হত্যাচেষ্টা। তবে এই হামলায় আওয়ামী লীগের দুইজন নেতা নিহত হয়।

২০০২ সালের ৪ঠা মার্চ যুবদল ক্যাডার খালিদ বিন হেদায়েত নওগাঁয় বিএনসি সরকারি মহিলা কলেজের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় এর তদন্ত আর এগোয়নি। ২০০২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর ধর্ষণের শিকার এক মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে দেখতে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে গিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। সেখান্ থেকে যশোর ফেরার পথে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তৎকালীন এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার গাড়িকে ব্যারিকেড দিয়ে হামলা চালায়। ওই হামলায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান, সাংবাদিকসহ কমপক্ষে ১২ জন দলীয় নেতা-কর্মী আহত হন। বিএনপি আমলে এই মামলাটি খারিজ হলেও পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১৮ জুলাই বিচারক নিম্ন আদালতের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলার কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দেন।১৮ এপ্রিল ২০২৩ সালে এই ঘটনায় হওয়া দুই মামলার রায় আসে। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মামলার আরও ৪৪ জন আসামীকে সাত বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
২০০৪ সালের ২রা এপ্রিল, বরিশালের গৌরনদীতে শেখ হাসিনার গাড়িবহরে গুলিবর্ষণ করে জামায়াত-বিএনপির ঘাতক চক্র। পরে বিএনপি আমলে ঐ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়। কিন্তু প্রতিবেদনে প্রকৃত হামলাকারীদের বাঁচিয়ে দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ফাঁসানো হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ের সামনে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সমাবেশের প্রস্তুতি সম্পন্ন। বেলা গড়ানোর সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে জনতার ঢল জনসমুদ্রে পরিণত হয়। কিন্তু এই জনতার সাথে মিশে ছিলো কয়েকজন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি, সঙ্গে যুদ্ধে ব্যবহৃত ভয়ংকর আর্জেস গ্রেনেড। মূল টার্গেট আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা।

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা দায়ের করা হয় ২০০৪ সালে। কিন্তু ২০০৫ সালে মামলাটি নিয়ে জজ মিয়া নাটক মঞ্চস্থ করে বিএনপি -জামায়াত জোট। রাজনৈতিক্ পটপরিবর্তনের পর মামলা গতি পায় ২০০৭ সালে। ২০০৮ এ অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে অধিকতর তদন্তের পর ২০১১ সালে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০১২ সাল থেকে আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় মামলার। যুক্তিতর্ক শুরু হয় ২০১৭ সালে, আর ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। বহুল আলোচিত এই মামলার রায়ে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় ১৯ জনকে। বিচারের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৯ জনের অন্যতম বিএনপি আমলের সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, ডিজিএফআই এর সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী ও এনএসআই এর সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুর রহিম। তারেক রহমান ও হারিছ চৌধুরীসহ ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত।

ওয়ান-ইলেভেন পরবর্তী সময়ে কারাবন্দী থাকা অবস্থায় খাবারে বিষ প্রয়োগ করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ঐ খাবার খেয়ে তাঁর চোখ-মুখ ফুলে গিয়েছিলো এবং তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। ২০০৯ সালের ২৭ জুন রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ উপনেতা সৈয়দ সাজেদা চৌধুরী এ তথ্যের নিশ্চয়তা দিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য দেন। ১১ মাস কারাগারে থাকার পর ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি পান বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনা।

শ্রীলঙ্কার একটি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্র সুইসাইড স্কোয়াড গঠন করেছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত ও হত্যা করার লক্ষ্যে একটি সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, যা পরে ব্যর্থ হয়ে যায়। ২০১৪ সালের শেষদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ও অভ্যুত্থানের পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার জঙ্গি শাহানুর আলম ওরফে ডাক্তার

২০১৫ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়ার পথে কারওরান বাজারে তার গাড়িবহরে বোমা হামলা চালানোর চেষ্টা চালায় জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ জঙ্গিগোষ্ঠী। ২০১৬ সালের জুনে শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়েতে ধাতব পদার্থের উপস্থিতি থাকায় নামতে গিয়ে আবার ওপরে উঠে যায়। ধারণা করা হয়েছিল ওই বস্তুর আঘাতে ছিন্ন ভিন্ন হবে তার বিমান। ২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর সরকারি সফরে হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে বিমানের নাট ঢিল করে রাখা হয়েছিল, যদিও বিষয়টিকে কিছুটা গোপনে রাখা হয়েছিল তখন কিন্তু তাকে হত্যার পরিকল্পনায় এমনটা হয়েছিল বলে ধারণা।

২০১৭ সালেও শোকের মাসে ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল জঙ্গিরা। বারবার হামলার পরও বুলেট-বোমা আর কূটচালের শত বাধা ডিঙিয়ে যিনি বাংলাদেশকে টেনে তুলছেন খাদের কিনার থেকে সমৃদ্ধির পথে।




আমাদের একজন সাহসী শেখ হাসিনা আছেন

আমেরিকা চাইলে যেকোনও দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারে। উন্নয়নশীল দেশের জন্য সেটি নস্যি। যেদেশ রাষ্ট্র ক্ষমতা পরিবর্তন করতে পারে, সেদেশের বিরুদ্ধে কিছু বলা মানেই নিজের বিপদ। যেন-তেন প্রকারে ক্ষমতায় থাকতে হলে আমেরিকাকে খুশি করে চলা ছাড়া কোনো পথ নেই। কিন্তু এটা জেনেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন যুক্তরাষ্ট্রের সব কথাতেই হ্যাঁ তে হ্যাঁ মেলান নি। চোখে চোখ রেখে জবাব দিয়েছেন। স্যাংশন বা ভিসানীতি কোন কিছুতেই পরোয়া করেন না তিনি।

কেউ অন্যায় করলে মুখ বুজে সহ্য করেন না বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। জনসম্মুখে তা প্রকাশ্যে আনতে কুণ্ঠা বোধ করেন না তিনি। ২০০১ সালের ২০ মার্চ আমেরিকার প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন বিল ক্লিনটন। ক্লিনটনের কাছ থেকে গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব পাওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমাদের দেশে কত গ্যাস আছে, আমরা এখনো জানি না। আমাদের দেশের সামান্য কয়েক পার্সেন্ট মানুষ এই গ্যাস সুবিধাটা পাচ্ছে। কতটা গ্যাস আছে এটা না জানলে; আমরা কীভাবে আপনাদের ওয়াদা দেবো যে, আমি ক্ষমতায় গেলে গ্যাস বিক্রি করবো।’

২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতায় আসে বিএনপি। পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে তত্ত্ববধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয় দলটি। তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে ২০০৮ সালের ২৯শে ডিসেম্বরের নির্বাচনে ভরাডুবি হয় বিএনপির। দলটি পেয়েছিল মাত্র ৩০টি আসন। আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় হয়। বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের ইতিহাসে ২০০৮ সালের নির্বাচনটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বীকৃতি পেয়েছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলেও যথারীতি নির্বাচনে হয়। সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে অনড় থাকা বিএনপি ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই অংশ নেয়। বিএনপি পায় মাত্র পাঁচটি আসন৷

আবারও দরজায় কড়া নাড়ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেশ ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও আলোচনার কেন্দ্র বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। তাই ঘুরে ফিরে আসছে বিদেশি হস্তক্ষেপের বিষয়। ২০০১ সালের মতো এবারও কী কোনো দেশকে মুচলেকা দিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে যেতে হবে? এই প্রশ্ন আরও জড়ালো হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক মন্তব্যকে ঘিরে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি ক্ষমতায় থাকি তারা (যুক্তরাষ্ট্র) হয়তো চায় না, আমি বাংলাদেশের জন্য যেসব উন্নতি করেছি, সেটা তারা (যুক্তরাষ্ট্র) হয়তো গ্রহণ করতে পারছে না। এটা আমার অনুভূতি।’ বিবিসিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৫ মে রাতে বিবিসির বাংলা বিভাগ তা প্রচার করে।

গেল ১৫ মে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে উঠে আসে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রসঙ্গ। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের কী কারণে স্যাংশন দিল? যাদের দিয়ে আমরা সন্ত্রাস দূর করলাম, জঙ্গি দূর করলাম, তাদের ওপরে? হোলি আর্টিজানে যারা হামলা করেছিল, তাদের দমন করে মানুষ জীবিত উদ্ধার করতে কিন্তু ২৪ ঘণ্টাও লাগেনি। এরপরেও আরও কোন ঘটনা কেউ ঘটাতে পারেনি। এরপরেও স্যাংশনটা কিসের জন্য?’
ভিসানীতি প্রয়োগ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই। নিষেধাজ্ঞা দিলে দেবে।বাইরের দেশ থেকে নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র হলে বাংলাদেশের জনগণও তাদের স্যাংশন দেবে।’গত ২২ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে বসেই যুক্তরাষ্ট্রের চোখ রাঙানির জবান দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তবে সৌজন্যতা দেখাতেও ভুলেন না মানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের সম্মেলনে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেনের রাষ্ট্রীয় ডিনার পার্টিতে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া জি-২০ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর দেখা-সাক্ষাৎ ও আলাপ আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা। বাইডেনের বাংলাদেশের প্রতি যে আগ্রহ ও মনোযোগ আছে সেটির প্রতিফলন ঘটেছে এতে। বাইডেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার কন্যা সায়েমা ওয়াজেদ পুতুল একসঙ্গে যে সেলফি তুললেন তার একটি অর্থ আছে। দুটো দেশের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতভিন্নতা থাকলেও তারা উভয়ই সহযোগিতার সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ইতিবাচকভাবে ইচ্ছুক তারই বহির্প্রকাশ ঘটেছে।

তবে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র যা বলবে তাই মানতে হবে, এমনটি করেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু এজন্য প্রয়োজন সততা আর সাহস। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে চোখে চোখ রেখে কথা বলার এত সাহস কোথায় পান? এই সাহস আছে তাঁর রক্তে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর রক্ত চক্ষু উপক্ষে করে স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন। যদিও পশ্চিম পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের উপকূলে সপ্তম নৌবহর মোতায়েন করতে চেয়েছিল। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি কমান্ডার জেনারেল নিয়াজি নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের দিনই সপ্তম নৌবহর বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করে। কিন্তু বাংলাদেশ তখন পাকিস্তানের দখল থেকে মুক্ত।

বঙ্গবন্ধুর দেখানো সেই পথে হাঁটছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। কিন্তু তাঁর এই পথটি পাড়ি দিতে সহ্য করতে হয়েছে অনেক কষ্ট। ১৯৭৫ সালে ছোট বোন শেখ রেহানা ছাড়া পরিবারের সবাইকে হারিয়েছেন। ‘৮১-এর ১৭ মে দেশে ফেরা বন্ধ করতে চেয়েছিলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। গঠন করা হয় ‘শেখ হাসিনা আগমন প্রতিরোধ কমিটি’। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর সামরিক শাসনবিরোধী গণআন্দোলন সংগঠিত করেন। ‘৮৩-এর ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনাসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাকে সামরিক গোয়েন্দারা চোখ বেঁধে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যায়। একটানা ১৫ দিন তাঁকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। ‘৮৪-এর ফেব্রুয়ারি ও নভেম্বরে তাঁকে পুনরায় গৃহবন্দি করা হয়। ‘৮৫-এর মার্চে তাকে তিন মাস গৃহবন্দি রাখা হয়। ‘৮৮-এর ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাঁর গাড়িবহরে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। ‘৯৪-এ পাবনার ঈশ্বরদী রেলস্টেশনের উত্তর প্রান্তে বন্দুকধারীরা তার কামরা লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। ২০০৪-এর ২১ আগস্ট শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলা করা হয়। শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ১৯ বার হামলা হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই ভয় করেননি তিনি, অন্যায়ের কাছে মাথানত করেননি।

সততা আর জনতার বিশ্বাস যেকোনো নেতাকে সাহসী করে। অন্যায় না করলে অন্যতে ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। মানুষের মঙ্গল করলে অবশ্যই দেশবাসী তার প্রতিদান দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাই জনগণের উপর ভরসা রাখছেন। তাই তিনি বলেছেন, ‘জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই। এ নিয়ে আফসোস নাই।’ প্রধানমন্ত্রী যেমন আমাদের ওপর ভরসা রাখছেন, তেমনি তাঁর ওপর আমাদেরই ভরসা আছে। শুভ জন্মদিন মানবতার আলোকবর্তিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




মেহেরপুর জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক পেলেন যারা

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রাখা, প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে অবদান রাখা, শিক্ষার্থী ঝোরে পড়া রোধকল্পে কাজ করা, সঠিকভাবে পাঠদান, সঠিক সময়ে বিদ্যালয়ে হাজির, বিদ্যালয় পরিচালনা করাসহ বিভিন্ন বিষয়ের গুরুত্ব দিয়ে মেহেরপুর জেলায় শ্রেষ্ঠদের নির্বাচিত ও তাদের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ ঘোষণা করা হয়েছে।

জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০২৩ জেলা পর্যায় শ্রেষ্ঠ সভাপতি (এস এম সি) নির্বাচিত হয়েছেন মেহেরপুর সদর উপজেলার হান্নানগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (এস এম সি) সভাপতি সাংবাদিক আলামিন হোসেন।

এছাড়া মুজিবনগর উপজেলার ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আমিনুর রহমান শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (পুরুষ), মেহেরপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা ইয়াসমীন শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক (নারী), সদর উপজেলার কামদেবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো: মিনারুল শ্রেষ্ঠ সহকারি শিক্ষক(পুরুষ), গাংনী উপজেলার দুর্লভপুর দক্ষিণ ভরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোছা: ছাবিনা ইয়াসমীন শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক (নারী) নির্বাচিত হয়েছেন।

জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহি সমাজকর্মী নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলার ষোলটাকা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার পাশা। জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো: ফারুক হোসেন। প্রাথমিক শিক্ষা প্রশাসনের শ্রেষ্ঠ কর্মচারী নির্বাচিত হয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারি কাম হিসাবরক্ষক লুৎফর রহমান।

শ্রেষ্ঠ সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলা সহকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আলাউদ্দীন এবং জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা শিক্ষা অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন মুজিবনগর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহা: আলাউদ্দীন। শ্রেষ্ট ইন্সট্রাক্টর (পিটিআই) নির্বাচিত হয়েছেন মেহেরপুর পিটিআই এর ইন্সট্রাক্টর (সাধারণ) মো: আবুল কালাম আজাদ, জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু। শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক। ঝরে পড়ার হার উল্লেখযোগ্যহারে কমাতে সক্ষম হওয়ায় জেলায় শ্রেষ্ঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়েছে মুজিবনগর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

শ্রেষ্ট শিক্ষক, শিক্ষিকা, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠাণ বাছাই কমিটির সভাপতি (ডিডিএলজি) শামীম হোসেন ও সদস্য সচীব মেহেরপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রুহুল আমিন জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৩ উপলক্ষে এ ঘোষণা দেন।




কোন সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর কেউ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না

বাংলাদেশের নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ করার লক্ষ্যে কেউ যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতির আওতায় ফেলেছে বাংলাদেশকে। যদি এমন কেউ ভিসার জন্য আবেদন করে যিনি বাংলাদেশের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে চায় বলে প্রমাণিত হয়, তবে তিনি ভিসা নাও পেতে পারেন। আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভালোর জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে। তবে একথা না বলে উপায় থাকে না যে- যুক্তরাষ্ট্র অন্যদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে এমন আমার জানা নেই। তারা যেকোন সিদ্ধান্ত নেয় নিজের স্বার্থ রক্ষায়। এই প্রক্রিয়ায় তাদের অন্যতম একটি অস্ত্র হলো ‘স্যাংশন’। যেকোন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কোন দেশকে শাস্তি দিতে হলে, বা যুক্তরাষ্ট্র কাউকে শাস্তি দেবে মনে করলে তখন এই অস্ত্র প্রয়োগ করে।

প্রশ্ন হলো, এইটা কোন রাষ্ট্র কখন পারে? বা আদৌ তারা কীভাবে পারে? একক কোন দেশ, অন্য কোন সার্বভৌম দেশের ওপর স্যাংশন দেয়া আইনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করে। তথাকথিত চিন্তা হলো- বিশ্বের সব দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে একটি সংস্থা কাজ করে। সেটি হলো জাতিসংঘ। তাকে পাশ কাটিয়ে কোন একটা দেশ অপর দেশের ওপর যখন তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে চায়, তখন সে তার অস্ত্র হিসেবে স্যাংশনকে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্র যখন সেই সিদ্ধান্ত নিতে চায় তখন সে খেয়াল করে ওই দেশের সঙ্গে মেজরিটি কান্ট্রি আছে কিনা? সেসব বিচার করে আমেরিকা সিদ্ধান্ত নেয়।

আমি মনে করি, বর্তমানে স্যংশনের নামে যেটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা আসলে জনগনকে শাস্তি দিচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আপনি স্যাংশন আরোপের কথা বলছেন বা বাস্তবায়ন করছেন ঠিকই, কিন্তু আসলে সেটা যখন করছেন তখন এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কস্ট দেওয়া হচ্ছে। ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশের মানুষের কস্টে থাকার অভিজ্ঞতা আছে। আর এই দেশের মানুষের এও জানা আছে যে, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো তা আমেরিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে।

আমেরিকা আসলে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরী করলো? এবার একটু পিছনের দিকে ফিরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে তারা বাংলাদেশের পক্ষ নেয়নি। শুধু তাই নয়, একটি যুদ্ধোত্তর দেশকে সামনে এগোতে নানা বাধা সৃষ্টি করেছিল। নিজের স্বাধীন দেশের জন্যে, বঙ্গবন্ধু যখন কিউবাতে গিয়ে তাঁর চটের বস্তা নিয়ে কাজ করতে চাইলেন তখন আমেরিকা বাধ সেধেছিলো। সেসময় তারা খাদ্য অনুদান দিতো, সেটি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে চরম খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই মুহূর্তে খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে না পারায় খাদ্য সংকটে পড়েছিলো এই দেশ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছিল শ্রমজীবী মানুষ। লেখার শুরুতে যেটা বলছিলাম, আসলে শাস্তিটা পায় সাধারণ মানুষ।

অন্যান্য দেশের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ভেনেজুয়েলাতে তাদের স্যাংশনের কারণে ৪০ হাজার শিশু মারা গিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর একক সিদ্ধান্তে মারা গেলো ৪০ হাজার শিশু! এমন পরিস্থিতি যখন শুধু একটি দেশের ইচ্ছায় হয়, তখন কোন সম্মিলিত বিশ্বব্যবস্থা তা মানতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এই স্যাংশন অস্ত্র যেভাবে কাজে লাগাতে চাইছে, সেটা আগামীদিনে কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে আমার শঙ্কা রয়েছে। কারণ স্যাংশনে পড়া অনেক দেশ সেটা ভেঙে ফেলতে চাইছে। যেমন ধরা যাক, ইউক্রেনের জন্য রাশিয়াকে যে স্যংশন তারা দিয়েছে, তা কি রাশিয়া মানছে? কিংবা ধরা যাক, উগান্ডা কিংবা নাইজেরিয়ার কথা।

ঠিক একইভাবে, বাংলাদেশে তারা এখন অবাধ সুস্ঠু নির্বাচনের কারণ দেখিয়ে স্যংশনের হুমকি দিল। প্রশ্ন হলো, তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের কথা বলছে বটে, কিন্তু অবাধ পরিবেশ তৈরী করছে কি? বরং দেখা যাচ্ছে, যারা আমেরিকার ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, তাদের বশে আনার উপায় হিসেবে স্যাংশন দিচ্ছে। তারা কার ওপর হুমকি দেবে, সেটা নিশ্চিত বোঝা কঠিন হয়ে যাচ্ছে কারণ, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন অনেকের ভিসাও যে আমেরিকা দেয়নি সেই উদাহরণও আছে।

আরেকটি অমীমাংসিত প্রশ্ন হলো, কারা কী করছে যুক্তরাষ্ট্র কোথা থেকে সে তথ্য নিচ্ছে? সেই তথ্য একপেশে, না গ্রহণযোগ্য সেই বিবেচনা কে করবে? একজন তথাকথিত মানবাধিকারকর্মী আদিদুলের আইনের পথে বিচার হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাথা ব্যাথার কারণ হয় এবং তার পক্ষে সরব অবস্থান নেয়। কিন্তু সেই লোক যে ৬১ লাশের কথা বলে মিথ্যাচার করলো এবং সেই মিথ্যাচার যে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী করলো, অরাজকতার চেষ্টা হলো, সেটা উল্লেখ না করে, বিবেচনায় না নিয়ে, প্রকারন্তরে সমর্থন দিলো! সেই বিষয়টা অন্ধকারে রেখেই কী বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন হবে?

আসলে খোদ যুক্তরাষ্ট্র দেখতে পাচ্ছে যে এই স্যাংশন নিয়ে রাশিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া ভাল আছে। মার্কিন নিয়ন্ত্রিত যে অর্থব্যবস্থা, তার বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ে উঠতে শুরু করেছে। ফলে এধরনের অস্ত্রের ব্যবহার, মার্কিনবিরোধী জোট তৈরীতে সহায়ক হবে। এই বোধ আমেরিকার থাকতে হবে। যদিও এ নিয়ে আমি তাদের উপদেশ দিতে চাই না। শুধু বলতে চাই, একপেশে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেবার জন্য স্যাংশনের মত কোন উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য না। বাংলাদেশের জন্যে ভিসানীতি ঘোষণার পর দেখা গেছে, একপক্ষ আনন্দ নিয়ে উগ্রীব হয়ে আছে। এতেই বোঝা যায় এটি একটি রাজনীতি বিভাজন প্রক্রিয়া। যে কারণে এক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জেনে খুশি হয়ে যাচ্ছে অন্যপক্ষ।

সেটা কি অবাধ নিরপেক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সহায়ক? এই পরিস্থিতি সংঘাতের কারণ হতে পারে। সেই দায় কে নেবে? ভুলে গেলে চলবে না যে, আরেক দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কারণে কোন সংঘাত হলে, এর দায় তাদের নিতে হবে। স্যাংশন বিষয়ে ঘোষণা আসার পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আবার সুনির্দিষ্ট করে বলছেন, এরমধ্যে গণমাধ্যমও পড়বে। আবার এরপর স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, গণমাধ্যম পড়বে এমনটা এখনও না। এ ধরনের আলাপ তোলা, কোন রাষ্ট্রদূতের জন্যে কতটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার? এই প্রশ্ন আমরা এখন তুলতেই পারি। আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কথা বলার এখতিয়ার বিদেশি রাষ্ট্রের নেই। কিন্তু তারপরেও তারা এটা করছে, কেনো? এক কথায় এর জবাব হতে পারে, তারা এটা করছে শক্তি দেখানোর জন্যে।
তাদের শক্তি দেখানোর আরও একটি উদাহরণ আছে। সেটা হচ্ছে, পিটার হাস আরও বলেছেন, তারা

বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পযবেক্ষণ করবে। কী অদ্ভুত! তারা কি জানে না, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন? আপনি বিচারককে কীভাবে পযবেক্ষণ করবেন? তিনিতো কাজ করেন আইনের বিধিতে। বাংলাদেশ চলবে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র বা সংবিধানে। আমেরিকার নিয়মে তো চলবে না। পর্যবেক্ষণের মতো বিষয়গুলো সামনে এনে এরা এসব প্রতিষ্ঠানে রিতীমত বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী করতে চাচ্ছে।

এখন আমাদের অবস্থান কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সে অনুযায়ী অ্যাক্ট করা দরকার। সত্যিকথা বলতে, আমেরিকা মনে করে ভারত মহাসাগরে তার অবস্থান শক্ত করতে হলে বাংলাদেশকে তার লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক ভারসাম্যপূর্ণ, পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী সে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষার কথা বলে। এখন সেটা ভাঙতে চাইলে বাংলাদেশকে নানারকম চাপ দেয়ার বিকল্প নেই। এখন এই অবস্থা বিবেচনা করে করণীয় ঠিক করাটা বাংলাদেশের জন্যে জরুরি।
লেখক: নিরাপত্তা বিশ্লেষক।




মেহেরপুরে শহিদুল ইসলাম পেরেশানের গণসংযোগ

শেখ হাসিনা কে আবারো ক্ষমতায় রাখতে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের গণসংযোগের আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলা শ্যামপুর আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে গণসংযোগের আয়োজন করা হয়।

গণসংযোগে বক্তব্য রাখে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সাজেদুর রহমান সাজু সহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আতিক স্বপনের সঞ্চালনায় শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।




বঙ্গবন্ধুর তনয়ার আমলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম আগ্রহ ও অগ্রাধিকারের জায়গা ছিল শিক্ষা খাত। স্বাধীনতার পরপরই দেশের ভঙ্গুর শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে নানা উদ্যোগ নেন তিনি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রাথমিক শিক্ষার জাতীয়করণ, সংবিধানে শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা, শিক্ষা কমিশন গঠন ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষার উন্নয়নে যুগান্তকারী বেশকিছু কর্মসূচি নেন বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারও সবসময় শিক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে দেখেছেন। বঙ্গবন্ধুর মতো আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীও শিক্ষায় ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখনই সরকার গঠন করেছেন তখনই শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অবকাঠামোসহ সবকটি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। বিশেষ করে ২০০৯ সাল থেকে অদ্যাবধি—বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বাধীন সরকারের এ বছরগুলোয় বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে দেশের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে। চোখ ধাধানো উন্নয়ন সাধিত হয়েছে যোগাযোগ অবকাঠমোয়।

তুলনামূলক কিছু বিশ্লেষণ দেখলে বিষয়গুলো আরো স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ২০০৯ সালে পাবলিক ও প্রাইভেট মিলে দেশে বিশ^বিদ্যালয় ছিল ৮২টি। এর মধ্যে ৩১টি পাবলিক ও ৫১টি প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয় ছিল। বর্তমানে দেশে বিশ^বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬৬টিতে। এরমধ্যে পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৪টি ও প্রাইভেট বিশ^বিদ্যালয় ১১২টি। অর্থাৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে ১৪ বছরেরও কম সময় দেশে বিশ^বিদ্যালয়ের সংখ্যা দ্বিগুন হয়েছে। এসব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ক্ষেত্রে কৃষি, চিকিৎসা, মেরিটাইম, অ্যারোস্পেস এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মতো বিশেষায়িত বিভিন্ন খাতকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, ২০০৯ সাল পর্যন্ত দেশে চিকিৎসা বিষয়ক একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল মাত্র একটি। বর্তমানে দেশে মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫টি। একইভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি ও বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির মতো যুগোপযোগী উচ্চশিক্ষালয় গড়ে তুলেছে শেখ হাসিনার সরকার। শুধু নতুন বিশ^বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা নয়; উচ্চশিক্ষার প্রসারে পুরনো উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন নতুন বিভাগ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

এসব শুভ উদ্যোগের সুফল হিসেবে গত কয়েক বছরে দেশের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থী প্রবেশের সুযোগ ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পেয়েছে অবিশ^াস্য হারে। ২০০৯ সালে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়সহ দেশের পাবলিক বিশ^বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ১৪ লাখের নিচে। যা বর্তমানে বেড়ে ৩৬ লাখ ছাড়িয়েছে। একইসঙ্গে বেসরকারি খাতের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও শিক্ষার্থী বৃদ্ধির হার আশাব্যঞ্জক। ২০০৯ সালে দেশের বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় খাতে শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ২ লাখ। বর্তমানে যা চার লাখের কাছাকাছি।

শুধু প্রতিষ্ঠান কিংবা শিক্ষক-শিক্ষার্থী সংখ্যা নয়; সম্প্রতি বছরগুলোয় দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মানেও বেশ উন্নতি ঘটেছে। বর্তমানে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশন জট প্রায় শূন্যের কোঠায়। উচ্চশিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকল্পে বর্তমান সরকার বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গড়ে তুলেছে। বিশ^বিদ্যালয়গুলোয় মানসম্মত শিক্ষা ও গবেষণা নিশ্চিত করতে ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপ) সফল বাস্তবায়ন করে সরকার। বর্তমানে হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সেলেরেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন (হিট) শীর্ষক আরো একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন। বিশেষ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি সরকার ধারাবাহিকভাবে গবেষণা খাতে বরাদ্দ বাড়াচ্ছে।

২০০৯-২০১০ অর্থবছরে গবেষণা খাতে সরকারের বরাদ্দ ছিল মাত্র ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে উচ্চশিক্ষায় গবেষণার জন্য সরকার ১৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়। শিক্ষা ও গবেষণার মান বাড়ায় বৈশি^ক র্যাংকিংয়েও দেশের বিশ^বিদ্যালয়গুলোর অবস্থান পোক্ত হচ্ছে। গবেষণা, উদ্ভাবন ও সমাজের ওপর প্রভাব—বিজ্ঞান গবেষণায় এ তিনটি বিষয়কে ভিত্তি ধরে শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের তালিকা করে স্পেনের সিমাগো ল্যাব ও যুক্তরাষ্ট্রের স্কপাস। সিমাগো ইনস্টিটিউশনস র্যাংকিংস (এসআইআর)-এ ২০০৯ সালে বাংলাদেশ থেকে জায়গা পায় মাত্র ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়। আর ২০২৩ সালে এসে সিমাগো-স্কপাসের র্যাংকিংয়ে জায়গা পাওয়াদের তালিকায় বাংলাদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮-এ।

উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক ধাপের শিক্ষার বেশ প্রসার ঘটেছে আওয়ামী লীগ সরকারের হাত ধরে। প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী প্রাথমিক বিদ্যালয় অবকাঠামোর চিত্র বদলে ফেলা হয়েছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষায় শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের অধ্যাধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। সম্প্রতি প্রচলিত পদ্ধতির শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল সংস্কার আনতেই নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন করা হয়েছে। এ পরিবর্তনের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হবে আমাদের শিক্ষার্থীরা। শত বছর ধরে আমাদের মুখস্থনির্ভর শিক্ষাপদ্ধতি চলে আসছিল। পুরনো ধারার সে পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীদের চিন্তার সুযোগ ছিল খুবই সীমিত। নির্দিষ্ট কিছু বইয়ের নির্ধারিত অধ্যায় বা অংশ পড়ে পরীক্ষার খাতায় গৎবাঁধা কিছু নিয়েমে তা উগড়ে দেয়া হতো। নম্বরমূখী ওই ব্যবস্থায় শেখার সুযোগ ছিল অনেক কম। নতুন শিক্ষাক্রমে পুরনো সে পদ্ধতি ভেঙ্গে সম্পূর্ণ নতুন ধারার পাঠদান ও মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করা হয়েছে। কর্মমুখী শিক্ষার জোর দেয়ার অংশ হিসেবে কারিগরি শিক্ষাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। দেশে কারিগরি শিক্ষায় অংশগ্রহণ এক সময় এক শতাংশেরো নিচে ছিল। এখন তা বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে নেয়া হয়েছে বিশেষ বিশেষ প্রকল্প।

বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে শিক্ষার মতোই ঈর্ষণীয় সাফল্য এসেছে দেশের স্বাস্থ্য খাতেও। দেশে আগে তেমন কোনো স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ছিল না, এখন ২২টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের বিশেষায়িত বিভিন্ন গবেষণা পরিচালিত হয়। ২০০৯ সালের আগে মাত্র আটটি মেডিকেল কলেজ ছিল, এখন ৩৭টি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। স্বাস্থ্য সেবা ও অবকাঠামোর মান বাড়ায় দেশের মানুষের গড় আয়ুও বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০০৯ সালের আগে দেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৬০ বছর, এখন তা ৭৩ বছর। দেশে টিকাদানে ৯৮ ভাগ সফলতা এসেছে অথচ আগে ছিল মাত্র ২০ ভাগ। আগে দেশে শিশু মৃত্যুহার ছিল ১৫০ জনের বেশি আর এখন সেটি মাত্র ২৩ জন। আগে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ৩ শতাংশ আর এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র শূন্য দশমিক ৯৮ ভাগ। আগে দেশে খর্বকায় মানুষের জন্মহার ছিল ৬০ ভাগ। কিন্তু এখন ঠিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ায় মাত্র ২৫ ভাগের নিচে খর্বকায় মানুষ জন্ম নেয়।

স্বাস্থ্যসেবায় অবদানে মিলেছে নানা আন্তর্জতিক স্বীকৃতিও। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের জাতিসংঘের ৬৫তম সাধারণ অধিবেশনে মিলিনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল-৪-এ এ উল্লেখযাগ্য সাফল্য অর্জনের জন্য আন্তর্জাতিক পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১১ সালের জাতিসংঘের ৬৬তম সাধারণ অধিবেশনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের পক্ষে নারী ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে তথ্য প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ সাউথ-সাউথ পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০১৩ সালের জুন মাসে ল্যানসেট পত্রিকায় ভালো সাস্থ্য সেবা দেয়ার চমৎকার মডেলে হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরা হয়।
আর অবকাঠামো উন্নয়নে বলা চলে রীতিমতো বিপ্লব ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত

স্বপ্নের পদ্মা সেতুসহ ছোট-বড় একশ ব্রিজ ও একশ সড়ক-মহাসড়ক চালুর মধ্য দিয়ে দেশে যোগাযোগ ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ঢাকাাবাসী যুক্ত হয়েছেন মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে। চট্টামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, মাতারবাড়ী বিদ্যুৎকেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালসহ সরকার গৃহীত নানা পদক্ষেপ বদলে দিচ্ছে দেশের সার্বিক অবকাঠামো চিত্র। অবকাঠামো উন্নয়নের ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ধারাবাহিকতা বজায় ছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ কিছুটা সমস্যা সৃষ্টি করলেও বর্তমানে পুনরায় অগ্রগতি শুরু হয়েছে। সামনের দিনে এ অগ্রযাত্রা আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে, গড়ে উঠবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা ও দেশরত্নের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’।

লেখক: কোষাধ্যক্ষ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।




গাংনীতে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি উদ্যোগে উপকরণ বিতরণ

মেহেরপুর গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)-এর ‘প্রশিক্ষন কেন্দ্র ও খামার’- এ সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর কৃষি খাতের আওতায় উ”চমূল্যের ফল উৎপাদনে উদ্যোক্তা তৈরি ও অনাবাদি জমিতে সবজি চাষ প্রদর্শনীর আওতায় ৫ জন উপকারভোগীর মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয়।

বিতরণকৃত উপকরণ সমূহের মধ্যে ছিল- ১৮০ টি বারি-১১ আমের চারা, ৩০টি ব্যানানা ম্যাংগো আমের চারা এবং ২১টি মোজাফ্ফর জাতের লিচুর চারা, ১৬টি সিমেন্টের খুটি, ট্রাইকো-কম্পোস্ট সার, রাসায়নিক সার, কিটনাশক, বিভিন্ন সবজির বীজ। পাশাপাশি উপকারভোগীদেরকে প্রদর্শনীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়। উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সকল কর্মকর্তাগন ।

অপরদিকে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির (পিএসকেএস) কর্তৃক উচ্চমূল্যের ফল উৎপাদনে উদ্যোক্তা তৈরি প্রদর্শনীর আওতায় তিনটি প্রদর্শনী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে , বারি আম-১১, ব্যানানা ম্যংগো, এবং লিচু-মোজাফ্ফর জাতের চারা বিতরন সহ অন্যান্য উপকরণ সমূহ বিতরন করা হয়। এছাড়াও অনাবাদি জমিতে সবজি চাষ প্রদর্শনীর আওতায় ২ টি প্রদর্শনী বাস্তাবয়নের লক্ষ্যে উপকারভোগিদের মাঝে উপকরণ সমূহ বিতরন করে যথাযথ পরামর্শ প্রদান করা হয়।