এতো টাকা কোথায় পাচ্ছেন নূর: নতুন অফিসের মূল্য ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা

সমালোচনার মুখে গত আগস্ট মাসে ৩ কোটি টাকা মূল্যমানের রূপায়ন টাওয়ারের অফিস কেনা ভেস্তে গেলেও আবারও নতুন জায়গায় অফিস স্পেস কেনার যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছেন গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। ইতোমধ্যে বায়নার ৩০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকী টাকা আগামী দুই মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এতো টাকা নূর কোথায় পান? নূরের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ রয়েছে। যদিও নূর বলছেন পুরোটাই পার্টির সদস্যদের টাকা।

নুরুল হক নুর ও রেজা কিবরিয়ার মধ্যকার দ্বন্দ্বে দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ার পর দুই অংশই তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছে অস্থায়ী কার্যালয়ে। অন্যদিকে পুলিশের দখলে রয়েছে দলটির প্রীতম জামান টাওয়ারের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। অব্যাহতি-পাল্টা অব্যাহতির পর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই প্রীতম জামান টাওয়ারের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেওয়া হয় নুরুল হক নুরের অনুসারীদের।

এর আগে গত আগস্ট মাসে একটি অফিস কেনার কথা জানা গিয়েছিলো। প্রাপ্ত নথিপত্র অনুযায়ী, পল্টনের কালভার্ট রোডের এন/এ নম্বর প্লটে নির্মাণাধীন রূপায়ণ এফপিএবি টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় অবস্থিত ফ্লোরটি বিক্রি করছিলো রূপায়ণ গ্রুপ। আর এটির ক্রেতা মো. নুরুল হক নুর। প্রতি বর্গফুটের মূল্য ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ৮০০ টাকা। সেই হিসাবে ১৬৫৫ বর্গফুটের জায়গাটির (স্পেস) মোট মূল্য ৩ কোটি ২৭ লাখ ৬৯ হাজার টাকা। এর সঙ্গে কার পার্কিং বাবদ ৮ লাখ এবং ইউটিলিটি বাবদ আড়াই লাখ টাকা ক্রেতাকে পরিশোধ করতে হবে। সব মিলিয়ে জায়গাটি কেনার জন্য নুরুল হক নুরকে দিতে হতো ৩ কোটি ৩৮ লাখ ১৯ হাজার টাকা। যদিও গণমাধ্যমে সমালোচনার মুখে সেই দফা স্পেস কেনা থেকে বিরত হন নূর।

আবারও নতুন করে অফিস কেনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নুরুল হক নূর বলেন, ‘এটা পার্টির লোকজনের টাকা। সবাই ন্যূনতম ১০হাজার টাকা করে দিবে। কেউ সামর্থ অনুযায়ী ৫/১০ লক্ষ টাকাও দিচ্ছে। আমি গ্রাম থেকে আসা মানুষ। আমার এতো টাকা কোথা থেকে আসবে। আমাকে নিয়ে যা বলা হয়ে থাকে তার সবই মনগড়া। যদিও টাকার উৎসের প্রসঙ্গ আসলে নুর সবসময় বলে আসেন প্রবাসিদের চাঁদার টাকাই তার উৎস।’

যখন তিনি এরকম দাবি তুলছেন ঠিক তখন নুরের দলের নেতাকর্মীরাই তার বিরুদ্ধে আর্থিক অসংগতির কথা তুলে ধরেছেন, দলের টাকা তিনি ব্যক্তিগতভাবে খরচ করেন, এমনকি প্রবাসীদের দেয়া টাকার হিসাবও তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের কাছে দেন না।

গণ অধিকার পরিষদে নূরের সঙ্গে সহযাত্রী ছিলেন দলটির সাবেক আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। দলটি ভেঙ্গে যাওয়ার পরপরই নূরের সকল আর্থিক অসঙ্গগতির তথ্য ফাঁস করে দেন । গত ২১ জুন ড. রেজা কিবরিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ নুর প্রবাসে কমিটি গঠনের ব্যাপারে নিজেকে প্রধান উপদেষ্টা বানিয়ে অনুমোদন দিয়েছেন,যাতে অন্য কেউ প্রবাসীদের টাকার তথ্য না পায়। দলীয় ফান্ডের কোনো স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নেই। কাউকে হিসাবনিকাশ দিতে চান না তিনি। আমি দলের প্রধান, কিন্তু আমাকে হিসাবনিকাশ দেন না। এখন আমি হিসাব চাওয়াতে তিনি আজেবাজে কথা বলছেন।

পদের বিনিময়ে নূর নগদ অর্থ,দামী গাড়ি নেন পদ প্রত্যাশীদের কাছ থেকে,এমন তথ্যও দিয়েছেন রেজা কিবরিয়া । নুরুর বিরুদ্ধে কমিটিতে পদ বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘নুর এত গাড়ি কোথায় পায়! এর আগে বলা হয়েছিল কাতারের সভাপতি গাড়ি দিয়েছে। এভাবে চলতে পারে না। কাতারের সভাপতি কেন গাড়ি দেবে?

অর্থের বিনিময়ে পদ বাণিজ্য করেন বলে নূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন প্রবাসী অধিকার পরিষদের নেতারা। অর্থের বিনিময়ে নুর কমিটি দিয়েছেন, প্রবাসী অধিকার পরিষদ ইরাক শাখার কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ সুলতান নুরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন। গত ৫ জুলাই ইউটিউবে নিজের চ্যানেলে সুলতান জানান এ তথ্য ফাঁস করে দেন । তিনি বলেন, ‘প্রবাসি অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক নিয়মের বাইরে প্রায় দুই কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে এবং সেই টাকার মাধ্যমে নুর ও তার গুটিকয়েক সমর্থক লাভবান হয়েছে। কমিটিতে বড় পদায়ন অর্থের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে, যেমন মালয়শিয়া থেকে ভিপি নুরের জন্য যিনি দামী মোবাইল ও মেয়ের জন্য স্বর্ণের চেইন দিয়েছিলেন পরে তাকেই প্রবাসী অধিকার পরিষদের মালয়শিয়া শাখার সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

গণ অধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহবায়ক মেজর আমীন আহমেদ আফসারী (অব.) একাত্তর টিভিতে এক নতুন তথ্য দিয়েছেন। সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার ভাষ্য ,নুরকে এক জায়গা থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, নুর প্রতিমন্ত্রী হবে এবং দশটি আসনও পাবে। আমিন আহমেদ আফসারি একাত্তরকে বলেন, ‘নুর আমাকে অফার করেছে প্রার্থী হবার এবং আমরা ১০টি সিট পাচ্ছি। আমি প্রার্থী হলে নির্বাচনের জন্য দুই কোটি টাকা আমাকে দেয়া হবে এবং নুর পাবে এক কোটি। এভাবে ১০টি আসনের জন্য মোট ৩০ কোটি টাকা পাবে নুর, কিন্তু আমি এই অফার নাকচ করে দিয়েছি।

টাকার উৎস বিষয়ে জানতে চাইলে নূরুল হক নূর বলেন, আমাকে নিয়ে সবসময় সমালোচনা করা হয়। আমরা যখন রাজনৈতিক দল করলাম তখন রেজা কিবরিয়াকে অভিভাবক হিসেবে সাথে রাখলাম। এরপর তিনি বিএনএম এর সাথে যোগাযোগ রাখা শুরু করলেন তখন আমরা সিদ্ধান্ত নিই আলাদা হওয়ার। আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে অফিস থেকে বের করে দেওয়া হয়। এরপরতো আমাদের অফিস নিতে হবে। নতুন অফিসের টাকা আসছে কোথা থেকে প্রশ্নে তিনি বলেন, টাকা আমাদের দলের সদস্যদের। আপনাদের দলে কতজন সদস্য যে ২ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা তারা দিচ্ছেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, গণ পরিষদের ৫৬টি জেলায় কমিটি আছে, ৩০০ উপজেলা কমিটি আছে। আমাদের ৫টি অঙ্গ সংগঠন আছে, প্রবাসী অধিকার পরিষদ আছে ৪২টা দেশে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে ১৬৩ সদস্য আছে। প্রত্যেকে ন্যুনতম ১০ হাজার টাকা দিবে। অনেকে আছেন যারা ৫/১০ লক্ষ টাকা দিবেন। বাইরের কোন টাকা নেই। তবে তিনি মোট সদস্য কত সেবিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে বলেননি।




দর্শনা সীমান্তে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার, কোমরে মিললো ৬৮ টি স্বর্ণের বার

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাস্তিপুর সীমান্তে মাথাভাঙ্গা নদীতে প্রায় ১০ কেজি ওজনের ৬৮ টি স্বর্ণের ভারে ডুবে যায় মিরাজ মন্ডল (১৯) নামের এক যুবক। তিনি উপজেলার নাস্তিপুর গ্রামের ভাট পাড়ার ইয়াসিন মন্ডলের ছেলে।

জানাগেছে গতকাল রোববার বেলা ১২ টার দিকে নাস্তিপুর সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদীর ৮০/১ নং পিলারে নিকট ২ জন স্বর্ণ চোরাকারবারী মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ভারতে যাওয়ার প্রাক্কালে আনুমানিক ২৫ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় এক চোরাকারবারী পালিয়ে গিয়ে গ্রামবাসির খবর দেয়। খবর পেয়ে বিজিবি,পুলিশ,ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন এসে মৃত্য দেহটি উদ্ধার করে।

বিকাল ৪ টার দিকে স্থানীয় ও বিজিবি, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস মাথাভাঙ্গা নদীতে অভিযান চালিয়ে তার মৃত লাশ উদ্ধার করে। তার শরীলে বাধা কাপড়ের ৪ টি পুটলাই ছোট-বড় ৬৮ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে বিজিবি। যার ওজন ১০ কেজি ২ শ ৬৩ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১০ কোটি ২ লক্ষ ৬৩ হাজার টাকা। পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

স্থানীয় ও বিজিবি সূত্র জানায়, গতকাল রোববার দুপুরে দামুড়হুদা সীমান্তের নাস্তিপুর গ্রামের মিরাজ মন্ডল তার শরীরে কোমরে বেঁধে মাথাভাঙ্গা নদীতে কলার ভেলা বানিয়ে পার হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে যায়। এ সময় মাথাভাঙ্গা নদীর মাঝখানে পৌঁছালে তার কাছ থেকে নদীর স্রোতে কলার ভেলা ভেসে যায়। এতে করে তার কাছে থাকা ৬৮টি স্বর্নের বার প্রায় ১০ কেজি ২শ ৬৩ গ্রাম স্বর্ণের ভারে পানির নিচে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার ৪ ঘন্টা পর তার লাশ উদ্ধার করে বিজিবি।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল রোববার দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি সীমান্ত দিয়ে ভারতে স্বর্ণের একটি বড় চালাল পাচার হবে। খবর পেয়ে মিরাজ তার শরীরে কাপড়ের টুপলা করে মাজায় বেঁধে স্বর্ণের বার নিয়ে মাথাভাঙ্গা নদী পার হচ্ছে নদীর স্রোতে কলার ভেলা তার কাছ থেকে ছুটে গিয়ে পানিতে ডুবে সে নিখোঁজ হয়। খবর পেয়ে বিজিবি ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় পুলিশ ফায়ার সার্ভিস কে খবর দেয়। বিকাল ৪ টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে বাধা কাপড়ের একটি টুপলা উদ্ধার করা হয়। যার মধ্য থেকে প্রায় ছোট বড় ৬৮ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়েছে। যার ওজন ১০ কেজি ২শ ৬৩ গ্রাম(৮৭৯.৮৮ ভরি)।

এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




দর্শনা পুলিশের অভিযানে ১ কেজি গাঁজাসহ মহিলা গ্রেফতার

দর্শনায় থানা পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে ১ কেজি গাঁজাসহ নুরজাহান (৩৮) নামে এক মহিলা গ্রেফতার হয়েছে। গ্রেফতারকৃত নুরজাহান দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর (মাঝপাড়া) গ্রামের মোঃ এরশাদ আলী স্ত্রী। আজ রবিবার বেলা ১১ টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পুলিশ জানান, জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর সার্বিক দিকনির্দেশনায় দর্শনা থানা পুলিশ কর্তৃক বিশেষ অভিযানে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে দর্শনা থানার এসআই (নিঃ) মোঃ সুজন আলী সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ রবিবার বেলা ১১ টায় দর্শনা থানাধীন কৃষ্ণপুর গ্রামস্থ কৃষ্ণপুর ডাঙ্গার মাঠের জনৈক ফারুক মল্লিকের আবাদী জমির উত্তর পার্শ্বে দর্শনা-হিজলগাড়ী গামী পাঁকা রাস্তার উপর থেকে মোছাঃ নুরজাহান (৩৮) কে ১ কেজি গাঁজাসহ গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




মেহেরপুরে জনপ্রতিনিধি সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের

মেহেরপুর জেলা বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সদস্যরা জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।

আজ রবিবার সংগঠনটির জেলা শাখার সভাপতি রেহেনা মান্নানের নেতৃত্বে একটি টিম এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করা হয়।

মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মহা: আব্দুস সালাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

সাক্ষাৎকালে বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের সদর উপজেলা সভাপতি ইমতিয়াজ হোসেন মিরন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম, মুজিবনগর উপজেলা সভাপতি আজিমুল বারি মুকুল, পৌর শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক সুলহানা মুস্তাফিজ ঐশী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




শেখ হাসিনার হাত ধরে রেলবিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ

দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রেল ব্যবস্থার গুরুত্ব অনুধাবন করে বর্তমান সরকার ২০১১ সালে পৃথক রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করে। বাংলাদেশ রেলওয়েকে আধুনিক ও যুগোপযোগী গণপরিবহন মাধ্যম হিসাবে সাজাতে এবং একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য গত এক দশকে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ করছে। বিশেষত রেলওয়ে মাস্টারপ্ল্যান (২০১৫ থেকে ২০৪৫ সাল) প্রণয়ন এবং সে অনুযায়ী বেশকিছু মেগাপ্রকল্প হাতে নেওয়াতে তরিৎগতিতে রেলনেটওয়ার্ক ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হয়েছে। দূরপাল্লার রেলযোগাযোগের পাশাপাশি কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা অনুযায়ী নগরকেন্দ্রিক বৈদ্যুতিক মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক বাস্তবায়ন করেছে। যার ফলে সামগ্রিকভাবে পুরো বাংলাদেশের রেলভিত্তিক যোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণ এবং ব্যবস্থাপনায় প্যারাডাইম শিফট হয়েছে এবং আমরা রেলবিপ্লবের একেবারে দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছি।

কেউ কী কখনও ধারণা করেছিলো দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার মানুষ সরাসরি ঢাকার সাথে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত হবে? প্রমত্তা পদ্মা নদীর উপর দিয়ে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বেশ কিছু প্রতিকূলতা অতিক্রম করে বিশ্বের অন্যতম যোগাযোগ অবকাঠামো পদ্মা সেতু তৈরি হয়েছে। এখন আমরা ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-যশোরের যে রেললিংক দেখছি তা সম্ভব হয়েছে বর্তমান সরকারের অদম্য সাহসিকতা এবং পদ্মা বহুমুখী সেতুর জন্যই। এতোটাই পরিকল্পিত ছিল এই সেতু নির্মাণে যে নীচের রেলডেক স্লাব প্রস্তুত থাকায় মাত্র চারমাসের মধ্যে রেলসেতু পুরোপুরি বাস্তবায়িত হয়েছে। পাশাপাশি পদ্মা সেতুর দুই পাশের রেল সংযোগ তৈরি করাও ভীষণ চ্যালেঞ্জিং ছিল।

দক্ষিণাঞ্চলের অসংখ্য ছোট-বড় নদী এবং পানির সুষ্ঠু প্রবাহ ও জলবায়ুর প্রভাব বিবেচনায় রেখে জমি অধিগ্রহণসহ অসংখ্য প্রধান সেতু, ছোট সেতু, কালভার্ট, আন্ডারপাস, ওভারপাস তৈরি করতে হয়েছে। এই প্রথম দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা পাথরবিহীন উড়াল রেললাইনে যাত্রা করবে। এই পথে যুক্ত হওয়ায় নতুন স্টেশনে রাখা হয়েছে অত্যাধুনিক কম্পিউটার বেইজড ইন্টারলকিং সিষ্টেম যা ট্র্যাকের সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ট্রেন চলাচলের নিরপত্তা নিশ্চয়তা করবে। সবচেয়ে বড় কথা ১৭২ কিঃ মিঃ এই রেলপথ ঢাকা থেকে খুলনার যাত্রার দূরুত্ব প্রায় ২১৫ কিঃ মিঃ কমিয়ে দিবে। যা অনেকের কাছে ম্যাজিক মনে হতে পারে। কিন্তু এটাই এখন বাস্তবতা। বর্তমানে যেখানে ঢাকা থেকে খুলনার যাত্রা পশ্চিমাঞ্চল রেলের ঘুরপথে প্রায় ৪০০ কিঃ মিঃ পাড়ি দিতে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগে সেখানে নতুন রেলপথে ৩ ঘণ্টায় যশোরে ও ৪ ঘণ্টায় খুলনা পৌঁছানো যাবে। এমনকি এই নতুন রেলপথ দেশীয় সংযোগের পাশাপাশি আন্তঃদেশীয় রুট হিসেবেও ব্যবহৃত হবে। ট্রান্স এশিয়ান করিডোর এ যুক্ত হওয়ায় ভবিষ্যতে পণ্য পরিবহনের সক্ষমতাও বাড়বে। সঙ্গতকারণে এই বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ঘিরে বর্তমান সরকার দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ১৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করছে। তাই ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে ছোট-বড় কারখানা স্থাপনে যেমন তৈরি পোশাক, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, কৃষি পণ্য এবং পাটজাত পণ্য ইত্যাদি। পাশাপাশি পচনশীল খাদ্যপণ্য ও মাছ ব্যবসায়ও প্রসার হবে। যদি এই অঞ্চলে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা যায়, ধারণা করা হচ্ছে প্রায় ৭.৫ লক্ষ নতুন চাকরির সংস্থান তৈরি হবে। এই অত্যাধুনিক রেলপথ দেশের প্রধানতম তিনটি সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা বন্দর (ভবিষ্যতে ঢাকা-যশোরের রেললাইনের একটি ব্রাঞ্চ লাইন কুয়াকাটা পর্যন্ত যাবে) এবং সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপলের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন পণ্য পরিবহনের সুযোগ তৈরি করবে। যার ফলে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) ১ শতাংশ যুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে আমি মনে করি যমুনার বুকে ৩০০ মিঃ উজানে জাইকার সহযোগীতায় চলমান বঙ্গবন্ধু রেলসেতুতে যেমন দুইটি রেললাইন বা ১০০ বছরেরও বেশি পুরানো হার্ডিঞ্জ সেতুতে যেমন ২টি রেললাইন আছে, পদ্মা রেলসেতুতে তদ্রæপ দুইটি রেল লাইনের সংস্থান থাকা উচিত ছিল। যা দেশীয় ও আন্তঃদেশীয় যাত্রী ও পণ্যপরিবহন পরিচালনার দক্ষতা বহুগুণ বাড়িয়ে দিত।

অন্যদিকে আরেকটি প্রশ্ন আমাদের সবার মনেই অনেক সময় ঘুরপাক খায় কেন বাংলাদেশের পর্যটন খাতের সম্ভাবনাকে আমরা কাজে লাগাতে পারলাম না। শ্রীলংকা, ভারত, নেপাল ও মালদ্বীপের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) একটি বড় অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। পর্যটনকে কেন্দ্র করে এশিয়ার অন্যান্য দেশ অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। আমাদের সর্ববৃহৎ সমুদ্র সৈকত আছে, ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট আছে। পাহাড় নদীসহ পর্যটন আকর্ষনের অনেক উপাদান আছে। কিন্তু যোগাযোগ অবকাঠামোর দুর্বলতা ও অব্যবস্থাপনার কারনে এতদিন দেশি বিদেশি পর্যটক আকৃষ্ট না হলেও, তাদের কথা বিবেচনায় নিয়ে নির্মিত হয়েছে দোহাজারী-কক্সবাজার নতুন রেলপথ। শুধু পর্যটনই না, কক্সবাজারের লবণ শিল্প, শুটকি, সামুদ্রিক মাছ, পান ব্যবসার প্রায় ১৫% সম্প্রসারণ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের সাথে এই রেল লিংক যুক্ত হলে রেলে কন্টেইনার পরিবহনের ব্যপক সুযোগ বাড়বে। দেশে চুয়াল্লিশটি জেলা রেলের আওতায় ছিল। দোহাজারী-কক্সবাজার এবং ঢাকা-মাওয়া-যশোর রেল লিংক প্রকল্পের মাধ্যমে শুধুমাত্র চারটি জেলা (রাঙ্গমাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবন ও মানিকগঞ্জ) ছাড়া পুরো বাংলাদেশ রেল নেটওয়ার্কের মধ্যে চলে এসেছে। যার ফলে নিঃসন্দেহে বর্তমান সরকার যোগাযোগ খাতকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন দর্শনের পথে নিয়ে গেছে। ফলে নিরাপদ, আরামদায়ক ও ব্যয়সাশ্রয়ী রেলযোগাযোগ বাংলাদেশের প্রান্তিক মানুষকে শিক্ষা, চিকিৎসা, অন্যান্য সেবাসহ চাকরি বা ব্যবসার প্রয়োজনে দ্রুত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের যেকোন প্রান্তে পৌঁছে দিবে। যা বর্তমান সরকারের দূরদর্শীতারই প্রমাণ রেখেছে।

এখানে বলতেই হয় সূদুর প্রসারী পরিকল্পনার ফলেই মাত্র ১৫ কিঃ মিঃ আখাউড়া-আগরতলা নতুন রেল লিংকটি দেশের নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়ায় আগরতলা থেকে কলকাতার যাত্রার দূরত্ব প্রায় ১১০০ কিঃ মিঃ কমে গেছে। এতে করে যাত্রার সময় ৩১ ঘণ্টা থেকে ১০ ঘণ্টায় নেমে যাবে। এখন দরকার শুধু সুষ্ঠু পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা এবং নীতি নির্ধারক পর্যায়ে বাণিজ্যের কৌশলগত সিদ্ধান্ত যাতে দুই দেশের জন্যই উইন-উইন পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাংলাদেশের রেলওয়ের জন্য গেমচেঞ্জার আরেকটা প্রকল্প হতে পারে খুলনা-মংলা রেলপথ। মংলা সমুদ্র বন্দরের সাথে রেল সংযোগ হওয়াতে কন্টেইনার হ্যান্ডেলিং সক্ষমতা বাহুগুণ বাড়বে। যার ফলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সাথে ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন নতুন সুযোগ তৈরিসহ অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

আমি সুষ্ঠু পরিকল্পনার সবচেয়ে বড় সৌন্দর্যটাই দেখি যখন দূরপাল্লার যাত্রা এবং শহর কেন্দ্রিক যাত্রার মধ্যে একটা মেলবন্ধন তৈরি হয়। এই সরকারের হাত ধরেই শহর কেন্দ্রিক বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে বাংলাদেশ প্রবেশ করেছে। যেহেতু সারাদেশের সমস্ত রেলপথ কমলাপুরে এসে মিশেছে, দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রীরা কমলাপুরে নামার পরে মেট্রোরেলযোগে শহরের মধ্যে অনায়াসে ঢুকতে পারবে সেটাও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এতে দূরপাল্লার রেল যাত্রীদের অতীতের ভোগান্তি অনেকটাই কমার পাশাপাশি তারা সময় ও ব্যয় সাশ্রয়ী গণপরিবহনের আওতায় চলে আসবে। তাই অত্যাধুনিক মেট্রোরেল শহর কেন্দ্রিক এবং দূরপাল্লার উভয় ধরনের যাত্রীদের দ্রুত চলাচলের টনিক হিসাবে কাজ করবে। আবার যেহেতু কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনায় প্রস্তাবিত ৬টি মেট্রোলাইনের মধ্যে ৪টি লাইন সরাসরি কমলাপুরে যুক্ত হবে এবং বাকী দুইটি অন্যান্য লাইনের সাথে আন্তঃসংযোগ ঘটাবে, ফলে কমলাপুর রেলষ্টেশন ভবিষ্যতে মাল্টিমোডাল হাবে রূপান্তরিত হবে। সেটিকে মাথায় রেখেই ইতিমধ্যে রেলওয়ে বিভাগ একটি সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের স্টাডি করছে। মাকড়সার জালের মত মেট্রোলাইন পুরো নগরীতে ছড়িয়ে পড়লে যাত্রীদের যাতায়াতের সুবিধার পাশাপাশি মাল্টিমোডাল হাব ঘিরে রেলের আয়ের একটি বড় সুযোগ তৈরি হবে। ফলে বিগত এক দশকে ব্যাপকভাবে বিস্তৃত হওয়া কয়েকশত কিলোমিটার রেল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন এবং বাণিজ্যিকভাবে কমলাপুর রেলষ্টেশন ব্যবহারের ফলে আয় ব্যয়ের যে ঘাটতিতে রেল অনেকদিন ধরে পড়ে আছে, তা থেকে কিছুটা উত্তরণ হবে বলে আমি ধারণা করছি।
বর্তমান সরকার পরিবেশবান্ধব রেলযোগাযোগ ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে রূপকল্প, ২০৪১ এবং ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার আওতায় বাংলাদেশ রেলওয়েকে স্থল পরিবহন মাধ্যম সমূহের মধ্যে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রদান করেছে। তাই নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে নিঃসন্দেহে রেল বিপ্লব ঘটেছে। এখন প্রশ্ন হলো এই বিশাল নেটওয়ার্ক পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কেমন হওয়া উচিত যাতে দেশের সাধারণ জনগণ দীর্ঘ মেয়াদী সেবা পায়। এটাই টেকসই উন্নয়নের মূল লক্ষ্য। বিনিয়োগ হবে একবার কিন্তু সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদী সুবিধা পাওয়া যাবে। পাশাপাশি রেলওয়ে বিভাগকেও কৌশলী হতে হবে কিভাবে রেলের আয় বাড়ানো যায়।

আমি মনে করি নতুন রেল নেটওয়ার্ক টেকসই করতে হলে কেন্দ্রীয় লোকোমোটিভ কারখানা, ক্যারেজ ও ওয়াগন ওয়ার্কশপগুলোকে পুনরায় জীবিত এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী করতে হবে। নতুন রোলিং স্টকসমূহ (লোকোমোটিভ, ক্যারেজ, ওয়াগন) নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষনসহ দক্ষ টেকনিশিয়ান নিয়োগ ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে হবে। নিয়োগকৃত টেকনিশিয়ানদের নিয়মিতভাবে দেশে বিদেশে আধুনিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি নতুন রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া আধুনিক ষ্টেশনগুলোর সুষ্ঠু পরিচালনার জন্য স্মার্ট জনবল নিয়োগ দিতে হবে। স্মার্ট হিউমেন রিসোর্স উইথ লট অব নলেজ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা গেলে অতি দ্রুত দেশের রেল পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা স্বর্ণযুগে প্রবেশ করবে। যেহেতু ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা-যশোর করিডোরে পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ চালিত ট্রেন পরিচালনার সুযোগ আছে সেহেতু কমখরচে দ্রুত ও বেশি ওজন পরিবহনে সক্ষম বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগেই আমাদের দ্রুত প্রবেশ করা উচিত। যা অনেকটাই স্মাট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহযোগী ভূমিকা রাখবে। সর্বোপরি সরকারকে আমি বলব বিগত একযুগে রেল নেটওয়ার্ক যেভাবে সম্প্রসারণ হয়েছে, সেই হিসাবে রেলকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে সর্বোচ্চ প্রডাক্টিভ করতে হলে প্রচুর গবেষণা হওয়া উচিত। সেই লক্ষ্যে দেশে একটি আন্তর্জাতিক মানের রেলওয়ে রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন উচিত। তবে অন্তবর্তী ব্যবস্থা হিসেবে দ্রুত দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিশেষায়িত রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ খোলা যেতে পারে বলে আমি মনে করি।

লেখক: পরিবহন ও যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়।




একটার পর একটা মেগাপ্রজেক্টের উদ্বোধন: বিস্ময়ে তাই জাগে

বিস্ময়ের শুরু সেই কবে হয়েছে তা যেন দিনে দিনে ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে নতুন নতুন বিস্ময়ের ঝলকানিতে। বহুবছর আগে শুরু করা কাজগুলো একে একে শেষ হচ্ছে, আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হচ্ছে আর অস্ফুটে বেরিয়ে আসছে- সত্যি! এটা সম্ভব হলো তবে। হ্যাঁ এখন অসম্ভবগুলো সম্ভব হয়ে ধরা দিতে শুরু করেছে। বলছিলাম মেগা প্রজেক্টগুলোর কথা।

সরকার তাদের নির্বাচনী ওয়াদা পূরণের বিষয়টি মাথায় রেখে মেগা প্রকল্পগুলো চালু করা শুরু করেছে। এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছেন দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। ৭ অক্টোবর উদ্বোধন হলো বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। এই অক্টোবর মাসেই যোগাযোগ অবকাঠামোসহ নানা খাতের আরও কয়েকটি মেগা প্রকল্প উদ্বোধনের অপেক্ষায় আছে, যা ধাপে ধাপে খুলে দেবে সরকার।

উদ্বোধনের তালিকায় মেগা প্রকল্পগুলোর মধ্যে আছে মেট্রোরেল লাইন-৬, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্প, কক্সবাজার রেল সংযোগ প্রকল্প, আখাউড়া-আগরতলা আন্তদেশীয় রেল সংযোগ প্রকল্প। অথচ এই প্রকল্পগুলো সম্পন্ন করা নিয়ে নেতিবাচক আলাপের শেষ ছিলো না। বিরোধীদল বারবার চেষ্টা করেছে এসব প্রকল্প নিয়ে বিরোধী কথা বলতে। কেন মেট্রোরেল পুরোটা না শেষ করে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন হলো। কেন এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়েতে উঠতে টাকা লাগবে- এরকম নানা প্রশ্ন উত্থাপন করেছে। কিন্তু জনগণ তার ভালোটা ঠিকই বুঝে নিতে চায় এটাও প্রমাণ হতে শুরু করেছে।

গত ডিসেম্বরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বলেছিলেন, মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ আগামী বছর (২০২৩) শেষ হওয়ার কথা থাকলেও শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) সেই পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার ভরসা পাচ্ছেন না। এ কারণে উন্নয়ন দেখাতে কাজ অসমাপ্ত রেখেই ঢাকঢোল পিটিয়ে জনগণের কোটি কোটি টাকা অপচয় করে তাড়াহুড়ো করে মেট্রোরেলের একাংশের উদ্বোধন করা হয়েছে।’ এইধরনের মিথ্যাচারের শক্ত জবাব হিসেবে এই মাসেই শুরু হতে যাচ্ছে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের চলাচল।

এই অক্টোবরে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ। গত ৭ জুলাই আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রার উদ্বোধন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করবেন।

দেশের মানুষের বিস্ময়ে আরেকটি পালক যুক্ত হতে চলেছে কর্ণফুলী টানেল এর মাধ্যমে। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণ হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ টানেলের উদ্বোধন করবেন। টানেলটি চট্টগ্রাম বন্দরকে সরাসরি আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত করা ছাড়াও সরাসরি কক্সবাজারকে চট্টগ্রামের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে। ৩৫ ফুট প্রস্থ এবং ১৬ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুটি টিউব ১১ মিটার ব্যবধানে তৈরি করা হয়েছে, যাতে ভারী যানবাহন সহজেই টানেলের মধ্য দিয়ে চলতে পারে। টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৪০ কিলোমিটার। যার সঙ্গে ৫.৩৫ কিলোমিটারের অ্যাপ্রোচ রোডের পাশাপাশি ৭৪০ মিটারের একটি সেতু রয়েছে, যা মূল শহর, বন্দর এবং নদীর পশ্চিম দিককে এর পূর্ব দিকের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

এই সপ্তাহেই উদ্বোধন হলো রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। ১৯৬১ সালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুরে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সেই সময়কার পাকিস্তান সরকার। ১৯৬৮ সাল নাগাদ জমি অধিগ্রহণসহ বেশ কিছু কাজ আংশিক সম্পন্নও হয়। কিন্তু তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে স্বাধীনতা আন্দোলনের উত্তাল ঢেউ শুরু হলে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত বাতিল করে তৎকালীন সরকার। স্বাধীনতার পরে ফের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের উদ্যোগ নেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার। এ সপ্তাহে সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। পাবনার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়া থেকে ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করার দিনটিকে ‘অত্যন্ত গর্বের ও আনন্দের দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আজ সফল পরিণতি পেলো বলে তিনি মন্তব্য করেন। ৫ অক্টোবর ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এরই মধ্যে পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্পের একাংশ উদ্বোধন হয়েছে। অগ্রগতির তথ্য বলছে, পুরো প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে মাওয়া-ভাঙ্গা অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৯৮ শতাংশ। ঢাকা-মাওয়া অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৮১ শতাংশ। এদিকে ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৮ শতাংশ। ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন বসানো এবং স্টেশন ও অন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আলাদা প্রকল্প নেয় রেলওয়ে ২০১৬ সালের জুনে। জিটুজি পদ্ধতিতে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে চীন। পদ্মা সেতু রেল সংযোগের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ আছে ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত।

আরেকটি বড় বিস্ময় ঢাকা-কক্সবাজার রুটের ট্রেন। এরই মধ্যে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। পর্যটননগরী কক্সবাজারে নির্মাণ করা হয়েছে ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশন। সেপ্টেম্বরে এ রেল সংযোগের উদ্বোধনের কথা থাকলেও কালুরঘাট সেতু সংস্কার ও বান্দরবানের পাহাড়ি ঢলে রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ প্রকল্পের উদ্বোধন পিছিয়েছে। রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অংশ ঠিক করা হচ্ছে। এরপর খুব দ্রুত সময়েই উদ্বোধনের তারিখ জানানো হবে।

একটি দেশের মানুষের সামনে তার এগিয়ে চলার জন্য জীবনের উন্নয়নের জন্য একের পর এক এতোগুলো বিস্ময় সত্যিতে পরিণত হওয়ার পরে আর কোন দ্বিধা থাকে না। একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য দরকার সরকারের ধারবাহিকতা। এটা এর আগেও প্রমাণিত। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী সরকার আসার পরে উন্নয়নের যে পরিকল্পনা করেছিলো পরবর্তীতে ২০০১ এ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে তার কোনটিই এগিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি। ২০০৯ থেকে এসে আবারও সেই জায়গাগুলোসহ আরও নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয় আওয়ামী সরকার। এবং সেসময় থেকে আজ পর্যন্ত টানা সরকার পরিচালনার দায়িত্বে থাকার কারণেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। এটা এখন জনগণ বুঝতে শুরু করেছে। ফলে বিরোধীদল থেকে কেবল বিরোধিতা করার জন্য নেতিবাচক কথা ছড়িয়ে এখন মানুষের বিস্ময় কাটানো যাবে বলে মনে হয় না।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




দর্শনা সরকারি কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে এমপি টগর

দর্শনা সরকারি কলেজ নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হাজী মোঃ আলী আজগার টগর এমপি নবীনদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি এই কলেজের ছাত্র ছিলাম। ভালো ছাত্র হওয়ার আগে, ভালো মানুষ হতে হবে। তোমরা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার দীক্ষা দর্শনা সরকারি কলেজ থেকেই নেবে। ভালো মানুষ হতে হলে পড়াশুনা করতে হবে। তোমরাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ। তাই তোমাদের সুপথে চলতে হবে আলোকিত মানুষ হতে হবে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবীর প্রেক্ষিতে প্রধান অতিথি বলেন, কলেজে অচিরেই একটি আধুনিক মানের ছাত্র ছাত্রী জন্য হোস্টেল নির্মাণ করা হবে এবং মাষ্টার যাতে এই কলেজে থেকে পরীক্ষা দিতে পারে তা চালু করার জন্য যা যা করার আমি আপনাদের সহযোগিতা করবো। শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন পর্যায়ক্রমে তা অবশ্যই করা হবে।

দর্শনা সরকারি কলেজে ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নবাগত শিক্ষার্থীদের বরণ করতে কলেজ প্রাঙ্গনে উৎসবমুখর পরিবেশে দর্শনা কলেজে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসার রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের মাননীয় সাংসদ হাজী মোঃ আলী আজগার টগর এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধার রুস্তম আলী, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দর্শনা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফ, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, জীবননগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল সালাম ইশা,দর্শনা কলেজ ছাত্র লীগের সভাপতি পারভেজ, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন তপু, সাংগঠনিক সম্পাদক আলী আবরার অপুপ্রমুখ। কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মচারীসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জামসেদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্টানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও পবিত্র গীতা পাঠ করেন কলেজের ছাত্র ছাত্রী। এরপর প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।

আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মধ্যে দিয়ে মনোমুগ্ধকর গানের মাধ্যমে শেষ হয় অনুষ্টানটি।




আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৪ সদস্য গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গায় মোটরসাইকেল চোর চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা থেকে  আজ রবিবার ভোর পর্যন্ত জেলার জীবননগর উপজেলায় এ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তার চারজন হলেন- হৃদয় হোসেন (১৯), রুবেল হোসেন (২৪), তাকবীর হোসেন (২৮), সানী হোসেন (৩৫)।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, ‌ বেশ কিছুদিন ধরেই আমাদের কাছে চোরাই মোটরসাইকেল কেনাবেচার অভিযোগ আসছিল। এসব অভিযোগে তদন্তে নেমে, শনিবার সন্ধ্যায় আমরা প্রথমে উপজেলার মুন্সিগঞ্জের হাসপাতাল মোড়ে হৃদয় নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করি। তার নিকট থেকে একটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে, জীবননগর উপজেলা থেকে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে আরো তিনটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান, গ্রেপ্তার আসামিরা সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্য। তাদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী অভিযান চলমান রয়েছে। আটকৃত চার আসামীর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইউসুব আলী বাদি হয়ে একটি চুরির মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




মুজিবনগর বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ

মুজিবনগর কৃষি প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের বীজ ও সার বিতরণ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস ।

আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলা কৃষি অফিস চত্তরে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, ২০২৩/২০২৪ অর্থবছরে খরিফ মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করা হয়।

মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বীজ ও সার বিতরণের উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মোমিন,উপজেলা উদ্ভিদ ক্ষেত্র সরকারি মিজানুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য সচিব আয়ূব হোসেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক,৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল মন্ডল টুইস সহ উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারি বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।

মুজিবনগর উপজেলার ৪ ইউনিয়নে মোট ১৮০ জনকে জনপতি ১কেজি বীজ,২০ কেজি ডিএপি,২০ কেজি এম ও পি, পলিথিন ১৫০ বর্গমিটার, লাইন সুতা ০.৫০ , বালাইনাশক ০.১০ , ৪টি করে বাঁশ ও বিকাশের মাধ্যমে ২ হাজার টাকা প্রদান করা হবে।




আলমডাঙ্গায় ভেজাল গো খাদ্য বিক্রয়ে দোকান মালিককে জরিমানা

আলমডাঙ্গার হাউসপুর ভেজা পশু খাদ্য বিক্রয়ের অভিযোগে এক দোকান মালিককে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ রবিবার বিকেলে উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের হাউসপুর ব্রিজ সংলগ্নে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) রেজওয়ানা নাহিদ এ আদালত পরিচালনা করেন।

আদালত সূত্রে জানাগেছে, উপজেলা হাউসপুর ব্রিজ সংলগ্নে মুন্সী টেডার্স নামক একটি দোকানে ভেজাল গো খাদ্য বিক্রয়ের অভিযোগ ওঠে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। ওই দোকান মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়াও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণীসম্পদ অফিসের ডাঃ মুস্তাকিম মুকুট ও থানা পুলিশের একটি টিম।