আফগানদের হারিয়ে সুখবর পেলো বাংলাদেশ

বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতে সুখবর পেল বাংলাদেশ। ধর্মশালার আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। অপরদিকে, শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছে। ফলে লঙ্কানদের পেছনে ফেলে আবারও সাত নম্বরে উঠেছে বাংলাদেশ।

রোববার (৮ অক্টোবর) প্রকাশিত আইসিসি ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের রেটিং পয়েন্ট ৯৩। অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা লঙ্কানদের রেটিং পয়েন্ট এখন ৯১।

ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ভারত। র‍্যাংকিংয়ে দুইয়ে আছে পাকিস্তান। তাদের রেটিং পয়েন্ট ১১৫।

পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ১১২ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে। ১০৮ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর ১০৪ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে আছে নিউজিল্যান্ড।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজে গভর্নিং বডির মতবিনিময় সভা

কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাথে শিক্ষক দের  মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১.৩০ মিনিটের সময় কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মিলানায়তন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও ১ নং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা, গভর্নিং বডির সদস্য ও ২ ওয়ার্ডের মেম্বর জিনারুল ইসলাম, সদস্য চুন্নু মিয়া ইউসুফ আলী, সদস্য কল্পনা খাতুন, ও কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ হাফিজুল ইসলাম সহ স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক, সহকারী শিক্ষক ও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মচারী বৃন্দ।

সভায় সভাপতি মিজানুর রহমান রানা তার বক্তব্য আগামীর জন্য দিক নির্দেশনা তুলে ধরেন ও কর্যকর করার নির্দেশ প্রদান করেন। এবং সভাপতি মিজানুর রহমান রানা প্রতিটি ক্লাসে যেয়ে ক্লাস পরিদর্শন করেন, সাথে সকল শিক্ষার্থী দের পড়াশোনায় মনযোগী হওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের লেখা পড়ার মান উন্নয়ন, এস এস সি এইস এস সি তে রেজাল্ট ১০০% পাস ও এ+ এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে হবে।
ছাত্র ছাত্রী দের স্কুলে উপস্থিতি শতভাগ নিশ্চিত করতে হবে।প্রয়োজনে অবিভাবকদের শরণাপন্ন হতে হবে। তার পরেও না হলে গভর্নিং বডিকে জানাতে হবে। প্রতিটি শ্রেণীর যারা বছরে সর্বোচ্চ উপস্থিত থাকবে তাদের আমার পক্ষ থেকে পুরুষ্কার থাকবে।সকল ছাত্র ছাত্রী দের শতভাগ স্কুল ড্রেস নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষক প্রভাষক কর্মচারী বৃন্দ কে স্কুল সুরু হওয়ার ১৫ মিনিট আগে উপস্থিত থাকতে হবে। আমি মাঝে মাঝে পরিদর্শন করবো যদি ব্যাত্যয় ঘটে সেই সকল শিক্ষক কর্মচারীদের বিরুদ্ধে প্রসাশনিক ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এ্যাসেম্বলির সময় সকল শিক্ষক কে উপস্থিত থাকতে হবে। সময় মত ক্লাসে যেতে হবে এবং নিতীমালা অনুযায়ী ক্লাস গ্রহন করতে হবে।
ক্লাস চলাকালীন সময়ে কোন শিক্ষক মোবাইল ফোন ব্যাবহার করতে পারবেনা।প্রতিটি ক্লাসে হোয়াইট বোর্ড ও মার্কারের ব্যাবহার করতে হবে যাতে করে ছাত্র ছাত্রী ক্লাস বুঝতে সমস্যা না হয়। এবং গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে ক্লাস পরিচালনা করতে হবে।
নির্দিষ্ট সময়ে প্রতিষ্ঠান ছুটি দিতে হবে তার আগে প্রতিষ্ঠান ছুটি দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে জবাবদিহি করা হবে। যার যথাযথ কারন অবশ্যই দেখাতে হবে।
এ ছাড়াও প্রতিষ্ঠান প্রধান গভর্নিং বডির কাছে প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন এবং প্রতিষ্ঠানের সার্বিক মান উন্নয়নে সহযোগিতা কামনা করেন।

এবং সকল শিক্ষক বৃন্দদের সাথে মতামত গ্রহন করেন আগামী বোর্ড পরীক্ষায় ছাত্র ছাত্রী দের রেজাল্ট ভালো করার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহন করা যেতে পারে।সে অনুযায়ী পরিকল্পনা ও ব্যাবস্থা গ্রহন করে সভার সমাপ্তি করেন।




দেবাশীষ বাগচির বিরুদ্ধে চেক চুরির অভিযোগ এনে মামলা মৃদুলের

চেক ডিজঅনার হওয়াতে উকিল নোটিশ পাঠানো দেবাশীষ কুমার বাগচির বিরুদ্ধে উল্টো চেক চুরির মামলা করেছেন শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল।

দেবাশীষ কুমার বাগচির বিরুদ্ধে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়েরের পর, এবার তাকে প্রতারক, বিশ্বাস ভঙ্গকারী ও চোর প্রকৃতির লোক আখ্যায়িত করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ছোট ভাই শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য়, আমলী আদালত মেহেরপরে দন্ডবিধির ৪৪৭, ৩৮০, ৪০৬ ও ৪০৮ ধারাতে আদালতে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৭৮৭/২০২৩।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল সশরীরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আমলী আদালত মেহেরপুরে হাজির হয়ে তার আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মতিনের মাধ্যমে মামলা দায়েরের আবেদন করলে আদালত মামলাটি আমলে নেন এবং ওসি তদন্তকে মামলাটির তদন্তভার দেন।

নালিশি মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে মামলার আবেদনে মৃদুল বলেছেন থানায় জিডি করা এবং ৯৮ ধারাতে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা থাকার কারণে এই মামলাটি করতে বিলম্ব হয়েছে।

তিনি মেহেরপুর শহরের প্রতিষ্ঠিত পরিবারের সন্তান এবং একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ব্যবসায়ী। তার পিতা মরহুম ছহিউদ্দিন সাহেব মেহেরপুর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, তিন বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য। তার ভাই একজন নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী। তার পরিবারের সকল সদস্য শিক্ষিত স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে মেহেরপুর ও বাইরের জেলাতে সুনামের সাথে ঠিকাদারী ব্যবসা করে আসছেন। পাশাপাশি মেহেরপুর জেলা যুবলীগেণ যুগ্ম-আহবায়ক পদে থেকে সক্রিয় ভাবে রাজনীতি করছেন।

যুবলীগের কর্মী হিসাবে মৃদুলের সাথে দেবাশীষ বাগচির সম্পর্ক ছিলো। মৃদুলের ব্যবসায়িক অফিসে কর্মী হিসাবে আসামি দেবাশীষ বাগচির যাওয়া আসা ছিলো এবং মৃদুলের হুকুম শোনার ও বাহক হিসাবে তার কাছে থাকতো।

ইতোপূর্বে গত ৫ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১১টায় মেহেরপুরের সোডাপ মিলনায়তনে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের বিরুদ্ধে করা সংবাদ সম্মেলনে পাওনা টাকা ও ন্যায়বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলেন মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য দেবাশীষ কুমার বাগচি মনু।

সে সময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দেবাশীষ কুমার বাগচি মনু বলেছিলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান এবং আমি নিজেও বর্তমানে মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। পারিবারিক সূত্রে বহু বছর যাবৎ ঠিকাদারি ব্যবসা করে আসছি। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সঙ্গে যৌথভাবে ঠিকাদারি ব্যবসা শুরু করি। ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত গণপূর্ত, জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা প্রকৌশলী, এলজিইডিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টা নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করেছি। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ২৫ থেকে ২৭ কোটি টাকা। ২০২১ সালের প্রথম দিকে যৌথ ঠিকাদারি ব্যবসা পরিসমাপ্তি ঘটালে তার সঙ্গে আমার মূলধন ও লভ্যাংশসহ আনুমানিক দুই কোটি ৫০ লাখ টাকার বেশি পাওনা হয়। প্রাপ্য টাকা না পেয়ে আমি, আমার ও তার পরিবারের লোকজনসহ জেলা যুবলীগের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে অবহিত করি। এক সময় সবার হস্তক্ষেপে ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে আমার সঙ্গে হিসাব করতে রাজি হয়। আমি হিসাবে বসতে বললে বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করে। একপর্যায়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললে তখন সে মৌখিকভাবে এক কোটি ৮০ লাখ টাকা দেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মীমাংসা করে এবং আমাকে চলতি বছরের জুলাই মাসের ১৬ তারিখে ঢাকায় যেতে বলে। ঢাকার আদাবরে তার বাসার সামনে গেলে রিংরোড সাহাবুদ্দিন প্লাজার ওসিস কফিশপে বসে আমাকে ২৪ জুলাই তারিখ দিয়ে রূপালি ব্যাংক মেহেরপুর শাখার এক কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করে। আমি চেকে দেওয়া তারিখ অনুযায়ী ২৪ জুলাই টাকা উত্তোলনের জন্য অগ্রণী ব্যাংকে চেক জমা করি। এক সপ্তাহ পর ব্যাংক থেকে চেক ডিজঅনার দেখিয়ে সার্টিফিকেট প্রদান করে। যেখানে লেখা আছে, গত ৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু ওই চেক ব্যাংকে জমা দেওয়ার দিনই চেকদাতা শহীদ সরফরাজ মৃদুল চেকটি হারিয়ে গেছে বলে মেহেরপুর থানায় একটি মিথ্যা জিডি করে, যার নম্বর ১২৭৫। এর পর থেকে সে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে এবং আমি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের হওয়ায় জাত তুলে গালাগাল করে। আমি নিরুপায় হয়ে গত ৩০ আগস্ট শহীদ সরফরাজ হোসেন মৃদুলের নামে একটি আইনি নোটিশ পাঠাই। একই দিন আমার বিরুদ্ধে সে আদালতে একটি পিটিশন মামলা করে। ওই মামলার কারণে ১ সেপ্টেম্বর আমার বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালায়। বর্তমানে আমি ও আমার পরিবার হুমকির মধ্যে রয়েছি। আমি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ হিসেবে আমাকে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। আমাকে দেওয়া চেক ছিনিয়ে বা প্রশাসনিক ক্ষমতায় নিয়ে নেওয়া হলে এবং আমি ন্যায়বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় থাকবে না।’

উক্ত সংবাদ সম্মেলনটিতে মেহেরপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় পুলিশ সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন

বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলায় নায়েক ও কনস্টেবলদের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স এর ১৪তম ব্যাচের শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম।

বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম সার্বিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশের সকল পদমর্যাদার সদস্যদের নিয়ে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় ১৪তম ব্যাচের সপ্তাহ ব্যাপি পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্য পোষাকের মর্যাদা, সৌজন্যতা ও মার্জিত আচরণ, সহকর্মী ও সেবা প্রত্যাশীদের সাথে পেশাগত আচরণ ও করণীয়-বর্জনীয় সম্পর্কে আলোকপাত করেন।

উক্ত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান , আরআই পুলিশ লাইন্স চুয়াডাঙ্গা মোঃ আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ইনসার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের প্রতিনিধিসহ চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ সদস্যবৃন্দ।




হিথ্রো ও চাঙ্গি এয়ারপোর্টের সুবিধা থাকছে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনালে

বদলে গেছে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের চেহারা। নান্দনিক রূপে তৈরি হওয়া বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আশা করছেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টর্মিনাল হবে বিশ্বের অন্যতম হাব। যেখানে পর্যায়ক্রমে অন্তত অর্ধশত দেশের বিমান উঠানামা করবে, ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করবে।

সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে তৈরি তৃতীয় টার্মিনালে মিলবে লন্ডনের হিথ্রো, তুরস্কের ইস্তাম্বুল, জার্মানির ফ্রাস্কফ্রোর্ট কিংবা বিশ্বের অন্যান্য আধুনিক বিমানবন্দরের সকল সুযোগ সুবিধা। যাত্রী সেবা ও ব্যবস্থাপনায় থাকবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কোনরকম হয়রানি ছাড়াই স্বল্প সময়ে যাত্রীরা সর্বোচ্চ সেবা পাবেন তৃতীয় টার্মিনাল থেকে। আশা করা হচ্ছে, তৃতীয় টার্মিনালের কারণে বছরে দুই কোটি ২০ লাখ যাত্রী এই বিমানবন্দর ব্যবহার করবেন।

যেসব সুযোগ-সুবিধা থাকবে
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে প্রথম ও দ্বিতীয় টার্মিনালের চেয়ে বহুগুণ বেশি সুযোগ সুবিধা থাকছে। স্থান সংকুলান থেকে শুরু করে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে নতুন টার্মিনালে। প্রথমত তৃতীয় টার্মিনালের আয়তন বর্তমান দুই টার্মিনালের মোট আয়তনের প্রায় আড়াইগুণ। এটির আয়তন হচ্ছে দুই লাখ ৩০ হাজার বর্গফুট। ৩৫০ একর জমির ওপর নির্মিত তৃতীয় টার্মিনাল ভবন দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের আলোয় আলোকিত থাকবে। ফলে বিদ্যুৎ ব্যবহার হবে কম। বিশাল আয়তনের তৃতীয় টার্মিনাল ভবনের চারপাশ কাচ দিয়ে ঘেরা। দেয়ালে থাকছে বাংলাদেশের ষড়ঋতুর বৈচিত্রময় ছয়টি রঙের ছটা।

এখানে একসঙ্গে থাকছে ৪০টি কেবিন এক্সরে মেশিন, ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজ, ১৬টি কনভেয়ার বেল্ট, ১১টি বডি স্ক্যানার ও টানেল। থাকবে ৫৪ হাজার বর্গমিটারের বহুতলবিশিষ্ট কার পার্কিং, নতুন ইমপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স ও ৬৩ হাজার বর্গমিটারের এক্সপোর্ট কার্গো কমপ্লেক্স। এ ছাড়া থাকছে রেসকিউ ও ফায়ার ফাইটিং স্টেশন এবং ৪ হাজার বর্গমিটার ইকুইপমেন্ট স্টেশন। উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য তৈরি হচ্ছে ২৪ হাজার বর্গমিটার কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ে (উত্তর), ৪২ হাজার ৫০০ বর্গমিটার কানেক্টিং ট্যাক্সিওয়ে (অন্যান্য) এবং ২২ হাজার বর্গমিটার র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে (উত্তর) ১৯ হাজার ৫০০ বর্গমিটার র্যাপিড এক্সিট ট্যাক্সিওয়ে (দক্ষিণ), ৯৬ হাজার ৫০০ বর্গমিটার সোল্ডার, জিএসই রোড ৮৩ হাজার ৮০০ বর্গমিটার, সার্ভিস রোড ৩৩ হাজার বর্গমিটার ও ড্রেনেজ ওয়ার্কস (বক্স কালভার্ট ও প্রোটেক্টিভ ওয়ার্কস)।

টার্মিনালের চারদিকে থাকছে নিশ্ছিদ্র বাউন্ডারি ওয়াল, সিকিউরিটি গেট, গার্ড রুম ও ওয়াচ টাওয়ার। এর বাইরে ল্যান্ড সাইড, সার্ভিস রোডসহ এলিভেটেড রোড, ওয়াটার সাপ্লাই সিস্টেম, সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ইনটেক পাওয়ার প্ল্যান্ট ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম, কার্গো কমপ্লেক্সের জন্য সিকিউরিটি ও টার্মিনাল ইকুইপমেন্ট, এয়ারফিল্ড গ্রাউন্ড লাইটিং সিস্টেম, হাইড্রেন্ট ফুয়েল সিস্টেমসহ আনুষঙ্গিক সব সুবিধা থাকছে। এছাড়া অন্যতম আকর্ষণ হিসাবে ফানেল টানেল রাখা হয়েছে।

বেবিচকের তথ্যানুযায়ী, থার্ড টার্মিনালের ২৬টি বোর্ডিং ব্রিজের মধ্যে প্রথম ধাপে চালু করা হচ্ছে ১২টি। থাকছে উড়োজাহাজ রাখার জন্য ৩৬টি পার্কিং বে। ৫ লাখ ৪২ হাজার বর্গমিটারের এপ্রোনে একসঙ্গে রাখা যাবে ৩৭টি উড়োজাহাজ। বহির্গমনের জন্য ১৫টি সেলফ সার্ভিস চেকইন কাউন্টারসহ মোট ১১৫টি চেকইন কাউন্টার থাকছে। এছাড়া ১০টি স্বয়ংক্রিয় পাসপোর্ট কন্ট্রোল কাউন্টারসহ থাকবে ৬৬টি ডিপারচার ইমিগ্রেশন কাউন্টার।
আগমনের ক্ষেত্রে থাকছে পাঁচটি স্বয়ংক্রিয় চেকইন কাউন্টারসহ মোট ৫৯টি পাসপোর্ট ও ১৯টি চেকইন অ্যারাইভাল কাউন্টার। থাকছে ১৬টি আগমনী ব্যাগেজ বেল্ট। গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য থার্ড টার্মিনালের সঙ্গে মাল্টিলেভেল কার পার্কিং ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। যেখানে এক সঙ্গে থাকবে ১ হাজার ২৩০টি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিমানবন্দরের সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে থার্ড টার্মিনালে। এছাড়া চিরাচরিত হাতে করে যাচ্ছে তাই ভাবে লাগেজ ছুড়ে ফেলার বদলে এবার পুরো লাগেজ হ্যান্ডিলিং হচ্ছে স্বয়ংক্রিয়। লাগেজের জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। কোনো যাত্রী লাগেজ রিসিভ না করলে, সেটি স্বয়ংক্রিয় ভাবে চলে যাবে লাগেজের জন্য পৃথক রুমে।

এ আই সিস্টেমের মাধ্যমে যাত্রীকে বিমান বন্দরে নির্দিষ্ট কাউন্টার ও লাইনে দাঁড়াতে সিগনাল দেয়া ব্যবস্থা রয়েছে। এর বাইরে থাকবে নবজাতক সন্তানদের জন্য ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার। কানেক্টিং ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষারতদের বিনোদনের ব্যবস্থা। বড় আয়তনের বিশ্বমানের ব্র্যান্ড এর সমন্বয়ে ডিউটি ফ্রী শপিং জোন।

যেভাবে গড়ে উঠেছে তৃতীয় টার্মিনাল
২০১৯ এর ডিসেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। আর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তৃতীয় টার্মিনালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এই বিমানবন্দর। চার বছরে নির্মাণ কাজ শেষ করার লক্ষ্য নিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগেই টার্মিনাল ভবনসহ তৃতীয় টার্মিনালের ৮৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়। স্বল্প সময়ে এবং বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করা হয়েছে এতে। দিনেরাতে কাজ করেছেন কয়েক হাজার নির্মাণ শ্রমিক থেকে শুরু করে প্রকৌশলীসহ সবাই।

বাহারিনের নকশা
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের তৃতীয় টার্মিনালটি সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরের আদলে গড়া। এর মুল নকশা করেছেন বিশ্বখ্যাত স্থপতি রোহানি বাহারিন। সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি এয়ারপোর্টের তৃতীয় টার্মিনাল সহ পৃথিবীর অনেকগুলো দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নকশা এই স্থপতির হাত দিয়েই তৈরি। তার তৈরি নকশায় চীনের উহান এয়ারপোর্ট, গুয়াংজু এয়ারপোর্ট, ভারতের আহমেদাবাদ এয়ারপোর্ট, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ এয়ারপোর্ট, ফুকুওকা এয়ারপোর্ট। এছাড়াও মরিশাস, ফিজি, মিয়ানমার, মালদ্বীপ, ফিলিপাইন, ব্রুনেই, কম্বোডিয়ার বিভিন্ন এয়ারপোর্ট এর নকশা করেছেন রোহানি।

আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলোর সাথে চুক্তি
তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহার ও বাংলাদেশে নতুন করে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য ইতোমধ্যে ব্রুনাই, মরিশাস, সুইজারল্যান্ড এর বিমান সংস্থাগুলো চুক্তি সম্পন্ন করেছে। ৫৪ টি দেশের বিমান সংস্থা এই টার্মিনাল ব্যবহার করার জন্য ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ আশা করছে, তৃতীয় টার্মিনাল বহিবিশ্বে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে নতুন আঙ্গিকে এবং নিয়ে যাবে অনন্য উচ্চতায়। এর সূত্র ধরেই শাহজালাল হবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমান সংস্থার অন্যতম হাব।

যোগাযোগ ব্যবস্থা
মেট্রোরেল এবং এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে সরাসরি যাতে এই টার্মিনালে মানুষ আসা-যাওয়া করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে। তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে নির্মাণাধীন পাতাল রেল। থাকছে টানেল। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, তৃতীয় টার্মিনাল থেকে যাতায়াত সুবিধা থাকবে অত্যাধুনিক ও নিরাপদ।

নান্দনিকতায় রূপ পাওয়া তৃতীয় টার্মিনারের নির্মাতা যারা

শাহজালাল বিমান বন্দরের এই তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ করছে জাপানের মিতসুবিশি ও ফুজিতা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং কোম্পানি। এই নির্মাণ প্রতিষ্ঠনগুলোর বুর্জ খলিফার মতো বিশ্বখ্যাত টাওয়ারের নির্মাণের অভিজ্ঞতা রয়েছে। এছাড়াও মালয়েশিয়ার পেট্রনাস টুইন-টাওয়ার, সৌদি স্টক এক্সচেঞ্জের তাদাওয়াল টাওয়ার, কোরিয়ার ইচন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট, আবুধাবীতে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ লাক্সারি হসপিটাল ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক’ নির্মান করেছে স্যামস্যাং এর মতো বিশ্ববিখ্যাত নির্মাতা প্রতিষ্ঠান।




দর্শনা পুলিশের অভিযানে ইয়াবা ও ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার ১

দর্শনা থানা পুলিশ ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে।

আজ শনিবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে দর্শনা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ ফজলুর রহমান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ দর্শনা পৌর এলাকার পাঠানপাড়ার রেল কলোনীর সামনে এক অভিযান চালায়।

এসময় দামুড়হুদার জয়রামপুর কলোনী পাড়ার আঃ কুদ্দুসের ছেলে রিপন হোসেন(২২)কে আটক করে।পরে তার দেহ তল্লাসী করে ৬০ পিস ইয়াবাট্যাবলেট উদ্ধার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।




দর্শনা সীমান্তে ২০ লক্ষ টাকার রুপার গহনাসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে প্রায় ২০ লাখ ৭০ হাজার  টাকার ১২ কেজি  ভারতীয় রুপার গহনাসহ জুবায়ের ওরফে টিপু (২১)নামের এক চোরাকারবারীকে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ।
সে দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর  পশ্চিম পাড়ার লিটন মন্ডলের ছেলে।
জানাগেছে আজ শনিবার ৭ অক্টোবর দুপুর ৩ টার দিকে দামুড়হুদা সার্কেল  সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানার তত্ত্বাবধানে,দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহার নেতৃত্বে, দর্শনা থানার এস আই খান আব্দুর রহমান, এ এস আই মারুফ, এ এস আই বশির আহম্মেদ, এ এস আই সানোয়ার হোসেন,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ  অভিযান চালায় নাস্তিপুর গয়েরভাঙ্গা মাঠের পিচ রাস্তার উপর।
এ সময় পুলিশ তার ব্যবহৃত এ্যাপাছি আর টি আর  মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। পরে তার বাজারের প্লাষ্টিকের ব্যাগ তল্লাশী করে  স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো  ১০টি প্যাকেট থেকে  ১২ কেজি ৮০ গ্রাম (১০৩৫ ভরি) ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনা উদ্ধার করে। যার আনুমানিক বাজার মৃল্য ২০ লাখ ৭০ হাজার টাকা।এ ঘটনায় এস আই টিপু সুলতান বাদি হয়ে  গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।



বড় পর্দায় টেলর সুইফট, ১০ কোটি ডলারের বেশি টিকিট বিক্রি

কণ্ঠের জাদুতে গোটা বিশ্বকে মাতিয়ে রেখেছেন পপতারকা টেলর সুইফট। এবার অভিনয় দিয়েও দর্শক মাতাতে আসছেন তিনি। প্রেক্ষাগৃহে আসছে টেলর অভিনীত সিনেমা ‘টেলর সুইফট: দ্য ইরাস ট্যুর’। ভক্তরাও তার অভিনয় দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। সংগ্রহ করছেন অগ্রীম টিকিট। এরই মধ্যে এই সিনেমার অগ্রিম টিকিট বিক্রি হয়েছে ১০ কোটি ডলারের বেশি। খবর ভ্যারাইটির।

এই মুহূর্তে নিজের বিখ্যাত মিউজিক্যাল সফর ‘ইরাস ট্যুর’ দিয়ে বিশ্ব মাতাচ্ছেন এই পপতারকা। গায়িকার এই ট্যুর বিশ্বে এতটাই জনপ্রিয় হয়েছে যে, এ ট্যুর গানের একটি ‘ঐতিহাসিক ট্যুর’ হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে। এই খ্যাতির পরিধি আরও বাড়িয়ে তুলতে কনসার্টের সেরা মুহূর্তগুলো নিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি সিনেমা। ইতিমধ্যে নির্মাণ হয়ে গেছে সিনেমাটি। সিনেমায় এবারের সফরের কনসার্টগুলোকে চিত্রায়িত করা হয়েছে।

২ ঘন্টা এবং ৪৫ মিনিটের ফিল্মটি ১৩ অক্টোবর বড় পর্দায় আসবে। সিনেমা বোদ্ধারা বলছেন, কনসার্ট মাতানোর পাশাপাশি বক্স অফিসেও রাজত্ব করবেন গায়িকা। মার্কিন সাময়িকী ভ্যারাইটির প্রতিবেদন, ১০০টি দেশের প্রায় ৮৫০০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

১৩ সংখ্যাটি গায়িকার জন্য ভাগ্যবান সংখ্যা বলেই ধরা হয়। তাই ১৩ তারিখেই মুক্তি দেওয়া হচ্ছে সিনেমাটি। এর আগে গত ৩১ আগস্ট প্রকাশ করা হয়েছে এই সিনেমার ট্রেলার। কনসার্ট সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন স্যাম রেঞ্চ।




কৃষি নীতি: খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতার একটি নীলনকশা

আঠারো শতকের বাংলা ছিল একটি সমৃদ্ধি ও সুখের দেশ। সেই স্বর্ণযুগের বাংলাদেশ ছিল কৃষি প্রাচুর্যে পরিপূর্ণ। দেশটি তখন কৃষি উৎপাদনের জন্য সারা বিশ্বে বিখ্যাত ছিল। মসলিন কাপড়, রেশম, তুলা, মশলা ইত্যাদি রপ্তানি করত বলে আমাদের এদেশ তখন অনেক বিদেশী ব্যবসায়ীকে আকর্ষণ করেছিল। অষ্টাদশ শতকে বাংলা ছিল তৎকালীন সময়ের একটি লোভনীয় বানিজ্য কেন্দ্র। সেসময়ের বাংলাকে জীবনমানের দিক থেকে গ্রেট ব্রিটেনের সাথে তুলনা করা হতো।

পরাধীনতার যাতাকলে বাংলার জৌলশ যখন অস্তমিত, সমৃদ্ধির দেশ যখন খাদ্য ঘাটতির দেশ হিসেবে নিমজ্জিত, দুর্ভিক্ষ ও দারিদ্রতা যখন জেঁকে বসেছিল বাংলায়, এ মাটিতে তখন আবির্ভাব হয় এক কালজয়ী নেতার- তিনি হলেন আমাদের বঙ্গবন্ধু। বাংলার গৌরবময় অতীতকে পুনরুদ্ধার করার চিন্তায় সর্বদা বিভোর থাকতেন তিনি। তিনি বিশ্বাস করতেন টেকসই কৃষি উৎপাদন অর্জনের মাধ্যমে বাংলার স্বর্ণযুগের গৌরবকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর অর্থনৈতিক সংকট ছিল প্রকট। সকল ধরনের মৌলিক চাহিদা বিশেষকরে খাদ্য ঘাটতি ছিল প্রচুর। সারে সাত কোটি মানুষের দেশটিতে তখন খাদ্য ঘাটতি ছিল ২৫-৩০ লক্ষ মেট্রিক টন। স্বাধীন দেশের দায়িত্ব গ্রহণের পরই বঙ্গবন্ধু কৃষিখাতে বিশেষ জোর দিয়েছিলেন। তাঁর স্বপ্ন ছিল খাদ্যে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। নয় মাসের যুদ্ধ বিধবস্ত দেশটিতে কৃষকরা মাঠে ফসল ফলাতে সমস্যায় পড়েন। যুদ্ধের সময় অনেক কৃষককে বাড়ি ছেড়ে যেতে হয়েছিল, ফলে অনেকেই জমি চাষ করতে পারেনি। এছাড়া ফসল ফলানোর জন্য কোন বীজ, সার ও কীটনাশক ছিল না। সেচ সুবিধার ঘাটতিও ছিল প্রকট। বঙ্গবন্ধু ভাল করেই জানতেন দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে হলে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। তাই তিনি কৃষিক্ষেত্রের উন্নতির জন্য ১৯৭২ সালে সবুজ বিপ্লবের ডাক দেন এবং বালার জনগণকে বেশি বেশি ফসল ফলানোর তাগিদ দেন।

বঙ্গবন্ধু ১৩ জানুয়ারি ১৯৭২ সালে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠকেই কৃষকদের জন্য একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। স্বাধীন দেশের প্রথম আর্থিক বাজেটে, মোট ৫০০ কোটি টাকা উন্নয়ন বাজেটের মধ্যে ১০১ কোটি টাকাই তিনি বরাদ্দ প্রদান করেন কৃষি খাতে। তাঁর সরকার স্লোগানটিকে কেবল স্লোগান হিসেবেই ব্যবহার করেনি; বরং ২২ লাখের বেশি গৃহহীন কৃষক পরিবারকে অত্যন্ত কম সময়ের মধ্যে দক্ষতার সহিত পুনর্বাসন করেছিল। তিনি দেশের ভূমিহীন কৃষকদেরকে খাস জমি বিতরণের ব্যবস্থাও করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু কৃষির সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি কার্যকরী সমীক্ষা সম্পন্ন করেছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন একটি পূর্ণাঙ্গ সমীক্ষা ছাড়া কৃষিক্ষেত্রের উন্নয়ন সফল হবে না। যথাযথ পরিকল্পনার জন্য এটি অপরিহার্য ছিল। এ জরিপের ভিত্তিতে তিনি কৃষিক্ষেত্রের সার্বিক উন্নয়নের মহা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিলেন।

শিক্ষিত জনগণকে কৃষিকাজে সম্পৃক্ত করার জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রচেষ্টা ছিল প্রবল। বঙ্গবন্ধুর সরকারের সময় কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদ সম্মন্ধে যথেষ্ঠ জ্ঞান না থাকায় তিনি মেধাবী শিক্ষার্থীদের কৃষি শিক্ষা গ্রহণের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেলেন যাতে করে তারা বাংলার কৃষকদের আধুনিক চাষাবাদের জন্য প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের সমাবর্তনে কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেদিন তিনি তাঁর বক্তৃতায় কৃষি গ্রাজ্যুয়েটদের উদ্দেশ্যে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছিলেন-”কৃষিক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য শুধু বই পড়াই যথেষ্ঠ নয়। প্রত্যেক কৃষিবিদকে গ্রামে যেতে হবে এবং কৃষকদের সাথে থেকে কাজ করতে হবে এবং বাংলার কৃষকদেরকে কৃষি বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে হবে।

১৯৭৫ পরবর্তী দীর্ঘ ২১ বছরে বাংলাদেশের খাদ্য ঘাটতি কোন সরকারই মেটাতে সক্ষম হয়নি। এবপর বাংলার ভাগ্যাকাশে আবারও একটি গৌরবময় অধ্যায় লিখিত হয় ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত সময়ে, যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরপরই পিতার অংকিত পরিকল্পনাকে হৃদয়ে ধারণ করে তাঁরই দেখানো পথ ধরে বাংলাদেশের কৃষি বিপ্লবের পূণর্জাগরণ করেন। মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে।

সেই প্রথম মেয়াদে শেখ হাসিনার সরকার বিদ্যুৎ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে গৌরবময় সাফল্য অর্জন করেছিল। মাত্র পাঁচ বছরে মোট বিদ্যুত উৎপাদন ১৯৯৫ সালের বেগম খালেদা জিয়া সরকারের ২,৯০৮ মেগাওয়াট থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০০১ সালে শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে ৪,৩০০ মেগাওয়াটে উন্নীত হয়েছিল, যা সরাসরি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করেছে। ১৯৯৬-২০০১ সালে অওয়মী লীগ সরকারের আমলে দেশটি অভূতপূর্ব কৃষি প্রবৃদ্ধি দেখেছিল। ২০০১-২০০৬ সালে বিএনপি শাসনামলে প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত থাকেনি। বেগম খালেদা জিয়ার সরকার জনগনের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং সার, বীজ, ডিজেল প্রভৃতি কৃষি উপকরণ সংগ্রহ ও বিতরণে মারাত্মক অব্যবস্থাপনা করে। বিদ্যুৎ উৎপাদন মারাত্মকভাবে কমে আসে। এসব নেতিবাচক কর্মকা-ের কারণে খাদ্যে স্বনির্ভর একটি দেশ আবারও খাদ্য ঘাটতির দেশে পরিণত হয়।

এ অবস্থায় শেখ হাসিনার সরকার ২০০৯ সালের ৯ জানুয়ারি খাদ্যের মূল্য গ্রহণযোগ্য পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং ২০১২ সালের মধ্যে দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার অঙ্গীকার নিয়ে দ্বিতীয়বার ক্ষমতা গ্রহণ করে। ২০০৭-০৮ এর খাদ্য সংকটের ধাক্কা এবং ২০০৯ সালের ঘুর্ণিঝড় আইলার আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতিকে কাটিয়ে উঠে কৃষি উৎপাদন বাড়াতে শেখ হাসিনার সরকার নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করে। তাঁর সরকার সার, মানসম্মত বীজ, ডিজেলসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের উপর ভর্তুকি বৃদ্ধি করাসহ সহজ শর্তে কৃষকদের মাঝে ঋণ প্রদানের ব্যবস্থা করে। এভাবে, ২০০৯ সালের শেষ নাগাদ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ৩.৫% থেকে ৪.৫% এ ফিরে আসে।

২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার ক্রমাগত সরকার কৃষি খাতে একটি অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে যা একটি উল্লেখযোগ্য স্তরে দারিদ্র বিমোচন করেছে এবং বাংলাদেশ থেকে মঙ্গা দূরীভূত হয়েছে। শেখ হাসিনার সরকার দেশের ১০০% জনসংখ্যাকে বিদ্যুতের আওতায় নিয়ে এসেছে। যার ফলে কৃষিক্ষেত্রে সেচ ব্যবস্থাপনার অভাবনীয় উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। যার ফলে, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের উৎপাদন ৩২.৯০ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৪৭.৭৭ টনে পেীঁছেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের কৃষি বান্ধব নীতির ফলস্বরূপ বাংলাদেশ এখন পাট রপ্তানিতে প্রথম, পাট উৎপাদনে দ্বিতীয়, হেক্টর প্রতি ফলের ফলন বৃদ্ধিতে প্রথম, শস্যের জাত উন্নয়নে প্রথম, সবজি উৎপাদনে তৃতীয়, চাল ও চা উৎপাদনে চতুর্থ, আম উৎপাদনে সপ্তম, পেয়ারা ও আলু উৎপাদনে চতুর্থ এবং স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে চতুর্থ। ২০২১ সালের তথ্যসম্বলিত ঋঅঙ কর্তৃক প্রকাশিত ২০২৩ সালের মার্চ মাসের রিপোর্ট ইঙ্গিত করে যে, ভূমির আয়তনের দিক থেকে বাংলাদেশ ৯৪তম হলেও প্রাথমিক কৃষিপণ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে। বাংলাদেশ বর্তমানে চাল, মসুর, আলু, পেঁয়াজ, চা এবং বিভিন্ন ফলসহ ২২ টি কৃষিজাত পণ্য উৎপাদনে ১০ টি শীর্ষ দেশের মধ্যে রয়েছে। বর্তমান সরকারের কার্যকর কর্মসূচির ফলে বাংলাদেশের ৪০০০ বিলিয়ন টাকা মূল্যের ৯ কোটি ৩৩ লাখ টন উল্লেখযোগ্য কৃষি উৎপাদন বৈশ্বিক কৃষি বাজারে দেশের কৃষি দক্ষতা ও গুরুত্বকে তুলে ধরে।
লেখক: চেয়ারম্যান, সার্জারি ও থেরিওজেনোলজি বিভাগ, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। পরিচালক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা




৯৬ সালের আগের অবস্থা মনে করে দেখার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, `২৯ বছর যারা ক্ষতমায় ছিল তারা দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারেনি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, যদি পারেন তাহলে ৯৬ সালে পূর্ব পর্যন্ত কী উন্নয়ন ছিল সেটা একটু দেখবেন।‘

শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, `১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকারে আসি তখন আমাদের বিমানবন্দরের কোনও বোডিং ছিল না, পার্কিং লোড ছিল না, কিছুই ছিল না। আমরা সরকারে এসেই বিমানবন্দরের উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছিলাম। চট্টগ্রাম এবং সিলেট এই দুই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও আমরা নির্মাণ করি। সঙ্গে শাহজালাল বিমানবন্দরের উন্নয়নের প্রকল্প গ্রহণ করি।‘

বিমানবন্দরের আধুনিকায়নের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, `আরও পর্যাপ্ত আধুনিক, সুযোগ-সুবিধা যাতে সৃষ্টি হয়, তার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছি। কারণ, আমাদের দেশ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রবাসীরা বসবাস করে। তারা বিভিন্ন দেশে কাজ করে। আমাদের রেমিট্যান্স পাঠায়। তারাও যাতায়াত করে।‘

মানুষের যোগাযোগ ব্যবসা-বাণিজ্য অর্থনীতি উন্নতির জন্য মানুষের যোগাযোগ অপরিহার্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, আধুনিক যুগের নৌপথ সড়ক পথ রেলপথের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ পথ সেটাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহন করে। বিশেষ করে, এদের সঙ্গে আমাদের যে যোগাযোগ সেই যোগাযোগের মূল বাহন হচ্ছে বিমান।

বিভিন্ন সময়ে আকাশপথে যোগাযোগের রুট পরিবর্তন হয় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, একসময় আন্তর্জাতিক হাব ছিল হংকং। এরপর হলো সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, এখন দুবাই। আমি বিশ্বাস করি, একসময় আমাদের কক্সবাজার বা হজরত শাহজালাল বিমানবন্দর হবে আন্তর্জাতিক হাব। রিফুয়েলিংয়ের জন্য অনেকেই এখানে আসবে, থামবে; বাংলাদেশের সৌন্দর্য উপভোগ করবে। আর কক্সবাজারে নামলে তো আমাদের সবচেয়ে দীর্ঘ বালুকাময় সি বিচ সেটাও সবাই উপভোগ করতে পারবে। সেভাবেই আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমানসহ বেবিচক ও মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।