কোটচাঁদপুরে গ্রামবাসীর হাতে মারা গেল মেছো বাঘ

কোটচাঁদপুরে গ্রামবাসীর হাতে মারা গেছে মেছো বাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার কোটচাঁদপুরের কুল্লাগাছা গ্রামে।

ওই গ্রামের ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম বলেন, এটা একটা মেছো বাঘ। গেল এক মাস ধরে ওই বাঘের অত্যাচারে গ্রামবাসী অতিষ্ঠ। বাঘটি গেল এক মাসে ১৫/২০ টি ছাগল মেরে ফেলেছে। হাঁস-মুরগিও নষ্ঠ করেছে বেশ কিছু মানুষের।

তিনি বলেন,কয়েক দিন ধরে বাঘটি ধরার চেষ্টা করেন গ্রাম বাসী। তবে ধরতে পারেনি। শুক্রবার সকালে এক ঘাসের জমিতে দেখা যায় বাঘটিকে।

এরপর গ্রামবাসী খবর পেয়ে বাঘটিকে ধাওয়া দিয়ে মেরে ফেলেন। বাঘটি মাটি চাপা দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। বাঘ মারা ঠিক হয়েছে কিনা,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন, এটা মেছো বাঘ। বাঘটি ধরার চেষ্টা করেছিল গ্রামবাসী। ধরতে পারলে হয়তো তারা মারতো না।

উপজেলা বন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম বলেন,কিছুক্ষন আগে নির্বাহী কর্মকর্তা আমাকে বলেছেন ঘটনাটি । আর এখন আপনি বললেন। বাঘ তারা মারতে পারে না। তবে বাঘটি হয়তো তাদের ক্ষতি করেছে। এ কারনে হয়তো মেরেছে। তিনি আরো বলেন,এটা মূলত দেখবে যারা বনের প্রাণী নিয়ে কাজ করেন তারা। এটা আমাদের কাজ না।  আমরা বন নিয়ে কাজ করে থাকি। তবে তারা যদি আমাদের সহযোগিতা চান,আমরা অবশ্যই সহযোগিতা করবো।

বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে সঙ্গে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।




কোটচাঁদপুরে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন

‘জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি,নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকালে উপজেলা প্রশাসকের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ শেষ অফির্সাস ক্লাব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়, বীর মুক্তি যোদ্ধা সাবেক কমান্ডার তাজুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অশোক সরকার,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম, এলাঙ্গী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, সাফদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান,দোড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস, বলুহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, কুশনা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহরুজ্জামান সবুজ প্রমুখ।

সে সময় জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনে বিশেষ ভুমিকা রাখায় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি সদস্য, পরিষদের সচিব, গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য সহ সাংবাদিকবৃন্দ।




দামুড়হুদায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন

জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন করি নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি এই প্রতিপাদ্য নিয়ে আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের হয়। র‍্যালিটি চৌরাস্তা মোড় প্রদক্ষিণ করে আবার উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র‍্যালী পরবর্তীতে উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতার’ সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা মডেল থানার পরিদর্শক অপারেশন মাহবুবুর রহমান , দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল করিম, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, হাউলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান(ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসের সিএ ফয়জুল করিম, নাজির সাখাওয়াত হোসেন, সহ সংবাদকর্মী, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সচিববৃন্দ, উদ্যোক্তারা ও গ্রাম পুলিশের সদস্যবৃন্দসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

এসময় ইউএনও বলেন, জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন আইন ২০০৪ এর ৮ ধারা অনুযায়ী কোনো শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন এবং কোন ব্যক্তির মৃত্যুর ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যু নিবন্ধন করার কথা রয়েছে। তবে, বিষয়টিকে আরো কার্যকর করার জন্য এবং সাধারণের মধ্যে সচেতনতা আনয়নের জন্য এখন পৃথক দিবস হিসেবে পালনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গায় আফরোজা পারভীন পথসভা ও গণসংযোগ

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চাইলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আফরোজা পারভীন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে গণসংযোগ করে এই কথা বলেন তিনি।

এ সময় তিনি আরও বলেন শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার। জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রেখে যাওয়া সোনার বাংলাদেশ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দেশের গ্রাম থেকে শহর সকল পর্যায়ে উন্নয়ন হচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা যদি অব্যাহত রাখতে হয় তাহলে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারো শেখ হাসিনা ও নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন, সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ, মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন, শাওন, সিফাত, জিরান, সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে চোরাই বাইসাইকেল সহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার নেহালপুরে চোরাই বাইসাইকেল সহ রাজিবুল ইসলাম নামের এক চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের অভিযানে বাইসাইকেল উদ্ধার সহ চোর রাজিবুলকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত রজিবুল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের বশিউর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শেখ রকিবুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন নেহালপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামে।

সে সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বোয়ালিয়া গ্রামের বড় মসজিদের সামনে বাঁশ বাগানের ভিতর হতে একটি চোরাই বাইসাইকেল সহ রাজিবুল ইসলাম (১৯) নামের এক চোরকে গ্রেফতার করি। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




দর্শনায় জুয়ার আসরে পুলিশের অভিযান; গ্রেফতার-৪

দর্শনা রেল বাজারে জুয়ার আসরে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। এ অভিযানে জুয়ার আসর হতে নগদ টাকা ও জুয়া খেলার সরঞ্জাম সহ ৪ জুয়াড়ীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা দর্শনা পৌর এলাকার ঘুঘুডাঙ্গার রাকিব হাসান টিটু, মোবারকপাড়ার আশিক, শাহারুল ইসলাম ও পরানপুরের ফারুক মিয়া।

পুলিশ জানায়, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে থানার এসআই ফাহিম হোসেন সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্সসহ দর্শনা থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল ও বিশেষ অভিযান ডিউটি করাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার (৪ অক্টোবর) সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে দর্শনা রেল বাজারস্থ জনৈক সিরাজুল ইসলামের মাছের আড়তের সামনে জুয়ার আসরে অভিযান চালায়। এ অভিযানে জুয়ার আসর হতে নগদ ১১ শত (এক হাজার এক শত) টাকা, ১ সেট তাস এবং ১টি প্লাষ্টিকের বস্তা উদ্ধার সহ জুয়াড়ী দর্শনা পৌর এলাকার ঘুঘুডাঙ্গার মুন্না সুলতানের ছেলে রাকিব হাসান টিটু (৩৫), মোবারকপাড়ার হাসেম খানের ছেলে আশিক (২৮), পিয়ার আলীর ছেলে শাহারুল ইসলাম (৩৪) ও পরানপুরের নেকবার আলীর ছেলে ৪। মোঃ ফারুক মিয়াকে (২৪) গ্রেফতার করেন।

এ বিষয়ে দর্শনা থানায় গ্রেফতারকৃত ও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।




ভিক্ষুক পুনর্বাসনে শেখ হাসিনা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে প্রণীত সংবিধানের ১৫(ঘ) ও ১৯ অনুচ্ছেদে সামাজিক নিরাপত্তার অধিকার, অর্থাৎ বেকারত্ব, ব্যাধি বা পঙ্গুত্বজনিত কিংবা বৈধব্য, মাতাপিতৃহীনতা বা বার্ধক্যজনিত কিংবা অনুরূপ অন্যান্য পরিস্থিতিজনিত আয়ত্তাতীত কারণে অভাবগ্রস্ততার ক্ষেত্রে সরকারী সাহায্যলাভের অধিকার ও মানুষের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অসাম্য বিলোপ করিবার জন্য, নাগরিকদের মধ্যে সম্পদের সুষম বন্টন নিশ্চিত করিবার জন্য এবং প্রজাতন্ত্রের সর্বত্র অর্থনৈতিক উন্নয়নের সমান স্তর অর্জনের উদ্দেশ্যে সুষম সুযোগ-সুবিধাদান নিশ্চিত করিবার জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন” এ আইন প্রণয়ন করেন এর পর দীর্ঘ দিন ভিক্ষুকদের নিয়ে তেমন কোন কাজ চোখে পড়েনি,স্বৈরশাসক ও বি এন পি জামায়াত জোট সরকারের আমলে যেমন বেড়েছে দুর্নীতি তেমনি বেড়েছে দারিদ্রের হার ও ভিক্ষুকদের সংখ্যা।

১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরতœ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরই ভিক্ষুকদের প্রতি এবং তাদের পুর্নবাসনে প্রথম নজর দেন। এর পর ২০০৯ সালে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেকে সামনে নিয়ে ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার কাজে হাত দেন। তারই ধারাবাহিকতায় অন্তর্ভূক্তিমুলক উন্নয়নের অংশ হিসেবে এবং একই সাথে দারিদ্র্যতা নিরসন ও ভিক্ষাবৃত্তির মত অমর্যাদাকর পেশা থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার লক্ষ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বিগত ২০১০ সালের আগস্ট হতে ‘‘ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান’’ শীর্ষক কর্মসূচি গ্রহণ করে। সেই লক্ষ্যে ঢাকা শহরের ২০০০ ভিক্ষুকের পুনর্বাসন এবং পর্যায়ক্রমে ভিক্ষাবৃত্তি নিরসন” এই লক্ষ্য নির্ধারণ করে ২০১০ সালে প্রাথমিক ধারণাপত্র প্রণয়ন করা হয়। ঢাকা শহরের সকল ভিক্ষুককে জরিপের আওতায় এনে তা থেকে পাইলটিং পর্যায়ে ২০০০ ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করার বিষয়টি সংযোজিত হয়।

কর্মসূচির বাস্তবায়ন পর্যায়ে ১০টি এনজিও নিয়োগ করে ঢাকা শহরের দশটি জোনে একই দিনে ১০,০০০ জন ভিক্ষুকের উপর জরিপ কার্য পরিচালনা করা হয় এবং জরিপে প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে ১০,০০০ ভিক্ষুকের ডাটাবেইজ তৈরি করা হয়। ধারণাপত্রের আলোকে কর্মসূচির পাইলটিং পর্যায়ে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচি পরিচালনার জন্য ভিক্ষুকের সংখ্যা বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে ময়মনসিংহ, ঢাকা, বরিশাল ও জামালপুর জেলাকে নির্বাচন করা হয় এবং প্রতিটি জেলায় ৫০০ জন করে মোট ২০০০ জনকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এছাড়াও ২০১৮ সালে ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত¡াবধানে “ভিক্ষুক পুর্নবাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান নীতিমালা গ্রহণ করেন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রধান করে ১২ সদস্য বিশিষ্ট একটি জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়, এছাড়া প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও সিটি কর্পরেশনে আলাদা স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হয়েছে, যাদের কাজ হলো প্রকৃত ভিক্ষুক খুজে বের করা, তাদের আশ্রয়ন, কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা ও ডিজিটাল ডাটাবেস সংরক্ষণ এবং প্রতি মাসে একটি সভা করা সহ ১৩ টি দায়িত্ব পালন করে থাকে।

২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে প্রথম বারের মত দেশের ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসনও বিকল্প কর্মসংস্থানের নিমিত্ত অর্থ প্রেরণ করা হয়। ভিক্ষাবৃত্তি কখনই সম্মানজনক জীবিকা বা পেশা হতে পারে না। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ সত্বেও এক শ্রেণির জনগোষ্ঠী শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকায় বিভিন্ন উপলক্ষ্যে বিশেষ করে রোজা, কোরবানীর ঈদসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠাণ সামনে রেখে গ্রামাঞ্চল থেকে শহরে চলে আসে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য। ট্রাফিক সিগন্যালে গাড়ি থামলে ভিক্ষুকরা অনেক সময় যাত্রীদের বিব্রত করে এবং বিদেশি নাগরিকদের নানাভাবে উত্যক্ত করে।এ সকল বিষয়কে বিবেচনায় এনে ভিক্ষাবৃত্তিকে বন্ধ করতে হলে প্রথমেই ভিক্ষা প্রদানকে নিরুৎসাহিত করতে ও ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরনের জন্য এবং স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার ভিক্ষুক মুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধ পরিকর।

ভিক্ষাবৃত্তির ইতিহাস বহু পুরানো, ১৪৯৫ বৃটিশ রাজা সপ্তম হেনরির সময় প্রচুর ভিক্ষাবৃত্তি দেখা দেয়,যার ফলে তখন আলাদা আইন প্রনয়ন করতে হয়। প্রাচীন বাংলা ছিল অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত সমৃদ্ধ জনপদ। কিন্তু বিগত কলোনিয়াল ও পাকিস্তানী শাসকদের শোষণ, বঞ্চনা, লুটপাট, রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা, নেতৃত্বের ব্যর্থতা এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগ, নদী ভাঙ্গন, দারিদ্র্য, রোগ-ব্যাধি, অশিক্ষা ইত্যাদি কারণে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। তখন থেকে এ উপমহাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি ব্যপক আকার ধারণ করে। সামাজিক স্বীকৃতি না থাকলেও অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। আবার অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তিকে ব্যবসা হিসেবে গ্রহণ করেছে। যারা পেশা হিসেবে ভিক্ষাবৃত্তিকে বেছে নিয়েছে তাদের নৈপথ্যে অর্থনৈতিক দুর্বলতা, সামাজিক নির্যাতন এবং নিঃস্ব হয়ে যাওয়ার বিষয়টি জড়িত। যারা ভিক্ষাবৃত্তিকে ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগের জন্য সরকার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। কিন্তু আইনের মাধ্যমে বা শাস্তি দিয়ে প্রকৃতভাবে অসহায়ত্বের কারণে যারা ভিক্ষাবৃত্তির চর্চা করে তাদের নির্মূল করা যাবে না,এজন্য দরকার জনসচেতনতা ও সকলের সহযোগিতা।

বর্তমান বিশ্বের প্রায় সব রাষ্ট্রেই আর্থিক দুর্দশায় নিপতিত নাগরিকের জন্য সম্পদ হস্তান্তরের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচি রয়েছে। বাংলাদেশে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৭৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এবার ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ বাড়িয়ে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা করার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। অস্বীকার করার সুযোগ নেই, বিগত দুই দশকে বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে স্বল্পোন্নত অবস্থান থেকে উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ ঘটেছে। এ পরিবর্তনে সবচেয়ে বড় নিয়ামক ছিল নেতৃত্বের সদিচ্ছা। বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ছিল এ দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর। তিনি একটি সুখী সমৃদ্ধ এবং কাঙ্খিত আত্মমর্যাদাশীল জাতির সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলার স্বপ্ন তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন এবং ভূমিহীনদের জমি লিখে দিয়ে সেখানে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন।

সকল শ্রেণিপেশার মানুষের উন্নয়নের মধ্য দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের কাঙ্খিত লক্ষ্যে উপনীত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনা। তাই ভিক্ষুকদের আত্মনির্ভরশীল ও স্বাবলম্বী করতে দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের সামাজিক মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন। দেশে প্রায় ১৪ হাজার ৭০৭ জন ভিক্ষুককে মুদি দোকান, ছাগল, হাঁস-মুরগির খামার, গরুর খামার, রিকশা ও ভ্যান উপকরণ প্রদানের মাধ্যমে ভিক্ষা পেশা থেকে কর্মসৃজনের মাধ্যমে আয় করার সুযোগ দেয়ার যে অন্যন্য নজির স্থাপন করেছেন তা বিশ্বে বিরল। এরা শুধু আয় করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তা নয়, দেশ ও সমাজে তাদের সামাজিক মর্যাদা ফিরিয়ে এনেছেন। পেয়েছেন সমাজে মাথা উঁচু করে চলার সুযোগ।

ভিক্ষকুদের ভিক্ষা করা থেকে ফিরিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে ভিক্ষুক পুনর্বাসন কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রতিটি মানুষের জন্য একটি উন্নত জীবন গড়ে তুলতে দেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানসহ রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সাধিত করে গ্রামকে শহরে পরিণত করেছেন। এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে চলছে।

ঢাকা শহরে ভিক্ষাবৃত্তি রোধের জন্য প্রাথমিকভাবে সিটি কর্পোরেশনের কিছু এলাকা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করেছে। এলাকাগুলো হচ্ছে- বিমান বন্দরে প্রবেশ পথের পূর্ব পাশের চৌরাস্তা, বিমান বন্দর পুলিশ ফাঁড়ি ও এর আশ-পাশ এলাকা, হোটেল রেডিসন সংলগ্ন এলাকা, ভিআইপি রোড, বেইলী রোড, হোটেল সোনারগাঁও ও হোটেল রূপসী বাংলা সংলগ্ন এলাকা, রবীন্দ্র সরণী এবং কূটনৈতিক জোনসমূহ। ঢাকা শহরের ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকাসমূহ ভিক্ষুকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে নিয়মিত মাইকিং, বিজ্ঞাপন, লিফলেট বিতরণ এবং বিভিন্ন স্থানে নষ্ট হয়ে যাওয়া প্লাগস্ট্যান্ড মেরামত/নতুনভাবে স্থাপন করার কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়াও ঢাকা শহরের ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষিত এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আটককৃত ভিক্ষুকদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নিমিত্তে ৫টি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ফাঁকা জায়গায় অস্থায়ী ভিত্তিতে ১৬টি টিনসেড ডরমিটরি ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

ভিক্ষুক পুনর্বাসনের কাজটি পদ্ধতিগতভাবে করার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। সরকার শুধু যে ঢাকায় পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছে তা নয়, বরং সারা দেশেই এমন প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে পেশাদার ভিক্ষুকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ৫ জন ভিক্ষুককে ডাব বিক্রয়ের উপকরণ, একটি করে ভ্যান ও ১০০টি করে ডাব বিতরণ, নাটোর পৌরসভা ও নাটোর সদর উপজেলার ১০জন ভিক্ষুকের মাঝে একটি করে দোকানঘরের চাবি ও নগদ পাঁচ হাজার টাকা প্রদান, চাঁদপুর বাগাদীতে ৪০ জন ভিক্ষুকদের পূনর্বাসনে নগদ অর্থ প্রদান, সুনামগঞ্জে ৪জন ভিক্ষুককে মুদি দোকানের মালামাল প্রদান, বাঘায় ১৪ জনকে ভিক্ষুককে ছাগল, শেলাই মেশিন, কাপড়, মুদি দোকান, বেত সামগ্রী, জুতার ও ভ্রাম্যমাণ মাছের দোকান প্রদান, আলমডাঙ্গায় ৪ জন ভিক্ষুককে গরু ও ১ জন ভিক্ষুককে পাখি ভ্যান বিতরণ, নোয়াখালীর সেনবাগের নবীপুরে নগদ অর্থ প্রদান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন কর্মসূচির অংশ হিসেবে চার ব্যক্তিকে চার লাখ টাকা প্রদান, কুলাউড়া উপজেলার ৪০ জন ভিক্ষুকের মধ্যে ছাগল বিতরণ, দিনাজপুরের ১৩ উপজেলায় ১ হাজার ৩৫০ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন, মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় ৮ জন ভিক্ষুকদের মাঝে ১ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা মূল্যের গরু- ছাগল বিতরণ, ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় ৩২ জনকে বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ, গোপালগঞ্জে ছয়জন ভিক্ষুকের হাতে মোট একলাখ ৯৫ হাজার টাকার চেক প্রদানসহ সারা দেশে প্রায় ১৪ হাজার ৭০৭ জন ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করেছে বর্তমান সরকার। বাকিদের পুনর্বাসনের কাজ চলমান রয়েছে।

সেদিন খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন আমাদের দেশে কোনো ভিক্ষাবৃত্তি থাকবে না। একসময় বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলা হতো। দেশ চলতো বৈদেশিক দাতা সংস্থাদের অর্থে। এখন সে ধারণা পালটে গেছে। বাংলাদেশ পরের উপর নির্ভরতা হতে বেরিয়ে এসেছে। নিজ অর্থে বড় বড় মেগা প্রকল্প হাতে নিয়ে সফল হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকার বেশ কয়েকটি জায়গা ভিক্ষুকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে, ক্রমান্বয়ে সকল জেলা ভিক্ষুকমুক্ত করা হবে, সরকার বিভিন্ন সময় ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনে ক্রাস প্রোগ্রাম হাতে নিয়ে থাকে যা এখন ও চলমান। গত ১৫ বছরে সম পর্যায়ের যেকোন দেশ হতে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে একটা বিষয় ম্যাজিক হিসেবে কাজ করেছে আর তা হচ্ছে শেখ হাসিনার অদম্য নেতৃত্ব।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, লোকপ্রশাসন বিভাগ, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নকে জনগণের মাঝে তুলে ধরে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে শৈলকুপা নতুন বাজার এলাকায় বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

ধলহরচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চাঁদ আলী মন্ডলের সভাপতিত্বে ও শৈলকুপা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার কায়সার টিপুর পরিচালনায় উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বিশ্বাস বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম দুলাল। এছাড়াও শৈলকুপা পৌরসভা মেয়র কাজী আশরাফুল আজিম আজম, ঝিনাইদহ জেলা আওয়মী লীগের সহ-সভাপতি সরোয়ার জাহান বাদশা, শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আরিফ রেজা মুন্নু, ঝিনাইদহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি এ্যাড. আজাদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল ইমরান, শৈলকুপা উপজেলা কৃষকলীগর সহ-সভাপতি আমিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রেজাউল করিম খান, ১১ নং আবাইপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন বিশ্বাস, শৈলকুপা পৌর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

উন্নয়ন সভায় বক্তারা আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশে যে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে সেই ধারাবাহিকতায় শৈলকুপায় কোন উন্নয়নই হয়নি। শৈলকুপা উপজেলা আওয়মী লীগের নেতা কর্মীরা এই জনপদকে একটি আধুনিক বাসযোগ্য আবাসভুমি গড়ার লক্ষ্যে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচেন নজরুল ইসলাম দুলালকে নৌাকার মাঝি হিসেবে দেখতে চান।

সমাবেশের প্রধান অতিথি সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, আগামীতে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে নৌকা মার্কায় আবার ভোট দেওয়ার আহবান জানান। তিনি আরও বলেন একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশ ও জনগনের উন্নয়নের কথা ভাবেন। তার উন্নয়নে ঈশ্বার্ণিত হয়ে বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে এতে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না।

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি নজরুল ইসলাম দুলাল তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকার সারা বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল তৈরী করেছেন। অথচ ঝিনাইদহ -১ শৈলকুপা আসন উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেক অবহেলিত। আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, জনগনকে সাথে নিয়ে শৈলকুপাবাসীর কাঙ্খিত উন্নয়নের লক্ষ্যে পৌছে দেবেন। এই গণসমাবেশে অন্যান্য বক্তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে শৈলকুপার নির্যাতিত মানুষের অধিকার ফিরে পেতে, হত্যা ও সন্ত্রাসমুক্ত শৈলকুপা গড়ার লক্ষ্যে আলহাজ¦ নজরুল ইসলাম দুলালকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান।




আলমডাঙ্গার পোলবাগুন্দায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আলমডাঙ্গা উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা মামলার আসামী ফোন্টু মণ্ডল নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিয়া হায়দার আসামির উপস্থিতে এ রায় দেন। তিনি উপজেলা আইলহাঁস ইউনিয়নের পোলবাগুন্দা গ্রামের বাসিন্দা।

আলমডাঙ্গা থানার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশিকুল হক চলতি বছরের ৩১ মে ওই হত্যার ঘটনায় চার্জশিট দাখিল করেন আদালতে। এরপর বিচারক নিহত ডালিয়ার ছেলেসহ ১৬ জনের স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন। ফোন্টু মণ্ডল আলমডাঙ্গা উপজেলার মৃত ইসলাম মন্ডলের ছেলে।
হত্যার ৬ মাসের মাথায় রায় ঘোষণা করায় রাষ্ট্রপক্ষ, মামলার বাদি ও স্থানীয়রা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে কোট কাস্টডিতে নেয়া হয়েছে।

এবিষয়ে সরকারী কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন জানান, ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ সন্ধ্যায় উপজেলার পোলবাগুন্দা গ্রামের ফোন্টু মণ্ডল তার স্ত্রী ডালিয়া খাতুনকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। ওই দিন রাতে ফন্টু বাড়ি ফিরে আসেন, কিন্তু তার স্ত্রী ডালিয়ার খোঁজ পাই না। পরিবারের সদস্যরা ডালিয়ার কথা জিজ্ঞাসা করলে তিনি নানান বাহানা করেন। পরদিন সকালে কোঁদাল নিয়ে ফোন্টুকে ফিরে আসতে দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। তার এলোমেলো কথা বলায় বাড়ির লোকজন ডালিয়াকে খুঁজতে বের হয়। একপর্যায়ে পোলবাগুন্দা মাঠের বিলের পাশে রক্ত ও চুল দেখে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর । পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গাবতলা মাঠের মিলন আলীর সোলার সেচ পাম্পের পাইপের ভেতর থেকে ক্ষতবিক্ষত ডালিয়ার মরদেহ উদ্ধার করে। পালিয়ে যাবার চেষ্টা কালে স্থানীয়রা সরোজগঞ্জ বাজার থেকে ফোন্টুকে আটক করে পুলিশে দেয়। ওই দিন রাতেই নিহতের ছেলে জামিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা করেন।




চুয়াডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ভাই ভাই ফুচকা হাউজে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সজল আহমেদ এর নেতৃত্ব এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে চুয়াডাঙ্গা ভাই ভাই ফুচকা হাউজে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি, বাসি খাবার খাওয়ানো ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করাসহ নানা অপরাধে শহরের ভাই ভাই ফুচকা হাউজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহরের কবরী রোডে অবস্থিত ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, পূর্বে সতর্ক করা সত্বেও ভাই ভাই ফুচকা হাউজ কর্তৃপক্ষ অস্বাস্থ্যকরভাবে বিভিন্ন খাবার তৈরি, একই ফ্রিজের কাচা মাংসের সাথে প্রস্তুতকৃত খাবার সংরক্ষণ, মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য ব্যবহার, আগের বাসি খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করে পুনরায় খাওয়ানো, আগের দিনের পোড়াতেল ব্যবহার, উৎপাদন ও মেয়াদ তারিখবিহীন বিভিন্ন খাবার সংরক্ষণ, রান্নাঘরের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, কর্মচারীদের স্বাস্থ্যবিধি না মানাসহ বিভিন্ন অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক ওহিদুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭ ও ৪৩ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় বাসি খাবার ও পোড়াতেল নষ্ট করা হয়।