২০০১ সালের রামশীল যেন একাত্তরের শরণার্থী শিবির

বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন মানেই অনেক সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে এখন আতঙ্কের আরেক নাম। দুরারোগ্য অসুখের মতো বাংলাদেশের বুকে লেগে থাকা স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি এমনিতেই সারা বছর হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের জীবনের বিশেষ দিনগুলোতেই অত্যাচার অব্যাহত রাখে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচন এলে তাদের জীবন-সম্ভ্রম-সম্পদের ওপর নেমে আসে জামায়াত-বিএনপি সিন্ডিকেটের হিংস্র কার্যকলাপ। বিশেষ করে ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর তো রীতিমতো রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দুদের সম্পদ লুট, হত্যা, ধর্ষণ, চাদাবাজি চলেছে। সেই কালযুগের ভিক্টিমরা আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে আবার আতঙ্কিত।

২০০১ সালের নির্বাচনের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে হিন্দু সম্প্রদায়ভুক্তদের ওপর চালানো আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ রামশীলে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। এটি গোপালঞ্জের কোটালীপাড়ায় ১২টি ইউনিয়নের একটি রামশীল। বাগেরহাট বরিশালের সনাতন ধর্মাবলম্বীরা সেদিন কোটালীপাড়ার রামশীলকেই নিরাপদ ভেবে আশ্রয় নিয়েছিল। এক কাপড়ে ভিটেমাটি ছেড়ে বের হয়ে যেতে বাধ্য হওয়া কপর্দকশূন্য মানুষগুলোর পাশে সেদিন রামশীলের মানুষ নিজেদের সর্বস্ব নিয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিএনপি-জামায়াতের সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের শিকার ওই জনগোষ্ঠীকে সাধ্যমত সাহায্য করেছিলেন রামশীলবাসী। ইউনিয়নটি পরিণত হয়েছিলো ১৯৭১ সালের মতোই এক শরণার্থী শিবিরে। যা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও আলোচিত হয়েছিল।

২০০১ সালের ৪ অক্টোবর রামশীলে ঘরহারা নির্যাতিত মানুষ আসতে শুরু করে বানের জলের মতো। তখনকার সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর, বাগেরহাটের মোল্লাহার এলাকা থেকে হিন্দুদের পাশাপাশি মুসলমান নির্যাতিতরাও হাজারে হাজারে রামশীল ইউনিয়নে এসে আশ্রয় নিয়েছিলো। বাস্তুচ্যুত এসব হতভাগ্যদের মধ্যে অনেক ধর্ষিত নারী ছিলেন বলে সেই সময়ের গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। নির্যাতিতরা কোনোপ্রকার চিকিৎসাসেবা না পেয়েই প্রাণ হাতে এলাকা ত্যাগ করেছিলেন সেদিন। কারণ নির্বাচনে জেতার পর বিএনপির নির্বাচিতরা সেখানে সরকারি-বেসরকারি সব সাহায্য পাবার পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।

বাগেরহাটে ২০০১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে বাগেরহাট-১ (চিতলমারী-মোল্লাহাট-ফকিরহাট) ও বাগেরহাট-২ (সদর-কচুয়া) আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিনের নির্বাচনী জনসভায় বোমা বিস্ফোরণে জনসভায় আসা আট জন নারী-পুরুষ নিহত হন। ভয়ঙ্কর এই ঘটনায় জড়িত ছিল হরতাকুল জিহাদ এবং বিএনপি জামায়াতের স্থানীয় নেতারা। নির্বাচনের পর ওই জেলার মোল্লাহাট উপজেলার জয়ঘা, চাঁদেরহাট, মাদারতলি, বুড়িগাংনি, বড়গাওলা, চাঘদা আক্রান্ত হয়। বেছে বেছে এই গ্রামগুলোতে তাণ্ডব চালানোর কারণ, এগুলো হিন্দু অধ্যুষিত।

বাগেরহাটের পাশাপাশি বরিশালও সহ্য করেছে ২০০১ সালের জামায়াত-বিএনপির নৃশংসতা। বরিশালের গৌরনদী, আগৈলঝাড়া, উজিরপুর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং হিন্দু সস্প্রদায়ের মানুষজনের ওপর চালানো বর্বরতা সারা পৃথিবীতে সমালোচিত হয়েছিলো। ২০০১ সালে বিএনপির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা আগৈলঝাড়ার বাশাইলের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন মোল্লাকে অপহরণ করে হত্যা করে। সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক সফিকুল ইসলাম বুলেটকে গৌরনদী বন্দরে দিনের বেলাতেই ইট দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বরিশাল নগরীর আমানতগঞ্জ এলাকার ছাত্রলীগ নেতা মাসুম সিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

২০০১ সালে জামায়াত-বিএনপির নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকারের কর্মীবাহিনীর অত্যাচারের শিকার হয় বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা গ্রামের ৩০টি, চাঁদশী গ্রামের ২০টি, খাঞ্জাপুর গ্রামের ১৫টি, বিল্লগ্রামের ২৫টি, ইল্লা গ্রামের ৫টি, গেরাকুল গ্রামের ৫টি এবং আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার গ্রামের ৫০টি, বাহাদুরপুর গ্রামের ৩০টি, বাকাল গ্রামের ২৫টি, রামানন্দেরআঁক গ্রামের ২৫টি, পতিহার গ্রামের ৩০টিসহ কয়েকশত পরিবার। বিকৃত রুচির এসব সন্ত্রাসী হিংস্রতা থেকে বাঁচতে হিন্দু পরিবারগুলোর নারী সদস্যরা অধিকাংশই গোপনে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। যাদের সেই উপায় ছিলো না, তারা বিএনপি সন্ত্রাসীদের কালো থাবা থেকে বাঁচতে রাতের আঁধারে নির্জন পুকুর কিংবা দিঘির মাঝখানে কলাগাছের ভেলা বানিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন। গৌরনদীর বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য পরিবার নির্যাতনের শিকার হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।

রামশীলে আশ্রয় নিতে আসা অনেক শিশু নিয়মিত খেতে পায়নি। এক বাড়িতেই প্রায় ২০০ আহত ব্যক্তি চিকিৎসা নিয়েছে। অনেক ধর্ষিত নারীকে আত্মহত্যার পথ থেকে বুঝিয়ে নিবৃত্ত করা হয়েছে বলে পরবর্তীতে জানিয়েছেন রামশীলের মানুষ। বরিশাল এবং বাগেরহাট থেকে রামশীলে এসে জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীরা হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কাও দেখা দিয়েছিলো। এমন ভয়াবহ বিপদ মোকাবেলা করতে সেখানে সেদিন গড়ে তোলা হয়েছিলো ২১ সদস্যের কমিটি। কিন্তু হতভাগ্য এসব মানুষ রামশীলেও স্বস্তি পায়নি। জামায়াত- বিএনপির স্থানীয় প্রশাসন বরিশাল-বাগেরহাটের ওইসব শরণার্থীকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে যেতে চাপ দেয়া শুরু করে। তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরী রামশীল আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শনের কথা দিয়েও যাননি।

২০০১ সালের ১২ অক্টোবর তৎকালীন গোপালগঞ্জ ও বরিশালের ডিসি, এসপি আসেন রামশীলের শরণার্থীদের খবর নিতে। তারাও অত্যাচারিত মানুষদেরকে নিজ গ্রামে ফিরে যেতে বলেন। কিন্তু যারা ফেরার চেষ্টা করেছে, তারা পথেই জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের হাতে মার খেয়েছে। সন্ত্রাসীদের তাড়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে আবারও পালাতে হয়েছে তাদেরকে।

দলীয় অবস্থান থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রামশীলে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের পাশে ছিলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই সময় ব্যক্তিগতভাবে অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছিলেন তাদেরকে।

ঘটনার ১০ বছর পর হিন্দু সম্প্রদায়, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিশনের সদস্যরা ২০১০ সালের ১৭ এপ্রিল রামশীল ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন। নির্যাতিত ব্যক্তিদের আশ্রয়দানকারীদের ১৪জন ব্যক্তি তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. সাহাবুদ্দিন আহম্মদ, সদস্য শহিদুল ইসলাম ও মনোয়ার হোসেনের কাছে সাক্ষ্য দেন। শুধুমাত্র হিন্দু হওয়ার কারণে নির্যাতিত মানুষের দুঃসহ স্মৃতি আজও রামশীলবাসীদের মনে দাগ কেটে আছে।




দর্শনা পাখি ভ্যানের নিচে পড়ে শিশুর  মৃত্য

দর্শনায় খেলার ছলে পাখি ভ্যান চালাতে গিয়ে ঘটলো বিপত্তি, ভ্যানের নিচে পড়ে শিশু সাইমুন (৭) এর করুন মৃত্য হয়েছে।

সাইমুন দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর মাঠ পাড়ার মিজানুর রহমানের ছেলে। আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে দর্শনা চেকপোষ্ট সড়কের কানকাটা ব্রীজের নিকট খেলার ছলে পাখি ভ্যান চালাতে গিয়ে ভ্যান থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।

আহত অবস্থায় সায়মুনকে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্য ঘোষনা করে।তার করুন মৃত্যতে গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্বজনদের কান্নায় ঐ গ্রামের বাতাস ভারী হয়ে উঠেছে।

আজ বেদনা বিধুর পরিবেশে স্থানীয় কবরস্থানে শিশু সাইমুনের দাফন সম্পর্ন হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন

চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস। দিবসটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় শুক্রবার সকাল দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয় হতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি বাহির হয়।

র‍্যালিটি চুয়াডাঙ্গা জেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবারো চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ছিলো”অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি। র‍্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক নাজমুল হামিদ রেজা সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

এ সময় তিনি বলেন,প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল হিসাবে পরিচিত। বৈশ্বয়িক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে দেশের জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষায় বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিশ্ব ধরিত্রী সম্মেলন সহ বিভিন্ন ফোরামে এধরণের বিষয় তুলে ধরায় এর ইতিবাচক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে। দূর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের পূর্ব প্রস্তুতি ও সচেতনতার বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক দূর্যোগ যেমন বজ্রপাত, খরা, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প থেকে বাঁচতে আগাম সতর্কতা ও দূর্যোগকালীন সময়ে করণীয় বিষয়ে জনসচেতনতা মূলক প্রচারাভিযান চালাতে হবে। মনুষ্যসৃষ্ট দূর্যোগ মোকাবিলায় সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস ও পরিবেশ রক্ষায় এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশ রক্ষায় সকলের নিজ নিজ অবস্থান থেকে তালের চারা রোপন এর উদ্যোগে অংশ নিতে গুরুত্বারোপ করেন বক্তারা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( অর্থ ও প্রশাসন) রিয়াজুর ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান

এসময় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যবৃন্দ, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যবৃন্দ, এনজিও প্রতিনিধি, রোভার স্কাউটস এর সদস্যবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে ট্যাপেন্টাডলসহ আটক ১

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৫০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ১জনকে গ্রেফতার করেছে।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার কয়রাডাঙ্গা গ্রাম থেকে তাকে আটক করে।

আটক ব্যক্তি দামুড়হুদা উপজেলার গেপীনাথপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৬)।

পুলিশ সুত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামের ব্রীজের উপর ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বেচাকেনা হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে। সংবাদের ভিত্তিতে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে এসআই (নিঃ) তারিফুজ্জামান সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। পুলিশেরর অভিযানে ট্যাপেন্টাডল ট্যবলেটসহ শরিফুল ইসলামকে হাতে নাতে আটক হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।




মুজিবনগরে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের গনসংযোগ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ননিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে মুজিবনগরের উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আবদুল মান্নান গণসংযোগ করেন।

আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি , দারিয়াপুর, পুরনতোপুর,নাজিরাকুনি, ভবেরপাড়া, সোনাপুর, মাঝের পাড়া, কেদারগন্জ ও বল্লভপুর গণসংযোগ করেন তিনি।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম , দিলীপ , জাহাঙ্গীর আলী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা আলী আরশাদ, লাবলুমিয়া সহ উপজেলার স্থানিয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খালেদুজ্জামান খাঁন ডালিম, মির্জা গালিব, মিরাজুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, হুমায়ূন কবির বাবু, মুসাদ আলি সহ অনেক নেতাকর্মী।




আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন

আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় এ দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে উপজেলা পরিষদের হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষ্যে ‘অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ স্লোগানে দিবসটি পালিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আয়ুব হোসেন বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে দেশে বিভিন্ন দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একারণে ঘর-বাড়ির সহ সকলকে জান-মালের নিরাপত্তায় ভুগতে হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যেকে একটি করে গাছ লাগানো প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, থানার ওসি (অপারেশন) ফরিদ উদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক।

এছাড়া কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা তথ্য আপা কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ, থানার এস আই তারিফুজ্জামান, উপজেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম দীপু, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আল মামুন, স্কাউট প্রতিনিধি তন্ময় বিশ্বাস, অংকুর দত্ত প্রমূখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, স্কাউটের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য উপস্থিতি ছিলেন।




দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন

দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে এ উপলক্ষে একটির্ র্যালী শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালি ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দর্শনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাসির উদ্দীন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসের নাজির শাখাওয়াত হোসেন, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষিক আশরাফুল হক, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহকারী জাকির হোসেন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।




দামুড়হুদার জয়রামপুরে তপন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদার জয়রামপুরে তপন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আড়িয়া মিশন টাইগার ক্লাব।

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে জয়রামপুর ইউথ ক্লাব মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের আয়োজন ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি মাঠে নামে আড়িয়া মিশন টাইগার ক্লাব বনাম ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব কাঞ্চনপুর। খেলার নির্ধারিত সময়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব কাঞ্চনপুর কে ১-০গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে আড়িয়া মিশন টাইগার ক্লাব। খেলা শেষে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সহিদুল ইসলাম পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার তুলে দেন চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার্স আপ দলের খেলোয়াড়দের।

জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ফুটবল এসোসিয়েশন সভাপতি এখলাছ উদ্দিন সুজন।

জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় অতিথি ছিলেন জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইউনুছ আলি,আমজাদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, নিশান তরফদার, দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি এমরাজ উদ্দীন খোকন, আহসান কবির রিপন প্রমুখ। খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন ইকরামুল হাসান নিপুণ, আব্দুস সবুর, তরিকুল ইসলাম আলো। মেডিকেল টিমের দায়িত্ব পালন করেন আবু বক্কর ও রাশিদুল ইসলাম স্বপন, ধারাভাষ্যকার ছিলেন শামীম খাঁন।




চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জাহাঙ্গীর আলমের গণসংযোগ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গভীর রাত অবধি গনসংযোগ করে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তাঁরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন ও হাউলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গনসংযোগ করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

গনসংযোগ কালে তিনি বলেন, আমি যদি এমপি হতে পারি তাহলে আপনাদের সেবক হিসেবে মুরুব্বিদের দিক নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের এলাকা বাসীর ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বদাই জনগনের পাশে থেকে কাজ করে যাবো। আপনারা দোয়া করবেন যেনো চুয়াডাঙ্গা -২ আসনে বিজয়ী মালা এনে দিতে পারি।এবারের নির্বাচনে সাধারন মানুষের ব্যাপক সাড়া ও ভালোবাসা পাচ্ছি।

সাধারন জনগন বলেন, এই নির্বাচনে বর্তমান সময়ে জাহাঙ্গীর আলমের জনস্রোত নেমেছে। এবং তিনি রেকর্ড পরিমান ভোট পেয়ে জনতার এমপি নির্বাচিত হবেন। তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন তাকে দেখার জন্য সাধারন জনগন লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকছে। স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের জনগণ তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের প্রতিটা স্থানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে তার হাত দিয়েই।




কোটচাঁদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

“অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি” এই প্রতিপাদ্য ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৩ ভুমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড,বন্যা,বজ্রপাত বিষয়ক মহড়া র‍্যালি ও সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা শাখা কোটচাঁদপুরের আয়োজনে অফির্সাস ক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে এর  সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আক্কাস আলী, এলাঙ্গী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, সাফদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, দোড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস, বলুহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, কুশান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহরুজ্জামান সবুজ, সাংবাদিক, নজরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ বাশার প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম। সে সময় দুর্যোগ, ভুমিকম্প উপর চিত্রা অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।