মুজিবনগরে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল মান্নানের গনসংযোগ

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ননিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা পৌঁছে দিতে মুজিবনগরের উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আবদুল মান্নান গণসংযোগ করেন।

আজ শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালি , দারিয়াপুর, পুরনতোপুর,নাজিরাকুনি, ভবেরপাড়া, সোনাপুর, মাঝের পাড়া, কেদারগন্জ ও বল্লভপুর গণসংযোগ করেন তিনি।

এই সময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম , দিলীপ , জাহাঙ্গীর আলী, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের নেতা আলী আরশাদ, লাবলুমিয়া সহ উপজেলার স্থানিয় আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন খালেদুজ্জামান খাঁন ডালিম, মির্জা গালিব, মিরাজুল ইসলাম, সাইদুর রহমান, হুমায়ূন কবির বাবু, মুসাদ আলি সহ অনেক নেতাকর্মী।




আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন

আলমডাঙ্গায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯ টায় এ দিবস উপলক্ষ্যে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে উপজেলা পরিষদের হল রুমে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষ্যে ‘অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি, দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি’ স্লোগানে দিবসটি পালিত হয়।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস। এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আয়ুব হোসেন বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে দেশে বিভিন্ন দুর্যোগের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একারণে ঘর-বাড়ির সহ সকলকে জান-মালের নিরাপত্তায় ভুগতে হয়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যেকে একটি করে গাছ লাগানো প্রয়োজন।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, থানার ওসি (অপারেশন) ফরিদ উদ্দিন, প্রেসক্লাব সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের সহযোগিতার মাধ্যমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক।

এছাড়া কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা তথ্য আপা কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা খালিদ সাইফুল্লাহ, থানার এস আই তারিফুজ্জামান, উপজেলা স্কাউটসের সাধারণ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম দীপু, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা আল মামুন, স্কাউট প্রতিনিধি তন্ময় বিশ্বাস, অংকুর দত্ত প্রমূখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, স্কাউটের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য উপস্থিতি ছিলেন।




দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন

দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে এ উপলক্ষে একটির্ র্যালী শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে র‌্যালি ও আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, দর্শনা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার নাসির উদ্দীন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসের নাজির শাখাওয়াত হোসেন, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের সহকারী শিক্ষিক আশরাফুল হক, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের অফিস সহকারী জাকির হোসেন সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।




দামুড়হুদার জয়রামপুরে তপন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদার জয়রামপুরে তপন স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে আড়িয়া মিশন টাইগার ক্লাব।

আজ শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে জয়রামপুর ইউথ ক্লাব মাঠে খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের আয়োজন ফাইনাল খেলায় মুখোমুখি মাঠে নামে আড়িয়া মিশন টাইগার ক্লাব বনাম ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব কাঞ্চনপুর। খেলার নির্ধারিত সময়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ক্লাব কাঞ্চনপুর কে ১-০গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে আড়িয়া মিশন টাইগার ক্লাব। খেলা শেষে দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সহিদুল ইসলাম পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরষ্কার তুলে দেন চ্যাম্পিয়ন দল ও রানার্স আপ দলের খেলোয়াড়দের।

জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ফুটবল এসোসিয়েশন সভাপতি এখলাছ উদ্দিন সুজন।

জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় এসময় অতিথি ছিলেন জয়রামপুর ইউথ ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইউনুছ আলি,আমজাদ হোসেন, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, নিশান তরফদার, দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি এমরাজ উদ্দীন খোকন, আহসান কবির রিপন প্রমুখ। খেলায় রেফারির দায়িত্ব পালন ইকরামুল হাসান নিপুণ, আব্দুস সবুর, তরিকুল ইসলাম আলো। মেডিকেল টিমের দায়িত্ব পালন করেন আবু বক্কর ও রাশিদুল ইসলাম স্বপন, ধারাভাষ্যকার ছিলেন শামীম খাঁন।




চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জাহাঙ্গীর আলমের গণসংযোগ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কে সামনে রেখে গভীর রাত অবধি গনসংযোগ করে যাচ্ছেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তাঁরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন ও হাউলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে গনসংযোগ করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম।

গনসংযোগ কালে তিনি বলেন, আমি যদি এমপি হতে পারি তাহলে আপনাদের সেবক হিসেবে মুরুব্বিদের দিক নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের এলাকা বাসীর ভাগ্য উন্নয়নের লক্ষ্যে সর্বদাই জনগনের পাশে থেকে কাজ করে যাবো। আপনারা দোয়া করবেন যেনো চুয়াডাঙ্গা -২ আসনে বিজয়ী মালা এনে দিতে পারি।এবারের নির্বাচনে সাধারন মানুষের ব্যাপক সাড়া ও ভালোবাসা পাচ্ছি।

সাধারন জনগন বলেন, এই নির্বাচনে বর্তমান সময়ে জাহাঙ্গীর আলমের জনস্রোত নেমেছে। এবং তিনি রেকর্ড পরিমান ভোট পেয়ে জনতার এমপি নির্বাচিত হবেন। তিনি যে এলাকায় যাচ্ছেন তাকে দেখার জন্য সাধারন জনগন লাইন ধরে দাঁড়িয়ে থাকছে। স্থানীয় তরুণ প্রজন্মের জনগণ তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চায়। চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের প্রতিটা স্থানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে তার হাত দিয়েই।




কোটচাঁদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত

“অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি” এই প্রতিপাদ্য ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস ২০২৩ ভুমিকম্প, অগ্নিকাণ্ড,বন্যা,বজ্রপাত বিষয়ক মহড়া র‍্যালি ও সচেতনতা বৃদ্ধিমুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালি বের হয়ে শহরের বিভিন্ন দিক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যাবস্থাপনা শাখা কোটচাঁদপুরের আয়োজনে অফির্সাস ক্লাব মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে এর  সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিরুপমা রায়,উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম, ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আক্কাস আলী, এলাঙ্গী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, সাফদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, দোড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বিশ্বাস, বলুহর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, কুশান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহরুজ্জামান সবুজ, সাংবাদিক, নজরুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ বাশার প্রমুখ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম। সে সময় দুর্যোগ, ভুমিকম্প উপর চিত্রা অঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী দের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।




হতাশা দূর করতে শরীরচর্চা

হতাশা কিংবা বিষণ্ণতা অথবা উদ্বিগ্নতা দিন-দিন মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানসিক বা শারীরিকভাবে অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। যেকোনো মানুষের জীবনে যেকোনো কারণে যেকোনো সময়ে মানুষ হতাশ অথবা বিষণ্ণ হতে পারে।

মোটকথা মানুষের জীবনে হতাশার কারণে কোনো জুড়ি নেই। তা মানুষের শারীরিক কারণও হতে পারে কিংবা মানসিক কারণ হয়তো বা তার জীবনের কোনো ব্যক্তিগত সমস্যা কিংবা তার কর্মক্ষেত্রও হতে পারে। এছাড়া আমাদের জীবনযাত্রা, আবহাওয়া, প্রকৃতি, আমাদের চাহিদা, আমাদের পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারণে যেকোনো সময় আমরা হতাশ বা বিষণ্ণতার মধ্যে পড়তে পারি। তবে হতাশ বা বিষণ্ণতা এই দুটোকে কেন্দ্র করে কখনোই জীবন চালানো যাবে না।

জীবনে বেঁচে থাকার তাগিদের সুস্থ থাকার জন্য সবারই একটা সুন্দর জীবন কাম্য। তবে সেখানে যদি অনেক ধরনের সমস্যা থাকে, সে সমস্যাগুলোকে কখনোই সমস্যা মনে করে জীবনের সঙ্গে না জড়িয়ে সমাধান খুঁজতে হবে। তেমনি হতাশার ক্ষেত্রেও হতাশা দূর করার ব্যবস্থা নিতে হবে। হতাশ আছি বলে হতাশ হয়ে যাচ্ছে সব কিছু এমনটা ভাবলে চলবে না।

জীবনকে সুন্দর করার জন্য সহজ উপায়ে জীবন-যাপন করার জন্য হতাশা এবং বিষণ্ণতাকে দূরে রাখতে হবে। তবে এর জন্য আমাদের দরকার নিজস্ব উদ্যোগ।

হতাশার বিষণ্ণতা দূর করতে কিংবা সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপনে শরীরচর্চা এক অপারেশন ভূমিকা পালন করে সেই বিষয়েই জানা যাক:

.দৈনন্দিন কাজের রুটিন তৈরি করুন।
.লক্ষ্য স্থির করুন।
.ব্যায়াম বা শরীরচর্চা।
.নির্দিষ্ট সময় বাইরে গিয়ে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করা।
.স্বাস্থ্যকর পরিমিত খাবার খাওয়া।
.নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম।
.পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান দায়িত্ব গ্রহণ করুন।
.ইতিবাচক চিন্তা করুন।
.বিষণ্ণতা (ডিপ্রেশন)/হতাশা নিরাময়ে কাউন্সেলিং নিন।
.বেশি প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
হতাশা বা বিষণ্ণতা দূর করতে শরীরচর্চা রয়েছে অপরিসীম ভূমিকা:
শরীরচর্চা মানুষের শরীরে এন্ডোরফিন নামে রাসায়নিকগুলো বাড়ায় যা আমাদের ভালো থাকার অনুভূতি বৃদ্ধি করে। এটি হতাশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনতে পারে। নিয়মিত শরীরচর্চা মস্তিষ্ককে ইতিবাচক ধারণাগুলো পুনঃগঠন করতে উৎসাহিত করে। প্রতিদিন দীর্ঘ সময় শরীরচর্চা করতে হবে এমন কোনো বাঁধা-ধরা নিয়ম নেই, সপ্তাহে কয়েকবার কিছুক্ষণ হাঁটাতেও কাজ হতে পারে।

ব্যায়াম বা শরীরচর্চার ফলে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে অতিরিক্ত অক্সিজেন ও পুষ্টি সরবরাহ হয়। এর ফলে আমাদের হৃদযন্ত্র এবং রক্তনালী সচল থাকে। এর ফলে সমস্ত শরীরে একটি সুস্থ প্রাণস্পন্দন ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়। ব্যায়াম কাজের গতি বাড়ায়।

যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য ব্যায়াম অত্যন্ত উপকারী। ব্যায়াম অনিদ্রা দূর করে, অতি নিদ্রা হ্রাস করে।

শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্ক থেকে নানা রকম রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়। এসব রাসায়নিক উপাদান চিত্ত প্রফুল্ল করে এবং শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির পাশাপাশি চেহারায় লাবণ্য ও ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। নিয়মিত শরীর চর্চাকারীকে বিষণ্ণতা কিংবা হতাশা সহজে গ্রাস করতে পারে না। মানসিক শক্তি পাওয়া যায় ব্যায়ামের মাধ্যমে।

তবে শুধু ব্যায়ামের ওপর নির্ভরশীল হলেই চলবে না। একটি সুস্থ জীবন যাপনের জন্য একটি নিয়মিত রুটিন আমাদের সবারই অনুসরণ করতে হবে। নিয়ম মেনে চলা অভ্যাসের পরিণত করতে হবে।

প্রতিটি দিন আমাদের নিজেদের। তাই কোনো কারণে একটি দিন নষ্ট করলে জীবন থেকে অনেকটা সুন্দর সময় নষ্ট হয়ে যাবে। তাই জীবনকে সুন্দর সহজ সরল করার জন্য কিছু ভালো অভ্যাস করাই যেতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




বুসানে পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের ‘বলী’

২৮তম বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের নিউ কারেন্টস বিভাগে পুরস্কার জিতেছে বাংলাদেশের সিনেমা ‘বলী’ (দ্য রেসলার)। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সকালে উৎসবের সমাপনী দিনে এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। বুসান উৎসবের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেজে পুরস্কারের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

মর্যাদাপূর্ণ এ চলচ্চিত্র উৎসবের নিউ কারেন্টস বিভাগে প্রথম বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে পুরস্কার জিতল ‌’বলী’। নিউ কারেন্টস বিভাগে দুটি সিনেমাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। ‌‘বলী’ ছাড়া এ বিভাগে পুরস্কার জিতেছে জাপানের মোরি তাতসুয়া পরিচালিত ‘সেপ্টেম্বর ১৯২৩’। দুই সিনেমাই পুরস্কার হিসেবে ৩০ হাজার ডলার পেয়েছে।

ইকবাল হোসাইন চৌধুরী পরিচালিত ‌‘বলী’ (দ্য রেসলার) সিনেমাটি সম্পর্কে বুসান উৎসবে নিউ কারেন্টস বিভাগের বিচারকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‌‌‘ছবিটি যেন দুর্দান্ত এক সিঙ্গেল রাউন্ড ম্যাচ, যেখানে জাদুকরিভাবে গল্প বলা হয়েছে।’

২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারি অনুদানের ছবি ‘বলী’ (দ্য রেসলার)। ছবিটির প্রযোজক পিপলু আর খান। সহ–প্রযোজক হিসেবে আছেন সাইফুল আজিম ও গাউসুল আলম শাওন। প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। সাগরপাড়ের এক খ্যাপাটে জেলের চরিত্রে দেখা গেছে তাঁকে।

গত বছরের এপ্রিল-মে মাসে ছবিটির টানা শুটিং হয়েছে চট্টগ্রামের উপকূলীয় এলাকায়। তারও আগে লম্বা সময় নিয়ে চলেছে ছবির অডিশন। চট্টগ্রাম ও ঢাকার মঞ্চের একদল নবীন প্রতিভাবান শিল্পী কাজ করেছেন এ সিনেমায়। এ বছরের শেষে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারে।

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলার প্রেক্ষাপটে নির্মিত ‘বলী’র গল্প। বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ৭, ৮ ও ৯ অক্টোবর ছিল সিনেমাটির প্রদর্শনী। প্রতিটি প্রদর্শনী শেষেই দর্শকদের বহু ধরনের প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে ‘বলী’ টিমকে। সেসব প্রশ্নে উঠে আসে বলীখেলা নিয়ে কোরীয় দর্শকদের আগ্রহের কথা।

বুসান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবকে এশিয়ার সবচেয়ে বড় ও মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব বলে বিবেচনা করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার মিনিস্ট্রি অব কালচার স্পোর্টস অ্যান্ড ট্যুরিজমের সহযোগিতায় ও বুসান সিটি এবং কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিলের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হওয়া উৎসবটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ক্যালন্ডারে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।

এ বছর ২৮তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশের তিন সিনেমা। এর মধ্যে নিউ কারেন্টস বিভাগে প্রতিযোগিতা করেছে ‘বলী’ ও বিপ্লব সরকারের ‘আগন্তুক’। এ ছাড়া কিম জিসোক বিভাগে প্রতিযোগিতা করছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘অটোবায়োগ্রাফি’। এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ উৎসবটিতে এবারই প্রথম বাংলাদেশের তিনটি ছবি প্রতিযোগিতায় স্থান পেয়েছে। বুসানে বাংলা ভাষার তিনটি ছবিই প্রশংসিত হয়েছে।

বিআইএফএফ আউটডোর থিয়েটারে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় (বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩ টা) শুরু হবে লালগালিচা অনুষ্ঠান। এরপর থাকছে পুরস্কার বিতরণ। গত ৪ অক্টোবর শুরু হয় ১০ দিনের বুসান চলচ্চিত্র উৎসব। এবারের অফিশিয়াল সিলেকশনে স্থান পেয়েছে ৬৯টি দেশের ২০৯টি চলচ্চিত্র।




মুজিবনগরে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালন

“অসমতার বিরুদ্ধে লড়াই করি দুর্যোগ সহনশীল ভবিষ্যৎ গড়ি” এই প্রতিবাদে মুজিবনগরে র‍্যালি, আলোচনা সভা এবং ভূমিকম্প ও অগ্নিকান্ড বিষয়ক মহড়ার মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস।

শুক্রবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র‍্যালী বের করা হয় র‍্যালীটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাশরুবা আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মুজিবনগর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার শাহজাহান আলী।

আলোচনা সভা শেষে উপজেলা চত্বরে মুজিবনগর ফায়ার ব্রিগেড ও সিভিল ডিফেন্সের অগ্নি নির্বাপন মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।




বারাদী কৃষি ব্যাংকে বিদ্যুৎ বিলে রেভিনিউ স্ট্যাম্পের টাকা আদায়কারীর পকেটে

সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিদ্যুৎ বিলের রেভিনিউ স্ট্যাম্পের টাকা চলে যাচ্ছে বিল আদায়কারীর পকেটে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বারাদী শাখার বিদ্যুৎ বিল আদায়কারী শরিফুল ইসলাম প্রতিনিয়ত এ কাজটি করে বলে অভিযোগ রয়েছে।

গতকাল বৃহষ্পতিবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে কৃষি ব্যাংক বারাদী শাখায় পরিশোধিত একটি বিদ্যুৎ বিলের কপি পরীক্ষা করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। মোঃ আশাদুল ইসলাম নামের এক গ্রাহকের ৬৭৩/- টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করার পরও বিলের গ্রাহক কপিতে কোন রাজস্ব টিকিট পাওয়া যায় নি। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পাঁচশত টাকার উর্দ্ধের সকল বিদ্যুৎ বিলের গ্রাহক কপিতে ১০ টাকা মুল্যমান একটি রাজস্ব টিকিট লাগানো বাধ্যতামুলক। কিন্তু সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে গ্রাহকের কপিতে রাজস্ব টিকিট না লাগিয়ে পরবর্তীতে অন্যথায় টিকিট বিক্রি করে বিক্রির টাকা চলে যাচ্ছে বিদ্যুৎ বিল আদায়কারীর পকেটে। এভাবে প্রতিনিয়ত সরকারি রাজস্বের বড় একটা অংশ নীরবে গায়েব হয়ে যাচ্ছে। যেটা দেখার কেউ নেই।

এ বিষয়ে বিল আদায়কারী শরিফুল ইসলাম বলেন, রাজস্ব টিকিট ফুরিয়ে যাওয়ায় লাগানো হয়নি। রাজস্ব টিকিট ব্যতীত বিল নিলেন তাহলে রাজস্বের এই টাকা টা কোথায় যাচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে শাখা ব্যবস্থাপক বলেন, ঐ হিসাব টা আমি দেবো।

মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (অর্থ) ফ্লোরিডা পারভীন বলেন, চলমান মাসের প্রতিটি ৫শ টাকার উর্দ্ধের বিদ্যুৎ বিলের জন্য দশ টাকার একটি রাজস্ব টিকিট দেয়া হয়। তারা যদি এমনটি করে তাহলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এছাড়াও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক বারাদী শাখায় বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে গেলে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ রয়েছে। অনেক সময় বিদ্যুৎ বিল না নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে গ্রাহককে ফেরত পাঠানো হয় বলে জানান এক ভুক্তভোগী।