১২৮ বছর পর অলিম্পিকে ফিরছে ক্রিকেট

অলিম্পিক গেমসে দীর্ঘ ১২৮ বছর পর আবারো ফিরেছে ক্রিকেট। আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে অলিম্পিক। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, কেবল দুটি ‘না’ ভোট পড়েছিল এই প্রস্তাবনায়।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির ভারতীয় সদস্য নিতা আম্বানি এক ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া অলিম্পিকের নিজস্ব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্রিকেটকে ফিরিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে ১৯০০ সালে অলিম্পিকে ক্রিকেট শেষবার হয়েছিল। সেবার গ্রেট ব্রিটেন স্বর্ণ ও ফ্রেঞ্চ এথলেটিক ক্লাব ইউনিয়ন রৌপ্য জয় করে। এরপর থেকে আর ক্রিকেট খেলা হয়নি বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায়। ১৯৮৬ সালে অ্যাথেন্স অলিম্পিকে ক্রিকেট রাখা হলেও পর্যাপ্ত সংখ্যক দল অংশ না নেওয়ায় শেষ পর্যন্ত মাঠে গড়ায়নি কোনো বল।




ঝিনাইদহে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব-বাংলাদেশ (টিসিবি)। আজ সোমবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সামনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক এস.এম রফিকুল ইসলাম।

সেসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন, টিসিবি’র সহকারী পরিচালক আতিকুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা (ভারপ্রাপ্ত) খাদ্য কর্মকর্তা তাজউদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সংশ্লিষ্টরা জানায়, এবার জেলার ৬ উপজেলায় ১০৭ জন ডিলারের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার ১’শ ৩৩ জন ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রি করা হবে। প্রতিটি ফ্যামিলি কার্ডে ৪’শ ৭০ টাকায় ২ কেজি মসুরের ডাল, ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৫ কেজি চাউল মিলবে।




বাংলাদেশের অসাধারণ রূপান্তরের গল্প এবার টাইম ম্যাগাজিনে

একবিংশ শতাব্দিতে বাংলাদেশে এক অসাধারণ রূপান্তর চলছে। যারফলে এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক উদীয়মান তারকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। কোভিড-১৯ মহামারীর সময় গোটা বিশ্ব যখন অন্ধকার সময় পার করছিল তখনও বাংলাদেশ আশার আলো দেখাচ্ছিল। মহামারী দেশটির অর্থনৈতিক অগ্রগতি থামাতে পারেনি। অনেক দেশ যখন হোঁচট খাচ্ছিল, অর্থনীতি ধ্বসে পড়ছিল, বাংলাদেশ তখন ভালোভাবে সেই ঝড় মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে গিয়েছে।

নিউইয়র্ক ভিত্তিক প্রভাবশালী ম্যাগাজিন টাইম ইন্টারন্যাশনালের চলতি অক্টোবর সংখ্যায় এভাবেই বাংলাদেশকে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে তুলে ধরে একটি প্রতিবেদন করেছে।
প্রতিবেদনে তারা বলছে, বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এজন্য তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, একাধিকবার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ধারাবাহিকতাকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা লাভের পর দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটি দারিদ্র্যে জর্জরিত ছিল এবং দেশটির উন্নয়নের জন্য ব্যাপক পরিকল্পনার অভাব ছিল। কিন্তু একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে চলছে এক অসাধারণ রূপান্তর। দেশটি এখন আবির্ভূত হয়েছে অর্থনৈতিক উদীয়মান তারকা হিসাবে।

লন্ডন ভিত্তিক বিশ্ব অর্থনীতি গবেষণা ইনস্টিটিউটের একটি রিপোর্টের তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত উর্ধমুখী। বিশ্বে দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সেরা।

২০২১ সালে মহামারীর সর্বোচ্চ বছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) বেড়েছে ৬.৯%। বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রবৃদ্ধি যে চিত্তাকর্ষক ও টেকসই হতে পারে বাংলাদেশ তা প্রমাণ করছে। বিশ্লেষকদের ভবিষ্যদ্বাণী বলছে, বাংলাদেশে ভবিষ্যত উজ্জ্বল। দেশটির অর্থনীতি বৃদ্ধি পেয়ে আজ বিশ্বের ৩৪তম বৃহত্তম থেকে ২০৩০ সালে ২৮তম এবং ২০৩৫ সালের মধ্যে ২৫তম একটি ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দেশ হয়ে ওঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে এটি উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।

একবারে “তলা বিহীন ঝুড়ি” থেকে কীভাবে দেশটির এমন চমকপ্রদ পরিবর্তন হয়েছে তার গল্প তুলে ধরে টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-গল্পটি হল বাংলাদেশ দৃঢ় সংকল্প। সদিচ্ছা।
সরকারের বাণিজ্যের দ্বার উন্মুক্ত ও বর্ধিত করা এবং বিনিয়োগ, ব্যবসা-বান্ধব নীতি ও পরিবেশ তৈরি করা অন্যতম। ১০০টিরও বেশি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে এগুলোতে উৎপাদনের পরিবেশ তৈরির জন্য বিশেষায়িত নির্দিষ্ট শিল্প এলাকা প্রতিষ্ঠা করা এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য আকর্ষণীয় প্রণোদনা দেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তগুলোর প্রশংসা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বলা হয়েছে এগুলো রপ্তানিমুখী অর্থনৈতিক কৌশলকে উৎসাহিত করতে সাহায্য করেছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বঙ্গোপসাগরের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত বাংলাদেশের রপ্তানি শিল্পগুলি কৌশলগতভাবে ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের ব্যস্ত শিপিং লেনে অবস্থান করার পাশাপাশি দেশের ঐতিহ্যবাহী কৃষি-ভিত্তিক রপ্তানি এখন শক্তিশালী হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, চাল ও সবজির তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদক এবং স্বাদুপানির অভ্যন্তরীণ মাছের জন্য চতুর্থ বৃহত্তম।
পরিসংখ্যানগুলি দেখলে হয়তো কেউ কেউ অনুমান করতে পারে যে বাংলাদেশ প্রযুক্তি থেকে পিছিয়ে আছে। কিন্তু এটা মোটেও ঠিক নয়। এখন বিদেশী এবং দেশীয় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে ফার্মাসিউটিক্যালস, চিকিৎসা সরঞ্জাম, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, জাহাজ নির্মাণ এবং ইলেকট্রনিক্সের অন্যান্য শিল্পে বিনিয়োগ করছে। বাংলাদেশের রপ্তানির ম্যানুকে বৈচিত্র্যময় করছে এবং আরও অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতা তৈরি করছে। এসবের মধ্য দিয়ে দেশ বদলে যাচ্ছে, পরিবর্তনের গতি ত্বরান্বিত হতে চলেছে।

এই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৪৫% এরও বেশি বাংলাদেশীর বয়স ২৪ বছর বা তার কম, যেখানে ৭০% জনসংখ্যা ৪০ বছর বা তার কম বয়সী। তারুণ্য এবং প্রবীণদের প্রাণশক্তির যুথবদ্ধতা ইতিমধ্যেই নতুন এবং কর্মউদ্দীপনা পূর্ণতা তৈরি করছে। ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে তরুণ প্রজন্ম বাংলাদেশকে বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল ভোক্তা বাজার হিসেবে গড়ে তুলছে। এইচএসবিসি’র তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকটি পূর্বাভাস দিচ্ছে যে, দেশের ভোক্তা বাজার ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৭% বৃদ্ধি পাবে, এটি জার্মানি এবং যুক্তরাজ্যকে ছাড়িয়ে বিশ্বের নবম বৃহত্তম হবে ৷ স্পষ্টতই, এটি বাংলাদেশকে পণ্য তৈরি ও বিক্রির জন্য একটি লোভনীয় জায়গা করে দিচ্ছে।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডিজিটাল অর্থনীতি খাতে তরুণরা বড় পরিবর্তন আনছে, যা এখন দেশের প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকা শক্তি। ইন্টারনেট ব্যবহারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। সর্বোচ্চ সংখ্যক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী অনলাইন কর্মশক্তিতে জনগণের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ সারাদেশে ২৮টি হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশে ডিজিটাল জ্ঞান ও উদ্ভাবন ভাইরাল হচ্ছে।

ডিজিটাল অবকাঠামো প্রসারিত হওয়ার পাশাপাশি ঐতিহ্যগত অবকাঠামোরও ব্যাপকভাবে উন্নতি হচ্ছে।পদ্মা সেতু, এক্সপ্রেসওয়ে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, গভীর সমুদ্র বন্দর, বিমানবন্দর, পানির নিচে টানেল নির্মাণ হয়েছে আরও অনেক মেগা প্রকল্প নির্মাণাধীন বা সমাপ্তির পর্যায়ে রয়েছে। এরমধ্যে একমাত্র মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্র বন্দরই জিডিপি ১.১৪% বৃদ্ধি করবে। ২,৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ৪০,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে।

পদ্মা বহুমুখী সেতু ঢাকাকে স্বল্পোন্নত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত করায়- আঞ্চলিক বাণিজ্য প্রসারিত হয়েছে। ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল- যার ধারণক্ষমতা ২৪ মিলিয়ন যাত্রী। ধারনা করা হচ্ছে এই টার্মিনালে প্রতি বছর ৫০০০০০ টন কার্গো রাজধানী ঢাকাকে এই অঞ্চলের জন্য একটি ট্রানজিট হাব হিসেবে করে তুলবে।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনটি শেষ করা হয়েছে এই বলে যে, বাংলাদেশ যখন নতুন যুগে প্রবেশ করছে, তখন কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারে না যে আমাদের বিশ্বের জন্য সামনে কী রয়েছে। বিশ্বব্যাপী মহামারী সম্পর্কে খুব কমই ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছিলো। কিন্তু এই শতাব্দীতে বাংলাদেশ একটি বৈচিত্র্যময় এবং স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি গড়ে তুলতে সফল হয়েছে, যা ভবিষ্যতে বৈশ্বিক প্রতিবন্ধকতা সহ্য করতে, এমনকি উন্নতি করতে সক্ষম হবে। প্রতিশ্রুতি এবং সম্ভাবনার সাথে, বাংলাদেশ বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি শক্তি হিসাবে উপস্থিত থাকবে এবং এর তারা জ্বলতে থাকবে।




আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের কর্মি সভায় এমপি ছেলুন

আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার সকাল  সাড়ে ১০ টার দিকে চিৎলা পশ্চিমপাড়ায় এ কর্মি সভার আয়োজন করা হয়।

কর্মি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জেয়ার্দ্দার বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন আজ তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। আজকের এই জনসভায় যেসব কর্মি ভাইয়ের উপন্থিত হয়েছেন,আপনারা মানুষের কাছে গিয়ে নৌকার জন্য ভোট চান,দেশের উন্নয়নের জন্য ভোট চান। আজকে সারের জন্য কৃষককে লাইন দিতে হয়না। গুলি খেয়ে মরতে হয়না। গ্রামে গ্রামে রাস্তা করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের মানুষের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। ফ্রী ওষধ দেওয়া হচ্ছে। যে ক্লিনিক বিএনপির আমলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আজ মানুষ চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। পদ্ম সেতু নির্মাণ করা হয়েছে,কর্ণফুলি ট্যানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষ সুবিধা ভোগ করছে। প্রত্যেক উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দিয়ে শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।

চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি খন্দকার আব্দুল বাতেনের সভাপতিত্বে কর্মীসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়াদ্দার, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সী আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস,সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদব শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন।

সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রশিদ, রেজাউল হক, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি লিয়াকত আলি লিপু মোল্লা, সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, চিৎলা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ নেতা বীরমুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হকের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন,ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা রবিউল হক ঝন্টু, ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি শমসের আলী, সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক মোজাম, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বেল্টু হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুছদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আবু ছুডাম, ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা, ৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক শ্রী আতুস ঘোষ, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি জুলফিকার আলী,সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম ঝন্টু, সাধারণ সম্পাদক কাউছার, ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি মহাসিন আলী, ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি হারেজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জেল হোসেন প্রমুখ।

কর্মি সমাবেশে আলমডাঙ্গার চিৎলা ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামীলীগে যোগ দিয়েছেন। প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামীলীগর সভাপতি ও ১ আসনের সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুনের হাতে ফুল দিয়ে তারা যোগদান করেন। তারা দুজনই চিৎলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য। এছাড়া আইনাল হোসেন ২ নম্বর ওয়ার্ড ও আনোয়ার হোসেন ৫ ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।




মেহেরপুরের বারাদিতে খন্দকার তিয়ানা সুইটস্ শো-রুমের উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার ৪০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন প্রতিষ্ঠান খন্দকার সুইটস এর দ্বিতীয় শোরুম খন্দকার তিয়ানা সুইটস এর শো-রুম উদ্বোধন হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেল সাড়ে চারটায় বারাদী বাজারের প্রাণকেন্দ্র পুলিশ ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় জেলা পরিষদ মার্কেটে খন্দকার তিয়ানা সুইটস্ এর উদ্বোধন ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

হরেক রকমের বাহারি ডিজাইনের মিষ্টির পসরা নিয়ে খন্দকার তিয়ানা সুইটস্ এর কার্যক্রম শুরু হল। এর মধ্যে হাড়িভাঙ্গা দুধ চমচম, স্পেশাল হাড়িভাঙ্গা ক্ষীর রোল, রোল সন্দেশ, ক্রিম জাম, ইলিশ পেটি, রসমালাই উল্লেখযোগ্য।

খন্দকার সুইটস্ এর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকও বারাদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন।

 এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বারাদী বাজার কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব লিয়াকত আলী সর্দার, সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান পন্ডিতসহ এলাকার সুধীজন ও ব্যবসায়ীবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে দোয়া পরিচালনা করেন বারাদী মাদ্রাসার মুহতামিম মাওঃ শফিকুল ইসলাম।

খন্দকার সুইটস্ এর পরিচালক খন্দকার সৌরভ বলেন, খন্দকার সুইটস এর প্রতিষ্ঠাতা আমার পিতা মরহুম খন্দকার আঃ মোতালেব এর হাত ধরেই সুদীর্ঘ ৪০ বছর সুনামের সহিত আমরা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। জেলার চাহিদা মিটিয়েও বারাদি অঞ্চলের মানুষের চাহিদা পূরণ ও সর্বোচ্চ গুণগত মানের প্রশ্নে আমরা বদ্ধপরিকর। খন্দকার তিয়ানা সুইট বারাদী শো-রুম পরিচালনা করবেন খন্দকার আমিনুল ইসলাম এবং এসআই রিঙ্কু মাহমুদ।




বিএনপির পৈশাচিকতার চিত্র নিয়ে ঢাকার রাস্তায় বিলবোর্ড, স্তম্ভিত পথচারী

রাজধানীর শাহবাগ, মৎসভবন, আগারঁগাওসহ বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বসেছে বিএনপি সরকারের ভয়াবহ পৈশাচিকতা ঘটনা নিয়ে বিলবোর্ড। সেখানে ওঠে এসেছে ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপির জামায়াত নৃশংসতার চিত্র। ২০ বছর আগের সহিংসতার ছবি থেকে স্তম্ভিত হচ্ছেন পথচারীরা। রবিবার অফিসের পথে বের হওয়া মানুষ যেনো ফিরে যায় সেই নির্মম সময়ে।

শাহবাগের মতো ব্যস্ততম রাস্তাতে চলার পথে বিলবোর্ডের সামনে একটু দাঁড়িয়ে পড়ছেন কেউ কেউ। অনেকে একবার তাকিয়েই চোখ ফিরিয়ে চলে যান। চোখ ফিরিয়ে নিলেন কেন? জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান বলেন, ‘এই সহিংসতার চিত্র মনে গেঁথে আছে। তখন আমি বেশ ছোট। আমার এলাকাতে অনেক অত্যাচার নির্যাতনের নজির আছে। আমার প্রতিবেশিরা আমাদের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলো আগুন থেকে বাঁচতে। এসব আমরা ভুলে গেছি। নিজের কাছেই লজ্জা লাগলো এই ছবিটা দেখে।’ তবে মানুষকে এঘটনা দেখানো দরকার আছে বলেও তিনি মনে করেন।

মৎসভবন থেকে শাহবাগ হয়ে টিএসসি এই পথে যারা যাতায়াত করেন তাদের বড় অংশ শিক্ষার্থী। ২০০১ সালের অক্টোবরের সেই তাণ্ডব বা পুরো শাসনামলেই যে ভয়ঙ্গর ভীতি তৈরি করা হয়েছিলো সেসব তাদের স্মৃতিতে নেই। বিলবোর্ড দেখে তাদেরই কেউ কেউ কথা বলছিলেন মধুর ক্যান্টিনে বসে।

আঁগারগাওতে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে। মেট্রোরেল স্টেশনের নিচে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এই যে মেট্রোরেলের স্থাপনা এর নিচে এই জঘন্য পোস্টারের মধ্য দিয়ে একটা জিনিস স্পষ্ট হয়েছে, এই উন্নয়ন আমাদের চোখে পড়ে না। কিন্তু সেই যে জঘন্য দিনগুলো আমরা কাটিয়েছি, তা আমরা ভুলতে বসেছি। আমি কিছুক্ষণ পোস্টারটার দিতে তাকিয়ে আর পারিনি। কান্নায় চোখ ভিজে এসেছে।’

প্রতিবারই জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির হাত ধরে প্রকাশ্যে নাশকতা শুরু করে জামায়াত-শিবির। বিএনপি-ছাত্রদল-যুবদল প্রথমে সরকারবিরোধী অবস্থানের নামে দেশজুড়ে সন্ত্রাস শুরু করে, এরপরেই জামায়াত-শিবিরের ক্যাডাররা মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন চালাতে থাকে। এ যেনো নিয়মে পরিণত হয়েছে। ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় তাদের নিপীড়নের এই ধারা ২০১৪ সালে পেট্রোল বোমায় গণহারে মানুষ পুড়িয়ে মারার মতো বর্বরতায় রূপ নেয়।




ফিলিস্তিনিদের দুঃখে পাশে আছে বাংলাদেশ

১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় আরব রাষ্ট্রগুলো পাকিস্তানের সঙ্গে ছিল। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে পাকিস্তানকে তারা সহায়তা দিয়েছিল। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের আত্মসমর্পণের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি খুব দরকার ছিল। ওই সময় অর্থাৎ ১৯৭২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইসরায়েল বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেই স্বীকৃতি প্রত্যাখ্যান করে। এটা ছিল সদ্য স্বাধীনতা একটি দেশের জন্যে খুবই সাহসী সিদ্ধান্ত। তবু কাজটি করেছিলেন বঙ্গবন্ধু।

আজও বাংলাদেশ ফিলিস্তিন ইস্যুতে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতিতে অটল। শেখ হাসিনার সরকার বিশ্বাস করে, বাংলাদেশ সবসময় মানবাধিকার ও মানবিকতারে পক্ষে। এটা শুধু সহিংসতা, দখলদারি, ফিলিস্তিন বা মুসলিম সম্পর্কিত বিষয় নয়। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও বর্ণবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে নিজেদের অধিকার আদায়ে সংগ্রামরত মানুষকে সব সময় সমর্থন দিয়েছেন। তাই ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অবসান ও দ্বিরাষ্ট্র নীতির ভিত্তিতে একটি স্বাধীন ও টেকসই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবির পক্ষে উচ্চকিত ছিলেন তিনি।

এরই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের মানবাধিকার রক্ষায় এবং জাতিসংঘ প্রস্তাব, আরব পিস ইনিশিয়েটিভ ও কোয়ার্টেট রোডম্যাপের আলোকে স্বাধীন, সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ফিলিস্তিন সংকটের একটি টেকসই এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

সম্প্রতি সংঘটিত সকল ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাতে এবং যেকোনো সংকট নিরসনের জন্য গৃহীত পদক্ষেপে ফিলিস্তিনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে বাংলাদেশ। অনেক মুসলিম দেশ এরইমধ্যে ফিলিস্তিনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছে কিংবা গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে প্রীতির সম্পর্ক তৈরি করেছে। কিন্তু বাংলাদেশ বিশ্বাসভঙ্গ কিংবা কোনো ভান-ভনিতার আশ্রয় নেয়নি। স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশ ইসরায়েলি দখলদারি ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে অটল রয়েছে।

ঐতিহাসিক ভাবে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ । এখানে ১৯৭২ সালে ইসরায়েলের স্বীকৃতি এবং বাংলাদেশের প্রত্যাখ্যানের বিষয়টি আরও একবার উল্লেখ করতে হবে। কারণ ওই সময় ইসরায়েলের স্বীকৃতি এড়িয়ে যাওয়ার বিষয়টি বাংলাদেশের জন্যে সহজ ছিলও না। তবু বাংলাদেশে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের প্রতি জোরালো সমর্থন অব্যাহত রাখতে এবং মুসলিম উম্মাহর ক্ষতি হোক এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে ইসরায়েলের স্বীকৃতি গ্রহণ করেনি। তাই ওই সময় থেকে ইসরায়েলের অবৈধ দখলদারির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জনকে সমর্থন করা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির অতিগুরুত্বপূর্ণ নীতি।
আরব দেশগুলোর বেশির ভাগই বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়ার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলো। কিন্তু তখনও ফিলিস্তিন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ১৯৭৩ সালের অক্টোবর মাসে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে বাংলাদেশ ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে। ১৯৬৭ সালের নির্ধারিত সীমানা অনুযায়ী জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে সমর্থন করে বাংলাদেশ।

ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির আরাফাত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। ১৯৭৪ সালে লাহোরে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনের সময় ইয়াসির আরাফাত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বৈঠকের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে প্রথম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে তার প্রথম ভাষণে, ১৯৭৪ সালে ওআইসির দ্বিতীয় সম্মেলনে এবং ১৯৭৩ সালে চতুর্থ ন্যাম সম্মেলনে ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রাম ও আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানান।

১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে মেডিক্যাল টিম ও ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সহায়তা করে। ঢাকায় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-এর কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পিএলওর মধ্যে সম্পর্ক সুদৃঢ় হয়।

উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশি ফিলিস্তিনে, পবিত্র আল-আকসার জন্য সশরীরে লড়াই করেছে। যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের লাইব্রেরির ১৯৮৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রতিবেদনে উল্লেখ আছে, ১৯৮৭ সালে প্রায় আট হাজার বাংলাদেশি যুবক পিএলওতে যোগ দিয়ে ফিলিস্তিনের পক্ষে লড়াই করেছে। ১৯৮৮ সালের ১৫ নভেম্বর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ঘোষণার পর থেকে জাতিসংঘের যে ১৩৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ তার অন্যতম। ১৯৮০ সালে একজন ফিলিস্তিনি যোদ্ধার ছবিসংবলিত ডাকটিকিটও প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ যেমন ইসরায়েলের স্বীকৃতি গ্রহণ করেনি তেমনি গত ৫০ বছরে ইসরায়েলকেও বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেয়নি। উপরন্তু, বাংলাদেশি নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ইসরায়েলের সঙ্গে সব রকম বাণিজ্য (প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ) সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে এবং ইসরায়েলের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই।

এখনও বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের সাথে ফিলিস্তিনের জনগন ও সরকারের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক নিরবচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যমান রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার ফিলিস্তিনি ছাত্রদের বাংলাদেশের মেডিক্যাল কলেজগুলোতে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ফিলিস্তিনের সামরিক সদস্যদের বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সামরিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের ক্রমাগত ও জোরালো সমর্থক এবং ইসরায়েলের দখলদারির বিরোধিতাকারী। এরই ধারাবাহিকতায় ইসরায়েলের চলমান বর্বরোচিত আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী লিখিতভাবে প্রতিবাদ করেছেন। বর্তমানে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার বিষয়টি সুরাহা করতে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। ২০২১ সালে ইসরায়েলি হামলায় হতাহত ব্যক্তিদের প্রতি শোক ও সমবেদনা জানিয়ে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাসকে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিঠিতে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে সম্প্রতি আল-আকসা মসজিদ কমপ্লেক্সে নিরীহ মুসলমান এবং বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার গভীর দুঃখ এবং উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ ফিলিস্তিনসহ সারা বিশ্বের যেসব স্থানে এই ধরনের ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো বন্ধে টেকসই ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।

শেখ জাররাহ এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ করে ইসরাইলের দখলের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ফিলিস্তিনি পরিবারগুলোকে উচ্ছেদ করে সেই এলাকা দখল করে ইসরাইলি বাহিনী মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘন করেছে’। চিঠিতে ফিলিস্তিনের রাজধানী পূর্ব জেরুজালেমসহ ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ওপর ভিত্তি করে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পক্ষে বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থানও পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।

এর আগে ২০২০ সালে এবং পরে ২০২২ সালেও একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন চিঠি দিয়েছিলেন। গত পাঁচ দশক ধরে ফিলিস্তিনের বেশ কয়েকটি অঞ্চল দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। যে কারণে ইসরায়েলকে কি ধরনের শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের (আইজিসে) মতামত জানতে জাতিসংঘে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। এই প্রস্তাবের পক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৮৭টি দেশ ভোট দিয়েছে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর আইএমএফ ঋণের সম্ভাব্য প্রভাব

এই নিবন্ধটি রচনার শুরুতে আমি একটি বিষয় পরিষ্কার ভাবে উল্লেখ করতে চাই যে আমি পেশায় একজন অর্থনীতিবিদ নই। তবে, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা এবং বাংলাদেশের অর্থনীতিতে আইএমএফ ঋণের সম্ভাব্য প্রভাবকে ঘিরে চলমান আলোচনায় লোক প্রশাসনের একজন শিক্ষক হিসেবে আমার উপলব্ধিতি এই নিবন্ধে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা এবং বৈদেশিক রিজার্ভ বাড়ানোর লক্ষ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (এইএমএফ) থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমান ঋণ পেয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এই আর্থিক অন্তর্ভুক্তি দেশের জন্য অনেক ইতিবাচক প্রভাবের সূচনা করবে একথা নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় কারন এই ঋণ দেশ বর্তমানে যে আর্থিক চাপের মধ্যে রয়েছে তা কমাতে সহায়তা করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিভিন্ন অর্থনৈতিক চাপের কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক রিজার্ভ কমে যাচ্ছে তা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ থেকে সমালোচনা করা হচ্ছে। এই অবস্থায় এইএমএফ এর সহায়তা বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় লাইফলাইন বলে গণ্য হবে। এই ঋণ সহায়তা শুধুমাত্র দেশের আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করবে না, বরং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে যে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকেও শক্তিশালী করবে।

বাংলাদেশকে এইএমএফ এর আর্থিক সহায়তা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসেছে যখন পৃথিবীর অন্যান্য দেশের অর্থনীতি সমস্যা মোকাবিলা করতে এইএমএফ সহায়তা চেয়ে পাচ্ছে না। ফলে এই ঋণ সুবিধা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় প্রেরণা প্রদান করবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এইএমএফ ঋণের ইতিবাচক প্রভাবের কিছু মূল দিক উল্লেখ করা হল।

আইএমএফ ঋণের সবচেয়ে তাৎক্ষণিক এবং আপাত সুবিধাগুলোর একটি হলো বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর এই ঋণের ইতিবাচক প্রভাব। এই বর্ধিত রিজার্ভ আমদানির প্রয়োজনীয়তা মেটাতে, বৈদেশিক ঋণের কিস্তি প্রদান করতে এবং অর্থনৈতিক ধাক্কা মোকাবিলার জন্য অপরিহার্য। আইএমএফ ঋণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা মোকাবিলায় দেশের ক্ষমতাকে উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।

এই ঋণ সহায়তা দেশে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের আস্থার পরিবেশ তৈরি করবে। এই সহায়তা বাংলাদেশকে আরও আকর্ষণীয় বিনিয়োগের কেন্দ্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করবে এবং প্রতিশ্রুতিশীল কাজের সুযোগ তৈরি করবে। বিশ্ব যখন কোভিড-১৯ অতিমারি এবং রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের চলমান প্রভাব মোকাবিলা করছে, আইএমএফ ঋণ এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে বাংলাদেশকে বিভিন্ন ধরণের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধান করতে সহায়তা করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ফলে, এটা স্পষ্ট করে বলা যায় যে এইএমএফ ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য বহুমুখী ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে যা তাৎক্ষণিক আর্থিক সমস্যা মোকাবিলা করতে সরকারকে সহায়তা করবে।

এইএমএফ ঋণ দেশের অর্থনৈতিক অস্থিরতার মুখে একটি স্থিতিশীল শক্তি হিসাবে কাজ করবে। এটি অর্থ প্রদানের ভারসাম্য সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করবে এবং মুদ্রার অবমূল্যায়ন, মুদ্রাস্ফীতি এবং আর্থিক অস্থিতিশীলতার সম্ভাবনা হ্রাস করবে। এই স্থিতিশীলতা বিদেশী বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করার জন্য মৌলিক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের স্থান নির্বাচন করার সময় সময় প্রায়ই শক্তিশালী আর্থিক ভিত্তি এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ গন্তব্যগুলিকে অগ্রাধিকার প্রদান করে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আইএমএফ এর সাম্প্রতিক ঋণ প্রদান একটি আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে শক্তিশালী করবে এবং রাজস্ব দায়িত্বের প্রতি সরকারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নকে তরান্বিত করবে। আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে সঞ্চারিত এই নতুন আস্থা বাংলাদেশের প্রতি আগ্রহকে শুধু পুনরুজ্জীবিতই করবে না, বরং এটিকে বিদেশী সরাসরি বিনিয়োগের (এফডিআই) জন্য আরও প্রলোভনশীল কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে। দেশে এফডিআই এর প্রবাহ বেশি হলে তা কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে যা বেকারত্ব হ্রাস এবং জনগণের জীবনযাত্রার উন্নতির জন্য অপরিহার্য। তাছাড়া, বিদেশী বিনিয়োগ প্রায়শই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং শিল্পের সর্বোত্তম অনুশীলনের সাথে সংযুক্ত, যা দেশের শিল্প ও প্রযুক্তিগত ক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখবে। আইএমএফ ঋণ এবং বিদেশী বিনিয়োগের মধ্যে এই সমন্বয় আগামী বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করবে।

এইএমএফ ঋণ সহায়তা একটি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে নীতিগত শর্তগুলির একটি সেট নিয়ে আসে। এই সংস্কারগুলি সরকারী ব্যয় অপ্টিমাইজ করতে, শাসন ব্যবস্থার উন্নতি এবং ব্যবসার পরিবেশ উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে। আইএমএফ চুক্তির অংশ হিসেবে, বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে টেকসই উন্নয়নে সহায়তা করবে এমন কাঠামোগত সংস্কার গ্রহণে অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়ার কারণে এক্ষেত্রে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করা যায়।

কোভিড-১৯ অতিমারি পরবর্তী রাশিয়া এবং ইউক্রেন যুদ্ধ প্রভাব দ্বারা সৃষ্ট আর্থিক চ্যালেঞ্জগুলি বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের অর্থনীতিকে নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করে চলেছে। ফলে, এই প্রেক্ষিতে, এইএমএফ ঋণ শুধুমাত্র তাৎক্ষণিক অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণে সহায়তাই করবে না, বরং চলমান অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টাকে সহজতর করবে। অতিমারি দ্বারা সৃষ্ট আর্থ-সামাজিক সমস্যা থেকে দেশকে মুক্ত করার ক্ষেত্রে এই ঋণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

পরিশেষে বলা যায় যে এইএমএফ এর ঋণ নিয়ে বিভিন্ন সমালচনা থাকলেও বাংলাদেশের জন্য এই ঋণ দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হবে। এই ঋণ বৈদেশিক রিজার্ভ সংক্রান্ত শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে, বিনিয়োগকারীদের আস্থা জাগ্রত করতে, প্রয়োজনীয় অর্থনৈতিক সংস্কার নিশ্চিত করতে এবং বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব মোকাবিলার করতে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে, এই আর্থিক সহায়তা দেশের অর্থনৈতিক গতিপথ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।

লেখক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর।




জীবনগরে দুর্গা পূজা উদযাপনে প্রস্তুতিমুলক সভা অনুষ্ঠিত

জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপনে প্রস্তুতি মুলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ইশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েশা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) আবু সাইদ,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার দীন ইসলাম।

আরো উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৈধ্য খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রমেন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি জীবননগর শাখার আহ্বায়ক নারায়ন ভৌমিক, সদস্য সচীব যাদব কুমার প্রামানিক।

এছাড়াও উপজেলার ২৭টি পূজা মন্ডবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ বছর উপজেলায় ২৭টি পূর্জা মন্ডবে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে। শান্তিপূর্ন পরিবেশে পূজা উদযাপনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাসহ সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।




নিজ বাসায় খুন হলেন ইরানি পরিচালক

সস্ত্রীক খুন হয়েছেন ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক দারিয়ুশ মেহরজুই। রাজধানী তেহরান থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে করজ নামক স্থানে একটি ভিলায় থাকতেন তিনি। ১৪ অক্টোবর নিজ বাসাতেই খুন করা হয় ৮৩ বছর বয়সী এই পরিচালক ও তার স্ত্রী ভাহিদেহ মোহাম্মাদিফাকে।

দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত খুনির পরিচয় জানা যায়নি। এর নেপথ্যে কে বা কারা রয়েছেন, সেই রহস্য উদ্‌ঘাটন করতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

এবিসি নিইজ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক দারিয়ুশ মেহরজুই এবং তার স্ত্রীকে এক অজ্ঞাত হামলাকারী তাদের নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। এছাড়াও সংবাদমাধ্যমটি ইরানি সরকারি বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ইরান সরকারের বিচার বিভাগের কর্মকর্তা হোসেন ফাজেলি জানিয়েছেন নির্মাতা দারিয়ুশ এবং তার স্ত্রী ভাহিদেহর গলায় ছুরির আঘাতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।

ইরানের সত্তর দশকের উল্লেখযোগ্য পরিচালকের একজন মেহরজুই। দেশটির ছবিতে বাস্তববাদের অবতারণা করেছিলেন যারা, তাদের মধ্যে মেহরজুই অন্যতম। এ জন্য বারবার বিপাকেও পড়তে হয়েছে তাকে। আশির দশকে ইরানে বিপ্লবে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন মেহরজুই। দেশে নতুন সরকার গঠনের পরে শিল্প ও শিল্পীদের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করা হলেও পরের দিকে পরিস্থিতি বদলে যায়।

তার পরিচালিত ছবির মধ্যে অন্যতম ‘হামুন’। এছাড়াও মেহরজুইয়ের বানানো সেরা ছবির তালিকায় রয়েছে—‘লেইলা’, ‘দ্য কাউ’, ‘সনতুরি’।