চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামে কমিউনিটি ক্লিনিকে তালা কেটে মটর চুরি

চুয়াডাঙ্গার কােটালী স্কুল পাড়ায় অবস্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকের তালাকেটে মটর পাম্প চুরির ঘটনা ঘটছে। কােটালী গ্রামের একের পর চুরির ঘটনায় ভাবিয়ে তুলছে গ্রামবাসিকে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের কােটালী স্কুল পাড়ায় অবস্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকের তালাকেটে রুমের মধ্যে চাের ঢুকে মটর পাম্প চুরি করে নিয়েগেছে চাের।

এদিকে গত এক সপ্তাহর ব্যাবধানে কােটালী গ্রাম থেকে মাটরসাইকল চুরি, পাখি ভ্যান চুরির ঘটনা ঘটেছ। কােটালী গ্রামের একের পর চুরির ঘটনায় ভাবিয়ে তুলছে গ্রামবাসিকে।




মেহেরপুরে নারী উদ্যোক্তার জুয়েলারী শোরুম উদ্বোধন

মেহেরপুরে নারী উদ্যোক্তা সাবিনা ইয়াসমিন (স্বপ্না)র জুয়েলারী সামগ্রীর শো-রুম স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে মেহেরপুর কাঁসারী বাজারের অবস্থিত স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজ শো-রুমের উদ্বোধন করেন মেহেরপুর হোটেল বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ ইকবাল শিমন।

এসময় সেখানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জুয়েলার্স সমিতির সভাপতি কিশোর পাত্র, সাধারণ সম্পাদক শেখ মমিনুল ইসলাম মমিন, গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টু,
আব্দুল মজিদ, মনা জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী মোস্তাফিজুর মনা, মোস্তাফিজুর রহমান তপন সহ কাঁসারী বাজারের ব্যবসায়ীগণ উপস্থিত ছিলেন।

স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজের স্বত্তাধিকারী সাবিনা ইয়াসমিন (স্বপ্না) জানিয়েছেন, সকল প্রকার মানুষের চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে সুলভ মূল্যে আধুনিক ডিজাইনের গোল্ড প্লেটড জুয়েলারী সামগ্রী পাওয়া যাবে স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজ শো-রুমে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে স্বপ্না গোল্ড প্লেট জুয়েলারী হাউজের সাফল্য ও উন্নতির কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত ।




বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রপচার বন্ধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে সভা

বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিকৃত তথ্য উপস্থাপন ও অপপ্রচার বন্ধে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  গতকাল বুধবার (১১ অক্টোবর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্য ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলাদেশি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টাডি সার্কেলের যৌথ পরিচালনায় এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ম্যাক্সিমিলিয়ান ক্রাহ এবং বক্তা হিসেবে ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস ব্যাক বার্ন। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ক্রিস র্ল্যাকবার্ন আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ রশিদ রায়হান বিন এবং স্টাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলী।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আলোচনা সভায় বিভিন্ন পেশার মানুষ একত্রিত হন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে তথ্যের অপপ্রচার চলছে তা কীভাবে মোকাবেলা করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করেন তারা।

ড. ক্রাহ সংবাদ উপস্থাপনে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘এনজিও মানে বেসরকারি সংস্থা কিন্তু প্রায় সব এনজিওরই একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।কিছু সংস্থা হয়ত নিজস্ব স্বার্থে তথ্য বিকৃত করে প্রচার করে, যার ফলাফল হয় আরো ভয়াবহ।’

বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি ও উন্নয়নের চিত্র সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরেন মোজাম্মেল আলী। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে এতো কাজ বর্তমান সরকার ছাড়া আর কেউই করেনি।

বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গে রাশিদ বিন রায়হান বলেন, আন্তর্জাতিক এবং জাতীয় পর্যবেক্ষকদের উচিত বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয়ে প্রচারিত সংবাদগুলোর তথ্য যাচাই করে দেখা যেন কেউ কোনও বিকৃত সংবাদের ফাঁদে না পড়ে।




অধিকারের মামলা নিয়ে ইইউ রেজোলিউশনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে পার্লামেন্টে প্রবাসীদের চিঠি

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ও অধিকারের মামলার বিষয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদে গৃহীত রেজোলিউশনের প্রতিবাদ ও তা বাতিলের জন্য চিঠি দিয়েছে ইউরোপে বসবাসরত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা নবম ইউরোপীয় সংসদের উচ্চ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল, ১৪ জন ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং দা লেফট, ভার্টস/এএলই, রিনিউ, এস এন্ড ডি, পিপিই-এর প্রতিনিধি এমইপিদের কাছে চিঠি দেন।

চিঠিতে প্রবাসীরা জানান, বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিশেষ করে অধিকারের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে যে রেজোলিউশন পাস করা হয়েছে তার জন্য তারা সকলেই ক্ষুব্ধ। “অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে এই দণ্ড প্রত্যাহার করার এবং অধিকারের নিবন্ধন পুনঃস্থাপন করার” অনুরোধ জানিয়ে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছে তারা সে বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যা তারা একটি সার্বভৌম দেশের অভ্যন্তরীণ আইনি বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ বলে মনে করেন।

‘অধিকার মামলাটি’ বাংলাদেশের মানবাধিকার সংস্থা অধিকার কর্তৃক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কারণে করা হয়েছিল। বাংলাদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হেফাজতে ইসলাম নামের ‘ জঙ্গি সংগঠন’ দ্বারা ২০১৩ সালের ৫ মে, ধ্বংসাত্মক ইসলামিক এজেন্ডা দাবি এবং একটি সহিংস ভাঙচুর ও জনগণের অধিতার নস্যাৎ করার জঙ্গি আন্দোলন ব্যর্থ করে। এই ঘটনায় গত একই বছরের ১০ জুন অধিকার রিপোর্টে ৬১ জন নিহত হওয়ার দাবি করা হয়েছে। কয়েকটি উল্লেখযোগ্য স্বাধীন সংস্থাগুলো অধিকার এর দেওয়া মৃত্যুর তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম এবং ভুল তথ্য পায়।

চিঠিতে বলা হয়, উদাহরণস্বরূপ- তালিকায় ১০ তম এন্ট্রি খালি ছিল। অধিকারের তালিকায় তিনজনের নাম নিহত হওয়ার দাবি করলেও পরে জীবিত পাওয়া যায়। এতে নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে নিহত আরও পাঁচজনের নাম ছিল যারা ওই ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলো না । তালিকায় পাঁচটি নাম রয়েছে যা দুবার গণনা করা হয়েছে। তালিকায় প্রথম নাম, সিদ্দিকুর রহমান, পুলিশ কর্তৃক রিকুইজিশন করা বাস চালক যাকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা হত্যা করেছে। ৫৭ তম নাম- কামাল উদ্দিন খান, একজন জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপক, সেই রাতে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান। এছাড়া আরো ১৯ জনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

প্রবাসীরা জানান, অধিকারের রিপোর্ট উগ্র ইসলামপন্থীদের তুষ্ট করেছে এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে তাদের ক্রোধ উস্কে দিয়েছে। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের বিচার নিশ্চিত করার জন্য লড়াইরত প্রগতিশীলদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর জন্য এই ‘৬১ জন’ মৃত্যুর সংখ্যা হেফাজতে ইসলাম এবং জামায়াতে ইসলামের মতো কট্টরপন্থী গোষ্ঠীগুলোর জন্য একটি ভিত্তি হয়ে উঠেছে । হেফাজতে ইসলাম ২০১০ সালে কওমি মাদ্রাসা এবং তাদের ছাত্রদের বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তাদের ১৩ দফা দাবির সনদ – যার মধ্যে ব্লাসফেমির জন্য মৃত্যুদণ্ড, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করা, সমস্ত স্তরে লিঙ্গ বিচ্ছিন্নতা, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো ধ্বংস করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে হেফাজত তালেবানের সাফল্যকে অনুকরণ করছে । তারা বাংলাদেশকে একচেটিয়া ইসলামী ধর্মতত্ত্বে পরিণত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে যা খুবই উদ্বেগজনক।

এতে আরও বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষায় একটি প্রশংসনীয় ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। তবুও, একটি রেজোলিউশন বিরাজমান উদ্বেগগুলোকে মোকাবেলা করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় কিনা তা নির্ধারণ করার জন্য গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা অপরিহার্য। হেফাজতে ইসলামের ক্রিয়াকলাপ এবং তাদের ১৩ দফা দাবিগুলো তাদের একটি রক্ষণশীল ইসলামী এজেন্ডা অনুসরণ করে এবং তাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য ধ্বংসাত্মক জঙ্গি প্রক্রিয়ায় জড়িত হওয়ার আগ্রহকে প্রতিফলিত করে। এই ধরনের সহিংস আন্দোলনের মুখে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা সরকারের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হিসাবে প্রতীয়মান হয়েছে।

বাংলাদেশে অধিকার মামলাটি ঢাকা শহরে ২০১৩ সালের হেফাজতে ইসলামের সহিংস কর্মকাণ্ডের সময় মৃত্যুর সংখ্যা সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচারের অভিযোগকে কেন্দ্র করে। তাদের বক্তব্য মানবাধিকার প্রতিবেদনের চেয়ে রাজনৈতিক। এটি ইসলামিক জঙ্গিদের রক্ষা করছে বলে মনে হচ্ছে এবং প্রগতিশীল শক্তিকে খলনায়ক হিসেবে দেখানো হয়েছে।

আদিলুর খান ২০০১-২০০৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী জোট সরকারের সময় ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে সহিংস সরকার ছিল। তাদের ‘হরকাত-উল-জিহাদ’ নামের একটি তালেবান-সংযুক্ত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সমর্থন করার ইতিহাস রয়েছে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, উগ্র ইসলামপন্থীদের সাথে তার অতীতের সম্পর্ক স্পষ্টভাবে তার পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ করে। প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র জঙ্গিবাদী ইসলামপন্থীদের পক্ষপাতমূলক নয়, অপ্রমাণিত দাবি এবং মিথ্যা যুক্তিতেও পূর্ণ। ইইউ পার্লামেন্ট স্বচ্ছ ও ন্যায্য আইনি প্রক্রিয়ার পক্ষে ওকালতি করতে পারে যা অবশ্যই ন্যায়বিচার এবং মানবাধিকারের নীতিগুলিকে সমর্থনের ভিত্তিতে হবে। এটি অবশ্যই বাংলাদেশের আইনের শাসনকে সম্মান করার, দেশের আইনি কাঠামো এবং সেই মোতাবেক গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বজায় রাখার গুরুত্বের উপর জোর দিতে হবে। একটি জাতির সার্বভৌমত্বকে সম্মান করা এবং মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের পক্ষে ওকালতি করার মধ্যে একটি ভারসাম্য থাকা আবশ্যক।

চিঠিতে প্রবাসীরা ইইউ পার্লামেন্টকে প্রস্তাবটি পুনর্মূল্যায়ন করার জন্য অনুরোধ করেন।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনাতে মাদক মামলায় এক নারীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

চুয়াডাঙ্গায় মাদক মামলায় দর্শনা আকন্দবাড়িয়া ফার্মপাড়ার রাশিদা খাতুন (৬৪) নাম এক নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরা এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আজ বহস্পতিবার (১২ অক্টাবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক হুমায়ুন কবির সরকার আসামীর উপস্ততিতে এ রায় ঘােষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রাশিদা খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজলার আকুদবাড়ীয়া ফার্মপাড়ার রবিউল ইসলামর স্ত্রী।

মামলার বিবরণ জানা যায়, ২০১২ সালের ১লা আগস্ট সকালে চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি দল চুয়াডাঙ্গা সদর উপজলার আকন্দবাড়ীয়া ফার্মপাড়ার রাশিদা খাতুনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার বসত ঘরের একটি স্টীলের বড় বাক্স রক্ষিত প্লাস্টিকের বস্তায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় ৫০ বােতল ভারতীয় অবৈধ ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক লাকিয়া খানম বাদী হয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। চুয়াডাঙ্গা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অফিসের উপ-পরিদর্শক মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান একই বছরের ১০ই সেপ্টম্বর রাশিদা খাতুনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবদন দাখিল করেন।

৬ জন সাক্ষীর মধ্য ৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক হুমায়ুন কবির সরকার আসামীর উপস্থিতে উল্লেখিত রায় ঘােষনা করেন।




সেই আমেরিকার কাছেই অভিযোগের ঝাঁপি খুলল বিএনপি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্ব পরিস্থিতি যাচাই করতে ৭ অক্টোবর ঢাকায় আসেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের ৭ সদস্য। সরকারি দল, বিরোধী একাধিক দলের সঙ্গে সভা শেষে মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সভা করেছে। এরমধ্যে বিএনপি ও এবি পার্টির পক্ষ থেকে বাংলাদেশের নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যখন তাদের কাছে নালিশ জানাচ্ছে বিরোধীদলগুলো তখন মার্কিন মদদে গাজায় ইজরাইলি হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে হাজারও মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র যখন সরকারি বিরোধীদল নির্বিশেষে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তথন তাদের প্রতিনিধি দলের সামনে বিএনপির তুলে ধরা খণ্ডিত চিত্র নিয়ে সমালোচনা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

সেপ্টেম্বরে জানানো হয়, মার্কিন ভিসানীতির কারণে বাংলাদেশের কিছু বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের রাজনীতিক ভিসা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্র জানায় বাংলাদেশে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অযাচিত হস্তক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তারের কারণে তাদের উপর এই ভিসা নীতি প্রয়োগ করা হতে পারে। এর আগে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, আমাদের মতো তৃতীয়বিশ্বের দিশগুলোকে পশ্চিমারা শেখানোর চেষ্টা করে। যেখানে তাদের ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট আছে সেসব জায়গার গণতন্ত্র মানবাধিকার যদি ধুলিসাৎ হয়ে যায় তাতেও পশ্চিমাদের কিছু যায় আসবে না। তারা যেখানে কর্তৃত্ব চায় সেখানে কাজটি যদি সহজ না হয় তাহলে তারা নানাবিধ হয়রানি তৈরি করে।

সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক দল যখন প্রাক নির্বাচনী পরিস্থিতি দেখতে এসেছেন তখন জাতিগতভাবে এক থাকা জরুরি বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো অভিযোগ জানাতে আগ্রহী বেশি ছিলো। আলেচনা শেষে বিএনপি জানায়, ‘আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে বলে আসছি, শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বিগত দুই-তিনটি নির্বাচনে তারা বাংলাদেশের জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। আজকে যাদের বয়স ৩০-৩২ বছর হয়েছে তারা বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। প্রশাসন ওবিচারবিভাগ দলীয় করণ করা হয়েছে দাবি করে তারা বলে, এখন নিপীড়ন-নির্যাতনসহ ভোট চুরির প্রকল্প অধিকতর শক্তিশালী হয়েছে। একেবারে বিচার বিভাগ থেকে শুরু করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, লুটেরা ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ তারা একটা প্রজেক্টের মাধ্যমে আবারও তারা বাংলাদেশের মানুষের ভোট চুরি করার অভিপ্রায়ে কাজ করে যাচ্ছে। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন হতে হবে। সংসদ বাতিল করতে হবে। নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার মতমতের ভিত্তিতে আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে আমার বাংলাদেশ পার্টি‘এবিপার্টি’। সোমবার (৯অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে এই সাক্ষাতটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে এবি পার্টির নেতারা প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন প্রতিনিধি দলকে বলেন, বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ১১টি জাতীয় নির্বাচনের মধ্যে ক্ষমতাসীনদের অধীনে অনুষ্ঠিত ৭টি নির্বাচনই ছিল বিতর্কিত ও অগ্রহণযোগ্য। বাকী ৪টি নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ছিল তুলনামূলকভাবে অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য।

যুক্তরাষ্ট্রেরপ্রাক্-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সাথে খোলামেলা আলোচনা শেষে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতাগোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা আছে। বিএনপি নির্বাচন করবে না, তারা আন্দোলন করবে- সেখানে সহিংসতা হতে পারে। নির্বাচন নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, এসব বিষয় নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে।

মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে বাংলাদেশ সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে ইসিরও বৈঠক হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল। তাদের সঙ্গে ইসির বৈঠকের মূল আলোচনার বিষয় ছিল অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সিইসি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল কী করবে আমরা জানি না। ইসির সঙ্গে বৈঠকে আইআরআই ও এনডিআইয়ের যৌথ এই দলটির মূল ফোকাস ছিল অবাধ, সুষ্ঠ, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। ওরা ইসির ভূমিকা, সরকারের ভূমিকা, দায়িত্ব এবং কার্যক্রমসহ অনেক কিছু জানতে চেয়েছে। আমরা সবকিছু তাদের সামনে তুলে ধরেছি। তারা যা যা জানতে চেয়েছিল, আমরা জানিয়েছি। এখন তারা কী করবে, তা আমরা জানি না। হয়তো তারা দেশে ফিরে পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে; নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে কী পাঠাবে না। অথবা পাঠালে কীভাবে পাঠাবে।’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নূহ উল আলম লেনিন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন যে পরিস্থিতি এর চেয়ে অনেক খারাপ পরিস্থিতি অনেক দেশে আছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপ সেসব দেশে হস্তক্ষেপ করছে না। তারা হিসেবে ভাবমূর্তির অভিভাবক হতে চায়। এর পিছে জিও পলিটিকাল স্ট্র স্ট্র্যাটেজিক্যাল কারণ আছে। বাংলাদেশ যে ভারত চীনের সাথে একই রকম সম্পর্ক রক্ষা করে চলেছে এটা আমেরিকার পছন্দ না।’ নির্বাচনের এত আগে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের কাছে দেশ বিষয়ে কোনো অভিযোগ দেওয়ার অর্থ নেই উল্লেখ করে শামসুদ্দিনচোধূরী মানিক বলেন, ‘যারা নালিশ দিচ্ছে তারা দেশের স্বার্থবিরোধী কাজ করছে, আর যারা নালিশ শুনছে তাদের এইএখতিয়ার নেই। এটা বুঝে নেওয়া ভালো। এটা নির্বাচনের পর্যবেক্ষক দল। নালিশ তাদের কাছে না করে দেশের অথরিটির কাছে করুন।’

উল্লেখ্য, এই সেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যারা সারাবিশ্বে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বললেও তাদের মদদে লঙ্ঘিত হয় অনেক জায়গায়। শনিবার থেকে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজার অন্তত ৭০০ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে বলে জানায় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। গাজা উপত্যাকার ওপর সোমবার নেতানিয়াহু সরকারের সর্বাত্মক অবরোধ আরোপের পর হামলা আরও বেড়েছে। এতে ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়েছে অবরুদ্ধ গাজা।




জীবননগর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জীবননগর উপজেলা পরিষদের মাসিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব হাসিনা মমতাজ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আঃ সালাম (ইশা), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ আয়েশা সুলতানা (লাকী), জনাব তিথি মিত্র, সহকারী কমিশনার (ভূমি), জীবননগর উপজেলার সকল ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যানগণ সহ সকল দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।




গাংনীতে প্রাণিসম্পদ পরামর্শ কেন্দ্র” সভা অনুষ্ঠিত

গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটভূক্ত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় বামুন্দী শাখার রামনগর গ্রামে প্রায় ৫০ জন খামারি নিয়ে “প্রাণিসম্পদ পরামর্শ কেন্দ্র” সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রাণীসম্পদ পরামর্শ সভায় গবাদিপশু পালেনের উপকারিতা, এর বিভিন্ন সংক্রামক রোগ ও তার প্রতিকার, খাবার ব্যাবস্থাপনা, নিয়মিত কৃমিনাশক প্রদানের উপকারিতা, এন্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যাবহার রোধ, পিপিআর,এফএমডি, তড়কা রোগের ভ্যাকসিন প্রদানের উপকারিতা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়।

এসময় খামারিদের সংস্থার চলমান বিভিন্ন সেবামূলক ও সমন্বিত কৃষি ইউনিটের চলমান বিভিন্ন প্রদর্শনী সম্পর্কে অবহিত করা হয়। উক্ত ‘পরামর্শ কেন্দ্র’ সভায় রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা: মোঃ আরিফুল ইসলাম এবং প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: মো: মিনহাজুল আবেদীন (পিএসকেএস) এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন বামুন্দী শাখার শাখা ব্যবস্থাপক মো: সাজিদ হোসেন।




‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রে গান গেয়ে উচ্ছ্বসিত কলকাতার উর্মি

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক হলে মুক্তি পাচ্ছে ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্র। গড়বে মুক্তির রেকর্ড। ছবিটি তৈরি হয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ প্রযোজনায়। চলচ্চিত্রটি তুলে ধরেছে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের জীবনের নানান কাহিনী। সেই চলচ্চিত্রে ভারতের প্রখ্যাত সুরকার শান্তনু মৈত্রর সুরে গান গেয়েছেন কলকাতারই গায়িকা উর্মি চৌধুরী। ছবিটিতে শেখ মুজিবুরের বিয়ের সময় একটি গান চলবে।

উর্মির গাওয়া গানে দৃশ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে মুজিবুর রহমানের বিয়ে, বউ বাড়িতে প্রবেশ করছে এবং নৃত্যরত মেয়েদের। গানের দৃশ্যে দেখা যাবে, অভিনেতা আরফিন শুভ, নুসরাত ফারিয়া, চঞ্চল চৌধুরী সহ বহু অভিনেতা অভিনেত্রীকে। গানটি উর্মি গেয়েছিলেন ২০২১ সালে।

ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ২০২৩-এর ১৩ই অক্টোবর। তবে দুই ভাবে মুক্তি পাচ্ছে। একটি বাংলা ভাষায়, একটি হিন্দি ভাষায়। বাংলাতে মুক্তি পাবে ১৩ই অক্টোবর এবং হিন্দিতে মুক্তি পাবে ২৭শে অক্টোবর। ছবিটিতে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ। পরিচালনায় রয়েছেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন নুসরাত ফারিয়া। এই একটা ছবিতে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের প্রায় শতাধিক শিল্পী।

মুক্তির আগে ১২ অক্টোবর ঢাকায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে আয়োজিত সিনেমাটির প্রিমিয়ার শো দেখেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজেই বলেছেন, এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ইতিহাসের অনেক অজানা তথ্য থেকে শুরু করে নতুন অধ্যায় জাতি জানতে পারবে।

২০১৯ সালের চলচ্চিত্রটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। অবশেষে চলতি বছরের ৩১ জুলাই বাংলাদেশে পায় আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র।




আর কী কী গুজব ছড়িয়েছেন আব্দুর রব ভুট্টো

সম্প্রতি বাংলাদেশি ১০ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের নামে ফ্রান্সের ভিসা প্রত্যাখানের গুজব মিথ্যা বলে নিশ্চিত করার পর জনসাধারণের আলোচনায় এসেছেন যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক আব্দুর রব ভুট্টো। অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে সাম্প্রতিক সময়ে ছড়ানো তার আরও গুজবের তথ্য।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া আলোচিত এসব পোস্টের মধ্যে আছে পুলিশ অফিসারদের নামে মার্কিন স্যাংশননের গুজবটি। সেখানে তিনি বলেন, ‘পুলিশ অফিসারদের নামে মার্কিন স্যাংশন’ শিরনামের ওই পোস্টে তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশের ৮ কর্মকর্তার একটি তালিকা নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে। সেখানে তিনি কোনোপ্রকার নির্ভরযোগ্য তথ্যসূত্র ব্যবহার করেননি। ফ্যাক্টচেক করে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট এরকম কোন নিষেধাজ্ঞাই দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ের সামনে শেখ হাসিনার উপস্থিতির একটি ভিডিও ফুটেজের কিছু অংশ এডিট করে ফেসবুকে ছড়ান ভুট্টো। এর সঙ্গে যুক্ত কররন কিছু মিথ্যা তথ্য। অথচ শেখ হাসিনা সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করছিলেন।

ভুট্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ান, বাংলাদেশে কয়লা আমদানী কারক প্রতিষ্ঠান সিএমসিকে স্যাংশন দিয়েছে চীন। কারণে প্রতিষ্ঠানটির কাছে বকেয়া ৩ বিলিয়ন ডলার। ফ্যাক্টচেকের অনুসন্ধান বলছে, চীন কোনো স্যাংশন দেয়নি এবং বকেয়ার পরিমাণ ২৯৩ মিলিয়ন ডলার। যা রাষ্ট্রীয় আমদানি সংক্রান্ত লেনদেনেরে ক্ষেত্রে খুবই স্বাভাবিক। গত বছর নভেম্বরের শেষ দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ায়- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবারো বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনীর ৯২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যে তথ্যের কোন ভিত্তিই ছিল না।

গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বাসিন্দা ভুট্টো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘কটূক্তিমূলক এবং রাষ্ট্রবিরোধী’ পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে দেশে থাকা তার ছোট ভাই ইউপি সদস্য এবং বিএনপি নেতা আব্দুল মুক্তাদির মনুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, মনু রাউৎগাঁও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। বর্তমানে তিনি উপজেলা বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ভুট্টোর দেশি যোগাযোগগুলো দেখভাল করেন। লন্ডন যাওয়ার আগে, ভুট্টো কুলাউড়া থেকে প্রকাশিত ‘সাপ্তাহিক হাকালুকি’ ও ‘বেনীআসহকলা’ পত্রিকায় কিছুদিন কাজ করেন। এ ছাড়া তিনি ঢাকার শীর্ষ নিউজের কুলাউড়া প্রতিনিধিও ছিলেন। বর্তমানে ‘লন্ডন বাংলা চ্যানেল’ নামের একটি ফেসবুক পেজের সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার হওয়া ভুট্টোর পোস্টে দেখো যায়, করোনা পরিস্থিতি, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সর্বজনীন পেনশন স্কিম, নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর, বাংলাদেশের বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংকট নিয়ে তিনি গুজব ছড়ান। বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, শামসুল আলম, সাজ্জাত হোসেন, মীর জাহানের মতো ফেসবুক আইডি ও পেইজের সঙ্গে তার যোগাোযাগ ঘনিষ্ট। একটি রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য তারা এক সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতের নির্দিষ্ট ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে এসব গুজব ছড়ায়।

গত ৯ অক্টোবর সোমবার নিজের টুইটার একাউন্ট থেকে আব্দুর রব ভুট্টো একটি পোস্ট দেয়। বাংলাদেশ সময় রাত ২ টা ৫০ মিনিটের ওই পোস্টে তিনি জানান, “ফ্রান্সের ভিসা রিফিউজ হয়েছেন সরকারের সুবিধাভোগী হিসাবে পরিচিত ১০ সাংবাদিক। মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার নীতিতে যারা উদ্বিগ্ন ছিলেন রিফিউজ হওয়া সাংবাদিকরা তাদের মধ্যে অন্যতম”। এই পোস্টে ফ্রান্সের ভিসা নিষেধাজ্ঞায় পড়া ১০ সাংবাদিকের নামও প্রকাশ করা হয়।

পর দিন দুপুররেই ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই তার এক্স অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেন। সেখানি তিনি ভুট্টোর পোস্টটি নাকচ করেন । পাশাপাশি ভুট্টো সম্পার্কে পর্যবেক্ষণে বলেন, ভুট্টোর প্রতিদিনের কাজ `মিথ্যা` এবং `গুজব` ছড়ানো। মানুষের জীবনে খেলাধুলা অপরিহার্য। কেউ ফুটবল, কেউ টেনিস, কেউ ব্যাডমিন্টন বা স্কোয়াশ খেলতে পছন্দ করেন। আবার ভুট্টোর মত কিছু লোক আছে যাারা খেলার মত করে সামাজে গুজব এবং মিথ্যা ছড়িয়ে যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একজন উর্ধ্বতন কর্মরর্তা জানান, ভুট্টোর ফেসবুক ও টুইটার অ্যাকাউন্ট মনিটরিংয়ে আছে। ফেসবুকের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। টুইটার এখনও কোনো রেসপন্স করেনি।