আলমডাঙ্গায় জমি বিক্রির টাকা চাওয়ার অপরাধে অবরুদ্ধ ২ পরিবার

আলমডাঙ্গার নাগদাহ গ্রামে জমি বিক্রয়ের টাকা চাওয়ার অপরাধে দুই পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গত দেড় মাস যাবৎ ওই পরিবারগুলো অবরুদ্ধ অবস্থায় আছে।

জানা যায়, উপজেলার নাগদাহ গ্রামের মৃত মোজাহার বিশ্বাসের ছেলে বিপুল বিশ্বাস পৈত্রিক জমির ১০ শতাংশ মাঠের জমি বিক্রয় করেন। ওই জমি ২ লাখ টাকায় ক্রয় করেন একই ইউনিয়নের ভোলারদাইড় গ্রামের মৃত হাসিবুলের ছেলে মজিবুল ইসলাম। গত ২ মাস পূর্বে বিপুল ওই জমি ক্রেতা মজিবুলের নামে রেজিস্ট্রি করে দেন।

ইতিপূর্বে মাঠের ওই জমি দীর্ঘদিন যাবৎ মজিবুলের মা মুনজিরা বেগম ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে চাষাবাদ করছিলেন। তার ছেলে মজিবুল ওই জমি কেনায় লিজের ৪০ হাজার ও নগত ৬০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন মুনজিরা বেগম। এর আগে বিপুলের ভাই মন্টু বিশ্বাস মুনজিরার নিকট থেকে ১০ হাজার টাকা ধার নেন। একপর্যায়ে জমি রেজিস্ট্রির সময়, মুনজিরা বেগম নগত ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। বাকি ১০ হাজার টাকা মন্টু বিশ্বাস পরিশোধ করবে এমন মর্মে।

জমি রেজিস্ট্রির ১০ দিনপার হলেও পাওনা ১০ হাজার টাকা চায় দেয় না মন্টু বিশ্বাস। একাধিকবার পাওনা টাকা চাওয়ায় মন্টু বিশ্বাস ক্ষিপ্ত হয়ে বিপুল বিশ্বাস ও আসলাম বিশ্বাস কালুর সাথে ধাক্কাধাক্কি হয়। এরই একপর্যায়ে মন্টু বিশ্বাস বাড়ি ফিরে অন্যত্র তার ছোট ভাই সাহাবুল তার পরিবারের লোকজন নিয়ে আসলাম বিশ্বাস কালুর বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এসময় জোরপূর্বক তার বাড়ি থেকে নগত ২ লাখ টাকা ২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন কালু।

এঘটনার পর মন্টু তার ভাই আসলাম মিলে আসলাম বিশ্বাস কালু ও আব্দুল বিশ্বাসের যাতায়াতের পথ বাঁশের বেড়া দিয়ে আটকে দেয়। এতে গত দেড় মাস দুই পরিবারের লোকজন অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।

এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সারোয়ার হোসেন জানান, পথ ঘেরাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষকে ডাকা হয়। তবে, একজন আসলেও আরেকজন আসে না। ওই বিষয়ে কোন সমাধান হয়নি।




আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে চোরাই মালামালসহ তিন যুবক আটক

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের অভিযানে চোরাই শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিন ও একটি ব্যাটারি চালিত পাখি ভ্যান উদ্ধার করেছে পুলিশ। এসময় চুরির ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জের স্টেশনপাড়া সংলগ্ন থেকে তাদের আটক করা হয়। পরে পুলিশ বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় তাদের বিরুদ্ধে চুরি সম্পৃক্ততায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

আটকৃত যুবকেরা হলেন- উপজেলার বাড়াদি ইউনিয়নের নতিডাঙ্গা গ্রামের মঙ্গল হোসেনের ছেলে সজিব (২০), মিনা ইসলামের ছেলে ইমরান (১৯) ও জেহালা ইউনিয়নের স্টেশনপাড়ার মৃত খলিল হোসেনের ছেলে মানিক হোসেন (২৪)। তারা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সদস্য হিসেবে এলাকায় পরিচিত।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার মুন্সিগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন সময় নানান চুরির অভিযোগ ওঠে। এতে পুলিশ অভিযান চালালেও তারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকে।

আজ বুধবার বেলা ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের নিকট চোরাই মালামাল বিক্রয়ের গোপন সংবাদ পায় পুলিশ। এরই সূত্রে মুন্সিগঞ্জ স্টেশনপাড়া এলাকা থেকে তিন যুবককে আটক করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে চোরাইকৃত শ্যালোমেশিনের ইঞ্জিন ও বহনকৃত ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যান জব্দ করে। বুধবার দুপুরে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের আইসি ইউসুব আলী বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় চুরির মামলা করেন।




মেহেরপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জরিমানা

মেহেরপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের এক অভিযানে সদর উপজেলার কাথুলি রোড এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে মোট ১৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (১১ অক্টোবর) জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: আব্দুর রাজ্জাক, নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা রিয়াজ মাহমুদ এবং মেহেরপুর পুলিশ লাইনের একটি টিমের সহায়তায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে মুদি দোকান ও মশলা, চাউলের আড়তসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। মেসার্স আল মামুন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে মশলাসহ অন্যান্য পণ্যের ক্রয় বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করা ও পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ও ৪৫ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং মেসার্স বেল্টু চাউল ভান্ডারে পুর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও বিভিন্ন প্রকার চাউলের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করা ও ক্রয়- বিক্রয়ের ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে ৩৮ ধারায় ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় সবাইকে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।

এসময় উপস্থিত ব্যবসায়ী ও জনসাধারণকে এবিষয়ে সতর্ক করা হয় ও সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।




মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিনামুল্যে চক্ষু রোগীদের চিকিৎসা সেবা

আমেনা বেগম। বয়স ৬০ পেরিয়েছে। মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের গৌড়দহ গ্রামের ক্যানেলপাড়ার বাসিন্দা। বয়সের ভারে ঠিকমতো চোখে দেখতে পান না। মাঝে মাঝে দুচোখ চুলকায় এবং পানি পড়ে। স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে ৫ টাকার টিকিট কেটে ডাক্তার দেখান। তবে চোখের জন্য সেখানকার প্রশিক্ষিত নার্সরা তাকে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর মেশিনের সাহায্যে সংশ্লিষ্ট ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চিকিৎসাসেবা দেন। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ওষুধ এবং চশমা বিনামূল্যে তাকে প্রদান করে হাসপাতাল কতৃপক্ষ।

শুধু আমেনা বেগমই নয়, তার মতো আরও অনেক চক্ষু রোগী এই সেবা নিয়েছে এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে।

জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, ঢাকা এর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে এ বছরের আগষ্ট মাসে আধুনিক চক্ষু চিকিৎসায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কমিউনিটি ভিশন আই কেয়ার সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

হাসপাতাল সুত্রে জানা যায়, কমিউনিটি আই সেন্টার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নির্ধারিত একটি কক্ষে অবস্থিত চক্ষু বিষয়ক অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিত। যেখানে দেশে ও বিদেশে চক্ষু বিষয়ে হাতে কলমে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সিনিয়র স্টাফ নার্সরা চক্ষু সেবায় সহায়ক হিসেবে কর্মরত রয়েছে।

চক্ষু বিষয়ে প্রশিক্ষিত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের সহায়তায় ইন্টারনেট ও অত্যাধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে নিকটবর্তী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত বেইজ সেন্টারে অবস্থানরত (পাবনা) চক্ষু বিশেষজ্ঞের সঙ্গে অনলাইনে ভিডিও কনসালটেশনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সমন্বিত উন্নত চক্ষু চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করা কমিউনিটি আই সেন্টারের উদ্দেশ্য।

বেইজ হাসপাতালের টেলিকনসালটেশন রুমে একাধিক চক্ষু বিশেষজ্ঞ উপস্থিত থেকে কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে কর্মরত চক্ষু বিষয়ে সুপ্রশিক্ষিত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের পাঠানো মেডিকেল রেকর্ড পর্যালোচনা এবং নার্স ও রোগীর সঙ্গে বেইজ হাসপাতাল থেকে চক্ষু বিশেষজ্ঞ ই-সাইন যুক্ত ব্যবস্থাপত্র কমিউনিটি ভিশন সেন্টারে অনলাইনে পাঠাবেন। বেইজ হাসপাতাল থেকে ব্যবস্থাপত্রের প্রিন্টকপি অনুযায়ী সিনিয়র স্টাফ নার্স রোগীকে বিনামূল্যে ওষুধ ও পাওয়ার চশমা দেবেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুইজন সিনিয়র নার্স নীলা ও ঝুমা খাতুন চোখের রোগ নির্ণয়, চোখের চশমার পাওয়ার নির্ধারণসহ অত্যন্ত জটিল রোগীরা এই হাসপাতাল হতে অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় চক্ষু ইনস্টিটিউট এর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এর সাথে যোগাযোগ করে চিকিৎসা সেবা নিতে পারছেন।

মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: পিযুষ কুমার সাহা বলেন, হাসপাতালের বর্হিবিভাগে চালুকৃত এ সেন্টারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ জনবলের দ্বারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে চক্ষু চিকিৎসার নতুন দ্বার উন্মোচিত হলো। অন্ধজনের চোখে আলো দেওয়াই এই প্রকল্পের কাজ। আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অন্য চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি এই সেবাও আমরা দিচ্ছি। তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষ আছেন, যারা চোখে দেখতে পেতেন না। তারা কোথায় যাবেন, কোথায় চিকিৎসা নেবেন তাও জানতেন না, কিন্তু এখন আর সেই অবস্থা নেই, এখন মানুষ যথেষ্ট সচেতন। ফলে অনেক মানুষ অন্ধত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এটা আমাদের জন্য বিরাট একটি পাওয়া। এটি কেবল সম্ভব হয়েছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে।

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন বলেন, সরকারের অন্যতম প্রশংসনীয় উদ্যোগ এটি। এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী খুব সহজেই চক্ষু চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে।




অস্থির কুষ্টিয়ার সবজি বাজার: ত্যক্ত-বিরক্ত ক্রেতারা

হঠাৎ সবজি বাজারে দামের তাপে পুড়ছেন ক্রেতা। কয়েকটি সবজির দাম হয়ে গেছে দ্বিগুণ। অনেক কাঁচা তরকারির কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা। এর মধ্যে বড় গোল বেগুন কেনাবেচা হচ্ছে অস্বাভাবিক দামে; এক কেজি কিনতে গুনতে হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। সবজির পাশাপাশি আবারও চড়েছে ডিমের বাজার। দুই দিনের ব্যবধানে ডজন উঠেছে সর্বোচ্চ ১৬০ টাকায়। হঠাৎ সবজি ও ডিমের দাম অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।

তবে বিক্রেতারা বলছেন, সম্প্রতি টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষক সবজি তুলতে পারেননি। ফলে ক্ষেতে নষ্ট হয়ে গেছে অনেক সবজি। এ কারণে মাঠ পর্যায় থেকে শহরে সবজির সরবরাহ কমে গেছে। তাতে চাহিদার চেয়ে সবজির জোগানে দেখা দিয়েছে ঘাটতি। এতে তেতে উঠেছে সবজির দাম। আবার কিছু ব্যবসায়ী বৃষ্টির সুযোগও নিচ্ছে।

ব্যবসায়ীদের এসব যুক্তিতে ত্যক্ত-বিরক্ত ক্রেতারা। তারা বলছেন, একেকবার একেক ছুতায় জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছে ব্যবসায়ীরা। সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই বলে ব্যবসায়ীরা যে যার মতো করে দাম নিচ্ছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ভোক্তারা। গতকাল মঙ্গলবার কুষ্টিয়া শহরের পৌর বাজারে ১০০ টাকা দরে বেগুন কেনার পর বেসরকারি চাকরিজীবী আবুল হোসেন বলেন, ‘বাসার পাশে মঙ্গলবাড়ীয়া থেকে না কিনে পৌর বাজারে এলাম। এখানেও সেই একই দর। দুই দিনের বৃষ্টিতে দাম আকাশচুম্বী হবে কেন? সবজি তো আমদানি করতে হয় না।’

মজমপুরে রাতের কাঁচাবাজারে সবজি কেনার পর জামেনা বেগম বলেন, ‘সবকিছুর দাম সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। এতে কম আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়ছে।’

আজ শহরের মিউনিসিপ্যালিটি বাজার, রাজারহাট, মঙ্গলবাড়ীয়া, চৌড়হাস কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে শুধু পেঁপে আর আলু ছাড়া ৬০ টাকার কমে কোনো সবজি পাওয়া যায়নি। তিন-চার দিন আগে কুষ্টিয়ায় ঢ্যাঁড়সের কেজি ৪০ ও গোল বেগুনের কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দ্বিগুণ দাম বেড়ে বাজারে এখন সবজি দুটি বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬০ থেকে ৭০ ও ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে। এ ছাড়াও শসা ৫০ টাকা কেজি, কচু ৮০-১০০ টাকা কেজি, ওল ৭০ টাকা কেজি, পেয়াজ ৮০-১০০ টাকা কেচি, রসুন ২০০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।

গত শুক্রবার বরবটির কেজি ছিল ৪০ টাকা। কেজিতে তা বেড়ে এখন ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে পটোল ও চিচিঙ্গা কেজিতে ২০ টাকা করে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। তিন দিন আগে করলা, ধুন্দুল ও ঝিঙ্গের কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় কেনা গেছে। এখন গুনতে হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। নতুন সবজি হিসেবে শিমের দাম এমনিতেই বেশি; কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। ছোট একটা ফুলকপি কিনতে গেলেও ক্রেতাকে খরচ করতে হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতিকেজি ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা এবং বাধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি, গাজর ১৫০ টাকা কেজি, আদা ২০০ টাকা কেজি, করলা ৮০ টাকা কেজি, লাউ ৪০-৬০ টাকা পিস এবং মিষ্টি কুমড়া কেজিপ্রতি ৪০ -৫০ টাকা কেজি হিসেবে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মুলার চাহিদা কম থাকে, সেটির কেজিও এখন ৫০ থেকে ৬০ টাকা। কম দামের সবজি বলতে এখন শুধু পেঁপে মিলছে কেজি ২৫-৩০ টাকা কেজি। কলমি শাক ১০ টাকা আটি, লাল শাক ২০ টাকা আটি এবং পুইশাক ৩০ টাকা আটিতে বিক্রি হচ্ছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আলুর দর নিয়ে হয়েছে বেশ হইচই। দামও বেঁধে দেয় সরকার। তাতেও সুফল মেলেনি। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দর ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হলেও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।

মজমপুরের কাঁচাবাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. মতিয়ার বলেন, ‘পৌরবাজারে পাইকারদের কাছে বেগুনের দাম শুনেই অবাক হলাম। দুই দিনের ব্যবধানে দ্বিগুণ দাম নিয়েছে। সকালে পৌর বাজারে গেলে সবজির দরকষাকষির সুযোগ থাকে না। কারণ কাঁচামাল কম আসে বাজারে।’
একই বাজারের সবজি ব্যবসায়ী মো. কারিবুল বলেন, বৃষ্টির ছুতায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। এ কারণে শুধু ক্রেতা নয়, খুচরা বিক্রেতারাও পড়েছে বিপদে।

তবে বৃষ্টির কারণে ক্ষেতে সবজি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যাপারীরা বাজারে সবজি কম আনছে বলে দাবি করেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।

পৌর বাজারের পাইকারি সবজি ব্যবসায়ী সুদেব বলেন, বৃষ্টিতে সবজি তোলা সম্ভব হয়নি। এতে ক্ষেতে পঁচে গেছে অনেক সবজি। কৃষক পর্যায়ে দাম বাড়ার কারণে ব্যাপারীরা সবজি কম আনছে। যার প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারে




ঘরের সাজে বাহারি দোলনা

মানুষ এখন অনেক সৌখিন। সে হোক নিজের জন্য কিংবা কাছের মানুষের জন্য কিংবা ভালোবাসার অন্দরের জন্য। অন্দর হচ্ছে সবচেয়ে স্বস্তির জায়গা। একটা মানুষের জীবনে। তাই সবাই চায় অন্দরকে নতুনভাবে নতুন রূপে নতুন কিছু দিয়ে কোনো না কোনোভাবে সাজিয়ে তুলতে। অন্দরের প্রতিটা জায়গাকে আমরা চেষ্টা করি নিজেদের সাধ্যমতো সুন্দর করে সাজিয়ে তুলতে।

বর্তমানে অন্দরসজ্জায় সবচেয়ে জনপ্রিয় ও চলমান বস্তু হচ্ছে দোলনা। দোলনা একটা শখের জিনিস। ছোট থেকে বড় সবাই দোলনা দেখে আকর্ষিত হয়। দোলনা যেমন মনে আনন্দ দেয়, তেমনি ঘরের সৌন্দর্যও বাড়িয়ে তোলে। বাঙালিয়ানা প্রকাশের জন্য দোলনা একটি অতি সুপরিচিত সজ্জা সামগ্রী, ঘরের সবচেয়ে আকর্ষণী স্থান হয়ে ওঠে, যখন একটি দোলনা রাখা হয়।

দোলনা রাখার স্থান
আপনি যেখানে চান দোলনা রাখতে পারেন! তবে ব্যাপারটা অতটা আকর্ষণীয় হবে না। দোলনা রাখার সবচেয়ে ভালো জায়গা বারান্দা, লিভিং রুম, ওপেন স্পেস অথবা ঘরের কোনো খালি কর্নার। দোলনা দেখতে যেন রঙিন হয়, সেই বিষয় মাথায় রাখতে হবে। রঙিন দোলনা ঘরকে আরও সুসজ্জিত ও আকর্ষণীয় করে তোলে।

দোলনার ধরন-ধারণ
দোলনা সাধারণত অনেক ধরনের হয়ে থাকে। তবে আপনি কেমন দোলনা রাখবেন, তা নির্ভর করবে আপনার ঘরের জায়গা কিংবা আপনার রুচি অথবা আপনার পছন্দের ওপর। সব জায়গায় সব ধরনের দোলনা রাখা যাবে না। তাই দোলনার কয়েকটি ধরন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:

বাঁশ ও বেতের দোলনা
বাঁশ ও বেতের দোলনাই সবসময় বেশ জনপ্রিয়। ঘরের মধ্যে বাঙালিয়ানা সাজ আনতে এ দোলনার জুড়ি নেই। এসব দোলনার সুবিধা হলো, এটি বিভিন্ন আকৃতির হয়ে থাকে। চারকোনা ছাড়াও চাইলে গোলাকৃতির, ছোট, বড় কিংবা মাঝারি—যেকোনো ধরনের দোলনাই বেছে নেওয়া যায়। বাঁশ ও বেতের তৈরি বেশির ভাগ দোলনাতেই স্ট্যান্ড থাকে। এছাড়া ওই ধরনের দোলনার মধ্যে রঙিন কভার ও কিছু রঙিন কুশন রাখলে বসেও বেশ আরাম লাগে। চাইলে স্ট্যান্ড ছাড়াও দোলনা কিনতে পারেন। এগুলো মূলত একজনের বসার জন্য উপযোগী।

লোহার দোলনা
এই দোলনা একইসঙ্গে দেখতে সুন্দর ও সাশ্রয়ী। পুরোটাই লোহা দিয়ে তৈরি হলেও, আরামদায়ক। কারণ, এ দোলনায় বসার জায়গাটিতে ফোম দেওয়া হয়। লোহার দোলনা ঘরের থেকে ছাদেই বেশি শোভা পায়। কারুকাজটাও হয় একেবারে চিকন রড দিয়ে খুব হালকার ওপরে। লোহার দোলনায় দুই তিন জন আরাম করে বসেই দোল খাওয়া যায়।

পাটের দড়ি
পাটের দড়ি দিয়ে বানানো চারকোনা কিংবা গোলাকৃতির দোলনার চাহিদা বর্তমানের সবচেয়ে বেশি। এ ধরনের দোলনা মূলত দুই ধরনের হয়—স্ট্যান্ডসহ ও স্ট্যান্ড ছাড়া। স্ট্যান্ডবিহীন দোলনা চাইলে যেকোনো জায়গায় আপনি বহন করতে পারেন। পাটের তৈরি বলে খুব টেকসইও হয়ে থাকে। যারা ঘরে বাঙালিয়ানা আনতে চান, তাদের কাছে এ ধরনের দোলনাই বেশি প্রিয়। পাটের দোলনার আরেকটি সুবিধা হলো: বিভিন্ন রঙে পাটের দড়িগুলো রাঙিয়ে ঘরে বৈচিত্র্য আনা যায়। পাঁচের দোলনা খুবই সহজলভ্য আর বর্তমান সময়কার মানুষ এই দোলনাকে বেশি প্রাধান্য দিন।

কাঠের দোলনা
নানা রকম দোলনার মধ্যে কাঠের দোলনাও বেশ জনপ্রিয়। কাঠের দোলনা এক ধরনের আভিজাত্য বহন করে। পুরনো দিনের বাড়িগুলোতে কাঠের দোলনা দেখা যেতো বেশি। এছাড়া, বাসা বাড়ি থেকে রিসোর্টে কাঠের দোলনার ব্যবহার বেশি। সাধারণত চারকোণা আকৃতির হয় কাঠের দোলনা। তবে আপনি চাইলে আপনার ঘরে অবশ্যই কাঠের দোলনা ব্যবহার করতে পারেন। এ ধরনের দোলনার প্রধান আকর্ষণের জায়গাটি হলো এর সূক্ষ্ম কারুকাজ কিংবা বিভিন্ন ধরনের নকশা। নকশার মধ্যে ফুল, পাতার মোটিফটাই বেশি প্রাধান্য পায়। কাঠের দোলনায় আপনি চাইলে নিজ ইচ্ছামত একটু সুসজ্জিত করে নিতে পারেন।

সাধারণত পাটের দোলনা, বেতের দোলনা ও লোহার দোলনা খুব সহজেই যে-কোনো জায়গায় কিনতে পাওয়া যায়। এছাড়া, বিভিন্ন অনলাইন শপ দোলনা নিয়ে কাজ করছে। কাঠের দোলনার ক্ষেত্রে আপনি চাইলে নিজের মন মতো ডিজাইন দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। দোলনা মূলত ১ হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়। এরপর দাম বৃদ্ধি পায় নকশার গুণগত মান ও কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে।




দামুড়হুদায় সুবিধা ভোগিদের নিয়ে মতবিনিময় সভা

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন চত্বরের বোর্ড মাঠে সরকারের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় সুবিধা ভোগীদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভা অনুস্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বেলা ১১টায় দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসান মিতার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা ০২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় নৌকা প্রতিকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করলে দেশের মানুষ আরো বেশী বেশী সুবিধা পাবে। দেশের মানুষ এখন নিরাপদে রাত্রি যাপন করে। দেশের মানুষ এখন ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, মাতৃকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা সহ বিভিন্ন ধরনের এসব ভাতা শেখ হাসিনার সরকারের আমলেই শুরু হয়েছে। তিনি দেশের প্রান্তিক জনগণের কথা ভাবেন। তাদের কথা চিন্তা করেন। দেশে প্রচুর পরিমাণে উন্নয়ন হয়েছে যা এখন দেশের জনগণ ভোগ করছে। কৃষিখাতে, শিক্ষা খাতে, স্বাস্থ্য খাতে, যোগাযোগ খাতে সহ দেশের সব খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ডঃ কিসিন্জার চাকমা, বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু,
সদর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হযরত আলী, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য শফিউল কবির ইউসুফ, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সেলিম উদ্দিন বগা, উপজেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহাম্মেদ রিংকু সহ আওয়ালীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মী বৃন্দ ও সুবিধাভোগী নারী পুরুষগন মত বিনিময সভায় অংশ গ্রহন করেন।




দেশে মূল্যস্ফীতি কমবে, প্রবৃদ্ধি হবে এবার ৬ শতাংশ: আইএমএফ

বাংলাদেশে এবার ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হবে, সেই সাথে মূলস্ফিতি কমবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ)। মঙ্গলবার প্রকাশিত ‘গ্লোবাল ইকনোমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে এই পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমএফ। যেটি বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সুখবর বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরেছে।

গত ৩ অক্টোবর বিশ্ব ব্যাংক ‘বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট’ শীর্ষক প্রতিবেদন বলেছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৬ শতাংশ অর্জিত হতে পারে। গত এপ্রিলে বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছিল ৬ দশমিক ২ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে। গত সেপ্টেম্বরে ম্যানিলাভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) পূর্বাভাস দিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।

মরক্কোর মারাকাশ শহরে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সম্মেলন চলাকালে আইএমএফের ‘গ্লোবাল ইকনোমিক আউটলুক’ প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। সপ্তাহব্যাপী এ আয়োজনে বিশ্বের ১৯০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের অর্থমন্ত্রীসহ নীতিনির্ধারক, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাত ও সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে বাংলাদেশের গড় মূল্যস্ফীতি ৭ দশমিক ২ শতাংশে নেমে আসবে। গত ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।

সরকারি সংস্থা বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসভিত্তিক বা মাসওয়ারি) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর মধ্যে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১২ দশমিক ৩৭ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।

১২ মাসের গড় হিসাবে (২০২২ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে নীতি সুদহার ও ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়নোসহ নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার। তার আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) গড় মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৬ দশমিক ১৫ শতাংশ।

আইএমএফ প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাবে ভারসাম্যে ঘাটতি অব্যাহত থাকবে।

আইএমএফ প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কেও বিস্তারিত বলা হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিজনিত সংকট থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে বিশ্ব অর্থনীতি। যুদ্ধের কারণে খাদ্য ও জ্বালানি বাজার বিঘ্নিত হয়েছে; সেই সঙ্গে উচ্চ মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে নীতি সুদহার অভূতপূর্ব হারে বাড়ানো হয়েছে-এসব কারণে বিশ্ব অর্থনীতি গতি হারালেও থমকে যায়নি।

আইএমএফ বলেছে, মূল্যস্ফীতির হার অভূতপূর্ব উচ্চতায় উঠে গেলে গত বছরের শেষ বিশ্ব অর্থনীতির কার্যক্রম সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসে, যদিও মূল্যস্ফীতির হার ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে এসেছে।

আইএমএফ বলেছে, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে অর্থনৈতিক মন্দা হওয়ার আশঙ্কা নেই। অর্থনীতির বিশেষ ক্ষতি না করে মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনা সম্ভব হবে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটি উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রেকর্ড হারে নীতি সুদহার বাড়ালেও বেকারত্ব তেমন একটা বাড়বে না বলেই পূর্বাভাস।




বঙ্গবন্ধুর পূর্ণাঙ্গ জীবনী প্রেক্ষাগৃহে দেখা যাবে শুক্রবার

নিপীড়িত বাঙালির মুক্তির জন্য গর্জে উঠেছিল একটি তর্জনী। তাঁর বজ্রবাণীতে জেগে উঠেছিল সাত কোটি বাঙালি। যিনি বাঙালিদের জন্য এনে দিয়েছেন স্বাধীন ভূখণ্ড। নিজের মতো করে এগিয়ে চলার পথ দেখিয়েছেন তিনি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির প্রাণের স্পন্দন। দেশবাসী বঙ্গবন্ধুকে দেখেছে আন্দোলন সংগ্রামের অপ্রতিরুদ্ধ মানুষ হিসেবে। কিন্তু এর বাইরে কেমন মানুষ ছিলেন তিনি? কীভাবে বেড়ে উঠেছেন? তাঁর জীবনে কী প্রেম এসেছিল? সন্তানদের সাথে তিনি সময় কাটাতেন কীভাবে? এমন অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরপাক খায় সব বয়সের মানুষের। এমন অসংখ্য প্রশ্নর উত্তর এবার মিলবে এবং চোখের সামনে ভেসে উঠবে ‘মুজিব—একটি জাতির রূপকার’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা “মুজিব: একটি জাতির রূপকার” আগামী ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। আর ভারতে মুক্তি পাবে ২৭ অক্টোবর। বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ভারতের খ্যাতিমান নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ। ফজিলাতুন নেছা মুজিবের চরিত্রে নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনার চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, তাজউদ্দীন আহমদের চরিত্রে রিয়াজ আহমেদ। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন দিলারা জামান, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদ, জায়েদ খান, খায়রুল আলম সবুজ, ফেরদৌস আহমেদ, দীঘি, রাইসুল ইসলাম আসাদ, গাজী রাকায়েত, তৌকীর আহমেদ, মিশা সওদাগরসহ দেশের শতাধিক শিল্পী।

“মুজিব: একটি জাতির রূপকার”প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, এই সিনেমাটি জাতির জন্য ইতিহাসের একটি দলিল। এটি একটি সিনেমা নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের বায়োপিক। ১৫ আগস্টের ঘটনা কখনও চিত্রায়িত হয়নি, কিন্তু এই সিনেমায় সেই দৃশ্য চিত্রায়িত হয়েছে। সেই মর্মান্তিক দৃশ্যের মাধ্যমেই সিনেমাটি শেষ হয়েছে। এই দৃশ্য দেখা খুবই কষ্টের।

বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করা আরিফিন শুভ বলেন, ‘বায়োপিকে অভিনয় করা যেকোনো শিল্পীর জন্য কঠিন। এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছি, যেটা বাঙালির কাছে ভীষণ আবেগের একটি চরিত্র। এই আবেগের কারণে অনেক খন্দকার মোশতাকরা আবার অনেক কিছু বলে।’

অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘একজন মানুষ একটা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন, সেই সত্যি ইতিহাস কিছু আমরা দেখতে পাব সিনেমাটিতে।’

এই চলচ্চিত্রে খন্দকার মোশতাক আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু। তিনি বলেন, ‘মুজিব সিনেমাটি আমার কাছে একটি স্বপ্নের নাম, একটি আবেগের নাম।’

২০২১ সালের জানুয়ারিতে ভারতে শুরু হয় “মুজিব: একটি জাতির রূপকার”সিনেমার দৃশ্যধারণের কাজ। শেষ হয় ওই বছরের ডিসেম্বরে। গত বছরের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে প্রথম পোস্টার, ৩ মে দ্বিতীয় পোস্টার এবং ১৯ মে ৭৫তম কান চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমার ট্রেলার প্রকাশ করা হয়। চলতি বছরের ৩১ জুলাই সিনেমাটি বাংলাদেশে আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পায়।




গাংনীতে নিখোজের এক মাস পর খোয়া ভাঙ্গা শ্রমিকের মরদেহ উদ্ধার

নিখোজের একমাস পর প্রেমিকার বাড়ির পরিত্যাক্ত কুয়ার মধ্যে থেকে অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের সহযোগীয় গভীর কুয়া থেকে মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাটি ঘটেছে গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের বাগান পাড়ায়। নিহত লাল্টু গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের শাহিন উদ্দিনের ছেলে।

নিহত লাল্টুর ভাই পল্টু মিয়া বলেন, তার ভাই ইটের খোয়া ভাঙ্গার কাজ করতে এসে সাবিনার সাথে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। সাবিনা একদিন আমাদের বাড়িতে গিয়ে আমার ভাইকে বিয়ে করার জন্য হুমকি দেয় তখন আমরা তাদের সর্ম্পকের বিষয়ে জানতে পারি। গত সেপ্টেম্বর মাসের ১২ তারিখে আমার ভাই লাল্টু বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোজ করে কোন সন্ধান না পেয়ে গাংনী থানায় একটি জিডি করি।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘গাংনী উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের ইটের খোয়া ভাঙ্গা শ্রমিক লাল্টুর সাথে হাড়াভাঙ্গা বাগানপাড়ার সৌদি প্রবাসী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী সাবিনা খাতুনের পরকিয়া সর্ম্পক গড়ে ওঠে। একমাস আগে লাল্টু নিখোজ হলে তার স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খুজে না পেয়ে গাংনী থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে সন্দেহভাজন হিসেবে মঙ্গলবার রাতে কথিত প্রেমিকা সাবিনাকে পুলিশ হেফাজতে নিলে সে লাল্টুর মরদেহ সর্ম্পকে তথ্য দেয়। তার দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি আজ প্রেমিকা সাবিনার বাড়ির পরিত্যাক্ত কুয়ার মধ্যে থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মিদের সহযোগীতায় লাল্টুর অর্ধগলিত মরদেহ ও তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। এই হত্যাকান্ডে সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কি না সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। অর্ধ গলিত মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।’