মেহেরপুরে হাতির পিঠে নৌকা নিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচরণা

হাতির পিঠে নৌকা নিয়ে বিশাল এক নির্বাচনী মিছিল করলেন মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

আজ মঙ্গলবার ২ জানুয়ারি বিকালে শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে থেকে বিশাল মিছিলটি বের করা হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও নৗকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেন। মিছলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে যেয়ে শেষ হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষায়ক সম্পাদক অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল সহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও নারী কর্মীরা এই মিছিলে অংশ নেয়।




জ্ঞাতসারে কোন আচরণবিধি লংঘন করি নাই, শোকজের উত্তরে নাজমুল হক সাগর

মেহেরপুর-২ সংসদীয় আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে অভিযুক্ত প্রার্থী ডাঃ এ.এস. এম নাজমুল হক সাগর বলেছেন, ‘আমি জ্ঞাতসারে কোন নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গ করিনি। তবে আমার অজ্ঞাতসারে নির্বাচনী আচরনবিধি ভঙ্গ হয়ে থাকলে, সেই অনিচ্ছাকৃত ত্রুটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। একই সাথে ভবিষতে সুষ্ঠ, শান্তিপুর্ন ও অংশগ্রহন মূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাধিক সহযোগীতার প্রতিশ্রুতি প্রদান করছি।’

আজ মঙ্গলবার ২ জানুয়ারী মেহেরপুর-২ (গাংনী) সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ-১ম আদালতের বিচারক মোঃ শাহিনুর রহমানের কাছে শোকজের লিখিত উত্তরে এ সকল কথা বলেছেন নাজমুল হক সাগর।

উল্লেখ্য, অর্থ ব্যয় করে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প করা এবং প্রেসক্রিপশনের অপর পিঠে নির্বাচনী পোস্টার ব্যবহার করার অভিযোগে ৩১ ডিসেম্বর নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি তাকে শোকজ করেছিল।




গাংনীতে বিদ্যুৎস্পর্শে চা দোকানির মৃত্যু

মেহেরপুরে বিদ্যুৎস্পর্শে এক চা দোকানির মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নাম ইসরাইল হোসেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টার দিকে বৈদ্যুতিক তারের সংযোগ দিতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ইসরাইল গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে। তিনি মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাওট বাজারে চা বিক্রির ব্যবসা করতেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ইসরাইল হোসেন মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বাওট বাজারে চা বিক্রি করতেন। মঙ্গলবার সকালে ইসরাইল দোকানে এসে বিদ্যুতের তার মেরামত করার সময় বিদ্যুৎস্পর্শ হন। ঘন কুয়াশা থাকায় কিছুই দেখা যায়নি।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মসজিদে কোরআন পড়তে আসা শিশুরা ছাদ থেকে একজন পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। স্থানীয়রা দ্রুত সেখান থেকে ইসরাইল হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে পরবর্তীতে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন




বিভিন্ন জেলায় এইচএসসি পাসে নিয়োগ দেবে আগোরা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আগোরা। প্রতিষ্ঠানটিতে গেস্ট রিলেশনশিপ সুপারভাইজার পদে এই নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

গেস্ট রিলেশনশিপ সুপারভাইজার।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে স্নাতক/এইচএসসি পাস হতে হবে। নারী ও পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বয়স: সর্বনিম্ন ২০ বছর।

কর্মস্থল

ঢাকা, সিলেট (সিলেট সদর)।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের তারিখ

১৫ জানুয়ারি, ২০২৪।

সূত্র : বিডিজবস




ব্রাজিলের ‘জোকার’কে দলে ভেড়াল পিএসজি

সবসময় হাসিখুশী থাকার কারণে দলের মধ্যে ‘দ্য জোকার’ হিসেবে খ্যাত ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার লুকাস বেরালডো। এবার সেই জোকারকে দলে ভিড়িয়েছে পিএসজি। ২০ বছর বয়সী বেরালডোকে পাঁচ বছরের চুক্তিতে দলভুক্ত করেছে ফরাসি ক্লাবটি। এর মাধ্যমে সাও পাওলোর সঙ্গে তার তিন বছরের সম্পর্কের অবসান হলো। ২০২৩ সালে সাও পাওলোর হয়ে বেরালডো কোপা ডো ব্রাসিল জয় করেছিল।

যেকোনো ম্যাচ শুরুর আগে হাসিখুশী থাকলে তা মানসিক প্রস্তুতিতে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করেন বেরালডো। পিএসজিতে যোগদান ক্যারিয়ারের অনেক বড় একটি পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করছেন এই ডিফেন্ডার। তিনি বলেন, ‘পিএসজির মত উচ্চাকাঙ্ক্ষী একটি দলের হয়ে চুক্তি করতে পেরে আমি দারুণ খুশী। এটা আমার ক্যারিয়ারের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায়, যা আমাকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে। সতীর্থদের সাথে দেখা করার জন্য মুখিয়ে আছি। পিএসজির জার্সি গায়ে মাঠের নামার অপেক্ষা আর শেষ হচ্ছেনা।’

পিএসজি গত কয়েক বছরে লিওনেল মেসি, নেইমারদের মত সুপারস্টারদের দলে ভিড়িয়ে খুব একটা সফল হয়নি। আর সে কারণেই সেই পরিকল্পনা থেকে বেরিয়ে এসে বোরালডোর মত খেলোয়াড়দের সঙ্গে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসজি। ক্লাবের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, তারা যুব দলের খেলোয়াড়দের দিকে নজর দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কম বেতনে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি করা সম্ভব।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে দুই মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু

মেহেরপুর গাংনীতে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কাজিপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক রিয়াজ আহমেদ(৪৫) নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) তিনটার সময় ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রিয়াজের মামাত ভাই বশির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রিয়াজ আহমেদ গাংনী উপজেলার বাদিয়াপাড়া গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার আহমেদ আলীর ছেলে। সে কাজিপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গাংনী উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।

গতকাল সোমবার (১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭ টার সময় মেহেরপুর- কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের চেংগাড়া চোখতোলা মাঠের মাঝখানে বিপরীতে দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্বক আহত হন। এঘটনায় অপর মোটরসাইকেল আরোহী সোনালী ব্যাংকের জোড়পুকুরিয়া শাখার ক্যাশিয়ার রাসেল আহম্মেদ আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক বোধা দাস গুপ্ত (বিডি দাস) তাদের দুজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিয়াজ আহমেদের অবস্থার আরো অবনতি হলে দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) তাজুল ইসলাম নিহতের পারিবারিক সুত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।




বছরজুড়ে আলোচিত যত রেস্তোরাঁ

ঢাকা কিংবা ঢাকার আশেপাশে বসবাস করা ব্যক্তিদের কাছে হঠাৎ করে ঘোরাঘুরি করার জায়গা খুবই কম। তাদের কাছে ঘোরাঘুরি করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় যে জায়গাটি তা হলো ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁ। তবে যেখানে আপনি সময় কাটাবেন সে জায়গাটা যদি সুন্দর গোছালো আকর্ষণীয় না হয় তাহলে সে অবসরের সুন্দর সময়টা প্রিয়জনের সাথে ততটা সুন্দর হয়ে উঠবে না

। বর্তমান সময়ে ঢাকার আনাচে-কানাচে অলিতে গুলিতে অনেক রেস্তোরাঁ হয়েছে। তবে এই বছর নজর কেড়েছে যে তিন রেস্তোরাঁ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- হেবাং, হাওয়া, বাবুমশাই হেরিটেজ।

হেবাং
হেবাং যেন ঢাকার বুকে এক টুকরো পাহাড়। পাহাড়ের অনুভব পেতে চাইলে ঘুরে আসুন হেবাং। হেবাং শব্দের অর্থ ভাপে রান্না করা। পাহাড়িরা মূলত বেশীরভাগ রান্নাই ভাবে করে থাকে।

পাহাড়ি বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ঢাকার মোহাম্মদপুরে হেবাং রেস্তোরাঁটি। হঠাৎ করে পাহাড়ি খাবার খেতে মন চাইলে কিংবা ঢাকায় যে আদিবাসী বা পাহাড়ি মানুষরা জীবনে তাগিদে ঢাকায় বসবাস করেন তাদের জন্য হেবাং একটা আশীর্বাদস্বরূপ।

রেস্তোরাঁটি সম্পূর্ণ তৈরি হয়েছে বাঁশ , খড় এবং পাহাড়ি ধরনে তৈরি। ঢাকার ইট পাথরের যান্ত্রিক শহর থেকে একটু শান্তিতে যদি সুন্দর একটি পরিবেশের সাথে এবং পাহাড়ি খাবারের সাথে সময় কাটাতে চান তাহলে চলে যান হেবাং। খাবারের নামগুলো যেন ভিন্ন ধরনের তুলসী মালা চালের ভাত, বাম্বো চিকেন, হেবাং শুটকি, কাকড়া ভুনা প্রভৃতি। খাবারের নাম যেমন ভিন্ন ধরনের স্বাদও ভিন্ন ধরনের।

হেবাং রেস্তোরাঁটি চার বোন মিলে পরিচালনা করছে। ঢাকার ফার্মগেটে জাবা নামে তাদের আরো একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে গারোদের জনপ্রিয় বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। জাবা শব্দের অর্থ হচ্ছে সবজি। সেখানে পাহাড়ি সবজির নানান ধরনের খাবারের আইটেম পাওয়া যায়।

হাওয়া
একটু রাজকীয়, একটু ভিন্টেজ আবার সবুজে ঘেরা চারিদিক আবার ইনানী বিচের মত নৌকা, সাদা পাথরের মত ছোট্ট একটি জায়গা নানান নকশার মিশেলে এক বিশাল জায়গা নিয়ে ঢাকার মিরপুরে ১২ তলা ভবনের ছাদে তৈরি হয়েছে এক অভিনব রেস্তোরাঁ। আরাম করে মনের শান্তি নিয়ে প্রিয় মানুষের সাথে অনেকক্ষণ সময় কাটানোর জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা হাওয়া রেস্তোরাঁ।

হাওয়ার রেস্তোরার খাবারের কথায় যদি আসা যায় তাদের খাবারের স্বাদ খুবই সুস্বাদু। তাদের জনপ্রিয় এবং ভিন্নধর্মী খাবারের মধ্যে নানান ধরনের কাবাব এছাড়াও ইন্ডিয়ান বিরিয়ানি, পিজ্জা, পাস্তা নানান ধরনের খাবার রয়েছে।

এছাড়াও তাদের ডেজার্ট আইটেম খুবই সুস্বাদু এবং তাদের বিশেষ ফ্রুট কাস্টার্ড ডেজার্টটি খুবই জনপ্রিয়। এই যান্ত্রিক শহরে প্রকৃতির নির্ধারণ হাওয়া উপভোগ করতে ‘হাওয়া ‘ রেস্তোরাঁটি অন্যতম।

বাবুমশাই হেরিটেজ
সম্পূর্ণ রেস্তোরাঁটি দেখলে মনে হবে শহরের বুকে এক টুকরো কলকাতা। দেয়ালে দেয়ালে কবিতার ও গানের মেলা রয়ে গেছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী যানবাহন রিক্সা রয়েছে। সম্পূর্ণ রেস্তোরাঁটি দেশীয় আসবাবপত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

বেতের চেয়ার, বেতের টেবিল, নানান ধরনের পুরনো দিনের বই, বেতের আয়না, টেলিফোন প্রভৃতি দিয়ে সাজানো রেস্তোরাঁটি। খাবার পরিবেশন করা হয় মাটির তৈজসপত্রে। ভোজন রসিকদের জন্য অন্যতম একটি সুন্দর জায়গা হতে পারে বাবুমশাই হেরিটেজ। সেখানকার খাবারের অভিনব আইটেম দেখে কোনভাবেই লোভ সংবরণ করা সম্ভব নয়।

মধ্যাহ্ন ভোজে -গুপি বাঘা মহাভোজ (নানান ধরণের পদ), ডাব চিংড়ি, ইলিশ খিচুড়ি, বেগুন ভাজা চিকেন রোস্ট চাটনি পায়েস প্রভৃতি। যা দেখে শুধু খাদ্য রসিক নয়, খেতে চাইলে সবাই।

বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় সারাদিনের ব্যস্ততা ভুলে যাবেন এক নিমিষেই উষ্ণ মশলা চা আর মচমচে কাটলেটের সাথে। আরো রয়েছে আলুর দম ফুলকো লুচি ও চিকেন কষা ফুলকো লুচি।

সুত্র: ইত্তেফাক




বর্ষ বিদায়

অন্তর বিদীর্ণ আজ, জীর্ণ ত্যানা
ছেঁড়া নোংরা লেপ কম্বল এ
মোড়ান দেহের শব টা।
কি অভিশপ্ত জীবন
গৃঢ় দণ্ডে দণ্ডিত, একটা অপেক্ষমান
তারার ঝলক?
সামনে অভিষেক নতুনত্বের
পুরনো বর্ষের স্মৃতি বিজড়িত
কালের কণ্ঠের ডাকে
উচ্ছল সাগরের বুকে নিমজ্জিত।
তরী ডুবে যায়,সন্ধ্যা নামে
রাত আসে
শুধু ডাস্টবিনে পড়ে রয়
স্মৃতিতে মোড়ানো হাড় কঙ্কাল।
যার অস্থি পাঁজরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে
শোক বিহ্বলতার ছাপ!




আত্নারথআত্নজন

মায়ের মতোন এতখানি যত্ন নিয়ে
কেউ খুলেনি মাথার জট চুল।
বাবার মতোন এতটা স্নেহ আদরে
ধরিয়ে দেয়নি জীবনের ভুল।
ভাইয়ের মতোন এতটা শাসন করে
কেউ শিখাইনি পথে চলতে।
বোনের মতোন এতই উৎসাহ দিয়ে
পারেনি গগনচুম্বী ছোঁয়াতে।
শিক্ষককের মতোন এত শিষ্ট হয়ে
কেউ বলেনি চেষ্টায় তুষ্ট হতে।
বন্ধুর মতোন এতোটা কাঁধ হেলিয়ে
বিপদে আগে পাশে দাঁড়াতে।
সহপাঠীর মতোন এত সরল হৃদয়ে
কেউ বলেনি অনর্গল বলতে।
ছোটদের মতোন এতো হেসেখেলে
সবকিছু নিমিষেই জিততে।
গুনীজনের মতোন এত বটগাছ হয়ে
কেউ বলেনি সম্মানে ঝুঁকতে।
সঙ্গীর মতোন এত মনোবল ফিরিয়ে
মৃত্যু যন্ত্রণায় আঁকড়ে ধরতে




কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বই উৎসব অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বছরের প্রথম দিন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রােশদা বানুর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন, তাহেরা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক নাদিরা খান, জাহাঙ্গীর আলম সাইদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, তাকিয়া সুলতানা, নিলীমা বিশ্বাস প্রমুখ। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথমদিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছাসিত শিক্ষার্থীরা। আর নতুন বই হাতে পেয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছাসে মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।

কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রােশদা বানু বলেন, বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে। এবার বই নিয়ে কোন সংকট নেই। সকল শিক্ষার্থীকেই বই দেওয়া হবে। এরআগে তৃতীয় শ্রেণির লটারী ২২০ জনকে ফুল দিয়ে বরন কর হয়।