মেহেরপুরের হিজুলিতে গেমস খেলার দ্বন্দে স্কুল ছাত্রকে কুপিয়ে জখম

পূর্ব বিরোধের জের ধরে শাহিন হোসেন নামের আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় দশম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর উপর হামলা করে কুপিয়ে যখম করেছে প্রতিপক্ষরা। আহত শাহিন হোসেন আমঝুপি ইউনিয়নের হিজুলি গ্রামের মালিক হোসেনের ছেলে।

অভিযুক্ত হামলাকারীরা হল একই গ্রামের মহিরের ছেলে আব্দুল্লাহ (২২), আলমগীরের ছেলে ইয়াসিন (২০) এবং ওয়াসিম (২৫)

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর দুইটার সময় হিজুলি গ্রামের মসজিদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। মোবাইলে ফ্রী ফায়ার গেমস খেলা নিয়ে কয়েক মাস আগে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়েছিল বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার দশম শ্রেণীর নির্বাচনী পরীক্ষার অর্থনীতি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হিজুলি মসজিদের সামনে অভিযুক্তরা শাহিনের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। ইতোপূর্বে আব্দুল্লাহ ও তার চাচা লালটু একবার শাহিনের উপর হামলা করেছিল বলে শাহিনের পরিবার ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে।

হিজুলি গ্রামের মেম্বার আব্দুল্লাহ বলেন, ‘শাহীন ও আব্দুল্লাহর মধ্যে পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিল লোকমুখে শুনেছি, তবে এ ব্যাপার নিয়ে কোন পক্ষই আমার সাথে কথা বলেনি, আগেও একবার মারামারির ঘটনা ঘটেছিল, আজকে আমি এলাকার বাইরে ছিলাম।সন্ধ্যায় বাড়িতে আসার পর ঘটনাটি লোকমুখে জানতে পারি। ‘

শাহিন হোসেন তার বাবা, বড় ভাই ও চাচাকে সঙ্গে নিয়ে মেহেরপুর প্রতিদিন অফিসে এসে অভিযোগ করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নেয়ার পর হাসপাতাল থেকে টিকিটে পুলিশ কেস লিখে দেয়া হলেও থানায় গেলে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ কোন অভিযোগ নেয়নি।

বিষয়টি সম্পর্কে জানতে মেহেররপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে প্রতিবেদক স্বশরীরে থানায় গিয়ে জানতে পারে তিনি আমঝুপিতে ঘটনাস্থলে গেছেন। ঘটনার সত্যতা জানতে শেষ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনভাবেই মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ এর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।




চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে চড় মারা সেই ছাত্রের আত্মসমর্পণ: সংশোধনাগারে পাঠলো আদালত

চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে চড়-থাপ্পড় মারা সেই ছাত্রকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় দায়ের করা মামলা থেকে জামিন পেতে ওই ছাত্র গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গার শিশু আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

চুয়াডাঙ্গার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আবু তালেব বিশ্বাস জানান, সরকারি কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং মারপিটের অভিযোগে ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক হাফিজুর রহমানের দায়ের করা মামলায় গতকাল মঙ্গলবার একই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল আমিন শীর্ষ শিশু আদালতে আত্মসর্ম্পন করে। আদালতের বিচারক মুসরাত জেরিন উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে মামলার আসামি সাইফুল আমিন শীর্ষকে সংশোধনাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

জানা গেছে, গত রবিবার চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের নির্বাচনী পরীক্ষা চলাকালে ১০ম শ্রেণির ছাত্র সাইফুল আমিন শীর্ষ পরীক্ষার হলে অছাত্রসুলভ আচরণ করলে দায়িত্বরত শিক্ষক হাফিজুর রহমান ওই ছাত্রের খাতা কেড়ে নেন। এর পরপরই ছাত্র সাইফুল আমিন শীর্ষ নিজের আসন থেকে উঠে এসে শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে দুই গালে দুটি চড় মারে। এর পরপরই পরীক্ষার হল ছেড়ে পালিয়ে যায় ওই ছাত্র।

পরদিন সোমবার শিক্ষক হাফিজুর রহমান চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় সরকারি কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা প্রধান ও মারপিটের অভিযোগ মামলা দায়ের করেন। এর আগে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্ত কমিটির কাজ চলমান রয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।

থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্ত ছাত্র পলাতক অবস্থায় ছিলো। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার স্থানীয় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে মারধোর করার প্রতিবাদে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও শহীদ হাসান চত্বরে মানববন্ধন করে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, শিক্ষককে মারধোর করা গর্হিত অপরাধ। এ বিষয়ে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কোনোক্রমেই এ ঘটনাকে ছোট করে দেখা হবে না এবং কোনো ছাড় দেওয়া হবে না

গতকাল মঙ্গলবার শহরের শহীদ হাসান চত্বরে চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করে ওই ছাত্রের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে। এক ঘন্টাব্যাপি চলে মানববন্ধন। ছাত্ররা দাবী তুলেন আজীবনের জন্য তাকে ছাত্রত্ব বাতিল করা সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।




দর্শনায় শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিএনপি-জামাতের হত্যা ষড়যন্ত্র অগ্নিসন্ত্রাস নৈরাজ্যের প্রতিবাদে ও বঙ্গবন্ধু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে দর্শনা রেলবাজার বঙ্গবন্ধু চত্বরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দর্শনা পৌর শাখার আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলীর সভাপতিত্বে এ সভা সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

এ সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য উন্নয়নের রুপকার হাজী আলী আজগার টগর। তিনি বলেন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারা দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। রাস্তা ঘাট মসজিদ মাদ্রাসা মন্দিরসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক হারে।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটাবিশ্বে মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়ন দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে বিরোধী দল। তাই তারা অহেতুক অরাজগতা সৃষ্টি করে নির্বাচন বানচালের পায়তারায় মেতেছে। বিরোধী দলের অপকর্মকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে হবে।আসুন সবাই এককাতারে দাঁড়িয়ে রুখে দিই জামাত বিএনপির অপকর্মকে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গড়ে তুলি স্মার্ট বাংলাদেশ। তাই আসুন উন্নয়নের ধারাকে অক্ষুণ্ণ রাখতে শেখ হাসিনা সরকার গঠনে আবারো নৌকায় ভোট দিন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম মর্তুজা, দামুড়হুদা উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, আওয়ামীলীগ নেতা শফিকুল আলম, আবু সাঈদ খোকন, দাউদ আলী, জয়নাল আবেদীন নফর, বিল্লাল হোসেন, মোজাহারুল ইসলাম, মমিনুল ইসলাম, কেরুজ শ্রমিক নেতা ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাবেক এডি এম শেখ সাহাব উদ্দীন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট, যুবলীগনেতা মামুন শাহ, আশরাফুল আলম, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফ মল্লিক, সাধারন সম্পাদক রিংকু, দর্শনা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ববি, দর্শনা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদ পারভেজ সাধারন সম্পাদক তোফাজ্জেল হোসেন তপু প্রমুখ।




মেহেরপুরের রাজনগরে বন্ধু পরিচয় দিয়ে বাড়ীতে ঢুকে স্বর্ণালংকার চুরি

মেহেরপুর সদরের রাজনগর গ্রামে বন্ধু পরিচয় দিয়ে বাড়ীতে ঢুকে স্বর্ণালংকার চুরির ঘটনা ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কবিরের বাড়ীতে এ চুরির ঘটনা ঘটে। কবির হোসেন রাজনগর মোল্লা পাড়ার মৃত সফর মন্ডলের ছেলে ও রাইচ মিল মালিক।

কবির জানায়, ঘটনার সময় আমি ব্যক্তিগত কাজে আমঝুপি বাজারে ছিলাম। চোর আমার বাড়ীতে ঢুকে আমার মেয়েকে আমার বন্ধু পরিচয় দিয়ে আমার খোঁজ করে। আমার মেয়ে তাকে ঘরে বসতে বলে পাশ্ববর্তী বাড়ীতে তার আম্মুকে ডাকতে যায়। এই সুযোগে সে ঘরে ঢুকে সোকেসের ড্রয়ারের তালা ভেঙে সেখানে থাকা ১টা সোনার নেকলেস, ১ জোড়া রুলিবালা, ২ জোড়া ঝুমকো দুল ও ৩ আংটি নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মুল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। সে সর্বোচ্চ পাঁচ মিনিটে মধ্যে ঘরের সোকেসের ড্রয়ারের তালা ভেঙে স্বর্ণালঙ্কার গুলো চুরি করে নিয়ে যায়। আমার স্ত্রী আসার আগেই সে ঘর থেকে বেরিয়ে উঠানে চলে আসে। পরে তাকে বসতে বললে বাইরে আরেক জন আছে তাকে ডেকে আনি বলে সে চম্পট দেয়।

বারাদী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




পদ্মায় রেলযাত্রা: প্রধানমন্ত্রীর সহযোত্রী হলেন রিকশাচালক, কৃষক, মাঝি, সবজি বিক্রেতা, শ্রমিক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানেই নতুন কিছু, মানুষের মনে কাছাকাছি নতুন কিছু একটা করা। তেমনই পদ্মাসেতুর ওপর রেল উদ্বোধনের সময় তাঁর যাত্রী হলেন বীরমুক্তিযোদ্ধা, রিকশাচালক, কৃষক, মাঝি, বাসচালক, সবজি বিক্রেতা, পাটকল শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার ৫০ জন যাত্রী।

কারা কারা ছিলেন এই তালিকায়? চারজন বীরমুক্তিযোদ্ধা, চারজন প্রাথমিক ছাত্র/ছাত্রী, একজন প্রাথমিক শিক্ষক, একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর দুইজন প্রতিনিধি, একজন সনাতন ধর্মাবলম্বী, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী এক জন, একজন খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী, একজন রিক্সাচালক, নারী কৃষক একজন, ফেরিচালক এক জন, একজন মাঝি, একজন মেট্রোরেল কন্ট্রোলার, টিটিই একজন, ট্রেনচালক একজন, স্টেশন মাস্টার, ওয়েম্যান, বাসচালক একজন, হকার, সবজি বিক্রেতা এবং পাটকল শ্রমিক।

এছাড়া আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর নানা পেমাজীবীদের প্রতিনিধিরাও সাথে ছিলেন। এরমধ্যে ছিলেন জেলা আনসার ও ভিডিপির একজন, ফায়ার সার্ভিসের একজন, পুলিশ একজন, স্কাউট থেকে একজন, বিএনসিসির একজন, র‌্যাবের একজন, রেল পুলিশ একজন, বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর একজন, বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একজন, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এক জন, বিজিবির একজন, কোস্টগার্ড- আরএনবি সদস্যদের প্রতিনিধিরা ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যাত্রী হতে পেরে তারা বিভিন্নভাবে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঐতিহাসিক মুহূর্ত শেয়ার করার আনন্দ ছিলো তাদের চোখে মুখে। তারা বলছেন, সবাইকে সমানভাবে দেখার যে মহত্ব প্রধানমন্ত্রী দেখিয়েছেন সেটা অনবদ্য। সবার সমান সুযোগ নিশ্চিত করায় ও মানুষকে কাছে টেনে নেওয়ার এক অনন্য ক্ষমতা আছে প্রধানমন্ত্রী।

পদ্মার ওপর দিয়ে সড়ক যোগাযোগ চালুর ১৫ মাসের ব্যবধানে চালু হলো ট্রেন। মঙ্গলবার পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে আয়োজিত সুধী সমাবেশে উপস্থিত হয়ে এই রেলসংযোগ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে দেশের মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের মানুষ প্রথমবারের মতো রেল যোগাযোগের আওতায় আসছে।




কুষ্টিয়াতে স্বপ্ন প্রয়াসের নতুন কমিটি গঠন : সভাপতি রহিদ: সম্পাদক মেহেরাব

কুষ্টিয়ার অন্যতম সামাজিক সংগঠন স্বপ্ন প্রয়াস যুব সংস্থা’র নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। নতুন এ কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পেয়েছেন সাদিক হাসান রহিদ এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেরাব হাসান মুশফিক।

এছাড়াও কমিটির সহ-সভাপতি রিফাত হোসেন, ফারছা নাহার নৌশী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো চমক ও এনামুল রহমান রাব্বি, কোষাধ্যক্ষ তানজিল আলম, পাবলিক রিলেশন অফিসার মো :সাব্বির রহমান, ইভেন্ট ম্যানেজার সাব্রিনা সাফিয়া রূম্পা,হিউম্যান রিচোর্স অফিসার মোছা ইয়াসমিন আক্তার, প্রচার সম্পাদক মো আশিকুর রহমান, কার্যনির্বাহী সদস্য রবিউল ইসলাম রাহুল, আকাশ আহমেদ, উজ্জল শেখ, হাসিবুল হাসান, মোছা: বিপাশা ইসলাম ও সদস্য ওবাইদুল ইসলাম।

প্রসঙ্গত, একটি সুন্দর সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে নিয়ে ২০১৮ সালে ১৫ই জুন প্রতিষ্ঠা হয় সংগঠনটি। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে থেকে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ, ঈদ বস্ত্র বিতরণ, খাদ্যসামগ্রী বিতরণসহ ব্যাপক ভাবে সামাজিক নানান কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। এখন অব্দি কুষ্টিয়াসহ সারা বাংলাদেশে ৭ হাজার ব্যাগ রক্ত জোগাড় করে দিতেও সক্ষম হয়েছে সংস্থাটি।

এছাড়াও করোনাকালীন এসময়ে জরুরি অক্সিজেন সেবা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে এবং কুষ্টিয়া শহরের বিভিন্ন জায়গায় বৃক্ষরোপন ও ২৩ হাজার গাছে চারা বিতরণ করা হয়েছে যা বর্তশানেও চলমান রয়েছে।




শিক্ষককে ছাত্রের চড়, প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কক্ষে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত ছাত্রের শাস্তি দাবি করে স্লোগান দেয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, শিক্ষককে মারধর খুবই ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা শিক্ষক। অথচ আমাদের এক সহকর্মী শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় তারা সমবেদনা জানাতে আজকের এই মানববন্ধন কর্মসূচী। আমরা এই ঘটনার তীব্র ঘৃণা ও সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক শিক্ষার্থীর শাস্তির দাবি কামনা করি।

আরেক শিক্ষক নীলিমা বিশ্বাস বলেন, সারা দেশে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে এক ছাত্র তার শিক্ষককে মারধর করেছে। ছাত্র শিক্ষকের গায়ে হাত দেওয়ার সাহস কোথায় পাচ্ছে? এই শিক্ষক এখন কি ভাবে সমাজে মুখ দেখাবে? এই ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

মানববন্ধন কর্মসূচীতে জানানো হয়, শিক্ষকরা মানুষ গড়ার কারিগর কিন্তু সেটার ফল যদি এমন হয় তাহলে মেধাবীরা এই পেশায় আসবে না। সেই জায়গা থেকে তারা শিক্ষক সমাজ তাদের সুরক্ষার দাবিও জানান।

প্রসঙ্গত, গত রোববার এসএসসি টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালে চুয়াডাঙ্গার ভিক্টোরিয়া জুবিলি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কক্ষে দশম শ্রেণির এক ছাত্র অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা করলে কর্তব্যরত শিক্ষক তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ সময় শিক্ষকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ওই ছাত্র। একপর্যায়ে শিক্ষককে চড় দিয়ে সে পালিয়ে যায়।




চুয়াডাঙ্গায় কমিউনিটি পুলিশিং জেলা কমিটির মতবিনিময় সভা

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার বেলা সাড়ে এগারোটা সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল- মামুনের সভাপতিত্বে কমিউনিটি পুলিশিং জেলা সমন্বয় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক এবং অন্যান্য সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ সময় কমিউনিটি পুলিশিং ডে সফলভাবে উদযাপন করার বিষয়ে উপস্থিত কমিটির সদস্যবৃন্দ আলোচনা করেন।

উক্ত আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার ( দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য সচিব মনিরুজ্জামান, ডিআইও-১, ডিএসবি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, চুয়াডাঙ্গা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক স্বপন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রুখসানা মিতা, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রামার অফিসার কানিজ সুলতানা সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারগণ।




ঝিনাইদহ ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে আটকে রেখে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

ঝিনাইদহে তরুণ-তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক কে কেন্দ্র করে ব্যবসায়িকে মারধর, মোবাইল ছিনতাই ও আটকিয়ে রেখে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেনের বিরুদ্ধে।

গত ৬ অক্টোবর এই ঘটনাটি ঘটেছে এবং থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে বলে জানান ভুক্তভোগী রড ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান। আসাদুজ্জামান ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসুন্দি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন শ্রমিকলীগের সভাপতি। ঘটনার বিবরণীতে জানা যায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটি ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের সোহেল রানা’র কন্যা দীঘি’র সাথে ফেইসবুকের মাধ্যমে শেরপুর জেলার বাবু নামে এক তরুনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ছয় মাস আগে এই সম্পর্ক চলাকালীন বাবু নানান ভাবে দীঘি’র নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে নেয় বলে জানান, দীঘি’র বাবা সোহেল রানা। সম্পর্কের এক পর্যায়ে বিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাবু ঝিনাইদহে তরুণী দীঘির বাড়ি আসতে চাই এবং গত ৫ অক্টোবর বাবু ঝিনাইদহে দীঘির বাড়িতে আসে। দীঘির বাড়িতে আসার পর দীঘির বাবা তাৎক্ষণিক বাবুর কাছ থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে বাবুর বাবা- মায়ের সাথে যোগাযোগ করে ঘটনা খুলে বলেন এবং তাদের ঝিনাইদহে আসতে বলেন।

বাবুর বাবা পরদিন ৬অক্টোবর শুক্রবার ঝিনাইদহে আসতে চান। সসময় বাবুর পরিবার কে ঝিনাইদহ বাসটার্মিনালে আনতে দীঘির বাবা ও তার পূর্ব পরিচিত ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান কে ফোন করে সোহেল রানা তার সঙ্গে যাবার জন্য অনুরোধ করেন। এসময় ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান তার দোকান বন্ধ করে সোহেল রানা’র সাথে ঝিনাইদহ বাস টার্মিনাল আসেন। আসাদুজ্জামান ঘন্টা খানেক অপেক্ষা করার পর ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন সহ অজ্ঞাতনামা আরও ১৪/১৫ জন আচমকা সোহেল রানা ও আসাদুজ্জামান কে প্রকাশ্যে মারধর শুরু করেন এবং তাদের কাছে থাকা মোবাইল ও আসাদুজ্জামানের কাছে থাকা নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন।

ঘটনার সময় বাবুর বাবা উপস্থিত ছিলেন বলে ভুক্তভোগীরা জানান। ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব আসাদুজ্জামান কে উদ্দেশ্য করে বলে তোরা ঐ ছেলেকে আটকিয়ে রেখেছিস এতো বড় সাহস। ঐ ছেলেকে নিয়ে আয় না হলে শেষ করে দেবো। পরিস্থিতি সমাধানের করার জন্য আসাদুজ্জামান ফোন ফেরত নিয়ে পোড়াহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা মমিন কে ফোন দিয়ে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। মমিন ঘটনাস্থলে আসার সঙ্গে সঙ্গে মমিনকেও মারধর করা হয় বলে মমিন জানান। মারধরের এক পর্যায়ে প্রেমিক বাবুকে বাড়ি থেকে এনে এবং সজিব কে আরো ২০ হাজার টাকা দিয়ে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এছাড়া পরদিন ঝিনাইদহ সদর থানায় ছাত্রলীগ সভাপতি সজিব সহ অজ্ঞাত নামা আরো একাধিক ব্যক্তির নামে অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ব্যাপারে পোড়াহাটি যুবলীগ নেতা মমিন বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে পোড়াহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিরন ভাইয়ের সমর্থক। হিরন ভাই এই বিষয়টি নিয়ে আমাকে বাড়াবাড়ি করতে নিষেধ করেছেন তাই আমি বাদী হয়নি। আর ঝামেলার জন্য সোহেল রানাকে বাদী হতে নিষেধ করেছি। যেহেতু আমরা তিন জনই ভুক্তভোগী তাই আমাদের পক্ষে আসাদুজ্জামান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা তিন জনই দীর্ঘদিনের ব্যবসায়ী। তিনি আরো বলেন সজিবের বাড়ি শৈলকূপা উপজেলায়। তিনি ছাত্রলীগ সভাপতি হয়েও আমাদের পরিচয় দেওয়ার পরেও তার বিন্দু পরিমাণ সহানুভূতি পায়নি।

এঘটনায় আমাদের সাথে তার হিংস্র আচরণের প্রকাশ পেয়েছে। ছাত্রলীগ নেতার কাছে এমন আচরণ আশা করা যায় না। এছাড়া সজিবের বিরুদ্ধে রয়েছে নানা অভিযোগ, ঠিকাদারদের জিম্মি করে জোর করে সিডিউল দরপত্র কেনা বেচা, ঠিকাদারী, শালিস বাণিজ্যসহ দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ তার নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। এসব ঘটনার একাধিক ভিডিও অডিও ফাসঁ হওয়ার ফলে তা এখন টক অফদা টাউনে পরিনত হয়েছে। সাধারণ ছাত্র ও দলের নেতা কর্মীরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ছাত্র নেতারা জানান ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই (এমপি)’র মদদ ও পৃষ্ঠপোষকতায় সজিব এধরণের কাজ কাম হর হামেসায় করতে থাকে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা’র কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অপরাধ করে পার পাওয়ার সুযোগ নেই।

চাঁদাবাজির অভিযোগের ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজিব হোসেন জানান, আমি চাদাঁবাজির ব্যাপারে কিছুই জানিনা, আপনাদের মাধ্যমে শুনছি থানায় অভিযোগ হয়েছে, কেন অভিযোগ করা হয়েছে তাও আমি জানিনা, পুলিশ জানালে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্ঠা করবো।




গাংনীর কাজিপুরে ছেলের হাতে মা জখম

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সম্রাট (১৫) নামের মানসিক ভারসাম্যহীণ এক ছেলে ডাশা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করেছে  গর্ভধারিনী মা রোকেয়া খাতুন (৪৫) কে।

গতকাল সোমবার ৯ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের ছানারুল হকের বাড়িতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে।

সম্রাট আলী পীরতলা গ্রামের কৃষক ছানারুল হক ও আহত রোকেনা খাতুনের ছেলে।

সম্রাটের বাবা ছানারুল হক বলেন, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আমার স্ত্রী বাড়িতে একাই ঘুমিয়ে ছিলো। এ সময় আমার ছোট ছেলে সম্রাট গরুর গোয়ালে থাকা ঘাস কাটা ডাশা দিয়ে তার মাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করে। এ সময় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আইরিন খাতুন তা দেখে চিৎকার করে উঠলে বাড়ির বাহিরে থাকা লোকজন ও স্বজনরা এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন‍্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।

গাংনী থানার ওসি তদন্ত মনোজীত কুমার নন্দী বলেন, ‘সম্রাট একজন মানসিক ভারসাম্যহীণ ছেলে। তাকে আজ দুপুরে গাংনী থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সে নিয়মিত মানসিক রোগের ঔষধ সেবন করে আসছিল। তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।’