গাংনীর কাজিপুরে ছেলের হাতে মা জখম

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সম্রাট (১৫) নামের মানসিক ভারসাম্যহীণ এক ছেলে ডাশা দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করেছে  গর্ভধারিনী মা রোকেয়া খাতুন (৪৫) কে।

গতকাল সোমবার ৯ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে জেলার গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের পীরতলা গ্রামের ছানারুল হকের বাড়িতে মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটে।

সম্রাট আলী পীরতলা গ্রামের কৃষক ছানারুল হক ও আহত রোকেনা খাতুনের ছেলে।

সম্রাটের বাবা ছানারুল হক বলেন, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আমার স্ত্রী বাড়িতে একাই ঘুমিয়ে ছিলো। এ সময় আমার ছোট ছেলে সম্রাট গরুর গোয়ালে থাকা ঘাস কাটা ডাশা দিয়ে তার মাকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে যখম করে। এ সময় আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আইরিন খাতুন তা দেখে চিৎকার করে উঠলে বাড়ির বাহিরে থাকা লোকজন ও স্বজনরা এসে আমার স্ত্রীকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন‍্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে।

গাংনী থানার ওসি তদন্ত মনোজীত কুমার নন্দী বলেন, ‘সম্রাট একজন মানসিক ভারসাম্যহীণ ছেলে। তাকে আজ দুপুরে গাংনী থানা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে আসা হয়েছে। সে নিয়মিত মানসিক রোগের ঔষধ সেবন করে আসছিল। তাকে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তির উদ্দেশ্যে প্রেরণের প্রস্তুতি চলছে।’




মেহেরপুরে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের গনসংযোগ

স্বাধীন বাংলাদেশ বিনির্মাণে,বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরনের পথে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ আগামীর পথে বিস্ব মানচিত্রে অভিভূত সাফল্য তুলে ধরতে সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান গণসংযোগ করেন।

আজ মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) মেহেরপুর সদর উপজেলার রায়পুর,কোলা,দফরপুর, চাঁদবীল ও ময়ামারীতে গণসংযোগ করেন তিনি।

সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে গনসংযোগকালে খালেদুজ্জামান খাঁন ডালিম,হুমায়ূন কবির বাবু, সাজেদুর রহমান সাজু, মির্জা গালিব উজ্জ্বল,মিরাজুল ইসলাম, সেলিম রেজা,শেরেফুল ইসলাম,রকিবুল ইসলাম বাবু, নয়ন আহামেদ, মিঠু, রবিউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন রাজু,আব্বাস উদ্দিন,শেখ কায়সার হামিদ বুলবুল,ইকবাল হোসেন,আসাব উদ্দিন,মতিয়ার, বকুল আহামেদসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষককে চর থাপ্পর ও লাঞ্চিতর ঘটনায় দামুড়হুদায় মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রের হাতে শিক্ষক লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষক সমিতি।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সম্মুখে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি নতিপোতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোমিনুল হকের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী সাইফুল আমীন শীর্ষ’র দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো মিরাজুল ইসলাম, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো নজরল ইসলাম, মোক্তারপুর নিম্ন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো বখতিয়ার রহমান, জুড়ানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো একরামুল হক, বিষ্ণুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো সহিদুল ইসলাম, গোবিন্দহুদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো নজরল ইসলাম,কলাবাড়ি রামনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো মোস্তাফিজুর রহমান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর, আবুল কালাম, আঃরাজ্জাক সহ উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, ম্যনেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দ ও দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাই স্কুল ও দামুড়হুদা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।

উল্লেখ্য, গত রোববার চুয়াডাঙ্গা ভিক্টোরিয়া জুবিলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র সাইফুল আমীন শীর্ষ সহকারী শিক্ষক মো হাফিজুর রহমান কে চর থাপ্পর ও শারীরিক ভাবে লাঞ্চিত করে।




মুজিবনগরে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ

মুজিবনগরে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ঢেউটিন ও চেক বিতরণ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের আয়োজনে, ঢেউটিন ও চেক বিতরণ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে হত দরিদ্র উপকারভোগীদের নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার মাশরুবা আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ।

এসময় আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্র মানুষের জন্য যে সমস্ত সাহায্য ও সহযোগিতা করা হচ্ছে সেসব বিষয়ে তুলে ধরা হয়।

আলোচনা সভার শেষে ৮৩ জন হতদরিদ্রদের মাঝে ৮৪ বান্ডিল ঢেউটিন এবং ২ লক্ষ ৫২ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।




বয়স্ক রোগীর ক্ষেত্রে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্টে যে ঝুঁকি

ডোনার ও অঙ্গ ম্যাচিং না হলে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা কোনো ভাবে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। যদি অঙ্গ দাতা (ডোনার) পাওয়া যায় এবং অঙ্গটি সুস্থ থাকে ও রোগীর সঙ্গে ম্যাচ করে এবং রোগীর যদি অন্য কোন জটিলতা না থাকে তাহলে করা যেতে পারে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ইন্টারভেনশনাল হেপাটোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান ও হেপাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল। তিনি বলেন, যদি জোর করে করার ব্যবস্থাও নেন প্রধান প্রশ্ন হলো- ডোনার কোথায় পাবেন? অঙ্গ দিতে হলে তো ম্যাচিং করতে হবে। আর সেটি বাংলাদেশে থেকেই করা সম্ভব। বিদেশে কিভাবে একজনের পর একজন ডোনার ম্যাচ করাবে? সেটা কি সম্ভব প্রশ্ন তুলেছেন বিশিষ্ট এই চিকিৎসক।

যদিও ৯ অক্টোবর সোমবার রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট জরুরি। তিনি বলেন, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে হবে তার। আমরা যে চিকিৎসা দিচ্ছি তা তাৎক্ষণিক। জরুরি ভিত্তিতে তার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন।

তবে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, হার্টে সমস্যা, কিডনি সমস্যা কিংবা স্ট্রোকের রোগীর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে গেলে মৃত্যু হতে পারে। সাধারণত এই ধরনের রোগীর লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয় না।

দেশে প্রথম লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয় ১৯৯৯ সালে। বারডেম হাসপাতালে ১৯৯৯ সালে প্রথম হেপাটো-বিলিয়ারি-প্যানক্রিয়াটিক সার্জারি শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্লান্টের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দীর্ঘদিন যকৃৎ অস্ত্রোপচার কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনার পর ২০১০ সালের জুন মাসে বারডেম হাসপাতালে বাংলাদেশে প্রথম সফল যকৃৎ প্রতিস্থাপন সম্পূর্ণ করা হয়। দ্বিতীয় সফল অস্ত্রোপচার ঘটে ২০১১ সালের আগস্টে। বারডেমের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে তা করা হয়। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট শুরু হয়েছে। তবে বাংলাদেশে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট নিয়মিত হয় না বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

কেনো সত্তর উর্ধ কারোর ক্ষেত্রে এটা বিপদজনক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীল বলেন, লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট অনেক বড় একটি সার্জারি। এটি যখন করা হবে , একজন অসুস্থ ব্যক্তির ন্যূনতম হলেও তো লিভার কাজ করছে, লিভারটি কেটে ফেলা হয় এবং নতুন লিভার সংযোজন করা হয়। এই সময় তো পুরো শরীর লিভার ফ্রি থাকে। সার্জারি করতে ৭-৮ ঘণ্টা লাগে। এসময় অন্যান্য অঙ্গ যদি একদম ভায়াবাল থাকে, যেমন কার যদি কিডনিতে সমস্যা না থাকে, হার্টে সমস্যা না থাকে যদি কারো স্ট্রোক থাকে, ডায়াবেটিস থাকে এই ধরনের ক্ষেত্রে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয় না। এগুলো হচ্ছে হাই রিস্ক, অপারেশন টেবিলে মৃত্যুবরণ হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আরেকটি বিষয় দেখতে হবে সেটি হচ্ছে লাইফ এক্সপেক্টেন্সি দেখতে হবে। ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলে আমরা ধরে নেই, একজন মানুষ হয়তো ১০ বছর বাঁচতে পারবে কিন্তু ট্রান্সপ্ল্যান্ট ছাড়া আর কয়দিন বাঁচবে। ট্রান্সপ্ল্যান্ট একজন চিকিৎসক তখনই করবে যখন দেখবে তিনি সফল হবেন, ১০ বছর অন্তত রোগী বাঁচবে বলে আশা করা যায়। যদি এমন হয় ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে গিয়ে রিস্ক বেশি হয়ে গেল তখন সেটি করা যাবে না।

ডোনার কীভাবে পাওয়া যাবে
মানবদেহে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সংযোজন আইন, ১৯৯৯ এর কয়েকটি ধারা ২০১৮ সালে সংশোধন করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে- দুই ধরনের ব্যক্তির কাছ থেকে অঙ্গ সংযোজনের জন্য নেওয়া যাবে। ক্যাডাভেরিক অর্থাৎ হৃদপিন্ড স্পন্দনরত মানবদেহ যা অনুমোদিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকবৃন্দ কর্তৃক ব্রেইন ডেথ বলে ঘোষিত এবং যার অঙ্গসমূহ অন্য মানবদেহে প্রতিস্থাপনের জন্য লাইফ সাপোর্ট দ্বারা কার্যক্ষম রাখা হয়েছে – এমন ব্যক্তির অঙ্গ সংযোজন করা যাবে।

এছাড়া নিকট আত্মীয় থেকে নেওয়া যাবে। এর মধ্যে আছে – পিতা, মাতা, পুত্র, কন্যা, ভাই, বোন, স্বামী, স্ত্রী ও রক্ত সম্পর্কিত আপন চাচা, ফুফু, মামা, খালা, নানা, নানি, দাদা, দাদি, নাতি, নাতনি, আপন চাচাতো, মামাতো, ফুপাতো, খালাতো ভাই অথবা বোন। আইন অনুযায়ী , অঙ্গ দাতা হিসেবে জীবিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে বয়স ১৮ বছরের কম অথবা ৬৫বছরের ঊর্ধ্বে হলে অঙ্গ নেওয়া যাবে না।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে হেপাটাইটিস নির্মূল বিষয়ক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সদস্য এবং দেশের শীর্ষস্থানীয় হেপাটোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল) বলেন, ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে তো লিভার লাগবে, সেটা কিভাবে পাওয়া যাবে? যেকোনো সভ্য দেশের আইন হচ্ছে রোগীকে তার নিকট আত্মীয়র কাছ থেকে অঙ্গ নিতে হবে। প্রতিবেশি বা পরিচিত কেউ অঙ্গ দিতে পারবে না। যদি এমন হয় প্রতিবেশি দিতে ইচ্ছুক সেটি খুব কম দেশেই করা হয়। আরেকটি বিষয় হচ্ছে শুধুমাত্র টাকার বিনিময়ে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা যাবে না, এটা শুধু ইজরায়েলে সম্ভব। এখন কথা হচ্ছে অঙ্গ পাওয়া যাবে কোথা থেকে?

তার মতে, অঙ্গ দিতে হলে তো ম্যাচিং করতে হবে। সেটি বাংলাদেশে করা সম্ভব। বিদেশে কিভাবে একজনের পর একজন ডোনার ম্যাচ করাবে? সেটা কি সম্ভব! যেকোনো ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য দেশে বসে ম্যাচিং করে নিতে হয়। ব্লাড গ্রুপ, ডোনারের অঙ্গ সুস্থ আছে কিনা, হেপাটাইটিস বি এবং সি ভাইরাস আছে কিনা, লিভারের এনাটমি কেমন, এগুলো সব জেনে নিতে হবে। তারপর ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে যাবে। এখন উদাহরনসরূপ ধরা যাক এগুলো টেস্ট যুক্তরাষ্ট্রে করানো হলো , এখন যদি না মিলে তাহলে আরেক ডোনার কি বললেই ভিসা পাবে?

তিনি বলেন, ৭৭ বছর বয়সে সাধারনত ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হয় না। কিন্তু এতে কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কিন্তু করতে গেলেও ডোনার লাগবে, সুস্থ অঙ্গ লাগবে যেটা রোগীর নিকট আত্মীয়র এবং এসব ছাড়া কোথাও ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা সম্ভব না।




পদ্মা সেতু: বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন অনুঘটক

১৮৬২ সালের ১৫ নভেম্বর বাংলাদেশ ভূখণ্ডে সর্বপ্রথম রেলপথ চালু হয়। দেশের প্রথম এই রেলপথ স্থপিত হয়েছিল চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থেকে কুষ্টিয়া জেলার জগতি পর্যন্ত। পরবর্তীতে ব্রিটিশ আমল, পাকিস্তান আমল ও ১৯৭১ এর স্বাধীনতার পর দেশের বিভিন্ন জেলা পর্যায়ক্রমে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আসে।

সেই যুগের পরে আজ নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো। ১০ অক্টোবর ২০২৩ রাজধানী ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত (৮২ কিলোমিটার) আনুষ্ঠানিক রেল চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যান চলাচল শুরু হওয়ার মোটামুটি এক বছরের মধ্যেই পদ্মাসেতুতে রেল চলাচলের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় উন্মোচিত হতে যাচ্ছে নতুন আরেকটি মাইলফলক।

ঐতিহাসিকভাবে রেলপথে চলাচল বাংলার আপামর জনসাধারনের কাছে একটি আস্থা ও আরামপ্রদ ভ্রমন মাধ্যম। তাছাড়া রেলপথ ও রেল পরিবহন পরিবেশবান্ধব, জ্বালানিসাশ্রয়ী, দীর্ঘস্থায়ী ও নিরাপদ। গ্রামীণ অর্থনীতির সুষম উন্নয়ন, বণ্টন ও পুনর্গঠনে রেল পরিবহন ব্যবস্থার গুরুত্ব অনেক। সীমিত সম্পদ, নিম্ন আয়, অধিক জনসংখ্যা ইত্যাদি কারণে রেল পরিবহনকেই দেশে সবচেয়ে যথার্থ মাধ্যম মনে করা হয়। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, আধুনিক উন্নয়নচিন্তার কেন্দ্রীয় বিষয়গুলো হলো দীর্ঘস্থায়ী ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা। যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল এই রেল যোগাযোগ।অধিকন্তু, বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে গণপরিবহন হিসেবেও রেলওয়ের গুরুত্ব অপরিসীম। নিরাপদ, সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব, স্থায়ী পরিবহন নেটওয়ার্ক হওয়ায় পদ্মা সেতুর উপর স্থাপিত রেলপথ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সমন্বিত বহুমাত্রিক যোগাযোগের দ্বার উন্মোচন করবে। যা এই অঞ্চলে টেকসই উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।

পদ্মাসেতু, পদ্মা নদীর উপর বিস্তৃত একটি স্মারক অবকাঠামো প্রকল্প, যা বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রগতি, সংযোগ, নির্ভরতা এবং আশার প্রতীক হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে। সমগ্র বাংলাদেশের অর্থনীতিকে তরান্বিত করা বিশেষ করে দীর্ঘকাল অবহেলিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের টেকসই উন্নয়ন সাধনের প্রধান অনুঘটক হতে যাচ্ছে এই স্বপ্নের সেতু। যার ফলাফল ইতিমধ্যে পেতে শুরু করেছে সমগ্র জাতি। পদ্মা সেতু এই অঞ্চলে যে কয়টি পরিবর্তন আনয়নের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের রূপান্তরকারী শক্তি হিসাবে কাজ করছে সেগুলো হল- স্থানীয় ও জাতীয় যোগাযোগের উন্নয়ন, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থানীয় জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নতকরন ইত্যাদি।

যোগাযোগকে পৃথিবীর সব দেশে টেকসই উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ চালক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য বিস্তৃত ও নিরবিচ্ছিন্ন পরিবহন নেটওয়ার্ক অপরিহার্য। নদী ও জলাশয় দ্বারা বেষ্টিত খুলনা, সাতক্ষীরা এবং যশোরের মতো জেলা নিয়ে গঠিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল ঐতিহাসিকভাবে তার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সংযোগের ক্ষেত্রে প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে আসছে। এই দৃশ্যপট নাটকীয় ভাবে বদলে দিতে চলেছে পদ্মাসেতু। এটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বাকি অংশের সাথে সংযুক্ত করেছে। এই নতুন সংযোগের ফলে ভ্রমণের সময়, পরিবহন খরচ এবং লজিস্টিক প্রতিবন্ধকতা হ্রাস পেয়েছে বহুগুনে। যার ফলে পণ্য, পরিষেবা এবং মানুষের যাতায়াত সহজতর হয়েছে। উন্নত যোগাযোগ সৃষ্টি করছে নতুন বাজার, তরান্বিত করছে বিনিয়োগ আকর্ষণ যার ফলে এই অঞ্চলের মানুষের জন্য উন্মচিত হচ্ছে সুযোগ আর সম্ভবনার অবারিত দুয়ার। টেকসই উন্নয়নে পদ্মা সেতু যেসব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তা হল আঞ্চলিক অর্থনীতিকে চাঙ্গা করা। বাংলাদেশের দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলে কৃষি, শিল্প, পর্যটনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিবহণ পরিকাঠামোর অভাব এতদিন এই সুযোগগুলিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্ত করেছে।

পদ্মা সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের উর্বর সমভূমি থেকে কৃষিপণ্য শহুরে বাজারে দ্রুততার সাথে কম খরচে পরিবহন করার পাশাপাশি শিল্প খাতকেও সম্প্রসারিত হতে অন্যতম উদ্দীপক হিসাবে কাজ করছে।এর ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, দারিদ্র্যতা হ্রাস পাবে এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।উপরন্তু, পর্যটন শিল্পে পদ্মা সেতুর প্রভাব ছোট করা যাবেনা। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভবন এবং স্নিগ্ধ নদী বেষ্টিত দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চল প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি। পদ্মা সেতু নিশ্চিতভাবে এই আকর্ষণগুলোকে পর্যটকদের জন্য আরও সহজে ভ্রমনযোগ্য করে তুলবে, সম্ভাব্য পর্যটকদের আগমন বাড়াবে এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে।

টেকসই উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। পদ্মা সেতুর সরাসরি প্রভাব পড়বে দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের জীবন- জীবিকার ওপর। এটি দৈনিক যাত্রীদের জন্য ভ্রমণের সময় হ্রাস করবে, তাদের জন্য ঢাকা এবং অন্যান্য নগর কেন্দ্রে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থানের সুযোগগুলি সহজতর করবে। তদুপরি, সেতুটি গ্রামীণ কৃষক এবং বাসিন্দাদের জন্য বাজার এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও চিকিৎসা সুবিধা আরও সহজলভ্য হওয়ায় মানুষের স্বাস্থ্যসেবার প্রাপ্তির সুযোগ বাড়বে বহুলাংশে।
পদ্মা সেতু ও তার সাথে সম্প্রতি নির্মিত রেল সংযোগের ফলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো উন্নয়নের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সড়ক নেটওয়ার্ক, রেলসংযোগ এবং অন্যান্য সহায়ক সুবিধা। এই অবকাঠামোগত উন্নয়নগুলি এই অঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলবে, যা কিনা ব্যবসা এবং বিনিয়োগের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নে ঐতিহাসিক বৈষম্য মোকাবেলা করতে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করবে। এর ফলে, আঞ্চলিক বৈষম্য কমবে এবং সম্পদ ও সুযোগের আরও সুষম বণ্টনে অবদান রাখবে এই সেতু।

পদ্মা সেতু দক্ষিণ- পশ্চিমাঞ্চল তথা সমগ্র বাংলাদেশের জনগণের জন্য আশা ও সুযোগের আলোকবর্তিকা হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, একটি উজ্জ্বল এবং আরও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করছে। এ সেতু নির্মাণকে ঘিরে দেশে ও বিদেশে হয়েছে নানা ষড়যন্ত্র, প্রকল্প শুরুর আগেই দেয়া হয় দুর্নীতির কলঙ্ক। সেই অজুহাতে মুখ ফিরিয়ে নেয় বিশ্বব্যাংক। কিন্তু বাংলাদেশ থেমে থাকেনি, দমে থাকেনি। থেমে থাকেননি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন এবং তা বাস্তবায়ন করে দেখান। এভাবেই শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্তে দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ, এগিয়ে যাবে, হবে সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা। অব্যাহত থাকুক এই ধারা।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।




দেখা সাক্ষাৎ শুরু হচ্ছে বিএনপি জামায়াতের?

আবারও দেখা সাক্ষাৎ শুরু হচ্ছে বিএনপি জামায়াতের। যার শুরুটা হলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়াকে দেখতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির রীতিমত তোপ দাগলেন সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি দাবি জানালেন খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর। যদিও বিএনপি-জামায়াতের দেখা সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে মুখে কুলুপ এটেছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা।

চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যান জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা.সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহেরসহ ৫ নেতা। খালেদার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া শেষে সেখান থেকে বের হন দুপুর ১ টা ১০ মিনিটে। এ সময় উপন্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল, উত্তরের আমির আব্দুর রহমান মুসা, সহকারী সেক্রেটারি ডা.ফখরুদ্দিন মানিক, প্রচার সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার।

এদিকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জীবন ঝুঁকির মধ্যে আছেন বলে জানায় মেডিকেল বোর্ড। সোমবার বোর্ডের সদস্যরা আরও জানান, দেশের চিকিৎসা দিয়ে আর বেশি দিন তাকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

সংবাদ সম্মেলনের পরের দিনেই পুরোনো বন্ধু জামায়াত হাসপাতালে সাক্ষাতে যাওয়া নিয়ে চলছে আলোচনা। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যকার সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে বলে রাজনীতির অঙ্গনে বেশ কয়েকদিন ধরে গুঞ্জন চলছে। যদিও এ বিষয়ে বিএনপি কিংবা জামায়াতের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। ফলে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যকার সম্পর্ক আসলেই ছিন্ন হয়ছে নাকি কৌশল সে বিষয়টি সামনে চলে আসছে। যেহেতু সম্পর্ক ছিন্ন করার ব্যাপারে কোনো দলই এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি তাই সম্পর্ক ছিন্নের ব্যাপারটি নিয়ে এখনই বলার মতো সময় আসেনি।

হাসপাতাল থেকে বের হয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা.সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের জানান, বিএনপি নেত্রীর শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে দ্রুত দেশের বাইরে পাঠানোর দাবিও করেন তিনি। বিএনপির সাথে জামায়াতের ঘনিষ্টতা আরও বেড়েছে কি না এ প্রশ্নের কোনো জবাব দেননি দলটির আমির। যদিও গত জুনে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সমাবেশে বলেছিলেন ‘বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের জোট এখন আর কার্যকর নেই, কিন্তু আমরা সরকারবিরোধী আন্দোলনে আছি।’দীর্ঘদিন পরে তারা রাজনৈতিক সহযোদ্ধার খোঁজে নিতে গেছে জামায়াত নেতারা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, উনি শুনেছেন। এছাড়া এবিষয়ে কোন তথ্য তার কাছে নেই।

জামায়াতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক সবসময়েই ছিলো উল্লেখ করে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘ওরা কৌশলগতকারণে সম্পর্কহীনতার কথা বলে। তারা ভোটের আগে শক্তি দেখাতে এবং জনমানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে দৃশ্যমানতা তৈরি করতে চাইবে। তবে এই দেশের জনগণ আর তাদের গ্রহণ করবে না।’




কুষ্টিয়ায় চেম্বার অব কমার্সের সভাপতিকে জেলা তাতীলীগের শুভেচ্ছা

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও দি কুষ্টিয়া চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আবু জাফর মোল্লাকে বাংলাদেশ তাতীলীগ কুষ্টিয়া জেলা শাখার পক্ষ থেকে ফুলের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে শহরের বড় বাজার এলাকার তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান সংগঠনের নেতারা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ তাতীলীগের জেলা কমিটির সভাপতি রুহুল আমিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী হারুন অর রশীদ, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক মো: আব্দুল লতিফ, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সাধারন সম্পাদক মেজবাউর রহমান লিগারসহ অত্র সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।




বুঝে কিনুন প্রসাধনী

মেকআপ, স্কিনকেয়ার অথবা চুলের যত্নের জন্য প্রসাধনীর অভাব নেই। আপনার রুপের ধরনভেদে প্রসাধনীও কিনতে হয় বাছাই করে। অনেকে সাজেশান নিয়ে কোনো পণ্য কিনে ফেলেন। কোনো একটা প্রোডাক্টের নাম শোনা গেল, আর সঙ্গে সঙ্গেই সেটা খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে গেলেন। কিন্তু সাজেশানের ফলে অনেক সময় ত্বকের ক্ষতিও হয়। সেজন্য ত্বকের বা বিউটি কেয়ারের জন্য প্রসাধনী কেনার আগে কয়েকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি।

সবার প্রথমে উপাদান
অনলাইনের বদৌলতে আজকাল অনেকেই প্রলুব্ধ হয়ে পণ্য কিনে ফেলেন। প্রসাধনীতে ন্যাচারাল বা অনেক কিছু লেখা থাকলেও তা প্রসেস করা। রাসায়নিক পদার্থ দিয়েই আপনার প্রসাধনী তৈরি করা হয়। এমনটিই স্বাভাবিক। তবে প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রে উপাদানের তালিকা যাচাই করা জরুরি। সুগন্ধি, প্যারাবেনস ও সালফেটের মতো সাধারণ অ্যালার্জেন উপাদানগুলো রয়েছে কি না, তা দেখে নিন। এসব উপাদান অনেকের ত্বকে এলার্জির কারণ হয়ে ওঠে। প্রসাধনীর পেছনেই সব উপাদানের তালিকা রয়েছে। সেখানে আপনার দুশ্চিন্তার সুযোগ কম। যেহেতু বেশির ভাগ প্রসাধনসামগ্রীই নানা রকম রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি, তাই এগুলো এড়িয়ে চলা বেশ কঠিন। তারপরও কম রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, এমন পণ্যগুলোই কেনার চেষ্টা করতে হবে। প্রয়োজনে আপনার ত্বকের সঙ্গে উপযুক্ত কোন ধরনের প্রসাধনী হতে পারে তা দেখে নিন।

অনলাইন ঘাঁটুন
অনলাইন শপে ঘুরলে হবে না। প্রসাধনী কেনার ক্ষেত্রে গুগল থেকে উপযুক্ত তথ্য নেবেন। কোন ধরনের প্রসাধনী আপনার প্রয়োজন। কোন ধরনের উপাদান আপনার ত্বককে সহযোগীতা করবে সেটাও জানা জরুরি। অনলাইনে একটু ভালোমতো ঘাটলে সহজেই আপনি বুঝতে পারবেন কোন পণ্য আপনার জরুরি।

হাইপো-অ্যালার্জিক পণ্য সম্পর্কে জানুন
অতি সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষেত্রে প্রসাধনী বাছাই করা অনেক জরুরি। এই ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রে হাইপো-অ্যালার্জিক প্রসাধনী কিনে নিবেন। এ ধরনের প্রসাধনীতে সংবেদনশীল ত্বকের ক্ষতি হয় না।

পণ্য কিনুন এফপিএস যুক্ত
আপনার ত্বককে ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করার জন্য সানস্ক্রিন অপরিহার্য।প্রথমবারের জন্য কোনো নতুন পণ্য কেনার সময়, বিশেষত যদি আপনার সংবেদনশীল ত্বক হয়ে থাকে, তবে প্যাচ টেস্ট করে নিন। যদি কোনো বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা না দেয়, তবেই কিনুন।

মেয়াদ দেখা জরুরি
দেশে অনেক প্রসাধনী বিদেশ থেকে আনা হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে আনা হয় বলে অনেক সময় দেশীয় প্রসাধনীর মতো ফেরত দেয়ার সুযোগ থাকে না। তাই যখন কিনবেন মেয়াদ দেখে নেবেন। অনেকেই মেয়াদ দেখেন না। ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতিও হয়।




নিয়োগ দেবে ইস্টার্ন ব্যাংক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি । প্রতিষ্ঠানটিতে রিপ্রেজেন্টেটিভ (ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

রিপ্রেজেন্টেটিভ (ট্রেইনি অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার)­­- এজেন্ট ব্যাংকিং

শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রার্থীকে স্নাতক হতে হবে। অভিজ্ঞতা: প্রযোজ্য নয়। তবে ছয় মাসের অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

কর্মস্থল

যেকোনো স্থান।

বেতন

২৮,০০০/-টাকা।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিস্তারিত জানতে ও আবেদন করতে পারবেন এই লিংকে গিয়ে।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৯ অক্টোবর, ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস