মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক ড. রবিউল ইসলাম

মেহেরপুরের ‘মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের’ উপাচার্য (ভিসি) হিসেবে নিয়োগ পেলেন অধ্যাপক ড. মো: রবিউল ইসলাম। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ সোমবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়ির সহকারী সচিব শতরুপা তালুকদার সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে  এ তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়, মেহেরপুর আইন ২০২৩ এর ১০ (১) ধারা অনুসারে তাঁকে এ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তি  চার বছর তিনি এ ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এ নিয়োগের মধ্যে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো।

চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি মুজিবনগর বিশ্ববিদ্যালয়,মেহেরপুর আইন বিল আকারে সংসদে পাশ হয়।

 




দামুড়হুদায় খেজুর গাছের রস আহরণ শেষে তৈরি হচ্ছে গুড়

পারদর্শী গাছিদের নিপুণ হাতের ছোঁয়াতে ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে গাছের পরিচর্যা। সম্পন্ন হয়েছে সকল প্রস্তুতি। ফলে দামুড়হুদায় বিভিন্ন গ্রামের গাছিরা গাছে গাছে ভাঁড় পেতেছেন সুমিষ্ট স্বাদের রস আহরণ শেষে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার গাছিরা।বৈচিত্র্যময় ছয় ঋতুর দেশ আামদের বাংলাদেশ।দেশের ঋতু গুলোর রয়েছে বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য । আর এ ঋতু বৈচিত্র্যের পরিবর্তনের জন্য রাতের শেষে জানান দিচ্ছে শীত।

দক্ষিণ – পশ্চিমাঞ্চলের প্রকৃতিতে বইতে শুরু হয়েছে শীতের আগমনী বার্তা।শিশির ভেজা ঘাস আর হালকা কুয়াশায় প্রস্তুত হচ্ছেন শীত। প্রকৃতি সেজেছে অনিন্দ্য সুন্দর রূপে। প্রাম- বাংলার ঐতিহ্যবাহী অবহেলিত এ খেজুর গাছগুলোকে নতুনরূপে সাজিয়ে তোলার প্রস্তুতি শেরে গাছ থেকে খেজুরের সুমিষ্ট স্বাদের রস আহরণের প্রস্তুতিতে দামুড়হুদায় গাছিরা ।ইতিমধ্যেই উপজেলার সকল গ্রামের গাছিরা হাতে দা কোমরে দড়ি ও হাতের নিপুণ ছোয়াতে গাছ চাঁচাছোলা আর নলি বসানোর কাজ করে পরিচর্যা শেষ করেছেন। গাছের সকল পরিচর্যা আর প্রস্তুতি সম্পন্ন শেষে বর্তমান দামুড়হুদা উপজেলায় বেশ কিছু এলাকায় চলছে গাছ থেকে রস আহরণ করার পর তা জ্বলািয়ে গুড় তৈরির পালা।

শীতের দিন মানেই গ্রামীণ জনপদের মানুষের মাঝে খেজুর রস আর রস থেকে তার গুড়ের মৌ মৌ গন্ধ। শীতের সকালে খেজুরের তাজা রস যে কতটুকু তৃপ্তির তা বলে বোঝানো যাবে না। পাড়ায় পাড়ায় খেজুর রসের পিঠা এবং পায়েসতো খুবই মজাদার।কিছু কিছু গ্রামে রস সংগ্রহ আহরণ শুরু করে গুড় প্রস্তত করা হয়েছে। আর ক’একদিন পরই সংগ্রহ করা হবে রস, রস থেকে শুরু হবে পাটালি ও গুড় তৈরির পর্ব চলবে ফ্লাল্গুন মাস অবধি। চুয়াডাঙ্গা জেলার রস ও গুড়ের সুনাম অর্জন রয়েছেন দেশব্যাপী।

হেমন্তের প্রথমে দামুড়হুদা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গুড়ের হাট জয়রামপুর ষ্টেশন বাজার ও সরোজগঞ্জ বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে গাছিরা তাদের গুড় নিয়ে আসবেন বাজারে বিক্রি করতে।এসকল গুড়ের হাট থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানের গুড় ব্যবসায়ীরা পাইকারি দরে গুড় কিনে ট্রাক,আলামসাধুর মাধ্যমে চলে যাবেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, জেলার চারটি উপজেলার মোট ২ লাখ ৪৮ হজার ৯৬০ টি খেজুর গাছ রয়েছে।এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৯৩ হাজর ৪৫০, আলমডাঙ্গায় ৩৫ হাজার ৩১০ টি, দামুড়হুদা উপজেলার ৮৩ হাজর ও জীবননগর উপজেলার ৩৬ হাজর ৫০০ টি খেজুর গাছ রয়েছে। জেলা থেকে এ বছরে ২ হাজর ৫০০ মেট্রিক টন গুড় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, যা অর্জনে আশাবাদী। এ জেলার গুড় সুস্বাদু হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে যেয়ে থাকেন।

যশোর অঞ্চলে টেকসই কৃষি সম্প্রসারণ প্রকল্পের “মনিটরিং ও মূল্যায়ন কর্মকর্তা মোঃ মাসুম আব্দুল্লাহ’র সাথে কথা বললে তিনি বলেন,গাছিদের গাছ কাটার কাজটি একটি শিল্প। এ জন্য শীত মৌসুমে আসার সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ গাছিদের কদর বেড়ে যায় ।এ গাছের রস গুড়ের ঐতিহ্য ধরে রাখতে খেজুর গাছ রক্ষাসহ নতুনভাবে রোপণের উদ্যোগ নেয়া জরুরি। তিনি আরো বলেন, আমাদের বাংলাদেশে পরিকল্পিত ভাবে খেজুর গাছ রোপন ও সংরক্ষণের দরকার। কারণ এ গাছটি অন্যান্য গাছের তুলনায় অধিক গুরুত্ব বহন করেন, অর্থনৈতিক ভাবে বিশেষ ভূমিাক পালন করে চলেন।তাছাড়া খেজুরের ঐতিহ্য ধরে রাখতে দেশি চারার পাশাপাশি বিদেশি চারাও রোপন করা প্রয়োজন। তবে বর্তমান দেশের বিভিন্ন স্থানে খেজুরের জন্য বিদেশি গাছ লাগানো হচ্ছে।




ভবিষ্যৎ-বান্ধব ডিজিটাল পোশাক আনল ফটোশপের নির্মাতা অ্যাডোবি

ফটোশপের নির্মাতা কোম্পানি অ্যাডোবি এমন ভবিষ্যত্-বান্ধব ‘ডিজিটাল পোশাক’ উন্মোচন করেছে, যেখানে কেবল একটি বাটনে ক্লিক করার মাধ্যমেই এর পৃষ্ঠে থাকা বিভিন্ন ‘প্যাটার্ন’ বদলাতে পারবেন পরিধানকারী।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘প্রজেক্ট প্রিমরোজ’ নামের প্রকল্পের অধীনে পুঁতির তৈরি পোশাকটি বানিয়েছে অ্যাডোবি। আর তরলকৃত ক্রিস্টালের মাধ্যমে তৈরি হয়েছে এর ‘রিফ্লেক্টিভ লাইট- ডিফিউজার মডিউল’। সাধারণত স্মার্ট লাইটিং ব্যবস্থায় এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এর পুঁতিগুলো আসলে একেকটি ছোট স্ক্রিন, যেখানে ব্যবহূত হয়েছে স্মার্ট কাঁচামাল।

গত সপ্তাহে অ্যাডোবি’র আয়োজিত ‘ম্যাক্স’ সম্মেলনে দর্শকদের এই পোশাকের প্রথম ঝলক দেখানো হয়। আর একে ‘প্রাণবন্ত ফেব্রিক’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে সফটওয়্যার কোম্পানিটি। ফিতাবিহীন পোশাকটি পরে সবার সামনে এসেছেন অ্যাডোবির গবেষক ক্রিস্টিন ডিয়ের্ক। প্রথম ঝলকে একে সাধারণ ‘ককটেল ড্রেসের’ মতো দেখালেও রিমোটের বাটনে চাপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এর স্তরগুলো বদলাতে থাকে। ‘গতানুগতিক পোশাকের মতো এটি স্থির নয়। কয়েক মুহূর্তের জন্য আমার লুক সতেজ করার সুযোগ দিয়েছে প্রিমরোজ। এর রং মুহূর্তেই উজ্জ্বল থেকে কালো হতে পারে’ সেটির নমুনা দেখানোর সময় এ কথাগুলো বলেন অ্যাডোবি’র ওই বিজ্ঞানী।

তিনি আরও বলেন—‘নতুন ধাঁচের এ পোশাকে ব্যবহূত হয়েছে প্রতিফলনযোগ্য ‘পলিমার-ডিস্পার্সড লিকুইড ক্রিস্টাল’ বা ‘পিডিএলসি’ নামের উপাদান, যেটি সাধারণত ‘স্মার্ট উইন্ডো’তে ব্যবহার করা হয়। এ উপাদান নিজেকে যেকোনো আকারে ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি আলো নিয়েও খেলতে পারে। ডিজাইনাররা ক্লোদিং, ফার্নিচার এমনকি অন্যান্য ক্ষেত্রেও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারেন, যা ফ্যাশন জগতে অপার সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে। এর মধ্যে রয়েছে নকশা ডাউনলোড করার এমনকি নিজ পছন্দের ডিজাইনারের সর্বশেষ নকশা ব্যবহারের সুবিধাও। আমরা আশা করি, এই কাজ ফ্লেক্সিবল ডিসপ্লে নিয়ে কাজ করা ডিজাইনারদের ভবিষ্যতে অনুপ্রাণিত করবে।’




লড়াই এখন ফাইনালের

নানান আলোচনা-সমালোচনা-অঘটনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো ২০২৩ ভারত বিশ্বকাপে প্রথম পর্বের ৪৫টি ম্যাচ। এবারের আসরে মোট ১০ দল অংশগ্রহণ করে। প্রতিটি দলই একে অপরের মুখোমুখি হয়েছে। আর ১০ দলের মধ্যে সেরা চার দলই নিশ্চিত করেছে রাউন্ড রবিন অর্থাত্ সেমিফাইনালের টিকিট। বাদ পড়েছে ৬টি দল।

বিশ্বকাপে সবার ওপরে থেকে সেমিফাইনালে খেলার টিকিট নিশ্চিত করে স্বাগতিক দেশ ভারত। প্রথম পর্বের শতভাগ জয় নিয়ে শীর্ষস্থানে ভারত। পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থেকে সেমিতে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এছাড়া আফগানিস্তানের সঙ্গে ম্যাক্সওয়েলের ২০১ রানের সেই কালজয়ী ইনিংসের মধ্য দিয়ে তৃতীয় স্থানে থেকে সেমিতে খেলার টিকিট নিশ্চিত করে ২০১৫ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। চলতি আসরের চতুর্থ দল হিসেবে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে নিউজিল্যান্ড।

যদিও তাদের এই পথে লড়তে হয়েছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সঙ্গে, তবে তারা নিজেদের ম্যাচে হেরে যাওয়ায় কোনো সমস্যা হয়নি কিউইদের।

আইসিসির নিয়ম অনুসারে পয়েন্ট টেবিলের প্রথম ও চতুথ স্থানে থাকা দল সেমিতে মুখোমুখি হবে এবং পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা দল ফাইনালের জন্য লড়াই করবে। সেই সমীকরণে স্বাগতিক দল ভারত আগামী ১৫ নভেম্বর মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে খেলবে গত আসরের রানারআপ দল নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬ তারিখে ইডেন গার্ডেন্সে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ২০১৫ সালে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়া। সেমিফাইনালে নিজেদের সেরাটা দিয়ে ফাইনালে খেলার টিকিটের জন্য লড়বে দলগুলো।

বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচ খেলে ৪ জয় ও ৫ হারে চলতি আসরের পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করে ১৯৯২ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করে আফগানিস্তান। তবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে না পারলেও বিশ্বকাপ আসরে নিজেদের নতুন করে তুলে ধরেছে আফগানরা। এই আসরে ৪ ম্যাচে জয় পায় আফগানরা, যা তাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের এক আসরের সর্বোচ্চ জয়।

পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ শেষ করে গত আসরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, যা ছিল এই আসরের সবচেয়ে বড় অঘটন। চলতি আসরে ৯ ম্যাচ খেলে ৩টি জয়ের বিপরীতে ৬টি ম্যাচে হারে ইংলিশরা। টেবিলের অষ্টম স্থানে থেকে বিশ্বকাপে মিশন শেষ করে বাংলাদেশ। এই আসরে ৯টি ম্যাচ খেলে ২টি ম্যাচে জয় পায় সাকিব আল হাসানের দল।

পয়েন্ট টেবিলের নবম দল হিসেবে বিশ্বকাপ শেষ করে ১৯৯৬ সালের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। চলতি আসরে সবগুলো ম্যাচ খেলে ২টি জয়ের বিপরীতে ৭ ম্যাচে হারে লঙ্কানরা। প্রথম পর্বের তলানিতে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে নেদারল্যান্ডস। সব ম্যাচ খেলে ২টি জয় ৭টি হার ডাচদের।

 




বাড়ীবাকায় আওয়ামী লীগের খোলসে নির্মাণ হচ্ছে বিএনপি-জামায়াতের কার্যালয়!

মেহেরপুর জেলা পরিষদের জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হচ্ছে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড কার্যালয়। আওয়ামী লীগ কার্যালয় নির্মাণের কথা বলা হলেও অভিযোগ উঠেছে নির্মাণকারীদের কয়েকজন বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সাথে জড়িত। আর এ অভিযোগ করেছে খোদ জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা।

ঘটনাটি মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের বাড়ীবাকায়। যেখানে ইট-বালি দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে রাজনৈতিক কার্যালয় ওই স্থানেই ছিলো পাঠাগার। পাঠাগার সংস্কারের কথাও বলা হচ্ছে কখনও। তবে অভিযোগ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ব্যানারে কিছু বিএনপি-জামায়াত নেতা মুলত জামায়াতের রাজনৈতিক কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করছে। জেলা পরিষদ থেকে দুইবার নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেওয়া হলেও স্থানীয় ও জেলা পর্যায়ের কিছু নেতার ইন্ধনে পুরোদমে চলছে নির্মাণ কাজ। আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, বুড়িপোতা-বাড়িবাকা সীমান্তের প্রধান সড়কের পাশে ইটের ভিত্তির পাকা ঘরের কাঠামো বানানো হচ্ছে, শুধু ছাদ ঢালাই বাকী আছে। পাশে বাঁশ দিয়ে বানানো খুঁটিতে একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে। সেখানে লেখা আছে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বুড়িপোতা ইউনিয়ন ৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যালয়। একই স্থানে পূর্বে থাকা পাঠাগারের সরঞ্জাম কোথায় তার কোন হদিস নাই।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন কিছু বিএনপি জামায়াতের নেতাকর্মীরা দল পাল্টে নব্য আওয়ামী লীগ সেজেছেন। পাঠাগার ভেঙে আওয়ামী লীগ কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। তারা অশংকা প্রকাশ করেন ভবিষ্যতে এটা জামায়াতের কার্যালয়ে পরিণত হতে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী জানান, রাজনৈতিক কার্যালয় স্থাপনের উদ্যোক্তা একই গ্রামের রেজা, ইদ্রিস আলী, আলম হোসেন, ইমরান হোসেন ও আকাশ রাজনৈতিকভাবে জামায়াত কর্মী হিসেবে পরিচিত। অপর উদ্যোক্তা আজিজুল একজন বিএনপি নেতা।

স্থানীয় অধিবাসী মোখলেসুর রহমান মুকুল বলেন, ‘টিনের ঘর ভেঙে এখন পাকা ঘর করা হচ্ছে, জায়গাটি খাস বা জেলা পরিষদের কিনা সেটা আমরা অবগত নয়। তবে আপনাদের বাঁধায় ঘরের কাজ বন্ধ হলে বা ঘর ভেঙে দিলেও জায়গাটি পড়ে থাকবে না। কিছুদিনের মধ্যে কেউ না কেউ ঠিকই দখল করে নেবে। ‘

বুড়িপোতা ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি শাজাহান বলেন, এখানে একটি টিনশেডের ঘর ছিল, আমরা ওঠাবসা করতাম। পাকা করার উদ্যোগ নিলে জেলা পরিষদ থেকে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। কিছুদিন আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট ইব্রাহিম শাহিন এখানে স্কুলের বিল্ডিং উদ্বোধন করতে আসলে আমরা তাদেরকে জানায়। ইব্রাহিম শাহিন মৌখিকভাবে আমাদের কাজ করার নির্দেশ দেন। তবে এটা সত্য জেলা পরিষদ আমাদেরকে এখানে ঘর করার অনুমতি দেয়নি। ‘

বুড়িপাতে ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন বলেন, ‘এখানে কোন অনুমতি নেই জোর করে কাজ করা হচ্ছে। গতকাল জেলা পরিষদ থেকে আমাকে জানানোর পর আমি ওখানে গিয়েছিলাম কিন্তু কাউকে পাইনি। আগে এই জায়গায় একটি লাইব্রেরী ছিল সেটা ভেঙে এখন পার্টি অফিস করা হচ্ছে।’

পাঠাগার ভেঙে রাজনৈতিক কার্যালয় তৈরির একজন উদ্যোক্তা রেজা বলেন, ‘এটা হচ্ছে মূলত আওয়ামী লীগের কার্যালয়, আমাদের বাড়ি বাঁকাতে আওয়ামী লীগের বসার কোন জায়গা নেই, তাই এখানে আওয়ামী লীগের অফিস করা হচ্ছে। আগে এখানে টিনশটের একটি ঘর ছিল তবে এখানে আওয়ামী লীগের ছেলেরাই ওঠাবসা করত। আর আওয়ামী লীগের অফিস তৈরি করার জন্য জেলা পরিষদের কোন অনুমতির দরকার নেই। জায়গা জেলা পরিষদের এটা ঠিক আছে, এখনো আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে, এখানে আওয়ামী লীগের একটি অফিস বানানো হচ্ছে।

রেজা আরও বলেন, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী আমাদের ঘর করার জন্য দুই বান টিন দিতে লিখিত আদেশ দিয়েছেন, তবে উপজেলা থেকে আমাদেরকে এক বান টিন দেয়া হয়েছে। এখানে যে আওয়ামী লীগের অফিস তৈরি হচ্ছে তা জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ইব্রাহিম শাহিন ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ জামান চৌধুরী সকলেই জানেন ।

এ ব্যাপারে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীনের সাথে যোগাযোগের জন্য ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন।

মেহেরপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মুহা. আব্দুস সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে মূলত জামাতের অফিস তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশ নিয়ে দুইবার কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসার পরেও কিছু নেতার ইন্ধনে কাজ চলছে। আওয়ামী লীগের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতা এর পেছনে আছেন। ব্যাপারটা নিয়ে আমি আইনি ব্যবস্থা নেয়ার চিন্তাভাবনা করছি।




মেহেরপুরে উদ্বোধন হলো নির্মিতব্য হাসপাতাল ভবন !

নির্মাণ কাজ শেষ না হলেও গতকাল বিকালে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অনুমোদিত ১১ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৪ টায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভবন উদ্বোধনের নাম ফলক উন্মোচন করেন।

উদ্বোধনকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য সেবা জনগণের দোর গোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি দেওয়া হচ্ছে হাসপাতাল গুলোতে। এখন আর চিকিৎসার জন্য অন্য জেলায় বা অন্য দেশে তেমন একটা যাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। কমিনিটি ক্লিনিক গুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন ঔষধ বিনামূল্যে সরবরাহ করে সরকার।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক শামীম হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভু রাম , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল করিম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি আবুল বাসার, পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভাট্টাচার্য, চেম্বার অব কর্মাসের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল, বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ আবু তাহের প্রমুখ।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর গণপূর্তের তত্বাবধানে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা ব্যায়ে ১১ তলা নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়। তবে ভবনটির ছয়তলা পর্যন্ত ভৌত অবকাঠামো দৃশ্যমান হয়েছে। বাকি অংশের কাজ এখনো চলমান।

নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ না হওয়ার আগেই হাসপাতাল ভবনের উদ্বোধনের বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
এছাড়াও এসময় ৪ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত চার তলা বিশিষ্ট সার্ভিস ভবনেরও উদ্বোধন করা হয়।




চুয়াডাঙ্গার উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের ভবন উদ্বোধন ও মা সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নতুন চার তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন ও শিক্ষার মান উন্নয়নে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রোববার সকাল ১০ টার সময় উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় চত্বরে ওই মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর।

এসময় তিনি বলেন, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে একসময় ভবন ছিলোনা। টিনের ছাপড়ার নিচে ক্লাস করতো মেয়েরা। ঝড়বৃষ্টি হলে ক্লাস নেওয়ার অনুপযোগী হয়ে যেতো। সাতশো থেকে আটশো ছাত্রীরা ঠাসাঠাসি করে বসে ক্লাস করতো। বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সালাউদ্দীন কাজল আমার কাছে বিদ্যালয়ের ভবন দাবি করে। আমরা এখানে একটি চার তলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবন নির্মাণ করে দিয়েছি। শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের অফিস কক্ষ, সীমানা প্রাচীর, গেটসহ যখন যেটা দাবি করেছে আমি পূরণ করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখন উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় জীবননগর উপজেলার মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় নির্বাচিত হয়। পরিক্ষার ফলাফল অনেক ভালো হয়। মেয়েরা খেলা ধুলা করে উপজেলা-জেলা চ্যাম্পিয়ন হয়। উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের মত আমার নির্বাচনী এলাকায় সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে।

প্রধান অতিথি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। বছরে প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছে। নারী শিক্ষা সম্পুর্ণ ফ্রী করে দিয়ে তাদের জন্য শতভাগ উপবৃত্তির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়ে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে দিয়েছে। আপনারা আপনাদের সন্তানকে যোগ্য ও দক্ষ হিসেবে তৈরি করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সহায়তা করুন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নারীদের চাকরির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারসহ ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নারী শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে নারী ক্ষমতায়নের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন।

উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক সালাউদ্দীন কাজলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. হাফিজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, কেডিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল বাসার শিপলু, উথলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোবারক সোহেল আহাম্মদ প্রদীপ, কবি ও সাহিত্যিক ডা. জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক কাদিমুল এহসান প্রমূখ।

বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকা আলম ও ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস মেধার যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন রাইসা আফরিন রীথি, সাদিকা আলম ও জান্নাতুল ফেরদৌস।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে কুষ্টিয়া সেন্ট্রাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মামুনু-অর- রশীদ, উথলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল মান্নান পিন্টু, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আসাদুর রহমান বিশ্বাস, অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আকরাম হোসেন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাবেক আঞ্চলিক পরিচালক হায়দার আলী, সেনেরহুদা জান্নাতুল খাদরা দাখিল মাদরাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবু জাফর, উথলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মাহফুজুর রহমান, সরজিৎ কুমার কর্মকার, সেলিম হোসেন, আলমগীর হোসেন, এনামুল হকসহ স্থানীয় সুধীমন্ডলী, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ হুমায়ুন কবিরের পক্ষ থেকে ৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের শেষে ফিতা কেটে নবনির্মিত ৪ তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. আলী আজগার টগর।




হরতাল-অবরোধে বাধাগ্রস্ত প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন

বাংলাদেশের অর্জনের মুকুটের সবচেয়ে মূল্যবান রত্নটি হচ্ছে কৃষিখাতের অবিস্মরণীয় অগ্রগতি। সারা বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বনির্ভর একটি দেশ। খাদ্যে স্বনির্ভরতার পাশাপাশি বাংলাদেশের মানুষকে পুষ্টি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত‘ করার ঘোষণা দিয়েছলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।

পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গিয়ে শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছন। ক্রমবর্ধমান মানুষের অতিরিক্ত চাহিদা মেটানোর জন্য দেশে মাংস উৎপাদন বাড়ানোর জন্য গরু মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রানীসম্পদ অধিদপ্তর কৃষকদের উৎসাহিত করছে, প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে গরু জবাই করার জন্য প্রাণিসম্পদ ও দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সরকার দেশের বিভিন্ন জেলায় আধুনিক কসাইখানা স্থাপন করছে।

কৃষকের খামারে বাণিজ্যিক ভাবে উৎপাদিত দুধ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও প্যাকেজিং করে বাজারজাত করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে কৃষকদের উৎসাহিত করার ব্যবস্থা রেখেছে সরকার। কিন্তু তারপরও প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকার নানান কারণের মধ্যে একটি বড় কারণ হল রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং সিন্ডিকেট।

দেশ যখন অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তখন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এবং সরকার বিরোধী মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেশকে অস্তিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে একের পর এক হরতাল অবরোধ দিয়ে দেশের অগ্রসরমান অর্থনীতিকে ধসিয়ে দেয়ার হীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ও অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবীর সময় সংবাদকে দেয়া এক বক্তব্যে বলেছেন, “২০১৩ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার ছিল ১১ লাখ কোটি টাকা। যা ২০২৩ সালে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ কোটি টাকা।

অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হরতালে দৈনিক ক্ষতির পরিমাণও বেড়েছে। বর্তমানে দেশে একদিনের হরতালে ক্ষতির পরিমাণ ৬ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা”। সরকার বিরোধীদের হরতাল-অবরোধে ‘সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, দিনমজুর ও এসএমই খাত।

সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, যা আমদানিকারক ও রপ্তানিকারক উভয়কেই ইতোমধ্যে সংকটজনক অর্থনৈতিক সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। শিশু ও যুবকদের শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।’

অর্থনীতিবিদরা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, সরকারবিরোধীদের বিক্ষোভ দেশের অর্থনীতিতেও আঘাত হেনেছে। কোভিড-১৯ বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়ানো অর্থনীতি এখন বৈদেশিক মুদ্র্রার ঘাটতি, টাকার মান ৩০ শতাংশের বেশি কমে যাওয়া, দুই অংকের মূল্যস্ফীতি, জ্বালানি ও শ্রমের উচ্চ মূল্যের সঙ্গে লড়াই করছে।

‘বৈশ্বিক অস্থিরতার যে প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে পড়েছে সেখান থেকে এখনও বাংলাদেশ বের হয়ে আসতে পারেনি। অন্যদিকে বাজারে মূল্যস্ফীতিও রয়েছে উচ্চমাত্রায়। এই অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মধ্যে হরতাল দেশের অর্থনীতিতে ভয়াবহ ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

রাজনীতি বিষয়ে বাংলাদেশি ইংরেজি ভাষার bdanalytica -এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধ থেকে জানা যায়, চলমান হরতালে ‘বাস এবং ট্রাকগুলোকে লক্ষ্য করে অন্তত ১১০টি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ফলে যোগাযোগ খাতে (ট্রান্সপোর্টেশনে) তৈরি হয়েছে কৃত্রিম অচলাবস্থা।

এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় মানুষ স্থানান্তরিত হতে পারছে না। মুখ থুবড়ে পড়ছে ব্যবসাসহ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানা কার্যক্রম। অর্থনৈগতিক গতিশীলতা ধরে রাখতে হরতাল উপেক্ষা করে কিছু মানুষ বের হলেও দুর্বৃত্তরা যখন বাসে আগুন দেয়া শুরু করলো, তখন জানমালের নিরাপত্তার জন্য মানুষ খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না, ব্যবসার জন্য মালামাল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে আসতে পারছে না। আতংকিত হয়ে পড়েছে মানুষ।

একান্ত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউই তেমন হরতালের দিনগুলোতে ঘরের বাইরে যাচ্ছে না। জীবন-জীবিকার তাগিদে হরতাল উপেক্ষা করে হাট-বাজার খোলা থাকলেও বাজারগুলোতে নেই আগের মতো মানুষের ভিড়।
হরতালে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা। ফলে গো-খাদ্য সহ সকল জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে।খামারিরাও খাদ্য ক্রয় করতে গিয়ে পড়ছেন বিপাকে। আবার পালিত গরু-ছাগল হাট-বাজারে নিয়ে গেলেও মিলছে না ক্রেতা। ফলে উভয় সংকটের মধ্য দিয়ে দিনানিপাত করছেন প্রান্তিক খামারিরা। অথচ কৃষি নির্ভর বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় এবং দেশের আপামর জনগোষ্ঠির পুষ্টি নিরাপত্তায় প্রাণিসম্পদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপিতে স্থিরমূল্যে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১.৯০%, প্রবৃদ্ধির হার ৩.০৪% এবং মোট কৃষিজ জিডিপি’তে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান ১৬.৫২%। তাছাড়া ২০২১-২২ অর্থ বছরে প্রাণিসম্পদ খাতে জিডিপির আকার ছিল ৬৭,১৮৯.০০ কোটি টাকা যা বিগত ২০২০-২১ অর্থ বছরের তুলনায় ১৬,৮৮৮.০০ কোটি টাকা বেশি (বিবিএস, ২০২২)।

২০২৩ সালে এসে বিরোধীদলের একের পর এক হরতাল অবরোধে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত জিডিপিতে অবদান রাখা এই খাতটি। প্রাণিসম্পদ খাতের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হলে রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহার করতে হবে। মানুষসহ সকল প্রাণীর খাদ্য/পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) দিনাজপুর-৫২০০।




দামুড়হুদায় কৃষি উপকরণ বিতরণ

দামুড়হুদার কোষাঘাটায় ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সদস্যদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সমন্বিত কৃষি ইউনিট পিকেএসএফের আর্থিক সহায়তায় উপকারভোগীদের মাঝে কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়।

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়নে কৃষি উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো হযরত আলী।

বেসরকারি সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কোষাঘাটাস্থ মিশ্র খামার প্রাঙ্গনে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মোঃ কিতাব আলী, ডাঃ এ এম এস সহীদ, কৃষিবিদ ফায়সাল মাহমুদ, ডাঃ এহতেশামুল হক, সহঃ প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হাসান রেজা ও সহঃ কৃষি কর্মকর্তা মোঃ বিপুল মিয়া।




চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ স্কাউটস চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভার আয়োজনে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে এই প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নিগার সিদ্দিক ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আবু নাসিরের সভাপতিত্বে প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ।

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল হাসান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক সফিকুল ইসলাম,চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বাংলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুল আজিজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ জাহিদুল হাসান।

এ সময়ে আরোও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের রোভার নেতা প্রতিনিধি ও বড়শলুয়া নিউ মডেল ডিগ্রী কলেজ রোভার স্কাউটস গ্রুপের ইউনিট লিডার আব্দুল মুকিত জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা জেলার রোভারের কোষাধ্যক্ষ ও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউটস গ্রুপের ইউনিট লিডার মাকসুদুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের সহকারী কমিশনার ও প্রাইম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট রোভার স্কাউটস গ্রুপের ইউনিট লিডার এমদাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ রোভার স্কাউট গ্রুপের ইউনিট লিডার আজিম হোসেন, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসা রোভার স্কাউটস গ্রুপের ইউনিট লিডার মুনজুরুল হক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগত রোভার স্কাউটস ইউনিট লিডার ও রোভার স্কাউটের সদস্যবৃন্দ।

প্রতিভা অন্বেষণ প্রতিযোগিতায় মোট ১১টি ইভেন্টে রোভার সদস্যরা অংশগ্রহণ করে।উক্ত প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা রোভারের রোভার নেতা প্রতিনিধি আব্দুল মুর্কিত জোয়ার্দার, জেলা রোভারের সহকারী কমিশনার এমদাদ হোসেন, দর্শনা ডিএস ফাজিল মাদ্রাসার ইউনিট লিডার মুনজুরুল হক। জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় উত্তীর্ণ রোভাররা বিভাগীয় পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব করবে