মেহেরপুরের শ্যামপুর ইউনিয়নে শহিদুল ইসলাম পেরেশানের গণসংযোগ

শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় রাখতে ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের উদ্যোগে গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার বিকেলে শ্যামপুর ইউনিয়নের নতুন মদনা ডাংগা বাজারে এই গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় গণসংযোগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘২০০১ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি জামায়াত জোট সরকার আমলে নির্যাতিত হয়েও যারা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলো, যাদের ছাড়া আওয়ামী লীগ কোন মিছিল মিটিং বের করতে পারতো না তারা আজ কোথায়? এর জবাব দিতে হবে। যে নেতার বাড়ি যেয়ে নেতা কর্মীদের ধাক্কা খেয়ে বের হয়ে আসতে হয় সে নেতাকে আমরা চাই না।’

প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন।

জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান বলেন, ‘আমি যখন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, তৎকালীন কলেজ ছাত্রলীগ ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলো মাছুদ খান লিংকন। তিনি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছিলেন। যেদিন তার জানাজা হয় সেদিন কতিপয় নেতার সাথে আমাদের নেতা লিংকনের জানাজায় না এসে এক কনসার্টে যোগ দিয়েছিলেন। এমন নেতা আমরা চাই না।

মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আতিক স্বপন সঞ্চালনায় শ্যামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চান্দু, মাগুড়ার যুবলীগ নেতা ও কুছন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাকি বিল্লা শান্টু, কুস্টিয়া পৌর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আশরাফুল আলম রুবেল, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সাজেদুর রহমান সাজু, মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, মেহেরপুর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ঐশী, ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনা পৌর মুক্তিযাদ্ধা সন্তান কমান্ডরের কমিটি গঠন

বাংলাদেশের বীর মুক্তিযাদ্ধা সন্তান কমান্ডের দর্শনা পৌর শাখা কমিটি ঘােষনা করা হয়েছে। এ কমিটিত কেরুজ চিনিকলের অবসরপ্রাপ্ত নিরাপত্তা ইন্সপেক্টর গিয়াসউদ্দিন পিনা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে আলমগীর রহমানকে।

আজ শনিবার সকাল ১০ টার দিকে কেরুজ ট্রনিং কমপ্লেক্স অনুষ্ঠিত সভায় এ কমিটির দুটি পদ নাম ঘোষনা করা হলেও বাকী ৪৯ জনর নাম ঘোষনা দেয়া হতে পারে আগামি ৭ দিনের মধ্য।

কমিটি গঠন ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, কেদ্রীয় মুক্তিযােদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মিজানুর রহমান। প্রধান বক্তা যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান আজাদ, বশির আহমদ, খুলনা বিভাগীয় সভাপতি নাজমুল সাকিব সিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক ফকির মােহাম্মদ আলী, সহসভাপতি রােকেয়া পারভিন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আহায়ক গরীব রুহানী মাসুম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, কেদ্রীয় কমিটির সহসভাপতি আবু ইউসুফ ব্যাপারী, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, মনজুরুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিনের সভাপতি মাহমুদুল হাসান ঝটু, নুসরাত জাহান, ছালাউদ্দিন প্রমুখ।

অন্যান্যর মধ্যে উপস্তিত ছিলেন, বীর মুক্তিযােদ্ধা আব্দুর রশিদ, সন্তান কমান্ডের নাজিম উদ্দিন, খবির উদ্দিন, বাবুল আক্তার, শওকত আলী ও মােহাম্মদ আলী। সভার সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা শাখার আহায়ক কামাল উদ্দিন আহমেদ সান্টু।
উপস্থাপনা করেন যুগ্নআহায়ক ইকবাল রেজা। পরে দর্শনা পৌর শাখার সভাপতি পদ গিয়াস উদ্দিন পিনা ও সাধারণ সম্পাদক আলমগীর রহমানের নাম ঘােষনা দেন কেদ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ। আগামী ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন হবে বলে জানান কামাল উদ্দিন আহমদ সান্টু। পরে একটি র‌্যালি বের করে কেরুজ আঙ্গিনা প্রদক্ষিন করেন।




দর্শনা দোকান মালিক সমিতির নির্বাচন কমিশন গঠন

দর্শনা রেলবাজার দোকান মালিক সমিতির নাম পরিবর্তন করে নতুনভাবে নামকরণ করা হয়েছে দর্শনা দোকান মালিক সমিতি। দর্শনা দোকান মালিক সমিতির সাধারণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত পরশু শুক্রবার সন্ধ্যায় দর্শনা রেলবাজাররে কাচামাল আড়ৎ পাট্রিত অনুষ্ঠিত এ সভায় অতিথি হিসবে উপস্তি ছিলেন, দোকান মালিক সমিতি সাবেক সভাপতি তোফাজ্জল হোসন, বিশিষ্ট সমাজ সেবক আকমত আলী, আশরাফুল হক উলুম, আব্দুস সালাম, সাংবাদিক হানিফ মন্ডল, হাজি হাফিজুল ইসলাম, খন্দকার জহিদুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ প্রমুখ।

সভাপতিত্ব করেন দোকান মালিক সমিতির সভাপতি টিপু সুলতান। উপস্থাপনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাবির হোসন মিকা। সেই সাথে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির নাম ঘােষনা করা হয়। নির্বাচন পরিচালনা পর্ষদের প্রধান, চুয়াডাঙ্গা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান। সদস্য হাজি আকমত আলী, গোলাম ফারুক আরিফ, আশরাফুল হক উলুম, মাও শফিউদ্দিন, হানিফ মন্ডল ও হাফিজুল ইসলাম।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রথম বৈঠকেই নির্বাচনী তফসিল ঘোষনা করেছে। কমিটির প্রধান আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত ঘােষিত তফসিলে জানা গেছে, গতকালেই সমিতি কর্তক প্রদেয় খসরা ভাটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে।

আগামীকাল ররিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্তÍ ভোটার তালিকায় অন্তভূক্তি ও ওয়ার্ড সংশোধনীয়। ৪ অক্টোবর চুডান্ত ভােটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। ৫ ও ৬ অক্টোবর প্রার্থীদের মধ্য মনোনয়নপত্র বিতরণ। ৭ অক্টাবর মনোনয়নপত্র জমা, পররে দিন মনোনয়নপত্র বাচাই, প্রার্থীতা বাতিলর উপর আপিল ও বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ। ৯ অক্টাবর প্রার্থীতা প্রত্যাহার, পররে চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রার্থীদর মধ্য প্রতিক বরাদ্দ দেয়া হবে। ২০ অক্টোবর সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্তবিরতিহীনভাবে দর্শনা ডিএস সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসা কেদ্র গোপন ব্যালাটের মাধ্যমে ভোট গ্রহন করা হবে।




দামুড়হুদায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

দামুড়হুদা জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আজ শনিবার সকাল  সাড়ে ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ের যোথ্য আয়োজনে দিবসটি উদযাপন করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতার সভাপতিত্বে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী সহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী। দামুড়হুদা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহানের সন্চালনায় এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান সহ স্থানীয় বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুলিশের আন্তঃইউনিট ফুটবল টুর্নামেন্ট; ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় জেলা পুলিশের আয়োজনে মিনিস্টার গ্রুপের সহায়তায় পুলিশ সুপার কাপ আন্তঃইউনিট ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩-এর ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার বিকাল চারটার সময় পুলিশ লাইন্স একাদশ বনাম পুলিশ অফিস একাদশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত খেলায় পুলিশ লাইন্স একাদশ ১-০ গোলে জয় লাভ করে।উক্ত আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এ সময় তিনি সফল ভাবে টুর্নামেন্ট শেষ করার জন্য এবং খেলাধুলার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেওয়ার জন্য পুলিশ সুপারকে ধন্যবাদ দেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মিসেস পুলিশ সুপার ও সভানেত্রী পুনাক ফরিদা ইয়াসমিন, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, সহ-সভানেত্রী (পুনাক) নাহিদা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দীন আল আজাদ পিপিএম সহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্স ও সদস্যবৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় কন্যাশিশু দিবস পালিত

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় শিশু কন্যা দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে দিবসটি পালিত হয়। দিবসে এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিলো “বিনিয়োগে অগ্রাধিকার, কন্যা শিশুর অধিকার।

দিবসটি উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। এ সময় তিনি বলেন, সারা বিশ্বেই নানা কারণে কন্যাশিশুরা বেশ অবহেলিত। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মর্যাদা, ভালোবাসা সব দিক থেকেই বলতে গেলে তারা বঞ্চিত। শুধু যে আমাদের দেশের চিত্র এমন তা কিন্তু নয়। সারা বিশ্বেই কোনো না কোনো জায়গায় প্রতি মুহূর্তে অবহেলার শিকার হচ্ছে কন্যাশিশু। পরিবার ছাড়াও সামাজিকভাবেও তারা হচ্ছে বিভিন্নভাবে নির্যাতিত। সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রসহ সমস্ত স্থানে নারী-পুরুষের ভেদাভেদ দূরীকরণ হলো কন্যাশিশু দিবস অন্যতম উদ্দেশ্য। গৃহ-পরিবেশে একজন পুত্রসন্তানকে যেভাবে গুরুত্ব সহকারে আদর-যত্নে লালনপালন, শিক্ষার প্রতি যেভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, সেভাবেই একজন কন্যাশিশুর মানসিক নিপীড়নের হাত থেকে মুক্ত করার কথাই উচ্চারিত হয়ে থাকে এ দিবসে। এ সময় তিনি সকল শিশু কন্যাকে এই দিবসের শুভেচ্ছা জানান।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মোঃ নাজমুল হামিদ রেজা,স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক( ভা:) মাকসুরা জান্নাত। এসময় চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন মহিলা সমিতির সদস্যদের মাঝে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতির ২০২২-২৩ অর্থবছরের অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়।




ভাবমূর্তি বা ইমেজ

ছোটবেলায় পাঠ্যপুস্তকে একটা গল্প পড়ানো হতো। গল্পটা আবারও বলছি—বাবা তার পাঁচ সন্তানদের ডাকলেন। সবাইকে একটা করে লাঠি দিয়ে তা ভাঙতে বললেন। পাঁচ সন্তানই একটা করে লাঠি অনায়াসেই ভেঙে ফেলল। এইবার আরও পাঁচটা লাঠি একসাথে করে পাঁচজনকে দিলেন। কেউই জোটবদ্ধ লাঠি ভাঙতে পারল না। তখন বাবা সন্তানদের বললেন, যদি সবাই নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করো, তবে কখনো শান্তি আসবে না। সবাই মিলে একসাথে থাকলে শান্তি আসবে।

এই গল্পটা এখন বাংলাদেশের ক্ষেত্রে খুব প্রাসঙ্গিক। যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক স্যাংশন দিচ্ছে বাংলাদেশকে। সময়টা সংকটপূর্ণ। তাতে সার্বিকভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। অথচ এই সংকটে দেশের সব রাজনৈতিক দল একসাথে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে পারতো। তা না হয়ে হচ্ছে তার উল্টো। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে বিএনপি বলছে, ইতিবাচক। কীভাবে তা ইতিবাচক হয়?

বিএনপির রাজনৈতিক নেতারা তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিকে সাধুবাদ জানাচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এতে বরং গল্পের মতো নিজেদের বিভেদ স্পষ্ট হয়ে উঠছে বাইরের দেশের কাছে। বিএনপি নেতারা ভাবছে, আজকে তারা ক্ষমতায় নেই দেখে বুঝি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি বা নিষেধাজ্ঞা ভালো হয়েছে। কিন্তু দিনের পরেই আসে রাত। আজকে যুক্তরাষ্ট্র যে নিষেধাজ্ঞা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে দিচ্ছে বলে বিএনপি নেতারা মনে করেছেন কাল সেই নিষেধাজ্ঞা দেশের যেকোনো রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রে হতে পারে। তখন তারা কী বলবে?

যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বেড়ায়। এটাই তাদের কাজ। বাংলাদেশ ছাড়াও যে ৫ দেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র—নাইজেরিয়া, আফগানিস্তান, হাইতি, সুদান ও নিকারাগুয়া। তারও আগে কম্বোডিয়া, আইভোরি কোস্ট, ইরান, উত্তর কোরিয়া, চীন, রাশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয়।

আরও মজার বিষয় হলো, যুক্তরাষ্ট্র যেসব কারণে বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় সেইসব সংকট যুক্তরাষ্ট্রেই বিদ্যমান। যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি মূলত বিনিয়োগকারী, ব্যাংকার, শিল্পপতি ও অস্ত্র ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। যেখানে নৈতিকতা, স্বাধীনতা বা গণতন্ত্রের কোনো স্থান নেই। অথচ তারা বিভিন্ন দেশে এইসব সংকট খুঁজে খুঁজে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

প্রশ্ন হলো, সংকটে কেন বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো জোটবদ্ধ হয়ে থাকে না? তার বড় কারণ হলো, পরশ্রীকাতরতা। অর্থাৎ পরের শ্রী বা উন্নতি দেখে যখন নিজের মধ্যে হিংসা জেগে ওঠে। বঙ্গবন্ধু তার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’তে পরশ্রীকাতরতার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

বিএনপি জামায়াত জোট কোনোভাবেই অন্যের শ্রী বা ভালো দেখতে চাইছে না। তাই তারা ভাবছে যেহেতু তারা এখন ক্ষমতায় নেই তাই যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞা যৌক্তিক। কিন্তু তারা এটা ভাবছে না, যুক্তরাষ্ট্রের কাজই হলো সব দেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বেড়ানো। কথায় আছে না, ফিতা ফিতা কাটতে কাটতে মানুষ খুন করা কারও কারও অভ্যাস হয়ে যায়। তারা আজ নিষেধাজ্ঞা যে অভ্যাস তৈরি করছে, সেই নিষেধাজ্ঞা কাল দেশের যেকোনো দল, রাজনৈতিক নেতা বা গণমাধ্যমের ওপর আসবে। এতে করে দেশের ভাবমূর্তি যে ক্ষুণ্ন হচ্ছে তা বিএনপি জামায়াত না বুঝলে অন্যান্য দেশ ঠিকই বুঝেছে।

আরেকটা বড় বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে উপেক্ষা করা সম্ভব না যুক্তরাষ্ট্রের। উপেক্ষা যেহেতু করতে পারছে না তাই নতুন নতুন ধারা বের করে সেইসব ধারায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতি, অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করায় তাদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আর যুক্তরাষ্ট্রের এই লক্ষ্য পূরণে বাংলাদেশের কিছু রাজনৈতিক দল যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। খালেদা জিয়া ২০১৩ সালের জানুয়ারির ৩০ তারিখে ওয়াশিংটন টাইমস পত্রিকায় ‘ZIA: The thankless role in saving democracy in Bangladesh’ শিরোনামে যে কলাম লেখেন সেই লেখা পড়লে রাজনীতি না জানা মানুষও বুঝতে পারবেন বিএনপি কতটা সুনিপুণভাবে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে মাঠে নেমেছে।

এই কলামে খালেদা জিয়া উল্লেখ করেন, বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় যাওয়া ভ্রমণকারীদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়াসহ অনেক বিষয়। সেই আহ্বানের পূর্ণরূপ দেখছি আজ।

দেশের সংকটে দেশের ভেতরে কথা বলার সুযোগ আছে, কিন্তু দেশের অর্থনীতি বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দেওয়ার আহ্বান কোনোভাবেই কাম্য নয়। ইতিহাসের পুরোনো সেই কথা মনে পড়ছে বারবার, বঙ্গবন্ধুর সপরিবারের হত্যার পর কর্নেল (অব.) শাফায়েত জামিল জিয়াউর রহমানের কাছে ছুটে যান। ঘটনা শোনার পর জিয়া বললেন, ‘সো হোয়াট, প্রেসিডেন্ট ইজ কিলড; ভাইস প্রেসিডেন্ট ইজ দেয়ার, আপ হোল্ড দ্য কনস্টিটিউশন।’

এই দলের সৃষ্টি যখন এইরকম মানসিকতা দিয়ে শুরু তখন সেই দলের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই নিষেধাজ্ঞায় সব দলের উচিত ছিল জোটবদ্ধ হয়ে তা প্রতিহত করা। না হয়, বাইরের দেশ এসে আমাদের অনেক বিষয়ের স্বাধীনতা হরণ করবে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




আন্তর্জাতিক ফোরামের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা এখন বাংলাদেশের আছে

বাংলাদেশের বিশ্বঅঙ্গনে যে পরিচিতি বেড়েছে তাতে করে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে দায়িত্ব নেওয়া স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক ফোরামের সদস্য হওয়ার যোগ্যতা এখন বাংলাদেশের আছে। বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে বিভিন্ন ফোরামে তাদের সদস্য হওয়ার সুযোগ বেড়েছে এবং এর পিছনে শক্তিশালী ভূমিকা রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশসহ ১১টি দেশ ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে দুই বছরের জন্য আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর বোর্ড অব গভর্নরসের সদস্য নির্বাচিত হয়। এই বোর্ডের মোট সদস্য দেশের সংখ্যা ৩৫।

সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার ভিয়েনায় আইএইএ-এর ৬৭তম সাধারণ সম্মেলনের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের চতুর্থ দিনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সদস্য নির্বাচিত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া, আর্মেনিয়া, বাংলাদেশ, বুরকিনা ফাসো, ইকুয়েডর, ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, প্যারাগুয়ে, স্পেন ও ইউক্রেন।

আইএইএ-এর কার্যসূচির উদ্দেশ্য হল বিশ্বব্যাপী পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারকে উৎসাহিত করা ও পারমাণবিক প্রযুক্তির অপব্যবহার রোধ। এছাড়া পারমাণবিক নিরাপত্তা এবং পারমাণবিক নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন মানদণ্ড প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করাও আইএইএ-এর উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশ এর আগে নানা ধরনের ফোরামে যুক্ত হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ মর্যাদা সম্পন্ন আন্তর্জাতিক ‘বিশ্ব দক্ষতা’ ফোরামের সদস্য হয়। যুবকদের দক্ষতা উন্নয়নে এ ফোরাম কাজ করে।
নেদারল্যান্ডের আমস্টারডামে বিশ্ব দক্ষতা সম্মেলন ২০১৮-তে বাংলাদেশকে ৭৯তম দেশ হিসেবে এ স্বীকৃতি দেয়া হয়। বিশ্বের ৭৯তম সদস্য বিশিষ্ট দেশের এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান ৪ সদস্য বিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বাংলাদেশের বিশ্বঅঙ্গনে ইতিবাচক ইমেজ গড়ে ওঠার পিছনে যে নামটি বারবারই আসে তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফরচুনের বৈশ্বিক নেতা ২০১৬ সালে ফরচুন ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালী নেতাদের তালিকায় পান তিনি। সেবছর রাজনীতি ব্যবসা ও অন্যান্য কর্মকাণ্ড দিক থেকে সেরা ৫০ নেতার তালিকা প্রকাশ করা হয়, যেখানে প্রধানমন্ত্রী ১০ম স্থান পান। তিনি ওআইসি অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে একমাত্র নারী যিনি তালিকায় স্থান পান।

২০২৩ সালে বাংলাদেশের আরও যুক্তরা লক্ষ্যণীয়। এবার কেবল এই দায়িত্ব নয়, জাতিসংঘের স্থানীয় ও আঞ্চলিক সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে মনোনীত হয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই মনোনয়নের বিষয়টি মেয়র আতিককে জানানো হয়।
এর আগে ২০২১ সালে জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন, ইউনিসেফ ও ইউএন উইমেনের নির্বাহী বোর্ডে নির্বাচিত হয় বাংলাদেশ। জাতিসংঘের মাদকদ্রব্য বিষয়ক কমিশন (সিএনডি) ৫৩ সদস্যের একটি সংস্থা। কমিশনটি বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ, সরবরাহ ও চাহিদা হ্রাস বিবেচনা এবং রেজুলেশন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে এ বিষয়ক সমস্যার সমাধানে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। এর সদরদপ্তর ভিয়েনায় অবস্থিত।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ মনে করেন, বাংলাদেশের বিশ্বঅঙ্গনে যে পরিচিতি বেড়েছে তাতে করে নানা ফোরামে দায়িত্ব নেওয়া, সদস্য হওয়াটাই স্বাভাবিক। তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবে দেশ হিসেবে মর্যাদার জায়গায় পৌঁছেছে। বাণিজ্য সম্পর্ক বিভিন্ন দেশের সাথে বেড়েছে। ফলে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফোরামের সদস্য হওয়া অস্বাভাবিক না। তার এখন যে এগিয়ে যাওয়া তাতে করে বাংলাদেশ চাইবে বিভিন্ন ফোরামে যেনো থাকা যায়। বর্তমান বিশ্বকাঠামোতে যতবেশি বন্ধুরাষ্ট্র হয় তাতে বাংলাদেশের সুবিধাই হবে।




আলমডাঙ্গায় চাঁদা না দেওয়ায় ব্যবসায়ীর বাড়িতে বোমা হামলা, গ্রেপ্তার ৩

আলমডাঙ্গার ভোগাইল বগাদি পান ব্যবসায়ীর নিকট ১ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে বাড়িতে বোমা হামলাকারী তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার থানাপুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদি গ্রামের আব্দুল্লাহ’র ছেলে রকিবুল ইসলাম (৩৬), একই ইউনিয়নের সাহেবপুর গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে রাজ্জাক আলী (৪৩) ও মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার সাহারবাটী এলাকার মৃত বিল্লাল হোসেনের ছেলে স্বপন আলী (৩৩)। আজ শনিবার দিবাগত রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

পুলিশ জানায়, উপজেলা ভাংবাড়িয়া ইউনিয়নের ভোগাইল বগাদি গ্রামের মিন্টু হোসেন তিনি একজন পান ব্যবসায়ী। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে বেশ কয়েকদিন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিল কে বা কারা। উক্ত চাঁদার টাকা না পেয়ে গত ২৮শে সেপ্টেম্বর রাতে দুস্কৃতিকারীরা মিন্টুর বাড়িতে বোমা হামলা করে। ঘটনার পর থেকে মিন্টু ও তার পরিবার ভিতস্থ হয়ে পড়ে। অজ্ঞাত ব্যক্তি পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোনের মাধ্যমে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশকে অবগত করেন। গতকাঅল শুক্রবার রাতে চাঁদা দাবি ও বোমা হামলা সংক্রান্ত একটি মামলা আলমডাঙ্গা থানায় রুজু হয় ।

আরো জানান, মামলার পরপরই পুলিশ তদন্ত শুরু করে । তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ৬ ঘন্টার ব্যবধানে বোমা হামলাকারী তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাদের চুয়াডাঙ্গা কোর্টে প্রেরণ করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে চাঁদা ও বোমা হামলার ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়। ওই রাতেই পুলিশের এক্সপার্ট অফিসারেরা তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার ৬ ঘন্টার মধ্যে তিনজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেন। তারা চুয়াডাঙ্গা আদালতের বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট স্বীকারোক্তি দিয়েছে।




আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়নে কর্মী সভায় এমপি ছেলুন 

আলমডাঙ্গার জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে ঘোষবিলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মী সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,জামজামি ইউনিয়নের এই কর্মি সমাবেশ আজকে জনসভায় রুপ নিয়েছে। আমি খুবই খুশি হয়েছি। আপনারা সকলেই যদি ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে থাকেন তাহলে সকল অপশক্তিকে মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। আজকে দেশে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে,সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আবারও নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীকে ক্ষমতায় আনতে হবে।

আমরা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছি। আজকে বিএনপি জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তারা ক্ষমতায় থেকে জনগণের জন্য কিছুই করেনি। বিএনপি ওয়ালাদের বলি অতো দাপিয়ে না বেড়িয়ে নির্বাচনে আসেন। জনগণ যদি আপনাদের ভোট দেয় আমরা অবশ্যই ক্ষমতা হস্তান্তর করে চলে যাবো। আপনারা তো নির্বাচনে আসবেন না, কারণ আপনারা জনগণের জন্য কিছুই করেন নি।

তিনি বলেন,উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীকে ক্ষমতায় আনতে হবে।সেজন্য প্রত্যেক নেতাকর্মিকে মানুষের কাছে গিয়ে নৌকায় ভোট চাইতে হবে।

জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদার আলীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আরশাদ উদ্দিন চন্দন,,চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের,জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক আরেফিন আলম রঞ্জু,জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশীদ,জামজামি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহাব উদ্দিন।

জামজামি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ডেভিড মেম্বারের উপস্থাপনায় কর্মি সভায় বক্তব্য রাখেন জামজামি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাবলু চৌধুরী, আওয়ামীলীগ নেতা শাহারুজ্জামান শাহানুর,শহিদুল ইসলাম,রতন শাহ,লাল্টু রহমান,রবিউল ইসলাম,শ্যামল কুমার, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, মাসুদ রানা তুহিন,আলমডাঙ্গার ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হোসাইন বাদসা,হাসান, সাকিব, রঞ্জু প্রমুখ