দামুড়হুদায় প্রধানমন্ত্রীর ৭৭তম জন্মদিন পালিত

দামুড়হুদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ শুক্রবার বিকেলে দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু। শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন যুবলীগ নেতা ফজলুর রহমান ফজু।

সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লল্টু, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. হামিদুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল আলম ঝন্টু, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক বাংলাদেশ সংবাদপত্র পরিষদের মহাসচিব মানবাধিকার কর্মী নুর হাকিম, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি হাজি সহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. রফিকুল আলম রান্টু, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মমিন মাস্টার, জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব, নাটুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করীম, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কাফি উদ্দীন টুটুল, উপজেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি হাজি আব্দুল কাদির, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাড. ইউনুস আলী।

দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক চুয়াডাঙ্গা জেলা জজকোর্টের এপিপি অ্যাড. আবু তালেবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল মালেক ভূইয়া, সরোয়ার সিদ্দিক মামুন, হাফিজুর রহমান, প্রজন্মলীগ নেতা হাসান আল বাখার ডলার, আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহীন মোল্লা। দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক বুলবুল আহমেদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটানা ১৫ বছর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। এই ১৫ বছরে দেশের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যার একমাত্র দাবীদার বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। কোন এমপি নয়। পদ্মা সেতু, বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, উড়াল সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পায়রা সমুদ্র বন্দর আজ দৃশ্যমান। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নিরলস পরিশ্রমে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। সেই প্রাণপ্রিয় নেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিতর্কিত কাউকে এবার মনোনয়ন দেয়া হবেনা। নেত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বক্তারা আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে এবার খাজিনদার পাল্টাতে হবে। নেত্রীর প্রতি আমাদের একটাই অনুরোধ কোন রাজাকার পরিবারের কাউকে যেন নমিনেশন দেয়া না হয়। একজন পরিচ্ছন্ন, ত্যাগী ও আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত ক্লিন ইমেজের ব্যাক্তিকে নমিনেশন দিবেন। ইনশাআল্লাহ, আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে সক্ষম হব।




মাথার ওপর একখণ্ড নিশ্চিত নিরাপত্তার নাম শেখ হাসিনা

বীর নিবাসের চাবি পেয়ে কাঁদছিলেন নড়াইলের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সবুর। লোহাগড়া উপজেলার কুমড়ী গ্রামের বসিন্দা তিনি। এখন তাঁর বয়স ৭৫এর বেশি। এই কান্না ছিল আনন্দের। তিনি বলছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের পর জীবনের ঘানি টানতে গিয়ে ছেলেমেয়েদের জন্যে মাথার নিরাপদ আশ্রয় বানিয়ে দিতে পারেননি। আজ বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ তাঁর অসামপ্ত কাজটি করে দিলেন। শেষ জীবনে এমন নিরাপত্তা পেয়ে তিনি তাঁর পরিবার অভিভূত।
ওই দিনের অনুষ্ঠানেই শেখ হাসিনা সারাদেশে প্রায় পাঁচশ’ বীর নিবাসের চাবি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। এরইমধ্যে পাঁচ জেলায় পাঁচ হাজার বীর মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে চাবি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী। কাজ চলছে আরও ২৫ হাজার বীর নিবাস তৈরির। সারাদেশে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য এরকম ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস তৈরি করছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এটা মূলত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্যে শেখ হাসিনার বিশেষ আবাসন প্রকল্প।

এই প্রকল্পের প্রতিটি বাড়ির আয়তন ৭৩২ বর্গফুট। একতলা বাড়িতে দুটি শেবার ঘর একটি বসার ঘর , একটি খাওয়ার ঘর, একটি রান্নাঘর, একটি প্রশস্ত বারান্দা ও দুটি শৌচাগার থাকছে। প্রতিটি বাড়িতে থাকছে একটি উঠান, একটি নলকূপ, গবাদি পশু-হাঁস-মুরগি পালনের আলাদা ব্যবস্থা। প্রতিটি বাড়ি তৈরি করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা।

মুক্তিযোদ্ধাদের এই নিরাপদ আবাসনের মত সারাদেশের গ্রাম গঞ্জ শহরে নগরে চলছে মানুষ নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার কর্মযজ্ঞ। এখানে প্রান্তীক ভূমিহীন মানুষ রয়েছেন, রয়েছেন ভিভিন্ন শ্রেণি পেশার কম আয়ের মানুষ। যার যেমন আয় তার জন্যে তেমন করে ভাবা হয়েছে এই প্রকল্পে। বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় এসেছেন দেশের একজন মানুষও নিরাশ্রয় থাকবে না।

আশ্রয়হীন মানুষের মাথার ওপর নিরাপদ আশ্রয় দেয়ার এই চিন্তা শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চরপোড়াগাছা গ্রামে প্রথম ভূমিহীন-গৃহহীন, অসহায় ছিন্নমূল মানুষের আশ্রয়ণ শুরু করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার দীর্ঘ ২১ বছর পর আবার পরিকল্পিতভাবে মানুষের আবাসনের কাজ শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।

১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর বঙ্গবন্ধুর জনবান্ধব ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের আলোকে তাঁর ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মডেল’ সামনে আনেন। পিছিয়ে পড়া ছিন্নমূল মানুষকে মূলধারায় একে এক যুক্ত করতে থাকেন। ১৯৯৭ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা কক্সবাজার জেলার সেন্টমার্টিনে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন। একই বছর তিনি সারা দেশের গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষের পুনর্বাসনের জন্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে শুরু করেন “আশ্রয়ণ প্রকল্প”।

১৯৯৭ সালে “আশ্রয়ণ প্রকল্প” নেয়ার আগেই ১৯৯৬ সালে বস্তিবাসী,হরিজন ও দলিত শ্রেনির মানুষের জন্য ভাসানটেকে ফ্ল্যাট নির্মাণ শুরু করেন। পরে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের অব্যবস্থাপনায় হারিয়ে যায় সেই প্রকল্প। ২০০৯ সালে সরকারে এসে শেখ হাসিনা আবার নতুন ভাবে সেই কাজ শুরু করেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী ২০২৩ পর্যন্ত ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৪৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাথা গোজার ঠাঁই হয়েছে। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত ২১১টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন মুক্ত হয়েছে। পূর্ণাঙ্গভাবে গৃহহীন-ভূমিহীন হয়েছে নয়টি জেলা ।

গ্রাম শুধু নয় নগরে বাস করা প্রান্তিক মানুষের আবাসনের কথা ভেবেছেন শেখ হাসিনা। শহরের বস্তিবাসীদের থাকার সুবিধার জন্যে ২০২১ সালে মিরপুরে ৩০০টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট উদ্বোধন ও হস্তান্তর করেন তিনি। নিয়ম অনুযায়ী মাত্র সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়ায় অত্যাধুনিক এসব ফ্ল্যাট বরাদ্দ পান বস্তিবাসী। এ প্রকল্পে প্রাথমিকভাবে ঢাকায় ১০০১ টি ভাড়াভিত্তিক ফ্ল্যাট নির্মাণ চলছে।

অনগ্রসর দলিত-হরিজন-বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে চলছে আবাসন কর্মসূচি। ২০১২-২০১৩ অর্থ বছরে পাইলট কর্মসূচির মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু হয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, নওগাঁ, যশোর ,বগুড়া এবং হবিগঞ্জে। পরে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে নতুন ১৪ জেলাসহ মোট ২১টি জেলায় এ কর্মসূচির বাস্তবায়ন শুরু হয়। এরই মধ্যে সব জেলায় ধারাবাহিকভাবে শুরু হয় এ কর্মসূচি।

আবাসনের আ্ওতায় আনা হয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষদেরও। যাদের ভূমির কোন অধিকার কিংবা মাথা গোঁজার ঠাঁই কখনও হয়নি। তাদের কথ্ওা ভাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সমতলের বাসিন্দা সাড়ে তিন হাজার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী পরিবারকে দেয়া হয় আধাপাকা ঘর।

সব শেষ সাধারণ পেশাজীবীদের জন্যে ভাবতে শুরু করেছেন শেখ হাসিনা। শুরুতেই বর্তমান সরকার সাংবাদিকদের আবাসনের বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন। এখন সাংবাদিকরা চাইলে সহজ কিস্তিতে সরকারি ফ্ল্যাট কিনতে পারবেন। প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সাংবাদিকতায় সরকারি চাকরির মত অবসর ভাতার ব্যবস্থা নেই। যে কারণে চাকরি জীবনের শেষে তাদের আবাসন নিশ্চিত করতেই প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ।

এই আবাসন প্রকল্পগুলোতে মানুষকে শুধু আশ্রয় দিয়ে সরকার দায়িত্ব শেষ করেছে এমন নয়। কয়েকটি বিশেষ ব্যবস্থাপনা এই কাজের সঙ্গে নতুন মাত্রা যুক্ত করেছে। যমেন নারীর ক্ষমতায়ন। আশ্রয়ণ প্রকল্পে স্বামী এবং স্ত্রী উভয়কেই জমির মালিকানার গ্যারান্টি দেয় হয়। যা কেবল একজন পুরুষ এবং তার পরিবারকে মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার সুযোগই দেয় না বরং নারীর ক্ষমতায়নের একটি বিরল উদাহরণও সৃষ্টি করে।

আশ্রয়ণের আওতায় এসে মানুষের জীবন যাপন হয়েছে পরিকল্পিত। কারণ সেখানে ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্নমূল অসহায় দরিদ্র মানুষকে প্রশিক্ষণ ও ঋণ দিয়ে জীবিকা নির্বাহের সক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আয়বর্ধক কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের দারিদ্র্য দূর করার চেষ্টা চলছে। গৃহহীন মানুষের আর্থ-সামাজিক মর্যাদা বেড়েছে। তারা সমাজে একীভূত হতে পারছে। তাদের সম্মানজনক জীবনযাত্রা এবং সামাজিক অবস্থান প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সর্বোপরি বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে গৃহায়ন কার্যক্রম। শুধু গৃহ নির্মাণের ফলে মানুষের জীবনের টেকসই উন্নয়নের নানামুখী লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। কারণ গৃহায়নের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষা, স্বাস্থ্য,নিরাপত্তা, ক্ষমতায়ন, নারীর অধিকার প্রাপ্তি সম্পৃক্ত। তাই অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বাংলাদেশের সমাজ ব্যবস্থায় নানা ইতিবাচক বদল এরইমধ্যে সবার চোখে পড়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের এই আবাসনের উদ্যোগের তথ্য বিশ্বের অনেক দেশের কাছে একটি একটি অনন্য উদ্যোগ। কারণ পড়া মানুষের সাহায্যে নানা দেশে নানা উদ্যোগ থাকলেও সরকারিভাবে বাড়ি নির্মাণ করে ঠিকানাহীন মানুষকে ঠিকানা দেয়ার এমন নজির সাধারণত দেখা যায়নি।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

করোনা ভাইরাস সৃষ্ট বৈশ্বিক মহামারিতে প্রতিটি দেশের অর্থনীতি ও জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। সাথে সৃষ্টি হয়েছিল ভয়, সংক্রমণ ও মৃত্যুর সুদীর্ঘ তালিকা। দুই বছরের মত মানুষ ছিল ঘরের মধ্যে বন্দি। ঘরের মধ্যে বন্দি থেকে আরও ভয়াবহ ও দীর্ঘ হয়েছিল প্রতিটি দিন প্রতিটি ক্ষণ।

যখন বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ উন্নত বিশ্বে আবিস্কৃত প্রতিষেধক তাদের নিজেদেরকে সংক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য কিনতে ও ব্যবহার করতে পারছে না। তখন বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বলিষ্ট ভূমিকা রেখে (আবিস্কৃত টিকার মেধাস্বত্ববিহীন করার প্রস্তাব দিয়ে অনুমোদন করিয়ে) সেই বৈশ্বিক মহামারি থেকে বাংলাদেশের মানুষদেরকে বাঁচানোর জন্য সংগ্রহ করেছেন বিভিন্ন দেশের আটটি ভ্যাক্সিন।

যেখানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক সমীক্ষায় বলা হয়েছিল, কয়েক লক্ষ মানুষ মারা যেতে পারে বাংলাদেশে। সেই টিকা কিনে বিনা মূল্যে প্রয়োগ করে নিরাপদ স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করেছিলেন এবং বাঁচিয়েছিলেন লক্ষ মানুষকে প্রাণ। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে প্রণোদনা দিয়ে অর্থনীতিকে করেছিলেন সচল। তিনি স্বাস্থ্য সেবা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে জাতীয় পরামর্শ কমিটি গঠন করেছিলেন এবং সেইসাথে অধিদপ্তর ভিত্তিক কিছু কমিটিও গঠিত হয়, যেখানে বিশেষজ্ঞ সদস্যরা সঠিক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগকে এগিয়ে নিয়ে নিশ্চিত করেছিলেন মানুষের জীবনের সুরক্ষা। বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে সৃষ্টি করেছিল জনসচেতনতা।

তাঁর নির্দেশে তৈরি জাতীয় পরামর্শ কমিটি ও অধিদপ্তর ভিত্তিক কমিটিগুলো মহামারির শুরুতেই কোভিড রোগী সনাক্তকরণে ব্যবহৃত কিট, পিপিই, অক্সিজেন ও মেশিনপত্র আমদানিতে শুক্ল মওকুফ করে মানুষের ব্যবহারের সুবিধা করে দিয়েছিল। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অধীনে আমদানি অনুমোদন, তৈরি, সরবরাহ ও ব্যবহার নিশ্চিত করেছে সেই সময়ের জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় ওষুধসমূহের। যার ফলে স্বল্প ব্যয়ে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত সকল কোভিড রোগী সনাক্ত করা, আইসোলেশনে রাখা ও চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছিল।

প্রয়োজন অনুযায়ী কোভিড-১৯ রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা সুনিশ্চিত করতে নতুন নতুন বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিশেষ প্রক্রিয়ায় নতুন চিৎিসক, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মী নিয়োগের ব্যবস্থা করেছিলেন। জটিল রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদান করার জন্য জেলা পর্যায়ের হাসপাতালগুলোতে আইসিইউ শয্যার ব্যবস্থাও নিশ্চিত করেছিলেন। কোভিড রোগীদের অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য প্রতিবেশী দেশ থেকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন আমদানিও করেছিলেন।

শুধু তাই নয়, হাসপাতালে করোনা রোগীদের স্বাস্থ্য সেবা যাতে ব্যঘাত না ঘটে সেজন্য চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্য কর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বিশেষ প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছিলেন। এবং চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপদ রাখতে তাদেরকে হোটেলে রেখে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রেখেছিলেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বলিষ্ট নেতৃত্বে সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে যে অবদান রেখেছিলেন তার সুফল পেয়েছিল বাংলাদেশ। অর্থনীতিকে রাখতে পেরেছিলেন সচল। তাঁর শক্তিশালী নেতৃত্ব ও সর্বক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি পূর্ণ মনোভাব সাধারণ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন আস্থার ও ভরষার আশ্রয়স্থল।

লেখক: ডিন, ফার্মেসি অনুষদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।




চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের ১৫০৬তম পদধ্বনি অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের নিয়মিত সাপ্তাহিক সাহিত্য আসর পদধ্বনি -১৫০৬ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।  আজ শুক্রবার বিকাল পাঁচটার সময় শহীদ আলাউল হলে চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সাপ্তাহিক পদধ্বনি অনুষ্ঠিত হয় ।

১৫০৬ তম এই আসরে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি নজমুল হেলাল। স্বরচিত লেখা পাঠ করেন গোলাম কবীর মুকুল, আবু নাসিফ খলিল, হুমায়ুন কবীর, বনলতা, সুমন ইকবাল,নাইমুর রহমান,জিল্লুর রহমান রুবেল,আনছার আলী,শহিদুল ইসলাম,সুমন মালিক,সজীব হোসেন,ডা.তোফাজ্জল হোসেন,কবি নজমুল হেলাল প্রমুখ। স্বরচিত লেখার উপর বিশদভাবে আলোচনা করেন গোলাম কবীর মুকুল, আনছার আলী, আবু নাসিফ খলিল এবং হুমায়ুন কবীর। চিরায়ত সাহিত্য থেকে কবিতা পাঠ এবং গান পরিবেশন করেন চুয়াডাঙ্গা টেকনিক্যাল স্কুল এ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ইনস্ট্রাক্টর তপন কুমার পাল ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন চুয়াডাঙ্গা সাহিত্য পরিষদের সহ সাধারণ সম্পাদক সুমন ইকবাল।অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলকে অভিনন্দন জানিয়ে সভাপতি অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।




ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণের সমাপনী

‘নারীদের আত্মরক্ষার্থে কারাতে হোক অন্যতম হাতিয়ার’ এ শ্লোগানকে সামনে নিয়ে ঝিনাইদহে ২ দিন ব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণ শুরু হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সোতোকান কারাতে দো ঝিনাইদহ’র উদ্যোগে এ প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে আজ শুক্রবার বিকালে বেল্ট প্রদানের মধ্যদিয়ে প্রশিক্ষণের সমাপ্তি ঘোষণা কর হয়।

সোতোকান কারাতে দো’র পরিচালক কাজী আলী আহম্মেদ লিকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ক্রীড়া অফিসার মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, ক্রীড়া সংগঠক জয়নাল আবেদীন, সোতোকান কারাতে দো’র পরিচালক মাহফুজুর রহমান বিপ্লব। ২ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে আত্মরক্ষার নানা কৌশল শেখান জাতীয় কারাতে প্রশিক্ষক জসিম উদ্দিনসহ স্থানীয় প্রশিক্ষকবৃন্দ।

প্রশিক্ষণ শেষে শুক্রবার বিকালে পরীক্ষার মাধ্যমে ৩৫ জন প্রশিক্ষনার্থীকে বিভিন্ন প্রকার বেল্ট প্রদান করা হয়। এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদের রক্ষার পাশাপাশি আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠবে বলে আশা করেন অতিথি ও আয়োজকরা।




কোটচাঁদপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে সাবেক সংসদ সদস্য নেওয়াজ মতবিনিময়

কোটচাঁদপুরের গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন,ঝিনাইদহ -৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী-যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যঃ নবী নেওয়াজ। আজ শুক্রবার (২৯-০৯-২৩) দুপুরে স্থানীয় পাঠাগারে এ সভা করেন তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,গনমাধ্যমকর্মী অশোক দে,কাজী মৃদুল,নজরুল ইসলাম, কামাল হাওলাদার, সুব্রত কুমার,আব্দুল্লাহ বাশার,মঈন উদ্দিন, রেজাউল ইসলাম।

মতবিনিময় সভায় সংসদ সদস্য তুলে ধরেন, ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত উন্নয়নের কিছু চিত্র। যার মধ্যে ছিল,দুই উপজেলায় এলজিইডির অধীনে ১৫২ কিমি হেরিং ভাঙ্গা ও কাঁচা নতুন রাস্তা পিচ করন,১৪৮ কিলোমিটার রাস্তার রক্ষণা-বেক্ষনের কাজ,জেলা পরিষদের মাধ্যমে মসজিদ, মন্দির, ঈদগাহ ও কবরস্থান সহ সামাজিক প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে দেয়া হয়েছিল ৫,২০,০০,০০০/- টাকা অনুদান, আশি কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয়েছিল খালিশপুর হতে মহেশপুর-দত্তনগর-জিন্নানগর-সামন্তা- বাঁশবাড়িয়া, যাদবপুর পর্যন্ত পাকা রাস্তা উন্নয়নের কাজ,স্থাপন করা করেছিলেন ৭৫ টি ব্রীজ ও কালভার্টের কাজ,হয়েছিল,২২ কিলোমিটার এইচ,বি,বি রাস্তা, টিআর ও কাবিখার কাজ করা হয়েছিল ২০ কোটি ৫০ লাখ টাকার, ১৮৫০টি ঘর,ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অফিস- দোকান পাঠ ও রাস্তায় স্ট্রিট লাইটের দেয়া হয়েছিল,পাঁচ বছরে,হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে টিন বিতরন করা হয়েছিল ৪৮০ বানন্ডিল, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণ করেছিলেন ২২টি, ৩০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নতুন তরুন নির্মান ও মেরামত করা হয়, ১৩ কোটি একুশ লক্ষ একষট্টি হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা ৬টি নতুন কলেজ ভবন,নির্মাণ করা হয়,কোটচাঁদপুর ও মহেশপুরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন,মুক্তিযোদ্গাদের জন্য ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ৮টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল।

তিনি বলেন,আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আপনাদের কাছে আসতে পারলে দুই উপজেলায়,দুটি মিনি স্টেডিয়াম,মহেশপুরের আজমপুর দো-বিলে মিনি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রস্থাপন,মহেশপুর-কোটচাঁদপুরের মাঝে একটা বিসিক শিল্প নগরী গড়ে তোলা,কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা মত কাজ গুলো অগ্রধিকারের ভিত্তিতে করে যাবো।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম, কোটচাঁদপুর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন, বলুহর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন,উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মীর মনিরুল আলম,যুগ্ন আহবায়ক আশরাফুল ইসলাম খোকন।




স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে

এইতো এক যুগেরও আগের কথা, উন্নয়নের তলানিতে ডুবে ছিলো এই দেশ। লুটতরাজ ও দুর্নীতিবাজরা দেশে দুঃশাসন প্রতিষ্ঠা করে দেশকে পিছিয়ে নিতে তৎপর ছিলো। চেয়েছিলো অবৈধ পথে ক্ষমতায় বসতে কিন্তু ২০০৯ সালে জনগনের ভোটের রায়ে অশুভ শক্তির সকল অপচেষ্টা বিফলে যায়। সফল রাষ্ট্রনায়ক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২য় মেয়াদে এই দেশের মানুষ অভিভাবকের আসনে বসান। সেই থেকে রচিত হতে থাকে উন্নয়নের মহাকাব্য।

সুপরিকল্পিতভাবে দেশের সকল উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করতে থাকেন তিনি। গ্রাম থেকে শহর বাংলাদেশের সকল স্থানে উন্নয়নের ছোয়া লাগা শুরু হয়। দেশের মানুষকে এখন আর আদিম যুগের মতো পরনির্ভরশীল থাকতে হয় না। ডিজিটাল বাংলাদেশ আমাদেরকে আত্মনির্ভরশীল হতে সহায়তা করেছে, প্রযুক্তি হয়েছে সহজলভ্য।

সকল উন্নয়ন ও প্রযুক্তির বিস্তারের পর তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের। ইতিমধ্যে এর সফল বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। সরকারের সদিচ্ছার ন্যায় দেশের সকল শ্রেণী পেশার মানুষদেরও এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশ আমাদের সবার। দেশ স্মার্ট হলে এ জাতি স্মার্ট হবে। তাই সরকারকে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করতে হবে সকলের।

স্মার্ট বাংলাদেশ হবে আমাদের সকলের একটি প্রতিশ্রুতি ও শ্লোগান যা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের পরিকল্পনা। স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার চারটি ভিত্তি রয়েছে। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট সমাজ। স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে এ চারটি নির্দিষ্ট ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করে অগ্রসর হলে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের কোনো অবশিষ্ট থাকবে না। স্মার্ট নাগরিক ও স্মার্ট সরকার এর মাধ্যমে সব সেবা এবং মাধ্যম ডিজিটালে রূপান্তরিত হবে। আর স্মার্ট সমাজ ও স্মার্ট অর্থনীতি প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করলে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠন এবং ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

‘স্মার্ট বাংলাদেশ হবে সাশ্রয়ী, টেকসই, জ্ঞানভিত্তিক, বুদ্ধিদীপ্ত ও উদ্ভাবনী। এককথায় সব কাজই হবে স্মার্ট। যেমন স্মার্ট শহর ও স্মার্ট গ্রাম বাস্তবায়নের জন্য স্মার্ট স্বাস্থ্যসেবা, স্মার্ট পরিবহন, স্মার্ট ইউটিলিটিজ, নগর প্রশাসন, জননিরাপত্তা, কৃষি, ইন্টারনেট সংযোগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এক শিক্ষার্থী, এক ল্যাপটপ, এক স্বপ্নের উদ্যোগ নেয়ার কথা বলা হয়েছে। এর আওতায় সব ডিজিটাল সেবা কেন্দ্রীয়ভাবে সমন্বিত ক্লাউডের আওতায় নিয়ে আসা হবে। ইতোমধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের নাম পরিবর্তন করে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ গঠন করেছে বাংলাদেশ সরকার। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’ এর নয়টি কার্যপরিধিও সুস্পষ্ট করেছে সরকার যথা- ১. অগ্রসরমান তথ্যপ্রযুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান; ২। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তরের সময়াবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে দিক নির্দেশনা প্রদান; ৩. স্মার্ট ও সর্বত্র বিরাজমান সরকার গড়ে তোলার লক্ষ্যে অর্থনৈতিক, সামাজিক, বাণিজ্যিক ও বৈজ্ঞানিক পরিমন্ডলে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিধি-বিধান প্রণয়নে দিক নির্দেশনা প্রদান; ৪. বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপণে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান; ৫. এজেন্সি ফর নলেজ অন এরানোটিক্যাল অ্যান্ড স্পেস হরাইজন (আকাশ) প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান; ৬. ব্লেন্ডেড এডুকেশন মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং ফাইভজি সেবা চালু পরবর্তী সময়ে ব্যান্ডউইথের চাহিদা বিবেচনায় চতুর্থ সাবমেরিন ক্যাবলে সংযোগের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা প্রদান; ৭. রপ্তানি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মেড ইন বাংলাদেশ পলিসি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সময়াবদ্ধ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণে দিক নির্দেশনা প্রদান; ৮. আর্থিক খাতের ডিজিটালাইজেশন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান এবং ৯. স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ (স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি এবং স্মার্ট গর্ভমেন্ট) বাস্তবায়নে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে দিক নির্দেশনা প্রদান।

স্মার্ট বাংলাদেশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও আর্থিক খাতের কার্যক্রম স্মার্ট পদ্ধতিতে রূপান্তর করবে আওয়ামী লীগ সরকার। স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য সরকারি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন এবং এর উন্নয়নে একটি দক্ষ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্যে সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সরকারি বিভিন্ন সেবা কার্যক্রম ডিজিটাইজেশন করা হবে। সুতারং সরকার আগামী ২০৪১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আদর্শগত এমন রূপান্তর ঘটাবে যেখানে সকল সেবার ভিড়ে না হারিয়ে নাগরিকগণ নিজের প্রয়োজনীয় সেবা সহজে খুঁজে পাবেন; সেবা গ্রহিতার দায় নয় সেবা প্রদানকারীর দায়কে শক্তভাবে দেখা হবে; সরবরাহ কেন্দ্রিক থেকে চাহিদা কেন্দ্রিক সার্ভিসের যোগান হবে; নাগরিকগণকে এখন ডিজিটাল মাধ্যমেও নানান চ্যানেলে (অ্যাপ, ওয়েব, কল সেন্টার ইত্যাদি নানা প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হয়) সেবা গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু স্মার্ট বাংলাদেশে একটি মাত্র প্লাটফর্ম থেকে নাগরিকগণ সকল চাহিত সেবা পাবেন। নানান পরিচয় নম্বরের (যেমন এনআইডি, পাসপোর্ট, জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইত্যাদি) পরিবর্তে একটি পরিচয় নম্বর (ইউনিক আইডি) দিয়ে সকল কার্যক্রম সম্পাদন এবং সরকারি সেবা প্রদানকে দেখা হবে সেবা গ্রহিতার চোখে, সেবা দাতার চোখে নয়।

এক সময় টাকা নগদ তুলে এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে জমা করতে হতো। কারণ, এক ব্যাংকের চেক অন্য ব্যাংক গ্রহণ করত না। পরে চেক গ্রহণ করলেও সেই টাকা জমা হতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যেত। আবার এক ব্যাংক থেকে বস্তা ভর্তি টাকা তুলে অন্য ব্যাংকে জমা করতেও দেখা যেত। অন্য কারও হিসাবে বা কাউকে টাকা পাঠাতে ব্যাংকে লাইন পড়ে যেত। আবার টাকা পাঠানোর জন্য কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসাও ছিল জমজমাট। কেনাকাটা ও লেনদেনের পুরোটাই হতো নগদ টাকায়। পরিসেবা বিল পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোতে লাইন লেগে থাকত। মোবাইলে টাকা রিচার্জ করতেও প্রতিটি বাজার ও মহল্লায় ছিল একাধিক দোকান। নতুন প্রজন্মের কাছে এসব সাজানো গল্প মনে হতে পারে। তবে বাস্তবতা হলো আর্থিক লেনদেনে প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে এসব এখন অনেক কিছুই ইতিহাসের অংশ।

ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডে কেনাকাটা, মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস), ইন্টারনেট ব্যাংকিং, অ্যাপসে লেনদেন, ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্টসহ এমন নানামুখী ডিজিটাল লেনদেন জীবনে এনে দিয়েছে স্বাচ্ছন্দ্য। নগদ টাকা বহনের ঝামেলা কমিয়ে দিয়েছে। জীবনকে সহজ করে দিয়েছে। আর প্রতিটি লেনদেনে থাকছে ডিজিটাল রেকর্ড। যা প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যাচ্ছে। এখন কার্ডের পরিবর্তে অ্যাপস,কিউআর কোড ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। মুঠোফোনই হয়ে উঠছে লেনদেনের বড় মাধ্যম। ব্যাংকগুলোর ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায়,মাই ক্যাশ,ট্যাপের মতো এমএফএসের কারণে সাধারণ মানুষ ডিজিটাল লেনদেনে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছে।

স্মার্ট ইকোনমির অংশ হিসেবে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রবাস যাত্রা সহজ করতে এবং প্রবাসে যাওয়ার প্রস্তুতিমূলক কাগজপত্র ও সেবাসমূহ একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট থেকে প্রদানের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ডিজিটাল সেন্টারগুলোতে প্রবাসী হেল্প ডেস্ক চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের আর্থিক অন্তর্ভূক্তি কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা ও আর্থিক অন্তর্ভূক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে এটুআই চালু করেছে ‘সাথী’ নামক একটি নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশ ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ও বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের সহযোগিতায় এটুআই প্রাথমিক পর্যায়ে ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তা নিয়ে এই নেটওয়ার্কের যাত্রা শুরু করেছে। দেশের সকল পরিষেবা বিল, শিক্ষা সংক্রান্ত ফি ও অন্যান্য সকল ধরনের সরকারি সেবার বিল প্রদানের পদ্ধতি সহজ ও সমন্বিতকরণে চালু হওয়া সমন্বিত পেমেন্ট প্ল্যাটফরম ‘একপে’-তে বিভিন্ন ধরনের করতে নতুন ৮টি আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের নতুন পেমেন্ট চ্যানেল যুক্তকরণ।

সর্বোপরি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এবং আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় এই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

লেখক:কোষাধ্যক্ষ, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়




খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করছে বিএনপি

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নেওয়ার অনুমতি পেতে আদালতে যাওয়ার সরকারি পরামর্শকে শুরুতে আমলেই নেয়নি বিএনপি। দলটির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলেন, খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে যেভাবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে সেভাবেই তাকে বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দিতে পারে সরকার। ফলে তারা আদালতে আবেদন নিয়ে যাবেন না। তবে খালেদার চিকিৎসার জন্য বিএনপি আবেদন না জানালেও ঠিকই তার পরিবার এগিয়ে এসেছে।

খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠাতে সরকারের কাছে আবারও চিঠি দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তাদের একবার আবেদন দেওয়া আরেকবার না দিতে চাওয়া উদ্দেশ্যমূলক উল্লেখ করে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কেউ যদি তার স্বজনের আসলেই ভালো চান, তাহলে যেকোন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না। আদালতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়ে বিএনপি আসলে তাদের নেত্রীর অসুস্থতা নিয়ে রাজনীতি করতে চাইছে।

বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠাতে সরকারের কাছে আবারও চিঠি দিয়েছেন তার ভাই শামীম ইস্কান্দার। তিনি বলেন, ‘বাইরে পাঠানোর জন্য দুই-তিন দিন আগে শামীম ইস্কান্দার সাহেব এসেছিলেন। ওইদিনই বলে দিয়েছি। আমার কাছে চিঠি দিয়েছেন। আইনি জটিলতার কারণে চিঠিটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। উনি (আইনমন্ত্রী) এখন ব্যাখ্যা দেবেন।’

এর আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলেন তার ভাই-বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ২০২০ সালের এপ্রিলে এ ঘটনাটিকে সামনে এনে জানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে খালেদা জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার, বোন সেলিমা ইসলাম, বোনের স্বামী রফিকুল ইসলাম দেখা করে মুক্তির আবেদন করেন। তখনও বিএনপি নেতারা দলটির পক্ষ থেকে চেয়ারপারসেন চিকিৎসার জন্য আইনগত কোনো পদক্ষেপও নেয়নি।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গত ২৩ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়ে মানবিক আবেদন করতে হলে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে করতে হবে। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইন মন্ত্রণালয়ে মতামত চাইতে পারে। খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার পরও তিনি আজকে মুক্ত ও এভারকেয়ার হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা পাচ্ছেন। সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে পাচ্ছেন। তারপরও তারা আবেদন করলে দেখা যাবে।’

তখন বিএনপি থেকে জানানো হয়, বেগম জিয়ার ভাই শামীম ইস্কান্দার আবেদন করেছিলেন। ফলে তাদের আর নতুন করে আবেদনের দরকার নেই। এরপরই ২৫ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ (১)-এর ধারার ক্ষমতাবলে শর্তযুক্তভাবে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত রেখে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহানুভবতায়।’




মেহেরপুরের ঘাটপাড়ায় ঈদ ই মিলাদুন্নবী উদযাপন

মেহেরপুর শহরের ১ নম্বর ওয়ার্ড ঘাটপাড়ায় ঈদ ই মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এলাকাবাসীর মাঝে তবারক বিতরণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবছরের ন্যায়  ঘাটপাড়া এলাকাবাসী ঈদ ই মিলাদুন্নবী উপলক্ষে এ কর্মসূচী পালন করে।

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এলাকাবাসীর মাঝে তবারক বিতরণ করেন।

এসময় আছাদুজ্জাজামান, শিবলু,  সাংবাদিক ডিএম  মুকিদ,  তুহিন বিশ্বাস, রুমি ,আশরাফুল হক আশাসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সেখানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।




মেহেরপুরে এ্যাড. মিয়াজানের লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুরে সরকার উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে লিফলেট বিতরণ করলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড. মিয়াজান আলী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে কোর্ট মোড় থেকে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয় এবং প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী বলেন আজকের দিনটা আমাদের অত্যন্ত পবিত্রের দিন আজ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্ম দিন এবং আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনার ও জন্মদিন এই জন্মদিনে শেখ হাসিনার উন্নয়ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের লিফলেট বিতরণ করছি ।

এ সময় অন্যদের মধ্যে  উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য টনিক বিশ্বাস, আমদহ ইউনিয়নের আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুস্তাকিম আলী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল, মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সেক্রেটারি ও জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, বুড়িপোতা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রোমেল মোল্লা, আবুল হায়াত, আক্কাস আলী সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।