দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

দামুড়হুদায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস-২০২৩ পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টার সময় র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, উপজেলা প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিএ ফয়জুল ইসলাম, দামুড়হুদা বাসট্যান্ড বাজার কমিটির সভাপতি রতন সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




কোটচাঁদপুরে রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সাফদারপুর রেল স্টেশন সংলগ্ন মিনেজ পাড়া এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। তবে ওই ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।

সাফদারপুর রেল স্টেশনের মাস্টার রিপন আলী জানান, সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা গোয়ালন্দগামী নকশিকাথা ট্রেনের চালক জানায় স্টেশনের কিছুদুর আগেই একটি মৃতদেহ পড়ে আছে। পরে মিনেজপাড়া নামকস্থানে গিয়ে মাথা থেকে দেহ আলাদা অবস্থায় পাওয়া যায়। হয়তো রাতের কোন এক সময় ট্রেনে কাটা পড়ে তার মৃত্যু হতে পারে।

এ ব্যাপারে মৃতদেহ উদ্ধারের জন্য জিআরপি পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা এসে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।




ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

‘তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসন ও টিআইবি’র আয়োজনে আজ বুধবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

এতে জেলা প্রশাসক এসএম রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রথীন্দ্রনাথ রায়, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খালিদ হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া জেরিন, জেলা টিআইবি’র সভাপতি এম সাইফুল মাবুদসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা, তথ্য অধিকার নিশ্চিত করতে ও তথ্য প্রাপ্তি সহজলভ্য করতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তথ্য সরবরাহের পরামর্শ দেন।




গাংনীতে বিদায় নিলেন সহকারী পরিদর্শক মো. রুহুল কুদ্দুস

আবেগঘন পরিবেশে গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসের সহকারী পরিদর্শক মো. রুহুল কুদ্দুস এঁর অবসর জনিত বিদায় সংবর্ধনা মেহেরপুর জেলা সমবায় অফিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মেহেরপুর জেলা সমবায় অফিসার প্রভাষ চন্দ্র বালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবসর জনিত বিদায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিদায়ী সহকারী পরিদর্শক রুহুল কুদ্দুস, জেলা অফিসের উপ সহকারী নিবন্ধক এনামুল হক, গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টু, সদর উপজেলা সমবায় অফিসার মনিরুজ্জামান, জেলা অফিসের পরিদর্শক নুরুজ্জামান, প্রশিক্ষক নুরুজ্জামান, সহকারী পরিদর্শক সাইফুর রহমান, হাফিজুর রহমান, শাহিনুজ্জামান, অফিস সহকারী সাঈদ আনোয়ার, মেহেদী হাসান, ক্যাশ সরকার মাহফুজ রাব্বী, অফিস সহায়ক শাহিন আহমেদ প্রমূখ।

বক্তব্যের শেষে সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের পক্ষ থেকে বিদায়ী কর্মীর হাতে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয় এবং একটি সুসজ্জিত গাড়িতে করে বিদায়ী সহকর্মীকে তাঁর বাসস্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়।




কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান মেলা অনুষ্ঠিত 

শিক্ষার্থীদের স্মার্ট ফোনের আসক্তি থেকে দূরে রেখে বিজ্ঞান মনোস্ক হিসেবে গড়ে তুলতে কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজ্ঞান মেলা ও কুইজ প্রতিযোগিতা।

আজ বিকেলে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ বিজ্ঞান মেলা ও কুইজ প্রতিযোগিতা সমাপনি হয়।

মেলার সমাপনিতে সপ্তম শ্রেণীর ক শাখার সিমন্তী ইকবালের নেতৃত্বে সুপার সেভেন দল বিজ্ঞান মেলায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে।

পরিবেশ সুরক্ষা পরিকল্পিত নগরায়ন ও চতুর্থ শিল্প বিপ্লব শীর্ষক বিজ্ঞান মেলায় তার দল উপস্থাপন করেছে পরিবেশ সুরক্ষায় নবায়নযোগ্য শক্তি নিয়ে।

সিমন্তী ইকবাল জানান, নবায়ন যোগ্য শক্তি ব্যবহারে পরিবেশের কোন ক্ষতি হয় না। আমাদের দেশের এমনকিছু পিছিয়ে পড়া এলাকা আছে সেখানে বিদ্যুৎ এখনো পৌঁছায়নি। যেখানে বিশুদ্ধ পানিরও ব্যাপক অভাব রয়েছে। সেই সব এলাকায় আমরা প্রাকৃতিক পরিবেশ নষ্ট না করে নবায়ন যোগ্য শক্তি উৎপাদন করে তাদেরকে সুন্দর সুস্থ্য একটা জীবন দিতে পারি। আমাদের প্রজেক্টের নবায়নযোগ্য শক্তির মধ্যে দেখানো হয়েছে সোলার পাওয়ার, উইন্ড মিল, পানি বিদ্যুৎ এবং ব্যায়োগ্যাস উৎপাদন দেখানো হয়েছে।

সিমন্তী ইকবালের নেতৃত্বে আরও শিক্ষার্থী ফাতেমা হাসান মুগ্ধ, মহিম ইসলাম তুষ্পা, আফিয়া মাইরা অন্তু, মিথিলা ফারজানা খুশবু, আয়েশা সিদ্দিকা, জান্নাতুল মাওয়া প্রমুখ।

পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক এর সভাপতিত্বে ও সিনিয়র সহকারী শিক্ষক নাদিরা খানম এর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আল মামুন তালুকদার বলেন, ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে সামনে রেখে ভবিষ্যৎ প্রজন্মদের গড়ে তুলতে এই ধরণের বিজ্ঞান মেলা সময়োযোগী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। আর এই ধরণের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও নেওয়ার আহবানও জানান তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোজাম্মেল হক বলেন, এসব উদ্ভাবনের সাথে পরিচিতি করা এবং এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞান মনোস্ক করার লক্ষেই এমন বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়েছে।




এগারো বছর পর ফের বাবা হচ্ছেন জিৎ

এগারো বছর পর ফের বাবা হচ্ছেন টালিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা জিৎ। স্ত্রী মোহনা মাদনানির বেবি বাম্পের ছবি পোস্ট করে এ ঘোষণা দিয়েছেন নায়ক নিজেই।

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জিৎ লিখেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের আরেকটি সন্তান আসছে। আমাদের জন্য প্রার্থনা করবেন।’ তারপর থেকে নেটিজেনদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন জিৎ। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও।

নীল রঙের পোশাক পরে ‘ম্যাটারনিটি শুট’ করেছেন মোহনা। আর তার সঙ্গী হয়েছেন জিৎ ও তাদের কন্যা। এসব ছবিতে প্রকাশ্যে মোহনার স্ফীতোদর। ছবি দেখে বোঝা যাচ্ছে, দ্বিতীয় সন্তান আগমনের খুব বেশি দেরি নেই।

২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুল শিক্ষিকা মোহনাকে বিয়ে করেন জিৎ। ২০১২ সালের ১২ ডিসেম্বর জিৎ-মোহনার ঘর আলো করে জন্ম নেয় তাদের মেয়ে। দীর্ঘ ১১ বছর পর দ্বিতীয় সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছেন এই নায়ক।

কয়েক দিন আগে প্রকাশ্যে এসেছে জিৎ এর নতুন সিনেমার প্রথম ঝলক। ২৪ নভেম্বর মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে নতুন সিনেমা ‘মানুষ’। বর্তমানে সিনেমার প্রচারের ফাঁকে নায়ক যে এমন খবর শোনাবেন, সেটা কেউই হয়তো আশা করেননি।




গাংনী মডেল মসজিদের ইমামকে বরখাস্ত

যুদ্ধাপরাধ মামলায় আমৃত সাজাপ্রাপ্ত দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর জন্য দোওয়া ও মোনাজত করার অপরাধে গাংনী মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ঈমাম হাফেজ মাওলানা ইলিয়াছ হোসেনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পরবর্তি ঈমাম নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত মডেল মসজিদের মোয়াজ্জিনকে ইমামতির দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, গত ১৫ আগষ্ট বরখাস্তকৃত ইমাম মাওলানা ইলিয়াছ হোসেন নামাজ শেষে আমৃত সাজাপ্রাপ্ত দেলোওয়ার হোসেন সাঈদীর জন্য দোওয়া ও মোনাজাত করেন। এঘটনায় গাংনী উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুনতাজ আলী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হয়। তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে নির্দেশ দেন। পরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাঠ পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তাকে দায়ীত্ব পালন থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন।

এব্যাপারে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক সিরাজুম মনির বলেন, গাংনী মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা ইলিয়াছ হোসেনর বিরুদ্ধে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধা বির্তকিত মোনাজাতের জন্য গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেন। এনিয়ে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে বিষয়টি তদন্ত করে তার সত্যতা মেলে। পরে সেখান থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশ দিলে ইলিয়াছ হোসেনকে ইমামতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মাওলানা ইলিয়াছ হোসেন মডেল মসজিদের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত নন। মডেল মসজিদ হওয়ার আগে সেখানে থাকা মসজিদের ইমাম তিনি। মডেল মসজিদের জন্য সামনের মাসে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বলেন, বহিস্কৃত ইমামের বিরুদ্ধে বিতর্কিত কর্মকান্ডের অভিযোগে লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগ তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় ইমামকে ইমামতি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরবর্তি নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত মসজিদের মোয়াজ্জিনকে ইমামতির দায়ীত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




কোন সার্বভৌম রাষ্ট্রের ওপর কেউ নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে না

বাংলাদেশের নির্বাচন ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ করার লক্ষ্যে কেউ যেন বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতির আওতায় ফেলেছে বাংলাদেশকে। যদি এমন কেউ ভিসার জন্য আবেদন করে যিনি বাংলাদেশের নির্বাচনকে বাধাগ্রস্থ করতে চায় বলে প্রমাণিত হয়, তবে তিনি ভিসা নাও পেতে পারেন।

আপাতদৃষ্টিতে মনে হতে পারে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ভালোর জন্য এই উদ্যোগ নিয়েছে। তবে একথা না বলে উপায় থাকে না যে- যুক্তরাষ্ট্র অন্যদেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করে এমন আমার জানা নেই। তারা যেকোন সিদ্ধান্ত নেয় নিজের স্বার্থ রক্ষায়। এই প্রক্রিয়ায় তাদের অন্যতম একটি অস্ত্র হলো ‘স্যাংশন’। যেকোন উদ্ভুত পরিস্থিতিতে কোন দেশকে শাস্তি দিতে হলে, বা যুক্তরাষ্ট্র কাউকে শাস্তি দেবে মনে করলে তখন এই অস্ত্র প্রয়োগ করে।

প্রশ্ন হলো, এইটা কোন রাষ্ট্র কখন পারে? বা আদৌ তারা কীভাবে পারে? একক কোন দেশ, অন্য কোন সার্বভৌম দেশের ওপর স্যাংশন দেয়া আইনভিত্তিক বিশ্বব্যবস্থার বিরুদ্ধে কাজ করে। তথাকথিত চিন্তা হলো- বিশ্বের সব দেশের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে একটি সংস্থা কাজ করে। সেটি হলো জাতিসংঘ। তাকে পাশ কাটিয়ে কোন একটা দেশ অপর দেশের ওপর যখন তাদের ইচ্ছা চাপিয়ে দিতে চায়, তখন সে তার অস্ত্র হিসেবে স্যাংশনকে ব্যবহার করে। যুক্তরাষ্ট্র যখন সেই সিদ্ধান্ত নিতে চায় তখন সে খেয়াল করে ওই দেশের সঙ্গে মেজরিটি কান্ট্রি আছে কিনা? সেসব বিচার করে আমেরিকা সিদ্ধান্ত নেয়।

আমি মনে করি, বর্তমানে স্যংশনের নামে যেটা ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা আসলে জনগনকে শাস্তি দিচ্ছে। বাংলাদেশের সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আপনি স্যাংশন আরোপের কথা বলছেন বা বাস্তবায়ন করছেন ঠিকই, কিন্তু আসলে সেটা যখন করছেন তখন এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে কস্ট দেওয়া হচ্ছে। ভুলে গেলে চলবে না, বাংলাদেশের মানুষের কস্টে থাকার অভিজ্ঞতা আছে। আর এই দেশের মানুষের এও জানা আছে যে, ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে যে স্বাধীনতা অর্জন করেছিলো তা আমেরিকার ইচ্ছার বিরুদ্ধে।

আমেরিকা আসলে কেন এমন পরিস্থিতি তৈরী করলো? এবার একটু পিছনের দিকে ফিরতে হবে। মুক্তিযুদ্ধে তারা বাংলাদেশের পক্ষ নেয়নি। শুধু তাই নয়, একটি যুদ্ধোত্তর দেশকে সামনে এগোতে নানা বাধা সৃষ্টি করেছিল। নিজের স্বাধীন দেশের জন্যে, বঙ্গবন্ধু যখন কিউবাতে গিয়ে তাঁর চটের বস্তা নিয়ে কাজ করতে চাইলেন তখন আমেরিকা বাধ সেধেছিলো। সেসময় তারা খাদ্য অনুদান দিতো, সেটি বন্ধ করে দেয়ায় বাংলাদেশে চরম খাদ্য ঘাটতি দেখা দেয়। অনুদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সেই মুহূর্তে খাদ্য ঘাটতি পূরণ করতে না পারায় খাদ্য সংকটে পড়েছিলো এই দেশ। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছিল শ্রমজীবী মানুষ। লেখার শুরুতে যেটা বলছিলাম, আসলে শাস্তিটা পায় সাধারণ মানুষ।

অন্যান্য দেশের উদাহরণ দেয়া যেতে পারে। ভেনেজুয়েলাতে তাদের স্যাংশনের কারণে ৪০ হাজার শিশু মারা গিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর একক সিদ্ধান্তে মারা গেলো ৪০ হাজার শিশু! এমন পরিস্থিতি যখন শুধু একটি দেশের ইচ্ছায় হয়, তখন কোন সম্মিলিত বিশ্বব্যবস্থা তা মানতে পারে না। যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে এই স্যাংশন অস্ত্র যেভাবে কাজে লাগাতে চাইছে, সেটা আগামীদিনে কতটা কাজে লাগবে তা নিয়ে আমার শঙ্কা রয়েছে। কারণ স্যাংশনে পড়া অনেক দেশ সেটা ভেঙে ফেলতে চাইছে। যেমন ধরা যাক, ইউক্রেনের জন্য রাশিয়াকে যে স্যংশন তারা দিয়েছে, তা কি রাশিয়া মানছে? কিংবা ধরা যাক, উগান্ডা কিংবা নাইজেরিয়ার কথা।

ঠিক একইভাবে, বাংলাদেশে তারা এখন অবাধ সুস্ঠু নির্বাচনের কারণ দেখিয়ে স্যংশনের হুমকি দিল। প্রশ্ন হলো, তারা ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের কথা বলছে বটে, কিন্তু অবাধ পরিবেশ তৈরী করছে কি? বরং দেখা যাচ্ছে, যারা আমেরিকার ইচ্ছের বিরুদ্ধে যাচ্ছে, তাদের বশে আনার উপায় হিসেবে স্যাংশন দিচ্ছে। তারা কার ওপর হুমকি দেবে, সেটা নিশ্চিত বোঝা কঠিন হয়ে যাচ্ছে কারণ, নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয় এমন অনেকের ভিসাও যে আমেরিকা দেয়নি সেই উদাহরণও আছে।

আরেকটি অমীমাংসিত প্রশ্ন হলো, কারা কী করছে যুক্তরাষ্ট্র কোথা থেকে সে তথ্য নিচ্ছে? সেই তথ্য একপেশে, না গ্রহণযোগ্য সেই বিবেচনা কে করবে? একজন তথাকথিত মানবাধিকারকর্মী আদিদুলের আইনের পথে বিচার হলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মাথা ব্যাথার কারণ হয় এবং তার পক্ষে সরব অবস্থান নেয়। কিন্তু সেই লোক যে ৬১ লাশের কথা বলে মিথ্যাচার করলো এবং সেই মিথ্যাচার যে একটা বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরী করলো, অরাজকতার চেষ্টা হলো, সেটা উল্লেখ না করে, বিবেচনায় না নিয়ে, প্রকারন্তরে সমর্থন দিলো! সেই বিষয়টা অন্ধকারে রেখেই কী বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন হবে?

আসলে খোদ যুক্তরাষ্ট্র দেখতে পাচ্ছে যে এই স্যাংশন নিয়ে রাশিয়া, ইরান, উত্তর কোরিয়া ভাল আছে। মার্কিন নিয়ন্ত্রিত যে অর্থব্যবস্থা, তার বিরুদ্ধে বিশ্বজনমত গড়ে উঠতে শুরু করেছে। ফলে এধরনের অস্ত্রের ব্যবহার, মার্কিনবিরোধী জোট তৈরীতে সহায়ক হবে। এই বোধ আমেরিকার থাকতে হবে। যদিও এ নিয়ে আমি তাদের উপদেশ দিতে চাই না। শুধু বলতে চাই, একপেশে তথ্যের ওপর ভিত্তি করে, কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে সুবিধা দেবার জন্য স্যাংশনের মত কোন উদ্যোগ গ্রহণযোগ্য না। বাংলাদেশের জন্যে ভিসানীতি ঘোষণার পর দেখা গেছে, একপক্ষ আনন্দ নিয়ে উগ্রীব হয়ে আছে। এতেই বোঝা যায় এটি একটি রাজনীতি বিভাজন প্রক্রিয়া। যে কারণে এক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জেনে খুশি হয়ে যাচ্ছে অন্যপক্ষ।

সেটা কি অবাধ নিরপেক্ষ পরিস্থিতি সৃষ্টিতে সহায়ক? এই পরিস্থিতি সংঘাতের কারণ হতে পারে। সেই দায় কে নেবে? ভুলে গেলে চলবে না যে, আরেক দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার কারণে কোন সংঘাত হলে, এর দায় তাদের নিতে হবে। স্যাংশন বিষয়ে ঘোষণা আসার পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত পিটার হাস আবার সুনির্দিষ্ট করে বলছেন, এরমধ্যে গণমাধ্যমও পড়বে। আবার এরপর স্টেট ডিপার্টমেন্ট বলছে, গণমাধ্যম পড়বে এমনটা এখনও না। এ ধরনের আলাপ তোলা, কোন রাষ্ট্রদূতের জন্যে কতটা কূটনৈতিক শিষ্টাচার? এই প্রশ্ন আমরা এখন তুলতেই পারি। আভ্যন্তরীণ ব্যাপারে কথা বলার এখতিয়ার বিদেশি রাষ্ট্রের নেই। কিন্তু তারপরেও তারা এটা করছে, কেনো? এক কথায় এর জবাব হতে পারে, তারা এটা করছে শক্তি দেখানোর জন্যে।

তাদের শক্তি দেখানোর আরও একটি উদাহরণ আছে। সেটা হচ্ছে, পিটার হাস আরও বলেছেন, তারা বাংলাদেশের বিচার বিভাগ পযবেক্ষণ করবে। কী অদ্ভুত! তারা কি জানে না, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন? আপনি বিচারককে কীভাবে পযবেক্ষণ করবেন? তিনিতো কাজ করেন আইনের বিধিতে। বাংলাদেশ চলবে বাংলাদেশের শাসনতন্ত্র বা সংবিধানে। আমেরিকার নিয়মে তো চলবে না। পর্যবেক্ষণের মতো বিষয়গুলো সামনে এনে এরা এসব প্রতিষ্ঠানে রিতীমত বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরী করতে চাচ্ছে।

এখন আমাদের অবস্থান কী হবে, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং সে অনুযায়ী অ্যাক্ট করা দরকার। সত্যিকথা বলতে, আমেরিকা মনে করে ভারত মহাসাগরে তার অবস্থান শক্ত করতে হলে বাংলাদেশকে তার লাগবে। কিন্তু বাংলাদেশের বৈদেশিক সম্পর্ক ভারসাম্যপূর্ণ, পররাষ্ট্রনীতি অনুযায়ী সে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষার কথা বলে। এখন সেটা ভাঙতে চাইলে বাংলাদেশকে নানারকম চাপ দেয়ার বিকল্প নেই। এখন এই অবস্থা বিবেচনা করে করণীয় ঠিক করাটা বাংলাদেশের জন্যে জরুরি।

লেখক: নিরাপত্তা বিশ্লেষক।




মেহেরপুর ও গাংনীতে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ৬

মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৬ আসামি গ্রেফতার হয়েছেন।

এদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলার ১ ও চুরির মামলায় ২ জন আসামি। এছাড়া গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ২ ও নিয়মিত মামলায় ১ আসামি রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতের পৃথক সময়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন। পুলিশের সংশ্লিষ্ট থানা সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

গ্রেফতারকৃতদের আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

“তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব “ প্রতিপাদ্য নিয়ে র‌্যালী ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এই আলোচনা সভা ও র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসানের সভাপতিত্বে ও আরডিসি মোছা: রনী খাতুনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত “তথ্যের অবাধ প্রবাহে ইন্টারনেটের গুরুত্ব “শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি, মেহেরপুর তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ।

এর আগে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র‌্যালী বের হয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনের সড়ক প্রদক্ষিন শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়।