স্বামী প্রধান শিক্ষক হওয়ায় স্কুলে যাননা সহকারী শিক্ষক

স্বামী প্রধান শিক্ষক তাই দিনের পর দিন স্কুলে অনিয়মিত সহকারী শিক্ষক আনোয়ারা খাতুন। স্কুলে তার দেখা মিলে শুধুমাত্র অনুষ্ঠানে। অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক স্বামীর সাহায্যে বাড়িতে বসে নিয়মিত শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষরও করেন। বাড়িতে বসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে এভাবেই বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি দেখিয়ে বেতন তুলে নিচ্ছেন তিনি।

ঘটনাটি মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার এইচ এস কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আনোয়ারা খাতুনের। তাঁর স্বামী ওই একই স্কুলের প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান। স্বামী প্রধান শিক্ষক হওয়ার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এমন অনিয়ম দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন আনোয়ারা খাতুন। স্কুলের ক্লাস রুটিনে সপ্তাহে মাত্র দুটি ক্লাসে তার নাম থাকলেও সেসব ক্লাস নিচ্ছে ওই স্কুলের অন্য শিক্ষকরা। এ নিয়ে অন্য শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ থাকলেও আনোয়ারা খাতুনের স্বামী আসাদুজ্জামান প্রধান শিক্ষক হওয়ায় তাদের দাপটে মুখ খুলতে ভয় পায় শিক্ষকরা।

আর শিক্ষার্থীরা আনোয়ারা খাতুন নামের একজন শিক্ষকের কথা জানলেও তাকে শেষ কবে দেখেছে তা সঠিক ভাবে মনে করতে পারেনা। অষ্টম শ্রেণির একজন ছাত্রী জানান, আনোয়ারা ম্যাডাম ক্লাস সিক্সে আমাদের ক্লাস নিয়েছে কয়েকদিন তারপর তাকে স্কুলে আমরা সেভাবে দেখিনি।

নবম শ্রেণির একজন ছাত্র জানান, আনোয়ারা ম্যাডাম শুধুমাত্র অনুষ্ঠানে আসেন। তিনি আমাদের কোন ক্লাসও নেয়না।

দশম শ্রেণির কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, তিনি মাঝেমধ্যে স্কুলে আসেন কোন প্রয়োজন হলে। আনোয়ারা ম্যাডাম নিয়মিত স্কুলে আসেনা কেন এরকম কথা হলে হেডস্যার বলেন অসুস্থার জন্য ছুটিতে রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তার অনিয়মিত স্কুলে আসা নিয়ে কোন ছাত্রছাত্রী মুখ খুললেই তার জন্য কঠিন শাস্তি হবে এরকম ভয়ে প্রকাশ্য আমরা কেউ বলতেও পারিনা।

স্কুলে না আসার বিষয়ে জানতে আনোয়ারা খাতুনের সঙ্গে মুঠোফোনে দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন অফিস থেকে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

স্কুলটির প্রধান শিক্ষক ও আনোয়ারা খাতুনের স্বামী আসাদুজ্জামানের কাছে জানতে চাইলে টিফিন পিরিয়ডে ক্লাসে থাকার অজুহাতে ফোন কেটে দেন তিনি। পরে দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন অফিস থেকে তাকেও একাধিকবার ফোন ও পরিচয় দিয়ে বিষয়টি জানতে চেয়ে এসএমএস পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমি অবগত রয়েছি এবং অভিযোগ শুনতে শুনতে অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। সরকারের বেতন নিবে সে কিন্তু স্কুলে যাবেনা এটা কোন কথার মধ্যে পড়ে না। আমিও জেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি বলবো।

মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্বাস উদ্দিন বলেন, কয়েকদিনের মধ্যে আমি সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবো।




ঝিনাইদহে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি বিভিন্ন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলিনায়তনে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকদের ক্যাডার কম্পোজিশনের সুরক্ষা, পদোন্নতি, পদসৃজন, স্কেল আপগ্রেডেশন ও আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন দাবি দাওয়া আদায়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তাদের দাবি আদায় না হলে আগামী ২ অক্টোবর সারা দেশে একদিনের কর্মবিরতি পালন করবেন। এরপরও তাদের দাবি মানা না হলে ১০, ১১ ও ১২ অক্টোবর টানা তিন দিনের কর্মবিরতি পালন করা হবে।

এ কর্মসুচিতে সারাদেশে সকল সরকারি কলেজ, মাদ্রাসাসহ সকল দপ্তর ও অধিদপ্তরে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডাররা অংশগ্রহণ করবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি ঝিনাইদহ জেলা ইউনিটের সভাপতি সরকারী কেশব চন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অশোক কুমার মৌলিক, সহ-সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক সহযোগী অধ্যাপক মাসুদ ইসলাম, সহযোগি অধ্যাপক প্রদীপ চক্রবর্তী, সহকারী অধ্যাপক আবু তাহের, কেন্দ্রীয় নেতা সহকারী অধ্যাপক ইমরান আলী। সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রায় ৭০-৮০ জন শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।




প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর অপরাধে ঝিনাইদহে এক নারীর কারাদন্ড

স্বামী ও সন্তান ফেলে রেখে চাচাতো ভাইয়ের ভাইয়ের হাত ধরে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে, সুমি খাতুন নামে এক নারীর এক বছর কারাদন্ড নগদ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঝিনাইদহের একটি বিচারিক আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতের বিচারক রুমানা আফরোজ এই রায় দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী এ্যাড.শহিদুল ইসলাম জানান, ৯ বছর আগে ঝিনাইদহের দক্ষিণ কাস্টসাগরা গ্রামের সুমি খাতুনের সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলার পারখিদ্দা গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের বিয়ে হয়।

সংসার করা অবস্থায় সুমি খাতুন চাচাতো ভাই সজিবের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ২০২১ সালের ২৭ সেপ্টম্বর তার হাত ধরে পালিয়ে যায়। ওই বছরের ২১ ডিসেম্বর সুমি ও তার পরকীয়া প্রেমিক সজিবের বিরুদ্ধে ৪৯৪ ধারায় মামলা করেন আব্দুর রাজ্জাক।

বিজ্ঞ আদালত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সুমি খাতুনকে এক বছর কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দেন। সুমির প্রেমিক সজিবকে আদালত বেকসুর খালাস দেন।




জীননগরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে যুবকের আত্মহনন

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ট্রেনে কাটা পড়ে সুচায়ন(২৫) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা-চুয়াডাঙ্গা রেলপথের উথলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তি উপজেলার উথলী গ্রামের ঘোড়া মারা রেলগেট পাড়ার মো. রেজাউল হক ডাবলু বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, সুচায়ন (২৫) চাকরির সুবাদে দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম এলাকায় থাকতেন। গত এক মাস ধরে শারীরিক অসুস্থতার কারণে নিজ বাড়িতে ছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাবেন। চিকিৎসা খরচ ও পারিবারিক কলহের জেরে অভিমানে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০ মিনিটের দিকে পার্বত্যপুরগামী রকেট এক্সপ্রেস ট্রেন উথলী স্টেশন অতিক্রম করে ঘোড়ামারা রেলগেট এলাকা পার করার সময় সুচায়ন ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন।

এ সময় ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে সংবাদ পেয়ে পরিবারের সদস্যরা এসে মরদেহ উদ্ধার করে।

দর্শনা হল্ট স্টেশনের উপ-পরিদর্শক আতাউল রহমান জানান,দুপুরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের বাম হাত,পা শরীর থেকে বিচ্ছিন ও মাথায় মারাত্মক ভাবে আঘাতের কারণে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




জীবননগর ইবনেসিনা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ভুল অস্ত্রপাচারের অভিযোগ

জীবননগরে ইবনেসিনা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ভুল অস্ত্রপাচারের নওয়াজেস হোসেন (৪৮) নামের এক রোগী মৃত্যুর দোয়ারে।

এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন নওয়াজেস হোসেনের ভাই মো. মোস্তফা। বর্তমানে নওয়াজেসের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর জীবননগর উপজেলার কাশিপুর দক্ষিণপাড়ার নওয়াজেস হোসেন (৪৮) জীবননগর হাসপাতালের অদূরে ইবনেসিনা ক্লিনিকে হার্নিয়া রোগ নিয়ে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। সেই দিন রাত ৮টার দিকে নওয়াজেস হোসেনের ভুল অস্ত্রপচার করা হয়। এরপর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে গত ২১ তারিখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরিক্ষার পর জানায় তার ভুল অস্ত্রপচার করা হয়েছিল। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রাখতে হচ্ছে। প্লাস্টিকের নাড়ীর মাধ্যমে তিনি বাথরুপ করছেন।

ইবনেসিনা ক্লিনিকের মালিক আব্দুল জব্বারের সাথে কথা বললে তিনি কলেন, আমাদের ক্লিনিকে কোনো ভুল অস্ত্রপচার করা হয়নি। জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হাসানুজ্জামান নুপুর নওয়াজেস হোসেনের হার্নিয়ার অস্ত্রপচার করেছেন। রোগীর অবস্থা ভালোই ছিল। তবে তারা চিকিৎসকের নির্দেশনা মানেনি। শুধু এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরছে।

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ হাসানুজ্জামান নুপুর বলেন, কোনো ভুল অস্ত্রপচার করা হয়নি। সঠিক অস্ত্রপচার করা হয়েছে। অস্ত্রপচারের পর রোগীর কেউ তার সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।

জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ সাঈদ হোসেন বলেন,জীবননগর ইবনেসিনা ক্লিনিকের বিরুদ্ধে একটা লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




জীবননগরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে জরিমানা

জীবননগরে আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান,চালিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

এ ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন জীবননগর সহকারী কমিশনার (ভুমি) তিথি মিত্র। এ সময় তিনি বলেন,ফ্রি রোগী দেখার নাম করে সাদা কাগজে প্রেসক্রিপশন করে রোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অংকের টাকা বিভিন্ন সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে তিনি এই কাজ করেন।

কিন্তু রাশেদ চেম্বার করার কথা থাকলেও অভিযানের কৌশলে তিনি সটকে পড়েন। কনসালটেন্সি সেন্টারের নাম করে নিবন্ধন নিলেও প্রতিদিন বসেনা কোন কনসাল্টেন্ট। কনসালটেন্ট সেজে দিনের পর দিন সাদা কাগজের প্রেসক্রিপশন।কনসালটেন্টের চেয়ারে বসে রাশেদ নিজেই। কিন্তু আজ অভিযান পরিচালনার সময় পাওয়া যায়নি ডি এম এফ ডাক্টার রাশেদ। এটাও এক প্রকার প্রতারণার শামিল বলে ধরনা করছে সাধারন রোগিরা।

এ অভিযানে সহযোগীতা করেন জীবননগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এম ও মুস্তাফিজুর রহমান সুজন, সেনেটারী ইনস্পেকটর আনিসুর রহমান, ভূমি অফিসের কর্মকর্তা সহ জীবননগর থানা পুলিশের একটি টিম।




দামুড়হুদা-জীবননগরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র সহ নিহত ২,আহত ১

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় কলজ ছাত্র সহ ২ জনের মত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজলার খলিশাগাড়ি গ্রামর মজিদ আলির ছেল সালমান আলি (৪২) আলমসাধু চালিয়ে বাজার থেকে বাড়ি আসছিল।

এ সময় স্থানীয় মোড় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে নিজগাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই সে মারাযায়। অপরদিকে দর্শনা-জীবননগর সড়কের উথলী মোল্লাবাড়ি পিকআপ-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ সংঘটিত হয়েছে। এতে মোটরসাইকেল চালক কলেজ ছাত্র দর্শনা রামনগরের মেহফুজের মর্মান্তিক মৃত্য হয়েছে। গুরুতর অহত হয়েছে একই গ্রামের মোটরসাইকেল আরোহী নয়ন।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে দর্শনা পৌরসভার রামনগর গ্রামের সৌদি প্রবাসি হাসিবুলের ছেলে একই গ্রামের তার সহপাটি জিন্নার ছেলে নয়ন জীবননগর থেকে ফেরার পথে উথলী মোল্লাবাড়ি নামকস্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে গুরতর জখম হয় মেহফুজ ও নয়ন। তাদেরকে স্থানীয়রা দ্রত উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার উন্নতি না হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকে রাজশাহী রেফার্ড করেন।

রাজশাহী নেওয়ার পথে পথিমধ্যে মারা যায় মেহফুজ (১৮)। মেহফুজের লাশ গ্রামে আনা হলে স্বজনদের কান্নায় ভারী হয়ে উঠে বাতাস গ্রামে নেমে আসে শোকের মাতম। কোন অভিযোগ না থাকায় জনাজা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে এক বেদনা বিধুর পরিবেশে দাফন সম্পর্ন করা হয়েছে।

এদিকে দৃর্ঘটনার পরপরই জীবননগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পিকাপভ্যান ও মোটরসাইকেল জব্দ করেছে জীবননগর থানা পুলিশ। এ বিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাবীদ হাসান জানান, দুর্ঘটনার পর পালিয়ে গেছে ট্রাকের চালক ও সহকারি হেলফার। জব্দ করা হয়েছে ট্রাকটি।ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




দামুড়হুদায় পিকআপ ভ্যানের সাথে ধাক্কা; আলম সাধু চালকের মৃত্যু

দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিসাগাড়ী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে সালমান হোসেন (১৭) নামের এক যুবক আলমসাধু চালক গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পিকাপের সাথে ধাক্কা লেগে গাড়ি থেকে ছিটকে খাদে পড়ে মর্মান্তিক ভাবে নিহত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের একটি মাঠ থেকে সালমান কলা ভর্তি আলমসাধু ফরিদপুর কাচা বাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যায়। কলা বিক্রয় শেষে বাড়ি আসার পথেই মধুখালী করিমপুরে এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে।

সালমানের বাবা মজিদ জানান,আমার ছেলে কোন দিন এত দুর দুরান্তে গাড়ির ভাড়ায় যায়নি।কিন্তু গত সোমবার গাড়ির ভাড়া একটু বেশি পাওয়ার আশায় আলমসাধুতে কলা ভর্তি করে ফরিদপুরে যায়। সেখানে পৌঁছে কলা নামিয়ে আসার পথে পিকাপের ধাক্কায় সালমান নিহত হয়। স্থানীয় লাল্টু জানান, সালমান যখন আলমসাধু নিয়ে বাহির হয় তখন বলেছিলাম ওই রাস্তায় অনেক গতিরোধক(বিট) রয়েছে দেখে শুনে যাওয়ার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু তারপরও আলমসাধুর গতি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা পিকাপের ধাক্কায় ছিটকে খাদে পড়ে নিহত হয়। আরও বলেন আনুমানিক ৩০/৪০ মিনিট পর সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে সালমানের মৃত লাশ উদ্ধার করেন। সালমানের পকেটে থাকা মোবাইল ফোনে ডাইল নাম্বারে যোগাযোগ করেন তার আত্মীয়স্বজনের নিকট।

পুলিশ সংবাদ দিলে সালমানের মরদেহের সন্ধান পাই পরিবারের লোকজন। তবে তার নিহতের সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে গোটা গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।




আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের কর্মি সভায় এমপি ছেলুন

আলমডাঙ্গার ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে বিনোদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, আওয়ামীলীগ হলো মাটি ও মানুষের সংগঠন। এ সংগঠনে লাখ লাখ নেতাকর্মি রয়েছে। একটি দলের প্রাণ হলো কর্মি।যে দলের কর্মি নেই, সেই দল কোন দলই না। আজকে ডাউকি ইউনিয়নের এই কর্মি সভা জনসভায় রুপ নিয়েছে। আমি এই কর্মি সভায় কর্মিদের উপন্থিতি দেখে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছে । দেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। বিশ্ববাসী স্বীকৃতি দিচ্ছেন। আপনারা জনগণের কাছে গিয়ে নৌকায় ভোট চান। আমাদের ভোট চাওয়ার মত যথেষ্ট অর্জন রয়েছে ।

আমরা এ উপজেলার প্রতিটি রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করেছি,স্কুলের বিল্ডিং করে দেওয়া হয়েছে। বিনামীল্য কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে। মানুষ আজ সুখে শান্তিতে বসবাস করছে।

এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিলো পাকিস্তানিরা। বাংলার জনগণ একত্রে রাস্তায় নেমে আসেন। আমরা বঙ্গবন্ধুকে জেল থেকে মুক্ত করেছিলাম।

তিনি বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নৌকায় ভোট চেঢেছেন।আমি নৌকায় ভোট চেয়ে তৃণমূলের নেতাকর্মিদের নৌকায় ভোট চাওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খবির উদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিনেবে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁন, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা শওকত আলী, আরশাদ উদ্দিন চন্দন,জেলা যুবলীগের সাবেক আহবায় আরেফিন আলম রঞ্জু,চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আব্দুর রশীদ।

ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের পরিচালনায় কর্মি সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহসভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু,উপজেলা ভাইচ চেয়ারম্যান সালমুন আহমেদ ডন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী খালেদুর রহমান অরুন, আলম হোসেন,আতিয়ার রহমান, মাসুদ রানা তুহিন, কুমারী ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু,সোহানুর রহমান সোহান,আসাদুল হক মিকা,জয়নাল আবেদীন,আব্দুল খালেক,রোকুনুজ্জামান নাহিদ,খাইরুল ইসলাম চুন্নু , সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ হোসাইন বাদসা,হাসান, গোলাম ছরোয়ার শামিম,রকি প্রমুখ।




মেহেরপুরে মোটরসাইকেল জিম্মা নিতে এসে কারাগারে গেলেন মালিক

মোটরসাইকেল নিজের দাবি করে তা নিজ জিম্মায় নিতে এসে কারাগারে যেতে হলো মোটর সাইকেলের মালিক মো: আলাউদ্দিনকে।

আজ  মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ’র আদালত এই আটকাদেশ প্রদান করেন।

আদালত সুত্রে জানা গেছে, গত ১ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কের ছাতিয়ান নামক স্থানে বেপরোয়া গতিতে মোটরসাইকেলের সাথে দূর্ঘটনায় আ: রহিম নামে এক ব্যাক্তি মারা যায়। তার ভাই মো: নাজির হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা মোটর সাইকেল চালকের বিরুদ্ধে মামলা দয়ের করেন।

সড়ক দুর্ঘটনার পর মোটর সাইকেলটি পুলিশ জব্দ করলেও আসামি পলাতক ছিল। আজ মঙ্গলবার মোটরসাইকেলের মালিক মো: আলাউদ্দিন আদালতে হাজির হয়ে নিজেকে মোটর সাইকেলের মালিক দাবি করে মোটর সাইকেলটির জিম্মার আবেদন করেন। মালকানা সংক্রান্ত সব কাগজপত্র থাকাতে জিম্মার আবেদন মঞ্জুর করে আদালত। সেইসাথে যেহেতু জিম্মার আবেদনকারী নিজেই মোটর সাইকেলটির মালিক এবং একই মোটরসাইকেল দিয়ে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে সেহেতু অপরাধের সাথে মো: আলাউদ্দিনের সংশ্লিষ্টতা থাকার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় আদালত তাকে আটক রাখার নির্দেশ দেন।

পরবর্তীতে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এই ব্যাক্তির দ্বারাই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে তাকে মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে আদালত সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র ও আবেদন পর্যালোচনা করে মোটর সাইকেলটির মালিককে গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন।