মেহেরপুর ডিবির জালে গাঁজা চাষী গাংনীর ভল্টা ও চলটা

গাঁজা গাছসহ মোঃ মোকাদ্দেস ওরফে ভল্টা (৪৫) নামের এক গাঁজা চাষীকে আটক করেছে মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। আটক মোকাদ্দেস হোসেন গাংনী উপজেলার মাইলমারী গ্রামের মৃত জিহাদ আলীর ছেলে। ভল্টার সহযোগী ও সহোদর মোঃ আমানুল্লাহ ওরফে চলটা (৩৫) পলাতক।

আজ মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর সাড়ে তিনটার সময় মোকাদ্দেস ওরফে ভল্টার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গাঁজা গাছসহ তাকে আটক করে মেহেরপুর ডিবি পুলিশের একটি টিম। ডিবি সুত্রে জানা গেছে এসময় ১ টি গাঁজার কাঁচা গাছ জব্দ করা হয়। ডাল ও পাতাসহ কাঁচা অবস্থায় জব্দ করা গাঁজা গাছটির উচ্চতা সাড়ে ১২ ফুট এবং ওজন ৭ কেজি ২০ গ্রাম। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় বাহাত্তর হাজার টাকা।

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ সাইফুল আলম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মোকাদ্দেস ওরফে ভল্টার বাড়িতে অভিযান চালানো হলে, বাড়ির দক্ষিণপাশে গিয়ে গাঁজা গাছটি দেখতে পেয়ে গাঁজা চাষী মোকাদ্দেস ওরফে ভল্টাকে আটক ও গাছটি জব্দ করা হয়। অভিযানের খবরে ভল্টার সহযোগী ও সহোদর চলটা আত্মগোপনে রয়েছে। এঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুইজনকে আসামি করে একটি মামলা দিয়ে তাকে গাংনী থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।’




গণমাধ্যমের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে হাসের কথায় ভিন্নমত যুক্তরাষ্ট্রের

বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের কথায় ভিন্নমত জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতিতে বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হতে পারে জানিয়েছিলেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত। এরপরই গণমাধ্যম নেতা ও বিশ্লেষকরা তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। আর একদিন পরেই পিটার হাসের বক্তব্যের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বা ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট। তারা জানিয়েছে, এই নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র রাজনৈতিক দল, বিরোধী দল ও ব্যক্তিত্ব এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর প্রযোজ্য।

গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার স্পষ্ট করে বলেন, ‘গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব নয়, বরং বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যদের ওপরই ভিসানীতি কার্যকর হয়েছে।’

গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি চ্যানেলের কার্যালয়ে এসে সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে। পিটার হাসের এই বক্তব্যের দুইদিন আগে শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া যারা বাধাগ্রস্ত করবে তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায়।

এর আগে, গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে কেউ গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বাধা দিলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না। এমনকি তার পরিবারের সদস্যরাও মার্কিন ভিসা থেকে বঞ্চিত হবেন। কিন্তু গণমাধ্যমের কথা আলাদাভাবে কখনো উল্লেখ করা হয়নি। পিটার হাস হঠাৎ করে কোন পরিপ্রেক্ষিতে গণমাধ্যমকে যুক্ত করে বক্তব্য দিলেন সেটি এখন প্রধান আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি মিডিয়ার বিষয়ে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেটা হবে দুঃখজন্ক এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপ।”বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, “ভিসানীতি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেটা আরেকটি দেশের গণমাধ্যমের ওপর আরোপ করার সুযোগ থাকবে কেনো?“

গত সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেন দেশের এক বেসরকারি টেলিভিশনের ওয়াশিংটন প্রতিনিধি। এ সময় রাষ্ট্রদূত যা বলেছেন, তার সঙ্গে ভিন্নমত প্রকাশ করেন মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তিনি বলেন, ভিসা নীতির আওতায় কারা পড়েছেন নির্দিষ্ট করে তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে এটি বেশ স্পষ্ট করেই বলা হয়েছে, এর আওতায় পড়বেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা।

বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্যই ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান মিলার। তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচনে কোনো পক্ষ নেওয়ার জন্য ভিসা নীতি ঘোষণা করা হয়নি। বরং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতেই এ ভিসা নীতি।




অর্থের বিনিময়ে তথ্য পাচার করতেন মার্কিন সিনেটর মেনেনডেজ

চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনী। এই প্রবাদ বাক্যটা আমরা সবাই মুখে মুখে শুনেছি। সেই প্রবাদের প্রতিফলন দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্কবিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান বব মেনেনডেজের ক্ষেত্রে। যিনি আবারও দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন। বাংলাদেশের এলিট ফোর্স র্যাবের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পেছনেও কলকাঠি নেড়েছেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগ আসায় তার পদত্যাগ দাবি করেছেন রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট পার্টির সদস্যরা।

২০২১ সালের ১০ই ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ দফতরের ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল অফিস বিভিন্ন দেশের মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ জন ব্যক্তির উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তাদের ভাষায় এই প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিরা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের সাথে জড়িত। এর মধ্যে ছিল র্যাব।

সেই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব করেছিলেন মার্কিন সিনেটর বব মেনেনডেজ। বিষয়টি নিয়ে তখনই বেশ আলোচনা শুরু হয়েছিল। মার্কিন এই নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাবের পর দেশের বাইরে বাংলাদেশ নিয়ে সবাই নতুন করে ভাবতে শুরু করে।

২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো বব মেনেনডেজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসে। সেইবার খালাস পেলেও পরেরবার আর রক্ষা হয়নি। ২০২২ সালে ফেডারেল এজেন্টদের তল্লাশির সময় মেনেনডেজের কাছে একটি জ্যাকেট এবং নগদ অর্থ পায়। সেই অর্থের পরিমাণ ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা। তার সেই দুর্নীতির ৩৯ পাতার অভিযোগে বলা হয়েছে, মেনেনডেজের রাজনৈতিক অবস্থান ও ক্ষমতা তাকে এই ধরনের দুর্নীতিতে জড়াতে উৎসাহিত করেছে। যদিও মেনেনডেজ এক বিবৃতিতে বলেছেন, এসব অভিযোগের পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

অভিযোগে আরও বলা হয়, মেনেনডেজ শুধু অর্থের বিনিময় স্বার্থ উদ্ধার করেননি, মার্কিন সিনেটর হয়ে দেশের বিরুদ্ধে গোপন তথ্য পাচারের মিশনে নেমেছিলেন ।

ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসের ২২ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করা অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ২০১৮ সালে মেনেনডেজের সাথে আলাপ শুরু করার অল্প সময়ের মধ্যেই, তার স্ত্রী নাদিন মেনেনডেজ মিশরীয় গোয়েন্দা এবং সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসূত্র স্থাপনের জন্যে ব্যবসায়ী হানার সঙ্গে কাজ শুরু করেছিলেন। এই পরিচয়ের সূত্র ধরেই মেনেনডেজ মিশরীয় কর্মকর্তাদের কাছে মার্কিন সরকারের সংবেদনশীল তথ্য সরবরাহ করে। পাশাপাশি গোপনে মিশর সরকারকে সহায়তা করার পদক্ষেপ নেয়। বিনিময়ে হানা, দাইবেস এবং ইউরিবের মাধ্যমে পকেটস্থ করে কোটি কোটি টাকা।

জাস্টিজ ডিপার্টমেন্টের অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মিশর সরকারকে সামরিক সহায়তা দিতে সিনেটর অনেক অর্থ ঘুষ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। মিশর এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা প্রাপ্ত অন্যতম একটি দেশ। যুক্তরাষ্ট্র সরকার ২০২২ সাল পর্যন্ত বছরে ১ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা মিশরকে দিতো।

এদিকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত মেনেনডেজের পদত্যাগ দাবি করেছে রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট পার্টির সদস্যরা। তবে মেনেনডেজ পাল্টা জানিয়েছে, ‘আমি কোথাও যাচ্ছি না’।

দুর্নীতির অভিযোগ আসার পর তিনি সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছেন, ‘আমি সিনেটে থাকছি’।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আনা হয়েছে, তা শুধু অভিযোগ। আমি স্বীকার করি যে এটি এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় লড়াই হবে আমার জন্য’।

এদিকে মিশরে সামরিক সহায়তা বন্ধে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের ওপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি হয়েছে। নিউ ইয়র্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা আদালতে বিস্ফোরক অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর শুক্রবার সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির প্রধানের পদ থেকে সাময়িকভাবে পদত্যাগ করেন মেনেনডেজ।

ওয়াশিংটনভিত্তিক সংগঠন ফ্রিডম ইনিশিয়েটিভ বলেছে, নিজেকে বিত্তবান করার জন্য মেনেনডেজ মিশরের দুর্নীতিগ্রস্ত , নৃশংস সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে তার অবস্থান ব্যবহার করেছেন।




কুষ্টিয়ায় শুভসংঘের বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণ

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) দবির উদ্দিন বলেছেন, আপনার সন্তানের হাত দিয়ে গাছ লাগান। কেননা আপনি যেভাবে আপনার সন্তানকে লালন পালন করে বেড়ে তুলছেন, তেমনি আপনার সন্তানও তার হাত দিয়ে লাগানো গাছটি যত্ম করে বেড়ে তুলবে। মানব সভ্যতা অটুট রাখতে আমাদের বেশি বেশি গাছ রোপণ ও এর পরিচর্যা করতে হবে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে শহরের ছয় রাস্তা মোড় এলাকার বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখা কার্যালয়ে বসুন্ধরা শুভসংঘ আয়োজিত বৃক্ষরোপণ ও গাছের চারা বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা শুভসংঘ একটি সামাজিক সংগঠন। এটি সমাজের উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে, তাদের এসব উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম সত্যি প্রশংসনীয়।’ ‘শুভসংঘের বন্ধুরা যে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে এটি চমৎকার একটি উদ্যোগ। আমি এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছি। এসব উন্নয়নমুলক কর্মকান্ডের ধারা অব্যহত রাখুক এই প্রত্যাশা কামনা করি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিটি গাছ আমাদের প্রয়োজনে লাগে, গাছ আমাদের অক্সিজেন, গাছ আমাদের ছায়া দিয়ে থাকে। দেয়,কাঠ দেয়, জালানি হিসেবে খড়ি দেয়,গাছ আমাদের উপকারি বন্ধু। আবহাওয়া নিয়ন্ত্রণেও বৃক্ষের ভূমিকা অপরিসীম তাই বেশি বেশি করে বৃক্ষরোপনের আহবান জানান তিনি।

শুভসংঘের নির্বাহী সভাপতি এস এম জামালের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শুভ সংঘ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কাকলি খাতুন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল হোসেন, নির্বাহী সদস্য দেওয়ান মাসুুদুর রহমান স্বপন প্রমুখ।

বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখার নির্বাহী সভাপতি এস এম জামাল বলেন, শুভ কাজে সবার পাশে এই প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ বসুন্ধরার মানবিক সহায়তা সংগঠন শুভসংঘ। দেশের দরিদ্র ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো এই সংগঠনের মূল উদ্দেশ্য। তিনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য। বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও বৃক্ষরোপণে মানুষকে উৎসাহিত করতেই বসুন্ধরা শুভসংঘ কুষ্টিয়া জেলা শাখার এই মহতি কর্মসূচী। এটি অব্যহত রাখতে আমরা সকল উপজেলায় এই কর্মসুচী পালন করবো।

ব্যক্তিগত সামাজিক দায়বদ্ধতা মূলক কাজের অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করে দীর্ঘ দিন যাবত চলছে তার এই ব্যতিক্রমী কার্যক্রম বলেও জানান তিনি। শতাধীক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক ছাড়াও পথচারী ও রিকশা ও ইজিবাইক চালকের মাঝে দুই শতাধীক ফলজ,বনজ ও ওষুধী গাছের চারা বিতরণ করা হয়।

এসময় বসুন্ধরা শুভসংঘ বন্ধু নাফিস, সুমাইয়া খাতুন, আব্দুল মজিদ জিয়া, যুথিকা রানী দাস, রিফাহ তাসনিয়া রিযা, আশিক, জুনায়েদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় ফেনসিডলসহ দক্ষিন চাঁদপুরের জিন্না আটক

দর্শনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ১০ বোতল ফেনসিডলসহ জিন্নাত আলী (৪২) কে আটক করেছে। সে দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের মাঝের পাড়ার আবুল কাসেমের ছেলে।

জানাযায় আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো: শরিয়তউল্লাহ ও পরিদর্শক নাজমুল হোসেন খান উপ পরিদর্শক সাহারা ইয়াসমিন ও আকবর হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চালায়, দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামে।এ সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যাবসায়ী জিন্নাতের বসত বাড়ির ঘরের ভিতর তল্লাশী করে ১০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় উপ পরিদর্শক আকবর হোসেন বাদী হয়ে আসামির বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করে। আজ তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে পল্লী বিকাশ কেন্দ্র

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে পল্লী বিকাশ কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটিতে শাখা ব্যবস্থাপক পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

শাখা ব্যবস্থাপক (ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম)

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে অবশ্যই কমপক্ষে দুইটি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ সহ স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর।

শাখা ব্যবস্থাপক পদে জাতীয় পর্যায়ের এনজিও তে কমপক্ষে তিন বছর কাজের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল

কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, গাজীপুর, ঢাকা, নরসিংদী, নারায়ণগঞ্জ

বেতন

ছয় মাস প্রবেশনকালে বেতন সর্বসাকুল্যে ৩২,০০০ টাকা। স্থায়ীকরণ এর পর বেতন হবে ৩৪,০০০/- টাকা।

আবেদনের প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা জীবনবৃত্তান্ত যেখানে পাঠাবেন  pbkhrd0007@gmail.com

আবেদনের শেষ তারিখ

৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




গাংনীতে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির মাসিক সমন্বয় ও পরিকল্পনা সভা

মেহেরপুরের গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) আয়োজিত সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর কৃষি খাতের আওতায় উপজেলা পর্যায়ে সমন্বয় ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমতিরি প্রধান কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপত্বি করেন সংস্থার উপপরিচালক মোহা: কামরুল আলম।

অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাঃ ইমরান হোসেন , উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা খন্দকার সহিদুর রহমান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: মোঃ আরিফুল ইসলাম।

উপজেলা সমন্বয় ও পরিকল্পনা সভায় ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের বাস্তবায়িত প্রদর্শনী , যথাক্রমে কৃষি, মৎস্য,ও প্রাণিসম্পদ খাতের প্রেজেন্টেশন উপস্থাপনা করা হয়। ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এ সময় উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তাগন বিভিন্ন প্রদর্শনীর আলোকে তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ ও কারিগরি সহযোগিতা সহ সামগ্রীক বিষয় নিয়ে গঠন মূলক আলোচনা ও পর্যালোচনা করে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন। এছাড়াও মাঠ পর্যায়ে প্রাপ্ত সমস্যা নিরশন নিয়ে আলোচনা করে দিক নির্দেশনা প্রদান করেন।

অন্যদের মধ্যে পলাশীপাড়ার সমাজ কল্যান সমিতির  বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তা,  সার ব্যবসায়ী, বীজ ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গণমাধ্যমে মার্কিন ভিসানীতি: রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি

বাংলাদেশের গণমাধ্যমের ওপর মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগের পর সাংবাদিক নেতাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। এটিকে গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপও বলছেন তারা। একই সাথে পিটার হাসের বক্তব্য প্রত্যাহারেরও দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। যদিও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের ঘোষণার সাথে দ্বিমত পোষণ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর।

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন। তিনি বলেন, “স্বাধীন দেশের গণমাধ্যমের ওপর নিষেজ্ঞার আরোপের কথা পিটার হাস এভাবে বলতে পারেন না। কার বাংলাদেশ স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ। ভিসা নীতি আরোপ করলে সাংবাদিক সমাজে অস্বস্তি সৃষ্টি হবে। যেসব সাংবাদিকদের সন্তান বিদেশে লেখাপড়া করে তারা মত প্রকাশে দ্বিধান্বিত বোধ করবেন।”

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম বলেন, “গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করে কী গণতন্ত্র নিশ্চিত করা আদৌ সম্ভব? বাংলাদেশের ইতিহাসে খারাপ নজির সৃষ্টি করেছেন পিটার হাস। গণমাধ্যম পরোক্ষভাবে চাপ প্রয়োগ করেছেন তিনি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধীতাকারীরা যখন গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া স্বাভাবিক। যুক্তরাষ্ট্র একটি স্বাধীন দেশের গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে যা খুবই দুঃখজনক।”

ঢাকা ডিপ্লোমেট ডট কম এবং সংবাদ সারাবেলার সম্পদক আব্দুল মজিদ বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যাদের ভুমিকা রয়েছে, যেমন আইন শৃঙখলা ররক্ষাকারী বাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা, সরকারি দল ও বিরোধী দল এবং গণমাধ্যম, ভিসানীতির নামে তাদেরকেই হুমকি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রথমত, একটি স্বাধীন দেশের নির্বাচন ব্যবস্থা বা প্রক্রিয়া নিয়ে অযাচিত কথা বলে এক ধরনের হস্তক্ষেপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যা অগ্রহণযোগ্য। ভিসানীতি কার্যকরের ঘোষণায় মূলত তারা স্বাধীন ভাবে কাজ করতে পারবে না।”

সিলেটের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক তাপস দাশ পুরকায়স্থ বলেন, “কোন বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে তা নির্ধারণ করবে ওয়াশিংটন। নিষেধাজ্ঞায় না থাকা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করা কূটনীতিক সৃষ্টাচার বর্হিভূত কাজ। আর গণমাধ্যমকে ভিসানীতির আওতায় আনলে গণতন্ত্র বিকশিত নয়, নিয়ন্ত্রিত হবে।”

গত ২৪ সেপ্টেম্বর একটি বেসরকারি চ্যানেলের কার্যালয়ে এসে সাক্ষাৎকারে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, সরকারি দল, বিরোধী দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর আগামীতে গণমাধ্যমও ভিসানীতিতে যুক্ত হবে।




কক্সবাজার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগের চুক্তিপত্র স্বাক্ষর

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) ও কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসাল্টেন্ট (সিএসসি) এর মধ্যে “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের পরামর্শ প্রতিষ্ঠান নিয়োগ সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষর হয়েছে। এই প্রকল্পে কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কনসাল্টেন্ট (সিএসসি) এর সহায়ক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে সেলট্রন ইএমএস এবং এহসান খান আর্কিটেক্টস।

মঙ্গলবার চুক্তিপত্র স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে কউক-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর মোহাম্মাদ নুরুল আবছার, এনজিপি এনডিসি, পিএসসি, বিএন (অব.), লে. কর্নেল মো. খিজির খান পি ইঞ্জ, সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, পিএসসি, ইঞ্জিনিয়ার্স এবং উপ নগর পরিকল্পনাবিদ ও “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. তানভীর হাসান রেজাউল। এছাড়া সিএসসি-এর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সিএসসি-এর ডিরেক্টর (প্ল্যানিং এন্ড কনস্ট্রাকশন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ-আল-মামুন ও “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল সাদেক মাহমুদ।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “কক্সবাজার জেলার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পটির আওতায় কক্সবাজার জেলার ৮টি উপজেলা (চকরিয়া, পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া ও টেকনাফ) এবং সমুদ্র সৈকত এলাকাসহ মোট ৬৯০.৬৭ বর্গ কি.মি. এলাকার ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান এবং কক্সবাজার জেলার ২৪৯১.৮৩ বর্গ কিলোমিটার এলাকার জন্য স্ট্রাকচার প্ল্যান প্রণয়ন করা হবে। এছাড়া টেকসই যাতায়াত ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, পাহাড়, বন, জলাশয় ও সমুদ্র অঞ্চল সংরক্ষণ, সমুদ্র সৈকতের নির্দিষ্ট সীমানা সংরক্ষণ, অবৈধ ও অপরিকল্পিত স্থাপনা অপসারণ, জল ও স্থলের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হবে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, দূষণ প্রতিরোধ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন সুবিধা নিশ্চিতকরণ, আবাসন ব্যবস্থা বিষয়ক পরিকল্পনা, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্যবর্ধন ও ভূমিক্ষয় রোধকরণ করা হবে।

প্রকল্পটি ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর মোট ১৭৪.৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পনা কমিশন অনুমোদন দেয়। গত ১২ জানুয়ারি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় প্রকল্পটির প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদকাল এপ্রিল ২০২১ হতে জুন ২০২৫ পর্যন্ত।




“সরকারের সব অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে”- মির্জা আব্বাস

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মীর্জা আব্বাস বলেছেন,সরকারের সব অস্ত্র ভোঁতা হয়ে গেছে। দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম আর নিজেদের দাবি আদায় করতে শিখে গেছে। এখন আর হামলা-মামলায় কারও কোনো ভয় নেই। শেখ হাসিনার অবৈধ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।

মির্জা আব্বাস মঙ্গলবার ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খুলনা অভিমুখে রোডমার্চ উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে পৌছাতে আমাকে আড়াই কিলোমিটার জনসমুদ্র পাড়ি দিতে হয়েছে। দেখে মনে হয়েছে আমরা প্রাক বিজয় উৎসব পালন করছি। তিনি বলেন সারা দেশের মানুষ আজ আবেগতাড়িত, উদ্বেলিত। অন্যদিকে দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে বেদনাহত।

মির্জা আব্বাস বলেন, কিছুদিন আগে আমি বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁকে জিজ্ঞাসা করলাম ম্যাডাম কিছু বলবেন? উনি মাথা নাড়লেন, কিন্তু কোন কথা বললেন না। আমি তার চোখের দিকে তাকালাম। তার চাহনিতে অব্যক্ত ভাষা। তিনি হয়তো এটাই বলতে চেয়েছিলেন, তোমরা আমার জন্য কি করেছ। আমি কি দেশের গনতন্ত্র, দেশের মানুষ ও রাষ্ট্রের জন্য কিছইু করিনি?

মীর্জা আব্বাস বলেন আমি ম্যাডামকে বলে এসেছি সারা দেশের মানুষ আজ আপনার জন্য চিন্তিত। আপনি বাংলাদেশের জন্য আপনি যা করেছেন তা মানুষ ভুলবে না। মুর্হুমুহু করতালী ও শ্লোগানের মধ্য দিয়ে মীর্জা আব্বাস বলেন, দেশনেত্রীকে মুক্ত করতে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে। একদফার আন্দোলন চুড়ান্ত করেই দেশের মানুষ ঘরে ফিরবে ইনশাল্লাহ।

ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড এম এ মজিদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনার সঞ্চালনায় রোডমার্চের উদ্বোধনী সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহদী আহম্মেদ রুমী, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদ (খুলনা) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দীন, বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দীন টুকু, কেন্দ্রীয় ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড আসাদুজ্জামান ও বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মেহেরপুরের মাসুদ অরুন, চুয়াডাঙ্গার মাহবুব হাসান খান বাবু, শরিফুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

মির্জা আব্বাস আরও বলেন, দেশ দেউলিয়া হবার পথে। অর্থনীতি খারাপ। ডলারের রিজার্ভ শুণ্যের কোঠায় ঠেকেছে। ১৫ বছর দেশে সীমাহীন লুটাপাট চলেছে। পিকে হালদারসহ অনেক রাঘববোয়াল হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋনের পরিমান দাড়িয়েছে ১০৯ হাজার কোটি টাকা। আমরা এই চুরিদারীর প্রতিবাদ করলে জেলে পাঠানো হচ্ছে। তিনি বলেন সময় মতো এসব চোরদের বিচার করা হবে।

বিএনপির খুলনা অভিমুখে রোডমার্চকে ঘিরে কেন্দ্রীয় নেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছিল ঝিনাইদহ। সর্বত্রই উচ্ছাস আর আড়ম্বর পরিবেশ লক্ষ্য করা যায়। বিশেষ করে ঝিনাইদহ ছাড়াও কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা জেলার বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে আজকের রোডমার্চকে ঘিরে প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে। কেন্দ্রীয় ও বাইরের নেতাকর্মীদের বরণ করতে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপি জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। রোডমার্চের উদ্বোধণী অনুষ্ঠান স্মরনীয় করতে ঝিনাইদহ শহরের কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।