গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতিকে অপসারণের দাবি
গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি জাফর আকবর ও অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন দুজন শিক্ষক ও এলাকাবাসী। তবে দুজন শিক্ষকের মধ্যে সাজেদুর রহমান বুলুর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিনিয়র শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেদারুল আলম।
স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে গতকাল মঙ্গলবার ১১ টার সময় মেহেরপুর— কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা পরিষদ গেটে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
পৌর বিএনপির নেতা শাজাহান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কলেজের আরেক শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক সাজেদুর রহমান বুলু বলেন, ঐতিহ্যবাহী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং সভাপতি করার জন্য এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয়, গ্রহণযোগ্য ও শিক্ষীত ব্যাক্তির নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু দুনীর্তিবাজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক সেই দাবীকে পাশ কাটিয়ে এলাকার বিতর্কিত ব্যক্তি জাফর আকবরকে গভর্নিং বডির এডহক কমিটির গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি ও বালিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দীনকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর সুপারিশ পাঠান। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর পরই ফুঁসে ওঠে স্থানীয়রা। এ সময় গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, বিএনপি নেতা ইনামুল হকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী বলেন, শিক্ষক সাজেদুর রহমান বুলু কখনো ক্লাস নেননা। কলেজের শৃ্ৃ্খলা মেনে চলেন না। তাকে ক্লাস নেওয়াসহ কলেজের শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা বলা হলে তিনি নানা ধরণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন বহুদিন ধরে। তিনি কলেজে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়ান।
দুনীর্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির মাধ্যমে এ সাতজনের নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে কোন ব্যত্যয় হয়নি। প্রয়োজনে এ প্রক্রিয়া নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে চ্যালেঞ্জের আহবান করছি।
এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হলেও ওই শাখাতে একজন শিক্ষার্থীও তিনি ভর্তি করান না। তিনি এলাকায় সুবিধাবাধি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন এমপি থাকাকালীন সময়ে কলেজ সরকারি করণের জন্য মকবুলের নামে ৩ লাখ টাকা কলেজে থেকে নেন এবং এখনো ফেরৎ দেননি এমনকি এখনো পর্যন্ত কলেজ সরকারিকরণ হয়নি। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে বুলু সেই দলের ছাতি ধরে নিজেকে মাফিয়া হিসেবে তৈরি করেন। কলেজে ক্লাস না নিলেও তিনি বাড়িতে শত শত শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ান। তার বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়তে আসা ছাত্রীরাও নানা সময়ে অশ্লিল আচরণের অভিযোগ তোলেন।