উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনার বিকল্প নাই- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেছেন আগামী নির্বাচন ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নাই। নৌকায় মানুষ ভোট দিয়েছিলো বলে একসময় দেশ স্বাধীন হয়েছিল। আবার নৌকায় ভোট দেয়ার কারণে এখন দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে উন্নয়নের এক রোল মডেল। এই ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনেও আপনাদেরকে নৌকায় ভোট দিতে হবে।

সোমবার ২৫ সেপ্টেম্বর বিকালে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মেহেরপুরের আমদহ ইউনিয়নে আয়োজিত গণসংযোগ ও পথসভায়ায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন একথা বলেন। এসময় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদাহ ইউনিয়নের ইসলামপুর, সাহেবপুর, ভবনন্দপুর ও টেংরামরি গ্রামে গণসংযোগ ও পথসভায় অংশ নেন তিনি।

এর আগে প্রতিমন্ত্রীর ফরাদ হোসেন এমপির আমদহ ইউনিয়নে আগমন উপলক্ষে এর আগে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রওশন আলী টোকনের নেতৃত্বে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা এক বিশাল মোটরসাইকেল র‍্যালির মাধ্যমে প্রতিমন্ত্রীকে বরণ করে নেন। এবং স্থানীয় জনগণ তাকে শুভেচ্ছাসহ বরন করে নেন।




যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে লড়েছে মার্কিন গণমাধ্যম

সাবেক স্টেট সেক্রেটারি ও ডেমোক্রেট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে ২০১৬ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার নির্বাচনে মার্কিন গণমাধ্যম বড় ধরনের প্রভাব বিস্তার করেছিল। অনেকেরই ধারনা ছিল ট্রাম্প জয়লাভ করবেন না, জনপ্রিয়তার দিক থেকে হিলারি ছিলেন এগিয়ে। বলা হয়, ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের মিডিয়া বিতর্কিত ভুমিকা পালন করেছে। অতীতে কখনই মিডিয়ার এমন অবস্থান কেউ দেখেননি। কারণ অনেক মার্কিন পত্রিকা, টেলিভিশন চ্যানেল প্রকাশ্যেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে অবস্থান নেয়। আর হিলারিকে একজন ত্রুটিপূর্ণ প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরে, যা মার্কিন গণমাধ্যমের সুষ্ঠু নির্বাচনকেন্দ্রিক নিরপেক্ষতাকে প্রশ্নবিন্ধ করে।

শুধু তাই নয়, একদিকে ট্রাম্পের প্রশংসা এবং অন্যদিকে হিলারি ক্লিনটনের ত্রুটি ধরে তুলতে ব্যস্ত ছিল মার্কিন গণমাধ্যম। এই অবস্থানই মার্কিন জনগণের কাছে বিতর্ক তৈরি করে নির্বাচন নিয়ে। মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর অনেকেই সেদেশের গণমাধ্যমকে ট্রাম্পের উত্থানের জন্য দায়ী করেছিলেন।

বলা হয়ে থাকে ‘ঐতিহ্যগত’ ভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে গণমাধ্যম প্রভাব বিস্তার করে। ১৯৬০ সালের নির্বাচন থেকে এই প্রথা প্রচলিত। কারণ প্রার্থীর খবর যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ গণমাধ্যম থেকেই বেশি পেয়ে থাকে। একজন প্রার্থীর বিষয়ে কীভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে, কতটুকু করা হচ্ছে এবং কী উপায়ে করা হচ্ছে তার প্রতি নাগরিকদের আলাদা দৃষ্টি থাকে। আর সেই দৃষ্টি থেকেই মার্কিন গণমাধ্যমের এই বিতর্কিত অবস্থান সবার নজরে আসে।

অন্যদিকে হিলারির পক্ষে যে গণমাধ্যমের অবস্থান ছিল না এমনটিও নয়। যুক্তরাষ্ট্রের একটি অঙ্গরাজ্যের ১৩৪ বছর বয়সী পুরনো পত্রিকা ‘দ্য অ্যারিজোনা রিপাবলিক’ দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙ্গে অবস্থান নিয়েছিল হিলারির পক্ষে। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত রিপাবলিকানদের পক্ষে কাজ করা এই পত্রিকা একদিন ছাপিয়ে ফেলল – ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নন’ । আর তাতেই বোঝা গেল পত্রিকাটি কাজ করছে হিলারির পক্ষ নিয়ে। এরপর আরেক নজির স্থাপন করে ইউএসএ টুডে। মার্কিন নির্বাচনে নিরপেক্ষ ভুমিকা পালন করা পত্রিকাটি লিখে – ট্রাম্প যোগ্য নন।

রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প অনেক সম্পদের মালিক। সেই অনুযায়ী তিনি মার্কিন বিলিয়নিয়ারদের পক্ষে কথা বলে আসছেন। তার কাছে প্রায়োরিটি ছিল ব্যবসায়ীরা। তাই ওয়ালস্ট্রিটকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা তার পক্ষে অবস্থান নেন এবং তার প্রভাব দেখা যায় গণমাধ্যমে। তাই মার্কিন বিশ্লেষকরা কেউ কেউ মনে করেন, রাজনীতি থেকে দূরে থাকা ট্রাম্পের উত্থানের পেছনে মিডিয়ার ভুমিকা অপরিসীম। নারী বিদ্বেষী, অভিবাসী এবং মুসলিম সমাজ নিয়ে নানা কট্টর মন্তব্যের মধ্যেও তাকে বড় করে দেখানো হয়েছে। এছাড়া মার্কিন গণমাধ্যম হিলারির ইমেইল কেলেংকারি নিয়ে যতটা সরব ছিল অতটা সরব ট্রাম্পের কর ফাঁকির ক্ষেত্রে দেখা যায়নি। অবস্থা দেখে একজন বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, ‘মার্কিন টেলিভিশনগুলো যেন ট্রাম্পের হাতে তাদের মাইক্রোফোন তুলে দিয়েছিল’।

এছাড়া নির্বাচনকেন্দ্রিক নানা প্রতিবেদন, সম্পাদকীয়, বিশ্লেষকদের মতামত দিয়ে বুঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা নেই। আবার এই কারণে ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন- তার পেছনে লেগেছে গণমাধ্যম! কারণ তিনি প্রকাশ্যেই তার ক্যাম্পেইনের সময় গণমাধ্যমের দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। তার পক্ষে অনেক গণমাধ্যম থাকলেও রাজনৈতিক স্টান্টের কারণে বলেছিলেন, গণমাধ্যমকে নরকে যাওয়ার কথা।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরে যখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশ করছে, তখন রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটরা প্রায় বিপরীত দুটি সংবাদ মাধ্যমে আস্থা রাখছে।

তাদের গবেষণায় দেখানো হয়, মিডিয়া উৎসগুলোর ব্যবহার এবং বিশ্বাসে পক্ষপাতমূলক মেরুকরণ গত পাঁচ বছরে বিস্তৃত হয়েছে। রিপাবলিকানদের একটি বড় অংশ ৩০টি উৎসের মধ্যে ২০টির আস্থা প্রকাশের চেয়ে অবিশ্বাস প্রকাশ করে। মাত্র সাতটি আউটলেট রিপাবলিকানদের মধ্যে অবিশ্বাসের চেয়ে বেশি আস্থা তৈরি করে, এর মধ্যে আছে ফক্স নিউজ এবং হোস্ট শন হ্যানিটি এবং রাশ লিম্বোগের টক রেডিও প্রোগ্রাম।

ডেমোক্র্যাটদের জন্য, সংখ্যাটি প্রায় বিপরীত। ৩০টি উৎসের মধ্যে ২২টিতে অবিশ্বাস প্রকাশের চেয়ে ডেমোক্র্যাটদের বড় অংশ আস্থা প্রকাশ করে। ফক্স নিউজ, শন হ্যানিটি এবং রাশ লিমবাগসহ মাত্র আটটি অবিশ্বাস সৃষ্টি করে।

২০২০ সালে বাইডেন জয়লাভের পর প্রিন্স অব লিচেনস্টাইন মাইকেল এক নিবন্ধে বলেছেন, নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে গণমাধ্যম, যারা পেশাদার রিপোর্টিং এবং সম্পাদনার চেয়ে তাদের মতামত এবং স্ব-সংজ্ঞায়িত ‘নৈতিকতা’ প্রচার করতে বেশি আগ্রহী ছিল। নির্বাচনের পরেও সাংবাদিকতার মানদণ্ডের এই বিশ্বাসঘাতকতা বন্ধ হবে না এবং এটি আরও প্রতিফলিত হবে।

তার মতে, বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠিত মিডিয়া স্পষ্টতই পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। সোশ্যাল মিডিয়া প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পোস্টের দৃশ্যমানতা সীমিত করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান সম্প্রচার মাধ্যম এবিসি, সিবিএস, সিএনবিসি এবং এমএসএনবিসি ট্রাম্পের ভাষণে বিস্ময়কর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। তৎকালীন রাষ্ট্রপতি, যিনি প্রায় অর্ধেক ভোট পেয়েছিলেন, তাকেও বাঁধা দেওয়া হয়েছিল এবং সম্প্রচারটি তার বক্তব্যকে মিথ্যা বলে ঘোষণা দিয়ে প্রতিস্থাপিত হয়েছিল। সিএনবিসির মডারেটর বলেন, ‘আমরা এতে বাধা দিচ্ছি, কারণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তা অনেকটাই অসত্য’।

তিনি মনে করেন, এটি করার মাধ্যমে, মিডিয়া আমেরিকান জনগণকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপ্রধানের দেওয়া ভাষণ থেকে বঞ্চিত করেছিল। কেউ ট্রাম্পের সাথে একমত হোক বা না হোক, মার্কিন নাগরিকদের তাদের রাষ্ট্রপতি কী বলেছেন তা শোনার অধিকার রয়েছে। মিডিয়ার বর্তমান অবস্থার দিকে তাকালে শেক্সপিয়ারের হ্যামলেটের কথা মনে পড়ে- ‘ডেনমার্ক রাজ্যে কিছু পচে গেছে’।




দামুড়হুদায় বিভাগীয় রোড মার্চ সফল করতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির উদ্যোগে খুলনায় বিভাগীয় রোড মার্চ সফল করতে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি’র অংশ হিসাবে অবৈধ ,ফ্যাসিষ্ট শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ ও তত্বাবধায়ক সরকারের দাবী প্রতিষ্ঠার লক্ষে খুলনা বিভাগীয় রোড মার্চকে সফল করতে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে সর্বসাধারণের মধ্যে মাঝে লিফলেট বিতরণের করা হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো: মনিরুজ্জামান মনির ও সাধারণ সম্পাদক মো: রফিকুল হাসান তনু’র নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ও জেলা বিএনপির সদস্য ছালমা জাহান পারুল,উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাসেম।

ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহিম,বিএনপির অন্যতম নেতা জহিরুল ইসলাম রিপন,উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহব্বায়ক আরিফুল ইসলাম আরিফ,উপজেলা ছাত্রদলের আহব্বায়ক আফজালুল রহমান সবুজ সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




দর্শনায় বেগমপুরে ৫০লিটার মদসহ গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা ও হিজলগাড়ী ক্যাম্প পুলিশের যৌথ অভিযানে ৫০ লিটার চোলাই মদ, পাখি ভ্যানসহ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গতকাল রবিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে দর্শনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ নিরব হোসেনের নেতৃত্বে হিজলগাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের এসআই(নিঃ) শেখ রকিবুল ইসলাম সঙ্গীয় অফিসার-ফোর্স গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দর্শনা থানার বেগমপুর ডিহি ফার্মের পাশে রাস্তার উপর হতে বলদিয়া গ্রামের বিশ্বাস পাড়ার নিমাই মন্ডলের ছেলে মোঃ দায়েম (৬০)কে ৫০ লিটার চোলাই মদ ও মাদক বহনকারী একটি পাখি ভ্যানসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে।গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে।

বলদিয়া গ্রামবাসি জানায়, পুলিশের চোখ ফাকি দিয়ে ডিহি ফার্মের পিছনের বাগানে একটি চক্র নিয়মিত জুয়া ও মদের আড্ডা বসে।আর সেখানেই এই মদ বেচাকেনা হয় বলে এলাকাবাসি জানায়। আজ তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা কোন দেশকেই দমাতে পারেনি, বাংলাদেশকে পারবে?

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর গত সাড়ে তিন দশক ধরে পৃথিবীতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরাক থেকে শুরু করে সিরিয়া, হালের ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও বাতাস দিচ্ছে তারা। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের এই থাবা থেকে বাদ যায়নি আফ্রিকার দেশগুলোও। যখন যেখানে নিজেদের স্বার্থের বিষয় এসেছে, সেখানেই যুক্তরাষ্ট্র নানান কৌশল আর ছলচাতুরি আশ্রয়ে হস্তক্ষেপ করেছে। জারি করেছে নানা ধরণের স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞা।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের তিন মাস আগে জারি করলো ভিসা নীতি। বিশ্বের বেশিরভাগ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, এটা তারা করেছে নিজেদের স্বার্থে এবং ভূ-রাজনৈতিক কারণে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি হস্তেক্ষেপ করলো। গণতন্ত্র, মানবাধিকার রক্ষা আর সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক ভোটের অজুহাত দিয়ে, বাংলাদেশের উপর ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করলো যুক্তরাষ্ট্র। এর পেছনের গল্প হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক অবস্থা এখন ভাল নয়। তাই তাদের লক্ষ্য বিশ্ববাসীর দৃষ্টি ঘুরিয়ে পেছনের দরজা দিয়ে নিজের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল করা।

বিশ্লেষকরা আরও বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শেষ দু’টি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট কারচুপির অভিযোগ উঠছে। এখন সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নানাভাবে ঘায়েল করছে তৎপর বাইডেন প্রশাসন। নিজেদের দেশের এসব অগণতান্ত্রিক আচরণ নিয়ে মাথা না ঘামাচ্ছে না যুক্তরাষ্ট্র। উল্টো নিজের মোড়লিপনা জাহির করে সেসব অপকর্ম ঢেকে দেয়ার চেষ্টা করছে।

একটু পিছনের দিকে গেলে দেখা যায়, আজকে যে স্যাংশন বা নিষেধাজ্ঞার সংস্কৃতি চালু হয়েছে, এর শুরু হয়েছিল নব্বই এর দশকে এই যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরেই। বিশ্ব জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের এই ‘স্যাংশন পলিটিক্স’ এখন ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক জর্জ লোপেজ যুক্তরাষ্ট্রের এই স্যাংশন পলিটিক্সকে নব্বইয়ের দশককে ‘স্যাংশন ডিকেডস’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। বিশ্লেষকদের দাবি, মানবাধিকার বা গণতন্ত্রের কথা বলে স্যাংশন দেয়া হলেও বেশিরভাগ সময় ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থসহ অন্যান্য স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় এখানে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

যুক্তরাষ্ট্রে পাবলিক ইউনিভার্সিটি সিস্টেমের স্কুল অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড গ্লোবাল স্টাডিজের অধ্যাপক সায়ীদ ইফতেখার আহমেদ মনে করেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন’ এর ক্ষেত্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা বললেও অনেক দেশ, যারা যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে তাদের ব্যাপারে চুপ থাকে। যেমন ‘সৌদি আরব’। সেখানে মানবাধিকার বা গণতন্ত্র না থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র কখনই তাদের নিষেধাজ্ঞা দেয় নি।

একইভাবে যদি আমরা পাকিস্তানের দিকে তাকাই, তাহলে দেখা যাবে দেশটি সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ, উগ্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং সেনা হস্তক্ষেপে বিপর্যস্ত। সেখানেও দীর্ঘদিন গণতন্ত্র নেই। তারপরেও পাকিস্তানকে যুক্তরাষ্ট্র স্যাংশন দেয় না। উল্টো আমেরিকার গণতন্ত্র সামিটে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ পাঠায়।

এখন আমরা নির্দিধায় বলতে পারি, আমেরিকা নিজেদের স্বার্থ ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য স্যাংশন দিচ্ছে। এক্ষেত্রে কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘন, কোথাও গণতন্ত্র বনাম স্বৈরতন্ত্র, আবার কোথাও সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ৯ হাজার ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান এবং কিছু খাতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ওই বছরই বাইডেন প্রশাসন বিশ্বব্যাপী আরও ৭৬৫টি নতুন নিষেধাজ্ঞা দেয়। এরমধ্যে ১৭৩টি ছিল মানবাধিকার ইস্যুতে।

যেসব দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছে, বৈশ্বিক উৎপাদনে সেই দেশগুলোর অবদান প্রায় এক–পঞ্চমাংশ। এই উৎপাদনের ৮০ ভাগ দাবিদার চীন। কোনো নিষেধাজ্ঞা দিয়েই চীনকে দমাতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। অর্থাৎ চীনের উপর যতো নিষেধাজ্ঞা দেয়া হোক সেগুলো কোন কাজে আসছে না।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র এ পর্যন্ত এক হাজার ৯৪৮টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। একইভাবে যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সুইজারল্যান্ড ও কানাডা। এপর্যন্ত তারা যথাক্রমে এক হাজার ৭৮২টি এবং এক হাজার ৫৯০টি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু রাশিয়া অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষেত্রে শক্তিশালী হওয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা তেমন কোন প্রভাব ফেলেনি। বরং তাদের অর্থনীতি অনেক বেশি টেকসই ও মজবুত হয়েছে।

মজার বিষয় হচ্ছে, রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা দিলেও সেগুলো শতভাগ কার্যকর করতে পারেনি নিষেধাজ্ঞা দেয়া দেশগুলো। যেসব পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে, সেগুলো কোনো না কোনোভাবে রাশিয়ায় যাচ্ছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে। অর্থাৎ নিষেধাজ্ঞা যারা কার্যকর করবে সেই ইউরোপ নিজেদের স্বার্থে সেটা করছে না। তারা কোনোভাবেই নিজেদের ব্যবসা নষ্ট করতে চাইছে না।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ১২টি দেশ, নরওয়ে, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২২ সালে এসব দেশ রাশিয়ায় কাছে সাড়ে ৮ বিলিয়ন ডলারের পণ্য বিক্রি করেছে। যেগুলোর উপর রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা পণ্য রপ্তানিতে জার্মানি প্রথম এবং লিথুয়ানিয়া দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

আবার রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে ইরান ছিল বিশ্বের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত রাষ্ট্র। ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা ছিল তিন হাজার ৬১৬টি। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশটির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভারত ও ইসরায়েলের মতো দেশ এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বছরের পর এতো নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ইরানের অর্থনৈতিক অগ্রগতি আমেরিকা বা তার মিত্ররা থামাতে পারেনি। একই অবস্থা কিউবা, মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া, সিরিয়া ও ভেনেজুয়েলার ক্ষেত্রেও।

মোদ্দা কথা কোন নিষেধাজ্ঞাই এসব দেশের অর্থনীতি ধ্বসিয়ে দিতে পারেনি। বরং বিকল্প পথ তৈরি হয়েছে। এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিকল্প পথের নেতৃত্ব দিচ্ছে রাশিয়া ও চীন। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের জারি করা ভিসা নীতি নিয়ে আরও সোচ্চার হওয়ার সুযোগ এসেছে বাংলাদেশের। এখন বাংলাদেশ নিজেদের প্রমাণ করার এই সুযোগটি কাজে লাগাতে পারে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযান; দুটি হোটেলে জরিমানা

আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। সোমবার দুপুরের পৌর এলাকার হাউসপুর দুটি হেটেলে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরী ও বিক্রির অভিযোগে ওই দুটি হোটেলে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে,চুয়াডাঙ্গার ভোক্তা অধকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদের নেতৃত্বে আলমডাঙ্গার হাউসপুরে দুটি হোটেলে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে নোংরা ও অন্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য তৈরী ও বিক্রির অভিযোগে ২০০৯এর ৩৮/৪৩ ধারায মেসার্স মন্ডল মিষ্টান্ন ভান্ডারে ৫ হাজার ও মেসার্স মহুয়া মিষ্টান্ন ভান্ডারে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ অভিযানের সহযোগিতায় ছিলেন আলমডাঙ্গা থানার এসআই মেজবাসহ একদল পুলিশ ফোর্স।




কোটচাঁদপুরে সাংবাদিকদের সাথে মডেল থানার নবাগত ওসির মতবিনিময়

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মডেল থানার নবাগত অফিসার ইনর্চাজ আল-মামুন এর সাথে মতবিনিময় ও পরচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তিনি চাকরি জীবনে বিভিন্ন থানায় ও ঝিনাইদহ ডিএসবির গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের দায়িত্ব পালন করেছেন বলে জানাই।

আজ সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর)সন্ধায় মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজের কার্যালয়ে এ সভা করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মানবজমিন প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম,কালের কন্ঠ প্রতিনিধি কাজী এনাম আহাম্মদ মৃদুল, য়ায়য়ায়দিন প্রতিনিধি আলমগীর খান, পূর্ব অঞ্চল প্রতিনিধি শেখ ইসমাইল হোসেন, আমার সংবাদ প্রতিনিধি মঈন উদ্দিন খান,দৈনিক বীর জনতা পত্রিকা নিজস্ব প্রতিবেদক আব্দুল্লাহ বাশার, ভোরের দর্পন প্রতিনিধি আনোয়ার জাহিদ জামান, আমাদের সময় প্রতিনিধি আব্দুর রউফ, মাথাভাঙা প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ মুকুল, ঢাকা অধিবেশন সবজি আহমদ বকুল,গ্রামের কন্ঠ প্রতিনিধি বাবলু মিয়া,এই আমার দেশ প্রতিনিধি আবুল হাসান, প্রতিদিনের কন্ঠ প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।

এ সময় শুরু হয় উন্মুক্ত আলোচনা। অফিসার ইনর্চাজ কোটচাঁদপুরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও উপজেলা বাসির জান মালের নিরাপত্তা স্বাভাবিক রাখতে সাংবাদিকদের কাছে সহযোগিতা কামনা করেন।




গণমাধ্যমেও মার্কিন ভিসানীতি: সাংবাদিক নেতাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

বাংলাদেশের গণমাধ্যমও মার্কিন ভিসানীতির বিধিনিষেধের আওতায় পড়তে পারে- পিটার হাসের এমন বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। তারা বলছেন, এটা গণমাধ্যমে ভীতির পরিবেশ তৈরি করবে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তারা বলছেন, গণমাধ্যম স্বাধীন সম্পাদকীয় নীতি নিয়ে চলে।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত শুক্রবার ভিসানীতি প্রয়োগ করে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়, এই ভিসানীতির আওয়াতায় পড়বেন সরকারি দল, বিরোধী রাজনৈতিক দল, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। এমন ঘোষণার দুই দিনের মাথায় রোববার ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস জানিয়েছেন, এই ভিসানীতির বিধিনিষেধের আওতায় বাংলাদেশের গণমাধ্যমও আসতে পারে।

পিটার হাসের এমন মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সাংবাদিকে নেতা ও গণমাধ্যমকর্মীরা। বাংলাদেশ অবজারভারের সম্পাদক ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, “প্রশ্ন হলো- গণমাধ্যম সব সময় ন্যায় বিচার, মানবাধিকার, অপশাসন, অন্যায়, অবিচার, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কাজ করে। মানুষের ন্যায়ের পক্ষে কথা বলে। সেখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হলে একটা ভীতির পরিবেশ তৈরি হবে। এটা হলে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাধাগ্রস্থ হবে।” ভয়-ভীতির পরিবেশের মধ্যে কাজ করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, “এটা মেন আমাদের জন্য কাম্য নয়, কেমনি যারা বিধিনিষেধ আরোপ করবে তাদের জন্যও কাম্য নয়। ”

জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, “মিডিয়া কীভাবে একটা দেশের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্থ করে সেটা আমার বোধগম্য নয়। একটা টিভি চ্যানেলে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস মিডিয়া বিষয়ে যা বলেছেন সেটা পরিস্কার নয়। যারা স্বাধীন গণমাধ্যমের কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে- তারা কীভাবে মিডিয়ার বিষয়ে এমন কথা বলে, এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা বলে?” তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র যদি মিডিয়ার বিষয়ে এরকম কোনো সিদ্ধান্ত নেয় তাহলে সেটা হবে দুঃখজনক এবং স্বাধীন গণমাধ্যমের উপর হস্তক্ষেপ।”

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ বলেন, “ভিসানীতি যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়। প্রতিটি গণমাধ্যম নিজস্ব সম্পাদকীয় নীতিতে চলে। বাংলাদেশে গণমাধ্যমের কল্যাণেই দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কিভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বা ক্ষতিগ্রস্থ বা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে সেটা দেশ-বিদেশের মানুষ জানতে পারে।

দীপ আজাদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের সময় সে দেশের গণমাধ্যমগুলো সে দেশের দল বা প্রার্থীকে সমর্থন দেয়। এটা তাদের সম্পাদকীয় নীতি। বাংলাদেশের কোনো গণমাধ্যম যদি গণতন্ত্র ধ্বংস বা ব্যহত করার এজেন্ডা নিয়ে কাজ করে সেটিকে আমরা গণমাধ্যম হিসেবে গণ্য করি না। সেটিকে আমরা সংগঠন বা ব্যক্তির মুখপাত্র হিসেবে গণ্য করি।”

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, “আমরা মনে করি এটি স্বাধীনতারে উপর নগ্ন হস্তক্ষেপ। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাসী। মার্কিন রাষ্ট্রদূতের এমন বক্তব্য আমাদের সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্থ করবে। স্বাধীন মত প্রকাশের এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা বা হস্তক্ষেপ সাংবাদিকদের ভীত করে তুলবে।”




মেহেরপুর পৌর ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জামায়াত- বিএনপির সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে মেহেরপুর পৌর ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকালে পৌর ছাত্রলীগের ছাত্রনেতা রাতুলের নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির বাসভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়।  পরে সেখানে একটি বিক্ষোভ সমাবেশে অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্যে দেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন।

এসময় বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন ছহিউদ্দিন কলেজ ছাত্রনেতা পিন্টু, অমিত, রাব্বি, রাসেল, রকিবুল, লতিফ, সুরুজ, আবির, শাহিন সহ পৌর ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা অংশ গ্রহণ করেন।




কোটচাঁদপুরে হালদার সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ ও সংবাদ সম্মেলন

বাওড়ের রানী মাছ রক্ষায় ও জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন, চুন সহ অন্যান্য কেমিক্যাল দেয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন,কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের মানুষেরা। সোমবার দুপুরে স্থানীয় মুক্তি যোদ্ধা কমপ্লেক্সে এ সম্মেলন করেন তারা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন,কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া মৎস্য জীবি সমবায় সমিতির সিনিয়র সদস্য রশীত হালদার । এ সময় উপস্থিত ছিলেন,সুশান্ত হালদার, দীপেন হালদার ও প্রসেনজিত হালদার।

তিনি বলেন,বাপ দাদার আমল থেকে এ বাওড়ে আমরা মাছ চাষ করে আসছি। আমরা কোনদিন এ বাওড়ে লবন, চুন, কেমিক্যাল ব্যবহার করতে দেখিনি।এ বাওড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির রানী মাছ। এ সব মাছের মধ্যে টেংকা, শরপুটি, তোড়া পাকাল, কাল বাউস, শল্লা আড়, শল, বেলে, রাম বেলে। এ ছাড়া রয়েছে, কুচে, শুনদি, নুন চিংড়ি, গলদা চিংড়ি। এ সব আহরন করে বাওড় পাড়ের গরীব মানুষেরা জীবিকা নিবাহ করে থাকেন।

এরমধ্যে ১৪ এপ্রিল বাওড়টি স্থানীয় সন্তোস হালদার সরকারের কাছ থেকে ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করছেন।

রশীত হালদার অভিযোগ করে বলেন,বাওড়টি পাওয়ার পর থেকে তারা বাওড়ের জল পরিস্কার করার নামে, জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন, চুনসহ বিভিন্ন কেমিক্যাল ব্যবহার করছেন। এতে করে নস্ট হচ্ছে বাওড়ের রানী মাছ। বাওড় হারাচ্ছে তাঁর পরিবেশের ভারসাম্য।

অন্যদিকে,বাওড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের অতি পরিচিত রানী মাছ। যা আর কোন দিন বাওড়ে দেখা যাবে না,সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই দাবী করেছেন হালদার সম্প্রদায়েরা মানুষেরা।

লিখিত বক্তব্যে আরো বলেন,বাওড়ের ইজারা হস্তান্তর যোগ্য না। এরপরও সন্তোষ হালদার নিয়ম বহিভূত ভাবে তা হস্তান্তর করেছেন বিজয় হালদারের কাছে। যার ওই সমিতির সদস্য পদটিও নাই। বিজয় হালদার বাওড়টি বুঝে নিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মানুষের সাথে করে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন। যাদেরকে নিয়ে ইতোমধ্যে তারা বাওড়ে চাষও শুরু করেছেন।

সংবাদ সম্মেলন,তারা এহেন কাজের সুষ্ট তদন্তের দাবি করেছেন। এ ছাড়া বাওড়ের রানী মাছ রক্ষার দাবী তাদের। আর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বাওড়ের জলে অতিরিক্ত মাত্রায় লবন,চুন সহ কেমিক্যাল ব্যবহারের।

এ ব্যাপারে বাওড়ের ইজারা প্রাপ্ত মালিক সন্তোষ হালদার বলেন,এ ব্যাপারে বাওড়ের ইজারা প্রাপ্ত মালিক সন্তোষ হালদার বলেন,রামচন্দ্রপুর মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে বাওড়টি ডাকা। তবে এত বড় বাওড় একা চাষ করা সম্ভব না। এ কারনে কয়েক জন মিলে চাষ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, তারা আমার স্বজাতি ভাই। আমার কাছে আসলে, তাদের একটা ব্যবস্থা করে দিতাম,তা না করে,তারা অন্যের কথা মত হাটছে। তারা যে, অভিযোগ করেছেন, সেটা মিথ্যা। চুন,লবন দিলে জলের কোন ক্ষতি হয় না। বরং আরো ভাল হয়।