বিপিএলের দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট; কোন দলে কারা খেলবেন

বিপিএলের দশম আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়ে গেল রোববার। ঢাকার একটি হোটেলে ড্রাফটের মাধ্যমে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজি দল সাজিয়েছে। ড্রাফটের বড় খবর- বিসিবির ড্রাফট তালিকায় ‘এ’ শ্রেণিতে থাকা মুশফিকুর রহিমকে দলে নিয়েছে তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল।

‘বি’ শ্রেণির ক্রিকেটার আফিফ হোসেন খেলবেন খুলনা টাইগার্সে। একই শ্রেণির ক্রিকেটার রনি তালুকদার খেলবেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। গতবারের চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ড্রাফট থেকে দলে ভিড়িয়েছে ইমরুল কায়েসকে।

তবে ড্রাফট থেকে দল না পাওয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে আলোচিত নাম মুমিনুল হক ও সাব্বির রহমান।

দেখে নেওয়া যাক ড্রাফটের পর কেমন হলো বিপিএলের সাত দল।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: লিটন দাস, মোস্তাফিজুর রহমান, তানভীর ইসলাম, মোহাম্মদ রিজওয়ান, সুনীল নারাইন, তাওহিদ হৃদয়, মঈন আলী, আন্দ্রে রাসেল, ইফতিখার আহমেদ, জামান খান, খুশদিল শাহ, জনসন চার্লস, নুর আহমেদ, নাসিম শাহ, রশিদ খান।
ড্রাফট থেকে: মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী, জাকের আলী, মাহিদুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, রাকিম কর্নওয়াল, ম্যাথু ওয়াল্টার ফোর্ড, ইমরুল কায়েস, মুশফিক হাসান, এনামুল হক।

দুর্দান্ত ঢাকা

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: তাসকিন আহমেদ, আরাফাত সানি, শরীফুল ইসলাম, মোসাদ্দেক হোসেন, চতুরঙ্গা ডি সিলভা, সায়েম আইয়ুব, উসমান কাদির।

ড্রাফট থেকে: সাইফ হাসান, ইফরান শুক্কুর, আলাউদ্দিন বাবু, মেহরাব হোসেন, লাহিরু সামারাকুন, সাদিরা সামারাবিক্রমা, মোহাম্মদ নাঈম, সাব্বির হোসেন, জসিমউদ্দিন।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: শুভাগত হোম, জিয়াউর রহমান, নিহাদউজ্জামান, শহীদুল ইসলাম, মোহাম্মদ হারিস, নাজিবউল্লাহ জাদরান, মোহাম্মদ হাসনাইন, স্টিভ এসকিনাজি।

ড্রাফট থেকে: তানজিদ হাসান, আল আমিন হোসেন, সৈকত আলী, ইমরানুজ্জামান, কার্টিস ক্যাম্ফার, বিলাল খান, শাহাদাত হোসেন, সালাউদ্দিন শাকিল।

খুলনা টাইগার্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: নাসুম আহমেদ, নাহিদুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান, এনামুল হক, এভিন লুইস, ফাহিম আশরাফ, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, শাই হোপ, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র।

ড্রাফট থেকে: আফিফ হোসেন, রুবেল হোসেন, পারভেজ হোসেন, হাবিবুর রহমান, কাসুন রাজিতা, দাসুন শানাকা, মুকিদুল ইসলাম, আকবর আলী, সুমন খান।

রংপুর রাইডার্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: নুরুল হাসান সোহান, শেখ মাহেদী হাসান, হাসান মাহমুদ, আজমাতউল্লাহ ওমরজাই, নিকলাস পুরান, সাকিব আল হাসান, বাবর আজম, এহসানউল্লাহ, মাথিশা পাথিরানা, ব্রেন্ডন কিং, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা।

ড্রাফট থেকে: রনি তালুকদার, শামীম হোসেন, রিপন মণ্ডল, হাসান মুরাদ, মিশেল রিপন, ইয়াসির মোহাম্মদ, আবু হায়দার, ফজলে রাব্বি, আশিকুজ্জামান।

ফরচুন বরিশাল

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, খালেদ আহমেদ, ইব্রাহিম জাদরান, তামিম ইকবাল, শোয়েব মালিক, পল স্টার্লিং, ফখর জামান, মোহাম্মদ আমির, আব্বাস আফ্রিদি, দুনিত ভেল্লালাগে।

ড্রাফট থেকে: মুশফিকুর রহিম, রকিবুল হাসান, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, সৌম্য সরকার, ইয়ানিক ক্যারিয়াহ, কামরুল ইসলাম, প্রিতম কুমার, তাইজুল ইসলাম, প্রান্তিক নওরোজ, দিনেশ চান্দিমাল।

সিলেট স্ট্রাইকার্স

ধরে রাখা ও সরাসরি চুক্তি: মাশরাফি বিন মুর্তজা, জাকির হাসান, তানজিম হাসান, নাজমুল হোসেন, রায়ান বার্ল, বেন কাটিং, হ্যারি টেক্টর।
ড্রাফট থেকে: মোহাম্মদ মিঠুন, রেজাউর রহমান, আরিফুল হক, ইয়াসির আলী, রিচার্ড এনগারাভা, দুশান হেমন্ত, নাজমুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নাঈম ইসলাম, জাওয়াদ রোয়েন, সালমান হোসেন।




মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন

মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রবিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টি দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

জেলা জাতীয় পার্টি আহবায়ক আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মোবারক হোসেন আজাদ, প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন দপ্তর সম্পাদক সমরেস মন্ডল মানিক, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য শেখ হুমায়ুন কবির শাওন, চুয়াডাঙ্গা জেলা জাতীয় পার্টি আহ্বায়ক এ্যাড. সহরাব হোসেন।

সম্মানিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন  বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান শিপন, মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল হাদী।

জেলা জাতীয় পার্টি দ্বিবার্ষিক সম্মেলন সঞ্চালনা করেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহবায়ক কেতাব আলী ও জেলা জাতীয় পার্টি সদস্য আব্দুল মান্নান।

এছাড়াও মেহেরপুর জেলা উপজেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ের জাতীয় পার্টি বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




পরীর ‘পাফ ড্যাডি’ বন্ধে আইনি নোটিশ

ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণি অভিনীত ওয়েব সিরিজ ও সিনেমা ‘পাফ ড্যাডি’র প্রচার, সম্প্রচার ও প্রদর্শন বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী। লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার তিন দিনের মধ্যে পরীমণি অভিনীত ওয়েব সিরিজটির প্রচার ও প্রদর্শন বন্ধের ব্যবস্থা চেয়েছেন তিনি। তিনি জানান, ওয়েব সিরিজটি বেশ কয়েকদিন ধরে একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে সম্প্রচার হচ্ছে।

সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ই-মেইলের মাধ্যমে ও ডাকযোগে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর, ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডির ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়।

আইনি নোটিশে বলা হয়, “সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার সুযোগে সুকৌশলে পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে অশ্লীলতা ছড়িয়ে তাদের বিপথে নেওয়ার মানসে এবং সহজে টাকা উপার্জনের জন্য একটি মহল ওটিটি প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছে। সম্প্রতি এই প্ল্যাটফর্মে অসংখ্য অশ্লীল ওয়েব ফিল্ম রিলিজ হয়েছে। আমাদের প্রাপ্ত তথ্য মতে এমন অসংখ্য মুভি রয়েছে। এসব প্ল্যাটফর্মের প্রায় সকল মুভিতেই কমবেশি যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্যসহ ব্যাপকহারে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানা, দেশি সংস্কৃতিবিরোধী গল্প ও দৃশ্য উপস্থাপন করা হয়। ‘পাফ ড্যাডি’ মুভিতে কোনো পজিটিভ মেসেজ ছিল না! প্রদর্শিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম নেগেটিভ মেসেজ হলো, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ককে প্রমোট করা, বিয়েতে অনুৎসাহিত করা, আধ্যাত্মিক মণীষীর চরিত্রকে অত্যন্ত বাজেভাবে হরণ করা, প্রতি মুহূর্তে যৌন সুড়সুড়ির দৃশ্য উপস্থাপন করা। এ ছাড়া ওই মুভিতে আর কোনো মেসেজ নেই। যা নতুন প্রজন্মের জন্য অশনিসংকেত। বৃহৎ স্বার্থে নিম্নোক্ত নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য আপনার হস্তক্ষেপ একান্ত কাম্য।”

নোটিশে আরও লেখা হয়েছে, “আগামী তিন দিনের মধ্যে ‘পাফ ড্যাডি’ ওয়েব সিরিজের প্রদর্শনী বন্ধ করা। সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করে তাতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পারদর্শী ব্যক্তি কমপক্ষে আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ এবং ধর্মীয় পণ্ডিত যুক্ত করা। ওটিটি প্ল্যাটফর্মসহ ইউটিউব/ফেসবুকে অর্থাৎ অনলাইনে প্রদর্শনের জন্য নির্মিত সব ভিডিওর জন্য সেন্সর নীতিমালা প্রণয়ন করে কঠোরভাবে প্রয়োগ করা। কোনো শৈল্পিক ছোঁয়াবহির্ভূত অশ্লীল ইঙ্গিতবাহী সব অডিও/ভিডিও/গল্প/কার্টুন/পিকচার আপলোডের নীতিমালা প্রণয়ন করা। এসব অডিও/ভিডিও/গল্প/কার্টুন/পিকচার আপলোড করা হলে ফিল্টারিংয়ের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে দ্রুত মুছে ফেলা ও দোষীকে আইনের আওতায় আনাসহ সময়োপযোগী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।”

এ বিষয়ে আইনজীবী জয়নাল আবেদিন মাযহারী গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি দায়িত্ববোধ থেকে করেছি। আমাদের সন্তানরা কী দেখছে? এসব নিয়ে কথা না বললে এটা অব্যাহত থাকবে। আমরা চাই, চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্তৃপক্ষ নিয়মনীতির আওতায় সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র আনুক। আমাদের সন্তানরা যেন ওইসব চলচ্চিত্র দেখে কিছু শেখে। এসব চলচ্চিত্রে কী শেখার আছে। আমি আশাবাদী, কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখে এসব বন্ধ করবে।’

ওয়েব সিরিজিটি পরিচালনা করেছেন সহিদ উন নবী। এতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আজাদ আবুল কালাম। তাকে ঘিরেই যত রহস্য। উঠতি নায়িকা থেকে তরুণ রাজনীতিক, সবাই সাহায্যের জন্য তার কাছে ছুটে আসে। এই ‘বাবা’র আশীর্বাদ পেলেই যেন জাদুকরী উপায়ে প্রসন্ন হয়ে যায় সবার ভাগ্য!

সিরিজে উঠতি নায়িকা টিনার চরিত্রে আছেন পরীমণি। যিনি তার সিনেমা হিট করানোর জন্য ‘পাফ ড্যাডি’র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন। তাদের অন্তরঙ্গ দৃশ্যও উঠে এসেছে কাহিনীতে। ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গবিডিতে অবমুক্ত করা হয় এটি।




অ্যামাজন প্রাইমে চালু হচ্ছে বিজ্ঞাপনভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন

স্ট্রিমিং প্লাটফর্মে আয় নিয়ে বহুদিন ধরেই আলোচনা চলছে। নানা পন্থায় আয় বাড়ানোর বিষয়ে ইতোমধ্যে বহু কথা চলছে। টিভি বা অন্যান্য মাধ্যমে যেভাবে বিজ্ঞাপনে আয় হয় তা নিয়েও ভাবছে অনেকে।

সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইম নতুনভাবে বিজ্ঞাপনভিত্তিক সাবস্ক্রিপশন প্ল্যান চালু করছে। নতুন এই পদ্ধতিতে সাবস্ক্রিপশন ফি কম দিয়ে অনেকে কন্টেন্ট দেখতে পারবেন। সেজন্য কন্টেন্ট দেখার সময় তাদের বিজ্ঞাপন দেখতে হবে। ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও জার্মানিতে প্রথম এমন সুবিধা চালু হবে। তারপর ইউরোপের ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স। স্পেন এবং মেক্সিকোতে চালু হবে।

এমাজন জানিয়েছে তারা এখনই পরিবর্তন আনছে না। নতুন প্রাইজে পরিবর্তন আনার আগে অ্যামাজন ব্যবহারকারীদের জানিয়ে দেবে। স্ট্রিমিং সিস্টেমের দামে পরিবর্তন আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবহারকারীরা অবশ্য ২ দশমিক ৯৯ ডলার বেশি খরচ করলে এখনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই স্ট্রিমিং উপভোগের সুযোগ পাবেন।

সূত্র: দ্য ভার্জ




মেহেরপুরে পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্ত করণ স্থাপনার উদ্বোধন

মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্তকরণ স্থাপনার উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

রবিবার সকালে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার পিপিএম সেবা মোঃ রাফিউল আলম।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আব্বাস উদ্দিন, মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম।

এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশনের প্রশাসক শরিফুল ইসলাম।

পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্তকরণ স্থাপনার উদ্বোধন ও অভিভাবক সমাবেশে সঞ্চালনা করেন সুলতানা রাজিয়া টনি। এছাড়াও মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর  অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে পানির আর্সেনিক এবং আয়রন মুক্তকরণ স্থাপনার বাস্তবায়ন করেন বাংলাদেশ ইম্প্যাক্ট ফাউন্ডেশন মেহেরপুর প্রোগ্রামার।




ডা. রমেশ ক্লিনিকে অপারেশনের পর রোগীর মৃত্যু, ২০ লাখ টাকায় রফা

মেহেরপুর শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিক ‘ডা. রমেশ ক্লিনিকে’ এপেন্ডিকস অপারেশনের পর স্বর্ণালী খাতুন নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। স্বর্ণালী ঐ ক্লিনিকেরই সিনিয়র নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার পর রোগীর আত্মীয়-স্বজন ক্লিনিক ঘেরাও করে হামলার চেষ্টা করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।

নিহত স্বর্ণালী মেহেরপুর পৌর এলাকার হোটেল বাজার পাড়ার মৃত আদম শেখের মেয়ে এবং মেহেরপুর মল্লিকপাড়ার সাদ্দামের স্ত্রী।

গত বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মেহেরপুর পৌর এলাকার মল্লিক পাড়ার রমেশ ক্লিনিকে বহিরাগত চিকিৎসক মস্তফা কামাল জাহিদের পরামর্শে এপেন্ডিক্সের অস্ত্রপচার করা হয় সেখানকারই কর্তব্যরত সিনিয়র নার্স স্বর্ণালী খাতুনের। কিন্তু অপারেশন শেষে পোস্ট অপারেটিভ বেডে নিতেই স্বর্নালীর কার্ডিয়াক এরেস্ট হলে তাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে নেওয়া হয় বলে জানায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দীর্ঘ ৩০ ঘন্টায় অবস্থার উন্নতি না হলে রমেশ ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তাকে ঢাকায় নেওয়ার ব্যবস্থা করে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে ঢাকায় নেওয়ার পথে পথিমধ্যে তার মৃত্যু ঘটে।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস যাবৎ স্বর্ণালী পেট ব্যাথায় ভুগছিল। বৃহস্পতিবার ওটিতে চিকিৎসকদের সাথে চারটি অস্ত্রোপচারে অংশ নেওয়ার পর ক্লিনিকে আসা বহিরাগত চিকিৎসক

মোস্তফা কামাল জাহিদকে স্বর্নালী সমস্যার কথা জানালে চিকিৎসক তাকে অস্ত্রপচারের পরামর্শ দেয়। স্বর্নালীর স্বজনদের না জানিয়েই কোনরকম পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই ক্লিনিকে তার এপেন্ডিক্স অস্ত্রোপচার করা হয়। পরে তার চেতনা না ফেরাতে এলাকায় স্বর্ণালীর মৃত্যু হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনগন ক্লিনিক ঘেরাও করে। সেসময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তার স্বামী সাদ্দামের কাছ থেকে বণ্ডে স্বাক্ষর নেয় (নিয়মানুযায়ী অস্ত্রোপচারের আগে নেওয়ার কথা) এবং মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করে।

নিহতের মামাতো ভাই রুবেল অভিযোগ করে অপারেশনের রাতে বলেন, ‘আমার বোনের অপারেশনের সময় ডাক্তার ছিলো না হাসপাতালের কর্মচারী হাবিব এনেস্থিসিয়া করেছে আর ম্যানেজার শহিদুল অপারেশন করেছে। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শিলন বলেন, বৃহস্পতিবার আমার সামনেই ডা. মেহেদী হাসান বলেছিলেন এনেস্থিসিয়া ইনজেকশন হাবিব দিয়েছে।’

নিহত স্বর্ণালী দেবর সায়ন বলেন, ‘পরিবারের লোকদের না জানিয়ে এবং কোনরকম পূর্ব প্রস্তুতি ছাড়া কিভাবে তারা অপারেশন করলো সেটাই আমি বুঝতে পারছি না। আমি কোনদিন শুনি নাই যে, এপেন্ডিসাইটিস অপারেশন করতে যেয়ে রোগী মারা যায়। তদন্তসহ এই ঘটনার বিচার দাবি করছি। ‘

২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকাল পৌনে চারটায় স্বর্নালীর মরদেহ মেহেরপুর এসে পৌছালে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ও ক্লিনিকটি সীলগালা করে দেওয়ার দাবী জানায়। অবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে পুলিশের অনুরোধে মেহেরপুর পৌর মেয়র ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ মৃতের স্বজনরা আলোচনায় বসে এবং ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ মৃতের পরিবার কে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঘটনার মিমাংসা করে বলে জানা গেছে।

তবে, মেহেরপুর থেকে এবং ঢাকা থেকে মেহেরপুর নিয়ে আসার সময়ের মধ্যে মৃত দেহকে কখন গোসল করানো হলো এবং কাফন পড়ানো হল এটা নিয়েও এলাকাবাসীর রয়েছে প্রশ্ন। ঢাকা থেকে ফিরে আসা এম্বুলেন্সে নার্স স্বর্ণালী খাতুন কে কাফন পড়ানো অবস্থায় দেখা যায়। এ বিষয় জানতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তাদের কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

এঘটনায় অর্ণব, রুবেল, ইমন সহ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীদের অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, গত দুই মাসে এ নিয়ে রমেশ ক্লিনিকে তিন জন কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অপারেশন টেবিলেই প্রান হারিয়েছেন এবং এবছরে মোট পাচ জন মারা গেছেন। ক্লিনিকটি সিলগালা করে দেয়া উচিত।

এনেস্থিসিয়ার চিকিৎসক ডা. মেহেদী হাসান ঘটনার রাতে বলেছিলেন তার পরিবর্তে ঐ ক্লিনিকের এক কর্মচারী হাবিব স্বর্নালীর এনেস্থিসিয়া করেছিলো। এবিষয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হতে সরাসরি ও ফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও ডা. মেহেদী হাসানের সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তিনি আত্মগোপনে চলে গেছেন।

মেহেরপুর পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নুরুল আশরাফ রাজিব মুঠোফোনে জানান, বর্তমানে তিনি দেশের বাইরে আছেন। তিনি বলেন, ‘শুধু রমেশ ক্লিনিকেই নয় মেহেরপুর শহরের অন্যান্য ক্লিনিকেও এ ধরনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। ভুল চিকিৎসা অথবা চিকিৎসা জনিত অবহেলাতে রোগীর মৃত্যু ঘটছে আর পরবর্তীতে রোগীর স্বজনদের সাথে আর্থিক বিনিময় করে ঘটনার মীমাংসা করা হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত। এধরণের ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত যারা তাদের বিচারের আওতায় আনা উচিৎ।’

অস্ত্রোপচার ও পরবর্তী ঘটনা পরিক্রমা সহ আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি নিশ্চিত হতে ডঃ রমেশ ক্লিনিকের ম্যানেজার শহিদুল ইসলামকে বার বার মুঠোফোনে কল দিলেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। ক্লিনিকে গেলে বলা হয় তিনি বাইরে আছেন।

মেহেরপুর ২৫০ শহর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের সময়েই মুলত রোগী কোমাতে চলে গেছিলো। মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে স্বর্নালীর ফুসফুসটি সচল রাখা হয়েছিল। পরবর্তীতে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অনুরোধে শুক্রবার দিবাগত রাত চারটার সময় রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে রেফার্ড করা হয়।’

মেহেরপুরের সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন, ‘ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত আছি, কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মেহেরপুর সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট ছিলাম। ঘটনার দিন থেকেই পরিবারের সদস্যদের বলা হয়েছে অভিযোগ দিতে, কিন্তু তারা কোন অভিযোগ দেয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ‘ কোন আর্থিক লেনদেন হয়েছে কিনা এ প্রশ্ন করলে ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন,’ আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাইরে অবস্থান করছিলাম। লেনদেন হয়েছে এমন একটা কথা শুনেছি। তবে সঠিক তথ্য আমার জানা নাই।’

তবে, মিমাংসাকারী মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুলের সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তারা কিছুই বলতে রাজি হননি।




আলমডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনায় শাশুড়িকে কুপিয়েছে পুত্রবধূ ইয়াসমিন

আলমডাঙ্গায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিপালী খাতুন (৪৮) নামের এক নারীকে কুপিয়েছে তারই পুত্রবধূ ইয়াসমিন।

গতকাল শনিবার আলমডাঙ্গা উপজেলার চিৎলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিপালী খাতুন একই গ্রামের বউবাজার পাড়ার ইয়াকুব আলীর স্ত্রী।

জানা গেছে, সাংসারিক টুকিটাকি কাজ নিয়ে পুত্রবধূ-শাশুড়ির মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় সকালে বটি দিয়ে শাশুড়ীকে কুপিয়েছে পুত্রবধূ। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় শেফালীকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. ওয়াহেদ মাহমুদ রবিন বলেন, শিপালী খাতুনের মাথায় চারটি সেলাই দেয়া হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভর্তি করা হয়েছে।




বাংলাদেশের মানুষ ভয়কে জয় করতে জানে

যুক্তরাষ্ট্র গত মে মাসে ভিসানীতি আরোপের ঘোষণা দিয়েছিল। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যায় তারা ভিসানীতি ঘোষণার কার্যকারিতার কথা জানালো। এই ভিসানীতি কার্যকারিতার কথা তারা তখন জানালো যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
আরেকটু স্পষ্ট করে বললে, নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় গত শুক্রবার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়ার এক বৈঠকে আবারও বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়।

ওই বৈঠকের পর আজরা জেয়া নিজেই এক্সে (সাবেক টুইটার) সচিত্র একটি পোস্ট দিয়েছেন। এতে তিনি লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ, কানাডা, গাম্বিয়া, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের একটি সাইড ইভেন্টের আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আবারও যুক্ত হতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি। আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, অংশীদারত্বের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছি এবং ৯ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে উদারতার সঙ্গে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছি।’

বৈঠকে আজরা জেয়া প্রধানমন্ত্রীকে জানান, তারা রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের জন্য ১১৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেয়া রোহিঙ্গাদের উন্নত জীবিকা নিশ্চিত করতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেন।

জবাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু করা উচিত, অন্যথায় এই অঞ্চল নিরাপত্তা হুমকির মধ্যে পড়বে। কারণ রোহিঙ্গারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে রয়েছে হত্যা, আগ্নেয়াস্ত্র চোরাচালান এবং মাদক কারবার। রোহিঙ্গারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কারণ তাদের প্রত্যাবাসন দীর্ঘায়িত হচ্ছে এবং তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে এবং তারা সেখানে কোনো ভবিষ্যৎ অনুভব করছে না।

একটা বিষয় খেয়াল করলে বুঝা যাবে, উজারা জেয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর পরই বাংলাদেশের উপর যুক্তরাষ্ট্র তাদের ভিসানীতি কার্যকর করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে বুঝা যাচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপর চাপ প্রয়োগের চেষ্টা করেছে। তাদের দাবি ছিলো, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে বলেছেন, তাদেরকে নিজ দেশ ফিরিয়ে নিতে যত তাড়াতাড়ি প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত।

এ থেকে বুঝতে কোনো অসুবিধা নেই যে, রোহিঙ্গাদের কর্মসংসস্থানের প্রস্তাব সরাসরি ফিরিয়ে দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র নাখোশ হয়েছে। এই প্রস্তাব ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট আর কী কী প্রস্তাব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দিয়েছিল তা আমরা জানিনা। মনে হচ্ছে, এমন কিছু প্রস্তাব হয়তো প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছিল যেগুলো তিনি নাকচ করে দিয়েছেন।

এবার আসা যাক বাংলাদেশের আগামী সাধারণ নির্বাচন প্রসঙ্গে। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। অনেকদিন ধরে তারা সেটি বলে আসছে। বাংলাদেশের তরফ থেকেও বার বার জানানো হয়েছে যে, আগামী নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হবে। তারপরও তারা ভিসানীতি আরোপ করে সেটি কার্যকর করতে শুরু করেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- নির্বাচন তো এখনও হয়নি। তার আগেই কেন ভিসানীতি আরোপ ও কার্যকর করা হলো?

এ থেকে এটা স্পষ্ট যে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের নিজেদের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করতেই এসব ভিসানীতি, নিষেধাজ্ঞা জারি করছে। গণতন্ত্র, অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক ভোট শুধুমাত্র ইস্যু। নিজের দেশেই আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে সামনে রেখে যুক্তরাষ্ট্র সরকার তাদের বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করতে নানান কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে। নিজের দেশেই যেখানে বাইডেন প্রশাসন প্রশ্নবিদ্ধ সেখানে অন্যদেশের গণতন্ত্র নিয়ে তাদের এতো মাথা ব্যাথা কেন?

বাংলাদেশেই যে তারা প্রথম ভিসানীতি আরোপ বা নিষেধাজ্ঞা জারি করে তা কিন্তু নয়। সাম্প্রতিক অতীত ঘাটলে দেখা যাবে, যুক্তরাষ্ট্র আরও বহু দেশের সরকারের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদদের উপর একইভাবে ভিসানীতি এবং নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এটা নতুন কিছু নয়। যেখানেই তাদের স্বার্থ জড়িত সেখানেই তারা একই পথে হেঁটেছে। কিন্তু কোথাও তারা সফল হতে পারেনি। সব জায়গা থেকেই ফিরেছে শুন্য হাতে। আমরা যদি ভেনিজুয়েলা থেকে শুরু করে সিরিয়া, ইরান, মিশর, তুরস্ক, রাশিয়া, বেলারুশের দিকে তাকাই তাহলে দেখবো এদের সবার উপরই নিষেধাজ্ঞা জারি কিংবা ভিসানীতি আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু খুব একটা ফল হয়নি।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই সেদেশে সামরিক অভ্যূত্থান হয়েছিল। সেই অভ্যূত্থানে যুক্তরাষ্ট্র ইন্ধন দিয়েছিল। ২০২১ সালে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সৌলু যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধনের বিষয়টি স্পষ্ট করেন। ভেনিজুয়েলায় নিজেদের পছন্দের লোক গুইদুকে প্রেসিডেন্ট করতে না পেরে মাদুরোকে বার বার নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

পাঠকদেরকে হালের একটা তথ্য দিয়ে রাখি। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারতের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্রের উপরও। ১৯৯২ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। বারাক ওবামা ভারত সফরের পর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়। তার সফরের বেশ কিছু দিন পর ভারত নাসার সঙ্গে চুক্তি করল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। গুজরাট দাঙ্গার কারণে তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল। পরবর্তিতে নরেন্দ্র মোদী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্র তার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয়।

বাংলাদেশের রাজনীতি কোন দিকে যাবে, কারা সরকার পরিচালনা করবে- সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার মালিক শুধুই বাংলাদেশের জনগণ। এখানে বাইরের রাষ্ট্র সে যুক্তরাষ্ট্র হোক কিংবা অন্য কোনো দেশ হোক কারোরই হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। যখনই বাইরের কোনো রাষ্ট্র কোনো অজুহাতে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করবে তখনই বুঝতে হবে ওই দেশের বৃহত্তর স্বার্থ আছে। আর এসব নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতি আরোপে এদেশের সাধারণ মানুষের কিছুই যায় আসে না। কারণ বাংলাদেশের মানুষ নিজেরাই নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্ত করেছে এবং করছে।

শেষ করতে চাই আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রসঙ্গ টেনে। মুক্তিযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থা নিয়েছিল। শুধু বিরুদ্ধেই অবস্থান নেয়নি, তারা সরাসরি পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। সেই যুদ্ধে সপ্তম নৌবহর পর্যন্ত পাঠিয়েছিল রিচার্ড মিলহাউস নিক্সন। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাই ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আর আমাদের সংবাদ মাধ্যমেরও উচিত নিষেধাজ্ঞা বা ভিসানীতির বিষয়টি এতো বড় করে না দেখা। বাংলাদেশের মানুষ ভয়কে জয় করতে জানে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




চুয়াডাঙ্গায় এসএসসি-৮৯ ব্যাচের আয়োজনে ডা. শামিম কবিরকে সম্মাননা প্রদান

বন্ধু মহল এস এস সি ৮৯ ও এইচ এস সি ৯১ ব্যাচের আয়োজনে মাগুরার সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. শামিম কবিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় একাডেমি মোড়স্থ সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়ে বন্ধু মহলের অন্যতম সদস্য ডা. শামিম কবির মাগুরা জেলার সিভিল সার্জন হিসাবে দায়িত্ব গ্রহন করায় এ সন্মাননা প্রদান করা হয়।

বন্ধু মহলের সভাপতি এজাজ হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ্যাড. মনিবুল হাসান পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, সাংবাদিক বিপুল আশরাফ ও মোশারফ হোসেন। পরে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ডা. শামিম কবির। তিনি বলেন, বন্ধুত্বের মধ্যে কোন ভেদাভেদ নেই। ধনী, গরীব নির্বিশেষে সবাই আমরা এক কাতারে কাজ করতে চাই। তার উপর অর্পিত দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করতে পারি, সেই জন্য সকল বন্ধুদের সহযোগিতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বন্ধু মহলের সদস্য হামিমুজ্জামান সুমন, সাজ্জাত হোসেন বাদল, মিজানুর রহমান, খোকন, লিটন, আব্দুল হালিম, জাহাঙ্গীর, সাহিন মিয়া, টুটুল, শফিকুল, মুকুল, খন্দকার শামিম, হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গায় লোকমোর্চার মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা

চুয়াডাঙ্গায় নারীর প্রতি সহিংসতা ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জেলা লোকমোর্চার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বেলা এগারোটায় চুয়াডাঙ্গা ওয়েভ ফাউন্ডেশন ট্রেনিং সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, জেলা লোকমোর্চার সভাপতি এ্যাড. বেলাল হোসেন। সামাজিক পুঁজি গঠনের মাধ্যমে স্হানীয় প্রশাসনের সহায়তায় সরকারি সেবাসমুহ জনবান্ধব লোকমোর্চার প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশন ও লোকমোর্চা।

সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম সনি। এরপর বাল্য বিবাহের অশুভ পরিণাম ও প্রতিরোধে করণিয়সহ জেলা লোকমোর্চার পক্ষ থেকে প্রশাসনের নিকট দাবিনামা তুলে ধরেন অতিথিদের মাঝে কিশোর কিশোরী ক্লাবের মেন্টর উম্মে মায়মুনা। এরপর নিজের বাল্যবিয়ে নিজে কি ভাবে প্রতিরোধ করেছে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন আনিকা। বাল্যবিবাহ হিন্দু ধর্মের কথা নিয়ে আলোচনা করেন দেবেন্দ্রনাথ বাবু লাল। ইসলামের বাল্য বিবাহের সমুহ নিয়ে আলোচনা করেন সভায় কাজি শামসুল হক। এরপর অতিথি ও উপস্থিত লোকমোর্চার সদস্যগণদের সাথে সভায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে জেলার কাজিদের সাথে আলোচনা করা হয়। এসময় সভাটি উপস্থাপন করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল আলিম সজল।

এসময় সভার প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ নিয়ে বলেন, বাল্যবিবাহ একটি সামাজিক ব্যাধি। বাল্যবিবাহের প্রতিটা আইন কার্যকর হচ্ছে। বাল্যবিবাহ বন্ধ করতে হলে মানসিক আর বিবেক টা কে ত্যাগ করতে হবে। বাল্য বিবাহ নিয়ে সরকার অটুট। বাল্যবিবাহ সবাইকে বন্ধ করতে হবে। বাল্যবিয়ে একটি অপরাধ। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করতে হলে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বাল্যবিবাহ যারা সাহায্য করে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে শাস্তি দেওয়া হবে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন করতে হবে তাহলে বাল্য বিবাহ বন্ধ হবে। পরিবার থেকে নৈতিক শিক্ষা ও সামাজিক সচেতনতা থাকলে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা যাবে। বাল্যবিবাহের সাহায্য কারিদের ধরে নিয়ে এসে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চার সভাপতি আবুল কালাম আজাদ, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহিদুল আলম, সদর উপজেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক পারভীন লাইলা, সহ-সভাপতি নাবিলা রুখসানা ছন্দা, ও নাসির আহাদ জোয়ার্দার, দপ্তর সম্পাদক নাসির জোয়ার্দার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ বিশ্বাস মিল্টু, জেলা লোকমোর্চার প্রচার প্রকাশনা সম্পাদক আহাদ আলী মোল্লা, নির্বাহী সদস্য সেলিমুল হাবিব সেলিম, লোকমোর্চার সদস্য জামান আক্তার, নুরুনাহার কাকলি, শিরিনা ইয়াসমিন, ইলিয়াস হোসেন, শেখ লিটন, উম্মে হাবিবা, হেলেনা নাসরিন, আঞ্জুমান আরা, জেলা লোকমোর্চার সচিব ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রোগ্রাম অফিসার কানিজ সুলতানা, প্রমুখ।