আমেরিকা যাদের বন্ধু, তাদের শত্রুর প্রয়োজন হয়না

সারা বিশ্বে দুর্বলের ওপর সবলের অত্যাচার, অবিচার, জুলুম ও নিপীড়ন চরম আকার ধারণ করেছে। পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তে যুদ্ধ-বিগ্রহ, হানাহানি ও হত্যাযজ্ঞ চলছে। যদি প্রশ্ন করা হয় এর জন্য দায়ী কে,তাহলে সহজভাবেই উত্তর আসবে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে সেসকল যুদ্ধ-বিগ্রহ চলছে এর জন্য দায়ী আমেরিকা।

স্থানীয় আদিবাসীদের নির্মম- নিষ্ঠুর পন্থায় হত্যা করে ইউরোপীয় বেনিয়ারা ১৭৭৬ সালের ৪ জুলাই প্রতিষ্ঠা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র । প্রতিষ্ঠা লাভের পর ২৪৭ বছরে এক দিনের জন্যও এ দেশটি বিনা যুদ্ধ বসে থাকেনি। এরা বিশ্বের মোড়ল। মানবতা রক্ষার নামে নিজেরা অস্ত্র ব্যবহার করে। আবার অন্যদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করে তা ব্যবহার করার জন্য। এরা যুদ্ধের পটভূমি তৈরি করে বন্ধুত্বের মাধ্যমে, তারপর নিজেরদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বিভিন্ন ধরণের চাপ প্রয়োগ করতে থাকে, ছরি ঘুরাতে থাকে বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্রের উপর। নিজেদের প্রেস্ক্রিপশানে বন্ধু রাষ্ট্রকে চালাতে থাকে, কথা না শুনলেই শুরু করে যুদ্ধ মিশন। কখনও সরাসরি আবার কখনও অস্ত্র ও গোলাবারুদ সরবরাহ করে সংঘাত জিইয়ে রাখে। নিকট অতীতে আমেরিকার কূটকৌশলে অনেক দেশ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়েছে ।

১৯৭৯ থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানকে দখল করে রেখেছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের একচ্ছত্র আধিপত্য মেনে নিতে পারেনি আমেরিকা। তখন সোভিয়েত ইউনিয়নকে হটানোর জন্য আফগানিস্তানে তালেবান যোদ্ধাদের প্রশিক্ষণসহ অস্ত্র- গোলাবারুদ সরবরাহ করতে থাকে আমেরিকা। সৃষ্টি হয় সন্ত্রাসী সংগঠন আল কায়েদার। একসময় আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যায় সোভিয়েত ইউনিয়ন।

পরবর্তীতে আমেরিকা তালেবানদের নিয়মিত অর্থ এবং অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করে দিলে তাদের সম্পর্কের অবনতি হয়, ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর আল কায়েদা আমেরিকার টুইন টাওয়ারে হামলা করে যা আমেরিকা এবং আফগানিস্তানকে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের দিকে ধাবিত করে। সন্ত্রাস নির্মূলের নামে যুক্তরাষ্ট্র ২০ বছর যাবৎ আফগানিস্তানে সৈন্য মোতায়েন করে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে থাকে। ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘কস্ট অব ওয়ার প্রজেক্ট’ অনুসারে ২০২১ সালের এপ্রিল পর্যন্ত যুদ্ধে আফগানিস্তানে ১,৭৪,০০০ জন মানুষের মৃত্যু হয় ।

২০২০ সালের ২৯শে ফেব্রুয়ারি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তালেবান দোহায় শর্তসাপেক্ষ শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তিতে বলা হয় যে ১৪ মাসের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করা হবে, পরিবর্তে তালিবান চুক্তির শর্তাবলী অনুযায়ী “আল-কায়েদাসহ এর কোনো সদস্য, অন্য ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়ে এমন কার্যক্রম করার অনুমতি প্রদান করবে না ।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকা পারমাণবিক বোমা দিয়ে জাপানের হিরোশিমাতে প্রায় ১,৪০,০০০ এবং নাগাসাকিতে প্রায় ৭৪,০০০ লোককে হত্যা করে। পরবর্তীকালে এ দুই শহরে বোমার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় সৃষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান আরও ২,১৪,০০০ মানুষ। দুই শহরেই মৃত্যুবরণকারীদের বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক ব্যক্তি।

মধ্যপ্রাচ্যসহ আফ্রিকার বেশ কয়েকটি ইসলামিক রাষ্ট্রপ্রধান আমেরিকার সকল অসংগতির বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে আসছিল তখন। এসকল রাষ্ট্রপ্রধানদের ক্ষমতাচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে নেমে পরে আমেরিকা। একনায়কতন্ত্র হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার স্লোগানকে সামনে রেখে একে একে প্রতিটি দেশের জনগণকে উস্কে দেয় আমেরিকা। আরব বসন্তে অবদান রাখায় একজন নারী সাংবাদিককে নোবেল শান্তি পুরস্কারও দেয়া হয় যদিও একটা বড় অংশের দাবী, মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্যই নোবেল শান্তি পুরস্কার দিয়ে আন্দোলনকে আরো উস্কে দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

মিসরে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রতিবাদকারীরা মাঠে নামে। প্রতিবাদ ক্রমেই উত্তাল হয়। ১১ ফেব্রুয়ারি প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক পদত্যাগ করেন। দেশটি ধীরে ধীরে গণতন্ত্রের পথে হাঁটা শুরু করলেও দুই বছর পর ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাতেই যায়। আরো কঠোরভাবে ফিরে আসে সেনাশাসন। যে তিউনিসিয়া থেকে আরব বসন্তের সূচনা হয়েছিল সেখানে গণতন্ত্র খুব শক্ত ভিত গাড়তে পারেনি। অগ্রগতি যা হয়েছে তা সামান্যই।
পার্শ্ববর্তী লিবিয়া গাদ্দাফিকে হটালেও দেশটি গৃহযুদ্ধ থেকে বের হতে পারেনি। সরকারিভাবে লিবিয়ায় মার্কিন সৈন্যের সংখ্যা সীমিত। কিন্তু সৈন্য সংখ্যা কম থাকার মানে যে লিবিয়ার ভেতরে তাদের তৎপরতা কম, তা কিন্তু নয়। গাদ্দাফিকে হত্যার পর থেকেই লিবিয়াতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। তার মৃত্যুর পর যারা দেশটিতে ক্ষমতায় এসেছে তাদের চেয়ে তিনি অনেক ভালো ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশ ইতালি এরইমধ্যে নিজেদের এই ভুল স্বীকারও করেছে।

ইয়েমেনে সৌদি মার্কিন আগ্রাসন ছিলো ভয়াবহ। ইয়েমেনকে রক্ষার নামে সেখানে গণহত্যা চলেছে যার নেতৃত্বে ছিলো সৌদি মার্কিন জোট। মার্কিন সরকার স্বীকার করেছে যে ইয়েমেনের সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহর বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটকে তারা সীমিত পর্যায়ে সামরিক সমর্থন দিয়েছে। এতে কিন্তু স্পষ্ট এই ইয়েমেনে তথকথিত যুদ্ধের নামে সেখানে কী করেছে তারা!

সিরিয়ায় এখন ১৫০০ মার্কিন সৈন্য তৎপর রয়েছে। এরা সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফোর্স, এসডিএফ-কে নানা ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকার বলছে, এসব সাহায্যের মধ্যে রয়েছে বোমা বর্ষণ করা, স্থানীয় বাহিনীগুলোর মধ্যে সমন্বয় করা এবং অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করা। সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপের কারণে অন্তত ৩.৫ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে। আরও ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি গৃহহীন জীবন যাপন করছে। প্রশ্ন হলো, ভিনদেশে যেখানে সে দেশের জনগণ রাষ্ট্র পরিচালনা করবে সেখানে আমেরিকান সৈন্য কেন থাকবে? কেন এত রক্তপাত ঘটাবে?

এভাবেই আরব বসন্তের নাম করে আমেরিকা নিজেদের বিরুদ্ধাচারণ করা সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করে দেশে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে গেছে। এক হিসাবে বলা হয় আরব বসন্তের ফলে মাত্র পৌনে দুই বছরে লিবিয়া, সিরিয়া, মিশর, তিউনিসিয়া, বাহরাইন ও ইয়েমেনের মোট দেশীয় উৎপাদনের ক্ষতি হয়েছে দুই হাজার ৫৬ কোটি মার্কিন ডলার।

ইরাকের প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের কাছে ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র রয়েছে। আর তা থেকে ইরাকি জনগণকে মুক্ত করতে সেনা অভিযান পরিচালনা করা প্রয়োজন। শুধুমাত্র এই অনুমান নির্ভর তথ্যের উপর ভিত্তি করে ২০ মার্চ, ২০০৩ তারিখে মারণাস্ত্র ধ্বংস করার নামে তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরাকে হামলা শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট। হামলায় ২ লাখ বেসামরিক ইরাকিকে হত্যা করে আমেরিকা এবং প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে বন্দি করে পরবর্তীতে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে।দখল করে নেয় ইরাকের সকল তেলের খনি।

সাদ্দামকে সরানোর পর ইরাকে আমেরিকার নেতৃত্বাধীন কোয়ালিশন প্রভিশনাল অথরিটি নামে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়। যার প্রধান ছিলেন পল ব্রেমার। এ সময় ইরাকে সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা ভেঙে দেয়া হয়। এছাড়া ইরাকে বহু বছর ক্ষমতায় থাকা বাথ পার্টিকেও সরকার গঠনে অংশ নিতে বাধা দেয়া হয়। এসময় দেশটিতে হাজার হাজার প্রশিক্ষিত সেনা সদস্য বেকার হয়ে পড়ে এবং সরকার ও প্রশাসনে শূন্যতা তৈরি হয়। নতুন করে মাথা চারা দিয়ে উঠে জঙ্গিবাদ ।

বাস্তবতা হলো, ওই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের ২০ বছর পার হয়ে গেলেও ইরাকে আজ পর্যন্ত এখনো মারণাস্ত্র পায়নি যুক্তরাষ্ট্র। অথচ এই অভিযোগেই ইরাকে হামলা চালানো হয়। দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ঝুলানো হয় ফাঁসির দড়িতে। পরবর্তীতে আমেরিকা স্বীকার করে নেয় যে ইরাক হামলা তাদের ভুল ছিলো এবং কোন মরণাস্ত্র ইরাকে ছিলো না।

মধ্যপ্রাচ্য,এর মজুত তেল এবং কৌশলগত জলপথ (সুয়েজ খাল) নিয়ন্ত্রণের জন্য ইসরাইল-ফিলিস্তিনের দীর্ঘ সংঘাতে ইসরাইলের পক্ষপাতিত্ব করে আসছে আমেরিকা। মূলত আরব দেশগুলোকে চাপে রাখতে ইসরাইলকে সরাসরি সমর্থন দেয় আমেরিকা।

দীর্ঘদিন যাবৎ দক্ষিণ এশিয়ার দেশ পাকিস্তানকে জঙ্গিবাদের হাব হিসেবে ব্যবহার করে আসছে আমেরিকা। তালেবান কিংবা আল কায়েদার উত্থানে তাদের প্রশিক্ষণে যেভাবে আমেরিকা পাকিস্তানের ভূমিকে ব্যবহার করেছে একইভাবে তালেবান/আল কায়েদার ধ্বংসের জন্যও পাকিস্তানকে ব্যবহার করেছে আমেরিকা। এই সুযোগে বছরের পর বছর পাকিস্তানকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কিনতে বাধ্য করেছে আমেরিকা। যা পাকিস্তানের সামরিক খাতের বরাদ্দ দেখলেই বুঝা যায়। ২০২১-২২ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও প্রতিরক্ষা খাতে পাকিস্তানের বরাদ্ধ ছিল মোট বাজেটের ১৬ শতাংশ।

বলা হয়ে থাকে যে, এ পর্যন্ত পাকিস্তানে যত সামরিক শাসক ক্ষমতায় এসেছে সবাই আমেরিকার পছন্দসই ব্যক্তি ছিলেন। পাকিস্তানে কে কখন সরকার প্রধান হয়ে ক্ষমতাসীন হবে আবার কে কখন ক্ষমতাচ্যুত হবে তা অনেকাংশেই আমেরিকার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বক্তব্য থেকেই যা স্পষ্ট হয়ে যায়।

আমেরিকার নির্দেশনায় চলা পাকিস্তানে আজ পর্যন্ত কোন রাষ্ট্রপ্রধান তার ক্ষমতার মেয়াদ পুরোপুরি শেষ করে যেতে পারেনি। মূলত নিজেদের স্বার্থরক্ষার জন্যই আমেরিকা পাকিস্তানের রাজনীতিতে যখন যাকে প্রয়োজন তাকে ক্ষমতাসীন করে আবার যখন ক্ষমতাচ্যুত করে। ফলস্বরূপ পাকিস্তানে দিনের পর দিন রাজনৈতিক,অর্থনৈতিক টানাপোড়ান চলতেই থাকে।




দর্শনা সীমান্তে ৪০ লক্ষ টাকার রুপার গহনা পাচারকালে স্বামী-স্ত্রীসহ আটক ৩

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৪০ লাখ টাকার ভারতীয় রুপার গহনাসহ স্বামী -স্ত্রীসহ ৩ চোরাকারবারীকে আটক করেছে ৬ বিজিবি।এ ঘটনায় বিজিবি বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করেছে মামলা।

জানাগেছে আজ শনিবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি নেতৃত্বে অভিযান চালায় নাস্তিপুর গ্রামের হায়দারের বসতবাড়িতে।

এ সময় ৬ বিজিবির বাড়াদী বিওপি কমান্ডার নায়েক সুবেদার জাকির হোসেন ও সুলতানপুর ক্যাম্পের বিওপি কমান্ডার দুলাল হক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ সীমান্ত পিলার ৮০/৬-আর হতে আনুমানিক ২শ মিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে নাস্তিপুর ওয়াসিম বিশ্বাসের ঘর তল্লাশী করে। পরে বিজিবি সশস্ত্র টহল দল বর্ণিত ব্যক্তির বাসার ভিতর রক্ষিত ড্রেসিং টেবিলের নীচে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা অবস্থায় একটি গামছা দিয়ে বাধা পোটলা উদ্ধার করে।

উদ্ধারকৃত পোটলার ভিতর থেকে স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ২০টি প্যাকেট থেকে ২৩ কেজি ৪৭০ গ্রাম (২০১২ ভরি) ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনা জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মৃল্য ৪০ লাখ ৩০ হাজার টাকা।

এ ঘটনায় বিজিবি সশস্ত্র টহল দল ৩ চোরাকারবারীকে আটক করে। আটককৃত চোরাকারবারী দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের মৃত হায়দোর আলীর ছেলে ওয়াসিম বিশ্বাস (৩৮) ওয়াসিম বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাঃ রিমা খাতুন (২৭),ও একই গ্রামের মৃত হায়দোর আলীর স্ত্রী মোছাঃ আরবী খাতুন (৫৫),আটক করে। এ রুপার গহনা উদ্ধারের ঘটনায় বিজিবি পলাতক হিসাবে নাস্তিপুর গ্রামের শিমুল বিশ্বাসের স্ত্রী মোছাঃ সোনিয়া (৩০)ও আনছার আলীর ছেলে আমানত (৩২)কে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করে।

আজ বাড়াদী ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার জাকির হোসেন বাদি হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের করে। ভারতীয় তৈরীকৃত রুপার গহনাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব আর্থ-রাজনৈতিক স্বার্থে এই ভিসানীতি

নতুন এই ভিসা নীতির পিছনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে নিজস্ব আর্থ-রাজনৈতিক স্বার্থ। বিশ্ব অর্থনীতিতে চিন, জাপান ও ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্ত অবস্থান মার্কিন প্রশাসনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার জাতীয় অর্থনীতির আকার দিনকে দিন কমছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড়ো ঋণগ্রস্ত দেশে পরিণত হয়েছে।

সাম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধে পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ফলে তারা এশিয়া, আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে বর্ধিষ্ণু অর্থনীতির দেশগুলোকে দমিয়ে রাখার কৌশল হাতে নিয়েছে। তাছাড়া ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের কাছ থেকে যে সুবিধা আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র সেই সুবিধা বাংলাদেশ দিতে প্রস্তুত নয়। কারণ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ ভারসাম্যমূলক কূটনীতির ক্ষেত্রে মার্কিন চাওয়া চরম বাধা।

গত ২৪ মে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন হঠাৎ করেই নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণার প্রায় চার মাসের মাথায় ২২ সেপ্টেম্বর থেকে এই ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণা জানান যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। তার বিবৃতিতে উঠে এসেছে যে ভিসা নীতির আওতায় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দলের সদস্যরা অন্তর্ভূক্ত রয়েছেন।

এই ভিসা নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখীনীতির একটি চমৎকার উদাহরণ। পাকিস্তানে নূন্যত্বম গণতান্ত্রিক চর্চা না থাকা সত্ত্বেও ২০২১ ও ২০২৩ সালে আমেরিকা কর্তৃক আয়োজিত ডেমোক্রেসি সামিতে পাকিস্তান আমন্ত্রণ পায়। বাংলাদেশকে একবারও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। যদিও এর সদুত্তর নেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। যেমনটা সৌদি আরবে রাজতন্ত্র থাকা সত্ত্বেও সৌদি আমেরিকার ভালো বন্ধু

স্বার্থ হাসিলের জন্য অন্য রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রণীত সংরক্ষিত ভিসা নীতি বা নিষেধাজ্ঞা জারি কোনো সভ্য দেশের কাজ হতে পারে না। একটি পরাশক্তি দেশের এমন আচরণ দুঃখজনক। তাছাড়া ঘোষিত ভিসা নীতি মানবাধিকারেরও স্পষ্ট লঙ্ঘন। পৃথিবীতে মানুষের স্বাধীন চলাচল তার রাজনৈতিক মতাদর্শের ওপর নির্ভরশীল হতে পারে না। বাংলাদেশ-আমেরিকা পরস্পরের সঙ্গে কোনো যুদ্ধ পরিস্থিতিতে নেই। এ ধরনের ভিসা নীতি সাধারণ যুদ্ধরত দেশগুলোর মধ্যে হয়ে থাকে।

শেখ হাসিনা সরকার বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলেছেন। ২০০০ সালের পর থেকে বাংলাদেশে যে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির উত্থান ঘটেছিল, তা দমনে তাঁর সরকার নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে। সন্ত্রাসদমনের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের এই উত্থান মার্কিন আগ্রাসী স্বার্থে আঘাত হেনেছে বলেই, তারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতের ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। কারণ তাদের কার্যক্রম থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়, একটি গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের বদলে মার্কিন প্রশাসন মৌলবাদ ও জঙ্গীবাদকে প্রশ্রয় দিতে চাইছে।
এটা স্পষ্টতই বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মার্কিন প্রশাসনের অবৈধ হস্তক্ষেপের একটি নিকৃষ্ট নজির। কূটনৈতিকভাবেও এই নীতি অগ্রহণযোগ্য। নানা অপ-তৎপরতার পরও মার্কিন পরাশক্তি যেহেতু বাংলাদেশকে তার নিজস্ব পররাষ্ট্রনীতি থেকে সরাতে পারেনি, সেহেতু ‘অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের’ আড়ালে তারা কার্যত বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিশ্বের দ্বি-মেরু বিভাজনকে সবসময়ই নেতৃত্ব দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধসহ সাম্প্রতিক নানা আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশ তার জোট-নিরপেক্ষ ও স্বাধীন অবস্থান বজায় রেখেছে। আধিপত্যবাদী মার্কিন প্রশাসন কোনোভাবেই এ পরিস্থিতি মেনে নিতে পারছে না।

অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে আমূল বদলে যাওয়া আজকের পৃথিবীতে তথাকথিত মার্কিন কর্তৃত্ববাদের কোনো ঠাঁই নেই। এই বাস্তবতা মেনে নিতে পারছে না বাইডন প্রশাসন। বাংলাদেশের মতো একটি মধ্যম আয়ের বন্ধু রাষ্ট্রের বিষয়ে তাদের নতুন ভিসা নীতিটি একদিকে যেমন অমানবিক, তেমনি মার্কিন প্রশাসনের হঠকারিতারও উদাহরণ। এই হঠকারিতা অবশ্য নতুন নয়। ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার গঠনের পর থেকেই বাংলাদেশ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

ড. ইউনুস থেকে শুরু করে র্যাব কর্মকর্তাদের ওপর তথাকথিত নিষেধাজ্ঞা জারি আর আজকের এই নয়া ভিসি নীতির প্রতিটি ক্ষেত্রেই মার্কিন প্রশাসন ভুল পদক্ষেপ নিয়েছে, যা বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সুসম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।




মেহেরপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির পথসভা

মেহেরপুরে সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফতেপুরে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির পথসভা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

 আজ শনিবার বিকেলে মেহেরপুর বুড়িপোতা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই পথসভা এবং আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন, মেহেরপুর সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বুড়িপোতা ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহজামান, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, মেহেরপুর জেলার ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ মিলন আহমেদ সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি আলোচনা সভা

৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচতে এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আজ শনিবার রাতে কাথুলি বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জাতীয় পার্টি অস্থায়ী কার্যালয়ে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি সদস্য সচিব আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কমিশনার ও জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ মোসলেম আলী।

প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি নেতা মোঃ মামলত হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি নেতা আমিরুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি নেতা নজরুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টি নেতা সোহরাব হোসেন।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির সদস্য লাল চাঁদ মিয়া, ওহাব মিয়া, লুৎফর রহমান সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীবৃন্দ।

সাবেক কমিশনার ও জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ মোসলেম আলী তিনি মেহেরপুর প্রতিদিন কে জানান যে তৃণমূল নেতাকর্মীরা এমপি প্রার্থী হিসেবে তার নাম কেন্দ্রে প্রস্তাব করেছে।




আগেও অনেক দেশ মার্কিন ভিসানীতি আমলে নেয়নি

বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ করার জন্য আমেরিকা ঘোষিত নতুন ভিসানীতি প্রয়োগের ঘোষণা এসেছে শুক্রবার। ঘোষণার পর থেকে বিরোধী দল এটিকে সরকারের ওপর চাপ হিসেবে প্রচারের চেষ্টা করলেও এই ভিসানীতির আওতায় কারা পড়বে তা এখনও স্পষ্ট নয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে যেসব দেশকে এই ভিসানীতির ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে তাদের ‘গ্লোবাল স্ট্যাটাস ভ্যালু’ বাংলাদেশের চেয়ে কম। তারাই এই ভিসানীতি আমলে নেয়নি, বাংলাদেশের শঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আমেরিকা তার দেশে কাকে ভিসা দেবে না সেই এখতিয়ার তার আছে। সেটা তাদের আভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আইন-শৃংখলা বাহিনী, সরকারি ও বিরোধী দলের যেসব সদস্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ওই ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।

এরপরপরই নিউইয়র্কে বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশবাসী ভোট দিলে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু বিদেশ থেকেও নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপ জনগণ মেনে নেবে না। তার দল সংবিধানের ৭ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগণের ক্ষমতায় বিশ্বাস করে। যদি কোনও কারণে নির্বাচন বানচালের কোনও পদক্ষেপের ক্ষেত্রে যারা উদ্যোগ নেবে, বাংলাদেশের জনগণ তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে।

এর আগে আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো আফ্রিকার কয়েকটি দেশে। সেসব দেশ হচ্ছে – নাইজেরিয়া, উগান্ডা এবং সোমালিয়া। এসব দেশে কোনটিতে নির্বাচনের আগে কোনটিতে নির্বাচনের পরে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ভিসানীতি ঘোষণার পরে সকলের মনে প্রশ্ন- বাংলাদেশের ক্ষেত্রে কী হতে যাচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এর আগে আফ্রিকার দেশগুলোতে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞা আসলেও সেটা যে উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিলো তা কার্যকর হয়নি।

বাংলাদেশে ভিসানীতি ঘোষণার ঠিক নয় দিন আগে একই ধারা ব্যবহার করে নাইজেরিয়াতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। সেখানে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটারদের ভয় দেখানো, ভোটের ফলাফল কারচুপি ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা। ২০১৯ সালের নির্বাচনের এক মাস আগেও আমেরিকা ঘোষণা করেছিল – নাইজেরিয়ায় নির্বাচন সুষ্ঠু না হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হবে।

আফ্রিকার আরেক দেশ উগান্ডাতেও নির্বাচন ঘিরে কিছু ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছিল। ভিসা নিষেধাজ্ঞার তেমন প্রভাব উগান্ডায় পড়েনি। উগান্ডায় ১৯৮৬ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট ইওয়েরি মুসেভেনি, একই সাথে রাষ্ট্রপ্রধান ও সেনাপ্রধান। প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাঁকে দেশে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনার জন্য প্রশংসা করেণ। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে উগান্ডায় সাধারণ নির্বাচনের পর আমেরিকার তরফ থেকে কিছু ব্যক্তির উপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার সময় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, বিরোধী দলের প্রার্থীদের ধারাবাহিকভাবে হয়রানি করা হয়েছে এবং কোন অভিযোগ ছাড়াই আটক করা হয়েছে। তবে সে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি।

এদিকে সোমালিয়ার নির্বাচনে নাগরিকদের সবার ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল না। সেখানকার নিয়ম অনুযায়ী বিভিন্ন গোষ্ঠীর নেতারা সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন। এর পরের ধাপে সেই সংসদ সদস্যরা ভোট দিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন। ভিসানীতির পর কিছু মেনে নিতে হয়েছে তাদের। কারণ সোমালিয়ায় আমেরিকার যথেষ্ট প্রভাব আছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা রাজনীতিবিদদের জন্য একটা ধাক্কা ছিল, কারণ সোমালিয়াকে পশ্চিমা সাহায্যের জন্য নির্ভর করতে হয়।

চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, শুক্রবার ঘোষণা এসেছে বাংলাদেশে আমেরিকার নতুন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে। যার অর্থ এখন থেকে প্রয়োগ হবে। এই ধরনের কোন ব্যক্তি অ্যাপ্লাই করলে তাকে ভিসা নাও দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটি। তবে এই ঘোষণার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বন্ধু দেশ হিসেবে তাদের বুঝার দরকার ছিলো। তারা ঘোষণা না দিয়েও ভিসা না দিতে পারতো। ঘোষণা দিয়ে বিষয়টা পাবলিক করাটা দৃষ্টিকটু, অবন্ধুসুলভ আচরণ। আমাদের সরকার বিরোধীদল কারোর এটি গ্রহণ করা উচিত না, সোচ্চার হওয়া উচিত সবার।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ফজলুল হালিম রানা এটিকে লঘু শাস্তি উল্লেখ করে বলেন, এখন দেখার বিষয় বাংলাদেশ এই ভিসানীতির বিপরীতে করণীয় কী নির্ধারণ করে। এর আগেও একই কারণে নাইজেরিয়া, উগান্ডা, সোমালিয়াকে কেন্দ্র করে ভিসানীতি প্রয়োগ করা হয়েছে। সেসব দেশে কী ঘটেছে? কোথাও কোথাও নির্বাচনের আগে, কোথাও নির্বাচনের পরে ভিসানীতি প্রয়োগ করে আমেরিকা। নাইজেরিয়া, উগান্ডা এই সিদ্ধান্ত তোয়াক্কা করেনি। নাইজেরিয়ার জনগণ যারা আমেরিকায় বাস করে তারা সেখানে বসেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেসব কথা বলেছে তা ভিসানীতির আওতায় পড়ার মতো হলেও দেশটি কিছুই করতে পারেনি। উগান্ডাতেও তেমন হয়েছে। ফলে এটা তোয়াক্কা না করলেই হয়।

বাংলাদেশের জন্য সেটা অসম্মানজনক কিনা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যেকোন রাষ্ট্রের স্ট্যাটাসের জন্য এটা সম্মানহানিকর। যে তিনটি দেশের কথা বলা হচ্ছে তাদের চেয়ে রাষ্ট্রের ব্রান্ডিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান উঁচুতে। আবার গ্লোবালি বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের ব্র্যান্ডিং ভ্যালু আছে। নাইজেরিয়া-সোমালিয়া-উগান্ডার কাতারে বাংলাদেশকে নামানো হয়েছে এভাবে না ভেবে আমি মনে করি, যে ভিসানীতি নাইজেরিয়া-উগান্ডার মতো দেশ আমলে নিচ্ছে না, সেটা বাংলাদেশ থোড়াই কেয়ার করবে।’




আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউপি আ’লীগের কর্মি সভায় এমপি ছেলুন

আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আয়োজনে কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার বিকেলে নাগদাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ কর্মি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,আওয়ামী লীগের শক্তিহলো, তৃণমূলের নেতাকর্মি। যে দলের কর্মি নেই সে দল কোন রাজনৈতিক দল নয়। আজকে আপনারাই হলো আওয়ামীলীগের মূল শক্তি। আপনারা আছেন বলেই আওয়ামীলীগ আছে। নিজেদের মধ্যে কোন বিভেদ রাখা যাবেনা। আজকে নতুন করে ৭১ পরাজিত শত্রু বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্র করছে। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিদেশীদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছে। এদেশে কারা ক্ষমতায় যাবে তা নির্ধারণ করবে এদেশের জনগণ। কোন বিদেশী শক্তি আপনাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে না ।

এমপি ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ বিধ্বস্ত একটি দেশের যখন পূণর্গঠনের কাজ শুরু করলেন তখন পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবঙ্গুকে সপরাবারে হত্যা করলো। সেদিন জিয়াউর রহমান সংসদে ইনডেমিনিটি বিল পাশ করে হত্যার বিচার বন্ধ করেছিল। সেদিন কিন্তু মানবাধিকারের কথা বলে নাই।আজকে মানবাধিকার মানবাধিকারের কথা বলছে।

আজকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার ন্বপ্ন তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছন।
উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।

নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি মো. মুনসুর আলী মোল্লার সভাপতিত্বে কর্মী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা,সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী , জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য নজরুল ইসলাম, সোনা মিয়া,জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আরেফিন মিয়া রঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আলাউদ্দিন হেলা, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার সাবেক প্রচার সম্পাদক শওকত আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আ: রশিদ, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক সভাপতি আশিক ইকবাল স্বপন, এ্যাড. মকলেছুর রহমান।

কর্মী সভাটি সঞ্চালনা করেন নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান হায়াত।

এদিকে নাগদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সভাকে ঘিরে সর্বত্র সাজ সাজ রব পড়ে যায়। দীর্ঘ রাজনৈতিক বিরোধের মাঝে শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত এ সভায় ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং গ্রাম থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন। বিকাল ৩টায় কর্মী সভা শুরু হওয়ার আগেই কয়েক হাজার নেতাকর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হন। একপর্যায়ে কর্মী সভা বিশাল জনসমাবেশে পরিণত হয়।




গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ, একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে আহত

গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একই পরিবারের নারীসহ ৩ ব্যক্তিকে পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষরা।

আহতরা হলেন, গাংনী সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ পাড়ার বাসিন্দা জিয়া (৪৫) তার স্ত্রী মাহিনুর খাতুন (৩৮) ও ছেলে বায়োজিদ হোসেন (১৭)।

মাহিনুর খাতুন ও তার ছেলে বায়োজিদ হোসেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেছে জিয়া।

জানা গেছে, ৪৬ শতক জমি নিয়ে জিয়া ও শিশিরপাড়া গ্রামের মুন্নাফ হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ হাইকোর্টে মামলা চলছে। জমিটি দখল নিতে মুন্নাফ ও সুরাত আলীর নেতৃত্বে তাদের লোকজন গত শুক্রবার সকালের দিকে তাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে মারপিট করে।

এঘটনায় গাংনী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ভ’ক্তভোগী জিয়া।




মেহেরপুর জেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভা

আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের রোড মার্চ সফল করার লক্ষে  মেহেরপুর জেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।

শনিবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা বিএনপির বড় বাজার কার্যালয়ে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলুর সভাপতিত্বে মেহেরপুর জেলা যুবদলের প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা  যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক  জাহাঙ্গীর আলম দুলাল, জেলা যুবদলের  সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা যুবদলের সদস্য খাইরুল ইসলাম, সাবেক ছাত্রনেতা হাসানুজ্জামান বিট্টু, সাবেক ছাত্রনেতা হাসানুজ্জামান বিপলু, যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম, যুবনেতা সাইদুল ইসলাম, যুবনেতা উজ্জ্বল, যুবনেতা শিমুল, যুবনেতা সফিকুল ইসলাম, যুবনেতা ফারদুল, যুবনেতা সোহাগ, বিল্লাল সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীর রাইপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত

গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে রাইপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন নুর ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাগর আহম্মেদ।

শনিবার বিকালে গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ হলরুমে এই ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের গাংনী উপজেলা শাখার আহবায়ক তোহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে প্রধান অতিথি ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক।

সম্মেলনের উদ্বোধক ছিলেন, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আরিফুল ইসলামক বকুল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, গাংনী পৌর সভার মেয়র আহম্মেদ আলী, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি সামসুজ্জামান মঙ্গল, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মকলেছ, গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব জীবন আকবর, গাংনী পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক রুবেল হোসেন, সদস্য সচিব আশিকুজ্জামান পিন্টু প্রমুখ।