আলমডাঙ্গার জগন্নাথপুর ট্রাক-ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১

আলমডাঙ্গায় চাল ভর্তি ট্রাকের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে কালা চাঁদ (৬২) নামে ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের জগন্নাথপুর জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় ওই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, চাষের জন্য সার কিনে আলমডাঙ্গা থেকে ভ্যানে বাড়ি ফিরছিলেন কালা চাঁদ। এসময় জগন্নাথপুর জেএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছালে চুয়াডাঙ্গাগামী একটি চাল ভর্তি (চুয়াডাঙ্গা ট-১১-০৯৩০) ট্রাকের সঙ্গে ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন ভ্যানচালক কালা চাঁদ। ঘটনার পর ট্রাকটি নিয়ে চালক পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের স্ত্রী রাজিয়া খাতুন বলেন, গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে ধান চাষের জন্য সার কিনতে আলমডাঙ্গা শহরে যায়। ঘণ্টাখানেক পর শুনতে পাই আমার স্বামী ট্রাক চাপায় মারা গেছে।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, নিহতের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ওই ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




টাকা পাচার বন্ধ করে শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলুন, যুব ইউনিয়ন সভাপতি মাসুম

‘কর্মসংস্থান ও ভোটাধিকারের সংগ্রামে জেগে ওঠো তারুণ্য ‘ শ্লোগানকে সামনে রেখে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কুষ্টিয়া জোনের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার ঝিনাইদহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যুব সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সভাপতি যুবনেতা আবু তোয়াব অপু’র সভাপতিত্বে ও বায়েজিদ চাষার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য চৌধুরী হোসেন, খুলনা বিভাগীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য নিত্যানন্দ ঢালী, কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মুজাহিদুল ইসলাম রিপন, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, বাংলাদেশ ক্ষেতমজুর সমিতির ঝিনাইদহ জেলার আহবায়ক স্বপন বাগচী।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি গোলাম রাব্বানী, চুয়াডাঙ্গা জেলার আহবায়ক জিয়াউর রহমান, মেহেরপুর জেলার আহবায়ক এ্যাড. মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক সোহেল খোন্দকার, চুয়াডাঙ্গা জেলার যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ারুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সদস্য ও জাতীয় পরিষদ সদস্য সুজন বিপ্লব, ঝিনাইদহ জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের ৯ দফা দাবী উপস্থাপন করেন এবং বেকারদের কর্মসংস্থানের দাবী জানান।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্য যুবনেতা মাসুম বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে যে বিপুল পরিমান টাকা পাচার হচ্ছে এই টাকায় শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললে এই দেশের কোটি বেকারের কর্মসংস্থানের সুযোগ হতো। তিনি সরকারি চাকুরির শুন্য পদে দ্রুত নিয়োগের দাবী জানিয়ে বলেন করোনার কারনে দেশে কোটি যুবক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। তাদের বেশির ভাগ নতুন করে আর শ্রমবাজারে যেতে পারেনি, সরকার তাদের জন্য কোনো উদ্যোগ নেয় নি। অথচ রাষ্ট্রের টাকায় ধনিক শিল্পপতিদের প্রণোদনার নামে হাজার হাজার কোটি টাকা দিয়েছে এতে যুব সমাজের কোনো কাজে লাগে নাই । করোনাকালীন কর্মহীন হয়ে পড়া ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ক্ষতিগ্রস্ত যুবদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রণোদনার ব্যবস্থা করতে হবে।

করোনাকালীন প্রবাস ফেরত যুবদের প্রবাসে কর্মে ফিরে যাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।কর্মহীন যুবদের জন্য বেকার ভাতা চালু করতে হবে। কর্ম প্রত্যাশীদের জন্য অনলাইন নিবন্ধন কেন্দ্র চালু করে নিবন্ধিত যুবদের এক বছরের মধ্যেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। ঘুষ ছাড়া চাকরি চাই, নিয়োগ ও বদলিতে বানিজ্য বন্ধ করতে হবে।




আলমডাঙ্গায় ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আটক -১

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ নাঈম ইসলাম (২৫) নামের এক যুবকে আটক করেছে।

গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে উপজেলার বাড়াদি পূূর্বপাড়ার স্কুলের সামনে থেকে তাকে আটক ও ট্যাপেন্টা উদ্ধার করে পুলিশ।

আটক নাঈম ইসলাম বাড়াদি ব্রীজপাড়ার সালাউদ্দিন আহমেদের ছেলে।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,আলমডাঙ্গার বাড়াদি পূর্বপাড়ার স্কুলের সামনে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি হচ্ছে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে। সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে এসআই (নিঃ) আশিকুল হক, এএসআই (নিঃ) রওশন আলী সঙ্গীয় ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানবালে নাঈম ইসলামকে আটক করে পুলিশ।

এ সময় তার কাছ থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৫০ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।




ব্যবসা বাণিজ্যের নতুন হাব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল

বছর পাঁচেক আগেও দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষজন ভাবতে পারেননি তাদের জীবনযাত্রার মান আমূল পাল্টে যাবে। গ্রামের পরিবেশ হয়ে উঠবে আধুনিক। আনাচে-কানাচে গড়ে উঠবে ছোটবড় শিল্প কারখানা। দক্ষিণের সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা হয়ে উঠবে পর্যটকদের তীর্থ স্থান। কিংবা দক্ষিণবঙ্গের জনপদ জুড়ে গড়ে উঠবে অত্যাধুনিক যোগাযোগ অবকাঠামো। জলযান লঞ্চের আট-দশ ঘণ্টার ভ্রমণকে ইতি জানিয়ে সহজেই মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় তারা পৌঁছে যাবেন রাজধানী ঢাকায়। দিনের কাজ শেষে রাজধানী ছেড়ে আবারও চলে যাবেন গ্রামে।

এক জাদুতেই এতো সব অসম্ভব মুহূর্তেই সম্ভবে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের আত্মমর্যাদার প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কোটি কোটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটিয়ে দিয়েছে রাতারাতি। এক সময় যে সেতু ছিল দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কাছে মুধুই স্বপ্ন, সেটি এখন শুধু তাদের ভাগ্যের চাকাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নের গতিপথকেই পাল্টে দিয়েছে পদ্মা সেতু। শুধু যে পদ্মা সেতু তা নয়, এই সেতুকে ঘিরে তৈরি হয়েছে করে এক্সপ্রেসওয়ে। একইসঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের সড়ক যোগযোগ ব্যবস্থারও ব্যাপক উন্নয়ন ঘটেছে।

স্বাধীনতার পর বরাবরই অবহেলিত ছিলো ধান-নদী-খালের জনপদ বৃহত্তর বরিশাল। শুধু বরিশাল অঞ্চলই নয়, এর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরো অনেকগুলো জেলা যোগাযোগের ক্ষেত্রে পিছিয়ে ছিল যোজন যোজন। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর পদ্মা সেতু নির্মাণ হলে এসবস জেলার কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট ও আক্ষেপ দূর হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ওই অঞ্চলে উন্নয়নের পালে হাওয়া লাগতে শুরু করেছে। ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করেছে বরিশাল বিভাগের বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠী, বরগুনা ও পটুয়াখালী জেলার চিত্র। এই ছয় জেলার প্রাণকেন্দ্র বরিশাল শহর হয়ে উঠছে ব্যবসা বাণিজ্যের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। পদ্মা সেতু নির্মাণের পর বৃহত্তর বরিশালসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের পথের ক্লান্তি দূর হয়েছে। নৌপথের ৮-১০ ঘণ্টার জার্নি নেমে এসছে চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায়।

দেশের ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তারা বলছেন, পদ্মা সেতুর কারণে এবং যোগাযোগ অবকাঠামোর অভাবনীয় উন্নয়ন ঘটছে বরিশাল অঞ্চলে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছে পায়রা বন্দর। এই দুই বড় অবকাঠামোগত উন্নয়নের কারণে বরিশাল অঞ্চল দেশের বৃহত্তম অর্থনৈতিক করিডর হিসেবে গড়ে উঠবে। এখন দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন বলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম হাইওয়েকে। অদূর ভবিষ্যতে ঢাকা-দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হাইওয়েও হয়ে উঠবে দেশের অর্থনীতির অন্যতম লাইফলাইন।

পদ্মা সেতু আর পায়রা বন্দরের কারণেই বরিশাল অঞ্চলে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসার ঘটছে দিনে দিনে। আগামী কয়েক বছরে এই অঞ্চলে ব্যাপক হারে গড়ে উঠবে শিল্পকারখানা। দেশের অর্থনীতিতে গতি আনবে এই অঞ্চল। ব্যবসায়ীরা স্বল্প খরচে এবং কম সময়ে বরিশাল অঞ্চল থেকে রাজধানীঢাকাসহ সারাদেশে পণ্য পরিবহন করতে পারবেন। একই সঙ্গে পায়রা বন্দরকে ব্যবহার করে স্বল্প সময়ে ও কম খরচে ও আমদানি-রফতানি করতে পারবেন। ইতিমধ্যে এই বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি উৎসাহিত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এটা দিনে দিনে বাড়তে থাকবে এবং অর্থনীতির গতিও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। বিনিয়োগকারিরাও এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের দিকে ঝুঁকছেন।

এদিকে শুধু পায়রা বন্দর নয়, মোংলা বন্দরও ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বড় ভূমিকা রাখবে। যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন ঘটায় এখন মোংলাবন্দর ব্যবহার করা আগের চেয়ে সহজ হবে। ব্যবসায়ীরা বলছেন,পদ্মা সেতুর মাধ্যমে বরিশাল বিভাগ অর্থনীতিতে সরাসরি দুই ধরনের সুবিধা পাচ্ছে। প্রথমত, বরিশাল বিভাগসহ পুরো দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়েছে। এতে ওই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য বিস্তার লাভ করছে। বিনিয়োগ বাড়ছে। দ্বিতীয়ত, কৃষক সরাসরি উপকৃত হচ্ছে। তাদের উৎপাদিত কৃষি পণ্য সরাসরি ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে স্বল্প সময়ের পাঠাতে পারছে। এতে পণ্যের ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে।

গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা, পদ্মা সেতু আর পায়রা বন্দরকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ঘটবে শিল্প বিল্পব। ইতোমধ্যে শিল্পায়নের কাজও শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও শিল্প গ্রুপ দ্রুততার সঙ্গে বরিশাল অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্তাপনের জন্য জমি ক্রয় শুরু করেছে। কেউ কেউ প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজও শুরু করেছেন। পায়রা সেতু থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত মহাসড়কের আশপাশে দেশের ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান মালিকরা জমি ক্রয় করেছেন। পায়রা বন্দর এলাকার আশপাশে জমি ক্রয় করেছে মদিনা গ্রুপ ও এমএম বিল্ডার্স নামের প্রতিষ্ঠান।

দক্ষিণের প্রধান সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটাকে কেন্দ্র করে এরই মধ্যে গড়ে উঠেছে শতাধিক হোটেল- মোটেল। পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটার খাজুরা, গঙ্গামতী, কাউয়ার চর, ভোলা ও পটুয়াখালীর চরাঞ্চল এবং বরিশাল ও এর আশপাশে জমি ক্রয় করেছে সিকদার গ্রুপ, ইউএস বাংলা, সেঞ্চুরি, বসুধা, ওয়েস্টার্নসহ কমপক্ষে ১৫টি বড় বড় শিল্পমালিক। তারা ওই অঞ্চলে নির্মাণ করবে বিভিন্ন ধরনের ভারি শিল্প-কলকারখানা ও বহুতল ভবন। কুয়াকাটায় ১৭ তলা বিশিষ্ট ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণের অপেক্ষায়। বরিশালের বিসিক শিল্পনগরীতে প্রথমবারের মতো পোশাক তৈরির কারখানা, বোতলজাত পানি পরিশোধনাগার ও কমফোর্টারের কারখানা গড়ে উঠেছে।

শুধু বরিশাল অঞ্চল নয়, ভাঙ্গা মোড় থেকে বরিশাল পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে এখন আর কোনো প্লট খালি নেই। সবগুলোই দেশের কোনো না কোনো শিল্প গ্রুপ বা বড় শিল্প উদ্যোক্তারা কিনে নিয়েছেন। গড়ে তুরছেন শিল্প প্রতিষ্ঠান। যে হারে এই অঞ্চলে শিল্প কারখানা গড়ে উঠতে শুরু করেছে তাতে আগামী এক-দুই বছরের মধ্যে বরিশাল অঞ্চলে বেকারত্বের হার কমে আসবে ১০ থেকে ৩০ ভাগে।

বরিশালকে বলা হয় ‘ধান-নদী-খাল’ এর দেশ। পদ্মা সেতুর কারণে সেই নামের ফল পেতে শুরু করেছেন ওই অঞ্চলের কৃষকরা। বরিশালে ধান, শাকসবজি, নারকেল, সুপারি, পেয়ারা, আমড়া, তরমুজের পাশাপাশি তেজপাতারও চাষ হয়। এতো এতো উৎপাদন হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে এতোদিন এসব পণ্য তারা বাজারজাত করতে পারতেন না। পদ্মা সেতু ঘিরে যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের কারণে এখন এসব পণ্যের বাজারজাত সহজ হয়েছে। এখন অন্যান্য কৃষিপণ্যের পাশাপাশি এ অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে তেজপাতা চাষের মহাপরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে দিন দিন বাড়ছে নারকেল ও সুপারির বাগানও।

চাঁদপুরকে ইলিশের রাজধানী বলা হলেও মূলত বরিশাল অঞ্চলেই সবচেয়ে বেশি ইলিশের উৎপাদন হয়। সারাদেশে যে ইলিশ বাজারজাত হয় তার সবচেয়ে বড় অংশই হয় বরিশাল অঞ্চল থেকে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নযনের কারণে দিনের মাছ দিনেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছে যাচ্ছে। এমনকি কলকাতায়ও।
এতোদিন অবহেলিত থাকলেও পর্যটন শিল্পে সম্ভাবনাময় ছোট-বড় নদীর জনপদ বরিশাল বিভাগজুড়ে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভবনা তৈরি করেছে পদ্মা সেতু। পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ কুয়াকাটাকে একটা মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় নিয়ে সরকার সেটিকে আধুনিক ও পরিকল্পিত পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে তুলছে। বরিশালে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও স্টেডিয়ামসহ বহু স্থাপনা নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

কুয়াকাটা ছাড়াও বরিশালের দূর্গাসাগার, লাকুটিয়া জমিদার বাড়ি, দার্শনিক আরজ আলী মাতুব্বরের বাড়ি, রায়পাশা কড়াপুরের মিয়া বাড়ি মসজিদ, গুঠিয়া মসজিদ, গৈলা মনসা মন্দির, বার্থি তারা মায়ের মন্দির, ভোলার জ্যাকব টাওয়ার, চর কুকরি মুকরি, নেছারাবাদের আটঘর কুড়িয়ানায় ভাসমান পেয়ারা বাজার ও নৌকার হাট, পটুয়াখালীর চর মন্তাজে দিনে দিনে বাড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।

বরিশালের গ্রাম পর্যায়ে কাজ করার চিন্তা করছেন জানিয়ে রূপা ফ্যাব্রিক্স অ্যান্ড রূপা নিটওয়ারের কর্ণধার শামসুল আলম চুন্নু বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে রাজধানীর সঙ্গে বরিশালের দূরত্ব এখন মাত্র ৪ ঘণ্টার। তাই বরিশালের গ্রাম পর্যায়ে কাজ করার চিন্তা করছি। ইউজোম গ্রুপের স্বত্বাধিকারী মর্তুজা খান বলেন, অবশ্যই আমরা বরিশালে বিনিয়োগ করব। বরিশালের উন্নয়ন ঘটবে অভূতপূর্ব। পোশাক শিল্পকে আমরাই তো বরিশালে নিয়ে আসছি। শিগগিরই আমরা কার্যক্রম শুরু করব। বরিশাল চেম্বার অব কমার্স ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে এ অঞ্চলে শিল্প কারখানা ও বিনিয়োগ। সুযোগ সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থানের। এরই মধ্যে বিভিন্ন শিল্প কারখানার মালিকরা জমি ক্রয় করেছেন।

বরিশাল বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ও ফরচুন গ্রুপের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পণ্যবাহী ট্রাকগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে আনা-নেয়ার সময় বিভিন্ন ফেরিঘাটে অনেক সময় দিনের পর দিন আটকে থাকত। যার জন্য আমাদের অনেক শিপমেন্ট বাতিল হতো। পদ্মা সেতু আমাদের সেই ভোগান্তি থেকে মুক্তি দিয়েছে।’




গাংনীতে ভ্যান শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় ও গাছের চারা বিতরণ

গাংনীতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপুর উদ্যোগে উপজেলার ব্যাটারি চালিত ভ্যান শ্রমিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেই সাথে পরিবেশ রক্ষার লক্ষে শ্রমিকদের মাঝে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। সভায় গাংনী পৌর এলাকাসহ বিভিন্নি এলাকার ভ্যান শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে গাংনী মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-২(গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

এসময় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাহিদুজ্জামান শিপু,গাংনী উপজেলা মুক্তিযােদ্ধা সাবেক কমান্ডার আমিরুল ইসলাম,গাংনী পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহিবুল ইসলাম, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুজ্জামান মঙ্গল, গাংনী বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাে : রফিক প্রমুখ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন ভ্যান শ্রমিক ময়নাল হক। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কর্মীরা।
মতবিনিময় সভা শেষে ভ্যান শ্রমিকদের মাঝে আগ গাছের চারা বিতরণ করা হয়।




আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ

আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর জোহা মাঠে মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ স্মৃতি সংঘ স্পোটিং ক্লাবের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধ মিনি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে অনুণ্ঠিত এ ফাইনাল খেলায় গোবিন্দপুর এশিয়া স্পোটিং ক্লাব ৩-০ গোলে বেগুয়ালখাল জেএস স্পোটিং ক্লাবকে পরাজিত করে এ টুর্নােমন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
খেলার প্রথমার্ধে তরুন দুটি ও দেলোয়ার একটি গোল করে দলকে এগিয়ে রাখন। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোন গোল না হলে শেষ পর্যন্ত এশিয়া স্পোটিং ক্লাব ৩ গোলে বিজয়ী হয়।

এ খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার বিতরণ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ সামসুল আবেদীন খোকন।

পুরস্কার বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ সামসুল আবেদীন খোকন বলেন,আজকে এই মাঠে যে দুটি দল খেলা করেছে,দুটি দলই ভালো খেলা উপহার দিয়েছে। যারা বিজয়ী হয়েছে তাদের ও পরাজিত হয়েছে তাদেরকেও ধন্যবাদ জানায়।

তিনি বলেন,সুস্থ জাতি গঠনে খেলাধুলার কোন বিকল্প নেই। আজকে আমাদের দেশের ছেলে মেয়েরা ভালো খেলার মাধ্যমে দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করে বিরল সম্মান বয়ে আনছে। তাই যারা এখানে উপস্থিত আছে সকলের উদ্দেশ্যে বলবো, লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় এগিয়ে আসতে হবে। যুব সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে হলে অবশ্যই খেলাধুলায় মনোনিবেশ করতে হবে।

বর্তমান সরকার খেলার প্রতি যথেষ্ট নজর দিয়েছে। তৃণমূল থেকে খেলোয়াড়দের তুলে আনতেনিয়মিত বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ফুটবল খেলা হচ্ছে। ক্রিকেট,হকি,ভলিবল সব ধরনের খেলা হচ্ছে।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল হক বাবুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের কার্যকরী কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ,জেলা যুবলীগের সদস্য প্রফেসর মাহাবুল ইসলাম সেলিম,জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি এ্যাডভোকট ফিরোজ,সাবেক কাউন্সিলর জাইদুল ইসলাম,সুমন,রুবেল মিয়া প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাব্বির আহম্মেদ। খেলাটি পরিচালনা করেন সোহাগ আলী । সহকারী ছিলেন মোমিন ও ননি।




ঝিনাইদহে চ্যানেল-২৪’র সাংবাদিক সাদ্দাম হোসেনের উপরে হামলা

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় চ্যানেল ২৪’র জেলা প্রতিনিধি সাদ্দাম হোসেনকে বেধঢ়ক মারপিট করা হয়েছে। সেই সাথে তার বাড়িঘরে হামলার ঘটনাও ঘটেছে।

গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে শৈলকুপার গাড়াগঞ্জ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহত সাদ্দাম হোসেনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, গত বৃহস্পতিবার রাত ১০ টার দিকে সাদ্দাম হোসেন গ্রামে যাচ্ছিলো। পথে গাড়াগঞ্জ বাজারে গেলে ওই এলাকার বখাটে বিপ্লব হোসেন ও তার চাচা ফিরোজ হোসেন তার উপর হামলা চালায়। পরে সাদ্দামের স্বজনরা এতে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লার নির্দেশে তার সমর্থকরা সাদ্দামের বাড়িতেও হামলা চালায়।

সাদ্দামের স্বজনরা জানায়, ২০২২ সালের প্রথম দিকে সাদ্দাম হোসেনের নামে ফেসবুকে বিরুপ মন্তব্য করত গাড়াগঞ্জ এলাকার বিপ্লব হোসেন নামের এক বখাটে। পরবর্তিতে চলতি বছরের জুলাই মাসে গোয়েন্দা পুলিশ বিপ্লব হোসেনকে সনাক্ত করে ধরে নিয়ে আসে। তখন সে আমাদের ঘটনার ভুল স্বীকার করে মুচলেকা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে নেয়। থানায় জিডি করা ও পুলিশের আটক করার কারণে গত বৃহস্পতিবার রাতে এ হামলা চালিয়েছে বলে জানায় সাদ্দামের সহকর্মীরা।

শৈলকুপা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ দিলে পরবর্তী আইনগন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সাদ্দামের উপর এই ন্যাক্কারজক হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু, ঝিনাইদহ টেলিভিশন সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিপলু জামান, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসানসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।




গাংনীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

গাংনীতে বিএনপির চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থ্যতা ও রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে গাংনী উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ে জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলামের সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা মুস্তাফিজুর রহমান বাবলুর সঞ্চালণায় এ মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথী হিসেবে উপিস্থত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো: আমজাদ হোসেন।

এসময় গাংনী উপজেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক সাজেদুর রহমান বুলবুল,পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহেল মারুফ পলাশ,জেলা কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক মো: মিজানুর রহমান,বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম,কাথুলী ইউপি বিএনপির সাধারন সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি সহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মো: আমজাদ হোসেন বলেন,বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি,তারেক রহমান সহ নেতৃবৃন্দের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি নিয়ে মাঠে রয়েছে বিএনপি। এসময় তিনি সকল নেতাকর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন,নির্দেশনা পেলে সরকার পতনের আন্দোলনে সামিল হতে হবে।




গাংনী পৌরসভায় ড্রেন নির্মান কাজের মালামাল রাস্তায়,অপসারণ দাবীতে মানববন্ধন

পৌরসভার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মান কাজ চলছে। আর একাজে ব্যাবহৃত ইট,বালি ও পাথর প্রধান সড়কে রাখার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা। রাস্তার কোল ঘেঁসে পাথর রাখায় পাথরে পিছলে ইতোমধ্যে প্রাণহানীরও ঘটনা ঘটেছে পৌর এলাকায়। তবুও দৃষ্টিপাত না করে দেদারছে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। এনিয়ে ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় পৌরবাসীসহ পথচারিরা। রাস্তা থেকে দ্রত পাথরসহ সব মালামাল অপসারণের দাবীতে ইতোমধ্যে মানবন্ধন করেছে স্থানীয়রা।

জানাগেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ গাংনী পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। একাজের দায়িত্বপান কুষ্টিয়ার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স রোমানা এন্টারপ্রাইজ। কাজ দেখভালের দায়িত্বে রয়েছে গাংনী পৌরসভার প্রকৌশলী।

জনগুরুত্বপুর্ণ স্থান ও যান চলাচলে বিগ্নীত হয় এমন স্থানে নির্মাণ সামগ্রি না রাখার নিয়ম থাকলেও ঠিকাদার তার খেয়াল খুশিতে প্রধান সড়কেই রেখেছেন ড্রেন নির্মাণ কাজের মালামাল। যা নিয়ে পৌর নাগরিক সহ বিভিন্ন মহলে সমালোচিত হচ্ছে।

চলমান কাজের জন্য গাংনী পৌর এলকার জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তা মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়ক। এ সড়কের একেবারে কোল ঘেঁসে রাখা হয়েছে ইট,বালি ও পাথর। যা বিভিন্ন যান চলাচল চরমভাবে বিগ্নিত হচ্ছে। রাস্তার সাথে পাথর ও বালি রাখার কারনে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোটবড় দুর্ঘটনা। এমনকি পাথরে পিছলে আতিয়ার রহমান নামের এক পৌর নাগরিকের ট্রাক চাপায় মৃত্যু হয়েছে। তার মৃত্যুকে ঠিাকাদারের অবহেলা ও যত্রতত্র মালামাল রাখাকেই দায়ি করছেন বিভিন্ন মহল। এমন দুর্ঘটনা ঘটলেও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে তার খেয়াল খুশিমত চালিয়ে যাচ্ছেন কাজ। জীবনের ঝুকি নিয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন মোটরসাইকেল,ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন। পৌর সভার মধ্যে ্এমন ঘটনা ঘটল্ওে দেখছেনা পৌর কর্তপক্ষ।

অবশেষে মানুষ অতিষ্ট হয়ে মানববন্ধন করেছে। মালামাল নিরাপদে রাখুন, রাস্তা পরিষ্কার করুন, আমরা সবাই বাঁচতে চাই-এই স্লোগানে মেহেরপুরের গাংনী পূর্ব ও পশ্চিম মালসাদহের দ’ুটি পৃথক পৃথক স্থানে মানববন্ধন করা হয়েছে। মানববন্ধনে ঠিকাদার সহ কতৃপক্ষের অবহেলায় দিনমজুর আতিয়ার হোসেনের মৃত্যুর কারনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

গতকাল শুক্রবার বাদ জুম্মা এলাকাবাসীর উদ্যোগে মেহেরপুর – কুষ্টিয়া প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, আনোয়ার হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, সবুজ সহ গ্রামবাসীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,ঠিকাদার সহ পৌর কর্তৃপক্ষের অবহেলায় অবকাঠামো উন্নয়নের মালামাল জনগুরুত্বপুর্ণ রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখার কারনে দিনমজুর আতিয়ার রহমানের মৃত্যু হয়েছে। শুধু তদাই নয়,বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। রাস্তা থেকে দ্রত ইটবালি ও খোয়া অপসারণের দাবী জানান মানববন্ধনে অংশ গ্রহনকারিরা।

জুগিন্দা গ্রামের ভ্যান চালক জাহিদ জানান, আমি রোগী নিয়ে গাংনী হাসপাতালে এসেছিলাম। পাশে সাইড নেয়ার জায়গা না থাকায় বাসের ধাক্কা লাগে। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছি।

ঊাশবড়িয়া গ্রামের আব্দুল মোটর সাইকেল চালক আব্দুল মতিন জানান, রাস্তার সাথে পাথর রাখা হয়েছে। এ পাথর রাস্তায় পড়েছে। আমাদেও মোটরসাইকেল চালাতে হচ্ছে জীবনের ঝুকি নিয়ে।

কাষ্টদাহ গ্রামের আজিুল হক বলেন,কিছু কিছু জায়গায় পাথর ও বালি রাস্তায় চলে আসার কারনে আমরা সাইড নিতে পারছিনা। গুলো দ্রত অপসারণ করা উচিৎ। তা নাহলে আতিয়ার রহমানের মত অনেক কেই প্রাণ হারাতে হবে।

পৌরসভার ওয়ার্ক এ্যাসিস্টেন তানভীর রানা বলেন, আমরা কাজ দেখভাল করার দায়িত্বে রয়েছি। তবে মানুষের অসুবিধা হলে পাথর ও অন্যান্য মালামাল অপসারণ করা হবে।




কুষ্টিয়ার আমলাতে ১৯৯৩ এসএসসি ব্যাচের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

শুক্রবার ২২ সেপ্টেম্বর কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমলাতে এসএসসি -১৯৯৩ ব্যাচের আয়োজনে অনুভূতির -৯৩ বন্ধু মিলন মেলা ২০২৩ নামে ব্যচটির ৩য় মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

মিলন মেলা অনুষ্ঠানে সারাদেশ থেকে এসএসসি ১৯৯৩ ব্যাচের প্রায় এক হাজার বন্ধু উপস্থিত থেকে স্মৃতিচারণ, বনভোজন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে গান করেন ৯৩ এসএসসি ব্যাচের বন্ধু শাহিন,শুমিত,হাবিব সহ স্থানীয় শিল্পীরা। সবশেষে র‍্যাফেল ড্র এর মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত মিলনমেলার সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।