অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত বরিশাল বিএনপি,দলীয় রোড মার্চ কর্মসূচিতে সংঘর্ষের শঙ্কা

বরিশাল বিএনপির নেতাদের দলের আন্দোলন নিয়ে তাদের তেমন কোনো মাথা ব্যাথা নেই। ব্যস্ত কমিটি বাণিজ্য আর অর্থের ধান্ধায়। বরিশালের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় দুই নেতার এই বিরোধ এখন বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপি থেকে শুরু করে বরিশালের ১০টি উপজেলা, সাতটি পৌরসভাসহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধ এতোটাই প্রকট যে, অসংখ্য গ্রুপে বিভিক্ত বিএনপি দলীয় কর্মসূচিও পালন করে আলাদা আলাদা। আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশালে রোড মার্চ কর্মসূচি নিয়ে সংঘর্ষের শঙ্কায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। তাদের আশঙ্কা, দলীয় কোন্দলের কারণে কর্মসূচির মধ্যে সংঘর্ষে জড়াতে পারে কেন্দ্রীয় দুই নেতার অনুসারীরা। তবে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে অরাজকতা করলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

বরিশাল বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিএনপিতে বিরোধের নেপথ্যে কেন্দ্রীয় দুই নেতা। এদের একজন হচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার ও অন্যজন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস নাহার শিরিন। তারা নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে স্থানীয় বিএনপিকে নিজেদের পকেটে ঢুকিয়েছেন। তাদের এই বিরোধকে কেন্দ্র স্থানীয় বিএনপিতে এখন অন্তত আরও ছয়টি উপ-গ্রুপ আছে। স্থানীয় বিএনপির এসব গ্রুপ এক পক্ষ আরেক পক্ষকে ঘায়েল করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে।

বিশেষ করে সারোয়ার গ্রুপকে চাপে রাখতে শিরিন গ্রুপের হয়ে কাজ করছে উপ-গ্রুপগুলো। অন্যদিকে সারোয়ার গ্রুপ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করতে কেন্দ্র থেকে প্রভাব খাটিয়ে আর্থিক অনিয়মের তথ্য প্রমাণসহ বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) কমিটি ভেঙ্গে নিজেদের লোকজনদেরকে দিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে। এ নিয়েও এখন দুই পক্ষের মধ্যে দা-কুমড়া সম্পর্ক বিরাজ করছে। কেউ কারো মুখ পর্যন্ত দেখছেন না।

স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস নাহার শিরিন। অন্যদিকে মজিবুর রহমান সারোয়ার দিচ্ছেন আরেকটি গ্রুপের নেতৃত্ব। তার সঙ্গে রয়েছে দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি।

বরিশাল বিএনপিতে শুধু কেন্দ্রীয় এই দুই নেতার গ্রুপই নয়, সক্রিয় আছে আরও অন্তত ছয়টি গ্রুপ। এরমধ্যে একটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। অন্য গ্রুপগুলোর মধ্যে একটির নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এবায়দুল হক চান, আরেক গ্রুপে আছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আহসান হাবিব কামাল। এই গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জেলা দক্ষিণ বিএনপির বর্তমান আহবায়ক মুজিবুর রহমান নান্টু। অপর গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান রাজন।

গত কয়েক বছর ধরে বরিশাল বিএনপির নেতৃত্বে থাকা দুই কেন্দ্রীয় নেতার প্রকাশ্য বিরোধের কারণে স্থানীয়ভাবে দলের কেন্দ্রের কর্মসূচি পালন হচ্ছে পৃথক পৃথক ভাবে। দুই নেতার বিরোধের মূল কারণ আধিপত্য বিস্তার। এ কারণে দুই নেতাই নিজেদের দল ভারী করতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীর বদলে বিএনপির বিভিন্ন কমিটিতে এমন লোকজনদের স্থান করে দিয়েছেন যারা সংগঠনের ধার ধারে না। তাদের প্রত্যেককেই কমিটিতে স্থান দেওয়া হয়েছে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে। টাকার বিনিময়ে কমিটিতে জায়গা দেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে আছেন বিলকিস নাহার শিরিন।

বরিশাল জেলা বিএনপির অধীন গৌরনদী উপজেলা ও পৌরসভা, মুলাদী উপজেলা ও পৌরসভা এবং হিজলা উপজেলা কমিটিতে যাদেরকে নেওয়া হয়েছে তাদের প্রত্যেকেই মোটা অংকের টাকা দিয়ে কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন। এর প্রতিবাদে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা গৌরনদীতে ঝাড়ু মিছিল করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মুলাদী এবং হিজলাতেও একইভাবে টাকার বিনিময়ে কমিটিতে লোকজন ঢুকানোর কারণে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে।

আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কমিটি করা নিয়ে সারোয়ার-বিলকিস দ্বন্দ্ব এতোটাই প্রকট যে, সারোয়ার তার প্রভাব কাটিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিকে দিয়ে বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করিয়েছেন। পূর্বের কমিটি ছিল বিলকিসের অনুসারী। এতে আহবায়ক ছিলেন মুজিবুর রহমান নান্টু ও সদস্য সচিব ছিলেন আক্তার হোসেন মেবুল।

অভিযোগ ছিলো, এই কমিটি দক্ষিণ জেলা শাখার অধীন বাকেগঞ্জ উপজেলা, পৌরসভা এবং ওই উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন কমিটি গঠন করেছেন অর্থের বিনিময়ে। এতে ত্যাগী নেতাকর্মীরা স্থান পায়নি। বরং যারা টাকা দিয়েছে বা যাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তাদেরকেই কমিটিতে স্থান করে দিয়েছেন বিলকিসের অনুসারীরা।

এই অভিযোগের সূত্র ধরে সারোয়ার কেন্দ্রীয় কমিটির মাধ্যমে দক্ষিণ জেলা কমিটিটি ভেঙ্গে দিয়ে নতুন কমিটি করেন। এতে সারোয়ারের অনুসারী সাবেক সংসদ সদস্য আবুল হোসেনকে আহবায়ক এবং জেলা কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহীনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। এখন বরিশাল মহানগর ও জেলা বিএনপিতে সারোয়ারের একমাত্র অনুসারী হচ্ছে দক্ষিণ জেলা কমিটি। বাকী সবগুলো কমিটিই বিলকিসের অনুসারী। অন্যদিকে বরিশাল মহানগর যুবদল ছাড়া মহানগর বিএনপি অন্য অঙ্গসংগঠনগুলো সারোয়ারের পক্ষে।

এদিকে বরিশাল সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মহানগর বিএনপির যে ১৮ জন নেতাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছিল তাদের সবাইকে আবারও দলে ভিড়িয়েছেন বিলকিস নাহার শিরিন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি ব্যক্তিগত সুবিধা নিয়ে বহিস্কৃত নেতাদের দিলে নিয়েছেন নিজের পাল্লা ভারী করতে। এ নিয়েও সারোয়ার-বিলকিস বিরোধ তুঙ্গে। সারোয়ার অনুসারীরা বলছেন, এই ১৮জনকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে বহিস্কার করা হয়েছিল। কিন্তু বিলকিস তাদেরকে দলে ভিড়িয়ে শৃঙ্খলা বিরোধী কাজ করেছেন।

এদিকে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর বরিশালে রোড মার্চ করবে বিএনপি। কিন্তু দলের ভিতরে অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে সেই কর্মসূচি সফল করা নিয়ে শঙ্কিত মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। স্থানীয় বিএনপি কর্মী মিনার মাহমুদ বলেন, দলের নেতারা নিজেদের স্বার্থ নিয়ে দ্বন্দে লিপ্ত। তাদের পক্ষে আন্দোলন করে সরকার পতন সম্ভব না। তিনি বলেন, জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নে যেসব কমিটি গঠন করা হয়েছে সেগুলোতে টাকার বিনিময়ে বিভিন্নজনকে কমিটিতে ঢুকানো হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমরা যারা সাধারণ কর্মী, মাঠের কর্মী তাদের সমস্যা সবচেয়ে বেশি। নেতাদের বিরোধের কারণে আমাদের অবস্থা খারাপ।
আরেক কর্মী লোকমান হোসেন বলেন, নেতারা যেভাবে মহানগর ও জেলা কমিটিতে বিরোধ তৈরি করে রেখেছে তাতে সরকার পতন তো দূরের কথা আন্দোলনই তো করতে পারবে না। তিনি বলেন, ত্যাগী নেতাকর্মীদের বঞ্চিত করে কোনো আন্দোলন সফল হয় না।

বিএনপির এই অভ্যন্তরীন বিরোধ সম্পর্কে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস নাহার শিরিন বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই। আর বরিশাল মহানগর এবং বরিশাল উত্তর ও দক্ষিণ জেলা কমিটিসহ সকল কমিটি আমার অধীনে। এখানে কোনো বিরোধ নেই।’

অর্থের বিনিময়ে কমিটি করার কারণে দক্ষিণ জেলা কমিটি ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে এবং সেখানে সারোয়ার অনুসারীদের দিয়ে কমিটি করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিরিন বলেন, ‘এসব কে বলেছে? এগুলো সত্য নয়। কমিটি বিলুপ্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে না পারায়। আর অন্য কারো লোক দিয়েও কমিটি করা হয়নি। সবাই আমার লোক। তাছাড়া ১৬ বছর ধরে দল ক্ষমতায় নাই। তাহলে টাকা পাবে কোথায়?’

এদিকে বিএনপির রোড মার্চ কর্মসূচি সম্পর্কে জানতে চাইলে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ‘বিএনপির এসব কর্মসূচি আগেও হয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। ভবিষ্যতেও সাধারণ মানুষের কোনো সম্পৃক্ততা থাকবে না।’ তিনি বলেন, বিএনপি নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ সংঘাতে ব্যস্ত। তারা টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন কমিটিতে লোক ঢুকিয়ে দল ভারী করার চেষ্টা করছে। এতে কোনো লাভ নেই।’

আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর আওয়ামী লীগের বরিশাল জেলা ও মহানগর সহ বিভিন্ন শাখা ও ইউনিটের নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকবে। আন্দোলনের নামে বিএনপির যে কোনো সহিংসতা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা ও সাম্প্রতিক সভা

বাংলাদেশ পুলিশের অ্যাডিশনাল আইজি (ক্রাইম এন্ড অপস্) সভাপতিত্বে বেলা এগারোটার সময় আইজিপি মিনি কনফারেন্স রুমে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের জুলাই ও আগস্ট মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ থেকে উক্ত ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন। ভার্চুয়ালি মিটিংয়ে দুই মাসের অপরাধ পরিসংখ্যান, এনইআর দাখিল, আসামির অনুপস্থিতে বিচার, আদালতের সাক্ষ্য প্রদান ও সাক্ষ্য দেয়ার আগে সাক্ষীকে ব্রিফিং প্রদান সংক্রান্ত তথ্য ও অভিজ্ঞতা, মামলার তদন্ত ও বিচারের ফলাফল এবং সাজার হার বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।

উক্ত কনফারেন্সে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-১ ডিএসবি আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান , কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক নাসির উদ্দীন, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান, জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ চুয়াডাঙ্গাসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসারবৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) মোঃ হারুন উর রশিদ, পিপিএম সংগীয় অফিসার ও ফোর্সসহ বৃহস্পতিবার সকাল নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন সরোজগঞ্জ বাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ কর্তৃক পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ করে সিআর-৮০৯/১২, এসসি-২১৯/১৩ সংক্রান্তে ০৬(ছয়) মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১,৭৫,০০০/-(এক লক্ষ পচাত্তর হাজার) টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ০৩(তিন) মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড গ্রেফতারী পরোয়ানাভুক্ত চুয়াডাঙ্গা জেলার মেজর হাবিবপাড়া মৃত আনছার আলীর ছেলে আবুল কাশেম গ্রেফতার করে।

আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমান।




প্রধানমন্ত্রীর অনন্য উদ্যোগ, একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল বদলে দিচ্ছে দেশের অর্থনীতি

বাংলাদেশে গত ২৫ বছরে দারিদ্র্য কমেছে ৫০ শতাংশের বেশি। ২০২০ সালের মে মাসেরএশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক-এডিবি তাদের এক প্রতিবেদনে দিচ্ছে এই তথ্য। এছাড়া ওই প্রতিবিদনে বলা হয়, গত দশ বছরে বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা ছয় শতাংশের ওপরেই থাকছে। এর পরের বছরই দেশের মানুষের এমন অর্থৈনৈতিক সাফল্যে, মধ্যম আয়ের দেশের স্বীকৃতি পায় বাংলাদেশ। এই শুভক্ষণে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার লক্ষ্য ঠিক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

অর্থনীতিবিদরা বলেন, এই সাফল্যের সিংহভাগ এসেছে শেখ হাসিনা সরকারের উৎপাদন এবং বিনিয়োগবান্ধব উদ্যোগের ফলে। তিনি পরিকল্পিত শিল্পায়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। এই যাত্রা তিনি শুরু করেছিলেন ২০১০ সালে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) প্রতিষ্ঠা করে। এই প্রতিষ্ঠানটি সব সময়ই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিল। ২০১৩ সালে শুরু হয় এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার মূল কাজ। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়ন কাজ শুরু করেন। শুরু থেকেই বেজার লক্ষ্য ছিল শিল্পায়ন, কর্মসংস্থান, উত্পাদন এবং রপ্তানী বাড়ানো। পাশাপাশি পরিকল্পিত উপায়ে দেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ।

বেজার তত্ত্বাবধানে সারাদেশে মোট ১০০ টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। ৯৭টির জন্যেই গর্ভনিং বোর্ডের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বড় অর্থৈনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে চট্টগ্রামের মীরসরাই সীতাকুণ্ড এবং ফেনি মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগর। এর আয়তন প্রায় ৩০ হাজার একর । এটিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম একটি শিল্পনগর ভাবা হচ্ছে। এই শিল্পনগরীর মহাপরিকল্পনা করা হয়েছে। শুরু হয়েছে অবকাঠামো নির্মাণ। এই শিল্প নগরে একটি পূর্ণাঙ্গ শহরের সম্ভাব্য সব নাগরিক সুবিধা থাকবে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত হলে আগামী ২০ বছরে প্রায় ১৫ লাখ মানুষের কাজের ব্যবস্থা হবে।

শ্রীহট্ট অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ হচ্ছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে। ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী এর ভিত্তি প্রস্তর বসান। শুরু থেকেই বলা হচ্ছে এখানে শিল্পের বিকেন্দ্রীকরণ হবে। পাশাপাশি কাজের যোগাড় হবে সিলেট বিভাগের প্রায় ৪৪ হাজার মানুষের।

জামালপুর জেলার সদর উপজেলার ৪৩৬.৯২ একর জায়গায় জামালপুর অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্মাণ চলছে। এই অর্থনৈতিক অঞ্চলের ফিজিবিলিটি স্ট্যাডি ও মাস্টার প্লান শেষ হয়েছে। বিসিকসহ এ অঞ্চলে ৫২ একর জমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া কক্সবাজারের মহেশখালীতে আরেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণের কাজ চলছে।

প্রত্যেকটি অর্থনৈতিক অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বিনিয়োগ অনুযায়ী চারটি পর্যায়ে বিনিয়োগ হবে। এগুলো হচ্ছে সরকারি পর্যায়, বেসরকারি পর্যায়, সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারী পর্যায়ে এবং বিদেশি পর্যায়ে। প্রতিটি ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীরা ১২ বছরের আয়কর সুবিধা পাবেন। আরো থাকছে স্থানীয় ক্রয় থেকে ভ্যাট মওকুফ, কাস্টমস শুল্ক সুবিধা, জমি রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ এবং ডিভিডেন্টে ট্যাক্স মওকুফের সুবিধা। বিনিয়োগকারী শিল্প উদ্যোক্তারাও পাবেন ১০ বছরে আয়কর সুবিধা, কাঁচামাল আমদানীতে ডিউটি অবকাশ, যেকোন পরিমাণ বিদেশি বিনিয়োগ সুবিধা এবং জমি রেজিস্ট্রেশন ফি ও স্ট্যাম্প ডিউটি মওকুফ। এছাড়াও লভ্যাংশ কর, রয়েলটি ও কারিগরি ফি থেকে অব্যাহতি পাবেন উদ্যোক্তারা

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শিল্পকারখানা স্থাপন করছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো। বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে আসা ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে চীনের ৯টি, যুক্তরাজ্যের ৫টি, ভারতের ৪টি, অস্ট্রেলিয়ার ৪টি, জার্মানির ২টি, যুক্তরাষ্ট্রের ২টি, জাপানের ২টি, নেদারল্যান্ডসের ২টি, সিঙ্গাপুরের ২টি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের একটি করে প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এখন পর্যন্ত বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব রয়েছে ৩০৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এবং দেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব রয়েছে দুই হাজার ৫১৮ কোটি ১৭ লাখ ডলারের।

বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে বিদেশিদের জন্য রাখা হয়েছে বিশেষ অঞ্চল। চীন ও জাপানের বিনিয়োগ বাড়াতে নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামে নির্মাণ হচ্ছে দুটি অঞ্চল। ভারতের জন্য থাকছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরের একটি অংশ ও মোংলা অর্থনৈতিক অঞ্চল। সৌদি আরব বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্পনগরে একটি অঞ্চল করার প্রস্তাব দিয়েছে।

অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে কিছু প্রতিষ্ঠান উৎপাদনমুখী কার্যক্রম শুরু করেছে। বিশ্ব মহামারী করোনার সংক্রমনের সময়েও এখানে বিনিয়োগ হয় ৬ মিলিয়ন ডলার। এমনকি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা ছিল সেটিও সত্য হয়নি।

বিনিয়োগকারীদের নিরবিচ্ছিন্ন সহায়তা দেয়ার জন্যে জাইকার কারিগরি সহায়তায় একটি ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার চালু হয়েছে। ওয়ান স্টপ সার্ভিসের আওতায় বিনিয়োগকারীদের ১২৫ ধরণের সেবা দেয়া হচ্ছে। যার মধ্যে ১৭ টি সেবা অনলাইনে দেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে অনলাইনে সেবা আরো বাড়ানো হচ্ছে।

এছাড়াও অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের আওতায় কক্সবাজারে তিনটি ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে । এগুলো হচ্ছে সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্ক, নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক । সোনাদিয়া ইকো-ট্যুরিজম পার্কটি হবে মহেশখালীর চর মকবুল, চর ভরাট ও সমুদ্র বিলাস এলাকায়। এটি হবে বাংলাদেশের প্রথম পরিকল্পিত ট্যুরিজম পার্ক। টেকনাফ উপজেলায় নাফ নদীর পাড়ে মনোরম জালিয়া দ্বীপে প্রতিষ্ঠা হবে এই পার্ক। সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণে টেকনাফ উপজেলার সাগর তীরে।

এসব পার্কে পাঁচতারকা হোটেল, ইকো-ট্যুরিজম, মেরিন অ্যাকুয়ারিয়াম, সি-ক্রুজ, ভাসমান জেটি, শিশু পার্ক, পানির তলদেশে রেস্টুরেন্ট, ভাসমান রেস্টুরেন্ট, ঝুলন্ত সেতুসহ বিনোদনের নানা বিষয় যুক্ত করার পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে পার্কগুলোতে।

পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সারাদেশে এই অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো প্রতিষ্ঠা হলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় এক কোটি লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। বিভিন্ন অঞ্চলে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪১ হাজার লোকের কাজের ব্যবস্থা হয়েছে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




দর্শনায় ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যুবক গ্রেফতার

দর্শনায় নগদ টাকা ২শ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক যুবককে গ্রেফতার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ গ্রেফতারকৃত হাবিবুর রহমান তুফান (৩৫), মানিকগঞ্জ জেলার আলী নগর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।

এ ঘটনায় পুলিশ পলাতক হিসাবে ২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করেছে মামলা। জানাগেছে আজ বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনা পৌরসভার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামে।

এ সময় দর্শনা থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের কবর স্থানের পাকা রাস্তার উপর। পুলিশ হাবিবুর রহমান তুফানকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত তুফানের দেহ তল্লাশি করে নগদ ২৭ হাজার টাকা ২ শ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে পলাতক হিসাবে আরও ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। আজ তাকে এস আই নীতীশ বিশ্বাস বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করে।




মেহেরপুরে মানবপাচারের অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, ১৪ লাখ টাকা জরিমানা

মেহেরপুরে মানবপাচারের অপরাধে মাসুদ রানা নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

 বৃহস্পতিবার দুপুরে মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক তোহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন। মেহেরপুরে মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর এটাই প্রথম রায়।

একই সঙ্গে দণ্ডিত ব্যক্তি ১৪ লাখ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত মাসুদ রানা যশোর জেলার অভয়নগর থানার ধোপাদী নতুন বাজার এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের আলী আকবর মীর মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালে মাসুদ রানাসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করে মাসুদ রানাসহ চারজন যোগসাজশে তার ছেলে সাইদুর রহমানকে লিবিয়া পাচার করে। মামলাটি আমলে নিয়ে আাদালত মুজিবনগর থানাকে এজাহার ভুক্ত করতে আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দীর্ঘ তদন্ত শেষে মাসুদ রানাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বাকি তিনজনকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়। মামলা পর থেকে আসামী মাসুদ রানা পলাতক রয়েছেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য বিশ্লেষণ করে আদালত মাসুদ রানাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১৪ লাখ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আসাদুজ্জামান আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন।




মুজিবনগরে গণিত মাস্টার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে প্রতিযোগিতা ভিত্তিক শিক্ষার আলোকে গণিত মাস্টার প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার সময় সিডিপি এর বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গনে উপজেলার ১০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর ১০০জন শিক্ষার্থী এই গণিত মাস্টার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

দুই ঘন্টা ব্যাপী পরীক্ষা শেষে খাতা মূল্যায়ন শেষে দুপুর ৩ টার দিকে একশ জনের ভিতরে প্রথম পাঁচজনকে গণিত মাস্টার হিসাবে পুরস্কার প্রদান করা হয়।

গনিত মাস্টার হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে বাগোয়ান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র কাজী শাহজাদ বারি।

গনিত মাস্টার প্রতিযোগিতায় দশটি স্কুলের ১০ জন গণিত শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন, প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বল্লভপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক শতদল মল্লিক, গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রিফাত আল মাহমুদ, এডমিন অফিসার অশোক মালাকার এবং গুডনেইবাস্ এর মেডিকেল অফিস অফিসার শুভ কুমার সহ গুডনেইবার্স এর কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।




মেহেরপুরে সাবেক এমপি প্রফেসর আব্দুল মান্নানের জন্মবার্ষিকী উদযাপন

মেহেরপুরে সাবেক এমপি প্রফেসর আব্দুল মান্নানের ৭৯ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রফেসর আব্দুল মান্নানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আ.খ.ম ইমতিয়াজ জুয়েল, সাবেক যুবলীগ নেতা হুমায়ূন কবির বাবু, সাবেক ছাত্রনেতা খালেদুজ্জামান খাঁন ডালিম, শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ইয়ারুল ইসলাম, শহর আওয়ামীলীগের সদস্য মিরাজুল ইসলাম , থানা শ্রমিকলীগ সভাপতি সাজেদুর রহমান সাজু,  সাবেক যুবলীগ নেতা সাইদুর রহমান,ওয়ার্ড যুবলীগের সম্পাদক সুজা উদ্দিন খোকন,  হরিরামপুর যুব উন্নয়ন সমিতির সভাপতি সেলিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক নয়ন আহামেদ , রবিউল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন রাজু, শেখ কায়সার হামিদ বুলবুল, রাকিবুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, বকুল আহামেদ, সাবেক যুবলীগ নেতা রকিবুল ইসলাম বাবু ,আব্বাস উদ্দিন, মিনহাজুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান সহ সমর্থক, শুভাকাঙ্ক্ষী বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ  উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের গণসংযোগ ও পথসভা

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলামের গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকালে মেহেরপুর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে গনসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম।

প্রধানমন্ত্রীর অর্জিত নব উদ্দিপনার স্মার্ট বাংলাদেশ শীর্ষক পথসভায় বক্তব্য রাখেন , দুই নাম্বার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আল মামুন,আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রেজা,জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শোভন সরকার, সাবেক যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল আলমসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা। গণসংযোগ কালে অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সকলকে নৌকার পক্ষে কাজ করার আহবান জানান।




ঝিনাইদহে সেফ সুইমিং একাডেমীর আয়োজনে আলোচনা সভা

ঝিনাইদহে পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধ সচেতনতা ও সাঁতার শিখন বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ  বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সেফ সুইমিং একাডেমী।  অনুষ্ঠানে সাঁতারের প্রয়োজনীয়তা ও সাঁতার না জানার কারণে মৃত্যুর বিষয়ে নানা আলোচনা করা হয়।

সেসময় ঝিনাইদহ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত কুমার পাল, সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহীদুল ইসলাম, সমাজসেবক ইসমাইল হক শান্তি জোয়ার্দ্দার, ব্যবসায়ী নিয়ামুল করিম টিপু, সেফ সুইমিং একাডেমীর পরিচালক মাহাফুজুর রহমান বিপ্লব, সহকারী পরিচালক কাজী আলী আহম্মেদ লিকুসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। আলোচনা সভায় ওই বিদ্যালয়ের দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।

আলোচনা সভায় পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে জনসচেতনতা তৈরী, বছরের একটি দিনকে জাতীয় সাঁতার শিখন দিবস ঘোষণা করা, সাঁতার শিখনে বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচীতে অর্ন্তভুক্ত করাসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ তুলে ধরা হয়।