মেহেরপুরে জেলা জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ মিছিল ও স্মারকলিপি প্রদান

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এবং প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরীফা কাদেরের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে মেহেরপুরে বিক্ষোভ মিছিল এবং স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা জাতীয় পার্টি।

আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হাদীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ আব্দুল হামিদ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জাতীয় পার্টির সহ-সভাপতি মোঃ কেতাব আলী, মোঃ আব্দুল বাকী, রুহুল আমিন, গাংনী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বাবলু হোসেন প্রমুখ।

এছাড়াও পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোঃ আক্তার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রাকেশ শেখ রাজন, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি কুতুব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নজরুল ইসলাম, কৃষক জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল গফুর, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিক, জাতীয় যুব সংঘতির সভাপতি সৈয়দ আশরাফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এসময় বক্তারা বলেন, জাতীয় পার্টি ২০১৪ সাল থেকেই বিনা ভোটে কর্তত্ববাদি শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিল। জাতীয় পার্টির বিরুদ্ধে তখন থেকেই ষড়যন্ত্র চলে আসছে। এখন নতুন করে পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং তার সহধর্মিনী প্রেসিডিয়াম সদস্য শেরিফা কাদেরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ষড়যন্ত্রেরই প্রকাশ। বহু প্রাণের বিনিময় অর্জিত এই বিজয় যাতে করে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এজন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আমাদের দাবি জাতীয় পার্টি নেতাদ্বয়ের বিরুদ্ধে দায়ে করা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার করা হোক।




অধ্যক্ষ খোরশেদ ও সভাপতি জাফরকে দূর্ণীতিবাজ আখ্যা দিয়ে অপসারণের দাবি

গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজে অনিময়মতান্ত্রিক উপায়ে গভর্নিং বডির এডহক কমিটিতে বিতর্কিত বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি মনোনীত করার জেরে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসি।

এডহক কমিটির সভাপতি জাফর আকবরকে টিনচোর ও দূর্ণীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তাকে কমিটি থেকে বহিস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এনিয়ে গতকাল  সোমবার সকাল ১০ টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদের প্রধান গেটে মানববন্ধনের ডাক দিয়েছেন তারা।

একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে।

একটি সূত্র জানায়,গাংনীর শির্ষ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এলাকা সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গাংনী পাইলট স্কুল এন্ড কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাকের নাম প্রস্তাব করেন। দূর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক সেই দাবিকে পাঁশ কাটিয়ে এলাকার বিতর্কিত ব্যক্তি জাফর আকবরকে সম্প্রতি গভর্নিং বডির এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে জাফর আকবরকে সভাপতি ও বালিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দীনকে বিদ্যুোৎসাহি সদস্য নিয়োগ দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর।

বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর পরই ফুঁসে ওঠে স্থানীয়রা। এনিয়ে গত রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে গাংনী পৌর বিএনপি নেতা শাহাজাহান সেলিম, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জামাল উদ্দীন ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপি নেতাকমীর্রা মহিলা কলেজে গিয়ে প্রতিবাদ জানান। এবং বিতর্কিত এডহক কমিটি বাতিলের দাবী জানান।

তারা বলেন, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী অনিয়মতান্ত্রিক পন্থায় গোপনে কমিটি গঠন করার জন্য শিক্ষা বোর্ডে নাম প্রস্তাব পাঠিয়েছেন।

এদিকে অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষুব্ধ বিএনপি নেতাকর্মীরা তার কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। এসময় অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী কলেজ থেকে পালিয়ে যান বলে জানান বিক্ষুব্ধরা।

এদিকে আজকের মানববন্ধন থেকে দূর্ণীতিবাজ সভাপতি জাফর আকবর ও নিয়োগে অর্থবাণিজ্যকারী অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর পদত্যাগই পারে মহিলা ডিগ্রি কলেজের লেখাপড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে, গাংনী মহিলা কলেজের দূর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর পদত্যাগ চাই দাবি করবে মানববন্ধনকারীরা।

একটি গোপন সূত্রে জানা গেছে, কলেজের ভাইস প্রিন্সীপালের পদটি শূন্য হয়েছে। এই পদটিতে নিয়োগ বাণিজ্য করার উদ্দেশ্যেই অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী তার অনুগত ব্যক্তিকে কমিটির সভাপতি করতেই গোপনে শিক্ষা বোর্ডে নাম প্রস্তাব পাঠিয়েছেন




দর্শনায় কেরুজ শ্রমিকদের সাংবাদিক সন্মেলন

হয়রানি মূলোক মিথ্যা মামলা ও ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোয় অভিযুক্ত মহিদুলের দৃষ্টান্তমূলোক শাস্তির দাবিতে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ১০৪ জন শ্রমিক ও কর্মচারী দর্শনা প্রেসক্লাবে গতকাল সোমবার বিকাল ৫ টায় সাংবাদিক সন্মেলন করেছেন।

সাংবাদিক সেন্মলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শ্রমিক কর্মচারীদের পক্ষে আক্তার খান শান্তি। লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন, কেরু এ্যান্ড কো¤পানীতে স্থায়ী পদ শূন্য হওয়ায় মৌসুমী হতে স্থায়ী করণ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিলো। শ্রমিক কর্মচারীর নেতৃবৃন্দ তিন বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে মন্ত্রানালয় থেকে মৌসুমী থেকে স্থায়ী করণ নীতিমালা অনুমোদন করে আনেন।

নীতিমালা অনুসারে দর্শনা কেরুজ চিনিকলের ১০৪ জন মৌসুমী শ্রমিক ও কর্মচারী লিখিত পরীক্ষা এবং মৌখিক ভাইবা দিয়ে স্থায়ী করণের সুযোগ পায়। চিনিকল কর্তৃপক্ষের প্রেরিত পত্র মোতাবেক স্ব-স্ব স্থানে যোগদানও করি। চাকুরী বিধিমালা অনুসারে বেতনভূক্ত হই। চাকুরী না পেয়ে চিনিকলের আলোচিত শ্রমিক মহিদুল ইসলাম বাঁকাপথে হাঁটতে থাকে। সদর দপ্তরের নীতিমালা সম্পর্কে মিথ্যা অপপ্রচারার চালাচ্ছে। এমনি অনেকের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি শুরু করে। এতও ক্ষান্ত হয় না সে ফেসবুকে বিভিন্ন জনের নামে মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে থাকে। যা রীতিমত বিব্রতকর ও মানহানিকরও বটে।

এরি মধ্যে আমরা তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও করেছি। ইতপূর্বে মহিদুল চিনিকলে চাকুরী করার সুবাদে ২০২০-২১ মৌসুমে চুক্তিভিত্তিক সিডিএ হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে ভুয়া চাষী বানিয়ে ঋণ নিয়ে আত্নসাৎ করে ধরা পড়ে। কমিটি কর্তৃক তদন্ত করে তাকে দোষী সাবস্থ করা হয়। আত্নসাতের টাকা তার তাহার পিএফ ফান্ড হইতে কর্তন করা হয় ও অবশিষ্ট টাকা নগদ জমা করে। তাহার বিরুদ্ধে পিবিআই রিপোর্টও আছে। চুরির অপরাধে চাকুরী যাবার কথা থাকলেও মানবিক কারণে তৎকালিন কর্তৃপক্ষ তা করেননি। শুধু তাই নয় আমরা জানতে পেরেছি মহিদুল ইসলাম একজন প্রতারক। সে একাধিক বিবাহিত। তার বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের একটি ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক ডিজঅনার মামলা চলমান। আমাদের কয়েকজনের নামে মিথ্যা চাদাবাজি মামলা করেছে। ঘটনার তারিখে আমরা অনেকেই ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছিলাম।

এরিমধ্যে মিথ্যা মামলা করে নিজে একটি দৈনিক হাজিরায় জৈব সার কারখানাই কাজ হাতিয়ে নিয়েছে। তারপরও চক্রান্ত থেমে নেই তার। আমাদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় ঘুরে দাড়াতে বাধ্য হয়েছি। আমরা ১০৪ জন একমত হয়ে এরি মধ্যে প্রতারক মহিদুলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করেছি এবং আরও মামলা প্রক্রিয়াধিন আছে। সে নিজেকে ধোয়াতুলশির পাতা মনে করছে। তার প্রতারণা, চুকরী অবস্থায় চুরি করে ধরাপড়ার বিষয়টি সকলের জানা দরকার। তাই আপনাদের লেখনির মাধ্যমে প্রতারখ মহিদুলের মুখোশ উন্মচন করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা।




জীবননগর ভূমি অফিস পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাযলয় ও উপজেলা ভূমি অফিস পরিদর্শন শেষে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনয় করলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

গতকাল সোমবার বিকাল ৩টার সময় জীবননগর উপজেলা ভৃমি অফিস পরিদর্শন শেষে উপজেলা পরিষদের হলরুমে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ণ চন্দ্র পালের সভাপতিত্বে মতবিনয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বোন বিভাগের কমকতা কাজল আহম্মেদ, উপজেলা ত্রান কমকতা মিজানুর রহমানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।




হাঁট কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় দামুড়হুদা ডুগডুগী পশুহাটে তীব্র যানজট

দামুড়হুদা ডুগডুগী পশুহাটে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। আর অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করছে এলাকাবাসী। গতকাল সোমবার ডুগডুগি পশুহাটে বেলা বাড়ার সাথে সাথে ৩/৪ ঘন্টা এই যানজট তীব্র থেকে তীব্র আকার ধারণ করে।

সরজমিনে জানাগেছে, সপ্তাহের প্রতি গতকাল সোমবার দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ডুগডুগি বাজারে বসে এই পশুহাট। ঐতিহ্যবাহী ডুগডুগি পশুহাটে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খামারী ও ব্যাবসায়ীরা আসে পশু ক্রয় বিক্রয়ের জন্য। প্রধান সড়কের পাশেই অবস্থিত এই পশুহাট। হাটে আসা পশু বহনকারী ট্রাক, ট্রাক্টর, পাওয়ারটলি, আলমসাদু, ভটভটি, নসিমন, করিমন ও ইজিবাইকের যেখানে সেখানে অবস্থান করা এবং হাট কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাই বেড়েছে তীব্র যানজট। হাঁট মালিকদের উদাসিনতায় এবং রাস্তা ক্লিয়ার করার পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল না থাকায় যানজট দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে। হাঁটে কয়েকজন পুলিশ থাকলেও তা যানজট নিরসনে যথেষ্ট নয়। সড়কের উপরই লাইন দিয়ে পশুনিয়ে দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে খামারিদের। এতে রাস্তা সংকীর্ণ হয়ে আরও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে পশুর বর্জ্য অপসারণের নেই পর্যাপ্ত ব্যাবস্থা। পশু হাটের দিন যানজটের কারনে এই সড়কে আসা যাওয়া করা খুবই যন্ত্রণাদায়ক ও কঠিন।

হাঁটের দিন ডুগডুগি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারেনা। হাঁটের দিন ডুগডুগির প্রধান সড়কটি ক্লিয়ার রাখার জন্য হাঁট কতৃপক্ষের কোন লোকজনকে কাজ করতে দেখা যাইনি।

ডুগডুগি পশুহাটে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকা কালিগন্জের উম্মে সালমা নামের একজন সমাজ কর্মী বলেন, এই হাটে খুবই যানজট। কিন্তু এই যানজট ক্লিয়ার করার মতো হাটের কোন লোকজন কে দেখতে পায়নি। এতক্ষণ রাস্তায় ভীড় থাকলে মানুষের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। হাঁট কতৃপক্ষের অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেন তিনি। দ্রুত যানজটের স্থায়ী সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবে এমনটাই দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলার নবাগত নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহল বলেন, ডুগডুগি পশুহাটে যানজট নিরসনে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আমি ডুগডুগি পশুহাঁট মালিকদের সাথে কথা বলবো। হাঁটের দিন যেনো পর্যাপ্ত পরিমাণে লোকবল নিয়োগ করে রাস্তা ক্লিয়ার রাখে।




বন্যার্তদের সাহায্যার্থে ভৈরবের অনুদানের টাকা প্রদান

মেহেরপুর এর অন্যতম সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন “ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর” বন্যার্তদের সাহায্যার্থে অনুদানের টাকা প্রদান করেছে।

আজ সোমবার সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ এর নিকট অনুদানের নগদ ১৫ হাজার টাকা উপদেষ্টার ত্রান তহবিলে দেওয়ার জন্য প্রদান করা হয়।

এসময় “ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর” এর সভাপতি এ্যাড: আনোয়ার হোসেন, সহ- সভাপতি নূরুল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মেহের আমজাদ, যুগ্ম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কানন জেলা প্রশাসকের নিকট অনুদানের টাকা তুলে দেন। এসময় “ভৈরব সাহিত্য সাংস্কৃতিক চত্বর” এর অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে গোপনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি গঠন, “অভিভাবক প্রধান শিক্ষক মুখোমুখি”

বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও এলাকার মতামতকে অগ্রাহ্য করে এডহক কমিটিতে গোপনে শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য মনোনীত করায় প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী।

এডহক কমিটি থেকে প্রধান শিক্ষিকার মনোনীত বিতর্কিত সদস্যকে বাদ দিয়ে এলাকাবাসির মনোনীত ব্যক্তিকে শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য করার দাবীতে আজ সোমবার সকাল থেকে কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আঙিনায় অভিভাবক ও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিবর্গ অবস্থান নেন।

জানা গেছে, গাংনী উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ২ নং কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠণ নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যব্যক্তিবর্গ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি হাজী সামসুল হককে দাতা সদস্য ও কাথুলি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমান জিয়াকে শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে প্রস্তাব দেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন গোপনে এডহক কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে বারবার নির্বাচিত ও ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার চাচা মাঝহারুল ইসলামকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেন। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর এলাকার মানুষ প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। প্রতিবাদে গতকাল সোমবার সকাল থেকে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে অবস্থান নেন।

অবস্থান কর্মসৃচির নেতৃত্ব দেন,গাঁড়াবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক ও অভিভাবক রহিদুল ইসলাম, কুতুবপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক হাজী সুন্নত আলী, সদরথানীয় বিএনপি নেতা সাহেব আলী সেন্টু, বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও এডহক কমিটির মনোনীত দাতা সদস্য শামছুল হুদা বিশ্বাস, গণ্যমান্য ব্যক্তি তাজলু হোসেন, কামরুল ইসলামসহ গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের লোকজন।

শিক্ষক রহিদুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের এডহক কমিটি গঠনের জন্য আমরা অভিভাবকরা গাঁড়াবাড়িয়া বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষক জিয়াউর রহমানের নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আমাদের কথা না শুনে প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন গোপনে সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি মাহজারুল ইসলামের নাম গোপনে প্রস্তাব করায় এডহক কমিটি পাশ করিয়েছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন এই স্কুলে যোগদান করার পর থেকে শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ছে। সরকারি বরাদ্দের স্লিপের টাকার কোন উন্নয়ন কাজ করা হয়নি। সাবেক শিক্ষক প্রতিনিধি মাজহারুল ইসলাম ও সাবেক কমিটির সাথে মিলে স্লিপের টাকাসহ স্কুলের পুরাতন বিল্ডিংয়ের দরজা জানালা গোপনে বিক্রি করে আত্মসাত করেছেন। বিদ্যালয়ের কোন উন্নয়ন মুলক কাজ না করে বিল ভাউচার করে টাকা উত্তোলন করেন।

প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করে তিনি বলেন, এডহক কমিটি থেকে শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য বিতর্কিত মাজহারুল ইসলামকে বাদ দিয়ে জিয়াউর রহমান জিয়াকে প্রতিনিধি করতে হবে। নাহলে অভিভাবকদের অবস্থান কর্মসুচি চলবে।

অভিভাবকরা আরও জানান, প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন অবিলম্বে আগের কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি মাঝারুলের নাম বাতিল করে আমাদের প্রস্তাবিত প্রার্থী জিয়াউর রহমানের নাম দিয়ে নতুন কমিটি করার দাবি জানান।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুসলিমা খাতুন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, আমি বিধি মোতাবেক সবকিছু করেছি।

এব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসিরউদ্দিনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কুতুবপুর সরকারি বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির ব্যাপারে কোন কিছু জানিনা। আপনার কাছে থেকে আমি প্রথম জানতে পারলাম।




দর্শনায় সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে ৯ম শ্রেণীর ৪টি বিষয় বাতিলসহ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করছে ছাত্র ছাত্রীরা। এ বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেয় তিনটি মাধ্যামিক বিদ্যালয় ও ১ টি মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা। এ সময় ছাত্র ছাত্রীরা দর্শনার প্রধান সড়ক ও দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে মহাসড়ক অবরোধ করে।

এ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে প্রায় ১০ মিনিট। এতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ছাত্র ছাত্রীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে করতে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করে।

এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দর্শনা মেমনগর বিডি মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মাসুদ রানা, ইয়ামিন আরাফাত, রাফিজা জান্নাতুল।

দর্শনা মাধ্যামিক বালিকা বিদ্যালয়ের বৈশাখী, সাইমুন নাহার মুন ও কেরু উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত রহমান। এ সময় ছাত্র ছাত্রীরা বলেন, ঐচ্ছিক বিষয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিক্ষা ও সংস্কৃতি ও জীবন জীবিকা, ডিজিটাল প্রযুক্তির আংশিক বাতিলের দাবিতে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে।

এ সমাবেশে ছাত্র ছাত্রীরা আরও বলেন, আমাদের পরিক্ষার মাত্র দুই মাস আছে আমরা এত পড়াশুনা করে কভার করতে পারবো না। তাই আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো। এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে প্রায়ব ৪ শতাধিক ছাত্র ছাত্রী অংশ নেয়।




মুজিবনগরে উপজেলা ভিত্তিক গণিতে উস্তাদ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মুজিবনগর এ গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি এর আয়োজনে, উপজেলা ভিত্তিক ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে গণিতে ওস্তাদ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার দুপুরে গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস প্রাঙ্গনে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপে স্কুল পর্যায়ে ২৭৭ জন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের মধ্যে বিজয়ী ৩০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ধাপে উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। গণিতে ওস্তাদ প্রতিযোগিতায় বাগোয়ান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আনন্দবাস সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মুজিবনগর সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পাঁচজন শিক্ষার্থী তাসমিয়া খাতুন, আফরিন খাতুন, সহিক হোসেন, লতিফা খাতুন, আলী আল আবদুল্লাহ বিজয়ী হওয়ার গৌরব অর্জন করে।

গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানেজার সুব্রত টুডু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিডিপি এর সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদ সহ অংশগ্রহণ কৃত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ।




দামুড়হুদায় ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির মৃৎশিল্পীরা

শারদীয় দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সর্ব বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে এখনও ১৫ দিন বাকী থাকলেও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের দরজায় কড়া নাড়ছে দেবী-দুর্গার আগমনী বার্তা। ইতোমধ্যেই দামুড়হুদা উপজেলায় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দুর্গা প্রতিমা তৈরির কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে। মণ্ডপের সাজসজ্জাসহ সার্বিক প্রস্তুতি দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছেন আয়োজক ও পূজা উদযাপন কমিটি।

আগামী ০৯ অক্টোবর থেকে শুরু হবে পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা। দামুড়হুদা উপজেলায় এবছরে ২০টি মণ্ডপে দুর্গা প্রতিমা বসবে। তারই সাজসজ্জায় ব্যস্ত আয়োজকরা। শারদীয় উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পূজা উদযাপন কমিটির নেতারা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কারিগররা কাদা-মাটি, খড়-কাঠ সংগ্রহ থেকে শুরু করে, প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এই কার্যক্রম।এখন শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতে ওঠার অপেক্ষায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।এ উৎসবকে ঘিরে উপজেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে দেখা দিয়েছে কর্ম ব্যস্ততা।দিন রাত কাজ করে শিল্পীদের হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। যেন দম ফেলার সময় নেই কারিগরদের। তবে রং, তুলির ও সাজসজ্জার দাম বেশি হওয়া ও প্রতিমা বানানোর মজুরি একটু কম পাওয়ায় চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে তাদের মধ্যে।

মাগুরা জেলার লক্ষীপুর থেকে আসা প্রতিমা শিল্পী শ্রী সুজন দাস বলেন,আমি ১৩ বছর যাবত প্রতিমা বানায়। দুর্গা প্রতিমা ছাড়াও সকল ধরনের প্রতিমা বানিয়ে থাকি এইবার আমি তিন টা প্রতিমার কাজ করতেছি।৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকায় কন্টাক্টে, আমার সাথে দুই জন হেলপার আছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক বাসুদেব হালদার বলেন, এবার অনেক বড় করে পূজা করা হচ্ছে। মহাভারতের কিছু দৃশ্য রাখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে দামুড়হুদা উপজেলায় মোট ২০টি প্রতিমা গড়া হচ্ছে।

দামুড়হুদা উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব পলাশ কুমার দে জানান, এ বছর অনেক সাড়ম্বরে পূজা উদযাপন করা হবে। মূর্তি গড়ার কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কিছুদিন পর থেকেই রংয়ের কাজ শুরু হবে। দশভূজা দেবী দুর্গা এবার আসছেন দোলায় চড়ে। আর বিসর্জন যাবেন ঘোটকে। পূজাকে কেন্দ্র করে তাই সর্বত্রই চলছে সাজ সাজ রব।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে, পুজায় আগত দর্শনার্থীদের ভিড় এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ, পুলিশের টহল জোরদার করা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে অনুরোধ, সহ ইভটিজিং ও নারীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদানে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ মহল বলেন, প্রতিমা তৈরির স্থানসমুহ এবং পূজা মন্ডপ গুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্হা গ্রহণ করা হয়েছে। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে সে লক্ষ্যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের সাথে সুষ্ঠুভাবে যেন পূজা উদযাপিত হয় সে লক্ষে জনপ্রতিনিধি সহ সর্বসাধারণের সহযোগিতা কামনা করছি।