দামুড়হুদা লোকনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ

দামুড়হুদা লোকনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল ও অভিভাবক সমাবেশ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে লোকনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মিড ডে মিল ও অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

লোকনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ জিল্লুর রহমান খোকন এর সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ০২ আসেনর সংসদ সদস্য হাজী মো আলী আজগার টগর। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোঃ শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবু হাসান, হাউলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু সাঈদ খোকন, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, হাউলী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আয়ুব আলী স্বপন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা ০২ আসনের সাংসদ সদস্য হাজী মো: আলী আজগার টগর এমপি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা তিনি দেশর জন্য যে সকল কাজগুলো করছেন এসবই গ্রামের হতদরিদ্র মানুষের জন্য করছেন। প্রাথমিক শিক্ষা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা সহ সব কাজই দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য করছে। আপনারা সবাই জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন। আগামী দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে সকল নেতা কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে দেশের জন্য কাজ করার আহবান করেন তিনি।




আলমডাঙ্গার কামালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সিমানা প্রাচীর কেটে গেট নির্মাণ

আলমডাঙ্গার কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর পেছনে পকেট গেট রেখে ব্যক্তিগত রাস্তা করার অভিযোগ উঠেছে। দুটি পরিবার স্কুলের মধ্যে দিয়ে আসা যাওয়া করায় রাত-দিন মেইন গেট খুলে রাখার কারণে, স্কুল প্রাঙ্গণে বেড়েছে উচ্ছৃঙ্খল যুবকদের আনাগোনা । প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত শিক্ষকেরা।

স্থানীয়রা জানান, গত ১ বছর পূর্বে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের উদ্যোগে ও উপজেলা প্রকৌশল (এলজিইডির) অর্থায়নে কুমারী ইউনিয়নের কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাচিল নির্মাণ কাজ শুরু হয় । স্কুলের জমির সিমানা ও শিশুদের শতভাগ সুরক্ষা নিশ্চিতে উপজেলা শিক্ষা অফিস এ প্রাচিল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। ওই বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্বপালন করেন কামালপুর গ্রামের বজলুর রহমান। পৈত্রিক জমি স্কুলে দান করায় দাতা হিসেবে তার পূর্বপুরুষেরাও এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতির দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি সভাপতি থাকা অবস্থায় প্রাচীর নির্মাণ কাজ শুরু হয়।

স্থানীয়দের অভিযোগ নিজ ক্ষমতা বলে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ওই দুটি পরিবারের সদস্যদের যাতায়াতের জন্য পেছনের দিকে একটি পকেট গেইট রেখে দিয়েছে । যা ক্ষমতার অপ ব্যবহার।

পেছনে পকেট গেট রাখার বিষয় প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন,আমরা মাসিক মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করে সকলের মতামতের ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ ব্যাপরে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজোহা জানান, বিদ্যালয়ের পকেট গেট নির্মাণের কোন সুযোগ নেই। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও স্কুল কতৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




আলমডাঙ্গায় ১ কেজি গাঁজাসহ যুবক আটক

আলমডাঙ্গা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ১ কেজি গাঁজাসহ সুজন আলী (২৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন- কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার সুতাইল গ্রামের আমজেদ আলীর ছেলে সুজন আলী (২৫)।

পুলিশ জানায়, আলমডাঙ্গা পৌরসভাধীন রেলস্টেশন এলাকায় পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। এ সময় সন্দেহজনক ভাবে সুজন আলী নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশ। পরে তার শরীর তল্লাশি চালিয়ে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। ওই সময় গাঁজা রাখার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে আজ বুধবার রাতে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা হয়েছে।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।




রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে ৮ খাবারে

শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো খুবই প্রয়োজন। কারণ কোনো মানুষের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকলে সে সহজে যে কোনো রোগে আক্রান্ত হতে পারে। তাই রোগ জীবাণু ও সংক্রমণ রোধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করা প্রয়োজন। এ সময়ে ঠাণ্ডা-জ্বর, হাঁচি-কাশিতে আক্রান্ত হন অনেকেই। এসব রোগ দূরে রাখতে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।

কিছু খাবার রয়েছে যা আপনার শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে। আসুন জেনে নিই এমন কিছু খাবার সম্পর্কে। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:

আমলকি
ভেষজ গুণে অনন্য একটি ফল আমলকি। বিভিন্ন অসুখ সারানো ছাড়াও আমলকী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে দারুণ সাহায্য করে। আমলকীর গুণাগুণের জন্য আয়ুর্বেদিক ওষুধেও এখন আমলকীর নির্যাস ব্যবহার করা হয়। আমলকীতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি। পুষ্টিবিজ্ঞানীদের মতে, আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজিলেবুর চেয়ে তিন গুণ ও দশ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে। আমলকীতে কমলালেবুর চেয়ে ১৫ থেকে ২০ গুণ বেশি, আপেলের চেয়ে ১২০ গুণ বেশি, আমের চেয়ে ২৪ গুণ এবং কলার চেয়ে ৬০ গুণ বেশি ভিটামিন সি রয়েছে।

এটি গরম পানির সঙ্গে খেতে পারেন বা খালি পেটেও খেতে পারেন। এর রসও পান করা যায়। এটি অ্যান্টি–অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ। খালি পেটে খাওয়ার সময় অভ্যন্তরীণভাবে আমাদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে, যা আমাদের ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।

আদা
গলা প্রশমিত করে এবং বুকে জমা কফ থেকে মুক্তি দিতে কাজ করে আদা। প্রতিদিন আদা চা খাওয়ার অভ্যাস আছে অনেকেরই। এটি আমাদের সুস্থতার জন্য নানাভাবে কাজ করে। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেশন বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ আদা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দারুণ কার্যকরী। এটি আমাদের প্রায় সবার রান্নাঘরেই পাওয়া যাবে।

গুড়
চিনির বিকল্প এই খাবারে শরীর উষ্ণ রাখার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। রক্তস্বল্পতায় গুড় সমান কার্যকরী কারণ এতে থাকে প্রচুর আয়রন। শীতের সময়ে আয়রনের মাত্রা পর্যাপ্ত রাখা জরুরি। কারণ আয়রনের পরিমাণ কমে গেলে শরীরে অক্সিজেনের স্বল্পতা দেখা দিতে পারে। ফলে শীত বেশি অনুভূত হয়। গুড় খেলে তা আমাদের ফুসফুস পরিষ্কারেও কাজ করে। তাই এটি শীতের সময়ে বেশি উপকারী।

নিমপাতা
খালি পেটে নিমপাতা-বাটা খেলে রক্ত পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া রোধী উপাদান যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।

রসুন
প্রাচীনকাল থেকেই বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় রসুনের ব্যবহার চলে এসেছে। রসুনের মধ্যে পাওয়া যায় ক্যালসিয়াম‚ কপার‚ পটাশিয়াম‚ ফসফরাস‚ আয়রন ও ভিটামিন বি ওয়ান। রসুন অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান থাকে। যা প্রাকৃতিক ভাবে সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও রসুন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হার্ট ও ফুসফুস কে ভালো রাখতে সাহায্য করে রসুন। সকালে খালি পেটে রসুন খেলে এই রকম অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে ১- ২ কোয়া রসুন উষ্ণ গরম জলের সাথে খাওয়া যেতে পারে।

মধু
যাবতীয় রোগ নিরাময়ে এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মধুর গুণ অপরিসীম। মধুতে যেসব উপকরণ রয়েছে, তার মধ্যে প্রধান উপকরণ হলো সুগার বা চিনি, আর যেটা আমরা অনেকই এড়িয়ে চলি। কিন্তু মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ—এ দুটি সরাসরি মেটাবলাইজড হয়ে যায় এবং ফ্যাট হিসেবে জমা হয় না।

লেবু
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায় লেবু থেকে। এই ভিটামিন শরীরকে সুস্থ রাখতে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ওজন কমাতেও সহায়ক এটি। টি মূলত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-সেপটিক। লেবুতে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিকভাবে উপস্থিত ভিটামিন সি উপাদান থাকায় এর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। প্রতিদিন প্রয়োজনীয় ভিটামিন সি গ্রহণ করতে হবে।

হলুদ
প্রাচীন কাল থেকেই রোগ প্রতিরোধক ও জীবাণুনাশক হিসেবে যেসব উপাদানকে চিহ্নিত করা হয়, তার মধ্যে অন্যতম হলো হলুদ। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানেও গুণাগুণ বিচারে হলুদ জায়গা পেয়েছে। কাঁচা ও শুকনা হলুদের গুঁড়াতে আছে প্রচুর পরিমাণে কারকিউমিন যৌগ, যা আসলে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কাঁচা হলুদে আছে ভিটামিন সি। সুতরাং নিয়ম করে প্রতিদিন কাঁচা হলুদ খাওয়া ও রান্নায় হলুদ ব্যবহার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের সক্রিয় হিযবুত তাহরীর

প্রতিবছরই তারা এই আয়োজন করলেও এবারের অনলাইন সম্মেলনের টাইমিং ও উদ্দেশ্য প্রবলভাবে প্রকাশ পেয়েছে। নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, নিষিদ্ধের এক যুগ পেরিয়ে গেলেও হিযবুত তাহরীরের দৃশ্যমান কর্মকাণ্ড নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি। আর পুলিশ বলছে, প্রচারণা থাকলেও বড় নাশকতার সক্ষমতা নেই জঙ্গি সংগঠনটির।

ঢাকার বেশকিছু ব্যস্ততম এলাকায় নতুন করে প্রচারণায় নেমেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীর। ডেকেছে অনলাইন সম্মেলনও। সেই সম্মেলনের প্রচারণার পোস্টারে সয়লাব রাজধানীর বিভিন্ন দেয়াল। রাজধানীর পল্টন, সিদ্ধেশ্বরী, বাংলামোটর, রামপুরা, কলাবাগান এলাকার দেয়াল ছেয়ে গেছে নিষিদ্ধ সাংগাঠনের পোস্টারে।

এলাকার লোকজন বলছেন, মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর কোন একসময় পোস্টারগুলো লাগানো হয়েছে। তবে কারা কীভাবে লাগিয়েছে তা জানেন না স্থানীয়রা। তবে তাদের শঙ্কা, এভাবে ওরা সংগঠিত হয়ে বড় ধরনের কোন অপকর্ম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়ে থাকে। একটি নিষিদ্ধ সংগঠন চোখের সামনে তাদের কার্যক্রম কীভাবে পরিচালনা করছে এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।

এব্যাপারে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, ‘আমি মনে করি না বিষয়টি শুধু পোস্টারিংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্য যে ইউনিটগুলো কাজ করছে, তাদের সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে পোস্টার লাগিয়ে যখন কেউ নিরাপদে পালিয়ে যেতে পারে। তাদেরকে খুব ক্যাজুয়ালি নেওয়ার কিছু নেই, তারা বিপদজনক।’

এদিকে পোস্টার লাগানোর ১২ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও কারা কোথা থেকে এসে পোস্টার সেঁটে দিয়ে গেলো সে নিয়ে কোন তথ্য নেই থানায়। কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘এখনও আমি বিষয়টি অবগত নই। আমি টহল টিম পাঠিয়ে এখনই খোঁজ নেওয়ার ব্যবস্থা করছি। যদি তারা কোনো ধরনের প্রচারণা চালিয়ে থাকে, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঘটনা ঘটার পরে প্রতিক্রিয়া দেখানোর মধ্য দিয়ে সুরাহা করা যাবে না উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলাজি অ্যান্ড ক্রিমিনাল জাস্টিস বিভাগের অধ্যাপক জিয়া রহমান বলেন, ‘অপরাধ দমনের জন্য প্রঅ্যাকটিভ ও রিঅ্যাকটিভ দুটো পদ্ধতি থাকে। আমাদের এখানে প্রঅ্যাকটিভ উদ্যোগ দেখা যায় না। আমাদের যেনো দেখতে দেখতে সয়ে যাচ্ছে। বিষয়গুলো সিরিয়াসলি দেখা দরকার। দীর্ঘমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা করে এগুলো থামানো দরকার। ভুলে গেলে চলবে না ছোট ছোট ঘটনার মধ্য দিয়ে বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যেতে পারে।’

২০০৯ সালে সরকার হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও বারবার তাদের উপস্থিতি জানান দিতে তৎপর এ জঙ্গি সংগঠনটি। কথিত খিলাফত প্রতিষ্ঠায় কখনও মিছিল আবার কখনও ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করলেও তা বন্ধ করা যাচ্ছে না। আর আয়োজকরা চিহ্নিত হলেও এখনো তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।




গাংনীতে স্থানীয় সরকার দিবসের সমাপনি অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা 

গাংনী উপজেলায় জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাংনী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেকের সভাপতিত্বে স্থানীয় সরকার দিবসের অনুষ্ঠানে গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বৃন্দ, সরকারি অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুল, কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় সরকার দিবসের মেলায় ১৫টি স্টল সাসাজানো হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানবৃনদদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। তেতুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ প্রথম, মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদ দ্বিতীয় এবং সাহারবাটী ইউনিয়ন পরিষদ তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তাছাড়া তিনদিন ব্যাপী মেলায় অংশগ্রহণ কারী সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।




পদ্মা সেতুর আয় হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের দ্বার পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে প্রায় এক বছর তিন মাস আগে। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতু থেকে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার কোটি টাকারও বেশি। সেতু কর্তৃপক্ষের হিসাব বলছে, প্রতিদিন গড়ে ১৫ হাজার যান চলাচল করে পদ্মা সেতু দিয়ে। আর তাতে প্রতিদিন গড়ে ২ কোটি ১৫ লাখ টাকার মতো টোল আদায় হয় পদ্মা সেতুর দুই প্রান্তের টোল প্লাজা থেকে।

গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬শে জুন পদ্মা সেতু জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ২০২২ সালের ২৬ জুন থেকে বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মাওয়া ও জাজিরার দুই টোল প্লাজায় ৭২ লাখ ৯৬ হাজার ৬২২টি যানবাহন সেতু অতিক্রম করে। এতে এখন পর্যন্ত ক্রেডিট ও ইটিসিএসসহ এক হাজার কোটি ৯২ হাজার ১৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে।

সেতু কর্তৃপক্ষের হিসাব বলছে, একদিনে সর্বোচ্চ টোল আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৯১ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত । সেদিন ৩৫ হাজার ৫২৪ যানবাহন পদ্মা সেতু অতিক্রম করে। ওই দিন মাওয়া প্রান্তে টোল আদায় হয়েছিল ২ কোটি ২৩ লাখ ৪৯ হাজার ১০০ টাকা এবং জাজিরা প্রান্তে টোল আদায় হয়েছিল ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯০০ টাকা।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ২০২২ সালের ২৫ জুন থেকে ২০২৩ সালের ২৪ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত পদ্মা সেতু দিয়ে মোট ৫৬ লাখ ৭৫ হাজার যানবাহন পারাপার হয়েছে। এসব থেকে মোট আয় হয়েছে ৭৯৮ কোটি ২৩ লাখ ৯৬ টাকা। তার প্রায় তিন মাস পর হাজার কোটি টাকা ছাড়াল এই আয়।

৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা বহুমুখী সেতু দক্ষিণ এবং পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার উন্নয়নের সঙ্গে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। পদ্মা সেতু দিয়েচলবে ট্রেন। আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন। পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়কে প্রথম বছরেই সেতু বিভাগকে দিতে হবে ১০৬ কোটি টাকা। এ থেকেও আয় আসবে পদ্মা সেতুর।

দেশের সবচেয়ে দীর্ঘ এই সেতু নির্মাণে ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ ব্যয় মূলত অর্থ মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আদায় হওয়া টোল থেকে গত ৫ এপ্রিল প্রথম ও দ্বিতীয় কিস্তি বাবদ ৩১৬ কোটি ৯০ লাখ ৯৭ হাজার ৪৯ টাকা সরকারকে পরিশোধ করে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ।




মেহেরপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় ২ ব্যক্তির কারাদণ্ড ও জরিমানা

মেহেরপুরে চেক ডিজঅনার মামলায় দুই সহোদরকে এক বছরের কারাদণ্ড এবং ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

বুধবার ২০ সেপ্টেম্বর মেহেরপুর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক কবির হোসেন হুজাইফা ডিক্লেয়ারের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টে দায়ের করা একটি মামলার রায়ে এই আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামী চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার খোদাবকস্ মিয়ার ছেলে কামরুজ্জামান চঞ্চল ও মনিরুজ্জামান নামের দুই সহোদর। আসামিদের বিরুদ্ধে একই দিনে সোজা পরোয়ান ইস্যু করেছেন বিচারক।

মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, আসামি কামরুজ্জামান চঞ্চল ও মনিরুজ্জামানের সাথে বাদী হুজাইফা ডিক্লিয়ারের পারিবারিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকায় ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আসামিদ্বয় ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিষদের শর্তে বাদীর কাছ থেকে ১০,০০,০০০ (দশ লক্ষ) টাকা ধার নেয়। অতঃপর ২০২১ সালের ১২ এপ্রিল আসামিদের মালিকানাধীন ফ্রিয়াস ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেড নামীয় সিটি ব্যাংকের একাউন্ট থেকে একটি পেয়েবল চেক প্রদান করে।

চেকটি নগদায়নের জন্য বাদী ঐ দিনেই বাদী সিটি ব্যাংক কুষ্টিয়া শাখাতে জমা দিলে, চেকটি ডিজঅনার হয়। এরপর আবার ২০২১ সালের ২৪ মে জনতা ব্যাংক লিমিটেড মেহেরপুর শাখায় চেক নগদায়ন করতে গেলে ব্যাংক চেক ডিজঅনার সার্টিফিকেট প্রদান করে। অতঃপর ২০২১ সালের ২৫ মে বাদী আসামিদ্বয়কে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করলেও তারা কোন সারা প্রদান না করাতে বাদী ২০২১ সালের ১৫ জুলাই আাদালতে ১৮৮১ সালের নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট এক্টের ১৩৮ ধারাতে আদালতে মামলা দায়ের করে।

মামলার রায়ে বাদী হুজাইফা ডিক্লেয়ার সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

মামলাটিতে বাদী পক্ষের উকিল ছিলেন অ্যাড. মোখলেসুর রহমান স্বপন ও অ্যাড. রফিকুল ইসলাম(১) এবং আসামী পক্ষের উকিল ছিলেন অ্যড. কামরুল হাসান।




করোনায় মোকাবেলায় সরকারের চেষ্টা ছিল সর্বাত্মক

করোনাকালের কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। বেশিদিন আগের কথা নয়। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে বিশ্বজুড়ে ভয়াবহ মহামারী লেগেছিল। ইউরোপের দেশে দেশে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। ইউরোপ ছাড়িয়ে সেই মড়ক লেগে যায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় প্রত্যেক দেশে। ২০১৯ সালে চীনের উহান প্রদেশ থেকে যে করোনার সূত্রপাত সেটি উহান ছাড়িয়ে চীনের ঘরে ঘরে পৌঁছে যায় দাবানলের মত। তারপর সুপারসনিক গতিতে বিশ্বকে শাসন করতে শুরু করে। মাত্র কয়েক মাসে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

সেই মহামারী বাংলাদেশেও আঘাত হানে। ২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হয়। তারপর ধীরে ধীরে তা ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। পরিস্তিতি জটিল আকার ধারণ করতে শুরু করে। পুরো বিশ্ব যেখানে কোভিড-১৯ নিয়ে চরম অস্থিরতার মধ্যে তখন বাংলাদেশের সামনে কোভিডের কাছে আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না। কিন্তু বাঙালি যে দমবার পাত্র নয়।

বিশ্বজুড়ে কোভিডের টিকা আবিস্কারের প্রতিযোগিতা শুরু হলো। বিশেষ করে উন্নত বিশ্ব দ্রুত সেই টিকা আবিস্কারে মনোযোগ দিলো। বছর খানের মাথায় যখনই টিকা আবিস্কার একটা পর্যায়ে, তখন শুরু হলো কার আগে বা কোন দেশ কার আগে করোনার টিকা পাবে। যতো টাকার বিনিময়েই হোক।

কিন্তু টাকা থাকলেও তো টিকা পাওয়া কঠিন। এটা সবাই জানে। কারণ পৃথিবী ব্যাপী যে মহামারী ছড়িয়ে পড়েছে তা সামাল দিতে যে পরিমাণ টিকার উৎপাদন হওয়া দরকার ওই সময়ে সেটা হচ্ছিল না। এই অবস্থায় বিশ্বজুড়ে রীতিমত টিকার জন্য হাহাকার শুরু হলো।

বাংলাদেশ সেই দৌড়ে এগিয়ে গেলো, বলতে গেলে সবার আগে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পুরো কোভিড পরিস্থিতি নিজেই মনিটরিং করছিলেন। বাংলার একজন মানুষও যাতে বঞ্চিত না হয় সে জন্য তিনি সব ধরণের উদ্যোগ নেন। ইংল্যান্ড, ভারত, যুক্তরাষ্ট্রসহ টিকা উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু হলো। সেই যুদ্ধে বাংলাদেশ জয়ী হলো অবিশ্বাস্যভাবে। যে কয়টি উন্নয়নশীল দেশ প্রথম ধাপে টিকা পায় তারমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশের মানুষকে বাঁচাতে শেখ হাসিনার সরকার চড়া মূল্যে টিকা কিনে বিনামূল্যে সেটি মানুষের মধ্যে সরবরাহ করে। যদিও পরবর্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক চেষ্টা আর কূট্নৈতিক দক্ষতায় বাংলাদেশ করোনা টিকা ক্রয়ের পাশাপাশি বিনামূল্যেও টিকা পায়।

তবে শুরুর দিকে বাংলাদেশে যখন কোভিড ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে তখন দেশের মানুষকে এই অতীমারির হাত থেকে বাঁচাতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও লকডাউন ঘোষণা করা হয়। টানা ৬৫ দিন চলে লকডাউন। কিন্তু কোভিডকে তো আর লকডাউন দিয়ে আটকানো যায়নি। রাজধানীর গণ্ডি পেরিয়ে করোনা ছড়িয়ে পড়ে ৬৪ জেলায়, গ্রামে গঞ্জে। এই অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সংকট দেখা দেয় চিকিৎসা ব্যবস্থায়। চিকিৎসক, নার্সরা সেবা দিতেও ভয় পাচ্ছিলেন। তার উপর এই চিকিৎসার কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতাও ছিলো না দেশের চিকিৎসকদের। এটি মোকাবেলা সরকারেরও কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা ছিলো না। যার ফলে পরিস্তিতি সামাল দিতে প্রচণ্ড বেগ পেতে হয় সরকারকে।

প্রতিদিনই শহরের প্রধান প্রদান সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলিতে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দে মানুষের ঘুম যেমন ভাঙ্গত। তেমনি গভীর রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত সেই সাইরেনের শব্দই কানে বাজতে থাকে। হাসপাতালগুলোতে রোগীর ঠাঁই হচ্ছিল না। আইসিইউ আর ভেন্টিলেশন সংকটে রোগীদেরকে নিয়ে তাদের স্বজনরা এই হাসপাতাল, ওই হাসপাতাল করতে করতে এক সময় সেই প্রিয় মুখটি হারিয়ে গেছে চিরদিনের জন্য। এই যখন অবস্থা তখন মানুষ বাঁচাতে সরকারের তরফে নানামুখি পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

প্রথম ধাপে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়। একই সঙ্গে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মহাখালী শেখ রাসেল গ্যাস্টো লিভার হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতালসহ সরকারি-বেসরকারি বেশ কয়েকটি হাসপাতালকে কোভিডের চিকিৎসার জন্য ডেডিকেটেড করে দেওয়া হয়।

দেশের সকল জেলা পর্যায়ে ১০০ বেড, উপজেলা পর্যায়ে ৪০ থেকে ৬০টি বেড, মেডিকেল কলেজগুলোতে ৩০০ বেড এবং রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে ৫০০ থেকে ১০০০ বেড করোনা ভাইরাস আইসোলেটেড করে রাখা হয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে কোভিড রোগীদের চিকিৎসায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও নার্সদের জন্য বিশেষ ভাতা চালু করা হয়। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সরবরাহ নিশ্চিতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়। একাধিক হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যবস্থা চালু করা করা হয়। আইসিই ‘র সংখ্যা বাড়ানো হয়।

দেশে মহামারী নিয়ন্ত্রণে শেখ হাসিনার সরকারের সব পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশ বাংলাদেশের প্রতি তাদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় কোভিড সরবরাহের মাধ্যমে। এভাবেই কোভিড-১৯ থেকে ধীরে ধীরে পরিত্রাণ পায় বাংলাদেশের মানুষ।

কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সরকারের বিশেষ উদ্যোগে তড়িৎ দুই হাজার চিকিৎসক এবং পাঁচ হাজার নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে দেশে কোভিড মোকাবেলায় চার হাজার চিকিৎসক, ১৪ হাজার, ২১ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবকসহ প্রায় ৪০ হাজার জনবল কাজ করে। চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিশেষ ভাতার ব্যবস্থা চালু করা হয়।

ভ্যাকেসিনের দিক থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশগুলো মধ্যে সেবার আগে যেমন কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে, তেমনি সারাদেশের সব বয়সী মানুষের মধ্যে চার ধাপে মোট সর্বমোট ৩৬ কোটি ৬৭ লাখ ২১ হাজার ২৪৬ ডোজ টিকা দেয়। এসব টিকার মধ্যে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে টিকার একটার বড় অংশ ক্রয় করে। বাকি টিকা বিনামূল্যে পেয়েছে। প্রথম ধাপে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিকা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ওই বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সারাদেশে প্রথম ধাপের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ দেওয়া হয়। এখন চতুর্থ ডোজের কার্যক্রম চলমান।

বিশ্বব্যাপী যখন করোনায় লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে তখন বাংলাদেশে সেই হার খুবই কম। শেখ হাসিনার সরকারের সর্বাত্মক চেষ্টায় মহামারীর মৃত্যুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচানো চেষ্টা করা হয়েছে এবং তাতে সফলতাও এসেছে। এ কারণে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশংসিত হয়েছেন।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




গাংনীর ধলাতে ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন

গাংনীর ধলা গ্রামে ফুটবল টুর্নামেন্টের শুভ উদ্বোধন করেছেন। আজ বুধবার বিকাল ৫ টার সময় এ খেলা শুরু হয়।

কাথুলী ইউনিয়ন ৪ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মেহেরপুর ২ আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক ও ১ নং কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মনিরুজ্জামান মনি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগ।রাহিবুল ইসলাম পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, রেজাউর রহমান রেজা সভাপতি কাথুলী ইউনিয়ন কৃষক লীগ, সাহিদুজ্জামান শিপু সাবেক সহ সভাপতি মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ, শাহিন আলম সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগ, পলাশ আহম্মেদ সহ সভাপতি গাংনী উপজেলা ছাত্রলীগ সহ ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন,২ নং ওয়ার্ডের মেম্বর জিনারুল ইসলাম, ৫ নং ওয়ার্ডের মেম্বর ফারুক হোসেন, কাবু মিয়া, খুশি, বাশারুল ইসলাম,মালেক,সহ খেলা পরিচালনা কমিটি।

সর্বশেষ এমপি  যুবকদের খেলাধুলায় মনযোগী হওয়ার আহব্বান জানান যাতে সমাজে মাদকের ভয়াল থাবায় ছেয়ে যেতে না পারে, বর্তমান তরুন সমাজ কে এগিয়ে নিতে খেলা ধুলার কোন বিকল্প নেই।খেলা ধুলা শরীর মন কে সতেজ ও সুস্থ রাখে, শরীর মন সুস্থ থাকলে সমাজ ও সুস্থ থাকবে কারন সমাজের মেরুদন্ড হচ্ছে যুবকরা। তাই খেলা ধুলা করেন নিজে ভালো থাকুন সমাজ কে ভালো রাখুন।