মেহেরপুরের রাজনগরে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের অভিযোগ

মেহেরপুর সদরের রাজনগরে বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ও টিনসেড ভাংচুরের অভিযোগ তুলেছে রাজনগর গ্রামের ভিতর পাড়ার মিয়ারুল ইসলাম (৫০) ও ভিকু(৫৫) নামের দুই সহোদর।

মিয়ারুল ইসলাম ও ভিকু মেহেরপুর সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের ভিতর পাড়ার মৃত মনোরদ্দীনের ছেলে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত আনুমানিক দেড় টার দিকে রাজনগর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে হাবিব, মনিরুল ও জহিরুল রাতের আঁধারে তাদের বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে দেয় এবং বাড়ীর উঠানে থাকা একটি টিনের চালা ও টিনের বেড়া ভেঙে ফেলে দেয়। এবিষয়ে মিয়ারুল ইসলাম বলেন, হাবিব আমার চাচাতো ভাই গত ০৭/০৮/২৪ ইং তারিখে হাবিব আমাদের দু’ভাইকে মারধর করে এবং বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এবিষয়ে থানায় আমরা এজাহার দাখিল করেছি। আবার গতরাতে তারা তিন ভাই ও ভাইয়ের ছেলে মিলে বাড়ীর পশ্চিম দিকের সীমানা প্রাচীর ও টিনসেড ভাংচুর করে।

তিনি আরও বলেন, ওরা আমার চাচাতো ভাই। এটা আমাদের বাপ-দাদার ভিটা। এখানে মোট জমির পরিমাণ ২৮ শতক। এর মধ্যে আমার দাদা মৃত সাদের আলীর অংশ ১৪ শতক এবং হাবিবের দাদা মৃত আবদুল কাদেরের ১৪ শতক। এখন তারা জোর পূর্বক আমাদের জমির ওপর দিয়ে যাতায়াতের রাস্তা করতে চায়। এজন্য তারা আমাদের সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করেছে। এবিষয়ে হাবিব বলেন, ওদের জমির দক্ষিণ অংশে আমাদের যাতায়াতের জন্য ১৬ ফুট রাস্তা ছিল। ২৫ বছর আগে চল্লিশ হাজার টাকার বিনিময়ে ঐ রাস্তা কেনা হয়েছে। এই পথেই আমরা যাতায়াত করতাম। কিন্তু ২০১৪ সালে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তারা ঐ রাস্তা প্রাচীর দিয়ে অবরুদ্ধ করে দেয়। তারা আমার পরিবারের উপর অনেক নির্যাতন চালিয়েছে। এবং ২৯/০১/২০ ইং তারিখে পুর্ব শত্রুতার জেরে তারা লোহার রড, লাঠি সোঁটা নিয়ে আমাদের বাড়ীতে অনুপ্রবেশ করে আমার মা ও ছোট ভাইকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।

এবিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলমান আছে। প্রতিবেশীরা বলেন, ঐদিক দিয়ে একটা রাস্তা ছিল সেটা আমরা দেখেছি। আওয়ামী শাসন আমলে তারা প্রভাব খাঁটিয়ে সেই রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেয়। এখন এরা তার বদলা নিচ্ছে।




মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশের পূজামন্ডপ পরিদর্শন

মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশের উদ্যোগে শারদীয় দুর্গা উৎসব-২০২৪ উপলক্ষে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন পূজা মন্দির পরিদর্শন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু মেহেরপুর শহরের বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।

পূজামন্ডপ পরিদর্শনকালে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু সকলকে শারদীয়া শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও উৎসবমুখর পরিবেশে সকলকে পূজা উদযাপনের আহবান জানান।

এসময় জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ মোহাম্মদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান মেনন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনিসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে বল্লভপুর মুসলিমপাড়া বিএনপির আয়োজনে, যুবক্লাব প্রঙ্গনে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

দোয়া মাহফিলে বাগোয়ান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি গোলাম জিলানী খান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রশিদ।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি নেতা বাবলা মল্লিক, উপজেলা কৃষকদলের নেতা রমজান আলী, বিএনপি নেতা রহিত মোড়ল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজীর, কেদারগঞ্জ বাজার কমিটির সভাপতি আব্দুস সবুর, জেলা যুবদলের সহসভাপতি আব্দুল হামিদ, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি, শফিকুল ইসলাম, তরুন উদিয়মান যুবনেতা আরবাজ খাঁন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুর রশিদ বলেন, আওয়ামীফ্যাসীবাদী সরকারের দীর্ঘদিনের জুলুম নির্যাতন, হামলা মামলা সহ্য করে জেলা বিএনপি’র সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে ধীরে ধীরে লৌহ ইস্পাত কঠিন হয়েছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। জুলাই আগস্ট এ ছাত্র-জনতার মহা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তি পেয়েছে নির্যাতিত জাতি অজস্র বিএনপি ছাত্রদল যুবদল নেতা কর্মীদের রক্তঝরানো সংগ্রাম এবং পরিশেষে জুলাই আগস্ট এর ছাত্র জনতার মহা সংগ্রাম এবং বুকের তাজা রক্ত ফেলে দিয়ে এই দেশকে ফাঁসিবাদ মুক্ত করেছে। ওই হায়েনা শেখ হাসিনার হাত থেকে মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ মানুষ এখন মুক্ত বাসার বাতাসে প্রাণ ভরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। আজ এই মুসলিম পাড়া বিএনপির আয়োজিত এই সভায় আমরা প্রাণ ভরে দোয়া করি সেই মহান আল্লাহর কাছে বাংলাদেশের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন।

১৬ বছর ধরে নির্যাতিত সকল বিএনপি নেতা কর্মীদের একত্রিত হয়ে আগামীতে বিএনপির হাতকে শক্তিশালী করে বিএনপিকে ক্ষমতায় এনে সারা বাংলাদেশের মানুষকে একটি সুন্দর বাংলাদেশ উপহার দিতে হবে। এজন্য সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে সকল বিএনপির নেতা কর্মীরা এক হয়ে কাজ করে যেতে হবে।

এ সময় তিনি জুলাই আগস্টে নিহত সকল ছাত্র-জনতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের দ্রুত রোগ মুক্তি কামনা করেন।




মেহেরপুরে বজ্রপাতে দুই জনের মৃত্যু

মেহেরপুর সদর উপজেলার দফরপুর ও সোনাপুর গ্রামে পৃথক দুটি স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যার আগে আকষ্মিক বজ্রপাতের ঘটনায় তাদের দুজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও একজন। নিহতরা হলেন দফরপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে রাফিজ (২৩) এবং সোনাপুর গ্রামের আব্দুর রশিদ। আহত হয়েছেন সোনাপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান। তিনি মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার আগে আকষ্মিক বৃষ্টি শুরু হয় মেহেরপুরের কিছু গ্রামে। এসময় বৃষ্টির সাথে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। সদর উপজেলার দফরপুর গ্রামের রাফিজ কবুতর পোষেন। মাঠে যান কবুতরের খোজে। সন্ধ্যার পর তার দগ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

অপরদিকে, একই উপজেলার সোনাপুর গ্রামের মাঠে কৃষিকাজ করছিলেন আব্দুর রশিদ ও আব্দুল মান্নান। এসময় আকষ্মিক বৃষ্টি ও বজ্রপাতের আঘাতে আব্দুর রশিদের মৃত্যু হয় এবং আব্দুল মান্নান আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি মো: আমানুল্লাহ আল বারী বজ্রপাতে পৃথক দুটি স্থানে দুজন নিহত এবং একজন আহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।




মুজিবনগরে অস্ত্রসহ সাবেক ইউপি সদস্য আটক

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় তৈরি একটি ওয়ান শুটার গানসহ সাবেক ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান মিজারকে আটক করেছে যৌথবাহিনী।

শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচ থেকে শুরু করে তিন ঘন্টা ব্যাপী মিজার বাড়িতে এ অভিযান পরিচালনা করে যৌথবাহিনী। আটককৃত মিজানুর রহমান মিজার উপজেলার মোনাখালী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য। তিনি একই গ্রামের মৃত ফজলুল হকের ছেলে।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, মিজানুর রহমান মিজারের বাড়িতে অস্ত্র আছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার বিকালে যৌথ বাহিনীর একটি টিম অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করে। পরে তাকে  জিগাসাবাদের একপর্যায়ে তার বাড়িতে অস্ত্র আছে বলে সে নিজের মুখে স্বীকারক্তি দেয় । তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে বাড়ির ঘরের পূর্বপাশে একটি গোয়াল ঘরের পাশে গর্ত খুড়ে মাটির নিচে থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, এ বিষয়ে মিজারের নামে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হবে।




মেহেরপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে জামায়াতের আর্থিক অনুদান

মেহেরপুরে সনাতনী ধর্মালম্বীদের মাঝে জামায়াতের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বেলা ১২ টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন জামায়াতের উদ্যোগে আমদহ গ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে অসহায় হিন্দু ধর্মালম্বী নারী পুরুষদের মাঝে এই অনুদান তুলে দেওয়া হয়।

আমদহ ইউনিয়ন জামায়াতের আমীর মাওলানা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আর্থিক অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তাজ উদ্দীন খান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর উপজেলা জামায়াতের আমীর সোহেল রানা ডলার, উপজেলা নায়েবে আমির আব্দুল জব্বার, সদর উপজেলা সেক্রেটারি জাব্বারুল ইসলাম মাস্টার।

এই ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ৫০ জন নারী পুরুষদের মাঝে অনুদানের টাকা তুলে দেওয়া হয়।




মুজিবনগরে অনলাইন জুয়াড়ির বাগান বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান আটক ৪

মুজিবনগর এলাকার শীর্ষ অনলাইন জুয়াড়ির বাগান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।

আটকরা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রফা গাইনের ছেলে এলাকার শীর্ষ অনলাইন জুয়াড়ি মোঃ শাহরিয়ার আজম পরাগ (৩০), রায়হান আলীর ছেলে মুস্তাফিজুর রহমান (৩৫), ভবানীপুর গ্রামের উকিল শেখের ছেলে মোঃ সন্তোষ (৩২) ও শিবপুর গ্রামের আইর উদ্দিনের ছেলে রিপন (২৭)।

এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৩ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ১০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩ টি গাঁজা খাওয়ার কল্কি জব্দ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) দিবাগত মধ্যরাতে যৌথবাহিনির একটি টিম শিবপুর গ্রামের কুশকরালী মাঠে অনলাইন জুয়াড়ি লিপুর বাগান বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথবাহিনীর একটি দল ওই বাগান বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে চার ব্যক্তি আটক হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পাঁচটি এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ৩ বোতল ফেনসিডিল ১০০ গ্রাম গাঁজা ও ৩ টি গাঁজা খাওয়ার কল্কি জব্দ করা হয়েছে। তবে, তাদের মোবাইল ফোন চেক করে অনলাইন জুয়ার তথ্য মেলেনি। আটকদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




দামুড়হুদার বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান

দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহমুদ হাসান খান বাবু ‘র পক্ষে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ পূজা মন্ডপ পরিদর্শন শেষে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: আব্দুল ওয়াহেদ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল হাসান তনু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মন্টু মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রভাষক আবুল হাশেম, দামুড়হুদা উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব জাকির হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আঃ রহিম, সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত আনছার আলী, হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, উপজেলা যুবদলনেতা মোমিনুল হক, আরিফুল ইসলাম আরিফ সহ বিএনপি, যুবদল সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।




“হিন্দু মুসলিম এক সাথে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন”

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বলেন, দু’শো বছরের ইতিহাস স্বাক্ষী দেয় বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম এক সাথে সৌহার্দ্য সম্প্রীতির মধ্যে দিয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সন্ধ্যার পর দলীয় নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন বিভিন্ন পূজা মন্ডপে পৌঁছালে মন্ডপের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকসহ নেতৃবৃন্দ তাদের ফুল দিয়ে অভিনন্দন জানান।

এসময় উপজেলা বিএনপির সাংস্কৃতিক বিষয়ক ও রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, পৌর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহিল মারুফ পলাশ, পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু, গাংনী পৌর বিএনপির সাংগাঠনিক সস্পাদক ইয়ামিন আলী বাবলু, পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খাইরুল আলম কালাম, মেহেরপুর জেলা মহিলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাহারবাটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসমা তারা, রাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সারগিদুল ইসলাম, গাংনী পৌরসভার প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, রাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভিজা, গাংনী পৌর বিএনপির অর্থ সম্পাদ গোলাম হোসেন, গাংনী পৌর বিএনপির ৫ নং ওয়ার্ড সভাপতি গোলাম কাওছার, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক, সাহারবাটি ইউনিয়ন কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ মাষ্টার, ৪ নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতা আহসান হাবিব, যুবদল নেতা আমজাদ হোসেন, কৃষকদল নেতা ফজলুর রহমানসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন গাংনী উপজেলা শহরের কেন্দ্রীয় পুজামন্ড, দাশপাড়া পুজামন্ডপ, চৌগাছা দাশপাড়া পুজামন্ডপ, গাঁড়াডোব পুজামন্ডপ, সাহারবাটি ইউনিয়নের ভোমরদহ দাশপাড়া পুজামন্ডপ ও হিজলবাড়িয়া দাশপাড়া পুজা মন্ডপ পরিদর্শন করেন।

এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পুজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

গাংনী কেন্দ্রীয় পুজা কমিটির সভাপতি সুশান্ত কুমার পাত্র, সাধারণ সম্পাদক সুকেস চন্দ্র বিশ্বাস, গাংনী দাশপাড়া পূজা কমিটির সভাপতি ধীরেন দাশ, চৌগাছা পূজা কমিটির সভাপতি তারাপদ দাশের হাতে তার ব্যক্তিগত আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।

সনাতন সম্প্রদায়ের কাছে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের পক্ষে শারদীয় শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন এবং নির্বিঘ্নে শারদীয় উৎসব পালনের আহ্বান জানান।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে আমজাদ হোসেন বলেন, এদেশে হিন্দু মুসলমান এক সাথে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির সাথে বসবাস করে আসছেন। পুজা উৎযাপন উপলক্ষে হিন্দু মুসলিমদের বন্ধন সব সময় অটুট থাকে। শারদীয় দুর্গোৎসব পালনে কেউ কোনো বাঁধা দিলে বিএনপির সকল নেতাকর্মীরা সেটা প্রতিহত করা হবে। পুজা বিসর্জন পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃবৃন্দ পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।

উল্লেখ্য, গাংনী উপজেলা ১৭টি মণ্ডপে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব চলছে। শারদীয় দুর্গোৎসব নির্বিঘ্নে পালনে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি সদস্যের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও বিজিবির টহল রয়েছে। এছাড়া সাদা পোষাকে গোয়েন্দাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সেই সঙ্গে সোনাতলার ১৭টি মন্ডপে যুবদল, সেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদলের হেল্পডেক্সসহ রয়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা।




দামুড়হুদায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিনটি প্রতিষ্ঠানে জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলা সদরের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ এর সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে দামুড়হুদা চৌরাস্তার মোড়ে মেসার্স সেলিম মিষ্টান্ন ভাণ্ডার, টুকিটাকি ষ্টোর ও মেসার্স আলফাজ ডিম হাউজের মালিককে এ জরিমানা করা হয়।

জানাযায়,দামুড়হুদা সদরের তিনটি প্রতিষ্ঠানে পণ্য বিক্রয়ের মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করে পণ্য বিক্রয় করার অপরাধে দোষি সাবস্ত করে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭/৪৩ ধারায় চৌরাস্তার মোড়ে মেসার্স সেলিম মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মালিক সেলিম উদ্দীনকে ৪ হাজার টাকা, ৩৮/৪৫ ধারায় মেসার্স আলফাজ ডিম হাউজের মালিক মোহাম্মদ আলিকে ৩ হাজার টাকা এবং একই আইনে মেসার্স টুকিটাকি ষ্টোরের মালিককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনায় সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা মডেল থানা’র পুলিশ।