অনন্ত জলিলকে ছেড়ে অন্যের হাত ধরছেন বর্ষা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় তারকা দম্পতি অনন্ত-বর্ষা। ১৩ বছর ধরে সিনেমার জগতে একসঙ্গে পথ চলছেন তারা। এখন পর্যন্ত ৮টি সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন তারা। লম্বা সময় ধরে শোবিজ অঙ্গনে থাকলেও এই প্রথমবারের মতো স্বামী অনন্ত জলিলের বাইরে অন্য নায়কের হাত ধরে পর্দায় আসছেন বর্ষা।

জানা গেছে, ১৯৭৭ সালে হিন্দি সিনেমা ‘শোলে’ এর অনুকরণে নির্মাতা দেওয়ান নজরুল নির্মাণ করেছিলেন ‘দোস্ত দুশমন’। সিনেমাটি সেসময় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। এবার একই নামের সিনেমায় ডিএ তায়েবের সঙ্গে জুটি বাঁধবেন বর্ষা। সিনেমাটিতে অনন্ত জলিলকে দেখা যাবে, তবে তিনি মূল নায়কের ভূমিকায় থাকবেন না।

এ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিএ তায়েব বলেন, ‘দোস্ত দুশমন’ সিনেমায় আমি হিরো। অনন্ত ভাই নিজেই বলেছেন, ‘বর্ষার হিরো ডিএ তায়েব, আমার কোনো নায়িকা লাগবে না।’ এটা উনার উদারতা, উনার ভালোবাসা।”

এর আগে ২০১০ সালে ‘খোঁজ দ্য সার্চ’ সিনেমা দিয়ে পর্দায় অভিষেক হয় অনন্ত জলিল ও বর্ষার। সর্বশেষ গত ঈদুল ফিতরে ‘কিল হিম’ সিনেমাতে জুটি বাঁধতে দেখা গেছে তাদের।




সুন্দরবন রক্ষায় সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা ইউনেস্কোর

গেল এক দশকে সুন্দরবন রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেছে বিশ্বে ঐতিহ্য সংরক্ষণ সংক্রান্ত ইউনেস্কোর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পরিষদ। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে চলমান ৪৫-তম বর্ধিত সভায় শুক্রবার এই প্রশংসা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এই সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সংরক্ষণ প্রতিবেদেন প্রদানের বাধ্যবাধকতা থেকে অবমুক্তি লাভ করেছে। ২০১৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সাত বার এই প্রতিবেদন দিয়েছে।

রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে দেশের একটি মহল সুন্দরবনি ও পরিবেশ নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আসছিল। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন, ‘এ বিদ্যুৎকেন্দ্রে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হবে না।’প্রধানমন্ত্রীর সেই কথাতেই এবার স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কোর সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারণী পরিষদ।

প্যারিস দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকা রামপালে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ উদ্যোগে কয়লাভিত্তিক মৈত্রী সুপার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতে এই পরিষদ উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলো। শুক্রবার তারা সন্তোষ প্রকাশ করে এই বিদ্যুতকেন্দ্রসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে চলমান উন্নয়ন কর্মকে টেকসই উন্নয়ন হিসেবে চিহ্নিত করে।

এ বিষয়ে ফ্রান্সে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইউনেস্কোর স্থায়ী প্রতিনিধি খন্দকার এম তালহা তার প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ব ঐতিহ্য পরিষদের সকল সদস্যদের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে ধন্যবাদ পৌঁছে দেন। তিনি বলেন – ‘এই অর্জন বিগত দেড় দশকে বৈশ্বিক জলবায়ু সংরক্ষণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রণী ও নেতৃত্বের আরও একটি স্বীকৃতি’।




`প্রধানবিচারপতির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে যারা প্রশ্ন তুলছেন তারা নির্বোধ’

সম্প্রতি প্রধান বিচারপতি হিসেবে ওবায়দুর হাসানকে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে বিরোধী শিবির থেকে নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। ‘রাষ্ট্রপতি নেই দেশে, সেসময় কেনো নিয়োগ’, ‘বর্তমান প্রধান বিচারপতি থাকতেই নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ’ এধরনের তথ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম গুজব-মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ও আইনজ্ঞরা বলছেন, যারা আইন জানে না তাদের মুখে আইনের ব্যাখ্যা শুনলে তা ক্ষতিকর।

এর আগে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে। বাংলাদেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বিদায়ী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর স্থলাভিষিক্ত হবেন। বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর মেয়াদ শেষ হচ্ছে ২৫ সেপ্টেম্বর।

প্র্রজ্ঞাপনের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপি ও তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নানা কর্মীদের স্ট্যাটাসে বলা হয় – প্রধান বিচারপতির নিয়োগ নিয়ে অবৈধ অসাংবিধানিক কর্মকান্ড হচ্ছে। প্রথমত, রাষ্ট্রপতি দেশে নাই। ওনার অনুপস্থিতিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের মত সাংবিধানিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রক্রিয়াটি বৈধ নয়।

এধরনের বিভ্রান্তিকর খবর প্রসঙ্গে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ‘প্রধানবিচারপতি নিয়োগের একান্ত ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির। এরজন্য তার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও পরামর্শের দরকার পড়ে না। ফলে উনি দেশে আছেন বা নেই সেটি কোন ইস্যু হতে পারে না। কেউ যদি ন্যূনতম আইন জেনে থাকে তাহলে এধরনের বক্তব্য প্রচার করতো না।’

তবে শপথ যেদিন হবে সেইদিন রাষ্ট্রপতিকে অবশ্যই থাকতে হবে বলে উল্লেখ করেন আপিল বিভাগের সাবেক এই বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘কারো যদি আইনে ও সংবিধানে জ্ঞান থাকে তবে এধরনের অবান্তর অবিশ্বাস্য কথা বলতে পারার কথা না। আমরা দেখছি বিএনপি সবসময়ই এধরনের বক্তব্য প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করে।




ঝিনাইদহ সিটিজেন ফোরামের উদ্যোগে সেমিনার অনুষ্ঠিত

‘নাগরিক অধিকার সংরক্ষণে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঝিনাইদহ সিটিজেন ফোরামের উদ্যোগে আজ শনিবার সকাল ১১টায় জেলা আইনজীবী সমিতি হলরুমে এই সেমিনার শুরু হয়।

সিটিজেন ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক ফজলুর রহমান খুররমের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সদস্য এ্যাড. সামছুল আলমের সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে নাগরীকদের বিভিন্ন প্রশ্নের দেন ঝিনাইদহ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের সহকারী পরিচালক নিশাত এবং ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহম্মেদ।

এসময় বক্তব্য রাখেন ঝিনাইদহ জজ আদালতের পিপি এ্যাড. ইসমাইল হোসেন, আইনজীবী সমিতির সভাপতি রবিউল ইসলাম, বাসদ নেতা সমাজকর্মী তাহেরা বেগম জলি, সিনিয়র সাংবাদিক সাইফুল মাবুদ, নিজাম জোয়ার্দার বাবলু, শাহানুর আলম, এ্যাড. আসাদুজ্জামান, সাবেক কাউন্সিলর ওবায়দুর রহমান, মতিয়ার রহমান, অধ্যক্ষ রাশেদুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, সমাজকর্মী সেলিনা আক্তার, জাসদ নেতা রাকিবুল ইসলাম, লাকী এবং জাফর আলী প্রমূখ।

এসময় বক্তারা পরিবেশ দুষণ, নাগরিক সুবিধা, দ্রব্যমূল্যের বাজার ব্যবস্থাপনা, পৌরসভার নানা অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে বক্তব্য রাখেন।

ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক নিশাত মেহের বলেন, আমাদের জনবল কম, মাত্র ৩জন নিয়ে ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় কাজ করে যাচ্ছি অনিয়ম শুনলেই প্রতিকার করার চেষ্টা করছি। একবারে সবকিছু ঠিক হবেনা আপনাদের এগিয়ে আসতে হবে। সম্মিলিত ভাবে অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।

পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মুস্তাক আহম্মেদ বলেন, শুধু পৌরসভার সভার উপরেই সব দায়িত্ব দিলে হবে না নাগরিকদেরর সচেতন হতে হবে। আপনারা আমাদের প্রতিপক্ষ নয়, নগরবাসীর টাকায় আমাদের বেতন হয়। সরকার নিদিষ্ট কোন উন্নয়ন খাতে টাকা দেন, সার্বিক ব্যয়ের জন্য কোন বরাদ্ধ সরকার দেন না। আপনাদের টাকায় পৌরসভা চলে এর ভালমন্দ দেখার দায়িত্ব আপনাদের রয়েছে। নাগরিক অধিকার সবার উপরে কেউ ব্যক্তিগত ভাবে খারাপ আচরণ করলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।




ফাইনালের আগে দুঃসংবাদ পেলো শ্রীলঙ্কা

এশিয়া কাপ শুরুর আগে থেকে শ্রীলঙ্কার শিবিরে একের পর এক চোট। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই চোটের কারণে ছিটকে যান অলরাউন্ডার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, দিলশান মাদুশঙ্কা, দুষ্মন্ত চামিরা ও লাহিরু কুমারা। তবুও ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে ফাইনালের আগে আরও এক দুঃসংবাদ সঙ্গী হলো লঙ্কানদের। এবার ফাইনালের আগে দল থেকে ছিটকে গেছেন মহেশ থিকশানা।

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের (এসএলসি) মেডিকেল কমিটির প্রধান প্রফেসর অর্জুনা ডি সিলভা জানিয়েছেন, ‘এমআরআই স্ক্যানে দেখা গেছে, চিড় রয়েছে। তবে বড় কোনো চিড় নয়। যদিও ক্লিনিক্যালি থিকশানা ঠিক আছে। সে চলাফেরা করতে পারছে এবং খুব বেশি ব্যথা নেই। নিঃসন্দেহে সে বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুত থাকবে।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে দারুণ জয় নিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় স্বাগতিক লঙ্কানরা। রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় এশিয়া কাপের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে ভারতের মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কা।

সূত্র: ইত্তেফাক




প্রিয় স্পোর্ট টিমকে ফলো করুন হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে

অবশেষে আসতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল। অনেক আগ্রহ নিয়েই অনেক ব্যবহারকারী অপেক্ষা করছিলেন। ১৫০-এরও বেশি দেশে এই ফিচার চালু হবে। চ্যানেল মূলত ‘ওয়ান ওয়ে ব্রডকাস্ট টুল’। বিভিন্ন পক্ষ থেকে ফটো আর ভিডিও ফলোয়ারদের কাছে পাঠানো যাবে।

স্থানীয় সরকার, স্পোর্টস টিম, শিল্পী ও সেলিব্রিটিদের থেকে সহজেই লাইভ আপডেট পাওয়া যাবে। চ্যানেল আপনার টেক্সট অপশন থেকে ভিন্ন একটি সেকশনে রাখা আছে। ফলে আচমকা চ্যাটভর্তি ম্যাসেজে ভেসে যাওয়ার ভয় আপনার নেই। হোয়াটস অ্যাপ জানিয়েছে তারা এডমিন ও ফলোয়ারদের ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা দেবে। কোনো চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করলে অন্য কেউ জানতে পারবে না কে সাবস্ক্রাইব করেছে।

নতুন এই অপশনের সঙ্গে হোয়াটস অ্যাপে চারটি চ্যানেল সেন্ট্রিক ফিচারও যুক্ত হচ্ছে। প্রথমত, রিয়্যাকশনের অপশন রয়েছে। একটি ইমোজি দিয়ে আপনি রিয়্যাকশন জানাতে পারবে। সবাই একটি পোস্টে ইমোজির সংখ্যা দেখতে পাবে। তবে কারা দিয়েছে তা জানতে পারবে না। দ্বিতীয়ত সাবস্ক্রাইবাররা চ্যানেলের পোস্ট ফরওয়ার্ড করতে পারবে। তাছাড়া এনহ্যান্স ডিরেক্টরি দিয়ে আপনি জনপ্রিয় আর নতুন চ্যানেল খুঁজে পাবেন। ডিরেক্টরিতে দেশ অনুসারে কন্টেন্ট ফিল্টার করা থাকে। হোয়াটস অ্যাপ এই ফিচার আরও বিস্তৃত করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। ইতোমধ্যে আপডেট দেওয়া শুরু হয়েছে। তাই নতুন প্যাচের দিকে লক্ষ্য রাখুন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ আটক-১

মেহেরপুরে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শের আলী(২৬) নামের এক ইজিবাইক চালককে আটক করেছে পুলিশ।

আজ শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরিচালিত এক অভিযানে শের আলীকে আটক করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ। আটককৃত শের আলী মেহেরপুর সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের ইসমাইল আলীর ছেলে।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন,’মেহেরপুর যাদবপুর সড়ক দিয়ে মাদক পাচার হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানা পুলিশের এস আই সঞ্জিত, এএসআই শাকিলসহ একটি টিম অভিযান চালিয়ে ৯০ বোতল ফেন্সিডিলসহ শের আলীকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাসান ও মোকলেসুর রহমান নামের দুই মাদক কারবারি পালিয়ে যায়। এ সময় মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ব্যাটারি চালিত একটি ইজিবাইক জব্দ করেছে পুলিশ।

আটককৃত শের আলীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা পূর্বক জেলা আদালতে প্রেরণ করা হবে এবং পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযন চলছে।




মেহেরপুরে সবজি মাছ মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম উর্দ্ধমুখী

মেহেরপুরের বাজারে মাছ, মাংস, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। সপ্তাহন্তে বেড়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দামও। কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী আদা, আলু ও চিনির দাম।

গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মেহেরপুরের বাজারে অধিকাংশ সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে প্রয়োজনের তুলনায় কম বাজার কিনে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে সাধারণ ক্রেতাদের। এখন খুচরা ব্যবসায়ীরাও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার দাম বাড়িয়ে চললেও নেই প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা।

গতকাল শুক্রবার মেহেরপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচাবাজারগুলোতে পেঁয়াজ, কাঁচা মরিচ, আদা, রসুন, আলু ও শাক—সবজির পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও দাম কমেনি। গত কয়েক সপ্তাহের ধরেই এসব নিত্যপণ্যের দাম চড়া।

আলু, টমেটো এবং কাঁচা মরিচের দাম থেমে থেমে বাড়ছে। এ তিন সবজি কিনতে ক্রেতাকে বাজারভেদে কেজিপ্রতি গুনতে হচ্ছে টাকা। বাজারে আলুর কেজি ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। পেঁয়াজ প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫৭০—৯০ টাকা কেজিতে।

প্রতি কেজি করলা এখন কেজি ১০০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা কেজি,, ঢেঁড়স কেজিতে ৪০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা কেজি ও পেঁপে কেজি ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া চিচিঙ্গা কেজিতে ৪০ টাকা, কাঁকরোল ৪০ টাকা এবং কচুমুখি কেজিতে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

গত দুই মাস ধরে ৪০০ টাকার উপরে আদার কেজি। চলতি সপ্তাহে নতুন করে রসুনের দাম কেজিতে প্রায় ৪০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ২৭০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়। সোনালি মুরগির দাম রাখা হচ্ছে প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫০ থেকে ৫৬০ টাকায়।

মাছের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, ১ কেজি বা ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি কেজি ১২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছোট সাইজের জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে। মাঝারি ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭ শ থেকে ৮ শ টাকা কেজি দরে।

দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের রুই মাছের দাম প্রতি কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা। রুই মাছ ছোট সাইজের বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা, বড় সাইজের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ শ থেকে সাড়ে ৩ শ টাকা কেজি দরে। পাঙ্গাস, তেলাপিয়া, সিলভারকার্প বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে।

বাজারভেদে গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭ থেকে ৭৫০ টাকা। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ টাকা কেজি দরে।
সপ্তাহিক ছুটির দিনে বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, বেশিরভাগ পণ্যই অতিরিক্ত দামে কিনতে হচ্ছে। নিত্যপণ্যের দাম শুনে হতাশ হতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

এদিকে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, পাইকারি বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। চাহিদা অনুযায়ী সবজি পাচ্ছেন না তারা।




মেহেরপুরে ভৈরবপাড়ে তালের বীজ বপন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াবাড়িয়া থেকে সদর উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রাম পর্যন্ত ভৈরব নদের পাড় দিয়ে ২৫০টি তালের বীজ বপন করেছে স্থানীয় পাঁচ যুবক।

গতকাল শুক্রবার মেহেরপুর প্রতিদিনের ছড়াকার নাসিম আহমেদ, সোহেল, মাসুম, সবুজ, নাইম এই পাঁচ যুবকের ব্যক্তি উদ্যোগে বজ্রপাত প্রতিরোধক এসকল তালের বীজ বপন করা হয়।




সাবেক সাংসদ প্রফেসর আবদুল মান্নানের পক্ষে গণসংযোগ

মেহেরপুর -১ আসনের আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের পক্ষে গণসংযোগ করেছেন তার অনুসারীরা।

জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদুজ্জামান খান ডালিমের নেতৃত্বে মুজিবনগর, কেদারগঞ্জ বাজার, শিবপুর, সাহেবপুর, টেংরামারি, ইসলামপুর, যতারপুর, নুরপুর,আমদহসহ বিভিন্ন স্থানে সাধারণ জনগণের সাথে সরকারের জনকল্যাণমুখী বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরেন।

গনসংযোগকালে বিভিন্ন স্থানে স্থানীয় ব্যাক্তিবর্গ ও নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

গণসংযোগে মির্জা গালিব উজ্জ্বল, মোঃ সাজেদুর রহমান সাজু , আবু তালহা বীন হাবিব জুয়েল –,আব্বাস উদ্দীন, মোঃ খোকন শেখ, শেখ কায়সার হামিদ বুলবুল, রবিউল ইসলাম, রাজু আহমেদ , ইকবাল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।