গাংনীতে ইয়াবাসহ যুবক আটক

গাংনী উপজেলা শহরে অভিযান চালিয়ে ১৫ পিচ ইয়াবাসহ আল আমিন ইসলাম ওরফে জনি (২২) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

আল আমিন হোসেন ওরফে জনি গাংনীর চৌগাছা গ্রামের ডিগ্রি কলেজপাড়া এলাকার মিনারুল ইসলামের ছেলে।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহিন মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এসআই শাহিন মিয়া বলেন, গাংনী উপজেলা পরিষদের সামনে হেরোইন বিক্রির জন্য একজন মাদক ব্যবসায়ী অপেক্ষা করছেন এমন সংবাদের ভিত্তিত্বে অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর সময় জনিকে আটক করা হয়।

ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। আটক জনিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




ঢেঁড়স দীর্ঘদিন ভালো রাখার উপায়

বাজারে পণ্যের দামে আগুন। আর এই গরমে সবজির মধ্যে অল্প কয়েকটিই আপনার মুখরোচক হয়ে উঠতে পারে। ঢেঁড়স তারই একটি। কিন্তু বাজার থেকে একসঙ্গে তাজা ঢেঁড়স কিনে আনতে হয় কারণ সবসময় তাজা পাওয়া যায় না। আর ঝামেলা বাধে সংরক্ষণ করার বেলায়। ফ্রিজে রেখেও টিকিয়ে রাখা যায় না। চলুন ঢেঁড়স ভালোভাবে সংরক্ষণের উপায় জেনে নেই:

.ঢেঁড়স দীর্ঘদিন ভালো রাখার প্রথম ধাপ হলো কেনার সময় কয়েকটি বিষয় যাচাই করে নেওয়া। কেনার সময়ে দেখে নিতে হবে ঢেঁড়সগুলো নরম কি না। বেশি শক্ত ঢেঁড়স না কেনাই ভালো। বেশি বীজওয়ালা ঢেঁড়স একেবারেই কেনা উচিৎ হবে না। সবসময়ে মাঝারি মাপের ঢেঁড়স কিনুন। বেশি বড় ঢেঁড়স দ্রুত পচে যায়।

.ঢেঁড়স সব সময়ে শুকনো জায়গায় রাখুন। পানির সংস্পর্শে রাখলে ঢেঁড়স খুব তাড়াতাড়ি পচে যাবে। শুকনো কৌটো কিংবা ব্যাগে ভরে রাখতে হবে এ সবজিকে। পানি যেন না লাগে সেদিকে সতর্ক নজর।

.বাজার থেকে কিনে আনার পর ঢেঁড়স সোজা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিলেই হবে না। ফ্রিজে ঢেঁড়স সংরক্ষণেরও কিছু নিয়ম রয়েছে। একসঙ্গে অনেক ঢেঁড়স রাখবেন না। অল্প অল্প করে সেগুলো নিয়ে কাগজে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখতে হবে।

.ঢেঁড়স দীর্ঘদিন ভালো রাখার আর একটি উপায় হলো অন্য কোনো সবজি বা ফলের সঙ্গে না রাখা। এটি সবসময় আলাদা জায়গায় রাখুন।

সূত্র: ইত্তেফাক




টিকটকেই চলছে কেনাকাটা

এতদিন পরীক্ষামূলকভাবে ফিচারটি চালু ছিল। তবে এবার বাণিজ্যিকভাবে কেনাকাটার কাজ চালু করছে টিকটক। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, টিকটকের মূল প্রতিষ্ঠান চীনের বাইটড্যান্স শর্ট ভিডিও শেয়ারিংয়ের এই প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করার চেষ্টা করছে।

মূল অ্যাপে বেশ কয়েকটি ফিচার যুক্ত করার মাধ্যমে টিকটক অনলাইনে কেনাকাটার সুযোগ তৈরি করছে। টিকটক কর্তৃপক্ষ আশা করছে, এটি এশিয়ার অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ‘শিন’ ও পিডিডি হোল্ডিংয়ের ‘তেমুর’ মতো সাড়া ফেলবে।

যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ১৫ কোটি টিকটক ব্যবহারকারী আছে। যেকোনো পণ্য কিনতে হলে তারা এখন নিজেদের নিউজফিডে ওই পণ্যের লিংকসহ ভিডিও ও লাইভ স্ট্রিম দেখতে পারবেন। টিকটক এখন কনটেন্ট নির্মাতা, ব্র্যান্ড ও ব্যবসায়ীদের বিক্রয়যোগ্য কনটেন্ট তৈরির টুল দিচ্ছে।

নতুন ফিচারগুলোর মধ্যে শপ ট্যাবের মতো অপশন রয়েছে। এতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো লজিস্টিকস ও পেমেন্ট সুবিধাসহ তাদের পণ্য প্রদর্শন করতে পারবে। অর্থাৎ পণ্যের পেমেন্টও টিকটকের মাধ্যমে করা যাবে।

শপিং পরিষেবাটির সঙ্গে শপিফাই, সেলসফোর্স ও জেনডেস্কের মতো অন্য আরও থার্ড পার্টি প্ল্যাটফর্ম যুক্ত করার কথা জানিয়েছে টিকটক।

সূত্র: রয়টার্স




গাংনীতে আবারও হেরোইনসহ আটক জলিল

একাধিক মাদক মামলার আসামি ২ গ্রাম হেরোইনসহ আব্দুল জলিল (৫৫) নামের এলাকার এক শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

মাদক ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল গাংনী উপজেলার জোড়পুকরিয়া গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। সে বর্তমান গাংনী হাসপাতালের পিছনের পাড়াতে ভাড়া বাসাতে বসবাস করছেন।

গাংনী থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই নি:) মো: শাহীন মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদে গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে গাংনী মহিলা কলেজ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল জলিলকে আটক করেন। এসময় তার কাছ থেকে ২ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছন।

এসআই শাহীন মিয়া বলেন,  গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এর আগেও মাদক বিক্রির অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার ৯

মেহেরপুর জেলা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৯ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর মামলার ২ আসামি, মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলার ২ ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর মামলার ১, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে মাদক মামলায় ১, পুরানো মামলায় ১ ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলার ২ আসামি রয়েছে।

গতকাল বুধবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ভোররাত পর্যন্ত পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন। সংশ্লিষ্ট থানা সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: আব্দুর রাজ্জাক ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




শেখ হাসিনা ও দেশের উন্নয়ন সমার্থক

একটা দেশের জনবহুল শহরের মানুষের যাতায়াতের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে গণপরিবহণ। বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোতে গণপরিবহণ হচ্ছে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। বিশেষ করে পিক আওয়ার বা ব্যস্ত সময়ে হাজার হাজার মানুষ ব্যক্তিগত গাড়ির বদলে গণপরিবহণে যাতায়াত করে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে ছুটে যান। বাড়িও ফিরেন একই ব্যবস্থায়। এতে করে ওই শহরের উপর যেমন ছোট ছোট যানবাহনের চাপ কম পড়ে তেমনি মানুষও স্বাচ্ছন্দ্যে যাতায়াত করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য হচ্ছে ঢাকা মহানগরীর মত জনবহুল শহরে সেই রকম গনপরিবহণ গড়ে উঠেনি স্বাধীনতার প্রায় ৪০ বছরেও। শাসক এসেছে, শাসক গিয়েছে, কিন্তু কেউ এ নিয়ে ভাবেনি। বরং স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেন পিছনের দিকে হাঁটতে শুরু করে।

মুক্তিযুদ্ধের পর ভঙ্গুর বাংলাদেশ যখন সবেমাত্র গড়ে তোলার কাজে হাত দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু ঠিক তখনই বাংলাদেশের আকাশে যেন কালো মেঘ ভর করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে বাংলাদেশকে পিছনের দিকে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করে খন্দকার মোশতাক থেকে শুরু করে সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান , স্বৈরাশাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি এবং পরবর্তিতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। পরবর্তীতে একই ধারবাহিকতা যেন বজায় রাখে ফখরুদ্দীন-মঈন উদ্দীনের সরকার। তারা জনগণের বাহবা নিতে দেশব্যাপী শুরু করে উচ্ছেদ অভিযান। যাতে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। কিন্তু এসব সরকারের কেউই বাংলাদেশকে সত্যিকারের সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তুলতে কোনো উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। না হলে তো রাজধানীর ঢাকার মত জনবহুল শহরকে নিয়ে, শহরের যোগাযোগ অবকাঠামো নিয়ে ভাবতো, পরিকল্পনা গ্রহণ করতো। আমরা স্বাধীনতার প্রায় ৪০ বছরে সেরকম কোনো উদ্যোগ দেখিনি।

২০০৯ সালে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যখন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় নিয়ে সরকার গঠন করলো, দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিলো তখন থেকেই দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক মুক্তি, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ শুরু করেন আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সময়েই যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে গ্রহণ করা হয় স্বল্প, দীর্ঘ ও মধ্য মেয়াদী নানান পরিকল্পনা। বিশেষ করে রাজধানীর ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেন।

রাজধানীবাসীর যাতায়াত সহজ করার মধ্য দিয়ে নিত্য দিনের ভোগান্তি দূর করার জন্য নেওয়া হয় নানান পরিকল্পনা। এরমধ্যে অন্যতম একটি মহাপরিকল্পনা হচ্ছে জনবহুল সিটি ঢাকাকে মেট্রোরেলের আওতায় নিয়ে আসা।

আমাদের পাশের দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় প্রথম মেট্রোরেল চালু হয় ১৯৮৪ সালে। আমাদের স্বাধীনতার মাত্র ১৪/১৫ বছরের মাথায়ই কলকাতার যাতায়াতে এমন চমৎকার উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হয়। অথচ আমাদের তৎকালীন সরকার প্রধানরা একবারের জন্যও ভাবেননি রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়ে। তারা ব্যস্ত ছিলেন নিজেদের আখের গোছাতে। অথচ ওই সময়ে যদি আমাদের সরকার প্রধানরা তাদের ভাবনার মধ্যে নিতেন এই যোগযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষযটি তাহলে হয়তো আজকে এই একুশ শতকে এসে আমাদেরকে এতো ভোগান্তি পোহাতে হতো না।

২০০৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় এসেই প্রথম পরিকল্পনা গ্রহণ করে রাজধানীর যোগযোগ ব্যবস্থা নিয়ে। কিভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করে কর্মজীবী সাধারণ মানুষের তথা নগরবাসীর যাতায়াত ব্যবস্থাকে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ শুরু করে। এরই অংশ হিসেবে পরিকল্পনা নেওয়া হয় রাজধানী ঢাকায় মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু করার। এতে দ্রুততম সময়ে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাতায়াত করা যাবে। কম সময়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছা যাবে। যেমন চিন্তা তেমন কাজ। যেহেতু সাবওয়ে নির্মাণ ব্যয়বহুল ও সময়সাপেক্ষ তাই প্রথম ধাপে পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় মেট্রোরেল (উড়াল) নির্মাণের।

মেট্রোরেল নির্মাণের অংশ হিসেবে ২০১৩ সালে জনবহুল ঢাকা মহানগরীর ক্রমবর্ধমান যানবাহন সমস্যা ও পথের দুঃসহ যানজট কমিয়ে আনার লক্ষ্যে কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়। এই পরিকল্পনার অধীনেই প্রথমবারের মত ঢাকায় মেট্রো রেল স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তার আগে ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর শেখ হাসিনা সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের অন্যতম মেট্রোরেল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রথমে ঢাকায় তিনটি মেট্রোরেল লাইন স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হলেও ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেই পরিকল্পনাকে সম্প্রসারিত করে তিনটির বদলে পাঁচটি লাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়। মূলত রাজধানীকে পুরোপুরি একটি পরিকল্পিত ও সুশৃঙ্খল যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসতেই এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

এরই অংশ হিসেবে প্রথম পর্যায়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পরবর্তিতে সেটি সম্প্রসারিত করে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল-৬ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণে কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৬ জুন। মেট্রোরেলের এই লাইনটি দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশ গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর খুলে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন। আর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশটি আগামী মাসেই খুলে দেওয়া হবে সাধারণের চলাচলের জন্য। প্রধানমন্ত্রী সেটি উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

শুধু মেট্রোরেল লাইন-৬ নয়, জনবহুল রাজধানী ঢাকার নাগরিকদের যাতায়াত সুবিধা নিশ্চিত করতে ঢাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে মেট্রোরেলের আরও ৫টি লাইন। ইতিমধ্যে লাইন-১ এর নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। বাকীগুলোর মধ্যে লাইন-২, লাইন-৪, লাইন-৫ উত্তর এবং লাইন-৫ দক্ষিণের কাজও শুরু হবে শিগগির।

এই যে একটা জনবহুল শহরের যোগাযোগের চেহারা বদলে দিতে, মানুষের যাতায়াত ব্যবস্থাকে নাগালের মধ্যে নিয়ে আসতে এতো পদক্ষেপ কিন্ত শেক হাসিনার সরকারই নিয়েছে। অদম্য সাহস আর সদিচ্ছা না থাকলে এমন যুগান্তকারী পদক্ষে নেওয়া যায় না। কেউ নিতে পারে না। এটা তো আর বরার বিষয় না। এটা এখন প্রমাণিত। অতীতে তো কোনো সরকার প্রধানকে দেখা যায়নি এমন উদ্যোগের বিষয়ে ভাবতে বা চিন্তা করতে। কারণ দেশপ্রেম যদি জাগ্রত না থাকে তাহলে কেউই দেশ বা দেশের মানুষের জন্য বাবে না, চিন্তা করে না।
শেখ হাসিনা সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে শত বাধা উপক্ষো করে দেশটাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার কাছে দেশ এবং দেশের মানুষ সবার আগে।

আজকে যদি দীর্ঘমেয়াদে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় না থাকতো তাহলে হয়তো যোগাযোগ অবকাঠামোর বিশেষ করে রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এমন পরিকল্পনা হতো না। কারণ পাঁচ বছর মেয়দী সরকার কখনই দীর্ঘ মেয়াদী কোনো পরিকল্পনা নিতে চায় না কিংবা নেয়ও না। এটা তো নিকট অতীতে আমরা দেখেছি।

শুধু যে মেট্রোরেল দিয়েই জনবহুল নগরীর যানজট সমস্যার সমাধান করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে তা কিন্তু নয়, এই শহরকে যানজটমুক্ত করতে এবং নগরবাসীকে যাতায়াতের ক্ষেত্রে স্বস্তি দিতে শেখ হাসিনার সরকার রাজধানী ঢাকা ঘিরে আরও বহু পরিকল্পনা নিয়েছে। যার অনেকগুলো ইতিমধ্যে বাস্তবায়নও হয়েছে। এরমধ্যে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হচ্ছে অন্যতম একটি। বিমানবন্দর সংলগ্ন কাউলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের একাংশ অর্থাৎ কাউলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এটি উদ্বোধন করেন। এরপর দিনই যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয় এক্সপ্রেসওেয়েটি। যার সুফলও পাওয়া যাচ্ছে।
এতো কিছু সম্ভব হয়েছে শুধুমাত্র শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন নীতির কারণে।

এই উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে দরকার একটা স্থিতিশীল ও দীর্ঘমেয়াদের সরকার। না হলে উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়। আমরা অতীতে দেখেছি , সরকার পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই থমকে যায় আগের সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো। তাই উন্নয়ন ধারবাহিকতা রাখতে গেলে প্রয়োজন সরকারের ধারাবাহিকতা।
লেখক- গণমাধ্যমকর্মী।




পদ্মা সেতু: ২১ জেলার কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন

ফেরি সংকটে অথবা আবহাওয়াজনিত জটিলতা, অথবা যানজটে পড়ে পদ্মা নদী পার হতে না পেরে তরমুজ বোঝাই শতাধিক গাড়ি আটকে পড়ার কাহিনী কারও অজানা নয়। শুধু তরমুজই নয়, মাদারীপুর থেকে আনা কলাই শাক, শরীয়তপুর থেকে আনা নানা ধরনের সবজি, ফরিদপুর থেকে আনা খেজুরের রস, বরিশাল ও পটুয়াখালি থেকে আনা তরমুজ, বাঙ্গি, আমড়া ও মুরগির ডিমবাহী ট্রাকও পদ্মার পাড়ে আটকে থাকত, ঘণ্টা পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন। ফলে এসব পচনশীল পণ্য গরমে নষ্ট হয়ে যেতো। যা ফেলে দিতে বাধ্য হতেন ব্যবসায়ীরা। আবার কেউ কেউ এসব পণ্য কম দামে বিক্রি করে দিয়ে লোকসানের পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে বাড়ি ফিরতেন খালি হাতে।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এমন পরিস্থিতির অবসান হয়েছে বলে স্বস্তিতে পদ্মার পাড়ের কৃষিজীবী মানুষের। ২১ জেলার কৃষিতে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বাড়ছে চাষাবাদ। বাড়ছে কৃষিনির্ভর খাদ্যসামগ্রীর উৎপাদন। জমির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী হচ্ছে সেসব কৃষিপণ্যের চাষাবাদ। উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারজাত সহজ হয়েছে। পরিবহন ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় ক্রেতাও মিলছে আগের তুলনায় বেশি। চুক্তি ভঙ্গ হওয়ার সুযোগ নেই। ফলে কৃষিতে ব্যাপক পরিবর্তনে সাফল্য দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিপ্লব এনেছে পদ্মা সেতু। মাত্র এক বছরেই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের শুধু যোগাযোগের সুবিধাই নয়, গোটা দেশের অর্থনীতি-সহ সকল ক্ষেত্রে উন্নয়নের গতি বাড়িয়ে দিয়েছে। সেতু পার হতে এখন সময় লাগে মাত্র ৬ থেকে ৭ মিনিট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৈত্রিক নিবাস রাজধানী ঢাকা থেকে দেড়শ’ কিলোমিটার দূরে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায়। তিনি নিজেই এখন হেলিকপ্টার ছেড়ে কারে, গাড়িতে চেপে বাড়ি যান। পদ্মাপাড়ে গিয়ে জলখাবার খান।

এই পদ্মা সেতুতে রেললাইন জুড়ে যাওয়ায় এরইমধ্যে ঢাকা থেকে ফরিদপুর জেলার ভাঙা থানা পর্যন্ত রেল চলাচল দ্রুতই শুরু হচ্ছে। এই রেললাইন সংযুক্ত হবে যশোর পর্যন্ত। এর ফলে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। এছাড়া বর্তমানে ঢাকা-কলকাতা ৫০০ কিলোমিটারের পরিবর্তে দূরত্ব দাঁড়াবে আড়াইশ’ কিলোমিটার। রেলে চড়ে কলকাতা পৌঁছানো যাবে ৬ ঘণ্টার মধ্যেই। ভোগান্তি দূর হবে রোগী-সহ পড়ুয়াদের।

আগে পদ্মা নদী পার হতে সময় লাগতো দেড় থেকে দু’ঘণ্টা। এখন রাজধানী ঢাকা থেকে মানুষ বাসে করে বেনাপোল-পেট্রাপোল পৌঁছায় সাড়ে চার ঘণ্টায়। আগে এই সময় লাগত ১৬ থেকে ১৮ ঘণ্টা। আর আবহাওয়া খারাপ থাকলে তো কথাই নেই। ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যেত। এখন পদ্মা সেতুর জন্য কৃষক যেমন তাঁর ফসল দ্রুততার সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় পাঠিয়ে কাঙ্খিত মূল্য পাচ্ছেন, অপরদিকে মানুষ দ্রুততার সঙ্গে গন্তব্যে পৌঁছতে পারছেন।

গত বছরের ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হয়। ২৬ জুন থেকে সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সেতু চালুর পর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের আগের মতো আর ফেরিঘাটে ৪/৫ ঘণ্টা অসহনীয় ভোগান্তি নেই। কাজ শেষ হলে ফেরি ধরার তাড়াও নেই। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের নতুন প্রাণ দিয়েছে এই সেতু। এখন খুব সহজেই মানুষ রাজধানী ঢাকায় থেকে নিজের গ্রামের বাড়িতে ফিরে যেতে পারছেন। গত এক বছরে ম্যাজিকের মতো বেড়েছে এই জনপদের জমির দাম। উন্নত হয়েছে মানুষের জীবনযাত্রার মান। সেতুর দুই পাড়ের অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প-পর্যটন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতের বিকাশ ঘটেছে। পদ্মার এপার ও ওপারের কৃষি ও শিল্পপণ্যের সরবরাহ ব্যবস্থা দ্রুত হচ্ছে। সেতুকে কেন্দ্র করে দেশের সার্বিক অর্থনীতিতে পড়ছে ইতিবাচক প্রভাব।

গত এক বছরে পদ্মা সেতুতে টোল আদায় হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার বেশি। সেতু বিভাগ জানায়, ২০২২ সালের ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া পদ্মা সেতুতে চলতি বছরের ২০ জুন পর্যন্ত ৩৬২ দিনে ৫৬ লক্ষ ২৬ হাজার ৯৪৯টি গাড়ি যাতায়াত করেছে। ওইসব গাড়ির টোল থেকে আয় হয়েছে ৭৯০ কোটি ৯৪ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। আয় থেকে ৬২২ কোটি ৯৩ লক্ষ টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে সেতু কর্তৃপক্ষ।




আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে ৯০পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ ব্যবসায়ী আটক

আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জে ৯০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ এক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশ অভিযান চালিয়ে অঘোরনাথ মোড় থেকে তাকে আটক করে।

আটকৃত মাদক ব্যবসায়ী জেহালা ইউনিয়নের অঘোরনাথ-পাড়ার সাজ্জাদ শেখের ছেলে আব্বাস শেখ (২১)।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, উপজেলার জেহালা ইউনিয়নের অঘোরনাথ পাড়ার আব্বাস শেখ নামের এক যুবক দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি করে আসছে। এমন অভিযোগে পুলিশি অভিযান চালিয়ে সে ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ক্যাম্পপুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। অঘোরনাথ মোড় থেকে তাকে আটক করে। পরে তার শরীর তল্লাশী করে ৯০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
আজ বুধবার রাতে আলমডাঙ্গা থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছে পুলিশ।




আলমডাঙ্গার আইলহাঁসে শিশু ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ

আলমডাঙ্গার আইলহাঁস গ্রামের সাইদুরের বিরুদ্ধে চার বছরের এক শিশুকন্যাকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ওই শিশুকন্যাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে এ অপচেষ্টা চালায়। বিষয়টি জানাজানি হলে সাইদুর বাড়ি থেকে পালিয়ে গেছে।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গার আইলহাঁস হাসপাতাল পাড়ার ওহাব আলীর ছেলে সাইদুর রহমান (২১) প্রতিবেশি এক শিশু কন্যাকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। তাকে কৌশলে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তার চিৎকারে তার স্বজনরা ছুটে আসে। এ সময় শিশুকন্যা এ ঘটনা তার স্বজনদের জানায়। বিষয়টি জানা জানি হলে সাইদুর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে ঘোলদাড়ি ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ওই শিশুকন্যার স্বজনদের কাছ থেকে বিস্তারিত শোনেন।

এ ঘটনা ধর্ষণচেষ্টার মামলা প্রস্তুতি নিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার।

শিশুটির মা বলেন, ‘ গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মেয়েকে বাড়িতে রেখে আমি প্রতিবেশির বাড়িতে যাই। তখন আমার মেয়ে খেলতে খেলতে প্রতিবেশীর বাড়িতে যায়। সে সময় প্রতিবেশীর ছেলে মোবাইল দেওয়ার কথা বলে মেয়েকে ঘরে ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে।




দর্শনায় ফেনসিডিলসহ পরানপুরের রনি গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধীে অভিযান চালিয়ে ২০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ রাফিজ হোসেন ওরফে রনি (২৬)কে গ্রেফতার করেছে। সে দর্শনা পৌরসভার পরানপুর গ্রামের ইউনুচ আলীর ছেলে।

আজ বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে অভিযান চালায় দর্শনা কাষ্টমস গেটের সামনে। এ সময় দর্শনা থানার এসআই সুজন আলী, এএসআই মামুনুর রহমান, এএসআই মারুফুল ইসলাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেলসহ ২০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার এস আই সুজন বাদি হয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা রুজু করেছে।

আজ বুধবার তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।