বাজারে এলো আইফোন-১৫ সিরিজ

প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে প্রযুক্তি পরাশক্তি অ্যাপল আইফোন-১৫ ও আইফোন-১৫ প্রো উন্মোচন করেছে বলে জানিয়েছে প্রযুক্তি বিষয়ক সংবাদমাধ্যম টেকক্রাঞ্চ।

মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে অ্যাপলের সদর দপ্তরে আইফোন-১৫ সিরিজের পাশাপাশি, অ্যাপল ওয়াচ সিরিজ-৯, অ্যাপল ওয়াচ আল্ট্রা-২ উন্মোচিত হয়।

অ্যাপল জানায়, আইফোনের নতুন মডেলগুলোতে টাইপ সি চার্জার ব্যবহার করা যাবে। নতুন আইফোনে রয়েছে টাইটানিয়াম কেস এবং দ্রুতগতির চিপ, যা আরও ভালো গ্রাফিক্স ও মোবাইল গেমিংয়ে সহায়তা করবে।

দ্য টেলিগ্রাফের খবরে জানা গেছে, আইফোন-১৫ ও ১৫ প্লাস ফোন দুটির প্রধান ক্যামেরা ৪৮ মেগাপিক্সেলের। ফোন দুটি পিঙ্ক, ইয়েলো, গ্রিন, ব্লু এবং ব্ল্যাক কালারে বাজারে পাওয়া যাবে। প্রো এবং অন্যান্য আইফোন ১৫ মডেলে থাকবে আরও উজ্জ্বল ডিসপ্লে। ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরার পাশাপাশি ব্যাটারিতে থাকছে শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য কোবাল্ট।

আইফোন-১৫ সিরিজের ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৯৯ ডলার। আইফোন-১৫ প্লাসের ১২৮ জিবি ভ্যারিয়েন্টের দাম ৮৯৯ ডলার। আগামী শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন ফোনগুলোর অর্ডার নেওয়া শুরু হবে। ২২ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ ও অঞ্চলের ব্যবহারকারীরা এই ফোন হাতে পাবেন।




প্রধান শিক্ষকদের গলার কাটা বায়োমেট্রিক মেশিন

মেহেরপুর সদর উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন নিয়ে পড়েছেন মহাবিপাকে। অনেক স্কুল ইতিমধ্যে মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। আবার অনেক স্কুল মেশিনগুলো সচল থাকলেও প্রতি মাসে মেরামত বাবদ খরচ হচ্ছে দেড় থেকে দুই হাজার টাকা।

জানা যায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের শতভাগ হাজিরা নিশ্চিতকরণের জন্য ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর দেশের প্রত্যকটি সরকারি স্কুলে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন কেনার জন্য স্লিপের টাকা ব্যবহার করে আদেশ দেওয়া হয়।

সেই পত্রের আলোকে মেহেরপুর সদর উপজেলার ১০৮ টি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয় করেন। কিন্তু সেই বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন ক্রয় করার পর থেকেই সমস্যাই ভূগছেন তারা।

ইতিমধ্যে উপজেলার ৬০/৭০ টি স্কুলের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি স্কুলগুলোর বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন সচল থাকলেও সেগুলো নিয়ে মহাবিপাকে রয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা।

এব্যাপারে মেহেরপুর শহরের বিএম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া পারভীন বলেন, তার স্কুলের বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিনটি প্রতি মাসেই একবার করে মেরামত করতে হচ্ছে। একবার মেরামত করতে গেলে দেড় হাজার টাকা করে খরচ হয়। যে টাকা শিক্ষকদের পকেট থেকে দিতে হয়। বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন সারার জন্য তো সরকার টাকা দিচ্ছেনা।

মেহেরপুরের বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন স্থাপনের নামে সরকারি টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। মেশিন স্থাপনের নামে ‘স্লিপ গ্র্যান্ড’ নামের স্কুলের ফান্ড থেকে ১৩ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। অথচ মেশিনগুলো মাত্র ৬ হাজার টাকা দামের কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অনেক বিদ্যালয়ে মেশিনটি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় শিক্ষকদের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে পারছে না ঊর্ধ্বতন অফিস। স্কুল সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের মেশিন কেনার কথা থাকলেও তা উপর থেকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের মতামতের মূল্য দেওয়া হয়নি।

সূত্রমতে মেহেরপুর সদর উপজেলার ১০৮ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে সদর উপজেলায় মেশিন ক্রয়ের বিষয়ে। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা কেউ মুখ খুলতে চান না। তারা বলেন, সব স্কুল কমিটি জানে। তবে স্কুল কমিটি বলছে তাদের কিছু জানানো হয়নি সদর উপজেলার তৎকালিন শিক্ষা অফিসের কয়েক ব্যক্তি শিক্ষকদের মেশিন ক্রয় করতে বাধ্য করেছিলেন। অভিযোগ উঠেছে শিক্ষা অফিসের লোকজন ৬ হাজার টাকা দামের নিম্নমানের মেশিন দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন ১৩ হাজার টাকা।

সদ্য বিদায়ী মেহেরপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ভুপেষ রঞ্জন রায় বলেন, করোনার সময় ২ বছরে প্রায় সবগুলো ডিজিটাল হাজিরা মেশিন নষ্ট হয়ে গেছিল। আবারও সেগুলো মেরামত করা হচ্ছে। এখনও কিছু মেশিন নষ্ট হয়ে রয়েছে। যেগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কুল কমিটি নিজেরা মেশিন ক্রয় করেছে। কি মানের মেশিন কিনেছেন তারাই ভাল জানেন।




শেষ পৃষ্ঠা




তৃতীয় পৃষ্ঠা




দ্বিতীয় পৃষ্ঠা




প্রথম পৃষ্ঠা




বাংলার ছায়াসঙ্গী শেখ রেহানা

“বাংলাদেশের বাঙালিরা আমার বাবাকে মারবে, এটা আমাদের ধারণারও বাইরে ছিল”। ‘হাসিনা: আ ডটার’স টেল’ ছবিতে, ১০টি শব্দের আর্তনাদ ভরা একটি বাক্যটি বলেছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা। ১৫ আগস্ট রাতে বাবা-মা-ভাই-স্বজনদের হারানোর ভয়ার্ত কলঙ্কিত ইতিহাস উঠে এসেছে ওই বাক্যে। প্রতিটি শব্দ আর কষ্ঠস্বরে ছিল প্রিয়জন হারানোর বেদনা। শেখ রেহানার এই ১০ শব্দের বাক্য, আমাদেরও প্রতি মুহূর্ত প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে রাখে। যে পিতা আমাদের মুক্তি দিয়েছিলেন, তাঁকেই আমরা বাঁচাতে পারেনি- এই অপরাধবোধ বাঙালিদের বইয়ে বেড়াতে হবে অনন্তকাল।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যখন দেশের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ ঘাতকের হাতে। তখন দেশের মানুষ তো বটেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও বাংলাদেশের প্রকৃত খবর জানতো না। আর বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ বা বিচার চাওয়া ছিল দুঃস্বপ্ন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জাতির পিতার হত্যার প্রথম বিচারের দাবি জানিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। ১৯৭৯ সালে সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা খুনিদের বিচারের দাবি উত্থাপন করেন তিনি। এটি ছিল বিশ্বদরবারে নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিচারের প্রথম আহ্বান।

আন্তর্জাতিক খ্যতিসম্পন্ন ব্রিটিশ আইনজীবীর স্যার টমাস উইলিয়ামসের সম্মতি নেয়ার জন্য ১৯৮০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে ‘হাউস অব কমন্সে’ গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শেখ রেহানা ও তার স্বামী ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক। তিনি এই প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধুর পঞ্চম শাহাদাতবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ১৬ আগস্ট ১৯৮০ পূর্ব লন্ডনের মাইল্যান্ড ইয়র্ক হলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙালিদের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি এবং স্যার টমাস উইলিয়ামস কিউসি এমপি প্রধান বক্তা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু ও চার জাতীয় নেতার হত্যা সম্পর্কে তদন্ত করার জন্য বিশ্বখ্যাত আইনজ্ঞদের নিয়ে ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর লন্ডনে একটি আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। ১৯৮২ সালের ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক তদন্ত কমিশন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারবর্গ এবং চার জাতীয় নেতার হত্যা সম্পর্কে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করে।

বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের দাবিতে দৃঢ় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। দীর্ঘ ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের আবার ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। শুরু হয় আইনি প্রক্রিয়া। ওই বছরের ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি’ অধ্যাদেশ বাতিল করা হয়। ১৯৯৭ সালের ১২ মার্চ বিচার শুরু হয়। ১৯৯৮ সালের ৮ নভেম্বর বিচারক কাজী গোলাম রসুল মামলার রায়ে ১৫ জনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।

১৯৭৯ সালে সুইডেনে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের যে দাবি তুলেছিলেন শেখ রেহানা, তা বাস্তবায়ন হয় ৩১ বছর পর। যদিও সব আসামিকে এখনও ফাঁসিতে ঝোলানো যায়নি। পলাতক আসামিদের দেশে ফিরেয়ে এনে আদালতের রায় কাযকর হলে বাঙালি জাতি হিসেবে আমরাও কলঙ্কমুক্ত হবো।

জাতির পিতাকে হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করে সফল হওয়া শেখ রাহানার ৬৯তম জন্মদিন আজ (১৩ সেপ্টেম্বর)। ১৯৫৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বঙ্গবন্ধু পরিবারের কনিষ্ঠ মেয়ে রেহানার নাম রাখা হয়, মায়ের ডাক নাম রেণুর প্রথম অক্ষর আর বড় বোন হাসিনার শেষের অক্ষর অক্ষুণ্ণ রেখে। পারিবারিক পদবি যুক্ত হয়ে পরিপূর্ণ নাম হয় শেখ রেহানা। অতি আদরের ছোট ভাই রাসেলের কাছে যিনি ছিলেন ‘দেনা’ আপা।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা যখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে, তখন তিনি বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে জার্মানির কার্লসরুইয়ে অবস্থান করায় প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু তাদের অনেক চড়াই-উৎরাই পাড়ি দিতে হয়েছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই করে নেন আরেক বাঙালি পরিবারের সঙ্গে রুম ভাগাভাগি করে। আর্থিক অনটনের কারণে চাইলেই একক বাড়ি ভাড়া করে থাকার সামর্থ্য তাদের ছিল না। তাই শেখ রেহানাও বিভিন্ন জায়গায় চাকরির চেষ্টা করছিলেন। এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনেও কর্মখালি দেখে চেষ্টা করেছেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত হয়নি। লন্ডনে মেট্রো ও বাসে যাতায়াত করতে হয়েছে তাঁকে।

শেখ রেহানা নিজেই লিখেছেন- “লন্ডনে আসার পর চাকরির জন্য যখন রাস্তায় রাস্তায় ঘুরি, তখন কত পরিচিতজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, সবাই এড়িয়ে যেতে চায়। চাকরি নিলাম একটি লাইব্রেরি ও পাবলিশার্স কোম্পানিতে। এর পর তো অনেক পথ পাড়ি দিলাম। আমাদের বাসায় রাত-দিন আসা-যাওয়া করত এমন ব্যক্তিও রাস্তায় দেখা হলে চোখ ফিরিয়ে নিত। অবশ্য কেউ কেউ সাহায্যও করেছে।”

ঘাতকরা অস্ত্র দিয়ে ভয় দেখিয়েছিল ঠিকই কিন্তু বাংলার সাধারণ মানুষ কখনও বঙ্গবন্ধুকে ভুলে যায়নি। অনেক লড়াই সংগ্রামের পর ১৯৯৬ সালে আবারও ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ টানা ক্ষমতায় কিন্তু কখনই সরকার বা রাজনীতিতে দেখা যায়নি শেখ রেহানাকে। তবে মানুষের কল্যাণে বড় বোন শেখ হাসিনার পাশে সব সময়ই পাশে রয়েছেন শেখ রেহানা। এই বিষয়ে শেখ রেহানা নিজেই বলেছেন- “আমরা দুবোন একে অপরের পাশে আছি। দুজন দুজনকে সাহায্য করি। খুব ভালোবাসি।” আর বড় বোন শেখ হাসিনাও অকপটে বলে থাকেন- “রেহানা ছাড়া তিনি পরিপূর্ণ নন। রেহানার মাঝে তিনি তার মায়ের ছায়া দেখতে পান। সুযোগ্য মায়ের যোগ্য উত্তরসূরি শেখ রেহানা।”

অতি সাধারণ মানুষের মতোই জীবনযাপন করেন শেখ রেহানা। আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের কাছে ‘ছোট আপা’ হিসেবে পরিচিত তিনি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রামে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ দলের পাশে থেকে অনুপ্রেরণা, সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন শেখ রেহানা। ২০২২ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে শেখ রেহানা শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমার বোন শেখ হাসিনা প্রবাস থেকে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করলেন দেশে ফিরবেন সিংহের মতো। ঘাতকদের ভয় করলে চলবে না। তাই আমি তাকে সিংহ বলেই ডাকি।’ ১/১১ এর সময় শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের পর যখন আওয়ামী লীগকে ভাঙার চেষ্টা হয়, শেখ হাসিনাকে মাইনাস করার ষড়যন্ত্র হয়। তখন পর্দার আড়ালে থেকে দৃঢ় অবস্থান নিয়ে সেই সংকট থেকে জাতিকে উদ্ধারে বড় ভূমিকা রাখেন শেখ রেহানা।

শেখ রেহানা একজন ‘রত্নগর্ভা মা’। সন্তানদের তিনি গড়ে তুলেছেন মায়ের শিক্ষা ও বাবার আদর্শে। মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটিশ পার্লামেন্টে একজন গুরুত্বপূর্ণ এমপি। ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি একজন গবেষক এবং আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি দেখভাল করেন। ছোট মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তী মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে পাশ্চাত্যে সাড়া ফেলেছেন।

নিরহংকারের অন্যতম উদাহরণ হলেন শেখ রেহানা। বড় বোন চারবারের প্রধানমন্ত্রী অথচ তার পথচলায় এর কোনো চিহ্ন নেই। সব সময় ভাবেন দেশের মানুষের কল্যাণ। বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক বাড়িটি স্মৃতি জাদুঘর করে দেশের জনগণের জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছেন শেখ রেহানা। একইভাবে ধানমন্ডিতে তার নামে বরাদ্দ বাড়িটিও দান করে দিয়েছেন দেশের কাজে।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




নতুন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি সদ্য সাবেক প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে রাষ্ট্রপতি, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করেছেন। এই নিয়োগ শপথগ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গতকাল সোমবার ওবায়দুল হাসানকে ভারপ্রাপ্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ১৯৫৯ সালের ১১ জানুয়ারি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসএস, এমএসএস ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।

বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের মধ্যে ১৯৮৬ সালে জেলা আদালতে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন ওবায়দুল হাসান। এরপর ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ২০০৫ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। তিনি ২০০৯ সালে হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান; এর দুই বছর পর ২০১১ সালে একই পদে স্থায়ী হন। একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ ২০১২ সালের ২৩ মার্চ তিনি সদস্য হিসেবে যোগ দেন। একই বছরের ১৩ ডিসেম্বর তিনি এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হয়ে ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে দায়িত্ব পালন করেন। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিযুক্ত হন।




চুয়াডাঙ্গায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলার মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি গ্রেফতার করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।

আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে এই হত্যা মামলার আসামি ফজলু রহমান ফজলু(৪৫) কে তার শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিকনির্দেশনায় জেলার সকল থানা এলাকায় মাদক বিরোধী, ওয়ারেন্ট তামিলসহ বিভিন্ন অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালত থেকে চুয়াডাঙ্গার সদর থানায় গ্রেফতারী পরোয়ানা প্রাপ্তির এই আসামি।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) মাসুদ রানার সঙ্গীয় অফিসার এএসআই(নিঃ) আরাফাত শেখ তার সঙ্গীয় ফোর্সসহ আজ মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা সদর পৌর হকপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে মৃত্যুদন্ডে দন্ডপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামী চুয়াডাঙ্গার সদর হকপাড়ার ফজলুর রহমান ফজলু(৪৫) তার শ্বশুর সাহেব আলীর বাড়ী থেকে এই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত  আসামিকে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।




গাংনীর তেঁতুলবাড়ীয়াতে পিএসকেএস এর উদ্যোগে গাছের চারা বিতরণ

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর উদ্যোগে, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেমন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৮০০ টি গাছের চারা বিতরন করা হয়েছে।

‘‘গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ্য প্রজন্মের দেশ গড়ি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নকে সবুজে সমৃদ্ধ করতে ইউনিয়নের ১৬ টি শিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪০০ টি মেহগনি ও ৪০০ টি পেয়ারা গাছের চারা বিতরন করা হয়।

গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, পিএসকেএস এর সম্মানিত সভাপতি জনাব মোঃ রমজান আলী, তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নের পলাশীপাড়া শাখার সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারী মোঃ জামিদুল ইসলাম, ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটির সভাপতি জনাব মোঃ আব্দুল লতিফ, ইউপি সদস্য মোঃ পলাশ ইসলাম, সিবিও সভাপতি জনাব মোঃ শাখাওয়াত হোসেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক জনাব মোঃ রুহুল আমিন, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ রাকিবুল ইসলামসহ স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগন।