মেহেরপুরে নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন শীর্ষক সেমিনার

প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) আয়োজন মেহেরপুরে “নিরাপদ অভিবাসন ও দক্ষতা উন্নয়ন” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) অধ্যক্ষ মোঃ আরিফ হোসেন তালুকদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক মোঃ শামীম হোসেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আব্দুল্লাহ-আল-মানুন ও জেলা প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।

ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রিক্যাল) মোঃ সোহেল রানার সঞ্চালনায় এসময় ইন্সট্রাক্টর (কম্পিউটার ট্রেড) মোঃ আল আমিন হোসেন, ইন্সট্রাক্টর (ইলেকট্রনিক্স) মাসুদ পারভেজ, ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর (ব্যবহারিক) মোঃ ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সেমিনারে শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, মসজিদের ইমামসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংগ্রহণ করেন।




নিউইয়র্কের পথে ড. ইউনূস

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

আজ সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা ৫ মিনিটে কাতার এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সফরসঙ্গীদের নিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান তিনি।

প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ড. ইউনূসের এটাই প্রথম বিদেশ সফর। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর বক্তৃতা করবেন।

এর আগে জাতিসংঘের বিভিন্ন ফোরামে দায়িত্ব পালন করা নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ এবার নতুন রূপে হাজির হচ্ছেন। বাংলাদেশের সরকারপ্রধান হিসেবে সেখানে গণতন্ত্র ও শান্তির বার্তা নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয় বিজয়ের নতুন যাত্রায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন এবং অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচন ব্যবস্থাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেসব সংস্কার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, ড. ইউনূসের বক্তব্যে সেসব তুলে ধরা হবে। বিশ্ববরেণ্য এই গুণী ব্যাক্তিকে বরণে অনেক দেশের সরকারপ্রধান ও উন্নয়ন সংস্থার শীর্ষ ব্যক্তিরাও অধীর আগ্রহে রয়েছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপট এবং ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের বীরত্বগাথা ৭৯তম অধিবেশনের ভাষণে তুলে ধরবেন ড. ইউনূস। একই সঙ্গে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাষ্ট্র মেরামতের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া সংস্কার কার্যক্রম বিশ্ববাসীর সামনে উপস্থাপন করবেন প্রধান উপদেষ্টা। তার আগে অধিবেশনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে যাচ্ছেন। গত তিন দশকে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে এমন বৈঠক এবারই প্রথম। সবকিছু ঠিক থাকলে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা এ বৈঠকে বসবেন।

জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের সঙ্গে বৈঠক করবেন ড. ইউনূস। এ ছাড়া বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট অজয় বাঙ্গা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করবেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, একসময় শিক্ষকতা পেশায় থাকা ড. ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং ওই ব্যাংককে সঙ্গে নিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে বিশ্বব্যাপী দ্যুতি ছড়িয়েছেন অনেক আগেই। বাংলাদেশ ছাড়িয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে ড. ইউনূসের নাম। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাস্কিয়া ব্রুইস্টেন, সোফি আইজেনম্যান এবং হ্যান্স রাইটজের সঙ্গে একত্রে সামাজিক ব্যবসা—গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভস প্রতিষ্ঠা করেন। ড. ইউনূসের নতুন, মানবিক পুঁজিবাদের দৃষ্টিভঙ্গির আন্তর্জাতিক বাস্তবায়ন শাখা হিসেবে এই সামাজিক ব্যবসা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সামাজিক ব্যবসার জন্য ইনকিউবেটর তহবিল পরিচালনা করে এবং কোম্পানি, সরকার, ফাউন্ডেশন এবং এনজিওদের পরামর্শ সেবা দেয়। ২০১২ সালে তিনি স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো ক্যালেডোনিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর হন এবং ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ড. ইউনূস জাতীয় ও আন্তর্জাতিকসহ প্রায় ১৪৫টি পুরস্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে ১৯৮৪ সালে র্যামন ম্যাগসেসে, ১৯৮৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার, ১৯৯৮ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পুরস্কার পান তিনি। ২০০৪ সালে ফিলাডেলফিয়ার হোয়ার্টন স্কুল অব দ্য ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া তাকে গত ২৫ বছরে ২৫ জন সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়িক ব্যক্তির মধ্যে একজন হিসেবে নির্বাচন করে। ২০০৬ সালে বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক নোবেল শান্তি পুরস্কার অর্জন করেন তিনি। একই বছর টাইম ম্যাগাজিন তাকে শীর্ষ ১২ জন ব্যবসায়িক নেতার মধ্যে স্থান দেয় এবং ‘এশিয়ার ৬০ বছরের নায়ক’দের মধ্যেও অন্তর্ভুক্ত করে। ২০০৮ সালে যুক্তরাজ্যের ‘প্রসপেক্ট ম্যাগাজিন’ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফরেন পলিসি’ পরিচালিত একটি উন্মুক্ত অনলাইন জরিপে শীর্ষ ১০০ জন পাবলিক ইন্টেলেকচুয়ালের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান দেওয়া হয় তাকে। ২০০৯ সালে ড. ইউনূস স্লোভাকিয়ার ইনফরমাল ইকোনমিক ফোরাম ইকোনমিক ক্লাবের দেওয়া সর্বোচ্চ পুরস্কার গোল্ডেন বিয়াটেক অ্যাওয়ার্ড পান। ২০২১ সালে ক্রীড়া উন্নয়নে তার বিস্তৃত কাজের জন্য অলিম্পিক লরেল পুরস্কার পান তিনি। ২০২১ সালে ড. ইউনূসকে ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের চ্যাম্পিয়ন অব গ্লোবাল চেঞ্জ পুরস্কার দেওয়া হয়। মানব মর্যাদা, সমতা এবং ন্যায়বিচার বৃদ্ধির জন্য তার আলোকিত নেতৃত্ব এবং উদ্ভাবনের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

এ ছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের মানবহিতৈষণা পুরস্কার, শ্রীলঙ্কার মুহাম্মদ সাহেবুদ্দিন বিজ্ঞান (সামাজিক অর্থনীতি) পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব খাদ্য ও শান্তি পুরস্কার, সুইজারল্যান্ডর ম্যাক্স সছমিধেইনি ফাউন্ডেশন ফ্রিডম পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের ভ্যানডারবিল্ট বিশ্ববিদ্যালয় বিশিষ্ট অ্যালামনাই পুরস্কার ও আন্তর্জাতিক অ্যাকটিভিটিস্ট পুরস্কার, জার্মানির প্লানেটরি কনশিয়াশনেস বিজনেস ইনোভেশন পুরস্কার, নরওয়ের হেল্প ফর সেলফ হেল্প পুরস্কার, ইতালির ম্যান ফর পিস অ্যাওয়ার্ড, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ব ফোরাম পুরস্কারসহ যুক্তরাজ্য, স্পেন, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ফ্রান্স, জর্ডান, ভিয়েতনাম, সুইডেন, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, অস্ট্রিয়া, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অসংখ্য পুরস্কার জমা হয় ড. ইউনূসের থলেতে। তিনিই মাত্র সাতজন ব্যক্তির একজন, যিনি নোবেল শান্তি পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনশিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এবং যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পেয়েছেন। ড. ইউনূস ১৯৯৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের কার্যক্রমকে সমর্থনকারী জনহিতকর সংস্থা ইউনাইটেড নেশনস ফাউন্ডেশনের পরিচালনা পর্ষদেও দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্বের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে চষে বেড়িয়েছেন তিনি।

সুত্রঃ কালবেলা




বাফুফের সভাপতি পদে লড়বে তাবিথ

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন তাবিথ আউয়াল। এটা অনেক আগ থেকে সবার জানা। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সবাই জানতেন, বাফুফের সভাপতি পদে কাজী সালাহউদ্দিন লড়াই না করলে সেখানে তাবিথ আউয়াল নির্বাচন করবেন। কিন্তু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেননি তিনি। মায়ের অসুস্থতায় তাবিথ ব্যস্ত ছিলেন। মাকে নিয়ে হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। বাফুফে নিয়ে ব্যতি ব্যস্ত ছিলেন না তিনি।

অবশেষে আজ (সোমবার) ঘোষণা দিতে সংবাদমাধ্যমের সামনে হাজির হবেন তাবিথ। গতকাল রাতে তাবিথ জানিয়েছেন তিনি বাফুফের নির্বাচন করবেন। সে কথাটা বলার জন্যই সংবাদমাধ্যমকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তাবিথ দেশের সাবেক ফুটবলার। কাজ করেছেন বাফুফেতে। সহ-সভাপতি হিসেবে কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে কাজ করেছেন। বর্তমান কমিটিতে ছিলেন না তাবিথ। সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু আরেক প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ মহির সঙ্গে ভোট সমান হয়ে যাওয়ায় পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেও তাবিথ হেরে যান। ১৩৯ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৩০ জন, এর মধ্যে মহি ৬৭ এবং তাবিথ ৬৩ ভোট পান।

তাবিথের পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করে সেই নির্বাচনে তাবিথকে হারানোর জন্য সরকারি একটি সংস্থা কাজ করেছিল বলে তখনকার গুঞ্জন। তা না হলে, তাবিথ যেভাবে ফুটবলের জন্য কাজ করেছিলেন, তার পরাজয় বরণ করার কথা না। তাবিথের হার সবাইকে হতবাক করেছিল। কারণ জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান না হয়েও তাবিথ ফুটবলের জন্য অর্থ দিয়ে সহায়তা করেছেন প্রতিনিয়ত। কিন্তু তাবিথ কোনো বিষয়ে কখনো মুখ খুলতেন না। নিজের প্রচার করতেন না।

এরই মধ্যে তরফদার রুহুল আমিন নিজেও নির্বাচন করতে চান, জানা যায় ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর রুহুল আমিন তাবিথকে সভাপতি পদে এবং নিজে সিনিয়র সহসভাপতি পদে নির্বাচন করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু তাবিথ সেটি গ্রহণ করেননি। কারণ তখনো কাজী সালাহউদ্দিন নির্বাচন করার জন্য নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর সালাহউদ্দিন নির্বাচন না করার ঘোষণা দেওয়ার এক দিন পর সামনে আসেন ৭ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকরা তরফদার রুহুল আমিন। বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন তিনি। পাঁচ দিন পর বিএনপি নেতা তাবিথ আউয়াল নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এই দুই প্রার্থী যদি নির্বাচন করেন তাহলে বাফুফের নির্বাচন হতে পারে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে লড়াই।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ডেঙ্গুর প্রকোপ, দেড়মাসে আক্রান্ত ৩৬১ রোগী

মেহেরপুর জেলায় আশংকাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী। পৌরসভা থেকে মশক নিধন স্প্রে না করা, জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আগাম প্রস্তুতি না নেওয়া ও জনসচেতনতামুলক প্রচারণা না থাকায় মেহেরপুরে আশংকাজনক হারে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু।

প্রতিদিনই মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছাড়াও ক্লিনিকগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন নতুন নতুন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী।

গত ২৪ ঘন্টায় গত শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) থেকে গতকাল রবিবার (২২ সেপ্টেস্বর) সকাল পর্যন্ত মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৯ জন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন।

বর্তমানে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ জন, মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ২৫ ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন ডেঙ্গু রোগী।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। গত আগস্ট মাসে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ৮০, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬৬ ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জনসহ মোট ১৫১ জন ডেঙ্গু রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।

চলতি সেপ্টেম্বর মাসের গতকাল ২২ তারিখ পর্যন্ত মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ১২৪ জন, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৭ জন ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জনসহ ২১১ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন।

জানা গেছে, আবহাওয়াজনিত কারণে সর্দি-কাশি ও জ্বর দেখা দিয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তারদের কাছে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। পরে অবস্থা গুরুতর হলে হাসপাতালে আসছেন। এখানে রক্ত পরীক্ষা করলেই মিলছে ডেঙ্গুর জীবাণু। আগস্ট ও সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখ পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬১ জন। এ মাসে আরও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

হাসপাতালগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে সাধারণ রোগীদের সাথে কথা বলে জানা গেছ, সাধারণ রোগীদের সাথে রাখা হয়েছে ডেঙ্গু রোগীদের। এতে সাধারণ রোগীরা রয়েছে চরম ঝুঁকির মধ্যে।

স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, স্থান সাংকুলাণ না হওয়ায় রোগীদের এক সাথে রাখা হয়েছে। তবে, ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রয়েছে হাসপাতালে।

সূত্র মতে জানা গেছে, মেহেরপুর পৌরসভা ও গাংনী পৌরসভার পক্ষ থেকে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করার কথা থাকলেও বিগত কয়েক বছর কয়েক কোটি টাকা বরাদ্দ থাকলেও মশক নিধনে পৌরসভা দুটি সেটা করা হয়নি। ফগার মেশিন দিয়ে মশক নিধন ও স্প্রে করার পাশাপাশি ওয়ার্ড পর্যায়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা থাকলেও তা করা হয়নি। এতে এই দুই পৌরসভার মেয়র এই খাত থেকে প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়া ডেঙ্গু সংক্রমণ ঠেকাতে বা সতর্কতামূলক প্রচারণার পদক্ষেপ নিতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ইউনিয়ন পরিষদ গুলোও কোনো প্রচারণা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। মশক নিধনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়ায় শহর কিংবা গ্রাম; সবখানেই ঝোপ জঙ্গলে পরিণত হয়েছে। এসব স্থান মশার প্রজননকেন্দ্র হিসেবে ধরা যায়। পৌর কর্তৃপক্ষ আজও কোনও প্রচারণা চালাচ্ছেন না। এদিকে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ কাজের ধীর গতির কারণেও গাংনী পৌরসভা এলাকায় বেড়েছে এডিশ মশা।

গাংনী উপজেলা শহরে রাস্তার দু পাশে খুড়ে ফেল রাখার কারনে স্বচ্ছ পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ছে। এখান থেকে উৎপাদিত এডিশ মশা এখন সবখানেই ছড়িয়ে পড়ছে।

ডেঙ্গু আক্রান্ত গাংনী পৌর এলাকার বাজার পাড়ার আজিজুল হক রানি, দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ এর গাংনীর এরিয়া অফিসের সমন্বয়ক হেলাল উদ্দিন, সাংবাদিক মাহবুব আলম, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত নার্স শাকিলা বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে হঠাৎ ১০৩-১০৪ জ্বর দেখা দেয়। জ্বর কমে গেলেও ডেঙ্গুর ভয়াবহতা রয়ে যায়। শুরু হয় পেটব্যথা, মাথাব্যথা, বমি, মাথা ঘোরা, পাতলা পায়খানা ও শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) চিকিৎসক আব্দুল আল মারুফ বলেন, অনেকে জ্বর নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে রক্ত পরীক্ষা করার। সেইসঙ্গে স্বাস্থ্য সচেতনতার কথাও বলা হচ্ছে। মশারি ব্যবহার করারও পরামর্শ দেওয়া হয়।

রোগীদের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু হোক আর হেমোরেজিক হোক, এই সময় জ্বর হলেই পরীক্ষা করিয়ে ওষুধ নেওয়া উচিত। ক্লাসিক্যাল ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আবারও ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে রোগীর অবস্থা বেশি ঝুঁকিতে পড়তে পারে। তাই জ্বর হলেই সতর্ক থাকতে হবে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক চিকিৎসক জমির মোহাম্মদ হাসিবুর সাত্তার বলেন, ‘এ পর্যন্ত গত এক মাস বাইশ দিনে জেলায় ৩৬১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় কীট, আলাদা ওয়ার্ডসহ সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। তবে সবখানে প্রচারণা চালানো প্রয়োজন; যাতে সবাই ডেঙ্গু নিয়ে সতর্ক হন। সেক্ষেত্রে বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখা ও নর্দমায় নোংরা পানি বা জলাবদ্ধতা না থাকে, তার ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।’




আলমডাঙ্গার সন্তান মীর আবু তৌহিদ নোয়াখালি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার

আলমডাঙ্গার সন্তান, পুলিশ সুপার, মীর আবু তৌহিদ (রেন্টু)’রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার থেকে নোয়াখালি পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলীর আদেশ হয়েছে।

আজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে মীর আবু তৌহিদ রেন্টু’কে রাঙ্গামাটি’র এসপি থেকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালীর এসপি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।মীর আবু তৌহিদ রেন্টু সততা ও দক্ষতার সাথে রাঙামাটি পুলিস সুপারের দায়িত্ব পালন করেছেন।

জানাগেছে, মীর আবু তৌহিদ আলমডাঙ্গা পৌরসভার পাশ্ববর্তী ফরিদপুর গ্রামের মীর সামসুল ছরোয়ার মেজ ছেলে মীর আবু তৌহিদ (রেন্টু),১৯৯৫ সালে আলমডাঙ্গা পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এসএসসি, ১৯৯৭ সালে আলমডাঙ্গা ডিগ্রী কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্ন্তজাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে ২০০১ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ২০০২ সালে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে বিসিএস ২৫তম ব্যাচে উত্তীর্ণ হয়ে ২০০৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশে চাকুরিতে যোগদান করেন।

২০২২ সালের ৩রা আগষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের এক আদেশে মীর আবু তৌহিদ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার পদে যোগদান করে অদ্যবধি অত্যন্ত সততা, পেশাদারীত্ব ও সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

রাঙ্গামাটিতে বদলি হওয়ার পূর্বে দীর্ঘদিন তিনি পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এলআইসি শাখায় উগ্রপন্থা দমন, সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি নির্ভর পুলিশিং এর উপর বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন।

সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা গেছে মীর আবু তৌহিদ রেন্টু’কে রাঙ্গামাটি’র এসপি থেকে পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার, নোয়াখালীর এসপি হিসেবে পদায়ন করা হয়েছে।




গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অ্যাডহক কমিটি নিয়ে হট্টগোল, অধ্যক্ষের কক্ষে তালা

গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের বহুল আলোচিত-সমালোচিত অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর অফিসকক্ষে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা।

অনিময়মতান্ত্রিক উপায়ে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটিতে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি মনোনীত করার জেরে অধ্যক্ষের কক্ষে তালা দেওয়া হয়। তবে, এর আগেই কলেজ থেকে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী।

সম্প্রতি গভর্নিং বডির এডহক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি ও বালিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দীনকে বিদ্যুোৎসাহি সদস্য নিয়োগ দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর।

এখবর এলাকায় প্রচার হলে আজ রোববার দুপুরে বিএনপি নেতা শাহাজাহান সেলিম, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা জামাল উদ্দীন ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপি নেতাকমীর্রা দুপুরের দিকে মহিলা কলেজে গিয়ে প্রতিবাদ জানান।

এ নিয়ে শিক্ষক মিলনায়তনে বিএনপি নেতারা শিক্ষকদের সাথে বসেন। এসময় তারা এই আহবায়ক কমিটি বাতিলের দাবী জানান।

তারা বলেন, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী অনিয়মতান্ত্রিক পন্থায় গোপনে কমিটি গঠন করার জন্য শিক্ষা বোর্ডে নাম প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। এসময় বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীকে কলেজে প্রবেশের ক্ষেত্রেও হুশিয়ারী দেন নেতাকমীর্রা।

নেতাকর্মীরা জানান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন ও গাংনী উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু’ র সমন্বয়ে গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাপতি মনোনীত করা হবে। তাদের মনোনীত ব্যক্তিই সভাপতি হবেন।

প্রতিবাদকারীরা জানান, জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, সিনিয়র সহসভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন ও উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু এই তিন জন মিলে যাকে সভাপতি মনোনীত করবেন তাকে সভাপতি করতে হবে।

তবে,কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী জানান, কমিটির বিষয়ে আমার কোন হস্তক্ষেপ নেই। বিএনপি পন্থী শিক্ষকরা জাফর আকবর, সাহাব উদ্দীন ও গোলাম কিবরিয়ার নাম প্রস্তাব করেন। সেভাবেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ফরম পূরণ করে নাম পাঠানো হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে আজ সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহার অফিস কক্ষে জরুরি বৈঠকে মিলিত হন। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কলেজের শিক্ষকবৃন্দ ও বিএনপ নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গা বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা

আলমডাঙ্গা বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন জাহানের বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্টিত।নিজে কাঁদলেন,অন্যদের কাঁদালেন।

জানাগেছে, আলমডাঙ্গা বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন জাহান দীর্ঘ ৩০ বছরের অধিক কাল একই স্কুলে চাকরি শেষে আজ অবসর গ্রহন করায় তাকে স্কুলের পক্ষ থেকে বিদায় সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। মোছাঃ শিরিন জাহান দীর্ঘ চাকরি জীবনের ৩২ বছর বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে রেকর্ড গড়েছেন। স্কুলের শিক্ষার্থী, অভিভাবক,ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বৃন্দ সকলে তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখতেন। বন্ডবিল গ্রামের সকলের শ্রদ্ধার পাত্র আওরঙ্গজেব মোল্লা টিপু অত্র স্কুলের সভাপতি হিসেবে বহুদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তার দায়িত্ব কালে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অষ্টম শ্রেনী পর্যন্ত উন্নিত করা হয়েছিল।

আজ রবিবার  বন্ডবিল স্কুল কমিটি ও শিক্ষক মন্ডলি প্রধান শিক্ষক শিরিন জাহানকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করেন।

স্কুলের সহকারি শিক্ষক আব্দুল মজিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্কুল কমিটির সভাপতি ও উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার হুমায়ন কবির। সহকারি শিক্ষক পুবন কুমার সাধুখার উপস্থাপনায় সংবর্ধিত অথিতি শিরিন জাহান বলেন আমি চাকরি জীবনের বেশির ভাগ সময় বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কাটিয়ে দিয়েছি। শিক্ষকতা পেশা এমন একটা পেশা,যে পেশায় ছোট ছোট মানুষের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দেওয়া যায়। ছোট ছোট ছেলে মেয়েকে লেখা পড়া শেখানো খুবই দুরুহ কাজ। যে কাজটি আমরা করে থাকি। আমার দীর্ঘ চাকরি জীবনে যদি কখনও কারো সাথে খারাপ আচরন থাকি তাহলে নিজ গুনে ক্ষমা করে দেবেন।

প্রধান অতিথি বলেন আপনারা সকলে মানুষ গড়ার কারিগর, এই মাহান ব্রত সকলে পালন করতে পারে না।একজন পিতা মাতা,তাদের ছোট সন্তান কে আপনাদের হাতে ছেড়ে দিয়ে নিশ্চিত হয়।আপনারা কিন্ত পিতা মাতার দায়িত্ব সহ শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক নায়মা আফরোজ,ফাতেমা আক্তার,তামান্না আরেফিন,সাবিনা আক্তার,মিতা রানী সাহা,ও ইমরান হোসেন প্রমুখ।এ ছাড়াও গ্রামের প্রাক্তন শিক্ষার্থীগন সভায় উপস্থিত ছিলেন। বন্ডবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিন জাহান তার বর্ণাঢ্য চাকুরি জীবন থেকে অবসরজনিত বিদায়ে আমরা সাবেক ছাত্র ছাত্রীদের সাথে সাক্ষাৎ করেন।




মেহেরপুরে প্রধানশিক্ষকের অনিয়মের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

মেহেরপুরে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা ইসলামের অনিয়ম ও দুনিতীর বিচার চেয়ে  ছয় দফা দাবীতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার দুপুর ১ টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান গেটের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তাদের বিদ্যালয়ে আইসিটি রুম তাদের ব্যবহার করতে না দিয়ে অন্য প্রতিষ্ঠানের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। দরিদ্র মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের অর্ধ ও বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ বন্ধ করে দিয়েছে প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দীর্ঘদিন যাবৎ জলবদ্ধ হয়ে থাকায়  তারা খেলা ধুলার সুযোগ পাচ্ছে না, অপরিচ্ছন্ন ক্লাসরুম ও ক্লাস রুমে পর্যপ্ত ফ্যানের অভাবে গরমে কষ্ট পাচ্ছে তারা। বিদ্যালয়ে নতুন একাডেমিক ভবনের শ্রেণি কক্ষ খালি পড়ে থাকা সত্বেও পুরাতন ভবনে ক্লাস নেয়া হয়।  যেখানে পর্যাপ্ত ফ্যানের ব্যবস্থা  না থাকায় গরমে কষ্ট করতে হয়।  বিদ্যালয়ের  ভবনের পাশে জঙ্গলের কারনে এডিশ মশার উৎপাত বৃদ্ধি পেয়েছে। মশার কামড়ে কয়েকজন শিক্ষার্থী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। বিদ্যালয়ের ১শ ১৭ বিঘা জমি লীজের টাকার কোন হিসাব নেই।

তবে প্রধান শিক্ষক  সানজিদা ইসলাম এসকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।




কোটচাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলনের গণ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ পীর সাহেব চরমোনাই ঘোষিত ৭ দফার দাবীতে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার সভাপতি মুফতী ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও সাবেক জেলা সহসভাপতি মুফতী মাহমুদুল হাসানের উপস্থাপনায় এ গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা সভাপতি ডা. এইচ এম মোমতাজুল করীম। তিনি ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকারের দুঃশাসনের বিবরণ দেন। বিগত সরকারের খুন, গুম ও দুর্ণীতির বর্ণনা করেন। এরপর তিনি ৭ দফার দাবী করেন। দাবী গুলো হলোঃ

১. গ্রহনযোগ্য তদন্ত কমিশন ও স্বতন্ত্র ট্রাইবুনাল গঠন করে জুলাই গণহত্যাকান্ডের বিচার করতে হবে। একই সাথে গত ১৬ বছরে সংগঠিত সকল রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হত্যাযজ্ঞ, গণহত্যা, গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচার করতে হবে। এক্ষেত্রে যে সকল ব্যক্তি বা সংগঠন দোষী সাব্যস্ত হবে, তাদেরকে রাজনীতি ও নির্বাচন থেকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।
২. তদন্ত সাপেক্ষে বিগত বছরের সকল দুর্নীতিবাজ ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের সকল সম্পত্তি ক্রোক করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা করতে হবে এবং বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফেরত আনবার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
বিগত বছরে যারা ক্ষমতায় ছিলেন তাদের সম্পদের হিসাব দিতে হবে। সকল দুর্নীতি ও টাকা পাচারের শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে।
৩. আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ প্রজাতন্ত্রের যে সকল কর্মচারী আইন, সংবিধান, শপথ লঙ্ঘন করে অপেশাদার আচরণ করেছেন তাদেরকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
৪. দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মীয় জনগোষ্ঠির চিন্তা-চেতনা ও অনুভূতির বিরুদ্ধে কোন সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না।
৫. নির্বাচন কমিশনকে পুনর্গঠন করতে হবে এবং অবাধ, সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন (চজ) পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৬. আওয়ামী দুঃশাসনের বিগত ১৬ বছরে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এদেশের সাধারণ শিক্ষাখাতের মান ও নৈতিকতা। এই ক্ষতি দ্রুত সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে দেশপ্রেমিক শিক্ষাবিদ ও উলামায়ে কেরামের সমন্বয়ে একটি জাতীয় শিক্ষাকমিশন গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
৭. গ্রাম পুলিশকে জাতীয়করণ করে তাদের সম্মানজনক বেতন ও ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে।

এছাড়াও প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মাওলানা শিহাব উদ্দিন, প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা যুব আন্দোলনের সেক্রেটারি এবং সাবেক কেন্দ্রীয় সাবেক ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মুফতী আহমাদ আব্দুল জলিল । বিশেষ অতিথি মাওলানা আমানুল্লাহ হেফাজতে ইসলাম কোটচাঁদপুর শাখা।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা ওলামা পরিষদের সভাপতি মুফতী নাজির আহমেদ, কোটচাঁদপুর থানা সেক্রেটারি জনাব ফারুক হোসেন, মহেশপুর উপজেলার সভাপতি মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, সাবেক সভাপতি মাওলানা সরোয়ার হোসাইন, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মুফতী ইব্রাহীম খলীল, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন।




জীবননগরে কেন্দ্রীয় গোরস্থানের নিজস্ব জমি পুনরুদ্ধরের দাবীতে মানববন্ধন

জীবননগর কেন্দ্রীয় গোরস্থানের নিজস্ব জমি পুনরুদ্ধরের দাবী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার সময় জীবননগর চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মানববন্ধন অনুষ্ঠানে জীবননগর কেন্দ্রীয় গেরাস্থান কমিটির সভাপতি সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মো: আশরাফুল হক লিখিত বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার, থানা জীবননগর অধীন ২৫ নং জীবননগর মৌজায় আর.এস ৯৬৪ নং খতিয়ানে আর.এস ২৫৭৯ নং দাগের মালিক ছিলেন কাজী মাহাবুব হোসেন, কাজী সাইফুজ্জামান (বাবলা), আসমা খাতুন ও আছিয়া খাতুন গং। তন্মধ্যে উত্ত আছিয়া খাতুন এর নিকট হইতে বিগত ২৭/০৪/১৯৮৩ ইং তারিখে ৪৫৩৬ নং রেজি: কবলায় ০.০৪০০ একর জমি মর্ঝিনা খাতুন ক্রয় করেন। উক্ত মর্জিনা খাতুন এর নিকট হইতে আমরা গোরস্থান কমিটি বিগত ইং ১৯/০২/১৯৮৫ তারিখে ১৮৯০ নং রেজি: কবলায় ০.০৪০০ একর জমি ক্রয় করি। আসমা খাতুন এর নিকট হইতে আমরা গোরস্থান কমিটি বিগত ইং ০৩/০৬/১৯৮৪ তারিখে ২০১৬ রেজিঃ কবলায় ০.০৭০০ একর জমি ক্রয় করি।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিগত সরকারের আমলে সাবেক এম.পি আলী আজগর টগরের মৌখিক নির্দেশে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংসদ সদস্যের মনোনিত নেত্রীবৃন্দের সহায়তায় জীবননগর কেন্দ্রীয় গোরস্থানের জমি মোঃ আরিফুজ্জামান, মোঃ স্বপন হোসেন, মোঃ মনিরুজ্জামান, মোঃ কামরুজ্জামান, মোছাঃ নাজমা খাতুন, মোছাঃ বিলকিছ খাতুন, মোছাঃ নারগিস খাতুন, মোছাঃ নাছরিন খাতুন সর্ব পিতা মৃত নুরুল ইসলাম, সর্ব সাং মাধবখালী, জীবননগর, চুয়াডাঙ্গা জোর পূবক দখল করেন। উক্ত দখল প্রতিরোধের জন্য জীবননগর গোরস্থান কমিটি বাদী হইয়া জীবননগর সহকারি জজ আদালতে দেওয়ানি ২৫২/২০১২ নং মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলায় আদালত হইতে বিগত ২১/০২/২০১৩ ইং তারিখে বিবাদীগণের বিরুদ্ধে নালিশি সম্পত্তির উপর সর্বপ্রকার নির্মাণ কার্য করা থেকে স্থিতি অবস্থা বজায় রাখার আদেশ দিয়াছিলেন। যাহা আদালতের আদেশ অবমাননা মামলা মিস-০৫/২০১৩ অদ্যবধি বিচারাধীন আছে। আমরা এই গোরস্থান কমিটির সদস্য সহ এলাকাবাসী উক্ত জমি পুনরুদ্ধরের জন্য মানববন্ধনের আয়োজন করিয়াছি। জমি উদ্ধারের আপনাদের সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করছি।

উক্ত মানব বন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর কেন্দ্রীয় গোরস্থান কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক সামসুল আলম, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম.আর বাবু, সাবেক কমিশনার হযরত আলী, হাজী আঃ মজিদ, মুন্সী খোকন, মিনহাজ আলী, আবু হানিফ,নাসু মিয়া, প্রমুখ।