বাংলাদেশের মানচিত্র পাকিস্তানকে উপহার দিতে চায় কারা?

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ যে স্বাধীনতা অর্জন করলেও স্বাধীনতাবিরোধীদের কাছ থেকে মুক্তির জন্য যুদ্ধ চলছে আজও। বাংলাদেশ যতবার উন্নয়নের শিখরে পৌঁছাতে ধারাবাহিক পথ পাড়ি দিচ্ছে, বিশ্ব দরবারে সকলের সামনে মর্যাদা নিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াচ্ছে ঠিক ততবার তার ওপর আঘাত করা হয়েছে। একসময়ের প্রধান বিরোধী দল যখন তাদের আন্দোলনের প্রধান স্লোগান ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ নির্ধারণ করে তখন আবারও প্রশ্ন উত্থাপিত হয়- এরা কারা, যারা পাকিস্তানকে বাংলাদেশের মানচিত্র উপহার দিতে চায়?

মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা বলছেন, এটা খুবই স্পষ্ট যে কারা মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকান্ডে আজও যুক্ত এবং কারা বিভিন্ন সময়ে বক্তব্য রেখেছে যে, পাকিস্তানের কাছে ফিরে যেতে চায়। এখন দরকার এই টেক ব্যাক বাংলাদেশবিরোধী একটা অবস্থান নেওয়া এবং এদের প্রতিরোধ করা। আমাদের শক্তি হলো, যখনই বাংলাদেশের ওপর কোনো আঘাত এসেছে তখনই আমাদের তরুণ প্রজন্ম তা রুখে দিতে সক্ষম হয়েছে। এবারও পারবে।

আর এই প্রতিরোধের অংশ হিসেবে তরুণ প্রজন্ম মাঠে কাজ করছে নানাভাবে। এবার তারা টেক ব্যাক বাংলাদেশকে সমালোচনা করে ঢাকার রাস্তায় নতুন গ্রাফিতি নিয়ে হাজির হয়েছে।

বাংলাদেশকে পিছনের দিকে টানছে বিএনপি নেতারা- জোরসে বলো হেইয়ো, টেকব্যাক বাংলাদেশ, পিছিয়ে দাও বাংলাদেশ। ঢাকার বিভিন্ন দেয়ালে শোভা পাচ্ছে আরও অনেক গ্রাফিতি। যার একটিতে দেখা যায় পাকিস্তানের পতাকা আকৃতির এক ডাইনোসরকে বাংলাদেশের মানচিত্র খেতে উদ্বুদ্ধ করছে তারেক জিয়ার আদলের এক ব্যক্তি। আর লেখা আছে টেক ব্যাক বাংলাদেশ। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তারেক জিয়া বাংলাদেশকে শিকল দিয়ে টেনে পিছনে নিতে চেষ্টা করছেন ‘টেক ব্যাক বাংরাদেশ’ স্লোগান দিয়ে।

ইতিহাস বলছে, একমাত্র জার্মানির নাৎসি পার্টি ছাড়া বিশ্বের কোন রাজনৈতিক দল, তার দেশকে পিছনের দিকে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেনি। ১৯২০ সালে উগ্র জাতীয়তাবাদী চেতনা নিয়ে হিটলারের নেতৃত্বে ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলের উত্থান ঘটে। তখন তারাও স্লোগান দিয়েছিল ‘টেক ব্যাক জার্মানি।’ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানিতে কমিউনিস্ট উত্থান ঠেকাতে কট্টর জাতীয়তাবাদের বিষবাম্প ছড়িয়ে দিয়েছিল নাৎসিরা।

বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করলো। কিছুদিন ধরে বিএনপি ‘এক দফা’ আন্দোলনে ব্যস্ত। একদিকে বিএনপি একদফা ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে সরকারের কাছে খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ এক গুচ্ছ দাবি দাওয়া উত্থাপন করেছে। এসব দাবির কোনটা আসল আর কোনটা নকল সেই ভাবনার মধ্যে গুরুতর অভিযোগ তাদের স্লোগানকে ঘিরে। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ বলতে পারে একটি রাজনৈতিক দল।

‘টেক ব্যাক জার্মানির’ পরিণাম কি হয়েছিল আমরা সবাই জানি। ঠিক একশো বছর পর হিটলারের স্লোগান ফিরে এসেছে বাংলাদেশে, বিএনপির হাত ধরে। অবশ্য নাৎসি পার্টির পুরো নামের সঙ্গে বিএনপির পুরো নামের মিল আছে। হিটলারের দলের পুরো নাম ‘ন্যাশনাল সোশালিস্ট জার্মান ওয়ার্কাস পার্টি।’ রাজনৈতিক দল বা নেতারা জনগণকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখান, আগামীর পরিকল্পনার কথা বলেন। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে স্লোগান দিয়েছিলেন ‘চেঞ্জ’ পরিবর্তনের ডাক দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। নেলসন ম্যান্ডেলা মুক্তি পেয়ে বলেছিলেন ‘লুক ফরোয়ার্ড।’ বিএনপি বলছে ‘টেক ব্যাক।’ বাংলাদেশকে টেনে হিঁচড়ে বিএনপি কোথায় নিয়ে যেতে চায়? কোন আমলে?

সম্প্রতি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, – ‘পাকিস্তান আমল ভালো ছিলো।’ বিএনপি কি তাহলে বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তান বানাতে চান? ৭৫ এর নারকীয় ঘটনার আসল উদ্দেশ্য ছিলো বাংলাদেশকে আবার পাকিস্তানে ফেরানো। সামরিক এক নায়ক জিয়াউর রহমান ছিলেন তার স্বপ্নদ্রষ্টা। ৭ নভেম্বর ক্ষমতা দখল করে তিনি পাকিস্তান অভিমুখে নিয়ে যেতে থাকেন বাংলাদেশকে। ‘জয় বাংলা’ হয়ে যায় ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।’ ‘বাংলাদেশ বেতার’ হয় ‘রেডিও বাংলাদেশ’। সেটা ছিলো প্রথম ‘টেক ব্যাক বাংলাদেশ’ উদ্যোগ।

এই টেক ব্যাক বাংলাদেশ বলার সাহস কীভাবে হয় উল্লেখ করে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবীর বলেন, এই ঘাতক গোষ্ঠী বারবারই বাংলাদেশকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিতে ষড়যন্ত্র করেছে। তারেক জিয়ার পাকিস্তান প্রেম নতুন কিছু না। কয়দিন আগে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বললেন, পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম। জামায়াত ইসলামী ও বিএনপি একই মায়ের পেটে সহোদর বারবার ঘোষণা দিয়েছে। এগুলো নতুন না তাদের জন্য। তারেক জিয়ার বরাবরের উদ্দেশ্য বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে হবে। আর এর বিপরীতে বাংলাদেশের তরুণরা বারবার রাস্তায় নেমেছে। এবারেও এই বিষয়টি নানাভাবে তুলে ধরা উচিত। টেকব্যাক বাংলাদেশ যে ঘটতে দেওয়া যাবে না তরুণদের এই সচেতনতার জন্য তাদের অভিনন্দন। এটা মূলধারার গণমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া উচিত।




মুজিবনগরে যুবমহিলা লীগের সমাবেশ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত

সরকারের সাফল্য ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা তৃণমূল পর্যায়ে পৌছে দিতে মুজিবনগরে যুব মহিলা লীগের সমাবেশ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামে মুজিবনগর আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বাগোয়ান ইউনিয়ন যুবমহিলালীগের আয়োজনে এই সমাবেশ ও উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি তকলিমা খাতুন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

অনুষ্ঠানে মেহেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড: রুতশোভা মন্ডলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবমহিলা লীগের সভাপতি সমিউন বাসিরা পলি, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মুজিবনগর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক তহমিনা খাতুন।

এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি ও বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম অনুষ্ঠানের স্থলে পৌঁছালে তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।




গাংনীতে সমবায় সমিতির সদস্যদের দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় সম্ভাবনাময় সমবায় সমিতির সদস্যদের অংশগ্রহনে দিনব্যাপী ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসের আয়োজনে বিআরডিবি হলরুমে সমবায়ীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী এই ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার মাহবুবুল হক মন্টুর সভাপতিত্বে ভ্রাম্যমান প্রশিক্ষণে অতিথি বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) নাদির হোসেন শামীম, গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন ও মেহেরপুর জেলা সমবায় অফিসের উপ-সহকারী নিবন্ধক এনামুল হক।

এসময় অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম মাস্টার, মেহেরপুর জেলা সমবায় অফিসের প্রশিক্ষক নূরুজ্জামান ও সহকারী পরিদর্শক রুহুল কুদ্দুস, হাফিজুর রহমান।

প্রশিক্ষণে ৬ টি সমবায় সমিতির মোট পঁচিশ জন সদস্য অংশগ্রহণ করেন।




কোটচাঁদপুরে মধ্য বয়সি এক নারীর আত্মহনন

গলায় দড়ি দিয়ে সবুরা খাতুন (৬৩) নামের মধ্য বয়সি এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকড়া গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী।

জানা যায়,সবুরা খাতুন (৬৩)। সে কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকড়া গ্রামের ফজলুল হকের স্ত্রী। সোমবার সকালে ঘরের আড়ার বাশের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস দেন। পরে তাঁর স্বজনরা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে কোটচাঁদপুরের তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী মৃত দেহটি ময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ মর্গে পাঠিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে মৃতের ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন,আমার মা দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ্য ছিলেন। কোমরের যন্ত্রণায় প্রায় সময় ছটফট করতেন। আমি জানতাম মা এ ধরনের ঘটনা ঘটাতে পারে।

এ জন্য আমি দুই বছর যাবৎ পাহারা দিয়ে রাখতাম। এ দুই বছরের একদিনও আমি রাতে ঘুমাইনি। আজ আমরা যখন সবাই খেতে খামারে কাজে চলে গেছি,ঠিক সে সময় আমার থাকা ঘরের পাশের একটি ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় দড়ি দেন। আমরা যখন দেখতে পেয়েছি, সে সময় আমার মা আর নাই। আমি পাহারা দিয়েও শেষ রক্ষা করতে পারলাম না।

তিনি বলেন,আমার মা যে অসুস্থ্য ছিল, তাঁর সকল কাগজপত্র আমার কাছে আছে। মাকে অনেক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেছি,মাঝার ব্যাথার জন্য।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানাধীন তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী বলেন, এটা নিছক আত্মহত্যার ঘটনা। ময়না তদন্তের জন্য মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে,ওই নারী দীর্ঘদিন ধরে কোমরের ব্যাথায় ভূগছিলেন। জ্বালা সইতে না পেরে গলায় রশি দিয়েছেন।




ঝিনাইদহে অমিতাভ সাহা হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

ঝিনাইদহের আলোচিত অমিতাভ সাহা হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী রাজলু হোসেন ওরফে রাজুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল রবিবার মেহেরপুর জেলার ভারতীয় সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজলু সদর উপজেলার হাটগোপালপুর এলাকার মুনাব্বর হোসেনের ছেলে।

এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ঝিনাইদহের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৩ সেপ্টেম্বর শহরের ধোপাঘাটা ব্রীজ এলাকা থেকে অমিতাভ সাহা নামের এক যুবককের অর্ধগলিত বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী দাবীকৃত তিশা নন্দী বাদী হয়ে রাজলু হোসেন ওরফে রাজুকে প্রধান আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন ও আসামীদের ধরতে অভিযান শুরু করে। গতকাল রাতে মেহেরপুরের ভারতীয় সীমান্ত থেকে আসামী রাজুকে গ্রেফতার করা হয়। তবে মামলার অধিকতর তদন্তের স্বার্থে হত্যাকাণ্ডের রহস্য এখনি বলা যাচ্ছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি শাহীন উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মকর্তাবৃন্দ।




রূপায়ণ গ্রুপে চাকরির সুযোগ




যেসব খাবার হাড়ের জন্য ক্ষতিকর

সুস্থতার জন্য হাড়ের যত্ন নেওয়া জরুরি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। আমরা প্রতিদিন এমন কিছু খাবার খাই যেগুলো হাড়ের জন্য খারাপ। দুর্বল হাড়ের প্রাথমিক লক্ষণ হলো মাড়ির রোগ, হাতের মুঠোতে শক্তি কম পাওয়া, নখ ভেঙে যাওয়া, শরীর বেঁকে যাওয়া, ঘাড়ে ব্যথা ইত্যাদি। হাড় দুর্বল হলে অনেক সময় অল্প আঘাতেই তা ভেঙে যায়। হাড়ের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় উপাদানের একটি হলো ক্যালসিয়াম।

আমাদের শরীর ক্যালসিয়াম নামক খনিজ সহজে গ্রহণ করতে পারে না। কিছু খাবার শরীরে ক্যালসিয়াম গ্রহণে বাধা দেয়। যে কারণে এই খনিজ শরীরে পৌঁছাতে পারে না। তাই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার পাশাপাশি ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন এ, সি, ডি যুক্ত খাবার খেতে হবে। জেনে নিন কোন খাবারগুলো হাড়ের জন্য ক্ষতিকর:

ক্যাফেইন সমৃদ্ধ খাবার
প্রতিদিন পরিমিত ক্যাফেইন গ্রহণ ভালো অভ্যাস। তবে এটি অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ২০১৬ সালে বিএমএইচ মুসকুলসকেলেটাল ডিসঅর্ডার এ প্রকাশিত এক জরিপে দেখা গেছে, অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে তা মেনোপজের পরে নারীর হাড়ের ঘনত্ব কমার কারণ হতে পারে। ক্যাফেইন হাড় থেকে ক্যালসিয়াম সরিয়ে দেয়, যে কারণে হাড়ের শক্তি কমে যায়। প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন প্রায় ৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম নষ্ট করে।

কোল্ড ড্রিংকস
কোল্ড ড্রিংকস বা কোমল পানীয় পানের কোনো উপকারিতা নেই। তার মধ্যে একটি হলো, এটি হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ ক্ষতিকর। এই পানীয়তে চিনির পরিমাণ থাকে অনেক বেশি। এছাড়া এতে ক্যাফেইন, ফসফোরিক অ্যাসিডও থাকে। এই উপাদানগুলো হাড়কে ভেতর থেকে দুর্বল করে দেয়।

প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খাবেন না
আমাদের শরীর ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন পড়ে প্রাণিজ প্রোটিনের। এই প্রোটিন শরীর গ্রহণ করতে পারে সহজেই। তবে এটি অতিরিক্ত গ্রহণ করলে সৃষ্টি হতে পারে সমস্যা। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, অতিরিক্ত প্রোটিন খাওয়া মানুষেরা অস্টিওপোরোসিস সমস্যায় ভুগে থাকেন। সেখান থেকে হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায়।

অ্যালকোহল
হাড়ের জন্য আরেকটি ক্ষতিকর অভ্যাস হলো অ্যালকোহল গ্রহণ। অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবনের ফলে হাড়ের ভর কমে যায়, হাড়ের গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেইসঙ্গে বাড়ে হাড়ে ফ্র্যাকচারের প্রবণতা। মদ্যপানের অভ্যাস কম বয়সেই হাড় দুর্বল করে দিতে পারে। ২০১৫ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, অ্যালকোহল পানকারীদের হাড় ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে যেতে পারে।

কফি
দুই এক-দুই কাপ কফি খাওয়া যেতেই পারে। তবে কফি বেশি খেলে অনেক ধরনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এতে থাকা ক্যাফেইন ক্যালসিয়াম গ্রহণে বাধা দেয়। কফি তাই মাঝে মাঝে খাবেন, নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করবেন না। হাড় ভালো রাখতে হলে তাই এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ধূমপান
ধূমপান মোটেই ভালো অভ্যাস নয়। বরং এর ক্ষতিকর দিক লেখা থাকে সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই। ধূমপান থেকে দেখা দিতে পারে শরীরের অনেক সমস্যা। তার মধ্যে একটি হলো, এটি হাড় দুর্বল করে দেয়। ধূমপানের ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম ঠিকভাবে পৌঁছায় না। তাই ধূমপান ও তামাক গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

অতিরিক্ত চিনি ও লবণ
শরীরের জন্য লবণ প্রয়োজন, তবে তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাপ রয়েছে। অতিরিক্ত লবণ বা চিনি গ্রহণ করা অত্যন্ত ক্ষতিকর। বিশেষ করে হাড়ের ক্ষতি করতে কাজ করে এই দুই উপাদান। কারণ অতিরিক্ত চিনি ও লবণ খেলে শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায়।

অতিরিক্ত মাংস খাওয়া
মাংস হচ্ছে প্রাণীজ প্রোটিন। অতিরিক্ত মাংস মানেই অতিরিক্ত প্রোটিন। এই প্রোটিন শরীরে অতিরিক্ত অ্যাসিড তৈরি করে, একে নিষ্ক্রিয় করতে ক্যালসিয়াম কাজ করে থাকে। যার ফলে হাড়ে ক্যালসিয়াম কম পৌঁছায়। আর এই কারণেই আস্তে আস্তে হতে থাকে হাড়ের ক্ষয়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর মটরশ্রমিক ইউনিয়নের চার সদস্য আজীবন বহিস্কার

মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় ইউনিয়নের ৪ শ্রমিককে আজীবন বহিস্কার করা হয়েছে।  অত্র ইউনিয়নের সংবিধানের ৫ (খ) ধারায় তাদের বহিস্কার করা হয়।

মেহেরপুর জেলা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো: মতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বহিস্কৃতরা হলেন, শামীম রেজা (সদস্য নং ১৪৬৭), মো: এখলাছুর রহমান (সদস্য নং ১২৪৪), মো: আব্দুস সালাম (সদস্য নং ৩০০১) ও মো: জাহিদ হোসেন ( সদস্য নং ৮৩৭)।

বহিস্কার পত্রে লেখা হয়েছে, অত্র ইউনিয়নের ৫ (খ) ধারা লঙ্ঘন করে সংগঠণ বিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় গত ৫/৯/২০২৩ ইং তারিখে মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী পরিষদের মাসিক সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক সদস্য পদ বাতিল করে সংগঠণ থেকে আজীবন বহিস্কার করা হলো।

আরও বলা হয়েছে, সংগঠনের সদস্য পদে থেকে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সংগঠণ বিরোধী কার্যকলাপ করে বেড়াচ্ছেন। এছাড়া অবৈধ কাজে লিপ্ত রয়েছেন। বিভিন্ন অপরাধমুলক কাযক্রম যেমন নেশায় আসক্ত চুরি এবং বিভিন্ন অবৈধ কাযক্রম করে বেড়াচ্ছেন। যা সংবিধান বহিভূর্ত। বহিস্কারের অনুলিপি প্রশাসন, প্রেসক্লাবসব বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।




বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার ইচ্ছা বলিউড অভিনেত্রীর

‘কলকাতা আমার খুব ভালো লাগে। ইচ্ছা আছে বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার। ভালো গল্প পেলে অভিনয় করবো। এখন অল্প কিছু বাংলা বুঝি। বাংলা ছবিতে অভিনয় করার আগে ভালো করে বাংলা শিখে নেব।’ ‘ইয়ারিয়া ২’ সিনেমার প্রচারে এসে এভাবেই বাংলা সিনেমায় অভিনয় করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন বলিউড অভিনেত্রী দিব্যা খোসলা কুমার।

কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বলছে, এ নিয়ে দ্বিতীয়বার কলকাতায় গেলেন অভিনেত্রী। বাংলার সঙ্গে কোনো ধরনের নাড়ির টানও নেই দিব্যার। বাংলা ভালো বোঝেন না বলে বাংলা সিনেমাও দেখেন না। প্রশ্ন উঠতেই পারে তাহলে হঠাৎ করে বাংলা সিনেমা নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠলেন কেনো তিনি। এর উত্তর, অভিনেত্রী নিজেই দিলেন। এর কারণ কলকাতার অভিনেতা যশ দাসগুপ্ত।

‘ইয়ারিয়া ২’ সিনেমায় দিব্যার বিপরীতে অভিনয় করছেন কলকাতার এই অভিনেতা। তার অভিনয়ে মুগ্ধ অভিনেত্রী। কলকাতায় এসে যশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তার সম্পর্কে দিব্যা বলেন, ‘যশ ভালো অভিনেতা। কাজের প্রতি তার একাগ্রতায় আমি মুগ্ধ। প্রচণ্ড জ্বর নিয়ে সে শুটিং করেছিল। টানা ৩০ ঘণ্টা শুটিংয়ের পরও তার কোনো অভিযোগ ছিল না।’

‘ইয়ারিয়া’ সিনেমা পরিচালনা করলেও সিক্যুয়েলে অভিনয় করছেন দিব্যা। এবার পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন রাধিকা রাও ও বিনয় সাঁপুর। দিব্যা যশ ছাড়া এতে আরও অভিনয় করেছেন মিজান জাফরি, পার্ল পুরি, অনুসূয়া রাজন, প্রিয়া প্রকাশ ওয়ারিয়া প্রমুখ। আগামী ২০ অক্টোবর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘ইয়ারিয়া ২’।




কার্পাসডাঙ্গা মাদক বিরোধী অভিযানে ৪৫ পিচ ফেনসিডিলসহ গ্রেফতার ১

সোমবার দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবিরের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই ইমরান হোসেন, এ এস আই মোসলেম উদ্দিন সহ সঙ্গীয় ফোর্স। কার্পাসডাঙ্গা হতে সুবলপুরগামী পাকা রাস্তার উপর হইতে একটি Royal Runner মোটরসাইকেল ও ৪৫ ফেনসিডিল নিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করেন পুলিশ

গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ আতিয়ার রহমান (৪০) পিতা মোঃ আনসার আলী,সাং মদনা থানা- দর্শনা জেলা – চুয়াডাঙ্গা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।