জাতীয় দলের পর ক্লাব থেকেও বাদ অ্যান্তোনি

ব্রাজিলিয়ান রাইট উইঙ্গার অ্যান্তোনি সাবেক প্রেমিকা গ্যাব্রিয়েলা কাভারিলকে নির্যাতনের অভিযোগে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন। জাতীয় দলের পর এবার তার ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকেও বাদ পড়েছেন।

ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন কাভারিল। এই ঘটনায় সাও পাওলো এবং ম্যানচেস্টারের পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যার কারণে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েন তিনি।

ম্যানইউ এক বিবৃতিতে বলেন, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত দলের অনুশীলন করতে পারবে না অ্যান্তোনি, ‘যারা জাতীয় দলের সঙ্গে নেই তারা সোমবার অনুশীলনে ফিরবেন। তবে অ্যান্তোনির দেরি হবে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দলে যোগ দেবেন না তিনি।’

সাবেক প্রেমিকাকে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করছেন অ্যান্তোনি। তবে ম্যানইউ-এর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তিনি। বিবৃতিতে অ্যান্তোনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমি ম্যানইউ-এর ট্রেনিংয়ে অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।’

অ্যান্তোনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তার সতীর্থদের সঙ্গে যেন ভুল বোঝাবুঝি ও দূরত্ব তৈরি না হয় সেজন্য দলীয় অনুশীলন থেকে দূরে থাকা বিষয়ে এই সমঝোতা হয়েছে। এছাড়া তিনি তদন্তের বিষয়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বলেও উল্লেখ করেছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




হুয়াওয়ের মেট ৬০ তে হাইনিক্স মেমোরি ব্যাবহার নিয়ে তদন্ত

স্মার্টফোনের বাজারে নতুন করে প্রভাব বিস্তার করছে হুয়াওয়ের মেট ৬০ সিরিজ। বিক্রিও ঊর্ধ্বমুখী। তবে এর সঙ্গে সমালোচনাও রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে ডিভাইসে যেসব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলোর সরবরাহকারী কারা।

টেকটাইমসের খবরে বলা হয়, মেট ৬০ সিরিজে দক্ষিণ কোরিয়ার চিপ নির্মাতা কোম্পানি এসকে হাইনিক্সের মেমোরি ব্যবহারের বিষয়টি নির্দেশ করে যে কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে গেছে এটি। তবে আনুষ্ঠানিক এক বিবৃতির মাধ্যমে হুয়াওয়েকে মেমোরি সরবরাহ করার বিষয়টি নাকোচ করেছে হাইনিক্স। গত সপ্তাহে মেট ৬০ টিয়ারডাউনের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে এসকে হাইনিক্সের মেমোরি চিপ ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র বেশকিছু দিক থেকে হুয়াওয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর মধ্যে দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি রফতানি বন্ধ করার মতো বিষয় রয়েছে। ফলে স্মার্টফোন তৈরিতে ব্যবহূত যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করা হুয়াওয়ের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

মেট ৬০ প্রোতে হাইনিক্সের চিপ ব্যবহার বলে দিচ্ছে, হুয়াওয়ে কোনোভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পেরেছে। আর এটি ওয়াশিংটনের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে কোম্পানিটি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় থাকা কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছে পণ্য সরবরাহ করা হয় না।

হুয়াওয়ের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকেই ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে হাইনিক্স। এ বিষয়ে তদন্তও শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনাকে ঘিরে নতুন জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রযুক্তিবিশারদ ও বাজার বিশ্লেষকদের মতে, থার্ড পার্টি বা ফ্রন্ট কোম্পানিকে ব্যবহারের মাধ্যমে হয়তো হুয়াওয়ে চিপ সংগ্রহ করেছে। কীভাবে হাইনিক্সের মেমোরি হুয়াওয়ের কাছে পৌঁছেছে সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। তবে এটি নিশ্চিত, হুয়াওয়ের ওপর আরো বড় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।




দর্শনায় চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ঐক্যবদ্ধ সংবাদ সম্মেলনে বাধা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের কতিপয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কিছু নেতৃস্থানীয় কর্মী একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলনের পূর্বে এমপি সমর্থিত নেতা কর্মিরা পূর্বে ঘোষিত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের কতিপয় মনোনয়ন প্রত্যাশীগণ  উপস্থিতে সম্মেলন বাধা দেয়ার চেষ্টা চালালে দর্শনা বাস স্ট্যান্ড এলাকা  উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের চেষ্টায় উভয়কে শান্ত থাকার অনুরোধ করলে এমপির পক্ষে দুরে অবস্থান নেয়।

পরিস্থিতি শান্ত হলে অপূর্ব ঘোষিত সংবাদ সম্মেলন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মন্জুর সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য পেশ করেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, তিনি লিখিত বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তার সহধর্মিনী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব,জাতীয় চার নেতা শহীদ নজরুল ইসলাম, শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ, শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও শহীদ কামরুজ্জামান এবং জাতির গৌরব ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে যে ৩০ লক্ষ বাঙালি জীবন দিয়েছেন ও ২ লক্ষ মা বোন যারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন তাদের আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান জানাই। গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি এই চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের অন্তর্গত নাটুদহ ইউনিয়নের আট কবর, জীবননগর উপজেলাধীন ধোপাখালীর শহীদ স্মৃতিসৌধ ও দামুড়হুদা উপজেলাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের হৈবৎতপুর স্মৃতিসৌধে শায়িত বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে।

এছাড়া এ অঞ্চলের অনেক বীর সন্তান যারা মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশ মাতৃকার জন্য অকাতরে জীবন দিয়েছেন- রক্ত দিয়েছেন তাদেরকেও গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, শোষণ বঞ্চনামুক্ত, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই গোটা বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত করেছিলেন। দেশ স্বাধীনের মাত্র সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা ৭১ এর পরাজিত শক্তি তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুদের সক্রিয় সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল অর্জন ও চেতনাকে ধ্বংস ও মুছে ফেলার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর প্রায় ৩০ বছরই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ছিল। বাকি বছর গুলোতে স্বাধীনতার পক্ষের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতির পিতার সুযোগ্য সন্তান গণতন্ত্রের মানষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার সুযোগ পায়। সেই একই অপশক্তি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন সময়ে দফায় দফায় মারাত্মকভাবে আক্রমণ করে। প্রকাশ্য দিবালোকে গ্রেনেড হামলা করতে ও পিছপা হয়নি। আল্লাহ তাআলার অশেষ কৃপায় পিতামাতা ভাইবোন আত্বীয় স্বজন সবকিছু হারিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনা জীবনে বেঁচে আছেন।জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। বাঙালি জাতির স্বপ্নের পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, উড়াল সেতু, এলিভেটেট এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর নিচে টানেল, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন, পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, রেলওয়ে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন, সমুদ্র বিজয়, ছিট মহলে ভারতের সাথে সীমানা নির্ধারণ, পায়রা গভীর সমূদ্র বন্দর ইত্যাদি অসংখ্য বৃহৎ প্রকল্প এই সরকারের অর্জন।

এছাড়া লক্ষ লক্ষ গৃহহীন মানুষকে সরকারি জায়গায় ও খরচে গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনদের থাকার  ব্যবস্থা করা, সার, ডিজেল কৃষকের নিকট সংক্ষলতা করা, কৃষি, শিক্ষা, শিল্প, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সহ রাস্তাঘাটের  সরকারের বড় অর্জন যে অর্জনের কথা শুধু বাংলাদেশের জনগণই নয় ইউরোপ, আমেরিকা, জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ সহ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের স্বীকৃত। বাংলাদেশ আজ শুধু উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবেই পরিচিত নয়, বিশ্ব সভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত।

এছাড়া প্রতিটি জেলা ও উপজেলা শহরে ৫৬০ টি মডেল মসজিদ নির্মাণ ও দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স এর সমমর্যাদা দেওয়া এই সরকারের আর একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের সফল বাস্তবায়ন।

অবশ্যই, আমরা স্বীকার করি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য কোন কোন ক্ষেত্রে অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সকল স্তরের বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ ভীষণ কষ্টে আছে। এই সমস্যাটি আজ বাংলাদেশেরই নয় বরং এটি বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা ও গভীর সংকট।

সারা পৃথিবী কোভিড-১৯ অর্থাৎ করোনা ভাইরাস কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ এবং বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পরিণতি এই মূল্য বৃদ্ধির অস্বাভাবিকতা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশকারী কিছু হাইব্রিড নেতাকর্মীর সীমাহীন দুর্নীতি কর্তৃত্ব পরায়ণ ও পরিবারকরণ মনোবৃত্তি ও দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু কর্মকাণ্ডে বর্তমান গণমুখী সরকারের গগনচুম্বী ভাবমূর্তি অনেকাংশেই ঘৃণা করেছে। দেশ, জনগন ও দলের স্বার্থের এদেরকে চিহ্নিত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া এখন সময়ের দাবী।

পরীক্ষিত কর্মিদেরকে বাছাই করে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনি বৈতরণী যেমন পার হওয়া যাবে, সেই সাথে দেশ, দল ও দলের প্রাণশক্তি কর্মীরাও বাঁচবে।

একাত্তরের পরাজিত শক্তি তাদের পরীক্ষিত দোসর সারা দুনিয়ার শোষিত বঞ্চিত, নিপীড়িত গণমানুষের দুশমন আমেরিকা, বাংলাদেশের বিভিন্ন সংস্থার উপর স্যাংশন ভিসা নীতি ইত্যাদির মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলো তাদের হীনস্বার্থে অস্থির ও অশান্ত করে চলেছে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাদের স্বার্থ রক্ষাকারী দলকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে যা আমাদের সকলের জন্যই গভীর উদ্বেগের কারণ।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের আপমর জনগনের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ক্ষুধা দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে জননেত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ অর্থাৎ একটি আরো উন্নত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালি করতে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড কর্তৃক মনোনীত প্রার্থীর নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বর্তমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার আহবান জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,মির্জা শাহরিয়া মাহমুদ লল্টু, ছাত্রনেতা ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকাস্থ চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতি,  ডঃ হামিদুর রহমান সাবেক মহাপরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নজরুল ইসলাম সভাপতি জীবননগর থানা আওয়ামী লীগ, আব্দুল লতিফ অমল সম্পাদক জীবননগর উপজেলা আওয়ামী লীগ অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, এয়ার কমান্ডার মোঃ আবু বক্কর সাবেক ভি পি দর্শনা সরকারি কলেজ, নুর হাকিম সম্পাদক ও প্রকাশক সকলের সময়।

বক্তব্য শেষে নেতারা যানান আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপস্থিত দশ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে আমরা হাতে হাত মিলিয়ে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব।




মেহেরপুরের সাবেক মেয়র মতুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মেহেরপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র ও মায়ের হাসি ক্লিনিকের মালিক মোতাচ্ছিম বিল্লা মতুসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন সাংবাদিক মাহাবুব চান্দু।

আজ রবিবার খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক কনিকা বিশ্বাস পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুষ্টিয়াকে আগামী ২ নভেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন। এর আগে গত ২৯ আগষ্ট মামলাটি আমলে নিয়ে গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর মামলার আদেশের দিন ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন, মেহেরপুর পৌর সভার সাবেক মেয়র মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু, মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার সাইফুল বাহার স্বাধীন, ইন্টার্ন চিকিৎসক মতুর ছেলে মুত্তাকী বিল্লাহ সাফিন, মায়ের হাসি ক্লিনিকের পার্টনার শামীম হাসান সোহাগ, সহযোগী তোহিদুল ইসলাম লিয়ন, শোমিক ব্রো ও এসএম মেহেরাব হোসেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩/২৫(১)(ক)/২৫(১)(খ)/২৫(২)/২৯/৩১/৩৫ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। এর আগে বাদী মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করলে মামলাটি আমলে নিয়ে প্রথমে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন এবং পরে মামলাটি নথিজাত করেন। বাদী ন্যায় বিচারের স্বার্থে খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্ত হন।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, বাদি মাহাবুব চান্দু ২০ বছর যাবৎ সাংবাদিক পেশায় নিযুক্ত। বর্তমানে তিনি মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক ও স্থানীয় দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ইতিপূর্বে তিনি জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক সংবাদ, প্রতিদিনের সংবাদসহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে সুনামের সাথে মেহেরপুরে সাংবাদিকতা করেছেন।

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তার বেশ সুনাম আছে। তার প্রকাশিত সংবাদের মধ্যে অনেক সংবাদ আদালত আমলে নিয়ে স্বপ্রণোদিত মামলা করেছেন এবং ভুক্তভোগীরা সুফল পেয়েছেন। বাদী মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানী কাজে গত ২৪ জুলাই সকাল ১১টা ৫৩ মিনিট থেকে দুপুর ১টা ১৬ পর্যন্ত মেহেরপুর সরকারী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ও জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে অনুসন্ধান মুলক কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

আসামী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মেয়ে মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র এর চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত থাকাতে তিনি খবরটা জেনে ক্ষিপ্ত হন। তারপর মায়ের হাসি ক্লিনিকের মালিক হিসেবে তিনি মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদককে আনুমানিক ২টা ২৫ মিনিটের দিকে মোবাইলে হুমকি দিয়ে বলেন তোমরা কি বারেখা হয়েছো, তোমাদের দাঁত ভেঙ্গে দিব, ৫০টা চাঁদাবাজির মামলা দিব বলে হুমকি দিয়ে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ২৬ জুলাই মেহেরপুর সদর থানাতে একটি জিডি হয়, যার নং ১৩৯১।

পরবতির্তে আসামী মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতু তার মালিকানাধীন মায়ের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার আসামী সাইফুল বাহার স্বাধীনকে দিয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সদর থানা মেহেরপুর বরাবর বাদীর নামে একটি মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ লিখে থানায় অভিযোগটি জমা না দিয়ে মায়ের হাসি ক্লিনিক আইডি থেকে পোষ্ট করে। পরে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর ছেলে মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিন তার ফেসবুকে নামধারী সাংবাদিক লিখে শেয়ার করে।

মুত্তাকী বিল্লাহ শাফিনের পোস্টে গিয়ে আসামী তৌহিদুল ইসলাম লিওন বাদী সম্বদ্ধে কৃষ্ণ নগরী, ভাত পেতনা, চাঁদাবাজী, ৫টা বউসহ ইত্যাদি মানহানি কর কথা লিখেছেন। সে আরো বলে জেল খেটে দেশে ফিরে এখন বড় সাংবাদিক হয়েছে”। আসামী সৌমিক ব্রো কমেন্টস করে বলেছেন, “আমি থাকলে শালাকে ওন স্পট হিট করে তোর ক্লিনিকে ভর্তি করিয়ে রাখতাম”।

আসামী শামিম হাসান সোহাগ ও মেহেরাব হোসেন অপি মিথ্যা বিষয়কে শেয়ার করে লাইক দিয়ে অপপ্রচারে সহায়তা করেছে। আসামীরা একই বিষয় একাধিকবার সোসাল মিডিয়ায় প্রচার করে বিভিন্ন গ্রুপের মাধ্যমে ভাইরাল করেছে।

আসামী মেহেরাব হোসেন অপি একটি অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল মেহেরপুর নিউজ ডটকম পোর্টালের ফেসবুক পেজ থেকে মোতাচ্ছিম বিল্লাহ মতুর মিথ্যা অভিযোগটি লাইভ প্রকাশ করে এবং নিজ আইডিতেও শেয়ার করে ভাইরাল করে। আসামীদের মিথ্যা অপপ্রচার করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্যে এবং অনুসন্ধানী ও সুস্থ ধারার সাংবাদিক গোষ্টীর পথ রুদ্ধ করেছে বলে বাদী অভিযোগ করেন।

মামলায় বাদীর পক্ষে খুলনার সিনিয়র আইনজীবী ইকবাল আহমেদ, মিঠু চন্দ্র বসাক আইনজীবীর দায়িত্ব পালন করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, সাংবাদিক মাহাবুব চান্দুর বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবজীর অভিযোগ তোলায় গত ৩০ জুলাই মেহেরপুরের সাংবাদিক সমাজ জেলা প্রসাশকের কার্যালয়ের সামনে একটি মানববন্ধনও করে।




প্রাধান্য পাবে স্যাটেলাইট, উড়োজাহাজ ও অস্ত্র বিক্রি

দু’দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন। তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত ভোজসভায় যোগ দেবেন। দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষর এবং একটি যৌথ প্রেসব্রিফিংয়ে অংশ নেবেন। ঢাকায় ফরাসি দূতাবাস তাদের ফেসবুক পাতায় বলেছে প্রেসিডেন্টের এই সফরে কিছু সুনির্দিষ্ট প্রকল্প এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতা এগিয়ে নেয়ার বিষয়ে ভূমিকা রাখবে।

স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বিষয়ক সমঝোতা চুক্তি
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাক্রোঁ বাংলাদেশ সফরকালে মহাকাশে আরও একটি নতুন স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের চুক্তি সই হতে যাচ্ছে। ফ্রান্সের সহায়তায় এবার যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হবে তার নাম বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট—২। এটি একটি ‘আর্থ অবজারভেটরি’ ভূ—উপগ্রহ কেন্দ্র। এর মাধ্যমে পৃথিবী তথা বাংলাদেশের স্থলভাগ ও জলভাগ পর্যবেক্ষণ করা হবে। বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হয়েছিলো ২০১৮ সালের ১৯শে মে যুক্তরাষ্ট্রের কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে। এটিও নির্মাণ করেছিলো ফরাসি একটি প্রযুক্তি কোম্পানি।

বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা চিহ্নিত হওয়ায় সমুদ্র অঞ্চল বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সমুদ্র অঞ্চলে নজরদারি বাড়ানো সম্ভব হবে এই দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় কেউ অনধিকার প্রবেশ কিংবা কোনো অপতৎপরতা চালাচ্ছে কি না সেটাও এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জানা যাবে।

২০১২ সালে মিয়ানমারের সাথে বিরোধপূর্ণ ১ লক্ষ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার এবং ২০১৫ সালে ভারতের কাছ থেকে ১৯,৪৬৭ বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা জয় করে বাংলাদেশ। কোনরকম যুদ্ধ ছাড়া, রক্তপাত ছাড়া শেখ হাসিনার দূরদর্শীতা এবং মস্তিষ্কপ্রসূত সুচিন্তার ফলাফল ছিল এই বিশাল সমুদ্রসীমা বিজয়। এবার সমুদ্রে নিজেদের নজরদারি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফ্রান্সের সাথে এই সমঝোতা চুক্তি সই করবে সরকার।

এয়ারবাস থেকে উড়োজাহাজ কেনা
চলতি বছরের শুরুতে ফ্রান্সের এয়ারবাস কোম্পানি থেকে ১০টি উড়োজাহাজ কেনার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং থেকেও নতুন উড়োজাহাজ কেনা অব্যাহত রাখার বিষয়েও চাপ আছে। আমেরিকান ভিসা নীতি বা স্যাংশানের মাঝেই মূলত এবছরের শুরুতে এমন একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো বাংলাদেশ। এ বছরের ২২ মার্চ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশ বহুজাতিক কোম্পানি এয়ারবাসের কাছ থেকে উড়োজাহাজ কেনার পরিকল্পনা করছে। তবে বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় কতটি উড়োজাহাজ কেনা হবে, সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

এয়ারবাস পৃথিবীর অন্যতম বড় বিমান সংস্থা, যারা বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের নকশা, নির্মাণ ও বিপণন করে। এটি ইউরোপভিত্তিক এবং ফ্রান্স, ব্রিটেন ও স্পেনে তাদের বড় অফিস ও সংযোজন কারখানা রয়েছে। এয়ারবাসের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং, যাদের কাছ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস কিছুদিন আগে বেশ কয়েকটি উড়োজাহাজ কিনেছে।

এয়ারবাস বাংলাদেশকে এভিয়েশন খাতে প্রযুক্তি বিনিময়ের পাশাপাশি শিক্ষা ও দক্ষতাবিষয়ক সহায়তাও দিতে চায়। এর মাধ্যমে ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে এভিয়েশন খাত নিয়ে যোগাযোগ আরও গভীর হবে বলে তখন গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

সমরাস্ত্র বিক্রি
বাংলাদেশও ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ এর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনী আধুনিকায়নের কাজ শুরু করেছে। ২০২০ সালের মার্চে ফ্রান্সের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ঢাকায় এসেছিলেন বাংলাদেশের কাছে রাফাল জঙ্গি বিমান বিক্রির প্রস্তাব তুলে ধরার জন্য। এরপর ২০২১ সালে শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের সময়ে একটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতার সমঝোতা পত্রে স্বাক্ষর করেছিলো বাংলাদেশ ও ফ্রান্স। দেশটি অনেকদিন ধরেই বাংলাদেশে সমরাস্ত্র বিক্রি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে আসছে। তাই এ বিষয়ে এবার কোন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকার দেশগুলোতে ফ্রান্সের উপনিবেশবাদী আধিপত্যের এক পতন পর্বের শুরু হয়েছে বলে আন্তর্জাতিক মহল ধারণা করছে। এই পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকটের ঝুঁকিতে রয়েছে ফ্রান্স। তাই ফ্রান্সের দরকার নতুন ব্যবসায়িক গন্তব্য। ফলে অনেকের ধারণা যে, জি—২০ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য হলো, এ অঞ্চলে বাণিজ্যের বিস্তার ঘটানো। এব্যাপারে সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবির বলেন, “সমরাস্ত্র হোক আর এয়ারবাস হোক—তাদের মূল ফোকাসই থাকবে ব্যবসা। আর মনে রাখতে হবে ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে ফ্রান্সের স্বতন্ত্র সামরিক উপস্থিতি আছে। অর্থাৎ এ অঞ্চলটি তাদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। সে কারণেই ফ্রান্স চাইবে বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ক আরও উন্নত করতে।‘

ফ্রান্স বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে প্রধানতম খেলোয়াড়দের একটি, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যারা ইউরোপীয় ইউনিয়নে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় ফ্রান্স উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। তাই চুক্তি যাই হোক, সর্বোচ্চ পর্যায়ের বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের এই সফর দীর্ঘমেয়াদি সম্ভাবনার নতুন নতুন ক্ষেত্র উন্মোচন করবে বলেই ধারণা করা যায়।

আবার বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের আগ মুহূর্তের এই সফর কূটনীতিতে বাংলাদেশ সরকারকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কারণ ফ্রান্সের কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক প্রভাব বৈশ্বিক বিষয়গুলোর গতিপথকে প্রভাবিত করে। তাই আগামী নির্বাচনে ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্ব থেকে সরকারের প্রতি নানামুখী যে চাপ রয়েছে তা প্রশমিত করার ভালো একটি উপলক্ষ্য হতে পারে এই সফর।




ড. ইউনূসের পক্ষে দেয়া বিবৃতি প্রত্যাহারের দাবি ২শ বাংলাদেশি আমেরিকানের

এবার ড. ইউনুসের পক্ষে যারা বিবৃতি দিয়েছিলেন তাদের সেটা প্রত্যাহারের দাবি জানালেন ২শ বাংলাদেশি আমেরিকান। এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান। শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পক্ষে বিদেশি নাগরিকদের বিবৃতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল থেকে প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৬ সেপ্টেম্বর নেতৃস্থানীয় ২০০ বাংলাদেশি আমেরিকান নাগরিক বিবৃতি দিয়েছেন। ইউনূসের পক্ষে বিবৃতি দেয়াকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ আখ্যায়িত করে তারা গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছেন।

প্রতিবাদলিপিতে এই বাংলাদেশি আমেরিকানরা বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, এই বিবৃতিটি কোনো সঠিক তথ্য না জেনেই দেওয়া হয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দেওয়া চিঠিতে স্বাক্ষরকারীরা ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে ত্রিশ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে আক্রমণ করেছে। তারা বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্তৃক নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অর্থপাচার, কর ফাঁকি ও শ্রম অধিকারের অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। এইসব অভিযোগের মামলা এখনো বিচারাধীন এবং কোনো রায় এখনো হয়নি। তাই বিচারাধীন মামলা নিয়ে এমন বিবৃতি দেয়াকে প্রতিবাদলিপিতে স্বাক্ষর করা বিশিষ্টজনেরা দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তারা উল্লেখ করেন, ‘স্বাক্ষরকারীরা যাদের অনেকেই আইনের শাসন নিয়ে কথা বলেন- তারাই বাংলদেশে ড. ইউনূসের বিচারের অভিযোগগুলো নিয়ে কোনোকিছু না জেনেই একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।‘

সবশেষে ড. ইউনূসের পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নেতৃস্থানীয় বাংলাদেশি আমেরিকানরা বলেন, দলগতভাবে বা স্বতন্ত্রভাবে দেওয়া এই বিবৃতি প্রত্যাহার করে ১৭০ মিলিয়ন বাংলাদেশির প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। বিবৃতিতে সাক্ষরদানকারীরা হলেন ড. নুরন নবী (কাউন্সিলম্যান, নিউজার্সি), এবিএম নাসির (অধ্যাপক, নর্থ ক্যারোলিনা), আবু আহমেদ মুসা (কাউন্সিলম্যান, মিশিগান), রানা হাসান মাহমুদ (প্রকৌশলী, ক্যালিফোর্নিয়া), ডা. জিয়াউদ্দিন আহমেদ (অধ্যাপক, পেনসিলভেনিয়া), স্বীকৃতি বড়ুয়া (আইটি প্রকৌশলী, নিউইয়র্ক), আবুল খান (স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ, নিউ হ্যাম্পসায়ার), মাহবুবুল তয়ুব আলম (মেয়র, মিলবোর্ন, পেনসিলভেনিয়া), মো. নুরুল হাসান (কাউন্সিলম্যান, মিলবোর্ন, পেনসিলভেনিয়া), ড. সুফিয়ান এ খন্দকার (বিজ্ঞানী), ড. আশরাফ আহমেদ (বিজ্ঞানী ও লেখক), ড. জোতি প্রকাশ দত্ত (লেখক, ফ্লোরিডা), প্রফেসর আবু নাসের রাজিব (ক্যালিফোর্নিয়া) মোরশেদ আলম (অ্যাক্টিভিস্ট, নিউইয়র্ক), আহাদ আহমেদ (প্রকৌশলী, মিশিগান),ড. বামন দাস বসু (বিজ্ঞানী, মাসাচুসেটস), সাফেদা বসু (অ্যাক্টিভিস্ট, মাসাচুসেটস), ড. খন্দকার মনসুর (কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্ক) ড. মহসিন পাটোয়ারি (অধ্যাপক, নিউইয়র্ক) জামাল উদ্দিন হোসেন (সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, আলাবামা), ড. মহসিন আলী (লেখক, নিউইয়র্ক), দস্তগীর জাহাঙ্গীর (সাংবাদিক, ভার্জিনিয়া), ফাহিম রেজা নূর, (অ্যাক্টিভিস্ট, নিউইয়র্র্ক), ড. জিনাত নবী (বিজ্ঞানী, নিউজার্সি), হাসান ফেরদৌস (লেখক, নিউইয়র্ক), মেজর (অব.) মঞ্জুর আহমেদ (কমিউনিটি লিডার, নিউইয়র্ক), ড. প্রদীপ কর (বিজ্ঞানী, নিউইয়র্র্ক), ডা. প্রতাপ দাস (চিকিৎসক, নিউইয়র্র্ক),
কৌশিক আহমেদ (সম্পাদক, নিউইয়র্ক), লাভলু আনসার (সাংবাদিক, নিউইয়র্ক), রাফায়েত চৌধুরী (অ্যাক্টিভিস্ট, নিউইয়র্র্ক), আবু তাহের (অ্যাক্টিভিস্ট, পেনসিলভেনিয়া), সউদ চৌধুরী (অ্যাক্টিভিস্ট, নিউইয়র্ক), ড. মিজান আর মিয়া, (অধ্যাপক, ইলিনয়)।




চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আফরোজা পারভীনের নেতৃত্ব চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুমারী ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার জাহানারা খাতুন বাড়িতে আজ রবিবার বিকাল চারটার সময় এই উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে পথসভা কর্মী সমাবেশ উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন।

এ সময় আফরোজা পারভীন বলেন, শেখ হাসিনা সরকার উন্নয়নের সরকার। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই বিএনপি দল যদি আবারো কোন প্রকার চক্রান্তের চেষ্টা করে তাহলে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের পক্ষ থেকে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে বলে জানান তিনি। এ সময় তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য আবারো নৌকা মার্কায় ভোট চান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভপতি পূর্ণিমা হালদার,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার , সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন ,আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ, মাহফুজ, আকাশ,কুতুব, রিপন,শাওন, সিফাত,জিরান,সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ




চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার গড়াইটুপিতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ২ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে তিতুদহ ক্যাম্প পুলিশ। উদ্ধার করেছে ডাকাতির কাজে ব্যাবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম।

জানা গেছে গতকাল শনিবার দিনগত রাত ১ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে, দর্শনা থানাধীন তিতুদহ পুলিশ ক্যাম্পের এসআই ফকির ফেরদৌস আলী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ গড়াইটুপি ইউনিয়নের সাড়াবাড়ীয়া গ্রামের জনৈক ওয়াহেদ মিয়ার ইট ভাটার পশ্চিম পাশে অভিযান চালায়।

এ সময় পুলিশ ডাকাতির প্রস্তুতিকালে মনির হোসেন (৩২) ও রফিকুল ইসলাম(৪১) নামের ২ জন ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতি কাজে ব্যবহিত বিভিন্ন সরঞ্জাম।তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি গাছ কাটা লোহার করাত, দুইটি লোহার রডের কাটা অংশ,দুইটি হাসুয়া,একটি সুতার পাকানো রশি, চারটি বাঁশের লাঠি, একটি কেটে ফেলা গাছের গুড়ি, ছয়টি বিভিন্ন সাইজের পুরাতন ব্যবহৃত সেন্ডেল।

এদের বিরুদ্ধে একটি ডাকাতি, একটি মারামারি এবং একটি বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা ইতিপূর্বে রয়েছে এমর্মে রেকর্ড আছে। গতকালই দুজনের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




মেহেরপুরের আমঝুপিতে যুব মহিলা লীগের উঠান বৈঠক

শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা পৌঁছে দিতে মেহেরপুর জেলা যুব মহিলা লীগের উদ্যোগে আমঝুপি ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগ উঠান বৈঠকের আয়োজন করে।

আজ রবিবার বিকেলে আমঝুপি ইউনিয়নের খোকসা গ্রামে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ মেহেরপুর শাখার সাধারণ সম্পাদিকা রুথ শোভা মন্ডলের সঞ্চালনায় আমঝুপি ইউনিয়ন যুব মহিলা লীগের সভাপতি শাহিদা খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সহ-সভাপতি সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম।

উঠান বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা আমঝুপি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়ার রহমান,মেহেরপুর সদর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফুন নেছা লতা, মেহেরপুর শহর সমাজসেবা সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন, মেহেরপুর জেলা ইয়াং বাংলা ফিউচার লিডার্সের সহ-সভাপতি ও মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ সহ বিভিন্ন নেতা ও নেত্রী এবং কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




হরিণাকুন্ডুতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে প্রতারণার প্রতিবাদে মানববন্ধন

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে এইচএসসি পাশ অফিস সহকারী দিয়ে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান করানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রিশখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর উজ্জল হোসেনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।

আজ রোববার সকালে ওই বিদ্যালয়ের সামনে সড়কের ওপর ঘন্টাব্যাপী এক মানববন্ধনে এই অভিযোগ করেন তারা। এ সময় জাল সনদে ও নীতিমালা বহির্ভুতভাবে কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাকরি করার অভিযোগ এনে তাদের অপসারণ ও ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের নামে টিআর সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগও করা হয়। মানববন্ধনে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষার্থী, জনপ্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেয়।

জাকিয়া সুলতানা নামে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, তাদের বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক নিয়মিত ক্লাসে পাঠদান করান না। কেরানি দিয়ে তাদের পাঠদান করানো হয়। এতে তাদের পড়ালেখার ক্ষতি হচ্ছে।

জাফর ইকবাল নামে এক অভিভাবক দাবি করেন, প্রতিষ্ঠানটির ৩জন শিক্ষক স্থানীয় সামাজিক রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন। তাদের মধ্যে আবুল কালাম আজাদ ও মরিয়ম নেসা নামে ২জনের নিয়োগ অবৈধ। তারা নীতিমালা বহির্ভুত ও জাল সনদে বছরের পর বছর ধরে অবৈধভাবে শিক্ষকতা করছেন।

শহিদুল ইসলাম নামে আরও এক অভিভাবক দাবি করেন, আবুল হাসান, আবুল কালাম আজাদ ও মরিয়ন নেসা নামে তিন শিক্ষক বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি। গত ২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়ের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন হয়। নির্বাচনে অভিভাবকদের ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ প্যানেলকে সমর্থন না দিয়ে অবৈধভাবে অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে তারা ভোটদানে বিরত থাকেন। এর আগেও একই কারনে ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। ফলে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি না থাকার কারনে বিদ্যালয়ের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে।

ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ দাবি করেন, বিদ্যালয়টিতে দীর্ঘ বছর ধরে ৩জন শিক্ষক চাকরি করছেন। তাদের দুইজন জাল সনদে এবং একজন নীতিমালা বহির্ভুতভাবে নিয়োগ পেয়েছেন। এছাড়া উজ্জল হোসেন নামে একজন অফিস সহকারীও জাল সনদে চাকরি করছেন। তিনি অফিস সহকারী হয়েও ৬ষ্ঠ ও ৭ম শ্রেণির ক্লাস নেন।

এ বিষয়ে অফিস সহকারী উজ্জল হোসেন ক্লাস নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশে আমি নিয়মিত ৬ষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান ও ৭ম শ্রেণির গণিতের ক্লাস নিই। সহকারী শিক্ষক ও টিআর প্রতিনিধি আবুল কালাম আজাদ নীতিমালা বহির্ভুতভাবে চাকরি করার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি বৈধভাবে দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে চাকরি করছেন। আর অর্থনৈতিক লেনদেনের মাধ্যমে কমিটি গঠনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অভিযোগও সঠিক নয়।

প্রধান শিক্ষক জীবন কুমার দে বলেন, যখন ওই শিক্ষকদের নিয়োগ হয় তখন আমি প্রধান শিক্ষক ছিলাম না। তাই তাদের নিয়োগ বৈধ কিনা আমি সেটা বলতে পারছি না। তবে মাঝে মাঝে কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত না হলে কেরানি দিয়ে পাঠদান করানো হয়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল বারী বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।